তাহাজ্জুদ নামাযের বিধান
তাহাজ্জুদ নামাযের বিধানইসলামের শুরুতে এবং কুরআন অবতরণের প্রাথমিক যুগে পাঁচওয়াক্ত নামায ফরয ছিলো না। পাঁচওয়াক্ত নামায মেরাজের রাত্রিতে ফরয হয়েছিলো। তখন ফরয করা হয়েছিলো তাহাজ্জুদ নামায। সুরা মুযযাম্মেলে তাহাজ্জুদ কেবল ফরযেই করা হয়নি।বরং তাতে রাত্রির কমপক্ষে এক চতুর্থাংশ মাশগুল থাকাও ফরয করা হয়েছে। এই আদেশ পালনার্থে রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও সাহাবায়ে কিরাম অধিকাংশ রাত্রি তাহাজ্জুদের নামাযে ব্যয় করতেন। ফলে তাদের পদদ্বয় ফুলে যায় এবং আদেশটি বেশ কষ্টসাধ্য প্রতীয়মান হয়। পূর্ণ এক বছর পর এই সুরার শেষাংশ অবতীর্ণ হলো দীর্ঘক্ষণ নামাযে দাঁড়িয়ে থাকার বাধ্যবাধকতা রহিত করে দেওয়া হয় এবং বিষয়টি ইচ্ছার উপর ছেড়ে দিয়ে ব্যক্ত করা হয় যে, যতক্ষণ নামাযে পড়া সহজ মনে হয়, ততক্ষণ নামায পড়াই তাহাজ্জুদের জন্য যথেষ্ট। হযরত ইবনে আব্বাস (র.) বলেন, মেরাজের রাত্রিতে পাঁচওয়াক্ত নামায ফরয হওয়ার আদেশ অবতীর্ণ হলে তাহাজ্জুদের আদেশ রহিত হয়ে যায়। তবে এরপরও তাহাজ্জুদের সুন্নত থেকে যায়। কারণ নবীজি (সা.) ও অধিকাংশ সাহাবায়ে কিরাম সর্বদা নিয়মিতভাবে তাহাজ্জুদ নামায পড়তেন।'"তাফসির মাআরিফুল কুরআন, ৫/৫১২। "তাফসের মাআরিফুল কুরআন, ৮/৬০৪-৬০৫।তাহাজ্জুদ আল্লাহর সাথে বান্দার সম্পর্ক আবু মুআয আল হাশেমী Fuldani Prokashoni - ফুলদানী প্রকাশনী
An Najahah Shop
Category List
All products

তাহাজ্জুদ নামাযের বিধান
ইসলামের শুরুতে এবং কুরআন অবতরণের প্রাথমিক যুগে পাঁচওয়াক্ত নামায ফরয ছিলো না। পাঁচওয়াক্ত নামায মেরাজের রাত্রিতে ফরয হয়েছিলো। তখন ফরয করা হয়েছিলো তাহাজ্জুদ নামায। সুরা মুযযাম্মেলে তাহাজ্জুদ কেবল ফরযেই করা হয়নি।
বরং তাতে রাত্রির কমপক্ষে এক চতুর্থাংশ মাশগুল থাকাও ফরয করা হয়েছে। এই আদেশ পালনার্থে রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও সাহাবায়ে কিরাম অধিকাংশ রাত্রি তাহাজ্জুদের নামাযে ব্যয় করতেন। ফলে তাদের পদদ্বয় ফুলে যায় এবং আদেশটি বেশ কষ্টসাধ্য প্রতীয়মান হয়। পূর্ণ এক বছর পর এই সুরার শেষাংশ অবতীর্ণ হলো দীর্ঘক্ষণ নামাযে দাঁড়িয়ে থাকার বাধ্যবাধকতা রহিত করে দেওয়া হয় এবং বিষয়টি ইচ্ছার উপর ছেড়ে দিয়ে ব্যক্ত করা হয় যে, যতক্ষণ নামাযে পড়া সহজ মনে হয়, ততক্ষণ নামায পড়াই তাহাজ্জুদের জন্য যথেষ্ট। হযরত ইবনে আব্বাস (র.) বলেন, মেরাজের রাত্রিতে পাঁচওয়াক্ত নামায ফরয হওয়ার আদেশ অবতীর্ণ হলে তাহাজ্জুদের আদেশ রহিত হয়ে যায়। তবে এরপরও তাহাজ্জুদের সুন্নত থেকে যায়। কারণ নবীজি (সা.) ও অধিকাংশ সাহাবায়ে কিরাম সর্বদা নিয়মিতভাবে তাহাজ্জুদ নামায পড়তেন।'
