আঁধার থেকে আলোতে
মৃত্যুর সবচেয়ে দুঃখজনক ব্যাপারগুলোর একটা হলো পরিচয় হারিয়ে যাওয়া। আমাদের সমাজে অনেক মানুষ রয়েছে, যারা এত বছর ধরে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে চলেছে। .নিজের বাবা-মায়ের দেওয়া সুন্দর নাম—যেমন মুহাম্মাদ, আলি, সাইদ, হাসান ইত্যাদি নাম বাদ দিয়ে তারা কোনো একটা বিদঘুটে নাম নিজের মতো করে পছন্দ করেছে। সমাজে সেই নামেই পরিচিত হয়েছে। কিন্তু তারা জানেও না, তাদের মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গেই তাদের এই নামটিও হারিয়ে যাবে।. মৃত্যুর পর তাদের দেহ যখন মসজিদে গোসলের জন্য ফেলে রাখা হবে, তখন কেউ এসে জিজ্ঞেস করবে না “অমুক” বা “তমুক” কোথায়। তখন সবাই এসেই জিজ্ঞেস করবে, “লাশটা কোথায়?” ভাগ্যের নির্মম পরিহাস দেখুন, আপনি হয়তো মারা গিয়েছেন ১ ঘণ্টাও হয়নি, আপনার শরীর এখনো গরম আছে।. কিন্তু আপনার আশেপাশের মানুষ এত বছর ধরে গড়ে তোলা আপনার নাম-পরিচয় বাদ দিয়ে আপনাকে ডাকছে “লাশ” নামে। কোথায় আপনার পরিচয়? কোথায় আপনার ক্ষমতা? আপনাকে কিছু মানুষ উলঙ্গ করে গোসল করাবে। উলটেপালটে আপনাকে কাপড়ে প্যাঁচাবে। এরপর আপনাকে বয়ে নিয়ে যাবে কবরে।.আপনারা খেয়াল করলে দেখবেন, সমাজের এই যে বড় বড় পাপাচারী এরা মারা গেলে এদের এত সাঙ্গোপাঙ্গ তেমন কাউকেই খুঁজে পাওয়া যায় না চারপাশে। গোসল করানো, কবর দেওয়ার কাজে যারা থাকে, তারা একান্ত বাধ্য হয়েই দায়িত্ব পালন করে। এইসব লোকদের জানাজা পড়ার জন্যও মানুষ পাওয়া যায় না। তাদের মৃত্যুতে চোখের পানি ঝরানোরও কেউ থাকে না। .পাপাচারী, অত্যাচারীদের মৃত্যুতে যে কেউ কষ্ট পায় না, এটা প্রতিষ্ঠিত সত্য। যেমন আল্লাহ তাআলা কুরআনে ফেরাউন ও তার দলের উদাহরণ টেনে বলেন,فَمَا بَكَتْ عَلَيْهِمُ السَّمَاء وَالْأَرْضُ وَمَا كَانُوا مُنظَرِينَ“তাদের জন্য ক্রন্দন করেনি আকাশ ও পৃথিবী এবং তারা অবকাশও পায়নি।” [সুরা আদ-দুখান, আয়াত: ২৯]বই: আঁধার থেকে আলোতে মূল: উস্তাদ আলী হাম্মুদা।
An Najahah Shop
Category List
All products

মৃত্যুর সবচেয়ে দুঃখজনক ব্যাপারগুলোর একটা হলো পরিচয় হারিয়ে যাওয়া। আমাদের সমাজে অনেক মানুষ রয়েছে, যারা এত বছর ধরে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে চলেছে।
.
নিজের বাবা-মায়ের দেওয়া সুন্দর নাম—যেমন মুহাম্মাদ, আলি, সাইদ, হাসান ইত্যাদি নাম বাদ দিয়ে তারা কোনো একটা বিদঘুটে নাম নিজের মতো করে পছন্দ করেছে। সমাজে সেই নামেই পরিচিত হয়েছে। কিন্তু তারা জানেও না, তাদের মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গেই তাদের এই নামটিও হারিয়ে যাবে।
.
