মাসাদিরুল কুরআন
বই: মাসাদিরুল কুরআন লেখক: হাফিয মাওলানা ছাদিকুর রহমানপ্রকাশনী: কালান্তর প্রকাশনীপৃষ্ঠা: ১১৬~ভূমিকাকুরআন বুঝে পড়তে পাড়ার মজাই আলাদা। আমার রব্বে কারিম কারিম আমাকে কী বলছেন, তা আমি বুঝতে পারছি। ভাবতেই অন্যরকম আনন্দ লাগে। নামাজে মনোযোগ ধরে রাখতে না পারার অন্যতম কারণ, আমরা আল্লাহকে কী বলছি বা আল্লাহ আমদের কী বলছেন, তা বুঝতে না পারা। কারো কথা বুঝতে পারলেই তার কথায় পুরোপুরি মনোযোগ দেওয়া সম্ভব। ~বইয়ের কথা আরবি ভাষায় অর্থবোধক শব্দ তিন প্রকার। ১ম প্রকার ক্রিয়া( ফে'ল)। আর আজ আমাদের আলোচনা ক্রিয়াকে নিয়ে। কুরআনুল কারিমের অধিকাংশ শব্দই ক্রিয়া। তাই কুরআন অর্থ বুঝে পড়তে চাইলে প্রথমে সমস্ত ক্রিয়া শিখতে হবে। কুরআনে একই ক্রিয়ামূল থেকে অনেক ক্রিয়া এসেছে। যার ফলে একটি ক্রিয়ামূল শিখলে, অনেক ক্রিয়া শেখা হয়ে যায়। এভাবে হিসাব করলে মাত্র ১৮২৫টি ক্রিয়ামূল হয় পূর্ণ কুরআনুল কারিমে। আর এই সমস্ত ক্রিয়ামূল অর্থসহ সংকলন করা হয়েছে 'মাসাদিরুল কুরআন' বইয়ে। ~পাঠপ্রতিক্রিয়াএর আগেও এ টাইপের অনেক বই দেখেছি। সেসবে কুরআনের সবগুলো ক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। যার ফলে বই অনেক বড় হয়েছে। সেসব বই কিছু পড়ে, পড়ার আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছি। আর নির্দিষ্ট করে সব ক্রিয়া শেখাও সম্ভব না। কিন্তু এ বই ব্যতিক্রম। কুরআনের সব ক্রিয়ামূল এখানে আছে। ইসম মুশতাক্বেরও ক্রিয়ামূল রয়েছে। সাথে কুরআন থেকে প্রমাণ— এটা ভালো লাগার অন্যতম কারণ। আর বইয়ের বিন্যস্তকরণ অসাধারণ! ~বইটির বৈশিষ্ট্য ১- কুরআনে ব্যবহৃত সব ক্রিয়ামূল একসাথে। ২- প্রতিটা বাবের শেষে গরদান।৩- কুরআনে ব্যবহৃত সবগুলো অর্থ দেয়া হয়েছে।৪- অভিধানের মতো অক্ষর দিয়ে সাজানো। ৫- মাসদরের সাথে কুরআনে ব্যবহৃত আয়াতও দেওয়া হয়েছে। ~সমালোচনাআমার কাছে বইয়ের সবকিছুই ভালো লেগেছে। কোনো খারাপ দিক চোখে পড়ে নি। পৃষ্ঠার মান যদিও তেমন ভালো না, তবে দাম অনুযায়ী পার্ফেক্ট।~বাঁধাই, পৃষ্ঠাসজ্জা, প্রচ্ছদবইয়ের বাঁধাই খুব মজবুত। পৃষ্ঠাসজ্জাও পছন্দ হয়েছে। প্রচ্ছদও সুন্দর। ~কিছু পরামর্শ ১- বইয়ে ১৮২৫টি ক্রিয়ামূল আছে। যাকে ৩৬৫ টি দিয়ে ভাগ করলে ভাগফল ৫ আসে। অর্থাৎ কেউ যদি প্রতিদিন ৫টি করে ক্রিয়ামূল শিখে, তাহলে একবছরে তার পুরো বইটি বা কুরআনের সমস্ত ক্রিয়ামূল শিখা হয়ে যাবে। অল্প হলেও নিয়মিত আমল আল্লাহ তাআলার পছন্দ। এখানে কেউই ওজর দেখাতে পারবেন না। ২- প্রতিটা মাদ্রাসার নেসাবে যেন বইটি ঢুকানো হয়। কওমির ছাত্র হয়েও আমাদের কুরআন তর্জমা করতে অনেক কষ্ট হয়। বলতে গেলে, কেউই পুরোপুরি পারি না। তাই, বইটি যদি নেসাবে ঢুকানো হয়, তাহলে ছাত্ররা অনায়াসে কুরআন তর্জমা করতে পারবে।