আমিহীন দুনিয়া
বই রিভিউ : আমিহীন দুনিয়া লেখক : নজরুল ইসলাম প্রকাশনায় : Hasanah Publication ভোগবাদী এই সমাজব্যবস্থার যাঁতাকলে প্রতিনিয়ত পিষ্ট হয়ে আপনি ভুলে যাবেন কে আপনি? কেন আপনাকে সৃষ্টি করা হয়েছে? আপনার শেষ গন্তব্য কোথায় হবে? প্রতিটি প্রশ্নের জবাবে আপনার কানে প্রতিধ্বনিত হতে থাকবে, আমি জানি না। আমাকে কেউ কখনও জানায়নি। কেউ কখনও বলেনি, না জানলে কি দুর্ভোগ পোহাতে হবে। হায়! আফসোস আপনার জন্য। আপনার কি এখনও ফিরে আসার সময় হয়নি?পুরো বই জুড়ে লেখক বারবার এই প্রশ্নগুলোর উত্তর জানিয়েছেন। বইটির আলোচনার মূল কেন্দ্র ছিল আমরা যেন দুনিয়ার মোহে পড়ে কবর আর আখিরাতের জীবনকে যেন কোনোভাবে বরবাদ করে না ফেলি। বারবার আশা ও অনুপ্রেরণা জোগানো হয়েছে এই বলে, আপনি যতবড় গুনাহগারই হোন না কেন, আপনার গুনাহের পাহাড় আকাশস্পর্শী হলেও তা আপনার রবের অনুগ্রহ থেকে বড় নয়। সুবহানাল্লাহ! দুনিয়ার জীবনের সুখও ক্ষণস্থায়ী আবার দুঃখও ক্ষণস্থায়ী। জীবনে সুখ আসলে হাওয়ায় গা মেলে দেওয়া বোকামি। অপরদিকে দুঃখ আসলে হতাশায় নুইয়ে পড়ারও কিছু নাই। বরং এই ভেবে খুশি হোন, আপনার রব আপনার কষ্টগুলো জানেন। তিনি দেখছেন আপনি তার পরীক্ষার মোকাবেলা কতটা ধৈর্য নিয়ে মোকাবেলা করে চলেছেন। হৃদয় নহরে গেঁথে নিতে হবে, সবর কিছুরই সমাপ্তি আছে। মুমিন কখনও আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয় না। আখেরাতের জীবনের জন্য এটি একটি ছোটখাটো গাইড বই বলা চলে। যেটি আপনাকে অবৈধ প্রেম-ভালোবাসার কুফল অবগত করার পাশাপাশি এর থেকে সরে আসার পথ দেখিয়ে সংশোধন করার বার্তা দিবে। আত্মাহত্যা করার ভয়াবহ পরিণাম অবগত করবে। আত্ম অহামিকা যে পতনের মূল সেটিও একপলক মনে করিয়ে দিবে। বিপদ আসলে এর থেকে কিভাবে নিয়ামাত লাভ শিখবেন সে দিকটাও আলোচনায় তুলে ধরেছেন। সবচেয়ে বড় নিয়ামাত “আল্লাহর সাক্ষাৎ লাভ” এর গুরুত্ব পাঠে উঠে এসেছে। নেক আমল করার অনুপ্রেরণা এবং উৎসাহ দুই নিয়ামাত এর থেকে পাওয়া সম্ভব যদি সদিচ্ছা থাকে। সর্বশেষ একটা দিক না বললেই নয়, উস্তায শাহাদাত হোসেন খান ফয়সাল রহিমাহুল্লাহ স্মরণে লেখা ভূমিকায় উল্লেখিত মাত্র ৩২ বছরের ছোট জীবনকালের কথা পাঠকদের স্মরণ করিয়ে দেয়া হয়েছে যাতে যুবক-যুবতীরা এর থেকে শিক্ষা নিতে পারে। