আল্লাহপ্রেম
প্রশ্ন হলো, মানুষ আল্লাহকে ভালোবাসবে কেন? এর উত্তর খুব সহজ। মানুষ নিজের বাইরে অন্য কোনও মানুষ বা বস্তুকে ভালোবাসে কেন? মানুষ তার বাবা-মা ও স্ত্রী-সন্তানকে যে কারণে ভালোবাসে, ফুলকে কিন্তু সে কারণে ভালোবাসে না। ফুলকে যে কারণে ভালোবাসে, সম্পদ ভালোবাসে তার ভিন্ন কারণে। এভাবে জগতের যেকোনও ভালো কিছুর প্রতিই যে-সমস্ত কারণে সে নিজের ভেতর ভালোবাসা বোধ করতে পারে, সেসবের প্রতিটিই আল্লাহর মাঝে পরম মাত্রায় বিদ্যমান। রূপ, গুণ, সৌন্দর্য, সম্মান, সম্পদ বা শ্রেষ্ঠত্ব, দয়া অনুগ্রহ এগুলোর মাঝে কোনটি মানুষের ভালোবাসাকে মনের মাটি ফুঁড়ে বেরিয়ে আসতে বাধ্য করে? সবগুলোই। তবে এক সৃষ্টির মাঝে এই সবগুলো সর্বোন্নত মাত্রায় পাওয়া যায় না। একটি বা দুটি থাকে, সেটাও খুবই স্বল্পমাত্রায়। আর এই এতটুকুর আকর্ষণেই একজন মানুষ হয়ে যায় প্রেমে পাগল, ইশকে দিওয়ানা ও ভালোবাসায় বিভোর। আর এ সবকিছু ছাপিয়ে আল্লাহকে ভালোবাসার সবচেয়ে বড় যে কারণ, সেটি হল তিনি মানুষের অস্তিত্বদাতা ও রক্ষাকর্তা। প্রেমের এ বহুমুখী তীব্র আকর্ষণের যিনি আধার, তাঁর প্রেমে ও ভালোবাসার মানুষের কতটা পাগল ও দিওয়ানা হওয়া উচিত? সে যদি খোদায়ী জ্যোতির ঝলকে পাহাড়ের বিচূর্ণ হওয়ার মতো খোদারী প্রেমের তীব্র আকর্ষণে ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়, তবে নিশ্চয়ই তা আশ্চর্য মতো কোনও কিছু নয়। অথচ সে কিনা আল্লাহকে ভালোবাসতেই রাজি নয়, আল্লাহকে আপন বলে মানতেই প্রস্তুত নয়। আল্লাহ তার কাছে থাকলেও সে আল্লাহর কাছ থেকে যোজন যোজন দূরে অবস্থান করে। কেন এমন হল? তার অস্তিত্বের মাঝে আগুন, পানি, মাটি ও বাতাসের মতো আল্লাহপ্রেমও তো ছিল মৌলিক উপাদান। তাহলে মানুষ এসব মৌলের প্রভাব উপলব্ধি করলেও আল্লাহপ্রেম সম্পর্কে অজ্ঞ ও অপরিচিত থাকে কেন? কারণ সে নিজে। তার ভেতরে বিদ্যমান 'নফসে আম্মারাহ' ই এর আসল কারণ। আর বাইরের শয়তান ও শয়তানী আসওয়াসা তো আছেই। এগুলো আল্লাহর দিকে বান্দার প্রেমের সহজাত ও স্বাভাবিক প্রবাহকে ব্যাহত করে এবং এদের প্রধান কাজই এটা।