৩- জেনারেল ভাইদের বলব, নিজে নিজে বইটি না পড়ে, কোনো উস্তাদের পরামর্শ নিয়ে পড়বেন। ৪- বইয়ের শুরুতে সহজে শব্দ মুখস্থ করার টেকনিক দিলে ভালো হয়। অনেকেই শব্দার্থ কিভাবে মুখস্থ করতে হয় জানে না।৫- এটার দ্বিতীয় খন্ড 'আসমাউল কুরআন আনলে অনেক ফায়দা হতো। সারা কুরআনের ইসম একই বইয়ে পাওয়া যেত। ~উপসংহারকুরআনের ভাষা আরবি। আল্লাহ ও তার রাসুলের ভাষাও আরবি। আমাদের সবারই উচিত আরবি ভাষা শেখা। আরবি ভাষা শেখে কুরআন উপলব্ধি করে পড়া। কেউ যদি কুরআন পড়ে মজা পেয়ে যায়, আমি নিশ্চিত, এই মজা সে বারবার পেতে চাইবে। তখন নামাজ পড়েও মজা পাবে। আমাদের কুরআনের ভাষা শেখার প্রথম প্রদক্ষেপ হতে পারে 'মাসাদিরুল কুরআন' বইটি।
An Najahah Shop
Category List
All products

বই: মাসাদিরুল কুরআন
লেখক: হাফিয মাওলানা ছাদিকুর রহমান
প্রকাশনী: কালান্তর প্রকাশনী
পৃষ্ঠা: ১১৬
~ভূমিকা
কুরআন বুঝে পড়তে পাড়ার মজাই আলাদা। আমার রব্বে কারিম কারিম আমাকে কী বলছেন, তা আমি বুঝতে পারছি। ভাবতেই অন্যরকম আনন্দ লাগে। নামাজে মনোযোগ ধরে রাখতে না পারার অন্যতম কারণ, আমরা আল্লাহকে কী বলছি বা আল্লাহ আমদের কী বলছেন, তা বুঝতে না পারা। কারো কথা বুঝতে পারলেই তার কথায় পুরোপুরি মনোযোগ দেওয়া সম্ভব।
~বইয়ের কথা
আরবি ভাষায় অর্থবোধক শব্দ তিন প্রকার। ১ম প্রকার ক্রিয়া( ফে'ল)। আর আজ আমাদের আলোচনা ক্রিয়াকে নিয়ে। কুরআনুল কারিমের অধিকাংশ শব্দই ক্রিয়া। তাই কুরআন অর্থ বুঝে পড়তে চাইলে প্রথমে সমস্ত ক্রিয়া শিখতে হবে। কুরআনে একই ক্রিয়ামূল থেকে অনেক ক্রিয়া এসেছে। যার ফলে একটি ক্রিয়ামূল শিখলে, অনেক ক্রিয়া শেখা হয়ে যায়। এভাবে হিসাব করলে মাত্র ১৮২৫টি ক্রিয়ামূল হয় পূর্ণ কুরআনুল কারিমে। আর এই সমস্ত ক্রিয়ামূল অর্থসহ সংকলন করা হয়েছে 'মাসাদিরুল কুরআন' বইয়ে।
~পাঠপ্রতিক্রিয়া
এর আগেও এ টাইপের অনেক বই দেখেছি। সেসবে কুরআনের সবগুলো ক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। যার ফলে বই অনেক বড় হয়েছে। সেসব বই কিছু পড়ে, পড়ার আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছি। আর নির্দিষ্ট করে সব ক্রিয়া শেখাও সম্ভব না। কিন্তু এ বই ব্যতিক্রম। কুরআনের সব ক্রিয়ামূল এখানে আছে। ইসম মুশতাক্বেরও ক্রিয়ামূল রয়েছে। সাথে কুরআন থেকে প্রমাণ— এটা ভালো লাগার অন্যতম কারণ। আর বইয়ের বিন্যস্তকরণ অসাধারণ!
