তাফসীরে তাওযীহুল কুরআন( প্রথম - তৃতীয় খন্ড)
‘তাফসীরে তাওযীহুল কুরআন-প্রথম খণ্ড(অফসেট)’ ভূমিকাঃ মাওলানা মুহাম্মাদ আবদুল মালেক আমাদের উপর কুরআন মাজীদের বহু হক রয়েছে। তারমধ্যে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ হকসমূহ। নিম্নরূপ১. কুরআন মাজীদের প্রতি পরিপূর্ণ উপলব্ধির সাথে ঈমান আনা এ ঈমানের কয়েকটি দিক আছে, যথা(ক) বিশ্বাস রাখতে হবে যে, এটা আল্লাহ তাআলার কালাম যা তিনি তাঁর রাসূল মুহাম্মাদ মুস্তাফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রতি নাযিল করেছেন। এ কিতাব যে আল্লাহ তা'আলার পক্ষ হতে অবতীর্ণ এবং এর প্রতিটি বাণী সত্য, এবং প্রতিটি শিক্ষা যথার্থ এতে বিন্দুমাত্র সন্দেহ নেই। এক উজ্জ্বল আলো যা ছাড়া অন্ধকার থেকে মুক্তির আর কোনো পথ নেই। এই কুরআন এক আসমানী পথনির্দেশ যা ছাড়া বিচ্যুতি ও বিভ্রান্তি থেকে আত্মরক্ষার আর কোনো উপায় নেই। এই কুরআন হল ফুরকান যা সত্য-মিথ্যা, আলো-অন্ধকার, ন্যায়অন্যায় ও সুপথ-কুপথের মাঝে পরিষ্কার পার্থক্যকারী। এতেও কোনও সন্দেহ নেই যে, নাযিলের সময় থেকে আজ অবধি এ কিতাব যথাযথভাবে সংরক্ষিত আছে এবং কিয়ামত পর্যন্ত সংরক্ষিত থাকবে। সুতরাং আমরা এ ব্যাপারে সম্পূর্ণ নিশ্চিত যে, বর্তমানে গ্রন্থাকারে যে কুরআন আমাদের হাতে আছে, যা সূরা ফাতিহা দ্বারা শুরু হয়ে সূরা নাস এ সমাপ্ত হয়েছে, এটাই আল্লাহ তাআলার সেই কিতাব যা নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রতি নাযিল হয়েছিল এবং এর ভাব ও ভাষা এবং এর বিধান শিক্ষা ও তা পালনের পদ্ধতি, যা কিছু আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর পালনকর্তার আদেশে উম্মতকে শিক্ষা দিয়েছেন সবকিছু হুবহু সংরক্ষিত আছে।(খ) বিশ্বাস রাখতে হবে যে, মানুষের হিদায়াত ও সফলতা কুরআনের প্রতি ঈমান আনার মধ্যেই নিহিত। এ ঈমানের মাধ্যমেই মানুষ তার স্রষ্টা ও প্রতিপালক আল্লাহ তা'আলার সন্তুষ্টি লাভ করতে ও আখেরাতের মুক্তি পেতে পারে। যে ব্যক্তি এ কুরআনকে নিজের দিশারী ও আদর্শ রূপে গ্রহণ করবে দোজাহানের সফলতা কেবল তারই নসীব হবে।(গ) কুরআনের প্রতি ঈমান কেবল তখনই গ্রহণযোগ্য হবে, যখন সম্পূর্ণ কুরআনের প্রতি ঈমান আনা হবে। কুরআন মাজীদের কিছু বিধান মানা ও কিছু না মানা এবং কুরআন মাজীদকে জীবনের ক্ষেত্র বিশেষে সিদ্ধান্তদাতা বলে স্বীকার করা, ক্ষেত্রবিশেষে স্বীকার না করা, সম্পূর্ণ কুফ্ৰী আচরণ। গোটা কুরআনকে অস্বীকার করা যে পর্যায়ের কুফ্র এটাও ঠিক সে রকমেরই কুফর।