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা তার ওপর রহম করুন। ইচ্ছার বশে হোক বা অনিচ্ছাবশত গুনাহ একবার করে ফেললেও আমরা যেন আল্লাহর ক্ষমার আশায় তাওবাহ করতে যেন না ভুলি। আমার কবরের জীবনের হিসাব, আখিরাতের জীবনের হিসাব আমাকেই দিতে হবে। যৌবনের সময়কালকে যদি ইবাদতের বসন্তকাল করে যেতে পারেন, আপনার জন্য ইনশা আল্লাহ দুনিয়া আখিরাত সহজ হয়ে যাবে। ছোট কলেবরের হলেও বইটির সাহিত্যমান বেশ মুগ্ধ করেছে। ভাষায় অলংকার আছে। শব্দ গাঁথুনি মজবুত, বাক্য গঠন মোহনীয় লেগেছে। সহজ শব্দ, বাক্য দিয়ে রচিত বইটির বিষয়বস্তু বুঝতে কোনোপ্রকার হোঁচট খেতে হয়নি। সাবলীল, সহজ উপস্থাপনা উপভোগ করেছি। সর্বশেষ বই থেকে পাওয়া হৃদয়স্পর্শী দুটো কথা টেনে আলোচনার ইতি টানছি...ওমর ইবনুল খাত্তাব রদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, “তোমাদের হিসাব নেওয়ার আগেই নিজেরা নিজেদের জীবনের হিসাব মিলিয়ে নাও।” শান্তি দুনিয়ার কোনোকিছু পাওয়ার মধ্যে নাই।শান্তি তো কেবল রবের শুকরিয়ার মধ্যে আছে, যে রবকে আমরা এখনও চিনতেই পারিনি। শান্তি তার কাছেই পাওয়া যায়, যিনি শান্তির মালিক।
An Najahah Shop
Category List
All products

বই রিভিউ : আমিহীন দুনিয়া
লেখক : নজরুল ইসলাম
প্রকাশনায় : Hasanah Publication
ভোগবাদী এই সমাজব্যবস্থার যাঁতাকলে প্রতিনিয়ত পিষ্ট হয়ে আপনি ভুলে যাবেন কে আপনি? কেন আপনাকে সৃষ্টি করা হয়েছে? আপনার শেষ গন্তব্য কোথায় হবে? প্রতিটি প্রশ্নের জবাবে আপনার কানে প্রতিধ্বনিত হতে থাকবে, আমি জানি না। আমাকে কেউ কখনও জানায়নি। কেউ কখনও বলেনি, না জানলে কি দুর্ভোগ পোহাতে হবে। হায়! আফসোস আপনার জন্য। আপনার কি এখনও ফিরে আসার সময় হয়নি?
পুরো বই জুড়ে লেখক বারবার এই প্রশ্নগুলোর উত্তর জানিয়েছেন। বইটির আলোচনার মূল কেন্দ্র ছিল আমরা যেন দুনিয়ার মোহে পড়ে কবর আর আখিরাতের জীবনকে যেন কোনোভাবে বরবাদ করে না ফেলি। বারবার আশা ও অনুপ্রেরণা জোগানো হয়েছে এই বলে, আপনি যতবড় গুনাহগারই হোন না কেন, আপনার গুনাহের পাহাড় আকাশস্পর্শী হলেও তা আপনার রবের অনুগ্রহ থেকে বড় নয়। সুবহানাল্লাহ!