~বইটির বৈশিষ্ট্য
১- কুরআনে ব্যবহৃত সব ক্রিয়ামূল একসাথে।
২- প্রতিটা বাবের শেষে গরদান।
৩- কুরআনে ব্যবহৃত সবগুলো অর্থ দেয়া হয়েছে।
৪- অভিধানের মতো অক্ষর দিয়ে সাজানো।
৫- মাসদরের সাথে কুরআনে ব্যবহৃত আয়াতও দেওয়া হয়েছে।
~সমালোচনা
আমার কাছে বইয়ের সবকিছুই ভালো লেগেছে। কোনো খারাপ দিক চোখে পড়ে নি। পৃষ্ঠার মান যদিও তেমন ভালো না, তবে দাম অনুযায়ী পার্ফেক্ট।
~বাঁধাই, পৃষ্ঠাসজ্জা, প্রচ্ছদ
বইয়ের বাঁধাই খুব মজবুত। পৃষ্ঠাসজ্জাও পছন্দ হয়েছে। প্রচ্ছদও সুন্দর।
~কিছু পরামর্শ
১- বইয়ে ১৮২৫টি ক্রিয়ামূল আছে।
যাকে ৩৬৫ টি দিয়ে ভাগ করলে ভাগফল ৫ আসে। অর্থাৎ কেউ যদি প্রতিদিন ৫টি করে ক্রিয়ামূল শিখে, তাহলে একবছরে তার পুরো বইটি বা কুরআনের সমস্ত ক্রিয়ামূল শিখা হয়ে যাবে। অল্প হলেও নিয়মিত আমল আল্লাহ তাআলার পছন্দ।
এখানে কেউই ওজর দেখাতে পারবেন না।
২- প্রতিটা মাদ্রাসার নেসাবে যেন বইটি ঢুকানো হয়। কওমির ছাত্র হয়েও আমাদের কুরআন তর্জমা করতে অনেক কষ্ট হয়। বলতে গেলে, কেউই পুরোপুরি পারি না। তাই, বইটি যদি নেসাবে ঢুকানো হয়, তাহলে ছাত্ররা অনায়াসে কুরআন তর্জমা করতে পারবে।
৩- জেনারেল ভাইদের বলব, নিজে নিজে বইটি না পড়ে, কোনো উস্তাদের পরামর্শ নিয়ে পড়বেন।
৪- বইয়ের শুরুতে সহজে শব্দ মুখস্থ করার টেকনিক দিলে ভালো হয়। অনেকেই শব্দার্থ কিভাবে মুখস্থ করতে হয় জানে না।
৫- এটার দ্বিতীয় খন্ড 'আসমাউল কুরআন আনলে অনেক ফায়দা হতো। সারা কুরআনের ইসম একই বইয়ে পাওয়া যেত।
~উপসংহার
কুরআনের ভাষা আরবি। আল্লাহ ও তার রাসুলের ভাষাও আরবি। আমাদের সবারই উচিত আরবি ভাষা শেখা। আরবি ভাষা শেখে কুরআন উপলব্ধি করে পড়া। কেউ যদি কুরআন পড়ে মজা পেয়ে যায়, আমি নিশ্চিত, এই মজা সে বারবার পেতে চাইবে। তখন নামাজ পড়েও মজা পাবে। আমাদের কুরআনের ভাষা শেখার প্রথম প্রদক্ষেপ হতে পারে 'মাসাদিরুল কুরআন' বইটি।
লেখক: হাফিয মাওলানা ছাদিকুর রহমান
প্রকাশনী: কালান্তর প্রকাশনী
পৃষ্ঠা: ১১৬
~ভূমিকা
কুরআন বুঝে পড়তে পাড়ার মজাই আলাদা। আমার রব্বে কারিম কারিম আমাকে কী বলছেন, তা আমি বুঝতে পারছি। ভাবতেই অন্যরকম আনন্দ লাগে। নামাজে মনোযোগ ধরে রাখতে না পারার অন্যতম কারণ, আমরা আল্লাহকে কী বলছি বা আল্লাহ আমদের কী বলছেন, তা বুঝতে না পারা। কারো কথা বুঝতে পারলেই তার কথায় পুরোপুরি মনোযোগ দেওয়া সম্ভব।