অনেকেই চান পবিত্র কুরআন অর্থসহ বুঝে পড়তে, আবার একই সাথে বড় তাফসীর গ্রন্থ পড়তেও ধৈর্য ধরে রাখতে পারেন না বা সময় বের করতে পারেন না। তাদের জন্য তাফসীরে তাওযীহুল কুরআন একটি উত্তম পছন্দ হতে পারে। একদিকে প্রচলিত অর্থসহ কুরআন পড়ে অর্থ বোঝা আসলেই কঠিন, কেননা শুধুমাত্র বঙ্গানুবাদ দেখে সব আয়াতের অর্থ, শানে নুযুল জানা এক কথায় অসম্ভব। অপরদিকে বড় আকারের তাফসীর গ্রন্থ অনেকেই সময় ও ধৈর্যের অভাবে নিয়মিত পড়তে পারেন না।.এই দুই সমস্যার মাঝে সেতুবন্ধন করেছে তাফসীরে তাওযীহুল কুরআন। এই তাফসীর গ্রন্থের একটি বিশেষ দিক হলো আয়াতের পাশেই বাংলা অনুবাদ দেয়া আর প্রয়োজনীয় জায়গায় ব্যাখ্যাসহ দেয়া হয়েছে। বিভিন্ন আয়াতের শানে নুযুল বর্ণনা করা হয়েছে যা একজন সাধারণ মানুষের পক্ষে সহজবোধ্য। বিস্তারিত ব্যাখ্যা আর তাত্বিক কথা দিয়ে কলেবর বৃদ্ধি করা হয়নি। বড় বড় তাফসীর গ্রন্থ থেকে ছাঁকা ছাঁকা কথা পরিবেশনের চেষ্টা করা হয়েছে, যা লেখকের বিপুল পড়াশোনার মাধ্যমে অর্জিত হয়েছে, তাফসীরের ভূমিকায় লেখকের কথা থেকেই তা প্রতীয়মান। যেসব আয়াতের ক্ষেত্রে বিস্তারিত ব্যাখ্যার প্রয়োজন রয়েছে সেসব আয়াতের ক্ষেত্রে যুক্ত করা হয়েছে বিস্তারিত ব্যাখ্যা। আর লেখকের বিশ্বব্যাপী পরিচিতি এই কিতাবের গ্রহণযোগ্যতাকে বাড়িয়ে দিয়েছে বহু গুণে।তাফসীরের ১ম খন্ডে সূরা ফাতিহা থেকে সূরা তাওবা, ২য় খন্ডে সূরা ইউনুস থেকে সূরা আনকাবুত, ৩য় খন্ডে সূরা রুম থেকে সূরা নাস পর্যন্ত আলোচনা রয়েছে।
An Najahah Shop
Category List
All products

‘তাফসীরে তাওযীহুল কুরআন-প্রথম খণ্ড(অফসেট)’ ভূমিকাঃ মাওলানা মুহাম্মাদ আবদুল মালেক আমাদের উপর কুরআন মাজীদের বহু হক রয়েছে। তারমধ্যে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ হকসমূহ। নিম্নরূপ
১. কুরআন মাজীদের প্রতি পরিপূর্ণ উপলব্ধির সাথে ঈমান আনা এ ঈমানের কয়েকটি দিক আছে, যথা