মৃত্যুর পর তাদের দেহ যখন মসজিদে গোসলের জন্য ফেলে রাখা হবে, তখন কেউ এসে জিজ্ঞেস করবে না “অমুক” বা “তমুক” কোথায়। তখন সবাই এসেই জিজ্ঞেস করবে, “লাশটা কোথায়?” ভাগ্যের নির্মম পরিহাস দেখুন, আপনি হয়তো মারা গিয়েছেন ১ ঘণ্টাও হয়নি, আপনার শরীর এখনো গরম আছে।
.
কিন্তু আপনার আশেপাশের মানুষ এত বছর ধরে গড়ে তোলা আপনার নাম-পরিচয় বাদ দিয়ে আপনাকে ডাকছে “লাশ” নামে। কোথায় আপনার পরিচয়? কোথায় আপনার ক্ষমতা? আপনাকে কিছু মানুষ উলঙ্গ করে গোসল করাবে। উলটেপালটে আপনাকে কাপড়ে প্যাঁচাবে। এরপর আপনাকে বয়ে নিয়ে যাবে কবরে।
.
আপনারা খেয়াল করলে দেখবেন, সমাজের এই যে বড় বড় পাপাচারী এরা মারা গেলে এদের এত সাঙ্গোপাঙ্গ তেমন কাউকেই খুঁজে পাওয়া যায় না চারপাশে। গোসল করানো, কবর দেওয়ার কাজে যারা থাকে, তারা একান্ত বাধ্য হয়েই দায়িত্ব পালন করে। এইসব লোকদের জানাজা পড়ার জন্যও মানুষ পাওয়া যায় না। তাদের মৃত্যুতে চোখের পানি ঝরানোরও কেউ থাকে না।
.
পাপাচারী, অত্যাচারীদের মৃত্যুতে যে কেউ কষ্ট পায় না, এটা প্রতিষ্ঠিত সত্য। যেমন আল্লাহ তাআলা কুরআনে ফেরাউন ও তার দলের উদাহরণ টেনে বলেন,
فَمَا بَكَتْ عَلَيْهِمُ السَّمَاء وَالْأَرْضُ وَمَا كَانُوا مُنظَرِينَ
“তাদের জন্য ক্রন্দন করেনি আকাশ ও পৃথিবী এবং তারা অবকাশও পায়নি।” [সুরা আদ-দুখান, আয়াত: ২৯]
বই: আঁধার থেকে আলোতে
মূল: উস্তাদ আলী হাম্মুদা।
.
নিজের বাবা-মায়ের দেওয়া সুন্দর নাম—যেমন মুহাম্মাদ, আলি, সাইদ, হাসান ইত্যাদি নাম বাদ দিয়ে তারা কোনো একটা বিদঘুটে নাম নিজের মতো করে পছন্দ করেছে। সমাজে সেই নামেই পরিচিত হয়েছে। কিন্তু তারা জানেও না, তাদের মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গেই তাদের এই নামটিও হারিয়ে যাবে।
.
মৃত্যুর পর তাদের দেহ যখন মসজিদে গোসলের জন্য ফেলে রাখা হবে, তখন কেউ এসে জিজ্ঞেস করবে না “অমুক” বা “তমুক” কোথায়। তখন সবাই এসেই জিজ্ঞেস করবে, “লাশটা কোথায়?” ভাগ্যের নির্মম পরিহাস দেখুন, আপনি হয়তো মারা গিয়েছেন ১ ঘণ্টাও হয়নি, আপনার শরীর এখনো গরম আছে।
.
কিন্তু আপনার আশেপাশের মানুষ এত বছর ধরে গড়ে তোলা আপনার নাম-পরিচয় বাদ দিয়ে আপনাকে ডাকছে “লাশ” নামে। কোথায় আপনার পরিচয়? কোথায় আপনার ক্ষমতা? আপনাকে কিছু মানুষ উলঙ্গ করে গোসল করাবে। উলটেপালটে আপনাকে কাপড়ে প্যাঁচাবে। এরপর আপনাকে বয়ে নিয়ে যাবে কবরে।
.
