সহীহ হাদিসের আলোকে নবীজির সা.নামাজ
সহীহ হাদিসের আলোকে নবীজির সা.নামাজ📚মুফতি মুহাম্মদ শফিউল আলম 📚ফুলদানী প্রকাশনী 📚মুদ্রিত মূল্য ৩৬০ টাকাকিছু জরুরী কথাالْحَمْدُ لِلَّهِ وَكَفَى وَسَلَامٌ عَلَى عِبَادِهِ الَّذِينَ اصْطَفَى ، أَمَّا بَعْدُ !আল্লাহ তাআলা গোটা সৃষ্টিজগতের খালিক ও মালিক এবং তিনিই যাবতীয় ইবাদতের একমাত্র হকদার। যেসকল ইবাদত তিনি মানব জাতির উপর আরোপিত করেছেন, তার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত হলো নামায। মানুষ দৈনিক পাঁচবার নামায আদায় করার মাধ্যমে সেজদাবনত হয়ে আপন প্রতিপালকের শ্রেষ্ঠত্ব প্রকাশ করে থাকে। পবিত্র কুরআনে প্রায় একশত নয়বার সুস্পষ্টরূপে নামাযের আলোচনা করা হয়েছে। ইসলামী শরীয়তে নামাযের প্রতি অনেক বেশি গুরুত্ব প্রদান করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন-إِنَّمَا مَوْضِعُ الصَّلَاةِ مِنَ الدِّيْنِ كَمَوْضَعِ الرَّأْسِ مِنَ الْجَسَدِ .'ধর্মের মাঝে নামাযের অবস্থান এমন, যেমন দেহের মাঝে মাথার অবস্থান।' (আত-তারগীব ওয়াত-তারহীব, ১ম খণ্ড, পৃষ্ঠা-২৪৬) বাংলা-পাক-ভারত উপমহাদেশের প্রায় সকল মুসলমান শত শত বছর যাবত হানাফী মাযহাবের শরঈ দলীল-প্রমাণের ভিত্তিতে এই মহান ইবাদতটি পালন করে আসছেন; কিন্তু বেশ কয়েক বছর যাবত দেখা যাচ্ছে যে, কোনো কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান এমন গুজব ছড়াতে চেষ্টা করছেন যে, হানাফী মাযহাবের অনুসারীদের নামায হয় না। এমন নেতিবাচক গুজবের স্বপক্ষে তারা বিভিন্ন হাদীসও পেশ করে থাকেন। তাই এমন নেতিবাচক গুজব প্রতিহত করা একান্ত প্রয়োজনীয় হয়ে পড়ে।শিক্ষিত মহল ও দেশ-বিদেশের সাধারণ মুসলমানগণের পক্ষ থেকে বারবার এমন অনুরোধ আসতে থাকে যে, আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত হানাফী মাযহাবের অনুসারীগণ যেসকল সহীহ হাদীসের আলোকে নামায আদায় করেন, সেই হাদীসগুলো একটি কিতাবে একত্রিত করা হোক, যাতে এ কথা প্রমাণিত হয়ে যায় যে, হানাফী মাযহাবের অনুসারীগণ সহীহ হাদীসের আলোকেই নামায আদায় করে থাকেন।