সমকামিতা মহাপাপ
" বইয়ের সংক্ষিপ্ত লেখা:সমকামিতার সমস্যাটি বর্তমানের না; বরং এটা অতীতকালেরও এক প্রকাণ্ড সমস্যা। এই বিষয়ে আল্লাহ যে কঠিন ছিলেন, সে বিষয়ে আলোকপাত পাওয়া যায় পবিত্র কুরআনুল কারিমে। লুত আ.-এর জাতিকে (Sodom আর Gomorrah নগরী) আল্লাহ তায়ালা ধ্বংস করে দিয়েছিলেন যেসব কারণে; এর মধ্যে সমকামিতা ছিলএকটি। সমকামিতার বিভিন্ন পদ্ধতি রয়েছে। যেমনপরুষ পুরুষেরা পরস্পর বায়ূথে সঙ্গম করা। নারীরা পরস্পর বিভিন্ন পদ্ধতিতে যৌনমিলন করা। কিংবা পুরুষ নারীদের বায়ূপথে সঙ্গম করা। এমনিভাবে হস্তমৈথুনকেও সমকামিতা বলা হয়। সমকামিতার কারণে বড় ধরনের নানাবিধ রোগের আশংকা রয়েছে। সমকামিতার ফলে এইডসসহ অন্যান্য যৌনরোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পায়। যৌন রোগের সম্ভবনা অত্যন্ত বেশী থাকে। তাছাড়া সমকামীরা পায়ুকামী বলে এদের গনোরিয়া ও অন্যান্য রোগ হয়ে থাকে। ইসলাম ধর্মসহ সব ধর্মেই সমকামিতাকে হারাম বলা হয়েছে। পবিত্র কুরআনুল কারিমে ইরশাদ হয়েছে“আর (প্রেরণ করেছি) লূতকে। যখন সে তার কওমকে বলল, তোমরা কি এমন অশ্লীল কাজ করছ, যা তোমাদের পূর্বে সৃষ্টিকুলের কেউ করেনি? তোমরা তো নারীদের ছাড়া পুরুষদের সাথে কামনা পূর্ণ করছ, বরং তোমরা সীমালঙ্ঘনকারী কওম। আর তার কওমের উত্তর কেবল এই ছিল যে, তারা বলল, তাদেরকে তোমরা তোমাদের জনপদ থেকে বের করে দাও। নিশ্চয় তারা এমন লোক, যারা অতি পবিত্র হতে চায়। তাই আমি তাঁকে ও তাঁর পরিবারকে রক্ষা করলাম তাঁর স্ত্রী ছাড়া। সে ছিল পেছনে থেকে যাওয়া লোকদের অন্তর্ভুক্ত। আর আমি তাদের উপর বর্ষণ করেছিলাম বৃষ্টি। সুতরাং দেখ, অপরাধীদের পরিণতি কিরূপ ছিল।”[সূরা আরাফ:৮০-৮৪।] খিস্ট্রান ধর্ম বাইবেলে সমকামিতার বিষয়ে ব্যাপক আলোচনা না থাকলেও আংশিক যা আছে তার সারমর্ম হলো সমকামিতা এক ধরনের পাপ। এক্ষেত্রে রোমীয় [১:২৬-২৭] সুনির্দিষ্টভাবে শিক্ষা দেয় যে, ঈশ্বরের অবাধ্য হওয়া এবং তাঁকে অস্বীকার করার ফলস্বরূপ সমকামিতার শাস্তি দেওয়া হয়েছে। লোকেরা যখন অবিশ্বাসের কারণে পাপ করতেই থাকে, তখন ঈশ্বর “লজ্জাপূর্ণ কামনার হাতে” তাদের ছেড়ে দেন যেন তারা আরও জঘন্য পাপে ডুবে যায় এবং ঈশ্বরের কাছ থেকে দূরে থাকার ফলে নিস্ফল ও নৈরাশ্যের জীবন অনুভব করতে পারে। [১ করিন্থীয় ৬:৯] পদে বলা হয়েছে যে, যারা সমকামিতায় “দোষী”, তারা ঈশ্বরের রাজ্যের অধিকার পাবে না। ঈশ্বর সমকামিতার মনোভাব দিয়ে মানুষ সৃষ্টি করেন নাই। পবিত্র বাইবেল