তাকফির : কাফির ঘোষণায় বাড়াবাড়ি ও মূলনীতি
বই : তাকফির : কাফির ঘোষণায় বাড়াবাড়ি ও মূলনীতি লেখক : ড. ইউসুফ আল কারযাভী অনুবাদ : এনামুল হাসানকাফির আখ্যা দেওয়ার ভয়াবহতা এখানে মৌলিকভাবে যে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করা উচিত তা হলো- কোনো মানুষকে কাফির গণ্য করে হুকুম দেওয়া বাস্তবে খুবই ভয়াবহ ব্যাপার। কেননা, এর প্রভাবে আনুষঙ্গিক যে হুকুমগুলো চলে আসে, তা আরও বেশি গুরুতর। যেমন-১. স্ত্রীর সাথে তার সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করা আবশ্যক হয়ে পড়ে। কেননা, সর্বসম্মতিক্রমে কোনো মুসলিম মহিলা কাফিরের স্ত্রী হতে পারে না। সুতরাং তাদের বিবাহবন্ধন অকার্যকর হয়ে যাবে। ২. সে সন্তানদের ওপর কর্তৃত্ব হারায়। কারণ, কাফির হওয়ার ফলে তাকে নিরাপদ মনে করা হয় না। যেকোনো সময় সন্তানদের ওপরও এর প্রভাব পড়তে পারে। কেননা, সন্তান হিসেবে পিতার প্রতি তারা দুর্বল থাকে ।অপরদিক থেকে মুসলিম সন্তানরা মুসলিম সমাজের কাছে আমানত। ৩. স্পষ্টত কুফর বা ইসলাম ত্যাগের মাধ্যমে সে ইসলামি সমাজ থেকে বের হয়ে যায়। সে সকল ধরনের সাহায্য লাভ ও অভিভাবকত্বের অধিকার হারায়। তাকে বয়কট ও সমাজের পক্ষ থেকে শিক্ষামূলক অবরোধ করা আবশ্যক, যাতে সে নিজের ভুল বুঝে সঠিক পথে ফিরে আসতে পারে। ৪. ইসলামি বিচারব্যবস্থায় তাকে বিচারের সম্মুখীন করতে হয়-যাতে তার মস্তিষ্ক থেকে সকল প্রকার সন্দেহ-সংশয় দূর হয় এবং উপযুক্ত প্রমাণের ভিত্তিতে তার ওপর মুরতাদের হুকুম বাস্তবায়ন করা যায়। ৫. এ অবস্থায় সে মারা গেলে মুসলিমের হুকুম তার জন্য প্রযোজ্য নয়; তাকে গোসল দেওয়া হবে না, তার জানাযা পড়া যাবে না, মুসলিম কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে না, সে মারা গেলে কেউ তার উত্তরাধিকারী হবে না। মুসলিম আত্মীয়স্বজন কেউ মারা গেলে সে তার ওয়ারিশ হবে না। ৬. আর কাফির অবস্থায় মারা গেলে আল্লাহ তায়ালার লানত তার জন্য আবশ্যক হয়ে পড়ে। তাকে আল্লাহর রহমত থেকে বিতাড়িত করা হয় এবং নিক্ষিপ্ত হয় চিরস্থায়ী জাহান্নামে । সুতরাং যে ব্যক্তি কোনো মানুষের ব্যাপারে কাফির আখ্যা দেওয়ার মতো দুঃসাহস করে, সে মূলত ওই ব্যক্তির ওপর এই ভয়ানক হুকুমগুলো আবশ্যক করে দেয়। তাই কাউকে কাফির বলার আগে বারবার ভাবতে হবে।
An Najahah Shop
Category List
All products
বই : তাকফির : কাফির ঘোষণায় বাড়াবাড়ি ও মূলনীতি
লেখক : ড. ইউসুফ আল কারযাভী
অনুবাদ : এনামুল হাসান
কাফির আখ্যা দেওয়ার ভয়াবহতা
এখানে মৌলিকভাবে যে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করা উচিত তা হলো- কোনো মানুষকে কাফির গণ্য করে হুকুম দেওয়া বাস্তবে খুবই ভয়াবহ ব্যাপার।
কেননা, এর প্রভাবে আনুষঙ্গিক যে হুকুমগুলো চলে আসে, তা আরও বেশি গুরুতর। যেমন-