উক্ত বিষয়ে আরবী ও উর্দু ভাষায় অসংখ্য কিতাব থাকলেও এ কথা অস্বীকার করার উপায় নাই যে, বাংলা ভাষায় এ সম্পর্কিত কিতাবের সংখ্যা একেবারেই অপ্রতুল বা নেই বললেও অসত্য বলা হবে না। কারণ, নামায সংক্রান্ত যেসকল বই-পুস্তক বাংলা ভাষায় পাওয়া যায়, তার সবগুলোই হানাফী ফেকহের আলোকে মাসলা-মাসায়েলের বিবরণের ভিত্তিতে রচিত। দু-একটি কিতাবে সহীহ হাদীস সন্নিবেশিত করা হলেও তা 'রাফে য়াদায়ন' 'আমীন বিল জেহের' ও 'কেরাত খালফাল ইমাম'-এর মতো কয়েকটি বিতর্কিত বিষয়ের মাঝেই সীমাবদ্ধ। Theঅত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে এবং দায়িত্ব নিয়ে আরয করছি যে, বাংলা ভাষায় এমন একটি পুস্তকও খুঁজে পাওয়া যাবে না, যেখানে 'তাকবীরে তাহরিমা' থেকে 'সালাম' পর্যন্ত নামাযের প্রতিটি আমল সহীহ হাদীসের মাধ্যমে বর্ণনা করা হয়েছে। মূলত এই অভাব পূরণের লক্ষ্যেই 'সহীহ হাদীসের আলোকে নবীজীর নামায' গ্রন্থটি রচনা করা হয়েছে।বক্ষ্যমাণ গ্রন্থে ফরয নামাযের প্রতিটি আরকান ও আহকাম সহীহ হাদীসের আলোকে সাব্যস্ত করার সঙ্গে সঙ্গে নামাযের ওয়াক্ত, রাকাত সংখ্যা, ওয়াজিব নামায, সুন্নত নামায ও নফল নামাযের বিবরণ সহীহ হাদীসের আলোকে পেশ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে বেতের নামাযের রাকাত সংখ্যা, তারাবীর নামাযের রাকাত সংখ্যা, ঈদের নামাযের তাকবীর সংখ্যা এবং জানাযার নামাযের বিবরণও সহীহ হাদীসের আলোকে প্রদান করা হয়েছে।আলোচ্য গ্রন্থটি অধ্যয়নের ক্ষেত্রে নিম্নবর্ণিত বিষয়গুলোর প্রতি লক্ষ রাখার জন্য সম্মানিত পাঠকগণের সমীপে সবিনয় অনুরোধ রইলো-
An Najahah Shop
Category List
All products

সহীহ হাদিসের আলোকে নবীজির সা.নামাজ
📚মুফতি মুহাম্মদ শফিউল আলম
📚ফুলদানী প্রকাশনী
📚মুদ্রিত মূল্য ৩৬০ টাকা
কিছু জরুরী কথা
الْحَمْدُ لِلَّهِ وَكَفَى وَسَلَامٌ عَلَى عِبَادِهِ الَّذِينَ اصْطَفَى ، أَمَّا بَعْدُ !
আল্লাহ তাআলা গোটা সৃষ্টিজগতের খালিক ও মালিক এবং তিনিই যাবতীয় ইবাদতের একমাত্র হকদার। যেসকল ইবাদত তিনি মানব জাতির উপর আরোপিত করেছেন, তার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত হলো নামায। মানুষ দৈনিক পাঁচবার নামায আদায় করার মাধ্যমে সেজদাবনত হয়ে আপন প্রতিপালকের শ্রেষ্ঠত্ব প্রকাশ করে থাকে। পবিত্র কুরআনে প্রায় একশত নয়বার সুস্পষ্টরূপে নামাযের আলোচনা করা হয়েছে। ইসলামী শরীয়তে নামাযের প্রতি অনেক বেশি গুরুত্ব প্রদান করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন-
إِنَّمَا مَوْضِعُ الصَّلَاةِ مِنَ الدِّيْنِ كَمَوْضَعِ الرَّأْسِ مِنَ الْجَسَدِ .
