পার্থিব জীবনে জান্নাতি সুখ
বই: পার্থিব জীবনে জান্নাতি সুখলেখক: ড. খালিদ আবু শাদিপৃষ্ঠা সংখ্যা: ২৩২বাঁধাই: হার্ডকভারপ্রচ্ছদ মূল্য: ৩০৭ ৳রাসুল সা.-এর প্রতিদিনকার মজলিশে সাহাবিদের একটি দল উপস্থিত থাকতেন। তাঁদের একজন প্রতিদিন মজলিশে আসার সময় নিজের শিশুসন্তানকে পিঠে বহন করে নিয়ে আসতেন এবং তার সামনে বসাতেন। একদিন শিশুটি মারা গেল। ছেলের শোকে লোকটি মজলিশে আসাই ছেড়ে দিলেন। রাসুল সা. তার অনুপস্থিতি টের পেয়ে জিজ্ঞেস করলেন, ‘কী ব্যাপার, অমুককে দেখতে পাচ্ছি না কেন?’ তারা জানালেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, তার ছেলেটি মারা গেছে।’ .রাসুল সা. লোকটির সাথে দেখা করে তার ছেলের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলেন। লোকটি ছেলের মৃত্যুসংবাদ জানালে রাসুল সা. তাকে সান্ত্বনা দিলেন। অতঃপর বললেন : ‘হে ভাই, তুমি কোনটা চাও? তুমি কি এটাই চাও যে, তার দ্বারা এ জীবনে উপকৃত হবে, না এটা চাও যে, আগামীকাল তুমি জান্নাতে গিয়ে তাকে জান্নাতের ভেতরে তোমার জন্য দরজা খুলে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখবে?’.লোকটি বললেন, ‘হে আল্লাহর নবি, আমি চাই যে, সে আমার আগে জান্নাতে গিয়ে আমার জন্য দরজা খুলে দেবে।’রাসুল সা. বললেন, ‘এটাই হবে।’ (সুনানুন নাসায়ি : ২০৮৮).সুবহানাল্লাহ, কী চমৎকার পরিচর্যা! এভাবেই তিনি গড়ে তুলেছিলেন মানবেতিহাসের শ্রেষ্ঠ প্রজন্মকে। তাদের মনে গেঁথে দিয়েছিলেন, এখানে যা হারিয়েছে ওখানে তা অনেকগুণে লাভ করবে। আজকে যত কষ্ট পাচ্ছে, তার বিনিময়ে আগামীকাল সুখ-শান্তিতে ভরে উঠবে। দুনিয়ার একাকিত্ব ও নির্জনতার বিনিময়ে আখিরাতে মিলবে উত্তম সঙ্গীদের সাহচর্য। -
An Najahah Shop
Category List
All products

বই: পার্থিব জীবনে জান্নাতি সুখ
লেখক: ড. খালিদ আবু শাদি
পৃষ্ঠা সংখ্যা: ২৩২
বাঁধাই: হার্ডকভার
প্রচ্ছদ মূল্য: ৩০৭ ৳
রাসুল সা.-এর প্রতিদিনকার মজলিশে সাহাবিদের একটি দল উপস্থিত থাকতেন। তাঁদের একজন প্রতিদিন মজলিশে আসার সময় নিজের শিশুসন্তানকে পিঠে বহন করে নিয়ে আসতেন এবং তার সামনে বসাতেন। একদিন শিশুটি মারা গেল। ছেলের শোকে লোকটি মজলিশে আসাই ছেড়ে দিলেন। রাসুল সা. তার অনুপস্থিতি টের পেয়ে জিজ্ঞেস করলেন, ‘কী ব্যাপার, অমুককে দেখতে পাচ্ছি না কেন?’ তারা জানালেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, তার ছেলেটি মারা গেছে।’
.
রাসুল সা. লোকটির সাথে দেখা করে তার ছেলের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলেন। লোকটি ছেলের মৃত্যুসংবাদ জানালে রাসুল সা. তাকে সান্ত্বনা দিলেন। অতঃপর বললেন :
‘হে ভাই, তুমি কোনটা চাও? তুমি কি এটাই চাও যে, তার দ্বারা এ জীবনে উপকৃত হবে, না এটা চাও যে, আগামীকাল তুমি জান্নাতে গিয়ে তাকে জান্নাতের ভেতরে তোমার জন্য দরজা খুলে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখবে?’
.