দুনিয়ার জীবনের সুখও ক্ষণস্থায়ী আবার দুঃখও ক্ষণস্থায়ী। জীবনে সুখ আসলে হাওয়ায় গা মেলে দেওয়া বোকামি। অপরদিকে দুঃখ আসলে হতাশায় নুইয়ে পড়ারও কিছু নাই। বরং এই ভেবে খুশি হোন, আপনার রব আপনার কষ্টগুলো জানেন। তিনি দেখছেন আপনি তার পরীক্ষার মোকাবেলা কতটা ধৈর্য নিয়ে মোকাবেলা করে চলেছেন। হৃদয় নহরে গেঁথে নিতে হবে, সবর কিছুরই সমাপ্তি আছে। মুমিন কখনও আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয় না।
আখেরাতের জীবনের জন্য এটি একটি ছোটখাটো গাইড বই বলা চলে। যেটি আপনাকে অবৈধ প্রেম-ভালোবাসার কুফল অবগত করার পাশাপাশি এর থেকে সরে আসার পথ দেখিয়ে সংশোধন করার বার্তা দিবে। আত্মাহত্যা করার ভয়াবহ পরিণাম অবগত করবে। আত্ম অহামিকা যে পতনের মূল সেটিও একপলক মনে করিয়ে দিবে। বিপদ আসলে এর থেকে কিভাবে নিয়ামাত লাভ শিখবেন সে দিকটাও আলোচনায় তুলে ধরেছেন।
সবচেয়ে বড় নিয়ামাত “আল্লাহর সাক্ষাৎ লাভ” এর গুরুত্ব পাঠে উঠে এসেছে। নেক আমল করার অনুপ্রেরণা এবং উৎসাহ দুই নিয়ামাত এর থেকে পাওয়া সম্ভব যদি সদিচ্ছা থাকে। সর্বশেষ একটা দিক না বললেই নয়, উস্তায শাহাদাত হোসেন খান ফয়সাল রহিমাহুল্লাহ স্মরণে লেখা ভূমিকায় উল্লেখিত মাত্র ৩২ বছরের ছোট জীবনকালের কথা পাঠকদের স্মরণ করিয়ে দেয়া হয়েছে যাতে যুবক-যুবতীরা এর থেকে শিক্ষা নিতে পারে। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা তার ওপর রহম করুন।
ইচ্ছার বশে হোক বা অনিচ্ছাবশত গুনাহ একবার করে ফেললেও আমরা যেন আল্লাহর ক্ষমার আশায় তাওবাহ করতে যেন না ভুলি। আমার কবরের জীবনের হিসাব, আখিরাতের জীবনের হিসাব আমাকেই দিতে হবে। যৌবনের সময়কালকে যদি ইবাদতের বসন্তকাল করে যেতে পারেন, আপনার জন্য ইনশা আল্লাহ দুনিয়া আখিরাত সহজ হয়ে যাবে।
ছোট কলেবরের হলেও বইটির সাহিত্যমান বেশ মুগ্ধ করেছে। ভাষায় অলংকার আছে। শব্দ গাঁথুনি মজবুত, বাক্য গঠন মোহনীয় লেগেছে। সহজ শব্দ, বাক্য দিয়ে রচিত বইটির বিষয়বস্তু বুঝতে কোনোপ্রকার হোঁচট খেতে হয়নি। সাবলীল, সহজ উপস্থাপনা উপভোগ করেছি।
সর্বশেষ বই থেকে পাওয়া হৃদয়স্পর্শী দুটো কথা টেনে আলোচনার ইতি টানছি...
ওমর ইবনুল খাত্তাব রদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, “তোমাদের হিসাব নেওয়ার আগেই নিজেরা নিজেদের জীবনের হিসাব মিলিয়ে নাও।”
শান্তি দুনিয়ার কোনোকিছু পাওয়ার মধ্যে নাই।
শান্তি তো কেবল রবের শুকরিয়ার মধ্যে আছে, যে রবকে আমরা এখনও চিনতেই পারিনি। শান্তি তার কাছেই পাওয়া যায়, যিনি শান্তির মালিক।
লেখক : নজরুল ইসলাম
প্রকাশনায় : Hasanah Publication
ভোগবাদী এই সমাজব্যবস্থার যাঁতাকলে প্রতিনিয়ত পিষ্ট হয়ে আপনি ভুলে যাবেন কে আপনি? কেন আপনাকে সৃষ্টি করা হয়েছে? আপনার শেষ গন্তব্য কোথায় হবে? প্রতিটি প্রশ্নের জবাবে আপনার কানে প্রতিধ্বনিত হতে থাকবে, আমি জানি না। আমাকে কেউ কখনও জানায়নি। কেউ কখনও বলেনি, না জানলে কি দুর্ভোগ পোহাতে হবে। হায়! আফসোস আপনার জন্য। আপনার কি এখনও ফিরে আসার সময় হয়নি?
