মাদরাসাজীবন
যখন হেরা গুহায় জিবরিল আমিন নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলে ওঠলেন ‘ইকরা’—পড়ুন আপনি, ঠিক তখন থেকেই সূচিত হলো আসমানি ইলমের ফল্গুধারা। যেই জ্ঞান স্বয়ং বিশ্বস্রষ্টা মহান রবের পক্ষ থেকে, যেই ইলম নিঃসৃত হয়েছে স্বয়ং সর্বশ্রেষ্ঠ মানবের পাক জবানি থেকে, এই সেই আসমানি ইলম।ইসলামের আগমনের ফলে দুনিয়ার বুকে এক বিশ্বজনীন সভ্যতার সূত্রপাত ঘটেছে—পথহারা মানুষগুলো তাদের আল্লাহকে চিনবার পথ পেয়েছে, অজ্ঞতার অন্ধকারে ডুবে থাকা মানুষগুলো দেখেছে আলোর ঝলকানি, এবং তাদের হাতে দেওয়া হয়েছে এক অমৃত-আলো—আসমানি ইলম, জীবনকে রবের পথে চালনার এবং জ্ঞানের আলোতে বিশ্বকে আলোকিত করবার এক ঐশ্বরিক জাদুকাঠি।ইতিহাস থেমে থাকেনি। আসমানি ইলমের তরজুমান প্রিয়নবি হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিদায় নিয়েছেন দুনিয়ার বুক থেকে। তবে এই আলোর মশাল নিয়ে খলিফায়ে রাশেদাগণ পৃথিবীর দিগ্দিগন্তে ছুটে গিয়েছেন, তাঁরা সেখানে আসমানি আলো জ্বেলেছেন, মানুষে মানুষে পৌঁছে দিয়েছেন জ্ঞানের সম্ভার। ইতিহাস তবু থেমে থামেনি। সাহাবায়ে কেরাম থেকে হাজার হাজার তাবেয়ি ইলম শিখেছেন। তাঁদের থেকে আবার তাবে তাবেয়িগণ। এভাবে ইলম দেশ থেকে দেশান্তরে ছড়িয়ে পড়েছে, এবং এমনকি আসমানি ইলমের মধ্যেই শাখা-প্রশাখা এসেছে—সভ্যতার দাবিতে তৈরি হয়েছে শাস্ত্র এবং নানা শিল্প। তাফসির, হাদিস, ফিকহ, নাহু, কালাম, রিজাল, আনসাব এবং আর কত শাস্ত্র! এভাবে সভ্যতার দাবিতে মসজিদ থেকে মাদরাসা তৈরি হলো এবং এই আসমানি ইলমের সফরে যুক্ত হলো ‘মাদরাসা-ঐতিহ্য’।পরম সুখের কথা হলো এই হিন্দুস্থান এবং আমাদের এই বাঙাল অঞ্চলও আসমানি ইলম থেকে বঞ্চিত হয়নি। মরুভূমি আরবের আলোর ঝলকানি এখানেও লেগেছে, বাংলার সবুজ তখন আরও সবুজ হয়ে উঠেছে।কিন্তু এখানে চূড়ান্ত পরিতাপ নিয়ে বলতেই হয়, আমরা নিজেদের এই ‘আসমানি কাফেলা’কে জানবার চেষ্টা করিনি। এখানে দোষটা কাদের সেটা অবশ্য তর্কসাপেক্ষ। তবে প্রিয়পাঠক ইলহাম আমাদের খেদটা মুছে দিতে এগিয়ে এসেছে। ইলহাম ত্রিশজন মাদরাসাপড়ুয়া আলেমের গল্পভাষ্য নিয়ে এসেছে, যার মধ্য দিয়ে আমরা মাদরাসার পরিচয়, সেখানের চিরায়ত ঐতিহ্য, তাঁদের পাঠ্যসিলেবাস, সেখানে উস্তাদ-ছাত্রের সম্পর্ক এবং সর্বোপরি মাদরাসাপড়ুয়াদের মনস্তত্ত্বের সঙ্গে পরিচিত হয়ে উঠব। আর তাই পাঠক আপনার জন্য ইলহামের পক্ষ থেকে ‘মাদরাসাজীবন’ বইটি।