লোকটি বললেন, ‘হে আল্লাহর নবি, আমি চাই যে, সে আমার আগে জান্নাতে গিয়ে আমার জন্য দরজা খুলে দেবে।’
রাসুল সা. বললেন, ‘এটাই হবে।’ (সুনানুন নাসায়ি : ২০৮৮)
.
সুবহানাল্লাহ, কী চমৎকার পরিচর্যা! এভাবেই তিনি গড়ে তুলেছিলেন মানবেতিহাসের শ্রেষ্ঠ প্রজন্মকে। তাদের মনে গেঁথে দিয়েছিলেন, এখানে যা হারিয়েছে ওখানে তা অনেকগুণে লাভ করবে। আজকে যত কষ্ট পাচ্ছে, তার বিনিময়ে আগামীকাল সুখ-শান্তিতে ভরে উঠবে। দুনিয়ার একাকিত্ব ও নির্জনতার বিনিময়ে আখিরাতে মিলবে উত্তম সঙ্গীদের সাহচর্য।
-
লেখক: ড. খালিদ আবু শাদি
পৃষ্ঠা সংখ্যা: ২৩২
বাঁধাই: হার্ডকভার
প্রচ্ছদ মূল্য: ৩০৭ ৳
রাসুল সা.-এর প্রতিদিনকার মজলিশে সাহাবিদের একটি দল উপস্থিত থাকতেন। তাঁদের একজন প্রতিদিন মজলিশে আসার সময় নিজের শিশুসন্তানকে পিঠে বহন করে নিয়ে আসতেন এবং তার সামনে বসাতেন। একদিন শিশুটি মারা গেল। ছেলের শোকে লোকটি মজলিশে আসাই ছেড়ে দিলেন। রাসুল সা. তার অনুপস্থিতি টের পেয়ে জিজ্ঞেস করলেন, ‘কী ব্যাপার, অমুককে দেখতে পাচ্ছি না কেন?’ তারা জানালেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, তার ছেলেটি মারা গেছে।’
.
রাসুল সা. লোকটির সাথে দেখা করে তার ছেলের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলেন। লোকটি ছেলের মৃত্যুসংবাদ জানালে রাসুল সা. তাকে সান্ত্বনা দিলেন। অতঃপর বললেন :
‘হে ভাই, তুমি কোনটা চাও? তুমি কি এটাই চাও যে, তার দ্বারা এ জীবনে উপকৃত হবে, না এটা চাও যে, আগামীকাল তুমি জান্নাতে গিয়ে তাকে জান্নাতের ভেতরে তোমার জন্য দরজা খুলে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখবে?’
.
লোকটি বললেন, ‘হে আল্লাহর নবি, আমি চাই যে, সে আমার আগে জান্নাতে গিয়ে আমার জন্য দরজা খুলে দেবে।’
রাসুল সা. বললেন, ‘এটাই হবে।’ (সুনানুন নাসায়ি : ২০৮৮)
.
সুবহানাল্লাহ, কী চমৎকার পরিচর্যা! এভাবেই তিনি গড়ে তুলেছিলেন মানবেতিহাসের শ্রেষ্ঠ প্রজন্মকে। তাদের মনে গেঁথে দিয়েছিলেন, এখানে যা হারিয়েছে ওখানে তা অনেকগুণে লাভ করবে। আজকে যত কষ্ট পাচ্ছে, তার বিনিময়ে আগামীকাল সুখ-শান্তিতে ভরে উঠবে। দুনিয়ার একাকিত্ব ও নির্জনতার বিনিময়ে আখিরাতে মিলবে উত্তম সঙ্গীদের সাহচর্য।
-
পার্থিব জীবনে জান্নাতি সুখ
215 BDT307 BDTSave 92 BDT
1
বই: পার্থিব জীবনে জান্নাতি সুখ
লেখক: ড. খালিদ আবু শাদি
পৃষ্ঠা সংখ্যা: ২৩২
বাঁধাই: হার্ডকভার
প্রচ্ছদ মূল্য: ৩০৭ ৳
রাসুল সা.-এর প্রতিদিনকার মজলিশে সাহাবিদের একটি দল উপস্থিত থাকতেন। তাঁদের একজন প্রতিদিন মজলিশে আসার সময় নিজের শিশুসন্তানকে পিঠে বহন করে নিয়ে আসতেন এবং তার সামনে বসাতেন। একদিন শিশুটি মারা গেল। ছেলের শোকে লোকটি মজলিশে আসাই ছেড়ে দিলেন। রাসুল সা. তার অনুপস্থিতি টের পেয়ে জিজ্ঞেস করলেন, ‘কী ব্যাপার, অমুককে দেখতে পাচ্ছি না কেন?’ তারা জানালেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, তার ছেলেটি মারা গেছে।’
.