~বইয়ের কথা
আরবি ভাষায় অর্থবোধক শব্দ তিন প্রকার। ১ম প্রকার ক্রিয়া( ফে'ল)। আর আজ আমাদের আলোচনা ক্রিয়াকে নিয়ে। কুরআনুল কারিমের অধিকাংশ শব্দই ক্রিয়া। তাই কুরআন অর্থ বুঝে পড়তে চাইলে প্রথমে সমস্ত ক্রিয়া শিখতে হবে। কুরআনে একই ক্রিয়ামূল থেকে অনেক ক্রিয়া এসেছে। যার ফলে একটি ক্রিয়ামূল শিখলে, অনেক ক্রিয়া শেখা হয়ে যায়। এভাবে হিসাব করলে মাত্র ১৮২৫টি ক্রিয়ামূল হয় পূর্ণ কুরআনুল কারিমে। আর এই সমস্ত ক্রিয়ামূল অর্থসহ সংকলন করা হয়েছে 'মাসাদিরুল কুরআন' বইয়ে।
~পাঠপ্রতিক্রিয়া
এর আগেও এ টাইপের অনেক বই দেখেছি। সেসবে কুরআনের সবগুলো ক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। যার ফলে বই অনেক বড় হয়েছে। সেসব বই কিছু পড়ে, পড়ার আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছি। আর নির্দিষ্ট করে সব ক্রিয়া শেখাও সম্ভব না। কিন্তু এ বই ব্যতিক্রম। কুরআনের সব ক্রিয়ামূল এখানে আছে। ইসম মুশতাক্বেরও ক্রিয়ামূল রয়েছে। সাথে কুরআন থেকে প্রমাণ— এটা ভালো লাগার অন্যতম কারণ। আর বইয়ের বিন্যস্তকরণ অসাধারণ!
~বইটির বৈশিষ্ট্য
১- কুরআনে ব্যবহৃত সব ক্রিয়ামূল একসাথে।
২- প্রতিটা বাবের শেষে গরদান।
৩- কুরআনে ব্যবহৃত সবগুলো অর্থ দেয়া হয়েছে।
৪- অভিধানের মতো অক্ষর দিয়ে সাজানো।
৫- মাসদরের সাথে কুরআনে ব্যবহৃত আয়াতও দেওয়া হয়েছে।
~সমালোচনা
আমার কাছে বইয়ের সবকিছুই ভালো লেগেছে। কোনো খারাপ দিক চোখে পড়ে নি। পৃষ্ঠার মান যদিও তেমন ভালো না, তবে দাম অনুযায়ী পার্ফেক্ট।
~বাঁধাই, পৃষ্ঠাসজ্জা, প্রচ্ছদ
বইয়ের বাঁধাই খুব মজবুত। পৃষ্ঠাসজ্জাও পছন্দ হয়েছে। প্রচ্ছদও সুন্দর।
~কিছু পরামর্শ
১- বইয়ে ১৮২৫টি ক্রিয়ামূল আছে।
যাকে ৩৬৫ টি দিয়ে ভাগ করলে ভাগফল ৫ আসে। অর্থাৎ কেউ যদি প্রতিদিন ৫টি করে ক্রিয়ামূল শিখে, তাহলে একবছরে তার পুরো বইটি বা কুরআনের সমস্ত ক্রিয়ামূল শিখা হয়ে যাবে। অল্প হলেও নিয়মিত আমল আল্লাহ তাআলার পছন্দ।
এখানে কেউই ওজর দেখাতে পারবেন না।
২- প্রতিটা মাদ্রাসার নেসাবে যেন বইটি ঢুকানো হয়। কওমির ছাত্র হয়েও আমাদের কুরআন তর্জমা করতে অনেক কষ্ট হয়। বলতে গেলে, কেউই পুরোপুরি পারি না। তাই, বইটি যদি নেসাবে ঢুকানো হয়, তাহলে ছাত্ররা অনায়াসে কুরআন তর্জমা করতে পারবে।