বলেছে, লোকেরা পাপের কারণে সমকামী হয় [রোমীয় ১:২৪-২৭] এবং এটা তাদের নিজেদের পাপপূর্ণ ইচ্ছার পরিণতি। সমকামিতা কি? সমকামিতা কত প্রকার। সমকামিতার ফলাফল কি? এই জঘণ্য কাজ থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার পদ্ধতি কি? তা নিয়ে খুব সুন্দর একটি বই ‘ফাহিশাতুল লাওয়াতাত’ নামে রচনা করেছেন শাইখ মুসা ইবনু ইয়াহইয়া আয যাহরানি। যিনি তাবুকের জামে মসজিদের খতিব। তার-ই অনূদিত রূপ হলো—'সমকামিতা মহাপাপ’।
An Najahah Shop
Category List
All products
" বইয়ের সংক্ষিপ্ত লেখা:
সমকামিতার সমস্যাটি বর্তমানের না; বরং এটা অতীতকালেরও এক প্রকাণ্ড সমস্যা। এই বিষয়ে আল্লাহ যে কঠিন ছিলেন, সে বিষয়ে আলোকপাত পাওয়া যায় পবিত্র কুরআনুল কারিমে। লুত আ.-এর জাতিকে (Sodom আর Gomorrah নগরী) আল্লাহ তায়ালা ধ্বংস করে দিয়েছিলেন যেসব কারণে; এর মধ্যে সমকামিতা ছিলএকটি। সমকামিতার বিভিন্ন পদ্ধতি রয়েছে। যেমনপরুষ পুরুষেরা পরস্পর বায়ূথে সঙ্গম করা। নারীরা পরস্পর বিভিন্ন পদ্ধতিতে যৌনমিলন করা। কিংবা পুরুষ নারীদের বায়ূপথে সঙ্গম করা। এমনিভাবে হস্তমৈথুনকেও সমকামিতা বলা হয়। সমকামিতার কারণে বড় ধরনের নানাবিধ রোগের আশংকা রয়েছে। সমকামিতার ফলে এইডসসহ অন্যান্য যৌনরোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পায়। যৌন রোগের সম্ভবনা অত্যন্ত বেশী থাকে। তাছাড়া সমকামীরা পায়ুকামী বলে এদের গনোরিয়া ও অন্যান্য রোগ হয়ে থাকে। ইসলাম ধর্মসহ সব ধর্মেই সমকামিতাকে হারাম বলা হয়েছে। পবিত্র কুরআনুল কারিমে ইরশাদ হয়েছে“আর (প্রেরণ করেছি) লূতকে। যখন সে তার কওমকে বলল, তোমরা কি এমন অশ্লীল কাজ করছ, যা তোমাদের পূর্বে সৃষ্টিকুলের কেউ করেনি? তোমরা তো নারীদের ছাড়া পুরুষদের সাথে কামনা পূর্ণ করছ, বরং তোমরা সীমালঙ্ঘনকারী কওম। আর তার কওমের উত্তর কেবল এই ছিল যে, তারা বলল, তাদেরকে তোমরা তোমাদের জনপদ থেকে বের করে দাও। নিশ্চয় তারা এমন লোক, যারা অতি পবিত্র হতে চায়। তাই আমি তাঁকে ও তাঁর পরিবারকে রক্ষা করলাম তাঁর স্ত্রী ছাড়া। সে ছিল পেছনে থেকে যাওয়া লোকদের অন্তর্ভুক্ত। আর আমি তাদের উপর বর্ষণ করেছিলাম বৃষ্টি। সুতরাং দেখ, অপরাধীদের পরিণতি কিরূপ ছিল।”