ডিপ্রেশন
*বর্তমান সময়ে সামাজিক ক্রাইসিসের অঙ্গনে একটি বহুল উচ্চারিত শব্দ হলো ডিপ্রেশন। আমরা যে সমাজব্যবস্থায় বসবাস করছি, তাই মূলত অনেক ঠুনকো মানসিক অস্থিরতা আর হতাশার কারিগর। এই সমাজে কেউ আমাদের মানসিক গঠনকে দুর্বল করে দিচ্ছে, কেউ আবার কৃত্রিম অস্থিরতার বীজ বুনে দিচ্ছে, কেউ-বা কৈশোর পেরোনোর পথকে এক সুদীর্ঘ চক্রে আটকে দিচ্ছে। ফলস্বরূপ আমরা এমন এক প্রজন্মের বেড়ে ওঠা দেখতে পাচ্ছি, যারা বয়সে যুবক, তবে মানসিকতায় শিশু!এই অসুস্থ সমাজ আর অসুস্থ জীবনাচারের ভিড়ে কোনোভাবেই একটা মানুষ পরিপূর্ণ মানসিক বিকাশ নিয়ে বড় হতে পারে না। ইসলামি জীবনব্যবস্থা আর ঐশী জ্ঞানের রুহানিয়্যাতই এর থেকে উত্তরণের একমাত্র পথ।লেখক ইসমাইল আরাফাহ তার বেস্টসেলার বই ‘আল হাশাশাতুন নাফসিয়্যাহ’-তে বর্তমান সমাজের এই বাস্তবতা এবং ইসলামের সমাধানকে যুগ ও প্রজন্মের ভাষায় তুলে ধরেছেন। বক্ষ্যমাণ গ্রন্থটি তারই বাংলা সংস্করণ। ডিপ্রেশন হওয়ার কারণ : আপন কারও থেকে প্রতারিত হওয়া বা কষ্ট পাওয়াবিশ্বস্ত কারও থেকে প্রতারিত হলে অথবা ভিন্ন কোনো কারণে আপনজন থেকে কষ্ট পেলে আমাদের জীবনে ঘোর অমানিশা নেমে আসে। কাউকে বিশ্বাস করতে ইচ্ছে হয় না তখন। মনে হয় দুনিয়ার সবাই প্রতারক। কারও কারও তো জীবনধারণ করতেই বিতৃষ্ণা লাগে। এ অবস্থায় অনেকে ডিপ্রেশনে পড়ে যায়। পেরেশানিতে তার জীবন ছেয়ে যায়। কাজে মনোযোগ বসে না। খাওয়াদাওয়ার ইচ্ছে হয় না। ঘুমাতে গেলে ঘুম আসে না। পাঠক, আপনি যদি এ সমস্যার কারণে ডিপ্রেশনে থাকেন, তবে নিম্নোক্ত দুআ পড়ে আল্লাহ তাআলার নিকট প্রার্থনা করুন। আল্লাহ চাইলে এ অবস্থা থেকে আপনি মুক্তি পাবেন। দুআটি হলো : اللَّهُمَّ رَادَّ الضَّالَّةِ، هَادِيَ الضَّالَّةِ، تَهْدِي مِنَ الضَّلَالِ، رُدَّ عَلَيَّ ضَالَّتِي بِعِزِّكَ وَسُلْطَانِكَ، فَإِنَّهَا مِنْ فَضْلِكَ وَعَطَائِكَ‘হে হারানো বস্তুকে পুনরুদ্ধারকারী, হে পথহারাকে পথপ্রদর্শনকারী, আপনিই পথহারানো থেকে রক্ষা করে সুপথ দেখান। আপনি আপনার কুদরত ও ক্ষমতাবলে আমার হারানো বস্তুটি ফিরিয়ে দিন। কেননা এই বস্তু তো আপনারই দান, আপনারই অনুগ্রহ।’ .ব্যাখ্যা : উপরোক্ত দুআটি ইবনে উমর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি এক ব্যক্তিকে বলেন, ‘যদি তোমার কোনো বস্তু হারিয়ে যায়, তাহলে প্রথমে অজু করবে, তারপর দুই রাকাত নামাজ পড়বে, এরপর তাশাহহুদ পড়বে, তারপর (উপরোক্ত দুআটি) পড়বে।’ .এখান থেকে বোঝা গেল, হারানো বস্তু ফিরে পাওয়ার জন্য এটি একটি উত্তম দুআ। আর মানুষ যা কিছু হারায় তন্মধ্যে সবচেয়ে দামি বস্তুগুলোর একটি হলো আপনজনের বিশ্বস্ততা। কাজেই কেউ যদি আপন কারও থেকে প্রতারিত হয় অথবা অবিশ্বস্ততার শিকার হয়, তাহলে উপরোক্ত দুআটি পড়লে আল্লাহ তাআলা হয়তো তাকে ডিপ্রেশন থেকে মুক্তি দেবেন এবং আপনজনের অবিশ্বস্ততার হাত থেকে রক্ষা করবেন।