পুরো বই জুড়ে লেখক বারবার এই প্রশ্নগুলোর উত্তর জানিয়েছেন। বইটির আলোচনার মূল কেন্দ্র ছিল আমরা যেন দুনিয়ার মোহে পড়ে কবর আর আখিরাতের জীবনকে যেন কোনোভাবে বরবাদ করে না ফেলি। বারবার আশা ও অনুপ্রেরণা জোগানো হয়েছে এই বলে, আপনি যতবড় গুনাহগারই হোন না কেন, আপনার গুনাহের পাহাড় আকাশস্পর্শী হলেও তা আপনার রবের অনুগ্রহ থেকে বড় নয়। সুবহানাল্লাহ!
দুনিয়ার জীবনের সুখও ক্ষণস্থায়ী আবার দুঃখও ক্ষণস্থায়ী। জীবনে সুখ আসলে হাওয়ায় গা মেলে দেওয়া বোকামি। অপরদিকে দুঃখ আসলে হতাশায় নুইয়ে পড়ারও কিছু নাই। বরং এই ভেবে খুশি হোন, আপনার রব আপনার কষ্টগুলো জানেন। তিনি দেখছেন আপনি তার পরীক্ষার মোকাবেলা কতটা ধৈর্য নিয়ে মোকাবেলা করে চলেছেন। হৃদয় নহরে গেঁথে নিতে হবে, সবর কিছুরই সমাপ্তি আছে। মুমিন কখনও আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয় না।
আখেরাতের জীবনের জন্য এটি একটি ছোটখাটো গাইড বই বলা চলে। যেটি আপনাকে অবৈধ প্রেম-ভালোবাসার কুফল অবগত করার পাশাপাশি এর থেকে সরে আসার পথ দেখিয়ে সংশোধন করার বার্তা দিবে। আত্মাহত্যা করার ভয়াবহ পরিণাম অবগত করবে। আত্ম অহামিকা যে পতনের মূল সেটিও একপলক মনে করিয়ে দিবে। বিপদ আসলে এর থেকে কিভাবে নিয়ামাত লাভ শিখবেন সে দিকটাও আলোচনায় তুলে ধরেছেন।
সবচেয়ে বড় নিয়ামাত “আল্লাহর সাক্ষাৎ লাভ” এর গুরুত্ব পাঠে উঠে এসেছে। নেক আমল করার অনুপ্রেরণা এবং উৎসাহ দুই নিয়ামাত এর থেকে পাওয়া সম্ভব যদি সদিচ্ছা থাকে। সর্বশেষ একটা দিক না বললেই নয়, উস্তায শাহাদাত হোসেন খান ফয়সাল রহিমাহুল্লাহ স্মরণে লেখা ভূমিকায় উল্লেখিত মাত্র ৩২ বছরের ছোট জীবনকালের কথা পাঠকদের স্মরণ করিয়ে দেয়া হয়েছে যাতে যুবক-যুবতীরা এর থেকে শিক্ষা নিতে পারে। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা তার ওপর রহম করুন।
ইচ্ছার বশে হোক বা অনিচ্ছাবশত গুনাহ একবার করে ফেললেও আমরা যেন আল্লাহর ক্ষমার আশায় তাওবাহ করতে যেন না ভুলি। আমার কবরের জীবনের হিসাব, আখিরাতের জীবনের হিসাব আমাকেই দিতে হবে। যৌবনের সময়কালকে যদি ইবাদতের বসন্তকাল করে যেতে পারেন, আপনার জন্য ইনশা আল্লাহ দুনিয়া আখিরাত সহজ হয়ে যাবে।
ছোট কলেবরের হলেও বইটির সাহিত্যমান বেশ মুগ্ধ করেছে। ভাষায় অলংকার আছে। শব্দ গাঁথুনি মজবুত, বাক্য গঠন মোহনীয় লেগেছে। সহজ শব্দ, বাক্য দিয়ে রচিত বইটির বিষয়বস্তু বুঝতে কোনোপ্রকার হোঁচট খেতে হয়নি। সাবলীল, সহজ উপস্থাপনা উপভোগ করেছি।
সর্বশেষ বই থেকে পাওয়া হৃদয়স্পর্শী দুটো কথা টেনে আলোচনার ইতি টানছি...