[সূরা আরাফ:৮০-৮৪।] খিস্ট্রান ধর্ম বাইবেলে সমকামিতার বিষয়ে ব্যাপক আলোচনা না থাকলেও আংশিক যা আছে তার সারমর্ম হলো সমকামিতা এক ধরনের পাপ। এক্ষেত্রে রোমীয় [১:২৬-২৭] সুনির্দিষ্টভাবে শিক্ষা দেয় যে, ঈশ্বরের অবাধ্য হওয়া এবং তাঁকে অস্বীকার করার ফলস্বরূপ সমকামিতার শাস্তি দেওয়া হয়েছে। লোকেরা যখন অবিশ্বাসের কারণে পাপ করতেই থাকে, তখন ঈশ্বর “লজ্জাপূর্ণ কামনার হাতে” তাদের ছেড়ে দেন যেন তারা আরও জঘন্য পাপে ডুবে যায় এবং ঈশ্বরের কাছ থেকে দূরে থাকার ফলে নিস্ফল ও নৈরাশ্যের জীবন অনুভব করতে পারে। [১ করিন্থীয় ৬:৯] পদে বলা হয়েছে যে, যারা সমকামিতায় “দোষী”, তারা ঈশ্বরের রাজ্যের অধিকার পাবে না। ঈশ্বর সমকামিতার মনোভাব দিয়ে মানুষ সৃষ্টি করেন নাই। পবিত্র বাইবেল বলেছে, লোকেরা পাপের কারণে সমকামী হয় [রোমীয় ১:২৪-২৭] এবং এটা তাদের নিজেদের পাপপূর্ণ ইচ্ছার পরিণতি। সমকামিতা কি? সমকামিতা কত প্রকার। সমকামিতার ফলাফল কি? এই জঘণ্য কাজ থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার পদ্ধতি কি? তা নিয়ে খুব সুন্দর একটি বই ‘ফাহিশাতুল লাওয়াতাত’ নামে রচনা করেছেন শাইখ মুসা ইবনু ইয়াহইয়া আয যাহরানি। যিনি তাবুকের জামে মসজিদের খতিব। তার-ই অনূদিত রূপ হলো—'সমকামিতা মহাপাপ’।
সমকামিতার সমস্যাটি বর্তমানের না; বরং এটা অতীতকালেরও এক প্রকাণ্ড সমস্যা। এই বিষয়ে আল্লাহ যে কঠিন ছিলেন, সে বিষয়ে আলোকপাত পাওয়া যায় পবিত্র কুরআনুল কারিমে। লুত আ.-এর জাতিকে (Sodom আর Gomorrah নগরী) আল্লাহ তায়ালা ধ্বংস করে দিয়েছিলেন যেসব কারণে; এর মধ্যে সমকামিতা ছিলএকটি। সমকামিতার বিভিন্ন পদ্ধতি রয়েছে। যেমনপরুষ পুরুষেরা পরস্পর বায়ূথে সঙ্গম করা। নারীরা পরস্পর বিভিন্ন পদ্ধতিতে যৌনমিলন করা। কিংবা পুরুষ নারীদের বায়ূপথে সঙ্গম করা। এমনিভাবে হস্তমৈথুনকেও সমকামিতা বলা হয়। সমকামিতার কারণে বড় ধরনের নানাবিধ রোগের আশংকা রয়েছে। সমকামিতার ফলে এইডসসহ অন্যান্য যৌনরোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পায়। যৌন রোগের সম্ভবনা অত্যন্ত বেশী থাকে। তাছাড়া সমকামীরা পায়ুকামী বলে এদের গনোরিয়া ও অন্যান্য রোগ হয়ে থাকে। ইসলাম ধর্মসহ সব ধর্মেই সমকামিতাকে হারাম বলা হয়েছে। পবিত্র কুরআনুল কারিমে ইরশাদ হয়েছে“আর (প্রেরণ করেছি) লূতকে। যখন সে তার কওমকে বলল, তোমরা কি এমন অশ্লীল কাজ করছ, যা তোমাদের পূর্বে সৃষ্টিকুলের কেউ করেনি? তোমরা তো নারীদের ছাড়া পুরুষদের সাথে কামনা পূর্ণ করছ, বরং তোমরা সীমালঙ্ঘনকারী কওম। আর তার কওমের উত্তর কেবল এই ছিল যে, তারা বলল, তাদেরকে তোমরা তোমাদের জনপদ থেকে বের করে দাও। নিশ্চয় তারা এমন লোক, যারা অতি পবিত্র হতে চায়। তাই আমি তাঁকে ও তাঁর পরিবারকে রক্ষা করলাম তাঁর স্ত্রী ছাড়া। সে ছিল পেছনে থেকে যাওয়া লোকদের অন্তর্ভুক্ত। আর আমি তাদের উপর বর্ষণ করেছিলাম বৃষ্টি। সুতরাং দেখ, অপরাধীদের পরিণতি কিরূপ ছিল।”