An Najahah Shop
EN

জবানের দংশন।

An Najahah Shop

জবানের দংশন।
  • জবানের দংশন।_img_0

জবানের দংশন।

100 BDT200 BDTSave 100 BDT
1



বই: জবানের দংশন।
লেখক: শাইখ সাঈদ ইবনু আলী আল কাহতানী রহ.
অনুবাদক: মাওলানা মহিউদ্দিন কাসেমী।
পৃষ্ঠা: ১১১
সদ্ব্যবহারের মাধ্যমে আমরা নেকী লাভ করতে পারি,আবার এর অপব্যবহার আমাদের দুনিয়া ও আখেরাতের জন্য ক্ষতির কারণ ও হতে পারে। জবান দ্বারা কি ধরনের গুনাহ হতে পারে?...যদি জিজ্ঞেস করা হয়,তাহলে হয়তো আমাদের মাথায় আসবে...মিথ্যা বলা,গীবত করা,অশ্লীল ভাষায় গালি-গালাজ করা ইত্যাদি। বইটিতে প্রথমেই গীবতের পরিচয়,গীবতের ধরণ,গীবত ও চোগলখুরীর মধ্যে পার্থক্য,ভয়াবহতা তুলে ধরা হয়েছে। এছাড়াও রয়েছে এসবের থেকে পরিত্রাণের উপায়।গীবত করা হয়ে গেলে তওবা করার উপায়ের উল্লেখ আছে,আছে সেসকল কারণ,যার মাধ্যমে মানুষ গীবতের মতো জঘন্য পাপে লিপ্ত হয়। বইটি পড়ে পাঠক হয়তোবা অনেক বাস্তব অভিজ্ঞতার সাথে মিল পাবেন। আরেকটি বিষয় হলো অপবাদ,তথা কারো ব্যাপারে মিথ্যা রটানো,এর ভয়াবহ পরিণাম সম্পর্কে লেখক আলোচনা করেছেন।আরো আছে জবানের অশ্লীলতা নিয়ে আলোচনা,অবশ্যই প্রতিটা টপিকের সাথে আল-কোরআন ও হাদীসের রেফারেন্স দেয়া রয়েছে। মিথ্যা শপথ,মানুষকে খোটা দেয়া,অবান্তর প্রশংসা,যুগকে গালি দেয়া,অযথা মূল্য বৃদ্ধি করা,অভিসম্পাত করা,পাপের কথা প্রচার করে বেড়ানো,গান-বাজনা ও হারাম কবিতা,পাপাচারীকে নেতা বানানো,জবানের হেফাজতের উপায়.. ইত্যাদি ম্যাগনেটিক বিষয়সমূহ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনাও রয়েছে,বইটিতে। 🌊পাঠ প্রতিক্রিয়াঃ বইটি পড়ার সময় শুধু মনে হচ্ছিলো,নিজের সাথে মিলিয়ে দেখি তো,মিল পাই কিনা! সত্যি বলতে আমরা জেনে না জেনে জবানকে কঠিনতম গোনাহ তে লিপ্ত করছি...যেমন, 📎গীবত,গুনাহসমূহের মধ্যে খুবই প্রচলিত ও অত্যান্ত জঘন্য । হোক তা বন্ধুদের আড্ডায় কিংবা কর্মস্থলে। গীবত কি? ইমাম গাজালি রহ.গীবতের পরিচয় দিতে গিয়ে বলেছেন, "কোন মুসলমান কতৃক তার ভাইয়ের এমন আলোচনা করা,যা সে জানলে অপছন্দ করবে।" মূলত,গীবত এবং অপবাদ একই না,গীবত হলো,কারো ব্যাপারে এমন গোপন/অপছন্দনীয় বিষয় তুলে ধরা,যা সত্য/ যা তার মাঝে বিরাজমান আছে। আর কোন ভাইয়ের বিরুদ্ধে মিথ্যা রটানো হলো অপবাদ। চোগলখুরী, যা কিনা সোজা ভাষায় বললে পরষ্পরের মাঝে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করার উদ্দেশ্যে ও নিজেকে দায়মুক্ত করতে একজনের কথা আরেকজনের কাছে লাগিয়ে দেয়া। এমনকি,চোগলখোর ও জাদুকরের কাজের ধরণ ও একই ধরা হয়,কেননা উভয়ই ঘনিষ্ঠ মানুষের মাঝে দ্বন্দ্ব তৈরিতে পারঙ্গম। 