দুআ কবুলের সোনালি গল্পমালা
বই:দুআ কবুলের সোনালি গল্পমালামূল: শায়খ আবদুল মালিক মুজাহিদভাষান্তর: মুহিব্বুল্লাহ খন্দকারপ্রকাশনায়: রাহে জান্নাত কুতুবখানামুদ্রিত মূল্য: ৬০০ টাকা মাত্র।ধরন: ইসলামি গল্পকভার: হার্ডকভার.চলুন, শুরুতে একটি ছোটগল্প বলা যাক….একলোকের একমাত্র ছেলে অসুস্থ। প্রথমে অসুস্থতা স্বাভাবিক থাকলেও আস্তে আস্তে অস্বাভাবিক হয়ে দেখা দিলো এই অসুস্থতা। দেশের নামীদামী হাসপাতালের চিকিৎসকরা-ও রোগ সমাধানে অপারগতা প্রকাশ করলো। স্পষ্ট জানিয়ে দিলো— দেশে এ-রোগের চিকিৎসা মোটেও সম্ভব না। ছেলেকে বাঁচাতে চাইলে বিদেশে নিয়ে যান, সেখানে এ-রোগের চিকিৎসা থাকলেও থাকতে পারে।নিরুপায় বাবা জমিজমা বেঁচে আরো কিছু ধার-কর্জ করে ছেলেকে নিয়ে পা রাখলো বিদেশের মাটিতে। ডাক্তারদের স্পেশাল টিম লাগাতার কয়েকদিন মেহনতের পরে জানালো— আল্লাহকে ডাকতে থাকুন, আমাদের স্পেশাল টিম-ও এ-রোগ প্রতিকারে ব্যর্থ।.এ- পর্যায়ে এসে টনক নড়লো অসহায় বাবার। আরে... আমার তো আল্লাহ আছেন, যিনি ডাক্তারদের-ও ডাক্তার। এতদিন কেন ধর্না দেই নি তাঁর দুয়ারে! কত-না বোকা আমি!!.মসজিদের এককোণে কাকুতিমিনতি করে কাতর স্বরে ডাকতে থাকলো রব্বকে, কন্ঠ চিরে বের হয়ে আসলো নিজের প্রতি ভৎসনা। সময়ে-সময়ে উপস্থিত হতে লাগলো রব্বে কা'বার দরবারে, চোখের পানিতে গাল ভাসিয়ে বলতে লাগলো মনের অব্যক্ত কথাগুলো; নিজের প্রয়োজনগুলো।সিজদাহগুলো এখন দীর্ঘ হতেও দীর্ঘ হচ্ছে, ফরিয়াদগুলো হচ্ছে আবেগ আর চোখের জল মিশ্রিত। কেউ হয়তো বলেছিলো— তার সিজদাহগুলো দীর্ঘ হতেও দীর্ঘ হচ্ছে,কারণ— রব্বকে বলার মতো তার দিলে দীর্ঘক্ষত জমা আছে।.আসমানের দুয়ারগুলো খুলে গেলো, আবেদন পৌঁছলো আরশে; কবুল হলো ফরিয়াদ। বান্দা আনমনে বললো— আমার রব্ব! কত-না মহান তুমি, আর আমি কত-না বোকা।.উপরোক্ত ঘটনাটা তো শুধুমাত্র আমার সাজানো বা বানানো, অথচ এটাই এখনকার বাস্তবতা। হযরত সাহাবায়ে কেরাম ( রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহুম আজমাইন) রা জুতার একটি ফিতা ছিড়ে গেলেও চাইতেন আল্লাহর নিকট, আর তিনারা পেতেন-ও তা।আর আমরা! যত বড়ই প্রয়োজন হোক, আগে চাই মাখলুকের ( সৃষ্টি) কাছে, সবশেষে না পেলে গিয়ে চাই খালেকের ( স্রষ্টা) কাছে।কত-না নিকৃষ্ট আমাদের চিন্তা-চেতনা!.আমাদের প্রয়েজনে আমরা চাই না, অথচ পাওয়ার আশাকরি বিশাল বড়।রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন— যে ব্যক্তি আল্লাহর কাছে চায় না, আল্লাহ তার উপর রাগান্বিত হন। ( তিরমিজি:৩২৯৫).যারা আল্লাহর কাছে দু'আ করতে অলসতা করে, তাদের সম্পর্কে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন— সবচেয়ে দুর্ভাগা সে, যে দু'আ করতে অলসতা করে।.নিম্নোক্ত বইটি সাজানো হয়েছে দু'আ কবুলের অসাধারণ কিছু ঘটনা দিয়ে, আশাকরি পাঠক সমাজের উক্ত বইটি পড়ে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস আরে পাকাপোক্ত হবে— ইনশাআল্লাহ। .