An Najahah Shop
Category List
All products
*বর্তমান সময়ে সামাজিক ক্রাইসিসের অঙ্গনে একটি বহুল উচ্চারিত শব্দ হলো ডিপ্রেশন। আমরা যে সমাজব্যবস্থায় বসবাস করছি, তাই মূলত অনেক ঠুনকো মানসিক অস্থিরতা আর হতাশার কারিগর। এই সমাজে কেউ আমাদের মানসিক গঠনকে দুর্বল করে দিচ্ছে, কেউ আবার কৃত্রিম অস্থিরতার বীজ বুনে দিচ্ছে, কেউ-বা কৈশোর পেরোনোর পথকে এক সুদীর্ঘ চক্রে আটকে দিচ্ছে। ফলস্বরূপ আমরা এমন এক প্রজন্মের বেড়ে ওঠা দেখতে পাচ্ছি, যারা বয়সে যুবক, তবে মানসিকতায় শিশু!
এই অসুস্থ সমাজ আর অসুস্থ জীবনাচারের ভিড়ে কোনোভাবেই একটা মানুষ পরিপূর্ণ মানসিক বিকাশ নিয়ে বড় হতে পারে না। ইসলামি জীবনব্যবস্থা আর ঐশী জ্ঞানের রুহানিয়্যাতই এর থেকে উত্তরণের একমাত্র পথ।
লেখক ইসমাইল আরাফাহ তার বেস্টসেলার বই ‘আল হাশাশাতুন নাফসিয়্যাহ’-তে বর্তমান সমাজের এই বাস্তবতা এবং ইসলামের সমাধানকে যুগ ও প্রজন্মের ভাষায় তুলে ধরেছেন। বক্ষ্যমাণ গ্রন্থটি তারই বাংলা সংস্করণ।
ডিপ্রেশন হওয়ার কারণ : আপন কারও থেকে প্রতারিত হওয়া বা কষ্ট পাওয়া
বিশ্বস্ত কারও থেকে প্রতারিত হলে অথবা ভিন্ন কোনো কারণে আপনজন থেকে কষ্ট পেলে আমাদের জীবনে ঘোর অমানিশা নেমে আসে। কাউকে বিশ্বাস করতে ইচ্ছে হয় না তখন। মনে হয় দুনিয়ার সবাই প্রতারক। কারও কারও তো জীবনধারণ করতেই বিতৃষ্ণা লাগে। এ অবস্থায় অনেকে ডিপ্রেশনে পড়ে যায়। পেরেশানিতে তার জীবন ছেয়ে যায়। কাজে মনোযোগ বসে না। খাওয়াদাওয়ার ইচ্ছে হয় না। ঘুমাতে গেলে ঘুম আসে না।
পাঠক, আপনি যদি এ সমস্যার কারণে ডিপ্রেশনে থাকেন, তবে নিম্নোক্ত দুআ পড়ে আল্লাহ তাআলার নিকট প্রার্থনা করুন। আল্লাহ চাইলে এ অবস্থা থেকে আপনি মুক্তি পাবেন।
দুআটি হলো :
اللَّهُمَّ رَادَّ الضَّالَّةِ، هَادِيَ الضَّالَّةِ، تَهْدِي مِنَ الضَّلَالِ، رُدَّ عَلَيَّ ضَالَّتِي بِعِزِّكَ وَسُلْطَانِكَ، فَإِنَّهَا مِنْ فَضْلِكَ وَعَطَائِكَ
‘হে হারানো বস্তুকে পুনরুদ্ধারকারী, হে পথহারাকে পথপ্রদর্শনকারী, আপনিই পথহারানো থেকে রক্ষা করে সুপথ দেখান। আপনি আপনার কুদরত ও ক্ষমতাবলে আমার হারানো বস্তুটি ফিরিয়ে দিন। কেননা এই বস্তু তো আপনারই দান, আপনারই অনুগ্রহ।’
.