An Najahah Shop
Category List
All products

যখন হেরা গুহায় জিবরিল আমিন নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলে ওঠলেন ‘ইকরা’—পড়ুন আপনি, ঠিক তখন থেকেই সূচিত হলো আসমানি ইলমের ফল্গুধারা। যেই জ্ঞান স্বয়ং বিশ্বস্রষ্টা মহান রবের পক্ষ থেকে, যেই ইলম নিঃসৃত হয়েছে স্বয়ং সর্বশ্রেষ্ঠ মানবের পাক জবানি থেকে, এই সেই আসমানি ইলম।
ইসলামের আগমনের ফলে দুনিয়ার বুকে এক বিশ্বজনীন সভ্যতার সূত্রপাত ঘটেছে—পথহারা মানুষগুলো তাদের আল্লাহকে চিনবার পথ পেয়েছে, অজ্ঞতার অন্ধকারে ডুবে থাকা মানুষগুলো দেখেছে আলোর ঝলকানি, এবং তাদের হাতে দেওয়া হয়েছে এক অমৃত-আলো—আসমানি ইলম, জীবনকে রবের পথে চালনার এবং জ্ঞানের আলোতে বিশ্বকে আলোকিত করবার এক ঐশ্বরিক জাদুকাঠি।
ইতিহাস থেমে থাকেনি। আসমানি ইলমের তরজুমান প্রিয়নবি হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিদায় নিয়েছেন দুনিয়ার বুক থেকে। তবে এই আলোর মশাল নিয়ে খলিফায়ে রাশেদাগণ পৃথিবীর দিগ্দিগন্তে ছুটে গিয়েছেন, তাঁরা সেখানে আসমানি আলো জ্বেলেছেন, মানুষে মানুষে পৌঁছে দিয়েছেন জ্ঞানের সম্ভার।
ইতিহাস তবু থেমে থামেনি। সাহাবায়ে কেরাম থেকে হাজার হাজার তাবেয়ি ইলম শিখেছেন। তাঁদের থেকে আবার তাবে তাবেয়িগণ। এভাবে ইলম দেশ থেকে দেশান্তরে ছড়িয়ে পড়েছে, এবং এমনকি আসমানি ইলমের মধ্যেই শাখা-প্রশাখা এসেছে—সভ্যতার দাবিতে তৈরি হয়েছে শাস্ত্র এবং নানা শিল্প। তাফসির, হাদিস, ফিকহ, নাহু, কালাম, রিজাল, আনসাব এবং আর কত শাস্ত্র! এভাবে সভ্যতার দাবিতে মসজিদ থেকে মাদরাসা তৈরি হলো এবং এই আসমানি ইলমের সফরে যুক্ত হলো ‘মাদরাসা-ঐতিহ্য’।
পরম সুখের কথা হলো এই হিন্দুস্থান এবং আমাদের এই বাঙাল অঞ্চলও আসমানি ইলম থেকে বঞ্চিত হয়নি। মরুভূমি আরবের আলোর ঝলকানি এখানেও লেগেছে, বাংলার সবুজ তখন আরও সবুজ হয়ে উঠেছে।
কিন্তু এখানে চূড়ান্ত পরিতাপ নিয়ে বলতেই হয়, আমরা নিজেদের এই ‘আসমানি কাফেলা’কে জানবার চেষ্টা করিনি। এখানে দোষটা কাদের সেটা অবশ্য তর্কসাপেক্ষ। তবে প্রিয়পাঠক ইলহাম আমাদের খেদটা মুছে দিতে এগিয়ে এসেছে। ইলহাম ত্রিশজন মাদরাসাপড়ুয়া আলেমের গল্পভাষ্য নিয়ে এসেছে, যার মধ্য দিয়ে আমরা মাদরাসার পরিচয়, সেখানের চিরায়ত ঐতিহ্য, তাঁদের পাঠ্যসিলেবাস, সেখানে উস্তাদ-ছাত্রের সম্পর্ক এবং সর্বোপরি মাদরাসাপড়ুয়াদের মনস্তত্ত্বের সঙ্গে পরিচিত হয়ে উঠব। আর তাই পাঠক আপনার জন্য ইলহামের পক্ষ থেকে ‘মাদরাসাজীবন’ বইটি।
