An Najahah Shop
EN

নতুন চাঁদের মাসআলা

An Najahah Shop

নতুন চাঁদের মাসআলা
  • নতুন চাঁদের মাসআলা_img_0

নতুন চাঁদের মাসআলা

95 BDT100 BDTSave 5 BDT
1


নতুন চাঁদের বিষয়ে ৪টি প্রশ্ন ও তার জবাব
প্রথমটি হলো: এমন লিখিত সংবাদের উপরে আমল করা বিদ’আত বলে গণ্য হবে, যা নাবী ছ্বাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং তাঁর খুলাফায়ে রাশিদীন থেকে বর্ণিত হয়নি অথচ তাঁদের সময় ইসলামী শাসন অনেক দূর-দূরান্ত পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছিল। মানুষের হেদায়েতের ব্যাপারেও তাদের আগ্রহের কমতি ছিল না, তাদের মধ্যে ঐক্য বিরাজমান ছিল এবং তাঁরা হক্বকে সঠিকরূপে গ্রহণও করেছিলেন। তারপরেও তাঁরা এক অঞ্চলে চাঁদ দেখতে পাওয়ার ভিত্তিতে অন্য অঞ্চলে আমল করেছেন মর্মে কোনো খবর জানা যায়নি। আবার তাঁরা কেউ এক অঞ্চলের চাঁদ উদয়ের সংবাদ অন্য অঞ্চলে লিখে পাঠাননি, আবার কারোর কাছ থেকে এমন লিখিত সংবাদ চেয়ে লোক পাঠাননি। এমন প্রশ্নের জবাব।
 দ্বিতীয় বিষয়টি হলো: ইবনু আব্বাসের স্বীয় আযাদকৃত দাস কুরাইবকে সম্বোধন করে বলা কথা যখন কুরাইব শাম (সিরিয়া) থেকে ফিরে আসলেন এবং তাকে জানালেন যে, মু’আবীয়া ও সিরিয়াবাসীগণ শুক্রবার রাত্রে সিরিয়ায় চাঁদ দেখেছে। অথচ ইবনু আব্বাস ও মদীনাবাসীগণ শনিবারে চাঁদ দেখেছেন। কারণ চাঁদ (শুক্রবারে) তাদের দৃষ্টিগোচর হয়নি, তাই তারা রবিবারের আগ পর্যন্ত (ছিয়াম রেখে) রমযান মাসের মেয়াদ পূর্ণ করেছে, আর কুরাইব ছিয়াম ভাঙ্গতে চাচ্ছিলেন, কিন্তু ইবনু আব্বাস তাকে বাধা দিলেন, আর বললেন: মদীনাবাসীগণের অনুকরণ করো, আল্লাহর রসূল ছ্বাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে এমনটিই করতে আদেশ দিয়েছেন। এমন প্রশ্নের জবাব।
 তৃতীয় বিষয়টি হলো: মুফতীর “নির্ধারিত (অমুক) দিবসটি আমার নিকট মাসের প্রথম দিন হওয়া সঠিক বলে মনে হয়েছে” এই ফতোয়ার ভিত্তিতে ছিয়াম রাখা শুরু করা ও ছিয়াম রাখা বন্ধ করা ওয়াজিব হওয়ার ক্ষেত্রে দলীল পেশ করা ছ্বহীহ নয়………………………………………………….৬৫
 চতুর্থ বিষয়: দীনের ব্যাপারে যারা অতি বাড়াবাড়ি করে, তারা শা’বান মাসের শেষ দিবসে ছিয়াম রাখাকে আবশ্যককারী কোনো কারণে নয়, বরং তারা নিজেদের অবান্তর ধারণার উপরে ভিত্তি করেই ছিয়াম রাখে অর্থাৎ তারা ওয়াজিব নয় এমন আমলকে ওয়াজিব মনে করে।