[সূরা আরাফ:৮০-৮৪।] খিস্ট্রান ধর্ম বাইবেলে সমকামিতার বিষয়ে ব্যাপক আলোচনা না থাকলেও আংশিক যা আছে তার সারমর্ম হলো সমকামিতা এক ধরনের পাপ। এক্ষেত্রে রোমীয় [১:২৬-২৭] সুনির্দিষ্টভাবে শিক্ষা দেয় যে, ঈশ্বরের অবাধ্য হওয়া এবং তাঁকে অস্বীকার করার ফলস্বরূপ সমকামিতার শাস্তি দেওয়া হয়েছে। লোকেরা যখন অবিশ্বাসের কারণে পাপ করতেই থাকে, তখন ঈশ্বর “লজ্জাপূর্ণ কামনার হাতে” তাদের ছেড়ে দেন যেন তারা আরও জঘন্য পাপে ডুবে যায় এবং ঈশ্বরের কাছ থেকে দূরে থাকার ফলে নিস্ফল ও নৈরাশ্যের জীবন অনুভব করতে পারে। [১ করিন্থীয় ৬:৯] পদে বলা হয়েছে যে, যারা সমকামিতায় “দোষী”, তারা ঈশ্বরের রাজ্যের অধিকার পাবে না। ঈশ্বর সমকামিতার মনোভাব দিয়ে মানুষ সৃষ্টি করেন নাই। পবিত্র বাইবেল বলেছে, লোকেরা পাপের কারণে সমকামী হয় [রোমীয় ১:২৪-২৭] এবং এটা তাদের নিজেদের পাপপূর্ণ ইচ্ছার পরিণতি। সমকামিতা কি? সমকামিতা কত প্রকার। সমকামিতার ফলাফল কি? এই জঘণ্য কাজ থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার পদ্ধতি কি? তা নিয়ে খুব সুন্দর একটি বই ‘ফাহিশাতুল লাওয়াতাত’ নামে রচনা করেছেন শাইখ মুসা ইবনু ইয়াহইয়া আয যাহরানি। যিনি তাবুকের জামে মসজিদের খতিব। তার-ই অনূদিত রূপ হলো—'সমকামিতা মহাপাপ’।
সমকামিতা মহাপাপ
155 BDT260 BDTSave 105 BDT
1
" বইয়ের সংক্ষিপ্ত লেখা:
সমকামিতার সমস্যাটি বর্তমানের না; বরং এটা অতীতকালেরও এক প্রকাণ্ড সমস্যা। এই বিষয়ে আল্লাহ যে কঠিন ছিলেন, সে বিষয়ে আলোকপাত পাওয়া যায় পবিত্র কুরআনুল কারিমে। লুত আ.-এর জাতিকে (Sodom আর Gomorrah নগরী) আল্লাহ তায়ালা ধ্বংস করে দিয়েছিলেন যেসব কারণে; এর মধ্যে সমকামিতা ছিলএকটি। সমকামিতার বিভিন্ন পদ্ধতি রয়েছে। যেমনপরুষ পুরুষেরা পরস্পর বায়ূথে সঙ্গম করা। নারীরা পরস্পর বিভিন্ন পদ্ধতিতে যৌনমিলন করা। কিংবা পুরুষ নারীদের বায়ূপথে সঙ্গম করা। এমনিভাবে হস্তমৈথুনকেও সমকামিতা বলা হয়। সমকামিতার কারণে বড় ধরনের নানাবিধ রোগের আশংকা রয়েছে। সমকামিতার ফলে এইডসসহ অন্যান্য যৌনরোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পায়। যৌন রোগের সম্ভবনা অত্যন্ত বেশী থাকে। তাছাড়া সমকামীরা পায়ুকামী বলে এদের গনোরিয়া ও অন্যান্য রোগ হয়ে থাকে। ইসলাম ধর্মসহ সব ধর্মেই সমকামিতাকে হারাম বলা হয়েছে। পবিত্র কুরআনুল কারিমে ইরশাদ হয়েছে“আর (প্রেরণ করেছি) লূতকে। যখন সে তার কওমকে বলল, তোমরা কি এমন অশ্লীল কাজ করছ, যা তোমাদের পূর্বে সৃষ্টিকুলের কেউ করেনি? তোমরা তো নারীদের ছাড়া পুরুষদের সাথে কামনা পূর্ণ করছ, বরং তোমরা সীমালঙ্ঘনকারী কওম। আর তার কওমের উত্তর কেবল এই ছিল যে, তারা বলল, তাদেরকে তোমরা তোমাদের জনপদ থেকে বের করে দাও। নিশ্চয় তারা এমন লোক, যারা অতি পবিত্র হতে চায়। তাই আমি তাঁকে ও তাঁর পরিবারকে রক্ষা করলাম তাঁর স্ত্রী ছাড়া। সে ছিল পেছনে থেকে যাওয়া লোকদের অন্তর্ভুক্ত। আর আমি তাদের উপর বর্ষণ করেছিলাম বৃষ্টি। সুতরাং দেখ, অপরাধীদের পরিণতি কিরূপ ছিল।”[সূরা আরাফ:৮০-৮৪।] খিস্ট্রান ধর্ম বাইবেলে সমকামিতার বিষয়ে ব্যাপক আলোচনা না থাকলেও আংশিক যা আছে তার সারমর্ম হলো সমকামিতা এক ধরনের পাপ। এক্ষেত্রে রোমীয় [১:২৬-২৭] সুনির্দিষ্টভাবে শিক্ষা দেয় যে, ঈশ্বরের অবাধ্য হওয়া এবং তাঁকে অস্বীকার করার ফলস্বরূপ সমকামিতার শাস্তি দেওয়া হয়েছে। লোকেরা যখন অবিশ্বাসের কারণে পাপ করতেই থাকে, তখন ঈশ্বর “লজ্জাপূর্ণ কামনার হাতে” তাদের ছেড়ে দেন যেন তারা আরও জঘন্য পাপে ডুবে যায় এবং ঈশ্বরের কাছ থেকে দূরে থাকার ফলে নিস্ফল ও নৈরাশ্যের জীবন অনুভব করতে পারে। [১ করিন্থীয় ৬:৯] পদে বলা হয়েছে যে, যারা সমকামিতায় “দোষী”, তারা ঈশ্বরের রাজ্যের অধিকার পাবে না। ঈশ্বর সমকামিতার মনোভাব দিয়ে মানুষ সৃষ্টি করেন নাই। পবিত্র বাইবেল বলেছে, লোকেরা পাপের কারণে সমকামী হয় [রোমীয় ১:২৪-২৭] এবং এটা তাদের নিজেদের পাপপূর্ণ ইচ্ছার পরিণতি। সমকামিতা কি? সমকামিতা কত প্রকার। সমকামিতার ফলাফল কি? এই জঘণ্য কাজ থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার পদ্ধতি কি? তা নিয়ে খুব সুন্দর একটি বই ‘ফাহিশাতুল লাওয়াতাত’ নামে রচনা করেছেন শাইখ মুসা ইবনু ইয়াহইয়া আয যাহরানি। যিনি তাবুকের জামে মসজিদের খতিব। তার-ই অনূদিত রূপ হলো—'সমকামিতা মহাপাপ’।
সমকামিতার সমস্যাটি বর্তমানের না; বরং এটা অতীতকালেরও এক প্রকাণ্ড সমস্যা। এই বিষয়ে আল্লাহ যে কঠিন ছিলেন, সে বিষয়ে আলোকপাত পাওয়া যায় পবিত্র কুরআনুল কারিমে। লুত আ.