'ধর্মের মাঝে নামাযের অবস্থান এমন, যেমন দেহের মাঝে মাথার অবস্থান।' (আত-তারগীব ওয়াত-তারহীব, ১ম খণ্ড, পৃষ্ঠা-২৪৬) বাংলা-পাক-ভারত উপমহাদেশের প্রায় সকল মুসলমান শত শত বছর যাবত হানাফী মাযহাবের শরঈ দলীল-প্রমাণের ভিত্তিতে এই মহান ইবাদতটি পালন করে আসছেন; কিন্তু বেশ কয়েক বছর যাবত দেখা যাচ্ছে যে, কোনো কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান এমন গুজব ছড়াতে চেষ্টা করছেন যে, হানাফী মাযহাবের অনুসারীদের নামায হয় না। এমন নেতিবাচক গুজবের স্বপক্ষে তারা বিভিন্ন হাদীসও পেশ করে থাকেন। তাই এমন নেতিবাচক গুজব প্রতিহত করা একান্ত প্রয়োজনীয় হয়ে পড়ে।
শিক্ষিত মহল ও দেশ-বিদেশের সাধারণ মুসলমানগণের পক্ষ থেকে বারবার এমন অনুরোধ আসতে থাকে যে, আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত হানাফী মাযহাবের অনুসারীগণ যেসকল সহীহ হাদীসের আলোকে নামায আদায় করেন, সেই হাদীসগুলো একটি কিতাবে একত্রিত করা হোক, যাতে এ কথা প্রমাণিত হয়ে যায় যে, হানাফী মাযহাবের অনুসারীগণ সহীহ হাদীসের আলোকেই নামায আদায় করে থাকেন।
উক্ত বিষয়ে আরবী ও উর্দু ভাষায় অসংখ্য কিতাব থাকলেও এ কথা অস্বীকার করার উপায় নাই যে, বাংলা ভাষায় এ সম্পর্কিত কিতাবের সংখ্যা একেবারেই অপ্রতুল বা নেই বললেও অসত্য বলা হবে না। কারণ, নামায সংক্রান্ত যেসকল বই-পুস্তক বাংলা ভাষায় পাওয়া যায়, তার সবগুলোই হানাফী ফেকহের আলোকে মাসলা-মাসায়েলের বিবরণের ভিত্তিতে রচিত। দু-একটি কিতাবে সহীহ হাদীস সন্নিবেশিত করা হলেও তা 'রাফে য়াদায়ন' 'আমীন বিল জেহের' ও 'কেরাত খালফাল ইমাম'-এর মতো কয়েকটি বিতর্কিত বিষয়ের মাঝেই সীমাবদ্ধ। The
অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে এবং দায়িত্ব নিয়ে আরয করছি যে, বাংলা ভাষায় এমন একটি পুস্তকও খুঁজে পাওয়া যাবে না, যেখানে 'তাকবীরে তাহরিমা' থেকে 'সালাম' পর্যন্ত নামাযের প্রতিটি আমল সহীহ হাদীসের মাধ্যমে বর্ণনা করা হয়েছে। মূলত এই অভাব পূরণের লক্ষ্যেই 'সহীহ হাদীসের আলোকে নবীজীর নামায' গ্রন্থটি রচনা করা হয়েছে।
বক্ষ্যমাণ গ্রন্থে ফরয নামাযের প্রতিটি আরকান ও আহকাম সহীহ হাদীসের আলোকে সাব্যস্ত করার সঙ্গে সঙ্গে নামাযের ওয়াক্ত, রাকাত সংখ্যা, ওয়াজিব নামায, সুন্নত নামায ও নফল নামাযের বিবরণ সহীহ হাদীসের আলোকে পেশ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে বেতের নামাযের রাকাত সংখ্যা, তারাবীর নামাযের রাকাত সংখ্যা, ঈদের নামাযের তাকবীর সংখ্যা এবং জানাযার নামাযের বিবরণও সহীহ হাদীসের আলোকে প্রদান করা হয়েছে।
আলোচ্য গ্রন্থটি অধ্যয়নের ক্ষেত্রে নিম্নবর্ণিত বিষয়গুলোর প্রতি লক্ষ রাখার জন্য সম্মানিত পাঠকগণের সমীপে সবিনয় অনুরোধ রইলো-
📚মুফতি মুহাম্মদ শফিউল আলম
📚ফুলদানী প্রকাশনী
📚মুদ্রিত মূল্য ৩৬০ টাকা
কিছু জরুরী কথা
الْحَمْدُ لِلَّهِ وَكَفَى وَسَلَامٌ عَلَى عِبَادِهِ الَّذِينَ اصْطَفَى ، أَمَّا بَعْدُ !