"তাফসির মাআরিফুল কুরআন, ৫/৫১২। "তাফসের মাআরিফুল কুরআন, ৮/৬০৪-৬০৫।
তাহাজ্জুদ আল্লাহর সাথে বান্দার সম্পর্ক
আবু মুআয আল হাশেমী
Fuldani Prokashoni - ফুলদানী প্রকাশনী
ইসলামের শুরুতে এবং কুরআন অবতরণের প্রাথমিক যুগে পাঁচওয়াক্ত নামায ফরয ছিলো না। পাঁচওয়াক্ত নামায মেরাজের রাত্রিতে ফরয হয়েছিলো। তখন ফরয করা হয়েছিলো তাহাজ্জুদ নামায। সুরা মুযযাম্মেলে তাহাজ্জুদ কেবল ফরযেই করা হয়নি।
বরং তাতে রাত্রির কমপক্ষে এক চতুর্থাংশ মাশগুল থাকাও ফরয করা হয়েছে। এই আদেশ পালনার্থে রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও সাহাবায়ে কিরাম অধিকাংশ রাত্রি তাহাজ্জুদের নামাযে ব্যয় করতেন। ফলে তাদের পদদ্বয় ফুলে যায় এবং আদেশটি বেশ কষ্টসাধ্য প্রতীয়মান হয়। পূর্ণ এক বছর পর এই সুরার শেষাংশ অবতীর্ণ হলো দীর্ঘক্ষণ নামাযে দাঁড়িয়ে থাকার বাধ্যবাধকতা রহিত করে দেওয়া হয় এবং বিষয়টি ইচ্ছার উপর ছেড়ে দিয়ে ব্যক্ত করা হয় যে, যতক্ষণ নামাযে পড়া সহজ মনে হয়, ততক্ষণ নামায পড়াই তাহাজ্জুদের জন্য যথেষ্ট। হযরত ইবনে আব্বাস (র.) বলেন, মেরাজের রাত্রিতে পাঁচওয়াক্ত নামায ফরয হওয়ার আদেশ অবতীর্ণ হলে তাহাজ্জুদের আদেশ রহিত হয়ে যায়। তবে এরপরও তাহাজ্জুদের সুন্নত থেকে যায়। কারণ নবীজি (সা.) ও অধিকাংশ সাহাবায়ে কিরাম সর্বদা নিয়মিতভাবে তাহাজ্জুদ নামায পড়তেন।'
"তাফসির মাআরিফুল কুরআন, ৫/৫১২। "তাফসের মাআরিফুল কুরআন, ৮/৬০৪-৬০৫।
তাহাজ্জুদ আল্লাহর সাথে বান্দার সম্পর্ক
আবু মুআয আল হাশেমী
Fuldani Prokashoni - ফুলদানী প্রকাশনী
তাহাজ্জুদ নামাযের বিধান
40 BDT70 BDTSave 30 BDT
1
তাহাজ্জুদ নামাযের বিধান
ইসলামের শুরুতে এবং কুরআন অবতরণের প্রাথমিক যুগে পাঁচওয়াক্ত নামায ফরয ছিলো না। পাঁচওয়াক্ত নামায মেরাজের রাত্রিতে ফরয হয়েছিলো। তখন ফরয করা হয়েছিলো তাহাজ্জুদ নামায। সুরা মুযযাম্মেলে তাহাজ্জুদ কেবল ফরযেই করা হয়নি।
