উচ্চ মনোবল - পৌঁছে দেয় সাফল্যের শিখরে (মূল : علو الهمة)
বই : উচ্চ মনোবল - পৌঁছে দেয় সাফল্যের শিখরে (মূল : علو الهمة)লেখক : শাইখ মুহাম্মাদ ইসমাইল আল-মুকাদ্দামঅনুবাদ : হাসান মাসরুরপৃষ্ঠা সংখ্যা : ৫৪০প্রচ্ছদ মূল্য: ৬৬৮৳নাফি রহ.-কে জিজ্ঞেস করা হলো, ‘ইবনে উমর রা. ঘরে কী করতেন?’ নাফি জবাব দিলেন, ‘প্রত্যেক সালাতের জন্য অজু করতেন। আর এর মাঝের সময়টাতে কুরআন নিয়ে মগ্ন থাকতেন।’.🔘ইবনে উমর রা.-এর এক ওয়াক্ত সালাতের জামাআত ছুটে গেলে তিনি একদিন রোজা রাখতেন, একরাত জেগে আল্লাহর ইবাদত করতেন এবং একটি গোলাম মুক্ত করে দিতেন।.🔘আবু মুসা আশআরি রা. মৃত্যুর কিছু দিন আগে বেশ উদ্যমের সাথে ইবাদত করা শুরু করলেন। তাঁকে বলা হলো, ‘যদি একটু ক্ষান্ত হতেন বা নিজের প্রতি সামান্য দয়া করতেন?’ তিনি বললেন, ‘ঘোড়া যখন তার গন্তব্যের কাছাকাছি চলে আসে, তখন নিজের সর্বশক্তি ব্যয় করে। আর আমার মৃত্যুর যে সময় বাকি আছে, তা তো আরও নিকটবর্তী।’ তিনি মৃত্যু অবধি এভাবেই ইবাদত করতে থাকলেন।.🔘কাতাদা রহ. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘মুওয়াররিক আল-ইজলি বলেন, “দুনিয়াতে মুমিনের দৃষ্টান্ত হলো সমুদ্রের মাঝে কাঠ ধরে থাকা ব্যক্তির মতো—যে “হে আমার রব, হে আমার রব!” বলে প্রার্থনা করছে। আর আশা করছে, আল্লাহ তাকে রক্ষা করবেন।”’.🔘উসামা রহ. বলেন, ‘যে সুফইয়ান সাওরি রহ.-কে দেখত, তার কাছে তাঁকে সে নৌকায় আরোহী ব্যক্তির মতো মনে হতো, যে আরোহী নৌকাডুবির ভয় করছে আর অধিক পরিমাণে বলছে, হে আমার রব, রক্ষা করো, রক্ষা করো।’.🔘উমর বিন আব্দুল আজিজের স্ত্রী ফাতিমা বিনতে আব্দুল মালিক বলেন, ‘আমি উমর বিন আব্দুল আজিজের চেয়ে অধিক সালাত ও সাওম পালনকারী, তাঁর চেয়ে বেশি আল্লাহভীরু দ্বিতীয় কাউকে দেখিনি। তিনি ইশার সালাত আদায় করে বসে কাঁদতে থাকতেন, যতক্ষণ না চোখ ঘুমে জড়িয়ে আসত। এরপর আবার সজাগ হয়ে কাঁদতে থাকতেন, যতক্ষণ না ঘুম চেপে বসত। তিনি আমার পাশেই ঘুমাতেন। যখন আখিরাতের কোনো কথা স্মরণ হতো, সাথে সাথে শরীর ঝেড়ে উঠে যেতেন—যেমন চড়ুই পাখি পানি ঝেড়ে ওঠে। এরপর বসে কাঁদতে শুরু করতেন। তখন আমি তাঁর গায়ে লেপ ছড়িয়ে দিতাম।’