An Najahah Shop
Category List
All products

বই:দুআ কবুলের সোনালি গল্পমালা
মূল: শায়খ আবদুল মালিক মুজাহিদ
ভাষান্তর: মুহিব্বুল্লাহ খন্দকার
প্রকাশনায়: রাহে জান্নাত কুতুবখানা
মুদ্রিত মূল্য: ৬০০ টাকা মাত্র।
ধরন: ইসলামি গল্প
কভার: হার্ডকভার
.
চলুন, শুরুতে একটি ছোটগল্প বলা যাক…
.
একলোকের একমাত্র ছেলে অসুস্থ। প্রথমে অসুস্থতা স্বাভাবিক থাকলেও আস্তে আস্তে অস্বাভাবিক হয়ে দেখা দিলো এই অসুস্থতা।
দেশের নামীদামী হাসপাতালের চিকিৎসকরা-ও রোগ সমাধানে অপারগতা প্রকাশ করলো। স্পষ্ট জানিয়ে দিলো— দেশে এ-রোগের চিকিৎসা মোটেও সম্ভব না। ছেলেকে বাঁচাতে চাইলে বিদেশে নিয়ে যান, সেখানে এ-রোগের চিকিৎসা থাকলেও থাকতে পারে।
নিরুপায় বাবা জমিজমা বেঁচে আরো কিছু ধার-কর্জ করে ছেলেকে নিয়ে পা রাখলো বিদেশের মাটিতে। ডাক্তারদের স্পেশাল টিম লাগাতার কয়েকদিন মেহনতের পরে জানালো— আল্লাহকে ডাকতে থাকুন, আমাদের স্পেশাল টিম-ও এ-রোগ প্রতিকারে ব্যর্থ।
.
এ- পর্যায়ে এসে টনক নড়লো অসহায় বাবার। আরে... আমার তো আল্লাহ আছেন, যিনি ডাক্তারদের-ও ডাক্তার। এতদিন কেন ধর্না দেই নি তাঁর দুয়ারে! কত-না বোকা আমি!!
.
মসজিদের এককোণে কাকুতিমিনতি করে কাতর স্বরে ডাকতে থাকলো রব্বকে, কন্ঠ চিরে বের হয়ে আসলো নিজের প্রতি ভৎসনা।
সময়ে-সময়ে উপস্থিত হতে লাগলো রব্বে কা'বার দরবারে, চোখের পানিতে গাল ভাসিয়ে বলতে লাগলো মনের অব্যক্ত কথাগুলো; নিজের প্রয়োজনগুলো।
সিজদাহগুলো এখন দীর্ঘ হতেও দীর্ঘ হচ্ছে, ফরিয়াদগুলো হচ্ছে আবেগ আর চোখের জল মিশ্রিত।
কেউ হয়তো বলেছিলো— তার সিজদাহগুলো দীর্ঘ হতেও দীর্ঘ হচ্ছে,
কারণ— রব্বকে বলার মতো তার দিলে দীর্ঘক্ষত জমা আছে।
.