বরং তাতে রাত্রির কমপক্ষে এক চতুর্থাংশ মাশগুল থাকাও ফরয করা হয়েছে। এই আদেশ পালনার্থে রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও সাহাবায়ে কিরাম অধিকাংশ রাত্রি তাহাজ্জুদের নামাযে ব্যয় করতেন। ফলে তাদের পদদ্বয় ফুলে যায় এবং আদেশটি বেশ কষ্টসাধ্য প্রতীয়মান হয়। পূর্ণ এক বছর পর এই সুরার শেষাংশ অবতীর্ণ হলো দীর্ঘক্ষণ নামাযে দাঁড়িয়ে থাকার বাধ্যবাধকতা রহিত করে দেওয়া হয় এবং বিষয়টি ইচ্ছার উপর ছেড়ে দিয়ে ব্যক্ত করা হয় যে, যতক্ষণ নামাযে পড়া সহজ মনে হয়, ততক্ষণ নামায পড়াই তাহাজ্জুদের জন্য যথেষ্ট। হযরত ইবনে আব্বাস (র.) বলেন, মেরাজের রাত্রিতে পাঁচওয়াক্ত নামায ফরয হওয়ার আদেশ অবতীর্ণ হলে তাহাজ্জুদের আদেশ রহিত হয়ে যায়। তবে এরপরও তাহাজ্জুদের সুন্নত থেকে যায়। কারণ নবীজি (সা.) ও অধিকাংশ সাহাবায়ে কিরাম সর্বদা নিয়মিতভাবে তাহাজ্জুদ নামায পড়তেন।'
"তাফসির মাআরিফুল কুরআন, ৫/৫১২। "তাফসের মাআরিফুল কুরআন, ৮/৬০৪-৬০৫।
তাহাজ্জুদ আল্লাহর সাথে বান্দার সম্পর্ক
আবু মুআয আল হাশেমী
Fuldani Prokashoni - ফুলদানী প্রকাশনী
ইসলামের শুরুতে এবং কুরআন অবতরণের প্রাথমিক যুগে পাঁচওয়াক্ত নামায ফরয ছিলো না। পাঁচওয়াক্ত নামায মেরাজের রাত্রিতে ফরয হয়েছিলো। তখন ফরয করা হয়েছিলো তাহাজ্জুদ নামায। সুরা মুযযাম্মেলে তাহাজ্জুদ কেবল ফরযেই করা হয়নি।
বরং তাতে রাত্রির কমপক্ষে এক চতুর্থাংশ মাশগুল থাকাও ফরয করা হয়েছে। এই আদেশ পালনার্থে রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও সাহাবায়ে কিরাম অধিকাংশ রাত্রি তাহাজ্জুদের নামাযে ব্যয় করতেন। ফলে তাদের পদদ্বয় ফুলে যায় এবং আদেশটি বেশ কষ্টসাধ্য প্রতীয়মান হয়। পূর্ণ এক বছর পর এই সুরার শেষাংশ অবতীর্ণ হলো দীর্ঘক্ষণ নামাযে দাঁড়িয়ে থাকার বাধ্যবাধকতা রহিত করে দেওয়া হয় এবং বিষয়টি ইচ্ছার উপর ছেড়ে দিয়ে ব্যক্ত করা হয় যে, যতক্ষণ নামাযে পড়া সহজ মনে হয়, ততক্ষণ নামায পড়াই তাহাজ্জুদের জন্য যথেষ্ট। হযরত ইবনে আব্বাস (র.) বলেন, মেরাজের রাত্রিতে পাঁচওয়াক্ত নামায ফরয হওয়ার আদেশ অবতীর্ণ হলে তাহাজ্জুদের আদেশ রহিত হয়ে যায়। তবে এরপরও তাহাজ্জুদের সুন্নত থেকে যায়। কারণ নবীজি (সা.) ও অধিকাংশ সাহাবায়ে কিরাম সর্বদা নিয়মিতভাবে তাহাজ্জুদ নামায পড়তেন।'
"তাফসির মাআরিফুল কুরআন, ৫/৫১২। "তাফসের মাআরিফুল কুরআন, ৮/৬০৪-৬০৫।
তাহাজ্জুদ আল্লাহর সাথে বান্দার সম্পর্ক
আবু মুআয আল হাশেমী
Fuldani Prokashoni - ফুলদানী প্রকাশনী