৩- জেনারেল ভাইদের বলব, নিজে নিজে বইটি না পড়ে, কোনো উস্তাদের পরামর্শ নিয়ে পড়বেন।
৪- বইয়ের শুরুতে সহজে শব্দ মুখস্থ করার টেকনিক দিলে ভালো হয়। অনেকেই শব্দার্থ কিভাবে মুখস্থ করতে হয় জানে না।
৫- এটার দ্বিতীয় খন্ড 'আসমাউল কুরআন আনলে অনেক ফায়দা হতো। সারা কুরআনের ইসম একই বইয়ে পাওয়া যেত।
~উপসংহার
কুরআনের ভাষা আরবি। আল্লাহ ও তার রাসুলের ভাষাও আরবি। আমাদের সবারই উচিত আরবি ভাষা শেখা। আরবি ভাষা শেখে কুরআন উপলব্ধি করে পড়া। কেউ যদি কুরআন পড়ে মজা পেয়ে যায়, আমি নিশ্চিত, এই মজা সে বারবার পেতে চাইবে। তখন নামাজ পড়েও মজা পাবে। আমাদের কুরআনের ভাষা শেখার প্রথম প্রদক্ষেপ হতে পারে 'মাসাদিরুল কুরআন' বইটি।
মাসাদিরুল কুরআন
150 BDT200 BDTSave 50 BDT
1
বই: মাসাদিরুল কুরআন
লেখক: হাফিয মাওলানা ছাদিকুর রহমান
প্রকাশনী: কালান্তর প্রকাশনী
পৃষ্ঠা: ১১৬
~ভূমিকা
কুরআন বুঝে পড়তে পাড়ার মজাই আলাদা। আমার রব্বে কারিম কারিম আমাকে কী বলছেন, তা আমি বুঝতে পারছি। ভাবতেই অন্যরকম আনন্দ লাগে। নামাজে মনোযোগ ধরে রাখতে না পারার অন্যতম কারণ, আমরা আল্লাহকে কী বলছি বা আল্লাহ আমদের কী বলছেন, তা বুঝতে না পারা। কারো কথা বুঝতে পারলেই তার কথায় পুরোপুরি মনোযোগ দেওয়া সম্ভব।
~বইয়ের কথা
আরবি ভাষায় অর্থবোধক শব্দ তিন প্রকার। ১ম প্রকার ক্রিয়া( ফে'ল)। আর আজ আমাদের আলোচনা ক্রিয়াকে নিয়ে। কুরআনুল কারিমের অধিকাংশ শব্দই ক্রিয়া। তাই কুরআন অর্থ বুঝে পড়তে চাইলে প্রথমে সমস্ত ক্রিয়া শিখতে হবে। কুরআনে একই ক্রিয়ামূল থেকে অনেক ক্রিয়া এসেছে। যার ফলে একটি ক্রিয়ামূল শিখলে, অনেক ক্রিয়া শেখা হয়ে যায়। এভাবে হিসাব করলে মাত্র ১৮২৫টি ক্রিয়ামূল হয় পূর্ণ কুরআনুল কারিমে। আর এই সমস্ত ক্রিয়ামূল অর্থসহ সংকলন করা হয়েছে 'মাসাদিরুল কুরআন' বইয়ে।
~পাঠপ্রতিক্রিয়া
এর আগেও এ টাইপের অনেক বই দেখেছি। সেসবে কুরআনের সবগুলো ক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। যার ফলে বই অনেক বড় হয়েছে। সেসব বই কিছু পড়ে, পড়ার আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছি। আর নির্দিষ্ট করে সব ক্রিয়া শেখাও সম্ভব না। কিন্তু এ বই ব্যতিক্রম। কুরআনের সব ক্রিয়ামূল এখানে আছে। ইসম মুশতাক্বেরও ক্রিয়ামূল রয়েছে। সাথে কুরআন থেকে প্রমাণ— এটা ভালো লাগার অন্যতম কারণ। আর বইয়ের বিন্যস্তকরণ অসাধারণ!