🔘আবু উবাইদা বিন উকবা বিন নাফি রহ. ফাতিমা বিনতে আব্দুল মালিকের কাছে গিয়ে বললেন, ‘আপনি আমাকে উমর বিন আব্দুল আজিজ সম্পর্কে কিছু বলুন।’ ফাতিমা উত্তর দিলেন, ‘উমর বিন আব্দুর আজিজ খিলাফতের দায়িত্ব গ্রহণের পর কোনো দিন সহবাস বা স্বপ্নদোষের কারণে গোসল করেছেন বলে আমার জানা নেই।’.🔘আমির বিন আব্দুল্লাহকে জিজ্ঞেস করা হলো, ‘আপনি কীভাবে ইবাদত করে রাতের অনিদ্রা আর সাওম রেখে গরমের তৃষ্ণা সহ্য করেন?’ তিনি বললেন, ‘আমি কেবল দিনের আহারকে রাতে ও রাতের ঘুমকে দিনে নিয়ে যাই? এটি তো কঠিন কোনো বিষয় নয়।’ রাত হয়ে গেলে তিনি বলতেন, ‘জাহান্নামের আগুন রাতের আরাম নিয়ে গেছে।’ এ বলে সকাল পর্যন্ত আর ঘুমাতেন না। সারা রাত ইবাদতে মশগুল থাকতেন।-
An Najahah Shop
Category List
All products

বই : উচ্চ মনোবল - পৌঁছে দেয় সাফল্যের শিখরে (মূল : علو الهمة)
লেখক : শাইখ মুহাম্মাদ ইসমাইল আল-মুকাদ্দাম
অনুবাদ : হাসান মাসরুর
পৃষ্ঠা সংখ্যা : ৫৪০
প্রচ্ছদ মূল্য: ৬৬৮৳
নাফি রহ.-কে জিজ্ঞেস করা হলো, ‘ইবনে উমর রা. ঘরে কী করতেন?’ নাফি জবাব দিলেন, ‘প্রত্যেক সালাতের জন্য অজু করতেন। আর এর মাঝের সময়টাতে কুরআন নিয়ে মগ্ন থাকতেন।’
.
🔘ইবনে উমর রা.-এর এক ওয়াক্ত সালাতের জামাআত ছুটে গেলে তিনি একদিন রোজা রাখতেন, একরাত জেগে আল্লাহর ইবাদত করতেন এবং একটি গোলাম মুক্ত করে দিতেন।
.
🔘আবু মুসা আশআরি রা. মৃত্যুর কিছু দিন আগে বেশ উদ্যমের সাথে ইবাদত করা শুরু করলেন। তাঁকে বলা হলো, ‘যদি একটু ক্ষান্ত হতেন বা নিজের প্রতি সামান্য দয়া করতেন?’ তিনি বললেন, ‘ঘোড়া যখন তার গন্তব্যের কাছাকাছি চলে আসে, তখন নিজের সর্বশক্তি ব্যয় করে। আর আমার মৃত্যুর যে সময় বাকি আছে, তা তো আরও নিকটবর্তী।’ তিনি মৃত্যু অবধি এভাবেই ইবাদত করতে থাকলেন।
.
🔘কাতাদা রহ. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘মুওয়াররিক আল-ইজলি বলেন, “দুনিয়াতে মুমিনের দৃষ্টান্ত হলো সমুদ্রের মাঝে কাঠ ধরে থাকা ব্যক্তির মতো—যে “হে আমার রব, হে আমার রব!” বলে প্রার্থনা করছে। আর আশা করছে, আল্লাহ তাকে রক্ষা করবেন।”’
.
🔘উসামা রহ. বলেন, ‘যে সুফইয়ান সাওরি রহ.-কে দেখত, তার কাছে তাঁকে সে নৌকায় আরোহী ব্যক্তির মতো মনে হতো, যে আরোহী নৌকাডুবির ভয় করছে আর অধিক পরিমাণে বলছে, হে আমার রব, রক্ষা করো, রক্ষা করো।’
.