আল্লাহ তাআলা গোটা সৃষ্টিজগতের খালিক ও মালিক এবং তিনিই যাবতীয় ইবাদতের একমাত্র হকদার। যেসকল ইবাদত তিনি মানব জাতির উপর আরোপিত করেছেন, তার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত হলো নামায। মানুষ দৈনিক পাঁচবার নামায আদায় করার মাধ্যমে সেজদাবনত হয়ে আপন প্রতিপালকের শ্রেষ্ঠত্ব প্রকাশ করে থাকে। পবিত্র কুরআনে প্রায় একশত নয়বার সুস্পষ্টরূপে নামাযের আলোচনা করা হয়েছে। ইসলামী শরীয়তে নামাযের প্রতি অনেক বেশি গুরুত্ব প্রদান করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন-
إِنَّمَا مَوْضِعُ الصَّلَاةِ مِنَ الدِّيْنِ كَمَوْضَعِ الرَّأْسِ مِنَ الْجَسَدِ .
'ধর্মের মাঝে নামাযের অবস্থান এমন, যেমন দেহের মাঝে মাথার অবস্থান।' (আত-তারগীব ওয়াত-তারহীব, ১ম খণ্ড, পৃষ্ঠা-২৪৬) বাংলা-পাক-ভারত উপমহাদেশের প্রায় সকল মুসলমান শত শত বছর যাবত হানাফী মাযহাবের শরঈ দলীল-প্রমাণের ভিত্তিতে এই মহান ইবাদতটি পালন করে আসছেন; কিন্তু বেশ কয়েক বছর যাবত দেখা যাচ্ছে যে, কোনো কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান এমন গুজব ছড়াতে চেষ্টা করছেন যে, হানাফী মাযহাবের অনুসারীদের নামায হয় না। এমন নেতিবাচক গুজবের স্বপক্ষে তারা বিভিন্ন হাদীসও পেশ করে থাকেন। তাই এমন নেতিবাচক গুজব প্রতিহত করা একান্ত প্রয়োজনীয় হয়ে পড়ে।
শিক্ষিত মহল ও দেশ-বিদেশের সাধারণ মুসলমানগণের পক্ষ থেকে বারবার এমন অনুরোধ আসতে থাকে যে, আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত হানাফী মাযহাবের অনুসারীগণ যেসকল সহীহ হাদীসের আলোকে নামায আদায় করেন, সেই হাদীসগুলো একটি কিতাবে একত্রিত করা হোক, যাতে এ কথা প্রমাণিত হয়ে যায় যে, হানাফী মাযহাবের অনুসারীগণ সহীহ হাদীসের আলোকেই নামায আদায় করে থাকেন।
উক্ত বিষয়ে আরবী ও উর্দু ভাষায় অসংখ্য কিতাব থাকলেও এ কথা অস্বীকার করার উপায় নাই যে, বাংলা ভাষায় এ সম্পর্কিত কিতাবের সংখ্যা একেবারেই অপ্রতুল বা নেই বললেও অসত্য বলা হবে না। কারণ, নামায সংক্রান্ত যেসকল বই-পুস্তক বাংলা ভাষায় পাওয়া যায়, তার সবগুলোই হানাফী ফেকহের আলোকে মাসলা-মাসায়েলের বিবরণের ভিত্তিতে রচিত। দু-একটি কিতাবে সহীহ হাদীস সন্নিবেশিত করা হলেও তা 'রাফে য়াদায়ন' 'আমীন বিল জেহের' ও 'কেরাত খালফাল ইমাম'-এর মতো কয়েকটি বিতর্কিত বিষয়ের মাঝেই সীমাবদ্ধ। The
অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে এবং দায়িত্ব নিয়ে আরয করছি যে, বাংলা ভাষায় এমন একটি পুস্তকও খুঁজে পাওয়া যাবে না, যেখানে 'তাকবীরে তাহরিমা' থেকে 'সালাম' পর্যন্ত নামাযের প্রতিটি আমল সহীহ হাদীসের মাধ্যমে বর্ণনা করা হয়েছে। মূলত এই অভাব পূরণের লক্ষ্যেই 'সহীহ হাদীসের আলোকে নবীজীর নামায' গ্রন্থটি রচনা করা হয়েছে।