ইসলামের আগমনের ফলে দুনিয়ার বুকে এক বিশ্বজনীন সভ্যতার সূত্রপাত ঘটেছে—পথহারা মানুষগুলো তাদের আল্লাহকে চিনবার পথ পেয়েছে, অজ্ঞতার অন্ধকারে ডুবে থাকা মানুষগুলো দেখেছে আলোর ঝলকানি, এবং তাদের হাতে দেওয়া হয়েছে এক অমৃত-আলো—আসমানি ইলম, জীবনকে রবের পথে চালনার এবং জ্ঞানের আলোতে বিশ্বকে আলোকিত করবার এক ঐশ্বরিক জাদুকাঠি।
ইতিহাস থেমে থাকেনি। আসমানি ইলমের তরজুমান প্রিয়নবি হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিদায় নিয়েছেন দুনিয়ার বুক থেকে। তবে এই আলোর মশাল নিয়ে খলিফায়ে রাশেদাগণ পৃথিবীর দিগ্দিগন্তে ছুটে গিয়েছেন, তাঁরা সেখানে আসমানি আলো জ্বেলেছেন, মানুষে মানুষে পৌঁছে দিয়েছেন জ্ঞানের সম্ভার।
ইতিহাস তবু থেমে থামেনি। সাহাবায়ে কেরাম থেকে হাজার হাজার তাবেয়ি ইলম শিখেছেন। তাঁদের থেকে আবার তাবে তাবেয়িগণ। এভাবে ইলম দেশ থেকে দেশান্তরে ছড়িয়ে পড়েছে, এবং এমনকি আসমানি ইলমের মধ্যেই শাখা-প্রশাখা এসেছে—সভ্যতার দাবিতে তৈরি হয়েছে শাস্ত্র এবং নানা শিল্প। তাফসির, হাদিস, ফিকহ, নাহু, কালাম, রিজাল, আনসাব এবং আর কত শাস্ত্র! এভাবে সভ্যতার দাবিতে মসজিদ থেকে মাদরাসা তৈরি হলো এবং এই আসমানি ইলমের সফরে যুক্ত হলো ‘মাদরাসা-ঐতিহ্য’।
পরম সুখের কথা হলো এই হিন্দুস্থান এবং আমাদের এই বাঙাল অঞ্চলও আসমানি ইলম থেকে বঞ্চিত হয়নি। মরুভূমি আরবের আলোর ঝলকানি এখানেও লেগেছে, বাংলার সবুজ তখন আরও সবুজ হয়ে উঠেছে।
কিন্তু এখানে চূড়ান্ত পরিতাপ নিয়ে বলতেই হয়, আমরা নিজেদের এই ‘আসমানি কাফেলা’কে জানবার চেষ্টা করিনি। এখানে দোষটা কাদের সেটা অবশ্য তর্কসাপেক্ষ। তবে প্রিয়পাঠক ইলহাম আমাদের খেদটা মুছে দিতে এগিয়ে এসেছে। ইলহাম ত্রিশজন মাদরাসাপড়ুয়া আলেমের গল্পভাষ্য নিয়ে এসেছে, যার মধ্য দিয়ে আমরা মাদরাসার পরিচয়, সেখানের চিরায়ত ঐতিহ্য, তাঁদের পাঠ্যসিলেবাস, সেখানে উস্তাদ-ছাত্রের সম্পর্ক এবং সর্বোপরি মাদরাসাপড়ুয়াদের মনস্তত্ত্বের সঙ্গে পরিচিত হয়ে উঠব। আর তাই পাঠক আপনার জন্য ইলহামের পক্ষ থেকে ‘মাদরাসাজীবন’ বইটি।