ব্যাখ্যা : উপরোক্ত দুআটি ইবনে উমর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি এক ব্যক্তিকে বলেন, ‘যদি তোমার কোনো বস্তু হারিয়ে যায়, তাহলে প্রথমে অজু করবে, তারপর দুই রাকাত নামাজ পড়বে, এরপর তাশাহহুদ পড়বে, তারপর (উপরোক্ত দুআটি) পড়বে।’
.
এখান থেকে বোঝা গেল, হারানো বস্তু ফিরে পাওয়ার জন্য এটি একটি উত্তম দুআ। আর মানুষ যা কিছু হারায় তন্মধ্যে সবচেয়ে দামি বস্তুগুলোর একটি হলো আপনজনের বিশ্বস্ততা। কাজেই কেউ যদি আপন কারও থেকে প্রতারিত হয় অথবা অবিশ্বস্ততার শিকার হয়, তাহলে উপরোক্ত দুআটি পড়লে আল্লাহ তাআলা হয়তো তাকে ডিপ্রেশন থেকে মুক্তি দেবেন এবং আপনজনের অবিশ্বস্ততার হাত থেকে রক্ষা করবেন।
এই অসুস্থ সমাজ আর অসুস্থ জীবনাচারের ভিড়ে কোনোভাবেই একটা মানুষ পরিপূর্ণ মানসিক বিকাশ নিয়ে বড় হতে পারে না। ইসলামি জীবনব্যবস্থা আর ঐশী জ্ঞানের রুহানিয়্যাতই এর থেকে উত্তরণের একমাত্র পথ।
লেখক ইসমাইল আরাফাহ তার বেস্টসেলার বই ‘আল হাশাশাতুন নাফসিয়্যাহ’-তে বর্তমান সমাজের এই বাস্তবতা এবং ইসলামের সমাধানকে যুগ ও প্রজন্মের ভাষায় তুলে ধরেছেন। বক্ষ্যমাণ গ্রন্থটি তারই বাংলা সংস্করণ।
ডিপ্রেশন হওয়ার কারণ : আপন কারও থেকে প্রতারিত হওয়া বা কষ্ট পাওয়া
বিশ্বস্ত কারও থেকে প্রতারিত হলে অথবা ভিন্ন কোনো কারণে আপনজন থেকে কষ্ট পেলে আমাদের জীবনে ঘোর অমানিশা নেমে আসে। কাউকে বিশ্বাস করতে ইচ্ছে হয় না তখন। মনে হয় দুনিয়ার সবাই প্রতারক। কারও কারও তো জীবনধারণ করতেই বিতৃষ্ণা লাগে। এ অবস্থায় অনেকে ডিপ্রেশনে পড়ে যায়। পেরেশানিতে তার জীবন ছেয়ে যায়। কাজে মনোযোগ বসে না। খাওয়াদাওয়ার ইচ্ছে হয় না। ঘুমাতে গেলে ঘুম আসে না।
পাঠক, আপনি যদি এ সমস্যার কারণে ডিপ্রেশনে থাকেন, তবে নিম্নোক্ত দুআ পড়ে আল্লাহ তাআলার নিকট প্রার্থনা করুন। আল্লাহ চাইলে এ অবস্থা থেকে আপনি মুক্তি পাবেন।
