দুনিয়ার ওপারে [LIFE AFTER LIFE]
বইয়ের নামঃ দুনিয়ার ওপারে [LIFE AFTER LIFE]লেখকঃ শাইখুল ইসলাম মুফতী মুহাম্মদ তাকী উসমানীপ্রকাশনীঃ মাকতাবাতুল আশরাফবই এর নাম দেখে হয়ত আপনারা অনেকটা আন্দাজ করতে পেরেছেন বই এর বিষয়বস্তু কি হতে পারে। অনেকে হয়ত ভাবছেন কবর, হাশর, মিজান, পুলসিরাত, জান্নাত-জাহান্নাম এই সব বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। কিন্ত না, বই এর নাম দেখে যা আচ করা যায় তার থেকে কিছুটা ব্যতিক্রমধর্মী আলোচনা করা হয়েছে বইটিতে।বইটিতে মূলত, মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরে আসা লোকদের মৃতপ্রায় অবস্থায় অবলোকনকৃত বিস্ময়কর ও কৌতূহলোদ্দীপক দৃশ্যাবলি ও অভিজ্ঞতার কথা ইসলামি দৃষ্টিকোণ থেকে পর্যালোচনা করা হয়েছে।আমেরিকার বিখ্যাত মনোবিজ্ঞানী ও দার্শনিক ডাক্তার “রেমন্ড এ মোদি” তার তিনটি গ্রন্থে(1.Life After Life 2.The Light Beyond 3.Reflection on After Life) ১০০০ এরও বেশি সেই সব লোকের অবস্থা বর্ননা করা হয়েছে যাদের কে Clinically Dead ধারনা করা হয়েছিল।মুফতী মুহাম্মদ তাকী উসমানী, মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরে আসা মানুষ যে সকল দৃশ্য বর্ণনা করেছে তার মধ্যে সবারই কিছু কমন বিষয় ছিল। আর সেই বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বিষয় গুলোর মধ্যে ছিল-১। অন্ধকারাচ্ছন্ন সুড়ঙ্গ২। শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়া৩। মৃত আত্নীয়-স্বজন বন্ধু- বান্ধবদের দর্শনলাভ৪। একটি নূরানী স্বত্তা বা মাখলুকের অস্তিত্ব৫। নিজ নিজ জীবনের ঘটে যাওয়া ঘটনাবলি অবলোকন করাএই বিষয় গুলো নিয়ে লেখক কুরআন ও হাদীস এর আলোকে তিনটি পর্বে আলোচনা করেছেন।এই আলোচনার পর, “মৃত্যুর পূর্বে মৃত্যুর প্রস্তুতি” সম্পর্কিত লেখক এর একটি বয়ান সংযোজন করা হয়েছে। লেখক এর এই অল্প কয়েক পৃষ্ঠার লেখাই যোগাতে পারে মৃত্যুর পূর্বে মৃত্যুর প্রস্তুতি গ্রহনের চিন্তার খোরাক। লেখক তার বয়ানে, ইমাম গাযালী রহঃ এর উদ্ভাবিত আত্নশুদ্ধি ও সংশোধনের একটি পন্থা আলোচনা করেছেন। যার মাধ্যমে মৃত্যুর পূর্বে মৃত্যুর প্রস্তুতি গ্রহন করা সম্ভব।বইয়ের পাতা থেকেঃ এক ব্যক্তি মৃত্যুর কাছাকাছি উপনীত, তার শারীরিক অবস্থা এমন পর্যায়ে পৌছে গেল যে, সে নিজেই শুনতে পেল যে, তার ডাক্তার তার মৃত্যুর কথা ঘোষণা করছেন ৷ হঠাৎ সে একটি কষ্টদায়ক শব্দ শুনতে পেল ৷ সাথে সাথে তার এমন অনুভূত হলো যে, সে অতি দ্রুতগতিতে দীর্ঘ ও অন্ধকারাচ্ছন্ন সুড়ঙ্গ অতিক্রম করছে ৷ অতঃপর হঠাৎ সে অনুভব করল যে, সে তার দেহ থেকে বাইরে চলে এসেছে ৷ সে দূরে দাড়িয়ে দর্শকের ন্যায় নিজ দেহ দেখতে লাগল ৷ সে দেখতে পেল যে, সে নিজে একটি দর্শনীয় স্থানে দাড়িয়ে আছে এবং তার দেহ আগের মতোই