গুনাহ বর্জনের উপায়
ভূমিকাবিজ্ঞান ও প্রযুক্তির আধুনিক এই যুগে বস্তুবাদী সভ্যতা দিন দিন যেভাবে বিস্ময়কর গতিতে উন্নতি লাভ করছে ঠিক তার বিপরীতে মানব সভ্যতা, মানুষের মনুষ্যত্যু, বিবেকবোধ, সহমর্মিতা আর সমবেদনা ততদ্রুত অধঃপতনের দিকে ধাবিত হচ্ছে। এতে শুধু অমুসলিমরাই নয় বরং যারা আল্লাহ রাসূল মানে, কুরআন হাদীস বিশ্বাস করে সেই মুসলমান জাতি এই চারিত্রিক অধঃপতনের কারণে সামান্য একটা শ্রেণী বাদ দিয়ে অবশিষ্ট সব শ্রেণীর মুসলমান আল্লাহ পাকের আনুগত্য এবং সুন্নতের অনুসরণ বাদ দিয়ে খায়েশাত পূরণ প্রবৃত্তি পুজা আর গোনাহের ময়দানে এমন ভাবে ঝাঁপিয়ে পড়েছে যে, তাদের মনুষ্যত্যু আজ পশুত্বে পরিণত হয়েছে। গোনাহর মহব্বত মানুষের অন্তরে এমনভাবে আজ বদ্ধমূল হয়ে গেছে যে, গোনাহকে গোনাহ মনে করা হচ্ছেনা। গোনাহর ক্ষতিকর পরিণাম থেকে সকলে আজ গাফেল। বরং অনেক লোক তো এমনও আছে যারা গোনাহকে গর্বের বিষয় মনে করে। বিশেষ করে স্কুল-কলেজ আর বিশ্ববিদ্যালয়গুলির পরিবেশ গোনাহের বিষে নীল হয়ে গেছে। পাল্লা দিয়ে গোনাহ চলছে। এসব গোনাহের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করছে ইন্টারনেট, ফেসবুক, ইউটিউব, আর এগুলির বাহক হচ্ছে টাচ মোবাইল। বই-কিতাব পড়া, দ্বীনী মুযাকারা করা মাসায়িলের আলোচনা করা এগুলি আজ অতীত স্মৃতিতে পরিণত হয়েছে। সকলে এখন সময় পেলে মোবাইল নিয়ে বসে যায়। এমনকি স্বামী-স্ত্রী ও একে অন্যকে সময় দিতে পারছেনা। মোবাইলের কারণে পরকিয়া, ডিভোর্স, পারস্পরিক অবিশ্বাস বৃদ্ধি পেতে পেতে পুরা সমাজব্যবস্থা আজ হুমকির সম্মুখীন। অতিদ্রুত ধন্য হওয়ার জন্য আধুনিক শিক্ষায় গর্বিত দাবীদাররা জুয়ার মত হারাম জিনিষে ডুব মেরেছে। বিনোদন আর ফুর্তির জন্য মদ জাতীয় হারাম পানিকে বেছে নিয়েছে। মসজিদের শহর ঢাকা আজ জুয়ার নগরীতে পরিণত হয়েছে।কবরের নির্জনতা, হাশরের ভয়াবহতা, জাহান্নামের বিভীষিকা কিছুই আজ মানুষকে গোনাহ থেকে ফেরাতে পারছে না। গোনাহের সয়লাব এমনভাবে পুরা জাতিকে গ্রাস করছে যে, দ্বীনদার শ্রেণীর লোকেরাও আজ গোনাহ থেকে বাঁচতে হিমশিম খেয়ে যাচ্ছে।এক সময় এমন ছিল যে, মাদ্রাসাগুলি খানকাহ হত। সেখানকার শিক্ষক কর্মচারী তালেবে ইলম সকলেই ওলি আল্লাহ হত। কিন্তু পরিতাপের বিষয় যে, সেখানেও আজ কলেজ ইউনিভার্সিটির হাওয়া লেখেছে। তারাও আজ স্বাধীন জীবন যাপন করতে চাচ্ছে। মাদ্রাসার হাজার কানুনও ছাত্রদেরকে কন্ট্রোল করতে পারছে না। আল্লাহ না করুন এই অবস্থা চলতে থাকলে মুসলিম জাতির উপর যে বিপদ নেমে আসবে তা থেকে বাঁচানোর কেউ থাকবে না।
An Najahah Shop
Category List