দুআটি হলো :
اللَّهُمَّ رَادَّ الضَّالَّةِ، هَادِيَ الضَّالَّةِ، تَهْدِي مِنَ الضَّلَالِ، رُدَّ عَلَيَّ ضَالَّتِي بِعِزِّكَ وَسُلْطَانِكَ، فَإِنَّهَا مِنْ فَضْلِكَ وَعَطَائِكَ
‘হে হারানো বস্তুকে পুনরুদ্ধারকারী, হে পথহারাকে পথপ্রদর্শনকারী, আপনিই পথহারানো থেকে রক্ষা করে সুপথ দেখান। আপনি আপনার কুদরত ও ক্ষমতাবলে আমার হারানো বস্তুটি ফিরিয়ে দিন। কেননা এই বস্তু তো আপনারই দান, আপনারই অনুগ্রহ।’
.
ব্যাখ্যা : উপরোক্ত দুআটি ইবনে উমর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি এক ব্যক্তিকে বলেন, ‘যদি তোমার কোনো বস্তু হারিয়ে যায়, তাহলে প্রথমে অজু করবে, তারপর দুই রাকাত নামাজ পড়বে, এরপর তাশাহহুদ পড়বে, তারপর (উপরোক্ত দুআটি) পড়বে।’
.
এখান থেকে বোঝা গেল, হারানো বস্তু ফিরে পাওয়ার জন্য এটি একটি উত্তম দুআ। আর মানুষ যা কিছু হারায় তন্মধ্যে সবচেয়ে দামি বস্তুগুলোর একটি হলো আপনজনের বিশ্বস্ততা। কাজেই কেউ যদি আপন কারও থেকে প্রতারিত হয় অথবা অবিশ্বস্ততার শিকার হয়, তাহলে উপরোক্ত দুআটি পড়লে আল্লাহ তাআলা হয়তো তাকে ডিপ্রেশন থেকে মুক্তি দেবেন এবং আপনজনের অবিশ্বস্ততার হাত থেকে রক্ষা করবেন।
ডিপ্রেশন
340 BDT395 BDTSave 55 BDT
1
*বর্তমান সময়ে সামাজিক ক্রাইসিসের অঙ্গনে একটি বহুল উচ্চারিত শব্দ হলো ডিপ্রেশন। আমরা যে সমাজব্যবস্থায় বসবাস করছি, তাই মূলত অনেক ঠুনকো মানসিক অস্থিরতা আর হতাশার কারিগর। এই সমাজে কেউ আমাদের মানসিক গঠনকে দুর্বল করে দিচ্ছে, কেউ আবার কৃত্রিম অস্থিরতার বীজ বুনে দিচ্ছে, কেউ-বা কৈশোর পেরোনোর পথকে এক সুদীর্ঘ চক্রে আটকে দিচ্ছে। ফলস্বরূপ আমরা এমন এক প্রজন্মের বেড়ে ওঠা দেখতে পাচ্ছি, যারা বয়সে যুবক, তবে মানসিকতায় শিশু!