বক্ষ্যমাণ গ্রন্থে ফরয নামাযের প্রতিটি আরকান ও আহকাম সহীহ হাদীসের আলোকে সাব্যস্ত করার সঙ্গে সঙ্গে নামাযের ওয়াক্ত, রাকাত সংখ্যা, ওয়াজিব নামায, সুন্নত নামায ও নফল নামাযের বিবরণ সহীহ হাদীসের আলোকে পেশ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে বেতের নামাযের রাকাত সংখ্যা, তারাবীর নামাযের রাকাত সংখ্যা, ঈদের নামাযের তাকবীর সংখ্যা এবং জানাযার নামাযের বিবরণও সহীহ হাদীসের আলোকে প্রদান করা হয়েছে।
আলোচ্য গ্রন্থটি অধ্যয়নের ক্ষেত্রে নিম্নবর্ণিত বিষয়গুলোর প্রতি লক্ষ রাখার জন্য সম্মানিত পাঠকগণের সমীপে সবিনয় অনুরোধ রইলো-
সহীহ হাদিসের আলোকে নবীজির সা.নামাজ
195 BDT360 BDTSave 165 BDT
1
সহীহ হাদিসের আলোকে নবীজির সা.নামাজ
📚মুফতি মুহাম্মদ শফিউল আলম
📚ফুলদানী প্রকাশনী
📚মুদ্রিত মূল্য ৩৬০ টাকা
কিছু জরুরী কথা
الْحَمْدُ لِلَّهِ وَكَفَى وَسَلَامٌ عَلَى عِبَادِهِ الَّذِينَ اصْطَفَى ، أَمَّا بَعْدُ !
আল্লাহ তাআলা গোটা সৃষ্টিজগতের খালিক ও মালিক এবং তিনিই যাবতীয় ইবাদতের একমাত্র হকদার। যেসকল ইবাদত তিনি মানব জাতির উপর আরোপিত করেছেন, তার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত হলো নামায। মানুষ দৈনিক পাঁচবার নামায আদায় করার মাধ্যমে সেজদাবনত হয়ে আপন প্রতিপালকের শ্রেষ্ঠত্ব প্রকাশ করে থাকে। পবিত্র কুরআনে প্রায় একশত নয়বার সুস্পষ্টরূপে নামাযের আলোচনা করা হয়েছে। ইসলামী শরীয়তে নামাযের প্রতি অনেক বেশি গুরুত্ব প্রদান করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন-
إِنَّمَا مَوْضِعُ الصَّلَاةِ مِنَ الدِّيْنِ كَمَوْضَعِ الرَّأْسِ مِنَ الْجَسَدِ .
'ধর্মের মাঝে নামাযের অবস্থান এমন, যেমন দেহের মাঝে মাথার অবস্থান।' (আত-তারগীব ওয়াত-তারহীব, ১ম খণ্ড, পৃষ্ঠা-২৪৬) বাংলা-পাক-ভারত উপমহাদেশের প্রায় সকল মুসলমান শত শত বছর যাবত হানাফী মাযহাবের শরঈ দলীল-প্রমাণের ভিত্তিতে এই মহান ইবাদতটি পালন করে আসছেন; কিন্তু বেশ কয়েক বছর যাবত দেখা যাচ্ছে যে, কোনো কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান এমন গুজব ছড়াতে চেষ্টা করছেন যে, হানাফী মাযহাবের অনুসারীদের নামায হয় না। এমন নেতিবাচক গুজবের স্বপক্ষে তারা বিভিন্ন হাদীসও পেশ করে থাকেন। তাই এমন নেতিবাচক গুজব প্রতিহত করা একান্ত প্রয়োজনীয় হয়ে পড়ে।
শিক্ষিত মহল ও দেশ-বিদেশের সাধারণ মুসলমানগণের পক্ষ থেকে বারবার এমন অনুরোধ আসতে থাকে যে, আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত হানাফী মাযহাবের অনুসারীগণ যেসকল সহীহ হাদীসের আলোকে নামায আদায় করেন, সেই হাদীসগুলো একটি কিতাবে একত্রিত করা হোক, যাতে এ কথা প্রমাণিত হয়ে যায় যে, হানাফী মাযহাবের অনুসারীগণ সহীহ হাদীসের আলোকেই নামায আদায় করে থাকেন।