(ক) বিশ্বাস রাখতে হবে যে, এটা আল্লাহ তাআলার কালাম যা তিনি তাঁর রাসূল মুহাম্মাদ মুস্তাফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রতি নাযিল করেছেন। এ কিতাব যে আল্লাহ তা'আলার পক্ষ হতে অবতীর্ণ এবং এর প্রতিটি বাণী সত্য, এবং প্রতিটি শিক্ষা যথার্থ এতে বিন্দুমাত্র সন্দেহ নেই। এক উজ্জ্বল আলো যা ছাড়া অন্ধকার থেকে মুক্তির আর কোনো পথ নেই। এই কুরআন এক আসমানী পথনির্দেশ যা ছাড়া বিচ্যুতি ও বিভ্রান্তি থেকে আত্মরক্ষার আর কোনো উপায় নেই। এই কুরআন হল ফুরকান যা সত্য-মিথ্যা, আলো-অন্ধকার, ন্যায়অন্যায় ও সুপথ-কুপথের মাঝে পরিষ্কার পার্থক্যকারী। এতেও কোনও সন্দেহ নেই যে, নাযিলের সময় থেকে আজ অবধি এ কিতাব যথাযথভাবে সংরক্ষিত আছে এবং কিয়ামত পর্যন্ত সংরক্ষিত থাকবে। সুতরাং আমরা এ ব্যাপারে সম্পূর্ণ নিশ্চিত যে, বর্তমানে গ্রন্থাকারে যে কুরআন আমাদের হাতে আছে, যা সূরা ফাতিহা দ্বারা শুরু হয়ে সূরা নাস এ সমাপ্ত হয়েছে, এটাই আল্লাহ তাআলার সেই কিতাব যা নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রতি নাযিল হয়েছিল এবং এর ভাব ও ভাষা এবং এর বিধান শিক্ষা ও তা পালনের পদ্ধতি, যা কিছু আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর পালনকর্তার আদেশে উম্মতকে শিক্ষা দিয়েছেন সবকিছু হুবহু সংরক্ষিত আছে।
(খ) বিশ্বাস রাখতে হবে যে, মানুষের হিদায়াত ও সফলতা কুরআনের প্রতি ঈমান আনার মধ্যেই নিহিত। এ ঈমানের মাধ্যমেই মানুষ তার স্রষ্টা ও প্রতিপালক আল্লাহ তা'আলার সন্তুষ্টি লাভ করতে ও আখেরাতের মুক্তি পেতে পারে। যে ব্যক্তি এ কুরআনকে নিজের দিশারী ও আদর্শ রূপে গ্রহণ করবে দোজাহানের সফলতা কেবল তারই নসীব হবে।
(গ) কুরআনের প্রতি ঈমান কেবল তখনই গ্রহণযোগ্য হবে, যখন সম্পূর্ণ কুরআনের প্রতি ঈমান আনা হবে। কুরআন মাজীদের কিছু বিধান মানা ও কিছু না মানা এবং কুরআন মাজীদকে জীবনের ক্ষেত্র বিশেষে সিদ্ধান্তদাতা বলে স্বীকার করা, ক্ষেত্রবিশেষে স্বীকার না করা, সম্পূর্ণ কুফ্ৰী আচরণ। গোটা কুরআনকে অস্বীকার করা যে পর্যায়ের কুফ্র এটাও ঠিক সে রকমেরই কুফর।
অনেকেই চান পবিত্র কুরআন অর্থসহ বুঝে পড়তে, আবার একই সাথে বড় তাফসীর গ্রন্থ পড়তেও ধৈর্য ধরে রাখতে পারেন না বা সময় বের করতে পারেন না। তাদের জন্য তাফসীরে তাওযীহুল কুরআন একটি উত্তম পছন্দ হতে পারে। একদিকে প্রচলিত অর্থসহ কুরআন পড়ে অর্থ বোঝা আসলেই কঠিন, কেননা শুধুমাত্র বঙ্গানুবাদ দেখে সব আয়াতের অর্থ, শানে নুযুল জানা এক কথায় অসম্ভব। অপরদিকে বড় আকারের তাফসীর গ্রন্থ অনেকেই সময় ও ধৈর্যের অভাবে নিয়মিত পড়তে পারেন না।
.