মাদরাসাজীবন
595 BDT700 BDTSave 105 BDT
1
যখন হেরা গুহায় জিবরিল আমিন নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলে ওঠলেন ‘ইকরা’—পড়ুন আপনি, ঠিক তখন থেকেই সূচিত হলো আসমানি ইলমের ফল্গুধারা। যেই জ্ঞান স্বয়ং বিশ্বস্রষ্টা মহান রবের পক্ষ থেকে, যেই ইলম নিঃসৃত হয়েছে স্বয়ং সর্বশ্রেষ্ঠ মানবের পাক জবানি থেকে, এই সেই আসমানি ইলম।
ইসলামের আগমনের ফলে দুনিয়ার বুকে এক বিশ্বজনীন সভ্যতার সূত্রপাত ঘটেছে—পথহারা মানুষগুলো তাদের আল্লাহকে চিনবার পথ পেয়েছে, অজ্ঞতার অন্ধকারে ডুবে থাকা মানুষগুলো দেখেছে আলোর ঝলকানি, এবং তাদের হাতে দেওয়া হয়েছে এক অমৃত-আলো—আসমানি ইলম, জীবনকে রবের পথে চালনার এবং জ্ঞানের আলোতে বিশ্বকে আলোকিত করবার এক ঐশ্বরিক জাদুকাঠি।
ইতিহাস থেমে থাকেনি। আসমানি ইলমের তরজুমান প্রিয়নবি হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিদায় নিয়েছেন দুনিয়ার বুক থেকে। তবে এই আলোর মশাল নিয়ে খলিফায়ে রাশেদাগণ পৃথিবীর দিগ্দিগন্তে ছুটে গিয়েছেন, তাঁরা সেখানে আসমানি আলো জ্বেলেছেন, মানুষে মানুষে পৌঁছে দিয়েছেন জ্ঞানের সম্ভার।
ইতিহাস তবু থেমে থামেনি। সাহাবায়ে কেরাম থেকে হাজার হাজার তাবেয়ি ইলম শিখেছেন। তাঁদের থেকে আবার তাবে তাবেয়িগণ। এভাবে ইলম দেশ থেকে দেশান্তরে ছড়িয়ে পড়েছে, এবং এমনকি আসমানি ইলমের মধ্যেই শাখা-প্রশাখা এসেছে—সভ্যতার দাবিতে তৈরি হয়েছে শাস্ত্র এবং নানা শিল্প। তাফসির, হাদিস, ফিকহ, নাহু, কালাম, রিজাল, আনসাব এবং আর কত শাস্ত্র! এভাবে সভ্যতার দাবিতে মসজিদ থেকে মাদরাসা তৈরি হলো এবং এই আসমানি ইলমের সফরে যুক্ত হলো ‘মাদরাসা-ঐতিহ্য’।
পরম সুখের কথা হলো এই হিন্দুস্থান এবং আমাদের এই বাঙাল অঞ্চলও আসমানি ইলম থেকে বঞ্চিত হয়নি। মরুভূমি আরবের আলোর ঝলকানি এখানেও লেগেছে, বাংলার সবুজ তখন আরও সবুজ হয়ে উঠেছে।
কিন্তু এখানে চূড়ান্ত পরিতাপ নিয়ে বলতেই হয়, আমরা নিজেদের এই ‘আসমানি কাফেলা’কে জানবার চেষ্টা করিনি। এখানে দোষটা কাদের সেটা অবশ্য তর্কসাপেক্ষ। তবে প্রিয়পাঠক ইলহাম আমাদের খেদটা মুছে দিতে এগিয়ে এসেছে। ইলহাম ত্রিশজন মাদরাসাপড়ুয়া আলেমের গল্পভাষ্য নিয়ে এসেছে, যার মধ্য দিয়ে আমরা মাদরাসার পরিচয়, সেখানের চিরায়ত ঐতিহ্য, তাঁদের পাঠ্যসিলেবাস, সেখানে উস্তাদ-ছাত্রের সম্পর্ক এবং সর্বোপরি মাদরাসাপড়ুয়াদের মনস্তত্ত্বের সঙ্গে পরিচিত হয়ে উঠব। আর তাই পাঠক আপনার জন্য ইলহামের পক্ষ থেকে ‘মাদরাসাজীবন’ বইটি।