১. স্ত্রীর সাথে তার সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করা আবশ্যক হয়ে পড়ে। কেননা, সর্বসম্মতিক্রমে কোনো মুসলিম মহিলা কাফিরের স্ত্রী হতে পারে না। সুতরাং তাদের বিবাহবন্ধন অকার্যকর হয়ে যাবে।
২. সে সন্তানদের ওপর কর্তৃত্ব হারায়। কারণ, কাফির হওয়ার ফলে তাকে নিরাপদ মনে করা হয় না। যেকোনো সময় সন্তানদের ওপরও এর প্রভাব পড়তে পারে। কেননা, সন্তান হিসেবে পিতার প্রতি তারা দুর্বল থাকে ।অপরদিক থেকে মুসলিম সন্তানরা মুসলিম সমাজের কাছে আমানত।
৩. স্পষ্টত কুফর বা ইসলাম ত্যাগের মাধ্যমে সে ইসলামি সমাজ থেকে বের হয়ে যায়। সে সকল ধরনের সাহায্য লাভ ও অভিভাবকত্বের অধিকার হারায়। তাকে বয়কট ও সমাজের পক্ষ থেকে শিক্ষামূলক অবরোধ করা আবশ্যক, যাতে সে নিজের ভুল বুঝে সঠিক পথে ফিরে আসতে পারে।
৪. ইসলামি বিচারব্যবস্থায় তাকে বিচারের সম্মুখীন করতে হয়-যাতে তার মস্তিষ্ক থেকে সকল প্রকার সন্দেহ-সংশয় দূর হয় এবং উপযুক্ত প্রমাণের ভিত্তিতে তার ওপর মুরতাদের হুকুম বাস্তবায়ন করা যায়।
৫. এ অবস্থায় সে মারা গেলে মুসলিমের হুকুম তার জন্য প্রযোজ্য নয়; তাকে গোসল দেওয়া হবে না, তার জানাযা পড়া যাবে না, মুসলিম কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে না, সে মারা গেলে কেউ তার উত্তরাধিকারী হবে না। মুসলিম আত্মীয়স্বজন কেউ মারা গেলে সে তার ওয়ারিশ হবে না।
৬. আর কাফির অবস্থায় মারা গেলে আল্লাহ তায়ালার লানত তার জন্য আবশ্যক হয়ে পড়ে। তাকে আল্লাহর রহমত থেকে বিতাড়িত করা হয় এবং নিক্ষিপ্ত হয় চিরস্থায়ী জাহান্নামে ।
সুতরাং যে ব্যক্তি কোনো মানুষের ব্যাপারে কাফির আখ্যা দেওয়ার মতো দুঃসাহস করে, সে মূলত ওই ব্যক্তির ওপর এই ভয়ানক হুকুমগুলো আবশ্যক করে দেয়। তাই কাউকে কাফির বলার আগে বারবার ভাবতে হবে।
লেখক : ড. ইউসুফ আল কারযাভী
অনুবাদ : এনামুল হাসান
কাফির আখ্যা দেওয়ার ভয়াবহতা
এখানে মৌলিকভাবে যে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করা উচিত তা হলো- কোনো মানুষকে কাফির গণ্য করে হুকুম দেওয়া বাস্তবে খুবই ভয়াবহ ব্যাপার।
কেননা, এর প্রভাবে আনুষঙ্গিক যে হুকুমগুলো চলে আসে, তা আরও বেশি গুরুতর। যেমন-
১. স্ত্রীর সাথে তার সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করা আবশ্যক হয়ে পড়ে। কেননা, সর্বসম্মতিক্রমে কোনো মুসলিম মহিলা কাফিরের স্ত্রী হতে পারে না। সুতরাং তাদের বিবাহবন্ধন অকার্যকর হয়ে যাবে।
২. সে সন্তানদের ওপর কর্তৃত্ব হারায়। কারণ, কাফির হওয়ার ফলে তাকে নিরাপদ মনে করা হয় না। যেকোনো সময় সন্তানদের ওপরও এর প্রভাব পড়তে পারে। কেননা, সন্তান হিসেবে পিতার প্রতি তারা দুর্বল থাকে ।অপরদিক থেকে মুসলিম সন্তানরা মুসলিম সমাজের কাছে আমানত।