খাটের উপর পড়ে আছে ৷ ডাক্তাররা ঝুঁকে পড়ে তার বুকে ম্যাসেজ করছেন এবং কৃত্রিম উপায়ে শ্বাস-প্রশ্বাস চালু করার চেষ্টা করছেন ৷ সামান্যক্ষণ পর সে তার অনুতূতিশক্তি ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করে বুঝতে পারল যে, এই নতুন অবস্থায়ও তার একটি শরীর আছে ৷ কিন্তু তার বর্তমান শরীর পূর্বের ছেড়ে আসা শরীরের থেকে ভিন্ন ৷ তার বর্তমান শরীরের অবস্থাও অন্যরকম ৷ তার শরীরের শক্তি অন্যরকম ৷ এ অবস্থায় কিছুক্ষণ পর সে তার মৃত আত্থীয়-স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবদের দেখতে পেল ৷ অতঃপর সে একটি নূরের সত্তা বা মাখলুক (Beigh of Light)দেখতে পায়, সে সত্তা তাকে বলে যে, তুমি তোমার (বিগত) জীবনের হিসাব (খবর) নাও ! তার একথা শব্দের মাধ্যমে না হয়ে অন্যভাবে (Non-verbal) শ্রুত হয় ৷ অতঃপর সেই নূরের সত্তা নিজেই ঐ ব্যক্তির সামনে তার জীবনের সকল গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা এনে দ্রুত তাকে দেখাতে থাকে ৷ একপর্যায়ে সে তার সামনে একটি বাধা দেখতে পায়, যে বাধা সম্পর্কে সে নিজেই বুঝতে পারে যে, এটা তার দুনিয়ার জীবন এবং মৃত্যুর পরের জীবনের মাঝখানের সীমান্ত (বর্ডার) ৷ ঐ সীমান্তের নিকট পৌছে সে জানতে পারে যে, এখন তাকে দুনিয়ায় ফিরে যেতে হবে ৷ এখনো তার মৃত্যুর সময় হয়নি ৷ এরপর সে অজ্ঞাত পন্থায় তার ঐ (পূর্ব) শরীরে ফিরে আসে, যা সে খাটের উপর ছেড়ে গিয়েছিল ৷ সুস্থ হওয়ার পর সে তার এ সকল অবস্থা অন্যকে জানাতে চায়, কিন্তু প্রথমত, তার ঐ অবস্থা (পরিপূর্ণরূপে) বর্ণনা করার জন্য মানুষের ব্যবহৃত সকল শব্দভাণ্ডার অপ্রতুল মনে হয় ৷ দ্বিতীয়ত, যখন সে এ সকল কথা মানুষকে বলে তখন তারা তাকে বিদ্রূপ করতে আরুম্ভ করে ৷ এজন্য সে নিশ্চুপ থাকে ৷
An Najahah Shop
Category List
All products
![দুনিয়ার ওপারে [LIFE AFTER LIFE]](https://www.easykoro.com/inventories/fit-in/600x800/327594073345179.jpg)
বইয়ের নামঃ দুনিয়ার ওপারে [LIFE AFTER LIFE]
লেখকঃ শাইখুল ইসলাম মুফতী মুহাম্মদ তাকী উসমানী
প্রকাশনীঃ মাকতাবাতুল আশরাফ
বই এর নাম দেখে হয়ত আপনারা অনেকটা আন্দাজ করতে পেরেছেন বই এর বিষয়বস্তু কি হতে পারে। অনেকে হয়ত ভাবছেন কবর, হাশর, মিজান, পুলসিরাত, জান্নাত-জাহান্নাম এই সব বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। কিন্ত না, বই এর নাম দেখে যা আচ করা যায় তার থেকে কিছুটা ব্যতিক্রমধর্মী আলোচনা করা হয়েছে বইটিতে।
বইটিতে মূলত, মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরে আসা লোকদের মৃতপ্রায় অবস্থায় অবলোকনকৃত বিস্ময়কর ও কৌতূহলোদ্দীপক দৃশ্যাবলি ও অভিজ্ঞতার কথা ইসলামি দৃষ্টিকোণ থেকে পর্যালোচনা করা হয়েছে।