ওমর ইবনুল খাত্তাব রদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, “তোমাদের হিসাব নেওয়ার আগেই নিজেরা নিজেদের জীবনের হিসাব মিলিয়ে নাও।”
শান্তি দুনিয়ার কোনোকিছু পাওয়ার মধ্যে নাই।
শান্তি তো কেবল রবের শুকরিয়ার মধ্যে আছে, যে রবকে আমরা এখনও চিনতেই পারিনি। শান্তি তার কাছেই পাওয়া যায়, যিনি শান্তির মালিক।
আমিহীন দুনিয়া
80 BDT107 BDTSave 27 BDT
1
বই রিভিউ : আমিহীন দুনিয়া
লেখক : নজরুল ইসলাম
প্রকাশনায় : Hasanah Publication
ভোগবাদী এই সমাজব্যবস্থার যাঁতাকলে প্রতিনিয়ত পিষ্ট হয়ে আপনি ভুলে যাবেন কে আপনি? কেন আপনাকে সৃষ্টি করা হয়েছে? আপনার শেষ গন্তব্য কোথায় হবে? প্রতিটি প্রশ্নের জবাবে আপনার কানে প্রতিধ্বনিত হতে থাকবে, আমি জানি না। আমাকে কেউ কখনও জানায়নি। কেউ কখনও বলেনি, না জানলে কি দুর্ভোগ পোহাতে হবে। হায়! আফসোস আপনার জন্য। আপনার কি এখনও ফিরে আসার সময় হয়নি?
পুরো বই জুড়ে লেখক বারবার এই প্রশ্নগুলোর উত্তর জানিয়েছেন। বইটির আলোচনার মূল কেন্দ্র ছিল আমরা যেন দুনিয়ার মোহে পড়ে কবর আর আখিরাতের জীবনকে যেন কোনোভাবে বরবাদ করে না ফেলি। বারবার আশা ও অনুপ্রেরণা জোগানো হয়েছে এই বলে, আপনি যতবড় গুনাহগারই হোন না কেন, আপনার গুনাহের পাহাড় আকাশস্পর্শী হলেও তা আপনার রবের অনুগ্রহ থেকে বড় নয়। সুবহানাল্লাহ!
দুনিয়ার জীবনের সুখও ক্ষণস্থায়ী আবার দুঃখও ক্ষণস্থায়ী। জীবনে সুখ আসলে হাওয়ায় গা মেলে দেওয়া বোকামি। অপরদিকে দুঃখ আসলে হতাশায় নুইয়ে পড়ারও কিছু নাই। বরং এই ভেবে খুশি হোন, আপনার রব আপনার কষ্টগুলো জানেন। তিনি দেখছেন আপনি তার পরীক্ষার মোকাবেলা কতটা ধৈর্য নিয়ে মোকাবেলা করে চলেছেন। হৃদয় নহরে গেঁথে নিতে হবে, সবর কিছুরই সমাপ্তি আছে। মুমিন কখনও আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয় না।
আখেরাতের জীবনের জন্য এটি একটি ছোটখাটো গাইড বই বলা চলে। যেটি আপনাকে অবৈধ প্রেম-ভালোবাসার কুফল অবগত করার পাশাপাশি এর থেকে সরে আসার পথ দেখিয়ে সংশোধন করার বার্তা দিবে। আত্মাহত্যা করার ভয়াবহ পরিণাম অবগত করবে। আত্ম অহামিকা যে পতনের মূল সেটিও একপলক মনে করিয়ে দিবে। বিপদ আসলে এর থেকে কিভাবে নিয়ামাত লাভ শিখবেন সে দিকটাও আলোচনায় তুলে ধরেছেন।