এই দুই সমস্যার মাঝে সেতুবন্ধন করেছে তাফসীরে তাওযীহুল কুরআন। এই তাফসীর গ্রন্থের একটি বিশেষ দিক হলো আয়াতের পাশেই বাংলা অনুবাদ দেয়া আর প্রয়োজনীয় জায়গায় ব্যাখ্যাসহ দেয়া হয়েছে। বিভিন্ন আয়াতের শানে নুযুল বর্ণনা করা হয়েছে যা একজন সাধারণ মানুষের পক্ষে সহজবোধ্য। বিস্তারিত ব্যাখ্যা আর তাত্বিক কথা দিয়ে কলেবর বৃদ্ধি করা হয়নি। বড় বড় তাফসীর গ্রন্থ থেকে ছাঁকা ছাঁকা কথা পরিবেশনের চেষ্টা করা হয়েছে, যা লেখকের বিপুল পড়াশোনার মাধ্যমে অর্জিত হয়েছে, তাফসীরের ভূমিকায় লেখকের কথা থেকেই তা প্রতীয়মান। যেসব আয়াতের ক্ষেত্রে বিস্তারিত ব্যাখ্যার প্রয়োজন রয়েছে সেসব আয়াতের ক্ষেত্রে যুক্ত করা হয়েছে বিস্তারিত ব্যাখ্যা। আর লেখকের বিশ্বব্যাপী পরিচিতি এই কিতাবের গ্রহণযোগ্যতাকে বাড়িয়ে দিয়েছে বহু গুণে।তাফসীরের ১ম খন্ডে সূরা ফাতিহা থেকে সূরা তাওবা, ২য় খন্ডে সূরা ইউনুস থেকে সূরা আনকাবুত, ৩য় খন্ডে সূরা রুম থেকে সূরা নাস পর্যন্ত আলোচনা রয়েছে।
১. কুরআন মাজীদের প্রতি পরিপূর্ণ উপলব্ধির সাথে ঈমান আনা এ ঈমানের কয়েকটি দিক আছে, যথা
(ক) বিশ্বাস রাখতে হবে যে, এটা আল্লাহ তাআলার কালাম যা তিনি তাঁর রাসূল মুহাম্মাদ মুস্তাফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রতি নাযিল করেছেন। এ কিতাব যে আল্লাহ তা'আলার পক্ষ হতে অবতীর্ণ এবং এর প্রতিটি বাণী সত্য, এবং প্রতিটি শিক্ষা যথার্থ এতে বিন্দুমাত্র সন্দেহ নেই। এক উজ্জ্বল আলো যা ছাড়া অন্ধকার থেকে মুক্তির আর কোনো পথ নেই। এই কুরআন এক আসমানী পথনির্দেশ যা ছাড়া বিচ্যুতি ও বিভ্রান্তি থেকে আত্মরক্ষার আর কোনো উপায় নেই। এই কুরআন হল ফুরকান যা সত্য-মিথ্যা, আলো-অন্ধকার, ন্যায়অন্যায় ও সুপথ-কুপথের মাঝে পরিষ্কার পার্থক্যকারী। এতেও কোনও সন্দেহ নেই যে, নাযিলের সময় থেকে আজ অবধি এ কিতাব যথাযথভাবে সংরক্ষিত আছে এবং কিয়ামত পর্যন্ত সংরক্ষিত থাকবে। সুতরাং আমরা এ ব্যাপারে সম্পূর্ণ নিশ্চিত যে, বর্তমানে গ্রন্থাকারে যে কুরআন আমাদের হাতে আছে, যা সূরা ফাতিহা দ্বারা শুরু হয়ে সূরা নাস এ সমাপ্ত হয়েছে, এটাই আল্লাহ তাআলার সেই কিতাব যা নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রতি নাযিল হয়েছিল এবং এর ভাব ও ভাষা এবং এর বিধান শিক্ষা ও তা পালনের পদ্ধতি, যা কিছু আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর পালনকর্তার আদেশে উম্মতকে শিক্ষা দিয়েছেন সবকিছু হুবহু সংরক্ষিত আছে।