আমেরিকার বিখ্যাত মনোবিজ্ঞানী ও দার্শনিক ডাক্তার “রেমন্ড এ মোদি” তার তিনটি গ্রন্থে(1.Life After Life 2.The Light Beyond 3.Reflection on After Life) ১০০০ এরও বেশি সেই সব লোকের অবস্থা বর্ননা করা হয়েছে যাদের কে Clinically Dead ধারনা করা হয়েছিল।
মুফতী মুহাম্মদ তাকী উসমানী, মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরে আসা মানুষ যে সকল দৃশ্য বর্ণনা করেছে তার মধ্যে সবারই কিছু কমন বিষয় ছিল। আর সেই বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বিষয় গুলোর মধ্যে ছিল-
১। অন্ধকারাচ্ছন্ন সুড়ঙ্গ
২। শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়া
৩। মৃত আত্নীয়-স্বজন বন্ধু- বান্ধবদের দর্শনলাভ
৪। একটি নূরানী স্বত্তা বা মাখলুকের অস্তিত্ব
৫। নিজ নিজ জীবনের ঘটে যাওয়া ঘটনাবলি অবলোকন করা
এই বিষয় গুলো নিয়ে লেখক কুরআন ও হাদীস এর আলোকে তিনটি পর্বে আলোচনা করেছেন।
এই আলোচনার পর, “মৃত্যুর পূর্বে মৃত্যুর প্রস্তুতি” সম্পর্কিত লেখক এর একটি বয়ান সংযোজন করা হয়েছে। লেখক এর এই অল্প কয়েক পৃষ্ঠার লেখাই যোগাতে পারে মৃত্যুর পূর্বে মৃত্যুর প্রস্তুতি গ্রহনের চিন্তার খোরাক। লেখক তার বয়ানে, ইমাম গাযালী রহঃ এর উদ্ভাবিত আত্নশুদ্ধি ও সংশোধনের একটি পন্থা আলোচনা করেছেন। যার মাধ্যমে মৃত্যুর পূর্বে মৃত্যুর প্রস্তুতি গ্রহন করা সম্ভব।
বইয়ের পাতা থেকেঃ
এক ব্যক্তি মৃত্যুর কাছাকাছি উপনীত, তার শারীরিক অবস্থা এমন পর্যায়ে পৌছে গেল যে, সে নিজেই শুনতে পেল যে, তার ডাক্তার তার মৃত্যুর কথা ঘোষণা করছেন ৷ হঠাৎ সে একটি কষ্টদায়ক শব্দ শুনতে পেল ৷ সাথে সাথে তার এমন অনুভূত হলো যে, সে অতি দ্রুতগতিতে দীর্ঘ ও অন্ধকারাচ্ছন্ন সুড়ঙ্গ অতিক্রম করছে ৷ অতঃপর হঠাৎ সে অনুভব করল যে, সে তার দেহ থেকে বাইরে চলে এসেছে ৷ সে দূরে দাড়িয়ে দর্শকের ন্যায় নিজ দেহ দেখতে লাগল ৷ সে দেখতে পেল যে, সে নিজে একটি দর্শনীয় স্থানে দাড়িয়ে আছে এবং তার দেহ আগের মতোই খাটের উপর পড়ে আছে ৷ ডাক্তাররা ঝুঁকে পড়ে তার বুকে ম্যাসেজ করছেন এবং কৃত্রিম উপায়ে শ্বাস-প্রশ্বাস চালু করার চেষ্টা করছেন ৷ সামান্যক্ষণ পর সে তার অনুতূতিশক্তি ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করে বুঝতে পারল যে, এই নতুন অবস্থায়ও তার একটি শরীর আছে ৷ কিন্তু তার বর্তমান শরীর পূর্বের ছেড়ে আসা শরীরের থেকে ভিন্ন ৷ তার বর্তমান শরীরের অবস্থাও অন্যরকম ৷ তার শরীরের শক্তি অন্যরকম ৷ এ অবস্থায় কিছুক্ষণ পর সে তার মৃত আত্থীয়-স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবদের দেখতে পেল ৷ অতঃপর সে একটি নূরের সত্তা বা মাখলুক (Beigh of Light)দেখতে পায়, সে সত্তা তাকে বলে যে, তুমি তোমার (বিগত) জীবনের হিসাব (খবর) নাও ! তার একথা শব্দের মাধ্যমে না হয়ে অন্যভাবে (Non-verbal) শ্রুত