আপনারা খেয়াল করলে দেখবেন, সমাজের এই যে বড় বড় পাপাচারী এরা মারা গেলে এদের এত সাঙ্গোপাঙ্গ তেমন কাউকেই খুঁজে পাওয়া যায় না চারপাশে। গোসল করানো, কবর দেওয়ার কাজে যারা থাকে, তারা একান্ত বাধ্য হয়েই দায়িত্ব পালন করে। এইসব লোকদের জানাজা পড়ার জন্যও মানুষ পাওয়া যায় না। তাদের মৃত্যুতে চোখের পানি ঝরানোরও কেউ থাকে না।
.
পাপাচারী, অত্যাচারীদের মৃত্যুতে যে কেউ কষ্ট পায় না, এটা প্রতিষ্ঠিত সত্য। যেমন আল্লাহ তাআলা কুরআনে ফেরাউন ও তার দলের উদাহরণ টেনে বলেন,
فَمَا بَكَتْ عَلَيْهِمُ السَّمَاء وَالْأَرْضُ وَمَا كَانُوا مُنظَرِينَ
“তাদের জন্য ক্রন্দন করেনি আকাশ ও পৃথিবী এবং তারা অবকাশও পায়নি।” [সুরা আদ-দুখান, আয়াত: ২৯]
বই: আঁধার থেকে আলোতে
মূল: উস্তাদ আলী হাম্মুদা।
আঁধার থেকে আলোতে
145 BDT300 BDTSave 155 BDT
1
মৃত্যুর সবচেয়ে দুঃখজনক ব্যাপারগুলোর একটা হলো পরিচয় হারিয়ে যাওয়া। আমাদের সমাজে অনেক মানুষ রয়েছে, যারা এত বছর ধরে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে চলেছে।
.
নিজের বাবা-মায়ের দেওয়া সুন্দর নাম—যেমন মুহাম্মাদ, আলি, সাইদ, হাসান ইত্যাদি নাম বাদ দিয়ে তারা কোনো একটা বিদঘুটে নাম নিজের মতো করে পছন্দ করেছে। সমাজে সেই নামেই পরিচিত হয়েছে। কিন্তু তারা জানেও না, তাদের মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গেই তাদের এই নামটিও হারিয়ে যাবে।
.
মৃত্যুর পর তাদের দেহ যখন মসজিদে গোসলের জন্য ফেলে রাখা হবে, তখন কেউ এসে জিজ্ঞেস করবে না “অমুক” বা “তমুক” কোথায়। তখন সবাই এসেই জিজ্ঞেস করবে, “লাশটা কোথায়?” ভাগ্যের নির্মম পরিহাস দেখুন, আপনি হয়তো মারা গিয়েছেন ১ ঘণ্টাও হয়নি, আপনার শরীর এখনো গরম আছে।
.
কিন্তু আপনার আশেপাশের মানুষ এত বছর ধরে গড়ে তোলা আপনার নাম-পরিচয় বাদ দিয়ে আপনাকে ডাকছে “লাশ” নামে। কোথায় আপনার পরিচয়? কোথায় আপনার ক্ষমতা? আপনাকে কিছু মানুষ উলঙ্গ করে গোসল করাবে। উলটেপালটে আপনাকে কাপড়ে প্যাঁচাবে। এরপর আপনাকে বয়ে নিয়ে যাবে কবরে।
.
আপনারা খেয়াল করলে দেখবেন, সমাজের এই যে বড় বড় পাপাচারী এরা মারা গেলে এদের এত সাঙ্গোপাঙ্গ তেমন কাউকেই খুঁজে পাওয়া যায় না চারপাশে। গোসল করানো, কবর দেওয়ার কাজে যারা থাকে, তারা একান্ত বাধ্য হয়েই দায়িত্ব পালন করে। এইসব লোকদের জানাজা পড়ার জন্যও মানুষ পাওয়া যায় না। তাদের মৃত্যুতে চোখের পানি ঝরানোরও কেউ থাকে না।
.