All products

ভূমিকা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির আধুনিক এই যুগে বস্তুবাদী সভ্যতা দিন দিন যেভাবে বিস্ময়কর গতিতে উন্নতি লাভ করছে ঠিক তার বিপরীতে মানব সভ্যতা, মানুষের মনুষ্যত্যু, বিবেকবোধ, সহমর্মিতা আর সমবেদনা ততদ্রুত অধঃপতনের দিকে ধাবিত হচ্ছে। এতে শুধু অমুসলিমরাই নয় বরং যারা আল্লাহ রাসূল মানে, কুরআন হাদীস বিশ্বাস করে সেই মুসলমান জাতি এই চারিত্রিক অধঃপতনের কারণে সামান্য একটা শ্রেণী বাদ দিয়ে অবশিষ্ট সব শ্রেণীর মুসলমান আল্লাহ পাকের আনুগত্য এবং সুন্নতের অনুসরণ বাদ দিয়ে খায়েশাত পূরণ প্রবৃত্তি পুজা আর গোনাহের ময়দানে এমন ভাবে ঝাঁপিয়ে পড়েছে যে, তাদের মনুষ্যত্যু আজ পশুত্বে পরিণত হয়েছে। গোনাহর মহব্বত মানুষের অন্তরে এমনভাবে আজ বদ্ধমূল হয়ে গেছে যে, গোনাহকে গোনাহ মনে করা হচ্ছেনা। গোনাহর ক্ষতিকর পরিণাম থেকে সকলে আজ গাফেল। বরং অনেক লোক তো এমনও আছে যারা গোনাহকে গর্বের বিষয় মনে করে। বিশেষ করে স্কুল-কলেজ আর বিশ্ববিদ্যালয়গুলির পরিবেশ গোনাহের বিষে নীল হয়ে গেছে। পাল্লা দিয়ে গোনাহ চলছে। এসব গোনাহের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করছে ইন্টারনেট, ফেসবুক, ইউটিউব, আর এগুলির বাহক হচ্ছে টাচ মোবাইল। বই-কিতাব পড়া, দ্বীনী মুযাকারা করা মাসায়িলের আলোচনা করা এগুলি আজ অতীত স্মৃতিতে পরিণত হয়েছে। সকলে এখন সময় পেলে মোবাইল নিয়ে বসে যায়। এমনকি স্বামী-স্ত্রী ও একে অন্যকে সময় দিতে পারছেনা। মোবাইলের কারণে পরকিয়া, ডিভোর্স, পারস্পরিক অবিশ্বাস বৃদ্ধি পেতে পেতে পুরা সমাজব্যবস্থা আজ হুমকির সম্মুখীন। অতিদ্রুত ধন্য হওয়ার জন্য আধুনিক শিক্ষায় গর্বিত দাবীদাররা জুয়ার মত হারাম জিনিষে ডুব মেরেছে। বিনোদন আর ফুর্তির জন্য মদ জাতীয় হারাম পানিকে বেছে নিয়েছে। মসজিদের শহর ঢাকা আজ জুয়ার নগরীতে পরিণত হয়েছে।
কবরের নির্জনতা, হাশরের ভয়াবহতা, জাহান্নামের বিভীষিকা কিছুই আজ মানুষকে গোনাহ থেকে ফেরাতে পারছে না। গোনাহের সয়লাব এমনভাবে পুরা জাতিকে গ্রাস করছে যে, দ্বীনদার শ্রেণীর লোকেরাও আজ গোনাহ থেকে বাঁচতে হিমশিম খেয়ে যাচ্ছে।
এক সময় এমন ছিল যে, মাদ্রাসাগুলি খানকাহ হত। সেখানকার শিক্ষক কর্মচারী তালেবে ইলম সকলেই ওলি আল্লাহ হত। কিন্তু পরিতাপের বিষয় যে, সেখানেও আজ কলেজ ইউনিভার্সিটির হাওয়া লেখেছে। তারাও আজ স্বাধীন জীবন যাপন করতে চাচ্ছে। মাদ্রাসার হাজার কানুনও ছাত্রদেরকে কন্ট্রোল করতে পারছে না। আল্লাহ না করুন এই অবস্থা চলতে থাকলে মুসলিম জাতির উপর যে বিপদ নেমে আসবে তা থেকে বাঁচানোর কেউ থাকবে না।