আল্লাহ জানেন মানুষ তার মানবীয় শক্তি দিয়ে নফস ও শয়তানের শক্তির সঙ্গে পেরে উঠবে না, ফলে প্রিয়খোদার সঙ্গে তার মধুর মিলন চিরকাল অধরাই রয়ে যাবে। তাই আল্লাহ তা'আলা বান্দাকে এক ঐশী শক্তি দিয়ে বলবান করলেন। তাকে দান করলেন ঈমান ইসলাম, দীন- শরীয়ত ও কুরআন-কিতাব এবং হাতে-কলমে সেই শক্তির ব্যবহার শেখানোর জন্য পাঠালেন নবী-রাসূল। সুতরাং ইসলাম নিছক কোনও ধর্ম নয়, এটি আমার আল্লাহপ্রেমের দর্শন। শরীয়ত নিরস খটমটে কোনও অনুশাসন নয়, এটি আমার আল্লাহপ্রেমের বাস্তব অনুশীলন।
An Najahah Shop
Category List
All products

প্রশ্ন হলো, মানুষ আল্লাহকে ভালোবাসবে কেন? এর উত্তর খুব সহজ। মানুষ নিজের বাইরে অন্য কোনও মানুষ বা বস্তুকে ভালোবাসে কেন? মানুষ তার বাবা-মা ও স্ত্রী-সন্তানকে যে কারণে ভালোবাসে, ফুলকে কিন্তু সে কারণে ভালোবাসে না। ফুলকে যে কারণে ভালোবাসে, সম্পদ ভালোবাসে তার ভিন্ন কারণে। এভাবে জগতের যেকোনও ভালো কিছুর প্রতিই যে-সমস্ত কারণে সে নিজের ভেতর ভালোবাসা বোধ করতে পারে, সেসবের প্রতিটিই আল্লাহর মাঝে পরম মাত্রায় বিদ্যমান। রূপ, গুণ, সৌন্দর্য, সম্মান, সম্পদ বা শ্রেষ্ঠত্ব, দয়া অনুগ্রহ এগুলোর মাঝে কোনটি মানুষের ভালোবাসাকে মনের মাটি ফুঁড়ে বেরিয়ে আসতে বাধ্য করে? সবগুলোই। তবে এক সৃষ্টির মাঝে এই সবগুলো সর্বোন্নত মাত্রায় পাওয়া যায় না। একটি বা দুটি থাকে, সেটাও খুবই স্বল্পমাত্রায়। আর এই এতটুকুর আকর্ষণেই একজন মানুষ হয়ে যায় প্রেমে পাগল, ইশকে দিওয়ানা ও ভালোবাসায় বিভোর। আর এ সবকিছু ছাপিয়ে আল্লাহকে ভালোবাসার সবচেয়ে বড় যে কারণ, সেটি হল তিনি মানুষের অস্তিত্বদাতা ও রক্ষাকর্তা। প্রেমের এ বহুমুখী তীব্র আকর্ষণের যিনি আধার, তাঁর প্রেমে ও ভালোবাসার মানুষের কতটা পাগল ও দিওয়ানা হওয়া উচিত? সে যদি খোদায়ী জ্যোতির ঝলকে পাহাড়ের বিচূর্ণ হওয়ার মতো খোদারী প্রেমের তীব্র আকর্ষণে ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়, তবে নিশ্চয়ই তা আশ্চর্য মতো কোনও কিছু নয়। অথচ সে কিনা আল্লাহকে ভালোবাসতেই রাজি নয়, আল্লাহকে আপন বলে মানতেই প্রস্তুত নয়। আল্লাহ তার কাছে থাকলেও সে আল্লাহর কাছ থেকে যোজন যোজন দূরে অবস্থান করে। কেন এমন হল? তার অস্তিত্বের মাঝে আগুন, পানি, মাটি ও বাতাসের মতো আল্লাহপ্রেমও তো ছিল মৌলিক উপাদান। তাহলে মানুষ এসব মৌলের প্রভাব উপলব্ধি করলেও আল্লাহপ্রেম সম্পর্কে অজ্ঞ ও অপরিচিত থাকে কেন? কারণ সে নিজে। তার ভেতরে বিদ্যমান 'নফসে আম্মারাহ' ই এর আসল কারণ। আর বাইরের শয়তান ও শয়তানী আসওয়াসা তো আছেই। এগুলো আল্লাহর দিকে বান্দার প্রেমের সহজাত ও স্বাভাবিক প্রবাহকে ব্যাহত করে এবং এদের প্রধান কাজই এটা।