এই অসুস্থ সমাজ আর অসুস্থ জীবনাচারের ভিড়ে কোনোভাবেই একটা মানুষ পরিপূর্ণ মানসিক বিকাশ নিয়ে বড় হতে পারে না। ইসলামি জীবনব্যবস্থা আর ঐশী জ্ঞানের রুহানিয়্যাতই এর থেকে উত্তরণের একমাত্র পথ।
লেখক ইসমাইল আরাফাহ তার বেস্টসেলার বই ‘আল হাশাশাতুন নাফসিয়্যাহ’-তে বর্তমান সমাজের এই বাস্তবতা এবং ইসলামের সমাধানকে যুগ ও প্রজন্মের ভাষায় তুলে ধরেছেন। বক্ষ্যমাণ গ্রন্থটি তারই বাংলা সংস্করণ।
ডিপ্রেশন হওয়ার কারণ : আপন কারও থেকে প্রতারিত হওয়া বা কষ্ট পাওয়া
বিশ্বস্ত কারও থেকে প্রতারিত হলে অথবা ভিন্ন কোনো কারণে আপনজন থেকে কষ্ট পেলে আমাদের জীবনে ঘোর অমানিশা নেমে আসে। কাউকে বিশ্বাস করতে ইচ্ছে হয় না তখন। মনে হয় দুনিয়ার সবাই প্রতারক। কারও কারও তো জীবনধারণ করতেই বিতৃষ্ণা লাগে। এ অবস্থায় অনেকে ডিপ্রেশনে পড়ে যায়। পেরেশানিতে তার জীবন ছেয়ে যায়। কাজে মনোযোগ বসে না। খাওয়াদাওয়ার ইচ্ছে হয় না। ঘুমাতে গেলে ঘুম আসে না।
পাঠক, আপনি যদি এ সমস্যার কারণে ডিপ্রেশনে থাকেন, তবে নিম্নোক্ত দুআ পড়ে আল্লাহ তাআলার নিকট প্রার্থনা করুন। আল্লাহ চাইলে এ অবস্থা থেকে আপনি মুক্তি পাবেন।
দুআটি হলো :
اللَّهُمَّ رَادَّ الضَّالَّةِ، هَادِيَ الضَّالَّةِ، تَهْدِي مِنَ الضَّلَالِ، رُدَّ عَلَيَّ ضَالَّتِي بِعِزِّكَ وَسُلْطَانِكَ، فَإِنَّهَا مِنْ فَضْلِكَ وَعَطَائِكَ
‘হে হারানো বস্তুকে পুনরুদ্ধারকারী, হে পথহারাকে পথপ্রদর্শনকারী, আপনিই পথহারানো থেকে রক্ষা করে সুপথ দেখান। আপনি আপনার কুদরত ও ক্ষমতাবলে আমার হারানো বস্তুটি ফিরিয়ে দিন। কেননা এই বস্তু তো আপনারই দান, আপনারই অনুগ্রহ।’
.
ব্যাখ্যা : উপরোক্ত দুআটি ইবনে উমর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি এক ব্যক্তিকে বলেন, ‘যদি তোমার কোনো বস্তু হারিয়ে যায়, তাহলে প্রথমে অজু করবে, তারপর দুই রাকাত নামাজ পড়বে, এরপর তাশাহহুদ পড়বে, তারপর (উপরোক্ত দুআটি) পড়বে।’
.