হয় ৷ অতঃপর সেই নূরের সত্তা নিজেই ঐ ব্যক্তির সামনে তার জীবনের সকল গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা এনে দ্রুত তাকে দেখাতে থাকে ৷ একপর্যায়ে সে তার সামনে একটি বাধা দেখতে পায়, যে বাধা সম্পর্কে সে নিজেই বুঝতে পারে যে, এটা তার দুনিয়ার জীবন এবং মৃত্যুর পরের জীবনের মাঝখানের সীমান্ত (বর্ডার) ৷ ঐ সীমান্তের নিকট পৌছে সে জানতে পারে যে, এখন তাকে দুনিয়ায় ফিরে যেতে হবে ৷ এখনো তার মৃত্যুর সময় হয়নি ৷ এরপর সে অজ্ঞাত পন্থায় তার ঐ (পূর্ব) শরীরে ফিরে আসে, যা সে খাটের উপর ছেড়ে গিয়েছিল ৷ সুস্থ হওয়ার পর সে তার এ সকল অবস্থা অন্যকে জানাতে চায়, কিন্তু প্রথমত, তার ঐ অবস্থা (পরিপূর্ণরূপে) বর্ণনা করার জন্য মানুষের ব্যবহৃত সকল শব্দভাণ্ডার অপ্রতুল মনে হয় ৷ দ্বিতীয়ত, যখন সে এ সকল কথা মানুষকে বলে তখন তারা তাকে বিদ্রূপ করতে আরুম্ভ করে ৷ এজন্য সে নিশ্চুপ থাকে ৷
দুনিয়ার ওপারে [LIFE AFTER LIFE]
80 BDT160 BDTSave 80 BDT
1
বইয়ের নামঃ দুনিয়ার ওপারে [LIFE AFTER LIFE]
লেখকঃ শাইখুল ইসলাম মুফতী মুহাম্মদ তাকী উসমানী
প্রকাশনীঃ মাকতাবাতুল আশরাফ
বই এর নাম দেখে হয়ত আপনারা অনেকটা আন্দাজ করতে পেরেছেন বই এর বিষয়বস্তু কি হতে পারে। অনেকে হয়ত ভাবছেন কবর, হাশর, মিজান, পুলসিরাত, জান্নাত-জাহান্নাম এই সব বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। কিন্ত না, বই এর নাম দেখে যা আচ করা যায় তার থেকে কিছুটা ব্যতিক্রমধর্মী আলোচনা করা হয়েছে বইটিতে।
বইটিতে মূলত, মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরে আসা লোকদের মৃতপ্রায় অবস্থায় অবলোকনকৃত বিস্ময়কর ও কৌতূহলোদ্দীপক দৃশ্যাবলি ও অভিজ্ঞতার কথা ইসলামি দৃষ্টিকোণ থেকে পর্যালোচনা করা হয়েছে।
আমেরিকার বিখ্যাত মনোবিজ্ঞানী ও দার্শনিক ডাক্তার “রেমন্ড এ মোদি” তার তিনটি গ্রন্থে(1.Life After Life 2.The Light Beyond 3.Reflection on After Life) ১০০০ এরও বেশি সেই সব লোকের অবস্থা বর্ননা করা হয়েছে যাদের কে Clinically Dead ধারনা করা হয়েছিল।
মুফতী মুহাম্মদ তাকী উসমানী, মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরে আসা মানুষ যে সকল দৃশ্য বর্ণনা করেছে তার মধ্যে সবারই কিছু কমন বিষয় ছিল। আর সেই বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বিষয় গুলোর মধ্যে ছিল-
১। অন্ধকারাচ্ছন্ন সুড়ঙ্গ
২। শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়া
৩। মৃত আত্নীয়-স্বজন বন্ধু- বান্ধবদের দর্শনলাভ
৪। একটি নূরানী স্বত্তা বা মাখলুকের অস্তিত্ব
৫। নিজ নিজ জীবনের ঘটে যাওয়া ঘটনাবলি অবলোকন করা
এই বিষয় গুলো নিয়ে লেখক কুরআন ও হাদীস এর আলোকে তিনটি পর্বে আলোচনা করেছেন।