রাসুল সা. লোকটির সাথে দেখা করে তার ছেলের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলেন। লোকটি ছেলের মৃত্যুসংবাদ জানালে রাসুল সা. তাকে সান্ত্বনা দিলেন। অতঃপর বললেন :
‘হে ভাই, তুমি কোনটা চাও? তুমি কি এটাই চাও যে, তার দ্বারা এ জীবনে উপকৃত হবে, না এটা চাও যে, আগামীকাল তুমি জান্নাতে গিয়ে তাকে জান্নাতের ভেতরে তোমার জন্য দরজা খুলে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখবে?’
.
লোকটি বললেন, ‘হে আল্লাহর নবি, আমি চাই যে, সে আমার আগে জান্নাতে গিয়ে আমার জন্য দরজা খুলে দেবে।’
রাসুল সা. বললেন, ‘এটাই হবে।’ (সুনানুন নাসায়ি : ২০৮৮)
.
সুবহানাল্লাহ, কী চমৎকার পরিচর্যা! এভাবেই তিনি গড়ে তুলেছিলেন মানবেতিহাসের শ্রেষ্ঠ প্রজন্মকে। তাদের মনে গেঁথে দিয়েছিলেন, এখানে যা হারিয়েছে ওখানে তা অনেকগুণে লাভ করবে। আজকে যত কষ্ট পাচ্ছে, তার বিনিময়ে আগামীকাল সুখ-শান্তিতে ভরে উঠবে। দুনিয়ার একাকিত্ব ও নির্জনতার বিনিময়ে আখিরাতে মিলবে উত্তম সঙ্গীদের সাহচর্য।
-
লেখক: ড. খালিদ আবু শাদি
পৃষ্ঠা সংখ্যা: ২৩২
বাঁধাই: হার্ডকভার
প্রচ্ছদ মূল্য: ৩০৭ ৳
রাসুল সা.-এর প্রতিদিনকার মজলিশে সাহাবিদের একটি দল উপস্থিত থাকতেন। তাঁদের একজন প্রতিদিন মজলিশে আসার সময় নিজের শিশুসন্তানকে পিঠে বহন করে নিয়ে আসতেন এবং তার সামনে বসাতেন। একদিন শিশুটি মারা গেল। ছেলের শোকে লোকটি মজলিশে আসাই ছেড়ে দিলেন। রাসুল সা. তার অনুপস্থিতি টের পেয়ে জিজ্ঞেস করলেন, ‘কী ব্যাপার, অমুককে দেখতে পাচ্ছি না কেন?’ তারা জানালেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, তার ছেলেটি মারা গেছে।’
.
রাসুল সা. লোকটির সাথে দেখা করে তার ছেলের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলেন। লোকটি ছেলের মৃত্যুসংবাদ জানালে রাসুল সা. তাকে সান্ত্বনা দিলেন। অতঃপর বললেন :
‘হে ভাই, তুমি কোনটা চাও? তুমি কি এটাই চাও যে, তার দ্বারা এ জীবনে উপকৃত হবে, না এটা চাও যে, আগামীকাল তুমি জান্নাতে গিয়ে তাকে জান্নাতের ভেতরে তোমার জন্য দরজা খুলে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখবে?’
.
লোকটি বললেন, ‘হে আল্লাহর নবি, আমি চাই যে, সে আমার আগে জান্নাতে গিয়ে আমার জন্য দরজা খুলে দেবে।’
রাসুল সা. বললেন, ‘এটাই হবে।’ (সুনানুন নাসায়ি : ২০৮৮)
.
সুবহানাল্লাহ, কী চমৎকার পরিচর্যা! এভাবেই তিনি গড়ে তুলেছিলেন মানবেতিহাসের শ্রেষ্ঠ প্রজন্মকে। তাদের মনে গেঁথে দিয়েছিলেন, এখানে যা হারিয়েছে ওখানে তা অনেকগুণে লাভ করবে। আজকে যত কষ্ট পাচ্ছে, তার বিনিময়ে আগামীকাল সুখ-শান্তিতে ভরে উঠবে। দুনিয়ার একাকিত্ব ও নির্জনতার বিনিময়ে আখিরাতে মিলবে উত্তম সঙ্গীদের সাহচর্য।
-