🔘উমর বিন আব্দুল আজিজের স্ত্রী ফাতিমা বিনতে আব্দুল মালিক বলেন, ‘আমি উমর বিন আব্দুল আজিজের চেয়ে অধিক সালাত ও সাওম পালনকারী, তাঁর চেয়ে বেশি আল্লাহভীরু দ্বিতীয় কাউকে দেখিনি। তিনি ইশার সালাত আদায় করে বসে কাঁদতে থাকতেন, যতক্ষণ না চোখ ঘুমে জড়িয়ে আসত। এরপর আবার সজাগ হয়ে কাঁদতে থাকতেন, যতক্ষণ না ঘুম চেপে বসত। তিনি আমার পাশেই ঘুমাতেন। যখন আখিরাতের কোনো কথা স্মরণ হতো, সাথে সাথে শরীর ঝেড়ে উঠে যেতেন—যেমন চড়ুই পাখি পানি ঝেড়ে ওঠে। এরপর বসে কাঁদতে শুরু করতেন। তখন আমি তাঁর গায়ে লেপ ছড়িয়ে দিতাম।’
🔘আবু উবাইদা বিন উকবা বিন নাফি রহ. ফাতিমা বিনতে আব্দুল মালিকের কাছে গিয়ে বললেন, ‘আপনি আমাকে উমর বিন আব্দুল আজিজ সম্পর্কে কিছু বলুন।’ ফাতিমা উত্তর দিলেন, ‘উমর বিন আব্দুর আজিজ খিলাফতের দায়িত্ব গ্রহণের পর কোনো দিন সহবাস বা স্বপ্নদোষের কারণে গোসল করেছেন বলে আমার জানা নেই।’
.
🔘আমির বিন আব্দুল্লাহকে জিজ্ঞেস করা হলো, ‘আপনি কীভাবে ইবাদত করে রাতের অনিদ্রা আর সাওম রেখে গরমের তৃষ্ণা সহ্য করেন?’ তিনি বললেন, ‘আমি কেবল দিনের আহারকে রাতে ও রাতের ঘুমকে দিনে নিয়ে যাই? এটি তো কঠিন কোনো বিষয় নয়।’ রাত হয়ে গেলে তিনি বলতেন, ‘জাহান্নামের আগুন রাতের আরাম নিয়ে গেছে।’ এ বলে সকাল পর্যন্ত আর ঘুমাতেন না। সারা রাত ইবাদতে মশগুল থাকতেন।
-
লেখক : শাইখ মুহাম্মাদ ইসমাইল আল-মুকাদ্দাম
অনুবাদ : হাসান মাসরুর
পৃষ্ঠা সংখ্যা : ৫৪০
প্রচ্ছদ মূল্য: ৬৬৮৳
নাফি রহ.-কে জিজ্ঞেস করা হলো, ‘ইবনে উমর রা. ঘরে কী করতেন?’ নাফি জবাব দিলেন, ‘প্রত্যেক সালাতের জন্য অজু করতেন। আর এর মাঝের সময়টাতে কুরআন নিয়ে মগ্ন থাকতেন।’
.
🔘ইবনে উমর রা.-এর এক ওয়াক্ত সালাতের জামাআত ছুটে গেলে তিনি একদিন রোজা রাখতেন, একরাত জেগে আল্লাহর ইবাদত করতেন এবং একটি গোলাম মুক্ত করে দিতেন।
.
🔘আবু মুসা আশআরি রা. মৃত্যুর কিছু দিন আগে বেশ উদ্যমের সাথে ইবাদত করা শুরু করলেন। তাঁকে বলা হলো, ‘যদি একটু ক্ষান্ত হতেন বা নিজের প্রতি সামান্য দয়া করতেন?’ তিনি বললেন, ‘ঘোড়া যখন তার গন্তব্যের কাছাকাছি চলে আসে, তখন নিজের সর্বশক্তি ব্যয় করে। আর আমার মৃত্যুর যে সময় বাকি আছে, তা তো আরও নিকটবর্তী।’ তিনি মৃত্যু অবধি এভাবেই ইবাদত করতে থাকলেন।
.
🔘কাতাদা রহ. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘মুওয়াররিক আল-ইজলি বলেন, “দুনিয়াতে মুমিনের দৃষ্টান্ত হলো সমুদ্রের মাঝে কাঠ ধরে থাকা ব্যক্তির মতো—যে “হে আমার রব, হে আমার রব!” বলে প্রার্থনা করছে। আর আশা করছে, আল্লাহ তাকে রক্ষা করবেন।”’
.
🔘উসামা রহ. বলেন, ‘যে সুফইয়ান সাওরি রহ.-কে দেখত, তার কাছে তাঁকে সে নৌকায় আরোহী ব্যক্তির মতো মনে হতো, যে আরোহী নৌকাডুবির ভয় করছে আর অধিক পরিমাণে বলছে, হে আমার রব, রক্ষা করো, রক্ষা করো।’
.
🔘উমর বিন আব্দুল আজিজের স্ত্রী ফাতিমা বিনতে আব্দুল মালিক বলেন, ‘আমি উমর বিন আব্দুল আজিজের চেয়ে অধিক সালাত ও সাওম পালনকারী, তাঁর চেয়ে বেশি আল্লাহভীরু দ্বিতীয় কাউকে দেখিনি। তিনি ইশার সালাত আদায় করে বসে কাঁদতে থাকতেন, যতক্ষণ না চোখ ঘুমে জড়িয়ে আসত। এরপর আবার সজাগ হয়ে কাঁদতে থাকতেন, যতক্ষণ না ঘুম চেপে বসত। তিনি আমার পাশেই ঘুমাতেন। যখন আখিরাতের কোনো কথা স্মরণ হতো, সাথে সাথে শরীর ঝেড়ে উঠে যেতেন—যেমন চড়ুই পাখি পানি ঝেড়ে ওঠে। এরপর বসে কাঁদতে শুরু করতেন। তখন আমি তাঁর গায়ে লেপ ছড়িয়ে দিতাম।’
🔘আবু উবাইদা বিন উকবা বিন নাফি রহ. ফাতিমা বিনতে আব্দুল মালিকের কাছে গিয়ে বললেন, ‘আপনি আমাকে উমর বিন আব্দুল আজিজ সম্পর্কে কিছু বলুন।’ ফাতিমা উত্তর দিলেন, ‘উমর বিন আব্দুর আজিজ খিলাফতের দায়িত্ব গ্রহণের পর কোনো দিন সহবাস বা স্বপ্নদোষের কারণে গোসল করেছেন বলে আমার জানা নেই।’
.
🔘আমির বিন আব্দুল্লাহকে জিজ্ঞেস করা হলো, ‘আপনি কীভাবে ইবাদত করে রাতের অনিদ্রা আর সাওম রেখে গরমের তৃষ্ণা সহ্য করেন?’ তিনি বললেন, ‘আমি কেবল দিনের আহারকে রাতে ও রাতের ঘুমকে দিনে নিয়ে যাই? এটি তো কঠিন কোনো বিষয় নয়।’ রাত হয়ে গেলে তিনি বলতেন, ‘জাহান্নামের আগুন রাতের আরাম নিয়ে গেছে।’ এ বলে সকাল পর্যন্ত আর ঘুমাতেন না। সারা রাত ইবাদতে মশগুল থাকতেন।
-
উচ্চ মনোবল - পৌঁছে দেয় সাফল্যের শিখরে (মূল : علو الهمة)
465 BDT668 BDTSave 203 BDT
1
বই : উচ্চ মনোবল - পৌঁছে দেয় সাফল্যের শিখরে (মূল : علو الهمة)
লেখক : শাইখ মুহাম্মাদ ইসমাইল আল-মুকাদ্দাম
অনুবাদ : হাসান মাসরুর
পৃষ্ঠা সংখ্যা : ৫৪০
প্রচ্ছদ মূল্য: ৬৬৮৳
নাফি রহ.-কে জিজ্ঞেস করা হলো, ‘ইবনে উমর রা. ঘরে কী করতেন?’ নাফি জবাব দিলেন, ‘প্রত্যেক সালাতের জন্য অজু করতেন। আর এর মাঝের সময়টাতে কুরআন নিয়ে মগ্ন থাকতেন।’
.
🔘ইবনে উমর রা.-এর এক ওয়াক্ত সালাতের জামাআত ছুটে গেলে তিনি একদিন রোজা রাখতেন, একরাত জেগে আল্লাহর ইবাদত করতেন এবং একটি গোলাম মুক্ত করে দিতেন।
.
🔘আবু মুসা আশআরি রা. মৃত্যুর কিছু দিন আগে বেশ উদ্যমের সাথে ইবাদত করা শুরু করলেন। তাঁকে বলা হলো, ‘যদি একটু ক্ষান্ত হতেন বা নিজের প্রতি সামান্য দয়া করতেন?’ তিনি বললেন, ‘ঘোড়া যখন তার গন্তব্যের কাছাকাছি চলে আসে, তখন নিজের সর্বশক্তি ব্যয় করে। আর আমার মৃত্যুর যে সময় বাকি আছে, তা তো আরও নিকটবর্তী।’ তিনি মৃত্যু অবধি এভাবেই ইবাদত করতে থাকলেন।
.