৩. স্পষ্টত কুফর বা ইসলাম ত্যাগের মাধ্যমে সে ইসলামি সমাজ থেকে বের হয়ে যায়। সে সকল ধরনের সাহায্য লাভ ও অভিভাবকত্বের অধিকার হারায়। তাকে বয়কট ও সমাজের পক্ষ থেকে শিক্ষামূলক অবরোধ করা আবশ্যক, যাতে সে নিজের ভুল বুঝে সঠিক পথে ফিরে আসতে পারে।
৪. ইসলামি বিচারব্যবস্থায় তাকে বিচারের সম্মুখীন করতে হয়-যাতে তার মস্তিষ্ক থেকে সকল প্রকার সন্দেহ-সংশয় দূর হয় এবং উপযুক্ত প্রমাণের ভিত্তিতে তার ওপর মুরতাদের হুকুম বাস্তবায়ন করা যায়।
৫. এ অবস্থায় সে মারা গেলে মুসলিমের হুকুম তার জন্য প্রযোজ্য নয়; তাকে গোসল দেওয়া হবে না, তার জানাযা পড়া যাবে না, মুসলিম কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে না, সে মারা গেলে কেউ তার উত্তরাধিকারী হবে না। মুসলিম আত্মীয়স্বজন কেউ মারা গেলে সে তার ওয়ারিশ হবে না।
৬. আর কাফির অবস্থায় মারা গেলে আল্লাহ তায়ালার লানত তার জন্য আবশ্যক হয়ে পড়ে। তাকে আল্লাহর রহমত থেকে বিতাড়িত করা হয় এবং নিক্ষিপ্ত হয় চিরস্থায়ী জাহান্নামে ।
সুতরাং যে ব্যক্তি কোনো মানুষের ব্যাপারে কাফির আখ্যা দেওয়ার মতো দুঃসাহস করে, সে মূলত ওই ব্যক্তির ওপর এই ভয়ানক হুকুমগুলো আবশ্যক করে দেয়। তাই কাউকে কাফির বলার আগে বারবার ভাবতে হবে।
তাকফির : কাফির ঘোষণায় বাড়াবাড়ি ও মূলনীতি
90 BDT130 BDTSave 40 BDT
1
বই : তাকফির : কাফির ঘোষণায় বাড়াবাড়ি ও মূলনীতি
লেখক : ড. ইউসুফ আল কারযাভী
অনুবাদ : এনামুল হাসান
কাফির আখ্যা দেওয়ার ভয়াবহতা
এখানে মৌলিকভাবে যে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করা উচিত তা হলো- কোনো মানুষকে কাফির গণ্য করে হুকুম দেওয়া বাস্তবে খুবই ভয়াবহ ব্যাপার।
কেননা, এর প্রভাবে আনুষঙ্গিক যে হুকুমগুলো চলে আসে, তা আরও বেশি গুরুতর। যেমন-
১. স্ত্রীর সাথে তার সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করা আবশ্যক হয়ে পড়ে। কেননা, সর্বসম্মতিক্রমে কোনো মুসলিম মহিলা কাফিরের স্ত্রী হতে পারে না। সুতরাং তাদের বিবাহবন্ধন অকার্যকর হয়ে যাবে।
২. সে সন্তানদের ওপর কর্তৃত্ব হারায়। কারণ, কাফির হওয়ার ফলে তাকে নিরাপদ মনে করা হয় না। যেকোনো সময় সন্তানদের ওপরও এর প্রভাব পড়তে পারে। কেননা, সন্তান হিসেবে পিতার প্রতি তারা দুর্বল থাকে ।অপরদিক থেকে মুসলিম সন্তানরা মুসলিম সমাজের কাছে আমানত।
৩. স্পষ্টত কুফর বা ইসলাম ত্যাগের মাধ্যমে সে ইসলামি সমাজ থেকে বের হয়ে যায়। সে সকল ধরনের সাহায্য লাভ ও অভিভাবকত্বের অধিকার হারায়। তাকে বয়কট ও সমাজের পক্ষ থেকে শিক্ষামূলক অবরোধ করা আবশ্যক, যাতে সে নিজের ভুল বুঝে সঠিক পথে ফিরে আসতে পারে।
৪. ইসলামি বিচারব্যবস্থায় তাকে বিচারের সম্মুখীন করতে হয়-যাতে তার মস্তিষ্ক থেকে সকল প্রকার সন্দেহ-সংশয় দূর হয় এবং উপযুক্ত প্রমাণের ভিত্তিতে তার ওপর মুরতাদের হুকুম বাস্তবায়ন করা যায়।