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির আধুনিক এই যুগে বস্তুবাদী সভ্যতা দিন দিন যেভাবে বিস্ময়কর গতিতে উন্নতি লাভ করছে ঠিক তার বিপরীতে মানব সভ্যতা, মানুষের মনুষ্যত্যু, বিবেকবোধ, সহমর্মিতা আর সমবেদনা ততদ্রুত অধঃপতনের দিকে ধাবিত হচ্ছে। এতে শুধু অমুসলিমরাই নয় বরং যারা আল্লাহ রাসূল মানে, কুরআন হাদীস বিশ্বাস করে সেই মুসলমান জাতি এই চারিত্রিক অধঃপতনের কারণে সামান্য একটা শ্রেণী বাদ দিয়ে অবশিষ্ট সব শ্রেণীর মুসলমান আল্লাহ পাকের আনুগত্য এবং সুন্নতের অনুসরণ বাদ দিয়ে খায়েশাত পূরণ প্রবৃত্তি পুজা আর গোনাহের ময়দানে এমন ভাবে ঝাঁপিয়ে পড়েছে যে, তাদের মনুষ্যত্যু আজ পশুত্বে পরিণত হয়েছে। গোনাহর মহব্বত মানুষের অন্তরে এমনভাবে আজ বদ্ধমূল হয়ে গেছে যে, গোনাহকে গোনাহ মনে করা হচ্ছেনা। গোনাহর ক্ষতিকর পরিণাম থেকে সকলে আজ গাফেল। বরং অনেক লোক তো এমনও আছে যারা গোনাহকে গর্বের বিষয় মনে করে। বিশেষ করে স্কুল-কলেজ আর বিশ্ববিদ্যালয়গুলির পরিবেশ গোনাহের বিষে নীল হয়ে গেছে। পাল্লা দিয়ে গোনাহ চলছে। এসব গোনাহের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করছে ইন্টারনেট, ফেসবুক, ইউটিউব, আর এগুলির বাহক হচ্ছে টাচ মোবাইল। বই-কিতাব পড়া, দ্বীনী মুযাকারা করা মাসায়িলের আলোচনা করা এগুলি আজ অতীত স্মৃতিতে পরিণত হয়েছে। সকলে এখন সময় পেলে মোবাইল নিয়ে বসে যায়। এমনকি স্বামী-স্ত্রী ও একে অন্যকে সময় দিতে পারছেনা। মোবাইলের কারণে পরকিয়া, ডিভোর্স, পারস্পরিক অবিশ্বাস বৃদ্ধি পেতে পেতে পুরা সমাজব্যবস্থা আজ হুমকির সম্মুখীন। অতিদ্রুত ধন্য হওয়ার জন্য আধুনিক শিক্ষায় গর্বিত দাবীদাররা জুয়ার মত হারাম জিনিষে ডুব মেরেছে। বিনোদন আর ফুর্তির জন্য মদ জাতীয় হারাম পানিকে বেছে নিয়েছে। মসজিদের শহর ঢাকা আজ জুয়ার নগরীতে পরিণত হয়েছে।
কবরের নির্জনতা, হাশরের ভয়াবহতা, জাহান্নামের বিভীষিকা কিছুই আজ মানুষকে গোনাহ থেকে ফেরাতে পারছে না। গোনাহের সয়লাব এমনভাবে পুরা জাতিকে গ্রাস করছে যে, দ্বীনদার শ্রেণীর লোকেরাও আজ গোনাহ থেকে বাঁচতে হিমশিম খেয়ে যাচ্ছে।
এক সময় এমন ছিল যে, মাদ্রাসাগুলি খানকাহ হত। সেখানকার শিক্ষক কর্মচারী তালেবে ইলম সকলেই ওলি আল্লাহ হত। কিন্তু পরিতাপের বিষয় যে, সেখানেও আজ কলেজ ইউনিভার্সিটির হাওয়া লেখেছে। তারাও আজ স্বাধীন জীবন যাপন করতে চাচ্ছে। মাদ্রাসার হাজার কানুনও ছাত্রদেরকে কন্ট্রোল করতে পারছে না। আল্লাহ না করুন এই অবস্থা চলতে থাকলে মুসলিম জাতির উপর যে বিপদ নেমে আসবে তা থেকে বাঁচানোর কেউ থাকবে না।
গুনাহ বর্জনের উপায়