আল্লাহ জানেন মানুষ তার মানবীয় শক্তি দিয়ে নফস ও শয়তানের শক্তির সঙ্গে পেরে উঠবে না, ফলে প্রিয়খোদার সঙ্গে তার মধুর মিলন চিরকাল অধরাই রয়ে যাবে। তাই আল্লাহ তা'আলা বান্দাকে এক ঐশী শক্তি দিয়ে বলবান করলেন। তাকে দান করলেন ঈমান ইসলাম, দীন- শরীয়ত ও কুরআন-কিতাব এবং হাতে-কলমে সেই শক্তির ব্যবহার শেখানোর জন্য পাঠালেন নবী-রাসূল। সুতরাং ইসলাম নিছক কোনও ধর্ম নয়, এটি আমার আল্লাহপ্রেমের দর্শন। শরীয়ত নিরস খটমটে কোনও অনুশাসন নয়, এটি আমার আল্লাহপ্রেমের বাস্তব অনুশীলন।
আল্লাহ জানেন মানুষ তার মানবীয় শক্তি দিয়ে নফস ও শয়তানের শক্তির সঙ্গে পেরে উঠবে না, ফলে প্রিয়খোদার সঙ্গে তার মধুর মিলন চিরকাল অধরাই রয়ে যাবে। তাই আল্লাহ তা'আলা বান্দাকে এক ঐশী শক্তি দিয়ে বলবান করলেন। তাকে দান করলেন ঈমান ইসলাম, দীন- শরীয়ত ও কুরআন-কিতাব এবং হাতে-কলমে সেই শক্তির ব্যবহার শেখানোর জন্য পাঠালেন নবী-রাসূল। সুতরাং ইসলাম নিছক কোনও ধর্ম নয়, এটি আমার আল্লাহপ্রেমের দর্শন। শরীয়ত নিরস খটমটে কোনও অনুশাসন নয়, এটি আমার আল্লাহপ্রেমের বাস্তব অনুশীলন।
আল্লাহপ্রেম
210 BDT300 BDTSave 90 BDT
1
প্রশ্ন হলো, মানুষ আল্লাহকে ভালোবাসবে কেন? এর উত্তর খুব সহজ। মানুষ নিজের বাইরে অন্য কোনও মানুষ বা বস্তুকে ভালোবাসে কেন? মানুষ তার বাবা-মা ও স্ত্রী-সন্তানকে যে কারণে ভালোবাসে, ফুলকে কিন্তু সে কারণে ভালোবাসে না। ফুলকে যে কারণে ভালোবাসে, সম্পদ ভালোবাসে তার ভিন্ন কারণে। এভাবে জগতের যেকোনও ভালো কিছুর প্রতিই যে-সমস্ত কারণে সে নিজের ভেতর ভালোবাসা বোধ করতে পারে, সেসবের প্রতিটিই আল্লাহর মাঝে পরম মাত্রায় বিদ্যমান। রূপ, গুণ, সৌন্দর্য, সম্মান, সম্পদ বা শ্রেষ্ঠত্ব, দয়া অনুগ্রহ এগুলোর মাঝে কোনটি মানুষের ভালোবাসাকে মনের মাটি ফুঁড়ে বেরিয়ে আসতে বাধ্য করে? সবগুলোই। তবে এক সৃষ্টির মাঝে এই সবগুলো সর্বোন্নত মাত্রায় পাওয়া যায় না। একটি বা দুটি থাকে, সেটাও খুবই স্বল্পমাত্রায়। আর এই এতটুকুর আকর্ষণেই একজন মানুষ হয়ে যায় প্রেমে পাগল, ইশকে দিওয়ানা ও