৫. এ অবস্থায় সে মারা গেলে মুসলিমের হুকুম তার জন্য প্রযোজ্য নয়; তাকে গোসল দেওয়া হবে না, তার জানাযা পড়া যাবে না, মুসলিম কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে না, সে মারা গেলে কেউ তার উত্তরাধিকারী হবে না। মুসলিম আত্মীয়স্বজন কেউ মারা গেলে সে তার ওয়ারিশ হবে না।
৬. আর কাফির অবস্থায় মারা গেলে আল্লাহ তায়ালার লানত তার জন্য আবশ্যক হয়ে পড়ে। তাকে আল্লাহর রহমত থেকে বিতাড়িত করা হয় এবং নিক্ষিপ্ত হয় চিরস্থায়ী জাহান্নামে ।
সুতরাং যে ব্যক্তি কোনো মানুষের ব্যাপারে কাফির আখ্যা দেওয়ার মতো দুঃসাহস করে, সে মূলত ওই ব্যক্তির ওপর এই ভয়ানক হুকুমগুলো আবশ্যক করে দেয়। তাই কাউকে কাফির বলার আগে বারবার ভাবতে হবে।
লেখক : ড. ইউসুফ আল কারযাভী
অনুবাদ : এনামুল হাসান
কাফির আখ্যা দেওয়ার ভয়াবহতা
এখানে মৌলিকভাবে যে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করা উচিত তা হলো- কোনো মানুষকে কাফির গণ্য করে হুকুম দেওয়া বাস্তবে খুবই ভয়াবহ ব্যাপার।
কেননা, এর প্রভাবে আনুষঙ্গিক যে হুকুমগুলো চলে আসে, তা আরও বেশি গুরুতর। যেমন-
১. স্ত্রীর সাথে তার সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করা আবশ্যক হয়ে পড়ে। কেননা, সর্বসম্মতিক্রমে কোনো মুসলিম মহিলা কাফিরের স্ত্রী হতে পারে না। সুতরাং তাদের বিবাহবন্ধন অকার্যকর হয়ে যাবে।
২. সে সন্তানদের ওপর কর্তৃত্ব হারায়। কারণ, কাফির হওয়ার ফলে তাকে নিরাপদ মনে করা হয় না। যেকোনো সময় সন্তানদের ওপরও এর প্রভাব পড়তে পারে। কেননা, সন্তান হিসেবে পিতার প্রতি তারা দুর্বল থাকে ।অপরদিক থেকে মুসলিম সন্তানরা মুসলিম সমাজের কাছে আমানত।
৩. স্পষ্টত কুফর বা ইসলাম ত্যাগের মাধ্যমে সে ইসলামি সমাজ থেকে বের হয়ে যায়। সে সকল ধরনের সাহায্য লাভ ও অভিভাবকত্বের অধিকার হারায়। তাকে বয়কট ও সমাজের পক্ষ থেকে শিক্ষামূলক অবরোধ করা আবশ্যক, যাতে সে নিজের ভুল বুঝে সঠিক পথে ফিরে আসতে পারে।
৪. ইসলামি বিচারব্যবস্থায় তাকে বিচারের সম্মুখীন করতে হয়-যাতে তার মস্তিষ্ক থেকে সকল প্রকার সন্দেহ-সংশয় দূর হয় এবং উপযুক্ত প্রমাণের ভিত্তিতে তার ওপর মুরতাদের হুকুম বাস্তবায়ন করা যায়।
৫. এ অবস্থায় সে মারা গেলে মুসলিমের হুকুম তার জন্য প্রযোজ্য নয়; তাকে গোসল দেওয়া হবে না, তার জানাযা পড়া যাবে না, মুসলিম কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে না, সে মারা গেলে কেউ তার উত্তরাধিকারী হবে না। মুসলিম আত্মীয়স্বজন কেউ মারা গেলে সে তার ওয়ারিশ হবে না।
৬. আর কাফির অবস্থায় মারা গেলে আল্লাহ তায়ালার লানত তার জন্য আবশ্যক হয়ে পড়ে। তাকে আল্লাহর রহমত থেকে বিতাড়িত করা হয় এবং নিক্ষিপ্ত হয় চিরস্থায়ী জাহান্নামে ।
সুতরাং যে ব্যক্তি কোনো মানুষের ব্যাপারে কাফির আখ্যা দেওয়ার মতো দুঃসাহস করে, সে মূলত ওই ব্যক্তির ওপর এই ভয়ানক হুকুমগুলো আবশ্যক করে দেয়। তাই কাউকে কাফির বলার আগে বারবার ভাবতে হবে।