🔘কাতাদা রহ. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘মুওয়াররিক আল-ইজলি বলেন, “দুনিয়াতে মুমিনের দৃষ্টান্ত হলো সমুদ্রের মাঝে কাঠ ধরে থাকা ব্যক্তির মতো—যে “হে আমার রব, হে আমার রব!” বলে প্রার্থনা করছে। আর আশা করছে, আল্লাহ তাকে রক্ষা করবেন।”’
.
🔘উসামা রহ. বলেন, ‘যে সুফইয়ান সাওরি রহ.-কে দেখত, তার কাছে তাঁকে সে নৌকায় আরোহী ব্যক্তির মতো মনে হতো, যে আরোহী নৌকাডুবির ভয় করছে আর অধিক পরিমাণে বলছে, হে আমার রব, রক্ষা করো, রক্ষা করো।’
.
🔘উমর বিন আব্দুল আজিজের স্ত্রী ফাতিমা বিনতে আব্দুল মালিক বলেন, ‘আমি উমর বিন আব্দুল আজিজের চেয়ে অধিক সালাত ও সাওম পালনকারী, তাঁর চেয়ে বেশি আল্লাহভীরু দ্বিতীয় কাউকে দেখিনি। তিনি ইশার সালাত আদায় করে বসে কাঁদতে থাকতেন, যতক্ষণ না চোখ ঘুমে জড়িয়ে আসত। এরপর আবার সজাগ হয়ে কাঁদতে থাকতেন, যতক্ষণ না ঘুম চেপে বসত। তিনি আমার পাশেই ঘুমাতেন। যখন আখিরাতের কোনো কথা স্মরণ হতো, সাথে সাথে শরীর ঝেড়ে উঠে যেতেন—যেমন চড়ুই পাখি পানি ঝেড়ে ওঠে। এরপর বসে কাঁদতে শুরু করতেন। তখন আমি তাঁর গায়ে লেপ ছড়িয়ে দিতাম।’
🔘আবু উবাইদা বিন উকবা বিন নাফি রহ. ফাতিমা বিনতে আব্দুল মালিকের কাছে গিয়ে বললেন, ‘আপনি আমাকে উমর বিন আব্দুল আজিজ সম্পর্কে কিছু বলুন।’ ফাতিমা উত্তর দিলেন, ‘উমর বিন আব্দুর আজিজ খিলাফতের দায়িত্ব গ্রহণের পর কোনো দিন সহবাস বা স্বপ্নদোষের কারণে গোসল করেছেন বলে আমার জানা নেই।’
.
🔘আমির বিন আব্দুল্লাহকে জিজ্ঞেস করা হলো, ‘আপনি কীভাবে ইবাদত করে রাতের অনিদ্রা আর সাওম রেখে গরমের তৃষ্ণা সহ্য করেন?’ তিনি বললেন, ‘আমি কেবল দিনের আহারকে রাতে ও রাতের ঘুমকে দিনে নিয়ে যাই? এটি তো কঠিন কোনো বিষয় নয়।’ রাত হয়ে গেলে তিনি বলতেন, ‘জাহান্নামের আগুন রাতের আরাম নিয়ে গেছে।’ এ বলে সকাল পর্যন্ত আর ঘুমাতেন না। সারা রাত ইবাদতে মশগুল থাকতেন।
-
লেখক : শাইখ মুহাম্মাদ ইসমাইল আল-মুকাদ্দাম
অনুবাদ : হাসান মাসরুর
পৃষ্ঠা সংখ্যা : ৫৪০
প্রচ্ছদ মূল্য: ৬৬৮৳
নাফি রহ.-কে জিজ্ঞেস করা হলো, ‘ইবনে উমর রা. ঘরে কী করতেন?’ নাফি জবাব দিলেন, ‘প্রত্যেক সালাতের জন্য অজু করতেন। আর এর মাঝের সময়টাতে কুরআন নিয়ে মগ্ন থাকতেন।’
.