ভালোবাসায় বিভোর। আর এ সবকিছু ছাপিয়ে আল্লাহকে ভালোবাসার সবচেয়ে বড় যে কারণ, সেটি হল তিনি মানুষের অস্তিত্বদাতা ও রক্ষাকর্তা। প্রেমের এ বহুমুখী তীব্র আকর্ষণের যিনি আধার, তাঁর প্রেমে ও ভালোবাসার মানুষের কতটা পাগল ও দিওয়ানা হওয়া উচিত? সে যদি খোদায়ী জ্যোতির ঝলকে পাহাড়ের বিচূর্ণ হওয়ার মতো খোদারী প্রেমের তীব্র আকর্ষণে ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়, তবে নিশ্চয়ই তা আশ্চর্য মতো কোনও কিছু নয়। অথচ সে কিনা আল্লাহকে ভালোবাসতেই রাজি নয়, আল্লাহকে আপন বলে মানতেই প্রস্তুত নয়। আল্লাহ তার কাছে থাকলেও সে আল্লাহর কাছ থেকে যোজন যোজন দূরে অবস্থান করে। কেন এমন হল? তার অস্তিত্বের মাঝে আগুন, পানি, মাটি ও বাতাসের মতো আল্লাহপ্রেমও তো ছিল মৌলিক উপাদান। তাহলে মানুষ এসব মৌলের প্রভাব উপলব্ধি করলেও আল্লাহপ্রেম সম্পর্কে অজ্ঞ ও অপরিচিত থাকে কেন? কারণ সে নিজে। তার ভেতরে বিদ্যমান 'নফসে আম্মারাহ' ই এর আসল কারণ। আর বাইরের শয়তান ও শয়তানী আসওয়াসা তো আছেই। এগুলো আল্লাহর দিকে বান্দার প্রেমের সহজাত ও স্বাভাবিক প্রবাহকে ব্যাহত করে এবং এদের প্রধান কাজই এটা।
আল্লাহ জানেন মানুষ তার মানবীয় শক্তি দিয়ে নফস ও শয়তানের শক্তির সঙ্গে পেরে উঠবে না, ফলে প্রিয়খোদার সঙ্গে তার মধুর মিলন চিরকাল অধরাই রয়ে যাবে। তাই আল্লাহ তা'আলা বান্দাকে এক ঐশী শক্তি দিয়ে বলবান করলেন। তাকে দান করলেন ঈমান ইসলাম, দীন- শরীয়ত ও কুরআন-কিতাব এবং হাতে-কলমে সেই শক্তির ব্যবহার শেখানোর জন্য পাঠালেন নবী-রাসূল। সুতরাং ইসলাম নিছক কোনও ধর্ম নয়, এটি আমার আল্লাহপ্রেমের দর্শন। শরীয়ত নিরস খটমটে কোনও অনুশাসন নয়, এটি আমার আল্লাহপ্রেমের বাস্তব অনুশীলন।
আল্লাহ জানেন মানুষ তার মানবীয় শক্তি দিয়ে নফস ও শয়তানের শক্তির সঙ্গে পেরে উঠবে না, ফলে প্রিয়খোদার সঙ্গে তার মধুর মিলন চিরকাল অধরাই রয়ে যাবে। তাই আল্লাহ তা'আলা বান্দাকে এক ঐশী শক্তি দিয়ে বলবান করলেন। তাকে দান করলেন ঈমান ইসলাম, দীন- শরীয়ত ও কুরআন-কিতাব এবং হাতে-কলমে সেই শক্তির ব্যবহার শেখানোর জন্য পাঠালেন নবী-রাসূল। সুতরাং ইসলাম নিছক কোনও ধর্ম নয়, এটি আমার আল্লাহপ্রেমের দর্শন। শরীয়ত নিরস খটমটে কোনও অনুশাসন নয়, এটি আমার আল্লাহপ্রেমের বাস্তব অনুশীলন।