আসমানের দুয়ারগুলো খুলে গেলো, আবেদন পৌঁছলো আরশে; কবুল হলো ফরিয়াদ।
বান্দা আনমনে বললো— আমার রব্ব! কত-না মহান তুমি, আর আমি কত-না বোকা।
.
উপরোক্ত ঘটনাটা তো শুধুমাত্র আমার সাজানো বা বানানো, অথচ এটাই এখনকার বাস্তবতা।
হযরত সাহাবায়ে কেরাম ( রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহুম আজমাইন) রা জুতার একটি ফিতা ছিড়ে গেলেও চাইতেন আল্লাহর নিকট, আর তিনারা পেতেন-ও তা।
আর আমরা! যত বড়ই প্রয়োজন হোক, আগে চাই মাখলুকের ( সৃষ্টি) কাছে, সবশেষে না পেলে গিয়ে চাই খালেকের ( স্রষ্টা) কাছে।
কত-না নিকৃষ্ট আমাদের চিন্তা-চেতনা!
.
আমাদের প্রয়েজনে আমরা চাই না, অথচ পাওয়ার আশাকরি বিশাল বড়।
রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন— যে ব্যক্তি আল্লাহর কাছে চায় না, আল্লাহ তার উপর রাগান্বিত হন। ( তিরমিজি:৩২৯৫)
.
যারা আল্লাহর কাছে দু'আ করতে অলসতা করে, তাদের সম্পর্কে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন— সবচেয়ে দুর্ভাগা সে, যে দু'আ করতে অলসতা করে।
.
নিম্নোক্ত বইটি সাজানো হয়েছে দু'আ কবুলের অসাধারণ কিছু ঘটনা দিয়ে, আশাকরি পাঠক সমাজের উক্ত বইটি পড়ে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস আরে পাকাপোক্ত হবে— ইনশাআল্লাহ।
.
মূল: শায়খ আবদুল মালিক মুজাহিদ
ভাষান্তর: মুহিব্বুল্লাহ খন্দকার
প্রকাশনায়: রাহে জান্নাত কুতুবখানা
মুদ্রিত মূল্য: ৬০০ টাকা মাত্র।
ধরন: ইসলামি গল্প
কভার: হার্ডকভার
.
চলুন, শুরুতে একটি ছোটগল্প বলা যাক…
.
একলোকের একমাত্র ছেলে অসুস্থ। প্রথমে অসুস্থতা স্বাভাবিক থাকলেও আস্তে আস্তে অস্বাভাবিক হয়ে দেখা দিলো এই অসুস্থতা।
দেশের নামীদামী হাসপাতালের চিকিৎসকরা-ও রোগ সমাধানে অপারগতা প্রকাশ করলো। স্পষ্ট জানিয়ে দিলো— দেশে এ-রোগের চিকিৎসা মোটেও সম্ভব না। ছেলেকে বাঁচাতে চাইলে বিদেশে নিয়ে যান, সেখানে এ-রোগের চিকিৎসা থাকলেও থাকতে পারে।
নিরুপায় বাবা জমিজমা বেঁচে আরো কিছু ধার-কর্জ করে ছেলেকে নিয়ে পা রাখলো বিদেশের মাটিতে। ডাক্তারদের স্পেশাল টিম লাগাতার কয়েকদিন মেহনতের পরে জানালো— আল্লাহকে ডাকতে থাকুন, আমাদের স্পেশাল টিম-ও এ-রোগ প্রতিকারে ব্যর্থ।
.
এ- পর্যায়ে এসে টনক নড়লো অসহায় বাবার। আরে... আমার তো আল্লাহ আছেন, যিনি ডাক্তারদের-ও ডাক্তার। এতদিন কেন ধর্না দেই নি তাঁর দুয়ারে! কত-না বোকা আমি!!
.