🔘ইবনে উমর রা.-এর এক ওয়াক্ত সালাতের জামাআত ছুটে গেলে তিনি একদিন রোজা রাখতেন, একরাত জেগে আল্লাহর ইবাদত করতেন এবং একটি গোলাম মুক্ত করে দিতেন।
.
🔘আবু মুসা আশআরি রা. মৃত্যুর কিছু দিন আগে বেশ উদ্যমের সাথে ইবাদত করা শুরু করলেন। তাঁকে বলা হলো, ‘যদি একটু ক্ষান্ত হতেন বা নিজের প্রতি সামান্য দয়া করতেন?’ তিনি বললেন, ‘ঘোড়া যখন তার গন্তব্যের কাছাকাছি চলে আসে, তখন নিজের সর্বশক্তি ব্যয় করে। আর আমার মৃত্যুর যে সময় বাকি আছে, তা তো আরও নিকটবর্তী।’ তিনি মৃত্যু অবধি এভাবেই ইবাদত করতে থাকলেন।
.
🔘কাতাদা রহ. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘মুওয়াররিক আল-ইজলি বলেন, “দুনিয়াতে মুমিনের দৃষ্টান্ত হলো সমুদ্রের মাঝে কাঠ ধরে থাকা ব্যক্তির মতো—যে “হে আমার রব, হে আমার রব!” বলে প্রার্থনা করছে। আর আশা করছে, আল্লাহ তাকে রক্ষা করবেন।”’
.
🔘উসামা রহ. বলেন, ‘যে সুফইয়ান সাওরি রহ.-কে দেখত, তার কাছে তাঁকে সে নৌকায় আরোহী ব্যক্তির মতো মনে হতো, যে আরোহী নৌকাডুবির ভয় করছে আর অধিক পরিমাণে বলছে, হে আমার রব, রক্ষা করো, রক্ষা করো।’
.
🔘উমর বিন আব্দুল আজিজের স্ত্রী ফাতিমা বিনতে আব্দুল মালিক বলেন, ‘আমি উমর বিন আব্দুল আজিজের চেয়ে অধিক সালাত ও সাওম পালনকারী, তাঁর চেয়ে বেশি আল্লাহভীরু দ্বিতীয় কাউকে দেখিনি। তিনি ইশার সালাত আদায় করে বসে কাঁদতে থাকতেন, যতক্ষণ না চোখ ঘুমে জড়িয়ে আসত। এরপর আবার সজাগ হয়ে কাঁদতে থাকতেন, যতক্ষণ না ঘুম চেপে বসত। তিনি আমার পাশেই ঘুমাতেন। যখন আখিরাতের কোনো কথা স্মরণ হতো, সাথে সাথে শরীর ঝেড়ে উঠে যেতেন—যেমন চড়ুই পাখি পানি ঝেড়ে ওঠে। এরপর বসে কাঁদতে শুরু করতেন। তখন আমি তাঁর গায়ে লেপ ছড়িয়ে দিতাম।’
🔘আবু উবাইদা বিন উকবা বিন নাফি রহ. ফাতিমা বিনতে আব্দুল মালিকের কাছে গিয়ে বললেন, ‘আপনি আমাকে উমর বিন আব্দুল আজিজ সম্পর্কে কিছু বলুন।’ ফাতিমা উত্তর দিলেন, ‘উমর বিন আব্দুর আজিজ খিলাফতের দায়িত্ব গ্রহণের পর কোনো দিন সহবাস বা স্বপ্নদোষের কারণে গোসল করেছেন বলে আমার জানা নেই।’
.
🔘আমির বিন আব্দুল্লাহকে জিজ্ঞেস করা হলো, ‘আপনি কীভাবে ইবাদত করে রাতের অনিদ্রা আর সাওম রেখে গরমের তৃষ্ণা সহ্য করেন?’ তিনি বললেন, ‘আমি কেবল দিনের আহারকে রাতে ও রাতের ঘুমকে দিনে নিয়ে যাই? এটি তো কঠিন কোনো বিষয় নয়।’ রাত হয়ে গেলে তিনি বলতেন, ‘জাহান্নামের আগুন রাতের আরাম নিয়ে গেছে।’ এ বলে সকাল পর্যন্ত আর ঘুমাতেন না। সারা রাত ইবাদতে মশগুল থাকতেন।
-