এই আলোচনার পর, “মৃত্যুর পূর্বে মৃত্যুর প্রস্তুতি” সম্পর্কিত লেখক এর একটি বয়ান সংযোজন করা হয়েছে। লেখক এর এই অল্প কয়েক পৃষ্ঠার লেখাই যোগাতে পারে মৃত্যুর পূর্বে মৃত্যুর প্রস্তুতি গ্রহনের চিন্তার খোরাক। লেখক তার বয়ানে, ইমাম গাযালী রহঃ এর উদ্ভাবিত আত্নশুদ্ধি ও সংশোধনের একটি পন্থা আলোচনা করেছেন। যার মাধ্যমে মৃত্যুর পূর্বে মৃত্যুর প্রস্তুতি গ্রহন করা সম্ভব।
বইয়ের পাতা থেকেঃ
এক ব্যক্তি মৃত্যুর কাছাকাছি উপনীত, তার শারীরিক অবস্থা এমন পর্যায়ে পৌছে গেল যে, সে নিজেই শুনতে পেল যে, তার ডাক্তার তার মৃত্যুর কথা ঘোষণা করছেন ৷ হঠাৎ সে একটি কষ্টদায়ক শব্দ শুনতে পেল ৷ সাথে সাথে তার এমন অনুভূত হলো যে, সে অতি দ্রুতগতিতে দীর্ঘ ও অন্ধকারাচ্ছন্ন সুড়ঙ্গ অতিক্রম করছে ৷ অতঃপর হঠাৎ সে অনুভব করল যে, সে তার দেহ থেকে বাইরে চলে এসেছে ৷ সে দূরে দাড়িয়ে দর্শকের ন্যায় নিজ দেহ দেখতে লাগল ৷ সে দেখতে পেল যে, সে নিজে একটি দর্শনীয় স্থানে দাড়িয়ে আছে এবং তার দেহ আগের মতোই খাটের উপর পড়ে আছে ৷ ডাক্তাররা ঝুঁকে পড়ে তার বুকে ম্যাসেজ করছেন এবং কৃত্রিম উপায়ে শ্বাস-প্রশ্বাস চালু করার চেষ্টা করছেন ৷ সামান্যক্ষণ পর সে তার অনুতূতিশক্তি ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করে বুঝতে পারল যে, এই নতুন অবস্থায়ও তার একটি শরীর আছে ৷ কিন্তু তার বর্তমান শরীর পূর্বের ছেড়ে আসা শরীরের থেকে ভিন্ন ৷ তার বর্তমান শরীরের অবস্থাও অন্যরকম ৷ তার শরীরের শক্তি অন্যরকম ৷ এ অবস্থায় কিছুক্ষণ পর সে তার মৃত আত্থীয়-স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবদের দেখতে পেল ৷ অতঃপর সে একটি নূরের সত্তা বা মাখলুক (Beigh of Light)দেখতে পায়, সে সত্তা তাকে বলে যে, তুমি তোমার (বিগত) জীবনের হিসাব (খবর) নাও ! তার একথা শব্দের মাধ্যমে না হয়ে অন্যভাবে (Non-verbal) শ্রুত হয় ৷ অতঃপর সেই নূরের সত্তা নিজেই ঐ ব্যক্তির সামনে তার জীবনের সকল গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা এনে দ্রুত তাকে দেখাতে থাকে ৷ একপর্যায়ে সে তার সামনে একটি বাধা দেখতে পায়, যে বাধা সম্পর্কে সে নিজেই বুঝতে পারে যে, এটা তার দুনিয়ার জীবন এবং মৃত্যুর পরের জীবনের মাঝখানের সীমান্ত (বর্ডার) ৷ ঐ সীমান্তের নিকট পৌছে সে জানতে পারে যে, এখন তাকে দুনিয়ায় ফিরে যেতে হবে ৷ এখনো তার মৃত্যুর সময় হয়নি ৷ এরপর সে অজ্ঞাত পন্থায় তার ঐ (পূর্ব) শরীরে ফিরে আসে, যা সে খাটের উপর ছেড়ে গিয়েছিল ৷ সুস্থ হওয়ার পর সে তার এ সকল অবস্থা অন্যকে জানাতে চায়, কিন্তু প্রথমত, তার ঐ অবস্থা (পরিপূর্ণরূপে) বর্ণনা করার জন্য মানুষের ব্যবহৃত সকল শব্দভাণ্ডার অপ্রতুল মনে হয় ৷ দ্বিতীয়ত, যখন সে এ সকল কথা মানুষকে বলে তখন তারা তাকে বিদ্রূপ করতে আরুম্ভ করে ৷ এজন্য সে নিশ্চুপ থাকে ৷