উক্ত বিষয়ে আরবী ও উর্দু ভাষায় অসংখ্য কিতাব থাকলেও এ কথা অস্বীকার করার উপায় নাই যে, বাংলা ভাষায় এ সম্পর্কিত কিতাবের সংখ্যা একেবারেই অপ্রতুল বা নেই বললেও অসত্য বলা হবে না। কারণ, নামায সংক্রান্ত যেসকল বই-পুস্তক বাংলা ভাষায় পাওয়া যায়, তার সবগুলোই হানাফী ফেকহের আলোকে মাসলা-মাসায়েলের বিবরণের ভিত্তিতে রচিত। দু-একটি কিতাবে সহীহ হাদীস সন্নিবেশিত করা হলেও তা 'রাফে য়াদায়ন' 'আমীন বিল জেহের' ও 'কেরাত খালফাল ইমাম'-এর মতো কয়েকটি বিতর্কিত বিষয়ের মাঝেই সীমাবদ্ধ। The
অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে এবং দায়িত্ব নিয়ে আরয করছি যে, বাংলা ভাষায় এমন একটি পুস্তকও খুঁজে পাওয়া যাবে না, যেখানে 'তাকবীরে তাহরিমা' থেকে 'সালাম' পর্যন্ত নামাযের প্রতিটি আমল সহীহ হাদীসের মাধ্যমে বর্ণনা করা হয়েছে। মূলত এই অভাব পূরণের লক্ষ্যেই 'সহীহ হাদীসের আলোকে নবীজীর নামায' গ্রন্থটি রচনা করা হয়েছে।
বক্ষ্যমাণ গ্রন্থে ফরয নামাযের প্রতিটি আরকান ও আহকাম সহীহ হাদীসের আলোকে সাব্যস্ত করার সঙ্গে সঙ্গে নামাযের ওয়াক্ত, রাকাত সংখ্যা, ওয়াজিব নামায, সুন্নত নামায ও নফল নামাযের বিবরণ সহীহ হাদীসের আলোকে পেশ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে বেতের নামাযের রাকাত সংখ্যা, তারাবীর নামাযের রাকাত সংখ্যা, ঈদের নামাযের তাকবীর সংখ্যা এবং জানাযার নামাযের বিবরণও সহীহ হাদীসের আলোকে প্রদান করা হয়েছে।
আলোচ্য গ্রন্থটি অধ্যয়নের ক্ষেত্রে নিম্নবর্ণিত বিষয়গুলোর প্রতি লক্ষ রাখার জন্য সম্মানিত পাঠকগণের সমীপে সবিনয় অনুরোধ রইলো-
📚মুফতি মুহাম্মদ শফিউল আলম
📚ফুলদানী প্রকাশনী
📚মুদ্রিত মূল্য ৩৬০ টাকা
কিছু জরুরী কথা
الْحَمْدُ لِلَّهِ وَكَفَى وَسَلَامٌ عَلَى عِبَادِهِ الَّذِينَ اصْطَفَى ، أَمَّا بَعْدُ !
আল্লাহ তাআলা গোটা সৃষ্টিজগতের খালিক ও মালিক এবং তিনিই যাবতীয় ইবাদতের একমাত্র হকদার। যেসকল ইবাদত তিনি মানব জাতির উপর আরোপিত করেছেন, তার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত হলো নামায। মানুষ দৈনিক পাঁচবার নামায আদায় করার মাধ্যমে সেজদাবনত হয়ে আপন প্রতিপালকের শ্রেষ্ঠত্ব প্রকাশ করে থাকে। পবিত্র কুরআনে প্রায় একশত নয়বার সুস্পষ্টরূপে নামাযের আলোচনা করা হয়েছে। ইসলামী শরীয়তে নামাযের প্রতি অনেক বেশি গুরুত্ব প্রদান করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন-
إِنَّمَا مَوْضِعُ الصَّلَاةِ مِنَ الدِّيْنِ كَمَوْضَعِ الرَّأْسِ مِنَ الْجَسَدِ .