(খ) বিশ্বাস রাখতে হবে যে, মানুষের হিদায়াত ও সফলতা কুরআনের প্রতি ঈমান আনার মধ্যেই নিহিত। এ ঈমানের মাধ্যমেই মানুষ তার স্রষ্টা ও প্রতিপালক আল্লাহ তা'আলার সন্তুষ্টি লাভ করতে ও আখেরাতের মুক্তি পেতে পারে। যে ব্যক্তি এ কুরআনকে নিজের দিশারী ও আদর্শ রূপে গ্রহণ করবে দোজাহানের সফলতা কেবল তারই নসীব হবে।
(গ) কুরআনের প্রতি ঈমান কেবল তখনই গ্রহণযোগ্য হবে, যখন সম্পূর্ণ কুরআনের প্রতি ঈমান আনা হবে। কুরআন মাজীদের কিছু বিধান মানা ও কিছু না মানা এবং কুরআন মাজীদকে জীবনের ক্ষেত্র বিশেষে সিদ্ধান্তদাতা বলে স্বীকার করা, ক্ষেত্রবিশেষে স্বীকার না করা, সম্পূর্ণ কুফ্ৰী আচরণ। গোটা কুরআনকে অস্বীকার করা যে পর্যায়ের কুফ্র এটাও ঠিক সে রকমেরই কুফর।
অনেকেই চান পবিত্র কুরআন অর্থসহ বুঝে পড়তে, আবার একই সাথে বড় তাফসীর গ্রন্থ পড়তেও ধৈর্য ধরে রাখতে পারেন না বা সময় বের করতে পারেন না। তাদের জন্য তাফসীরে তাওযীহুল কুরআন একটি উত্তম পছন্দ হতে পারে। একদিকে প্রচলিত অর্থসহ কুরআন পড়ে অর্থ বোঝা আসলেই কঠিন, কেননা শুধুমাত্র বঙ্গানুবাদ দেখে সব আয়াতের অর্থ, শানে নুযুল জানা এক কথায় অসম্ভব। অপরদিকে বড় আকারের তাফসীর গ্রন্থ অনেকেই সময় ও ধৈর্যের অভাবে নিয়মিত পড়তে পারেন না।
.
এই দুই সমস্যার মাঝে সেতুবন্ধন করেছে তাফসীরে তাওযীহুল কুরআন। এই তাফসীর গ্রন্থের একটি বিশেষ দিক হলো আয়াতের পাশেই বাংলা অনুবাদ দেয়া আর প্রয়োজনীয় জায়গায় ব্যাখ্যাসহ দেয়া হয়েছে। বিভিন্ন আয়াতের শানে নুযুল বর্ণনা করা হয়েছে যা একজন সাধারণ মানুষের পক্ষে সহজবোধ্য। বিস্তারিত ব্যাখ্যা আর তাত্বিক কথা দিয়ে কলেবর বৃদ্ধি করা হয়নি। বড় বড় তাফসীর গ্রন্থ থেকে ছাঁকা ছাঁকা কথা পরিবেশনের চেষ্টা করা হয়েছে, যা লেখকের বিপুল পড়াশোনার মাধ্যমে অর্জিত হয়েছে, তাফসীরের ভূমিকায় লেখকের কথা থেকেই তা প্রতীয়মান। যেসব আয়াতের ক্ষেত্রে বিস্তারিত ব্যাখ্যার প্রয়োজন রয়েছে সেসব আয়াতের ক্ষেত্রে যুক্ত করা হয়েছে বিস্তারিত ব্যাখ্যা। আর লেখকের বিশ্বব্যাপী পরিচিতি এই কিতাবের গ্রহণযোগ্যতাকে বাড়িয়ে দিয়েছে বহু গুণে।তাফসীরের ১ম খন্ডে সূরা ফাতিহা থেকে সূরা তাওবা, ২য় খন্ডে সূরা ইউনুস থেকে সূরা আনকাবুত, ৩য় খন্ডে সূরা রুম থেকে সূরা নাস পর্যন্ত আলোচনা রয়েছে।
তাফসীরে তাওযীহুল কুরআন( প্রথম - তৃতীয় খন্ড)
1,500 BDT3,000 BDTSave 1,500 BDT
1
‘তাফসীরে তাওযীহুল কুরআন-প্রথম খণ্ড(অফসেট)’ ভূমিকাঃ মাওলানা মুহাম্মাদ আবদুল মালেক আমাদের উপর কুরআন মাজীদের বহু হক রয়েছে। তারমধ্যে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ হকসমূহ। নিম্নরূপ
১. কুরআন মাজীদের প্রতি পরিপূর্ণ উপলব্ধির সাথে ঈমান আনা এ ঈমানের কয়েকটি দিক আছে, যথা