পাপাচারী, অত্যাচারীদের মৃত্যুতে যে কেউ কষ্ট পায় না, এটা প্রতিষ্ঠিত সত্য। যেমন আল্লাহ তাআলা কুরআনে ফেরাউন ও তার দলের উদাহরণ টেনে বলেন,
فَمَا بَكَتْ عَلَيْهِمُ السَّمَاء وَالْأَرْضُ وَمَا كَانُوا مُنظَرِينَ
“তাদের জন্য ক্রন্দন করেনি আকাশ ও পৃথিবী এবং তারা অবকাশও পায়নি।” [সুরা আদ-দুখান, আয়াত: ২৯]
বই: আঁধার থেকে আলোতে
মূল: উস্তাদ আলী হাম্মুদা।
.
নিজের বাবা-মায়ের দেওয়া সুন্দর নাম—যেমন মুহাম্মাদ, আলি, সাইদ, হাসান ইত্যাদি নাম বাদ দিয়ে তারা কোনো একটা বিদঘুটে নাম নিজের মতো করে পছন্দ করেছে। সমাজে সেই নামেই পরিচিত হয়েছে। কিন্তু তারা জানেও না, তাদের মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গেই তাদের এই নামটিও হারিয়ে যাবে।
.
মৃত্যুর পর তাদের দেহ যখন মসজিদে গোসলের জন্য ফেলে রাখা হবে, তখন কেউ এসে জিজ্ঞেস করবে না “অমুক” বা “তমুক” কোথায়। তখন সবাই এসেই জিজ্ঞেস করবে, “লাশটা কোথায়?” ভাগ্যের নির্মম পরিহাস দেখুন, আপনি হয়তো মারা গিয়েছেন ১ ঘণ্টাও হয়নি, আপনার শরীর এখনো গরম আছে।
.
কিন্তু আপনার আশেপাশের মানুষ এত বছর ধরে গড়ে তোলা আপনার নাম-পরিচয় বাদ দিয়ে আপনাকে ডাকছে “লাশ” নামে। কোথায় আপনার পরিচয়? কোথায় আপনার ক্ষমতা? আপনাকে কিছু মানুষ উলঙ্গ করে গোসল করাবে। উলটেপালটে আপনাকে কাপড়ে প্যাঁচাবে। এরপর আপনাকে বয়ে নিয়ে যাবে কবরে।
.
আপনারা খেয়াল করলে দেখবেন, সমাজের এই যে বড় বড় পাপাচারী এরা মারা গেলে এদের এত সাঙ্গোপাঙ্গ তেমন কাউকেই খুঁজে পাওয়া যায় না চারপাশে। গোসল করানো, কবর দেওয়ার কাজে যারা থাকে, তারা একান্ত বাধ্য হয়েই দায়িত্ব পালন করে। এইসব লোকদের জানাজা পড়ার জন্যও মানুষ পাওয়া যায় না। তাদের মৃত্যুতে চোখের পানি ঝরানোরও কেউ থাকে না।
.
পাপাচারী, অত্যাচারীদের মৃত্যুতে যে কেউ কষ্ট পায় না, এটা প্রতিষ্ঠিত সত্য। যেমন আল্লাহ তাআলা কুরআনে ফেরাউন ও তার দলের উদাহরণ টেনে বলেন,
فَمَا بَكَتْ عَلَيْهِمُ السَّمَاء وَالْأَرْضُ وَمَا كَانُوا مُنظَرِينَ
“তাদের জন্য ক্রন্দন করেনি আকাশ ও পৃথিবী এবং তারা অবকাশও পায়নি।” [সুরা আদ-দুখান, আয়াত: ২৯]
বই: আঁধার থেকে আলোতে
মূল: উস্তাদ আলী হাম্মুদা।