সবচেয়ে বড় নিয়ামাত “আল্লাহর সাক্ষাৎ লাভ” এর গুরুত্ব পাঠে উঠে এসেছে। নেক আমল করার অনুপ্রেরণা এবং উৎসাহ দুই নিয়ামাত এর থেকে পাওয়া সম্ভব যদি সদিচ্ছা থাকে। সর্বশেষ একটা দিক না বললেই নয়, উস্তায শাহাদাত হোসেন খান ফয়সাল রহিমাহুল্লাহ স্মরণে লেখা ভূমিকায় উল্লেখিত মাত্র ৩২ বছরের ছোট জীবনকালের কথা পাঠকদের স্মরণ করিয়ে দেয়া হয়েছে যাতে যুবক-যুবতীরা এর থেকে শিক্ষা নিতে পারে। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা তার ওপর রহম করুন।
ইচ্ছার বশে হোক বা অনিচ্ছাবশত গুনাহ একবার করে ফেললেও আমরা যেন আল্লাহর ক্ষমার আশায় তাওবাহ করতে যেন না ভুলি। আমার কবরের জীবনের হিসাব, আখিরাতের জীবনের হিসাব আমাকেই দিতে হবে। যৌবনের সময়কালকে যদি ইবাদতের বসন্তকাল করে যেতে পারেন, আপনার জন্য ইনশা আল্লাহ দুনিয়া আখিরাত সহজ হয়ে যাবে।
ছোট কলেবরের হলেও বইটির সাহিত্যমান বেশ মুগ্ধ করেছে। ভাষায় অলংকার আছে। শব্দ গাঁথুনি মজবুত, বাক্য গঠন মোহনীয় লেগেছে। সহজ শব্দ, বাক্য দিয়ে রচিত বইটির বিষয়বস্তু বুঝতে কোনোপ্রকার হোঁচট খেতে হয়নি। সাবলীল, সহজ উপস্থাপনা উপভোগ করেছি।
সর্বশেষ বই থেকে পাওয়া হৃদয়স্পর্শী দুটো কথা টেনে আলোচনার ইতি টানছি...
ওমর ইবনুল খাত্তাব রদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, “তোমাদের হিসাব নেওয়ার আগেই নিজেরা নিজেদের জীবনের হিসাব মিলিয়ে নাও।”
শান্তি দুনিয়ার কোনোকিছু পাওয়ার মধ্যে নাই।
শান্তি তো কেবল রবের শুকরিয়ার মধ্যে আছে, যে রবকে আমরা এখনও চিনতেই পারিনি। শান্তি তার কাছেই পাওয়া যায়, যিনি শান্তির মালিক।
লেখক : নজরুল ইসলাম
প্রকাশনায় : Hasanah Publication
ভোগবাদী এই সমাজব্যবস্থার যাঁতাকলে প্রতিনিয়ত পিষ্ট হয়ে আপনি ভুলে যাবেন কে আপনি? কেন আপনাকে সৃষ্টি করা হয়েছে? আপনার শেষ গন্তব্য কোথায় হবে? প্রতিটি প্রশ্নের জবাবে আপনার কানে প্রতিধ্বনিত হতে থাকবে, আমি জানি না। আমাকে কেউ কখনও জানায়নি। কেউ কখনও বলেনি, না জানলে কি দুর্ভোগ পোহাতে হবে। হায়! আফসোস আপনার জন্য। আপনার কি এখনও ফিরে আসার সময় হয়নি?
পুরো বই জুড়ে লেখক বারবার এই প্রশ্নগুলোর উত্তর জানিয়েছেন। বইটির আলোচনার মূল কেন্দ্র ছিল আমরা যেন দুনিয়ার মোহে পড়ে কবর আর আখিরাতের জীবনকে যেন কোনোভাবে বরবাদ করে না ফেলি। বারবার আশা ও অনুপ্রেরণা জোগানো হয়েছে এই বলে, আপনি যতবড় গুনাহগারই হোন না কেন, আপনার গুনাহের পাহাড় আকাশস্পর্শী হলেও তা আপনার রবের অনুগ্রহ থেকে বড় নয়। সুবহানাল্লাহ!