(ক) বিশ্বাস রাখতে হবে যে, এটা আল্লাহ তাআলার কালাম যা তিনি তাঁর রাসূল মুহাম্মাদ মুস্তাফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রতি নাযিল করেছেন। এ কিতাব যে আল্লাহ তা'আলার পক্ষ হতে অবতীর্ণ এবং এর প্রতিটি বাণী সত্য, এবং প্রতিটি শিক্ষা যথার্থ এতে বিন্দুমাত্র সন্দেহ নেই। এক উজ্জ্বল আলো যা ছাড়া অন্ধকার থেকে মুক্তির আর কোনো পথ নেই। এই কুরআন এক আসমানী পথনির্দেশ যা ছাড়া বিচ্যুতি ও বিভ্রান্তি থেকে আত্মরক্ষার আর কোনো উপায় নেই। এই কুরআন হল ফুরকান যা সত্য-মিথ্যা, আলো-অন্ধকার, ন্যায়অন্যায় ও সুপথ-কুপথের মাঝে পরিষ্কার পার্থক্যকারী। এতেও কোনও সন্দেহ নেই যে, নাযিলের সময় থেকে আজ অবধি এ কিতাব যথাযথভাবে সংরক্ষিত আছে এবং কিয়ামত পর্যন্ত সংরক্ষিত থাকবে। সুতরাং আমরা এ ব্যাপারে সম্পূর্ণ নিশ্চিত যে, বর্তমানে গ্রন্থাকারে যে কুরআন আমাদের হাতে আছে, যা সূরা ফাতিহা দ্বারা শুরু হয়ে সূরা নাস এ সমাপ্ত হয়েছে, এটাই আল্লাহ তাআলার সেই কিতাব যা নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রতি নাযিল হয়েছিল এবং এর ভাব ও ভাষা এবং এর বিধান শিক্ষা ও তা পালনের পদ্ধতি, যা কিছু আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর পালনকর্তার আদেশে উম্মতকে শিক্ষা দিয়েছেন সবকিছু হুবহু সংরক্ষিত আছে।
(খ) বিশ্বাস রাখতে হবে যে, মানুষের হিদায়াত ও সফলতা কুরআনের প্রতি ঈমান আনার মধ্যেই নিহিত। এ ঈমানের মাধ্যমেই মানুষ তার স্রষ্টা ও প্রতিপালক আল্লাহ তা'আলার সন্তুষ্টি লাভ করতে ও আখেরাতের মুক্তি পেতে পারে। যে ব্যক্তি এ কুরআনকে নিজের দিশারী ও আদর্শ রূপে গ্রহণ করবে দোজাহানের সফলতা কেবল তারই নসীব হবে।
(গ) কুরআনের প্রতি ঈমান কেবল তখনই গ্রহণযোগ্য হবে, যখন সম্পূর্ণ কুরআনের প্রতি ঈমান আনা হবে। কুরআন মাজীদের কিছু বিধান মানা ও কিছু না মানা এবং কুরআন মাজীদকে জীবনের ক্ষেত্র বিশেষে সিদ্ধান্তদাতা বলে স্বীকার করা, ক্ষেত্রবিশেষে স্বীকার না করা, সম্পূর্ণ কুফ্ৰী আচরণ। গোটা কুরআনকে অস্বীকার করা যে পর্যায়ের কুফ্র এটাও ঠিক সে রকমেরই কুফর।
অনেকেই চান পবিত্র কুরআন অর্থসহ বুঝে পড়তে, আবার একই সাথে বড় তাফসীর গ্রন্থ পড়তেও ধৈর্য ধরে রাখতে পারেন না বা সময় বের করতে পারেন না। তাদের জন্য তাফসীরে তাওযীহুল কুরআন একটি উত্তম পছন্দ হতে পারে। একদিকে প্রচলিত অর্থসহ কুরআন পড়ে অর্থ বোঝা আসলেই কঠিন, কেননা শুধুমাত্র বঙ্গানুবাদ দেখে সব আয়াতের অর্থ, শানে নুযুল জানা এক কথায় অসম্ভব। অপরদিকে বড় আকারের তাফসীর গ্রন্থ অনেকেই সময় ও ধৈর্যের অভাবে নিয়মিত পড়তে পারেন না।
.