~বইটির বৈশিষ্ট্য
১- কুরআনে ব্যবহৃত সব ক্রিয়ামূল একসাথে।
২- প্রতিটা বাবের শেষে গরদান।
৩- কুরআনে ব্যবহৃত সবগুলো অর্থ দেয়া হয়েছে।
৪- অভিধানের মতো অক্ষর দিয়ে সাজানো।
৫- মাসদরের সাথে কুরআনে ব্যবহৃত আয়াতও দেওয়া হয়েছে।
~সমালোচনা
আমার কাছে বইয়ের সবকিছুই ভালো লেগেছে। কোনো খারাপ দিক চোখে পড়ে নি। পৃষ্ঠার মান যদিও তেমন ভালো না, তবে দাম অনুযায়ী পার্ফেক্ট।
~বাঁধাই, পৃষ্ঠাসজ্জা, প্রচ্ছদ
বইয়ের বাঁধাই খুব মজবুত। পৃষ্ঠাসজ্জাও পছন্দ হয়েছে। প্রচ্ছদও সুন্দর।
~কিছু পরামর্শ
১- বইয়ে ১৮২৫টি ক্রিয়ামূল আছে।
যাকে ৩৬৫ টি দিয়ে ভাগ করলে ভাগফল ৫ আসে। অর্থাৎ কেউ যদি প্রতিদিন ৫টি করে ক্রিয়ামূল শিখে, তাহলে একবছরে তার পুরো বইটি বা কুরআনের সমস্ত ক্রিয়ামূল শিখা হয়ে যাবে। অল্প হলেও নিয়মিত আমল আল্লাহ তাআলার পছন্দ।
এখানে কেউই ওজর দেখাতে পারবেন না।
২- প্রতিটা মাদ্রাসার নেসাবে যেন বইটি ঢুকানো হয়। কওমির ছাত্র হয়েও আমাদের কুরআন তর্জমা করতে অনেক কষ্ট হয়। বলতে গেলে, কেউই পুরোপুরি পারি না। তাই, বইটি যদি নেসাবে ঢুকানো হয়, তাহলে ছাত্ররা অনায়াসে কুরআন তর্জমা করতে পারবে।
৩- জেনারেল ভাইদের বলব, নিজে নিজে বইটি না পড়ে, কোনো উস্তাদের পরামর্শ নিয়ে পড়বেন।
৪- বইয়ের শুরুতে সহজে শব্দ মুখস্থ করার টেকনিক দিলে ভালো হয়। অনেকেই শব্দার্থ কিভাবে মুখস্থ করতে হয় জানে না।
৫- এটার দ্বিতীয় খন্ড 'আসমাউল কুরআন আনলে অনেক ফায়দা হতো। সারা কুরআনের ইসম একই বইয়ে পাওয়া যেত।
~উপসংহার
কুরআনের ভাষা আরবি। আল্লাহ ও তার রাসুলের ভাষাও আরবি। আমাদের সবারই উচিত আরবি ভাষা শেখা। আরবি ভাষা শেখে কুরআন উপলব্ধি করে পড়া। কেউ যদি কুরআন পড়ে মজা পেয়ে যায়, আমি নিশ্চিত, এই মজা সে বারবার পেতে চাইবে। তখন নামাজ পড়েও মজা পাবে। আমাদের কুরআনের ভাষা শেখার প্রথম প্রদক্ষেপ হতে পারে 'মাসাদিরুল কুরআন' বইটি।
লেখক: হাফিয মাওলানা ছাদিকুর রহমান
প্রকাশনী: কালান্তর প্রকাশনী
পৃষ্ঠা: ১১৬
~ভূমিকা
কুরআন বুঝে পড়তে পাড়ার মজাই আলাদা। আমার রব্বে কারিম কারিম আমাকে কী বলছেন, তা আমি বুঝতে পারছি। ভাবতেই অন্যরকম আনন্দ লাগে। নামাজে মনোযোগ ধরে রাখতে না পারার অন্যতম কারণ, আমরা আল্লাহকে কী বলছি বা আল্লাহ আমদের কী বলছেন, তা বুঝতে না পারা। কারো কথা বুঝতে পারলেই তার কথায় পুরোপুরি মনোযোগ দেওয়া সম্ভব।
~বইয়ের কথা
আরবি ভাষায় অর্থবোধক শব্দ তিন প্রকার। ১ম প্রকার ক্রিয়া( ফে'ল)। আর আজ আমাদের আলোচনা ক্রিয়াকে নিয়ে। কুরআনুল কারিমের অধিকাংশ শব্দই ক্রিয়া। তাই কুরআন অর্থ বুঝে পড়তে চাইলে প্রথমে সমস্ত ক্রিয়া শিখতে হবে। কুরআনে একই ক্রিয়ামূল থেকে অনেক ক্রিয়া এসেছে। যার ফলে একটি ক্রিয়ামূল শিখলে, অনেক ক্রিয়া শেখা হয়ে যায়। এভাবে হিসাব করলে মাত্র ১৮২৫টি ক্রিয়ামূল হয় পূর্ণ কুরআনুল কারিমে। আর এই সমস্ত ক্রিয়ামূল অর্থসহ সংকলন করা হয়েছে 'মাসাদিরুল কুরআন' বইয়ে।
~পাঠপ্রতিক্রিয়া
এর আগেও এ টাইপের অনেক বই দেখেছি। সেসবে কুরআনের সবগুলো ক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। যার ফলে বই অনেক বড় হয়েছে। সেসব বই কিছু পড়ে, পড়ার আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছি। আর নির্দিষ্ট করে সব ক্রিয়া শেখাও সম্ভব না। কিন্তু এ বই ব্যতিক্রম। কুরআনের সব ক্রিয়ামূল এখানে আছে। ইসম মুশতাক্বেরও ক্রিয়ামূল রয়েছে। সাথে কুরআন থেকে প্রমাণ— এটা ভালো লাগার অন্যতম কারণ। আর বইয়ের বিন্যস্তকরণ অসাধারণ!