-এর জাতিকে (Sodom আর Gomorrah নগরী) আল্লাহ তায়ালা ধ্বংস করে দিয়েছিলেন যেসব কারণে; এর মধ্যে সমকামিতা ছিলএকটি। সমকামিতার বিভিন্ন পদ্ধতি রয়েছে। যেমনপরুষ পুরুষেরা পরস্পর বায়ূথে সঙ্গম করা। নারীরা পরস্পর বিভিন্ন পদ্ধতিতে যৌনমিলন করা। কিংবা পুরুষ নারীদের বায়ূপথে সঙ্গম করা। এমনিভাবে হস্তমৈথুনকেও সমকামিতা বলা হয়। সমকামিতার কারণে বড় ধরনের নানাবিধ রোগের আশংকা রয়েছে। সমকামিতার ফলে এইডসসহ অন্যান্য যৌনরোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পায়। যৌন রোগের সম্ভবনা অত্যন্ত বেশী থাকে। তাছাড়া সমকামীরা পায়ুকামী বলে এদের গনোরিয়া ও অন্যান্য রোগ হয়ে থাকে। ইসলাম ধর্মসহ সব ধর্মেই সমকামিতাকে হারাম বলা হয়েছে। পবিত্র কুরআনুল কারিমে ইরশাদ হয়েছে“আর (প্রেরণ করেছি) লূতকে। যখন সে তার কওমকে বলল, তোমরা কি এমন অশ্লীল কাজ করছ, যা তোমাদের পূর্বে সৃষ্টিকুলের কেউ করেনি? তোমরা তো নারীদের ছাড়া পুরুষদের সাথে কামনা পূর্ণ করছ, বরং তোমরা সীমালঙ্ঘনকারী কওম। আর তার কওমের উত্তর কেবল এই ছিল যে, তারা বলল, তাদেরকে তোমরা তোমাদের জনপদ থেকে বের করে দাও। নিশ্চয় তারা এমন লোক, যারা অতি পবিত্র হতে চায়। তাই আমি তাঁকে ও তাঁর পরিবারকে রক্ষা করলাম তাঁর স্ত্রী ছাড়া। সে ছিল পেছনে থেকে যাওয়া লোকদের অন্তর্ভুক্ত। আর আমি তাদের উপর বর্ষণ করেছিলাম বৃষ্টি। সুতরাং দেখ, অপরাধীদের পরিণতি কিরূপ ছিল।”[সূরা আরাফ:৮০-৮৪।] খিস্ট্রান ধর্ম বাইবেলে সমকামিতার বিষয়ে ব্যাপক আলোচনা না থাকলেও আংশিক যা আছে তার সারমর্ম হলো সমকামিতা এক ধরনের পাপ। এক্ষেত্রে রোমীয় [১:২৬-২৭] সুনির্দিষ্টভাবে শিক্ষা দেয় যে, ঈশ্বরের অবাধ্য হওয়া এবং তাঁকে অস্বীকার করার ফলস্বরূপ সমকামিতার শাস্তি দেওয়া হয়েছে। লোকেরা যখন অবিশ্বাসের কারণে পাপ করতেই থাকে, তখন ঈশ্বর “লজ্জাপূর্ণ কামনার হাতে” তাদের ছেড়ে দেন যেন তারা আরও জঘন্য পাপে ডুবে যায় এবং ঈশ্বরের কাছ থেকে দূরে থাকার ফলে নিস্ফল ও নৈরাশ্যের জীবন অনুভব করতে পারে। [১ করিন্থীয় ৬:৯] পদে বলা হয়েছে যে, যারা সমকামিতায় “দোষী”, তারা ঈশ্বরের রাজ্যের অধিকার পাবে না। ঈশ্বর সমকামিতার মনোভাব দিয়ে মানুষ সৃষ্টি করেন নাই। পবিত্র বাইবেল বলেছে, লোকেরা পাপের কারণে সমকামী হয় [রোমীয় ১:২৪-২৭] এবং এটা তাদের নিজেদের পাপপূর্ণ ইচ্ছার পরিণতি। সমকামিতা কি? সমকামিতা কত প্রকার। সমকামিতার ফলাফল কি? এই জঘণ্য কাজ থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার পদ্ধতি কি? তা নিয়ে খুব সুন্দর একটি বই ‘ফাহিশাতুল লাওয়াতাত’ নামে রচনা করেছেন শাইখ মুসা ইবনু ইয়াহইয়া আয যাহরানি। যিনি তাবুকের জামে মসজিদের খতিব। তার-ই অনূদিত রূপ হলো—'সমকামিতা মহাপাপ’।