📎গালি-গালাজ,,কিছু সময় আগেও হয়তো আমাদের দেশে এতো নোংরা, বীভৎস ধরনের গালি-গালাজের প্রচলন ছিলো না,তখনকার গালি-গালাজ এখনকার সময়ে নিতান্তই ডাল-ভাত ধরনের। আগে মানুষকে গালি দিতে পশুর নাম ব্যবহার হতো,এখনো হয়(যেমনঃ ছাগল,গাধা,গরু ইত্যাদি)। তবে এখনকার গালি-গালাজ শুধু ব্যাক্তিকেন্দ্রিক নয়,বরং তার মা-বাবাকে তুলেও গালি দেয়া হয়। এখন বেশীরভাগ মানুষ মনে করে, যত বাজে গালি সে ভাষায় প্রয়োগ করবে,সে ততই স্মার্ট! 📎এছাড়াও, আমরা কথায় কথায় যুগক গালি দিয়ে থাকি... অথচ আবু হুরাইরা রাযি. হতে বর্ণিত,তিনি বলেন,নবি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আল্লাহ তা'য়ালা বলেন, "আদম সন্তানরা আমাকে কষ্ট দেয়।তারা জামানাকে গালি দেয়; অথচ আমিই জামানা।আমার হাতেই সকল ক্ষমতা ; রাত ও দিন আমিই পরিবর্তন করি।" [সহিহ বুখারি: ৬/৪০] 📎মানুষকে তার দৈহিক বিষয় নিয়ে খোটা দেয়া(কালো,মোটা,খাটো ইত্যাদি) তো নিত্যনৈমত্তিক ব্যাপার,অথচ এটি স্বয়ং সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টিতে ভুল ধরার নামান্তর, যেখানে স্বয়ং আল্লাহ তা'য়ালা বলেছেন: "নিশ্চয় আমি মানুষকে সৃষ্টি করেছি শ্রেষ্ঠতম-সুন্দর আকৃতিতে।" [সুরা তীন : আয়াত-৪] 📎অবান্তর প্রশংসা,প্রশংসা করার উদ্দেশ্যে বুঝতে হবে,প্রশংসা এমন হওয়া যাবে না,যার মাধ্যমে (যার প্রশংসা করা হচ্ছে)তার মনে অহমিকা জন্ম নেয়! অনেকে হিংসার দরুন প্রশংসা করে,যার ফলে মানুষের সেই ভালো গুণ নষ্ট হয়ে যায়(ইভিল আই)। হযরত আবু মুসা রাযি.হতে বর্ণিত, নবি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক ব্যাক্তিকে অপর এক ব্যক্তির প্রশংসা করতে শুনে বললেন, তোমরা তাকে ধ্বংস করে দিলে কিংবা বলেছেন তোমরা লোকটির মেরুদণ্ড ভেঙে ফেললে। [সহিহ বুখারি: ৩/১৫৮] হযরত ওমর রাযি. এধরনের মাত্রাতিরিক্ত প্রশংসার ব্যাপারে বলেছেন, "মাত্রাতিরিক্ত প্রশংসা করা প্রশংসিত ব্যক্তিকে জবাই করে দেওয়ার নামান্তর " [ ফাতহুল বারি:১০/৪৭৭] ------- এছাড়াও আরো কতগুলো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের আলোচনা বইটিতে রয়েছে রয়েছে,যা আমাদের আত্মশুদ্ধির জন্য জানা অত্যান্ত জরুরী। সবশেষে বলবো,প্রত্যেকেরই বইটা পড়া উচিৎ।

r