180 BDT300 BDTSave 120 BDT
1
ভূমিকা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির আধুনিক এই যুগে বস্তুবাদী সভ্যতা দিন দিন যেভাবে বিস্ময়কর গতিতে উন্নতি লাভ করছে ঠিক তার বিপরীতে মানব সভ্যতা, মানুষের মনুষ্যত্যু, বিবেকবোধ, সহমর্মিতা আর সমবেদনা ততদ্রুত অধঃপতনের দিকে ধাবিত হচ্ছে। এতে শুধু অমুসলিমরাই নয় বরং যারা আল্লাহ রাসূল মানে, কুরআন হাদীস বিশ্বাস করে সেই মুসলমান জাতি এই চারিত্রিক অধঃপতনের কারণে সামান্য একটা শ্রেণী বাদ দিয়ে অবশিষ্ট সব শ্রেণীর মুসলমান আল্লাহ পাকের আনুগত্য এবং সুন্নতের অনুসরণ বাদ দিয়ে খায়েশাত পূরণ প্রবৃত্তি পুজা আর গোনাহের ময়দানে এমন ভাবে ঝাঁপিয়ে পড়েছে যে, তাদের মনুষ্যত্যু আজ পশুত্বে পরিণত হয়েছে। গোনাহর মহব্বত মানুষের অন্তরে এমনভাবে আজ বদ্ধমূল হয়ে গেছে যে, গোনাহকে গোনাহ মনে করা হচ্ছেনা। গোনাহর ক্ষতিকর পরিণাম থেকে সকলে আজ গাফেল। বরং অনেক লোক তো এমনও আছে যারা গোনাহকে গর্বের বিষয় মনে করে। বিশেষ করে স্কুল-কলেজ আর বিশ্ববিদ্যালয়গুলির পরিবেশ গোনাহের বিষে নীল হয়ে গেছে। পাল্লা দিয়ে গোনাহ চলছে। এসব গোনাহের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করছে ইন্টারনেট, ফেসবুক, ইউটিউব, আর এগুলির বাহক হচ্ছে টাচ মোবাইল। বই-কিতাব পড়া, দ্বীনী মুযাকারা করা মাসায়িলের আলোচনা করা এগুলি আজ অতীত স্মৃতিতে পরিণত হয়েছে। সকলে এখন সময় পেলে মোবাইল নিয়ে বসে যায়। এমনকি স্বামী-স্ত্রী ও একে অন্যকে সময় দিতে পারছেনা। মোবাইলের কারণে পরকিয়া, ডিভোর্স, পারস্পরিক অবিশ্বাস বৃদ্ধি পেতে পেতে পুরা সমাজব্যবস্থা আজ হুমকির সম্মুখীন। অতিদ্রুত ধন্য হওয়ার জন্য আধুনিক শিক্ষায় গর্বিত দাবীদাররা জুয়ার মত হারাম জিনিষে ডুব মেরেছে। বিনোদন আর ফুর্তির জন্য মদ জাতীয় হারাম পানিকে বেছে নিয়েছে। মসজিদের শহর ঢাকা আজ জুয়ার নগরীতে পরিণত হয়েছে।
কবরের নির্জনতা, হাশরের ভয়াবহতা, জাহান্নামের বিভীষিকা কিছুই আজ মানুষকে গোনাহ থেকে ফেরাতে পারছে না। গোনাহের সয়লাব এমনভাবে পুরা জাতিকে গ্রাস করছে যে, দ্বীনদার শ্রেণীর লোকেরাও আজ গোনাহ থেকে বাঁচতে হিমশিম খেয়ে যাচ্ছে।
এক সময় এমন ছিল যে, মাদ্রাসাগুলি খানকাহ হত। সেখানকার শিক্ষক কর্মচারী তালেবে ইলম সকলেই ওলি আল্লাহ হত। কিন্তু পরিতাপের বিষয় যে, সেখানেও আজ কলেজ ইউনিভার্সিটির হাওয়া লেখেছে। তারাও আজ স্বাধীন জীবন যাপন করতে চাচ্ছে। মাদ্রাসার হাজার কানুনও ছাত্রদেরকে কন্ট্রোল করতে পারছে না। আল্লাহ না করুন এই অবস্থা চলতে থাকলে মুসলিম জাতির উপর যে বিপদ নেমে আসবে তা থেকে বাঁচানোর কেউ থাকবে না।