এখান থেকে বোঝা গেল, হারানো বস্তু ফিরে পাওয়ার জন্য এটি একটি উত্তম দুআ। আর মানুষ যা কিছু হারায় তন্মধ্যে সবচেয়ে দামি বস্তুগুলোর একটি হলো আপনজনের বিশ্বস্ততা। কাজেই কেউ যদি আপন কারও থেকে প্রতারিত হয় অথবা অবিশ্বস্ততার শিকার হয়, তাহলে উপরোক্ত দুআটি পড়লে আল্লাহ তাআলা হয়তো তাকে ডিপ্রেশন থেকে মুক্তি দেবেন এবং আপনজনের অবিশ্বস্ততার হাত থেকে রক্ষা করবেন।
এই অসুস্থ সমাজ আর অসুস্থ জীবনাচারের ভিড়ে কোনোভাবেই একটা মানুষ পরিপূর্ণ মানসিক বিকাশ নিয়ে বড় হতে পারে না। ইসলামি জীবনব্যবস্থা আর ঐশী জ্ঞানের রুহানিয়্যাতই এর থেকে উত্তরণের একমাত্র পথ।
লেখক ইসমাইল আরাফাহ তার বেস্টসেলার বই ‘আল হাশাশাতুন নাফসিয়্যাহ’-তে বর্তমান সমাজের এই বাস্তবতা এবং ইসলামের সমাধানকে যুগ ও প্রজন্মের ভাষায় তুলে ধরেছেন। বক্ষ্যমাণ গ্রন্থটি তারই বাংলা সংস্করণ।
ডিপ্রেশন হওয়ার কারণ : আপন কারও থেকে প্রতারিত হওয়া বা কষ্ট পাওয়া
বিশ্বস্ত কারও থেকে প্রতারিত হলে অথবা ভিন্ন কোনো কারণে আপনজন থেকে কষ্ট পেলে আমাদের জীবনে ঘোর অমানিশা নেমে আসে। কাউকে বিশ্বাস করতে ইচ্ছে হয় না তখন। মনে হয় দুনিয়ার সবাই প্রতারক। কারও কারও তো জীবনধারণ করতেই বিতৃষ্ণা লাগে। এ অবস্থায় অনেকে ডিপ্রেশনে পড়ে যায়। পেরেশানিতে তার জীবন ছেয়ে যায়। কাজে মনোযোগ বসে না। খাওয়াদাওয়ার ইচ্ছে হয় না। ঘুমাতে গেলে ঘুম আসে না।
পাঠক, আপনি যদি এ সমস্যার কারণে ডিপ্রেশনে থাকেন, তবে নিম্নোক্ত দুআ পড়ে আল্লাহ তাআলার নিকট প্রার্থনা করুন। আল্লাহ চাইলে এ অবস্থা থেকে আপনি মুক্তি পাবেন।
দুআটি হলো :
اللَّهُمَّ رَادَّ الضَّالَّةِ، هَادِيَ الضَّالَّةِ، تَهْدِي مِنَ الضَّلَالِ، رُدَّ عَلَيَّ ضَالَّتِي بِعِزِّكَ وَسُلْطَانِكَ، فَإِنَّهَا مِنْ فَضْلِكَ وَعَطَائِكَ
‘হে হারানো বস্তুকে পুনরুদ্ধারকারী, হে পথহারাকে পথপ্রদর্শনকারী, আপনিই পথহারানো থেকে রক্ষা করে সুপথ দেখান। আপনি আপনার কুদরত ও ক্ষমতাবলে আমার হারানো বস্তুটি ফিরিয়ে দিন। কেননা এই বস্তু তো আপনারই দান, আপনারই অনুগ্রহ।’
.
ব্যাখ্যা : উপরোক্ত দুআটি ইবনে উমর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি এক ব্যক্তিকে বলেন, ‘যদি তোমার কোনো বস্তু হারিয়ে যায়, তাহলে প্রথমে অজু করবে, তারপর দুই রাকাত নামাজ পড়বে, এরপর তাশাহহুদ পড়বে, তারপর (উপরোক্ত দুআটি) পড়বে।’
.
এখান থেকে বোঝা গেল, হারানো বস্তু ফিরে পাওয়ার জন্য এটি একটি উত্তম দুআ। আর মানুষ যা কিছু হারায় তন্মধ্যে সবচেয়ে দামি বস্তুগুলোর একটি হলো আপনজনের বিশ্বস্ততা। কাজেই কেউ যদি আপন কারও থেকে প্রতারিত হয় অথবা অবিশ্বস্ততার শিকার হয়, তাহলে উপরোক্ত দুআটি পড়লে আল্লাহ তাআলা হয়তো তাকে ডিপ্রেশন থেকে মুক্তি দেবেন এবং আপনজনের অবিশ্বস্ততার হাত থেকে রক্ষা করবেন।