'ধর্মের মাঝে নামাযের অবস্থান এমন, যেমন দেহের মাঝে মাথার অবস্থান।' (আত-তারগীব ওয়াত-তারহীব, ১ম খণ্ড, পৃষ্ঠা-২৪৬) বাংলা-পাক-ভারত উপমহাদেশের প্রায় সকল মুসলমান শত শত বছর যাবত হানাফী মাযহাবের শরঈ দলীল-প্রমাণের ভিত্তিতে এই মহান ইবাদতটি পালন করে আসছেন; কিন্তু বেশ কয়েক বছর যাবত দেখা যাচ্ছে যে, কোনো কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান এমন গুজব ছড়াতে চেষ্টা করছেন যে, হানাফী মাযহাবের অনুসারীদের নামায হয় না। এমন নেতিবাচক গুজবের স্বপক্ষে তারা বিভিন্ন হাদীসও পেশ করে থাকেন। তাই এমন নেতিবাচক গুজব প্রতিহত করা একান্ত প্রয়োজনীয় হয়ে পড়ে।
শিক্ষিত মহল ও দেশ-বিদেশের সাধারণ মুসলমানগণের পক্ষ থেকে বারবার এমন অনুরোধ আসতে থাকে যে, আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত হানাফী মাযহাবের অনুসারীগণ যেসকল সহীহ হাদীসের আলোকে নামায আদায় করেন, সেই হাদীসগুলো একটি কিতাবে একত্রিত করা হোক, যাতে এ কথা প্রমাণিত হয়ে যায় যে, হানাফী মাযহাবের অনুসারীগণ সহীহ হাদীসের আলোকেই নামায আদায় করে থাকেন।
উক্ত বিষয়ে আরবী ও উর্দু ভাষায় অসংখ্য কিতাব থাকলেও এ কথা অস্বীকার করার উপায় নাই যে, বাংলা ভাষায় এ সম্পর্কিত কিতাবের সংখ্যা একেবারেই অপ্রতুল বা নেই বললেও অসত্য বলা হবে না। কারণ, নামায সংক্রান্ত যেসকল বই-পুস্তক বাংলা ভাষায় পাওয়া যায়, তার সবগুলোই হানাফী ফেকহের আলোকে মাসলা-মাসায়েলের বিবরণের ভিত্তিতে রচিত। দু-একটি কিতাবে সহীহ হাদীস সন্নিবেশিত করা হলেও তা 'রাফে য়াদায়ন' 'আমীন বিল জেহের' ও 'কেরাত খালফাল ইমাম'-এর মতো কয়েকটি বিতর্কিত বিষয়ের মাঝেই সীমাবদ্ধ। The
অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে এবং দায়িত্ব নিয়ে আরয করছি যে, বাংলা ভাষায় এমন একটি পুস্তকও খুঁজে পাওয়া যাবে না, যেখানে 'তাকবীরে তাহরিমা' থেকে 'সালাম' পর্যন্ত নামাযের প্রতিটি আমল সহীহ হাদীসের মাধ্যমে বর্ণনা করা হয়েছে। মূলত এই অভাব পূরণের লক্ষ্যেই 'সহীহ হাদীসের আলোকে নবীজীর নামায' গ্রন্থটি রচনা করা হয়েছে।
বক্ষ্যমাণ গ্রন্থে ফরয নামাযের প্রতিটি আরকান ও আহকাম সহীহ হাদীসের আলোকে সাব্যস্ত করার সঙ্গে সঙ্গে নামাযের ওয়াক্ত, রাকাত সংখ্যা, ওয়াজিব নামায, সুন্নত নামায ও নফল নামাযের বিবরণ সহীহ হাদীসের আলোকে পেশ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে বেতের নামাযের রাকাত সংখ্যা, তারাবীর নামাযের রাকাত সংখ্যা, ঈদের নামাযের তাকবীর সংখ্যা এবং জানাযার নামাযের বিবরণও সহীহ হাদীসের আলোকে প্রদান করা হয়েছে।
আলোচ্য গ্রন্থটি অধ্যয়নের ক্ষেত্রে নিম্নবর্ণিত বিষয়গুলোর প্রতি লক্ষ রাখার জন্য সম্মানিত পাঠকগণের সমীপে সবিনয় অনুরোধ রইলো-