ইসলামের আগমনের ফলে দুনিয়ার বুকে এক বিশ্বজনীন সভ্যতার সূত্রপাত ঘটেছে—পথহারা মানুষগুলো তাদের আল্লাহকে চিনবার পথ পেয়েছে, অজ্ঞতার অন্ধকারে ডুবে থাকা মানুষগুলো দেখেছে আলোর ঝলকানি, এবং তাদের হাতে দেওয়া হয়েছে এক অমৃত-আলো—আসমানি ইলম, জীবনকে রবের পথে চালনার এবং জ্ঞানের আলোতে বিশ্বকে আলোকিত করবার এক ঐশ্বরিক জাদুকাঠি।
ইতিহাস থেমে থাকেনি। আসমানি ইলমের তরজুমান প্রিয়নবি হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিদায় নিয়েছেন দুনিয়ার বুক থেকে। তবে এই আলোর মশাল নিয়ে খলিফায়ে রাশেদাগণ পৃথিবীর দিগ্দিগন্তে ছুটে গিয়েছেন, তাঁরা সেখানে আসমানি আলো জ্বেলেছেন, মানুষে মানুষে পৌঁছে দিয়েছেন জ্ঞানের সম্ভার।
ইতিহাস তবু থেমে থামেনি। সাহাবায়ে কেরাম থেকে হাজার হাজার তাবেয়ি ইলম শিখেছেন। তাঁদের থেকে আবার তাবে তাবেয়িগণ। এভাবে ইলম দেশ থেকে দেশান্তরে ছড়িয়ে পড়েছে, এবং এমনকি আসমানি ইলমের মধ্যেই শাখা-প্রশাখা এসেছে—সভ্যতার দাবিতে তৈরি হয়েছে শাস্ত্র এবং নানা শিল্প। তাফসির, হাদিস, ফিকহ, নাহু, কালাম, রিজাল, আনসাব এবং আর কত শাস্ত্র! এভাবে সভ্যতার দাবিতে মসজিদ থেকে মাদরাসা তৈরি হলো এবং এই আসমানি ইলমের সফরে যুক্ত হলো ‘মাদরাসা-ঐতিহ্য’।
পরম সুখের কথা হলো এই হিন্দুস্থান এবং আমাদের এই বাঙাল অঞ্চলও আসমানি ইলম থেকে বঞ্চিত হয়নি। মরুভূমি আরবের আলোর ঝলকানি এখানেও লেগেছে, বাংলার সবুজ তখন আরও সবুজ হয়ে উঠেছে।
কিন্তু এখানে চূড়ান্ত পরিতাপ নিয়ে বলতেই হয়, আমরা নিজেদের এই ‘আসমানি কাফেলা’কে জানবার চেষ্টা করিনি। এখানে দোষটা কাদের সেটা অবশ্য তর্কসাপেক্ষ। তবে প্রিয়পাঠক ইলহাম আমাদের খেদটা মুছে দিতে এগিয়ে এসেছে। ইলহাম ত্রিশজন মাদরাসাপড়ুয়া আলেমের গল্পভাষ্য নিয়ে এসেছে, যার মধ্য দিয়ে আমরা মাদরাসার পরিচয়, সেখানের চিরায়ত ঐতিহ্য, তাঁদের পাঠ্যসিলেবাস, সেখানে উস্তাদ-ছাত্রের সম্পর্ক এবং সর্বোপরি মাদরাসাপড়ুয়াদের মনস্তত্ত্বের সঙ্গে পরিচিত হয়ে উঠব। আর তাই পাঠক আপনার জন্য ইলহামের পক্ষ থেকে ‘মাদরাসাজীবন’ বইটি।