এই দুই সমস্যার মাঝে সেতুবন্ধন করেছে তাফসীরে তাওযীহুল কুরআন। এই তাফসীর গ্রন্থের একটি বিশেষ দিক হলো আয়াতের পাশেই বাংলা অনুবাদ দেয়া আর প্রয়োজনীয় জায়গায় ব্যাখ্যাসহ দেয়া হয়েছে। বিভিন্ন আয়াতের শানে নুযুল বর্ণনা করা হয়েছে যা একজন সাধারণ মানুষের পক্ষে সহজবোধ্য। বিস্তারিত ব্যাখ্যা আর তাত্বিক কথা দিয়ে কলেবর বৃদ্ধি করা হয়নি। বড় বড় তাফসীর গ্রন্থ থেকে ছাঁকা ছাঁকা কথা পরিবেশনের চেষ্টা করা হয়েছে, যা লেখকের বিপুল পড়াশোনার মাধ্যমে অর্জিত হয়েছে, তাফসীরের ভূমিকায় লেখকের কথা থেকেই তা প্রতীয়মান। যেসব আয়াতের ক্ষেত্রে বিস্তারিত ব্যাখ্যার প্রয়োজন রয়েছে সেসব আয়াতের ক্ষেত্রে যুক্ত করা হয়েছে বিস্তারিত ব্যাখ্যা। আর লেখকের বিশ্বব্যাপী পরিচিতি এই কিতাবের গ্রহণযোগ্যতাকে বাড়িয়ে দিয়েছে বহু গুণে।তাফসীরের ১ম খন্ডে সূরা ফাতিহা থেকে সূরা তাওবা, ২য় খন্ডে সূরা ইউনুস থেকে সূরা আনকাবুত, ৩য় খন্ডে সূরা রুম থেকে সূরা নাস পর্যন্ত আলোচনা রয়েছে।
১. কুরআন মাজীদের প্রতি পরিপূর্ণ উপলব্ধির সাথে ঈমান আনা এ ঈমানের কয়েকটি দিক আছে, যথা
(ক) বিশ্বাস রাখতে হবে যে, এটা আল্লাহ তাআলার কালাম যা তিনি তাঁর রাসূল মুহাম্মাদ মুস্তাফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রতি নাযিল করেছেন। এ কিতাব যে আল্লাহ তা'আলার পক্ষ হতে অবতীর্ণ এবং এর প্রতিটি বাণী সত্য, এবং প্রতিটি শিক্ষা যথার্থ এতে বিন্দুমাত্র সন্দেহ নেই। এক উজ্জ্বল আলো যা ছাড়া অন্ধকার থেকে মুক্তির আর কোনো পথ নেই। এই কুরআন এক আসমানী পথনির্দেশ যা ছাড়া বিচ্যুতি ও বিভ্রান্তি থেকে আত্মরক্ষার আর কোনো উপায় নেই। এই কুরআন হল ফুরকান যা সত্য-মিথ্যা, আলো-অন্ধকার, ন্যায়অন্যায় ও সুপথ-কুপথের মাঝে পরিষ্কার পার্থক্যকারী। এতেও কোনও সন্দেহ নেই যে, নাযিলের সময় থেকে আজ অবধি এ কিতাব যথাযথভাবে সংরক্ষিত আছে এবং কিয়ামত পর্যন্ত সংরক্ষিত থাকবে। সুতরাং আমরা এ ব্যাপারে সম্পূর্ণ নিশ্চিত যে, বর্তমানে গ্রন্থাকারে যে কুরআন আমাদের হাতে আছে, যা সূরা ফাতিহা দ্বারা শুরু হয়ে সূরা নাস এ সমাপ্ত হয়েছে, এটাই আল্লাহ তাআলার সেই কিতাব যা নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রতি নাযিল হয়েছিল এবং এর ভাব ও ভাষা এবং এর বিধান শিক্ষা ও তা পালনের পদ্ধতি, যা কিছু আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর পালনকর্তার আদেশে উম্মতকে শিক্ষা দিয়েছেন সবকিছু হুবহু সংরক্ষিত আছে।