~বইটির বৈশিষ্ট্য
১- কুরআনে ব্যবহৃত সব ক্রিয়ামূল একসাথে।
২- প্রতিটা বাবের শেষে গরদান।
৩- কুরআনে ব্যবহৃত সবগুলো অর্থ দেয়া হয়েছে।
৪- অভিধানের মতো অক্ষর দিয়ে সাজানো।
৫- মাসদরের সাথে কুরআনে ব্যবহৃত আয়াতও দেওয়া হয়েছে।
~সমালোচনা
আমার কাছে বইয়ের সবকিছুই ভালো লেগেছে। কোনো খারাপ দিক চোখে পড়ে নি। পৃষ্ঠার মান যদিও তেমন ভালো না, তবে দাম অনুযায়ী পার্ফেক্ট।
~বাঁধাই, পৃষ্ঠাসজ্জা, প্রচ্ছদ
বইয়ের বাঁধাই খুব মজবুত। পৃষ্ঠাসজ্জাও পছন্দ হয়েছে। প্রচ্ছদও সুন্দর।
~কিছু পরামর্শ
১- বইয়ে ১৮২৫টি ক্রিয়ামূল আছে।
যাকে ৩৬৫ টি দিয়ে ভাগ করলে ভাগফল ৫ আসে। অর্থাৎ কেউ যদি প্রতিদিন ৫টি করে ক্রিয়ামূল শিখে, তাহলে একবছরে তার পুরো বইটি বা কুরআনের সমস্ত ক্রিয়ামূল শিখা হয়ে যাবে। অল্প হলেও নিয়মিত আমল আল্লাহ তাআলার পছন্দ।
এখানে কেউই ওজর দেখাতে পারবেন না।
২- প্রতিটা মাদ্রাসার নেসাবে যেন বইটি ঢুকানো হয়। কওমির ছাত্র হয়েও আমাদের কুরআন তর্জমা করতে অনেক কষ্ট হয়। বলতে গেলে, কেউই পুরোপুরি পারি না। তাই, বইটি যদি নেসাবে ঢুকানো হয়, তাহলে ছাত্ররা অনায়াসে কুরআন তর্জমা করতে পারবে।
৩- জেনারেল ভাইদের বলব, নিজে নিজে বইটি না পড়ে, কোনো উস্তাদের পরামর্শ নিয়ে পড়বেন।
৪- বইয়ের শুরুতে সহজে শব্দ মুখস্থ করার টেকনিক দিলে ভালো হয়। অনেকেই শব্দার্থ কিভাবে মুখস্থ করতে হয় জানে না।
৫- এটার দ্বিতীয় খন্ড 'আসমাউল কুরআন আনলে অনেক ফায়দা হতো। সারা কুরআনের ইসম একই বইয়ে পাওয়া যেত।
~উপসংহার
কুরআনের ভাষা আরবি। আল্লাহ ও তার রাসুলের ভাষাও আরবি। আমাদের সবারই উচিত আরবি ভাষা শেখা। আরবি ভাষা শেখে কুরআন উপলব্ধি করে পড়া। কেউ যদি কুরআন পড়ে মজা পেয়ে যায়, আমি নিশ্চিত, এই মজা সে বারবার পেতে চাইবে। তখন নামাজ পড়েও মজা পাবে। আমাদের কুরআনের ভাষা শেখার প্রথম প্রদক্ষেপ হতে পারে 'মাসাদিরুল কুরআন' বইটি।