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির আধুনিক এই যুগে বস্তুবাদী সভ্যতা দিন দিন যেভাবে বিস্ময়কর গতিতে উন্নতি লাভ করছে ঠিক তার বিপরীতে মানব সভ্যতা, মানুষের মনুষ্যত্যু, বিবেকবোধ, সহমর্মিতা আর সমবেদনা ততদ্রুত অধঃপতনের দিকে ধাবিত হচ্ছে। এতে শুধু অমুসলিমরাই নয় বরং যারা আল্লাহ রাসূল মানে, কুরআন হাদীস বিশ্বাস করে সেই মুসলমান জাতি এই চারিত্রিক অধঃপতনের কারণে সামান্য একটা শ্রেণী বাদ দিয়ে অবশিষ্ট সব শ্রেণীর মুসলমান আল্লাহ পাকের আনুগত্য এবং সুন্নতের অনুসরণ বাদ দিয়ে খায়েশাত পূরণ প্রবৃত্তি পুজা আর গোনাহের ময়দানে এমন ভাবে ঝাঁপিয়ে পড়েছে যে, তাদের মনুষ্যত্যু আজ পশুত্বে পরিণত হয়েছে। গোনাহর মহব্বত মানুষের অন্তরে এমনভাবে আজ বদ্ধমূল হয়ে গেছে যে, গোনাহকে গোনাহ মনে করা হচ্ছেনা। গোনাহর ক্ষতিকর পরিণাম থেকে সকলে আজ গাফেল। বরং অনেক লোক তো এমনও আছে যারা গোনাহকে গর্বের বিষয় মনে করে। বিশেষ করে স্কুল-কলেজ আর বিশ্ববিদ্যালয়গুলির পরিবেশ গোনাহের বিষে নীল হয়ে গেছে। পাল্লা দিয়ে গোনাহ চলছে। এসব গোনাহের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করছে ইন্টারনেট, ফেসবুক, ইউটিউব, আর এগুলির বাহক হচ্ছে টাচ মোবাইল। বই-কিতাব পড়া, দ্বীনী মুযাকারা করা মাসায়িলের আলোচনা করা এগুলি আজ অতীত স্মৃতিতে পরিণত হয়েছে। সকলে এখন সময় পেলে মোবাইল নিয়ে বসে যায়। এমনকি স্বামী-স্ত্রী ও একে অন্যকে সময় দিতে পারছেনা। মোবাইলের কারণে পরকিয়া, ডিভোর্স, পারস্পরিক অবিশ্বাস বৃদ্ধি পেতে পেতে পুরা সমাজব্যবস্থা আজ হুমকির সম্মুখীন। অতিদ্রুত ধন্য হওয়ার জন্য আধুনিক শিক্ষায় গর্বিত দাবীদাররা জুয়ার মত হারাম জিনিষে ডুব মেরেছে। বিনোদন আর ফুর্তির জন্য মদ জাতীয় হারাম পানিকে বেছে নিয়েছে। মসজিদের শহর ঢাকা আজ জুয়ার নগরীতে পরিণত হয়েছে।
কবরের নির্জনতা, হাশরের ভয়াবহতা, জাহান্নামের বিভীষিকা কিছুই আজ মানুষকে গোনাহ থেকে ফেরাতে পারছে না। গোনাহের সয়লাব এমনভাবে পুরা জাতিকে গ্রাস করছে যে, দ্বীনদার শ্রেণীর লোকেরাও আজ গোনাহ থেকে বাঁচতে হিমশিম খেয়ে যাচ্ছে।
এক সময় এমন ছিল যে, মাদ্রাসাগুলি খানকাহ হত। সেখানকার শিক্ষক কর্মচারী তালেবে ইলম সকলেই ওলি আল্লাহ হত। কিন্তু পরিতাপের বিষয় যে, সেখানেও আজ কলেজ ইউনিভার্সিটির হাওয়া লেখেছে। তারাও আজ স্বাধীন জীবন যাপন করতে চাচ্ছে। মাদ্রাসার হাজার কানুনও ছাত্রদেরকে কন্ট্রোল করতে পারছে না। আল্লাহ না করুন এই অবস্থা চলতে থাকলে মুসলিম জাতির উপর যে বিপদ নেমে আসবে তা থেকে বাঁচানোর কেউ থাকবে না।