(খ) বিশ্বাস রাখতে হবে যে, মানুষের হিদায়াত ও সফলতা কুরআনের প্রতি ঈমান আনার মধ্যেই নিহিত। এ ঈমানের মাধ্যমেই মানুষ তার স্রষ্টা ও প্রতিপালক আল্লাহ তা'আলার সন্তুষ্টি লাভ করতে ও আখেরাতের মুক্তি পেতে পারে। যে ব্যক্তি এ কুরআনকে নিজের দিশারী ও আদর্শ রূপে গ্রহণ করবে দোজাহানের সফলতা কেবল তারই নসীব হবে।
(গ) কুরআনের প্রতি ঈমান কেবল তখনই গ্রহণযোগ্য হবে, যখন সম্পূর্ণ কুরআনের প্রতি ঈমান আনা হবে। কুরআন মাজীদের কিছু বিধান মানা ও কিছু না মানা এবং কুরআন মাজীদকে জীবনের ক্ষেত্র বিশেষে সিদ্ধান্তদাতা বলে স্বীকার করা, ক্ষেত্রবিশেষে স্বীকার না করা, সম্পূর্ণ কুফ্ৰী আচরণ। গোটা কুরআনকে অস্বীকার করা যে পর্যায়ের কুফ্র এটাও ঠিক সে রকমেরই কুফর।
অনেকেই চান পবিত্র কুরআন অর্থসহ বুঝে পড়তে, আবার একই সাথে বড় তাফসীর গ্রন্থ পড়তেও ধৈর্য ধরে রাখতে পারেন না বা সময় বের করতে পারেন না। তাদের জন্য তাফসীরে তাওযীহুল কুরআন একটি উত্তম পছন্দ হতে পারে। একদিকে প্রচলিত অর্থসহ কুরআন পড়ে অর্থ বোঝা আসলেই কঠিন, কেননা শুধুমাত্র বঙ্গানুবাদ দেখে সব আয়াতের অর্থ, শানে নুযুল জানা এক কথায় অসম্ভব। অপরদিকে বড় আকারের তাফসীর গ্রন্থ অনেকেই সময় ও ধৈর্যের অভাবে নিয়মিত পড়তে পারেন না।
.
এই দুই সমস্যার মাঝে সেতুবন্ধন করেছে তাফসীরে তাওযীহুল কুরআন। এই তাফসীর গ্রন্থের একটি বিশেষ দিক হলো আয়াতের পাশেই বাংলা অনুবাদ দেয়া আর প্রয়োজনীয় জায়গায় ব্যাখ্যাসহ দেয়া হয়েছে। বিভিন্ন আয়াতের শানে নুযুল বর্ণনা করা হয়েছে যা একজন সাধারণ মানুষের পক্ষে সহজবোধ্য। বিস্তারিত ব্যাখ্যা আর তাত্বিক কথা দিয়ে কলেবর বৃদ্ধি করা হয়নি। বড় বড় তাফসীর গ্রন্থ থেকে ছাঁকা ছাঁকা কথা পরিবেশনের চেষ্টা করা হয়েছে, যা লেখকের বিপুল পড়াশোনার মাধ্যমে অর্জিত হয়েছে, তাফসীরের ভূমিকায় লেখকের কথা থেকেই তা প্রতীয়মান। যেসব আয়াতের ক্ষেত্রে বিস্তারিত ব্যাখ্যার প্রয়োজন রয়েছে সেসব আয়াতের ক্ষেত্রে যুক্ত করা হয়েছে বিস্তারিত ব্যাখ্যা। আর লেখকের বিশ্বব্যাপী পরিচিতি এই কিতাবের গ্রহণযোগ্যতাকে বাড়িয়ে দিয়েছে বহু গুণে।তাফসীরের ১ম খন্ডে সূরা ফাতিহা থেকে সূরা তাওবা, ২য় খন্ডে সূরা ইউনুস থেকে সূরা আনকাবুত, ৩য় খন্ডে সূরা রুম থেকে সূরা নাস পর্যন্ত আলোচনা রয়েছে।