দুনিয়ার জীবনের সুখও ক্ষণস্থায়ী আবার দুঃখও ক্ষণস্থায়ী। জীবনে সুখ আসলে হাওয়ায় গা মেলে দেওয়া বোকামি। অপরদিকে দুঃখ আসলে হতাশায় নুইয়ে পড়ারও কিছু নাই। বরং এই ভেবে খুশি হোন, আপনার রব আপনার কষ্টগুলো জানেন। তিনি দেখছেন আপনি তার পরীক্ষার মোকাবেলা কতটা ধৈর্য নিয়ে মোকাবেলা করে চলেছেন। হৃদয় নহরে গেঁথে নিতে হবে, সবর কিছুরই সমাপ্তি আছে। মুমিন কখনও আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয় না।
আখেরাতের জীবনের জন্য এটি একটি ছোটখাটো গাইড বই বলা চলে। যেটি আপনাকে অবৈধ প্রেম-ভালোবাসার কুফল অবগত করার পাশাপাশি এর থেকে সরে আসার পথ দেখিয়ে সংশোধন করার বার্তা দিবে। আত্মাহত্যা করার ভয়াবহ পরিণাম অবগত করবে। আত্ম অহামিকা যে পতনের মূল সেটিও একপলক মনে করিয়ে দিবে। বিপদ আসলে এর থেকে কিভাবে নিয়ামাত লাভ শিখবেন সে দিকটাও আলোচনায় তুলে ধরেছেন।
সবচেয়ে বড় নিয়ামাত “আল্লাহর সাক্ষাৎ লাভ” এর গুরুত্ব পাঠে উঠে এসেছে। নেক আমল করার অনুপ্রেরণা এবং উৎসাহ দুই নিয়ামাত এর থেকে পাওয়া সম্ভব যদি সদিচ্ছা থাকে। সর্বশেষ একটা দিক না বললেই নয়, উস্তায শাহাদাত হোসেন খান ফয়সাল রহিমাহুল্লাহ স্মরণে লেখা ভূমিকায় উল্লেখিত মাত্র ৩২ বছরের ছোট জীবনকালের কথা পাঠকদের স্মরণ করিয়ে দেয়া হয়েছে যাতে যুবক-যুবতীরা এর থেকে শিক্ষা নিতে পারে। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা তার ওপর রহম করুন।
ইচ্ছার বশে হোক বা অনিচ্ছাবশত গুনাহ একবার করে ফেললেও আমরা যেন আল্লাহর ক্ষমার আশায় তাওবাহ করতে যেন না ভুলি। আমার কবরের জীবনের হিসাব, আখিরাতের জীবনের হিসাব আমাকেই দিতে হবে। যৌবনের সময়কালকে যদি ইবাদতের বসন্তকাল করে যেতে পারেন, আপনার জন্য ইনশা আল্লাহ দুনিয়া আখিরাত সহজ হয়ে যাবে।
ছোট কলেবরের হলেও বইটির সাহিত্যমান বেশ মুগ্ধ করেছে। ভাষায় অলংকার আছে। শব্দ গাঁথুনি মজবুত, বাক্য গঠন মোহনীয় লেগেছে। সহজ শব্দ, বাক্য দিয়ে রচিত বইটির বিষয়বস্তু বুঝতে কোনোপ্রকার হোঁচট খেতে হয়নি। সাবলীল, সহজ উপস্থাপনা উপভোগ করেছি।
সর্বশেষ বই থেকে পাওয়া হৃদয়স্পর্শী দুটো কথা টেনে আলোচনার ইতি টানছি...
ওমর ইবনুল খাত্তাব রদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, “তোমাদের হিসাব নেওয়ার আগেই নিজেরা নিজেদের জীবনের হিসাব মিলিয়ে নাও।”
শান্তি দুনিয়ার কোনোকিছু পাওয়ার মধ্যে নাই।
শান্তি তো কেবল রবের শুকরিয়ার মধ্যে আছে, যে রবকে আমরা এখনও চিনতেই পারিনি। শান্তি তার কাছেই পাওয়া যায়, যিনি শান্তির মালিক।