মসজিদের এককোণে কাকুতিমিনতি করে কাতর স্বরে ডাকতে থাকলো রব্বকে, কন্ঠ চিরে বের হয়ে আসলো নিজের প্রতি ভৎসনা।
সময়ে-সময়ে উপস্থিত হতে লাগলো রব্বে কা'বার দরবারে, চোখের পানিতে গাল ভাসিয়ে বলতে লাগলো মনের অব্যক্ত কথাগুলো; নিজের প্রয়োজনগুলো।
সিজদাহগুলো এখন দীর্ঘ হতেও দীর্ঘ হচ্ছে, ফরিয়াদগুলো হচ্ছে আবেগ আর চোখের জল মিশ্রিত।
কেউ হয়তো বলেছিলো— তার সিজদাহগুলো দীর্ঘ হতেও দীর্ঘ হচ্ছে,
কারণ— রব্বকে বলার মতো তার দিলে দীর্ঘক্ষত জমা আছে।
.
আসমানের দুয়ারগুলো খুলে গেলো, আবেদন পৌঁছলো আরশে; কবুল হলো ফরিয়াদ।
বান্দা আনমনে বললো— আমার রব্ব! কত-না মহান তুমি, আর আমি কত-না বোকা।
.
উপরোক্ত ঘটনাটা তো শুধুমাত্র আমার সাজানো বা বানানো, অথচ এটাই এখনকার বাস্তবতা।
হযরত সাহাবায়ে কেরাম ( রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহুম আজমাইন) রা জুতার একটি ফিতা ছিড়ে গেলেও চাইতেন আল্লাহর নিকট, আর তিনারা পেতেন-ও তা।
আর আমরা! যত বড়ই প্রয়োজন হোক, আগে চাই মাখলুকের ( সৃষ্টি) কাছে, সবশেষে না পেলে গিয়ে চাই খালেকের ( স্রষ্টা) কাছে।
কত-না নিকৃষ্ট আমাদের চিন্তা-চেতনা!
.
আমাদের প্রয়েজনে আমরা চাই না, অথচ পাওয়ার আশাকরি বিশাল বড়।
রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন— যে ব্যক্তি আল্লাহর কাছে চায় না, আল্লাহ তার উপর রাগান্বিত হন। ( তিরমিজি:৩২৯৫)
.
যারা আল্লাহর কাছে দু'আ করতে অলসতা করে, তাদের সম্পর্কে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন— সবচেয়ে দুর্ভাগা সে, যে দু'আ করতে অলসতা করে।
.
নিম্নোক্ত বইটি সাজানো হয়েছে দু'আ কবুলের অসাধারণ কিছু ঘটনা দিয়ে, আশাকরি পাঠক সমাজের উক্ত বইটি পড়ে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস আরে পাকাপোক্ত হবে— ইনশাআল্লাহ।
.
দুআ কবুলের সোনালি গল্পমালা
300 BDT600 BDTSave 300 BDT
1
বই:দুআ কবুলের সোনালি গল্পমালা
মূল: শায়খ আবদুল মালিক মুজাহিদ
ভাষান্তর: মুহিব্বুল্লাহ খন্দকার
প্রকাশনায়: রাহে জান্নাত কুতুবখানা
মুদ্রিত মূল্য: ৬০০ টাকা মাত্র।
ধরন: ইসলামি গল্প
কভার: হার্ডকভার
.
চলুন, শুরুতে একটি ছোটগল্প বলা যাক…
.
একলোকের একমাত্র ছেলে অসুস্থ। প্রথমে অসুস্থতা স্বাভাবিক থাকলেও আস্তে আস্তে অস্বাভাবিক হয়ে দেখা দিলো এই অসুস্থতা।
দেশের নামীদামী হাসপাতালের চিকিৎসকরা-ও রোগ সমাধানে অপারগতা প্রকাশ করলো। স্পষ্ট জানিয়ে দিলো— দেশে এ-রোগের চিকিৎসা মোটেও সম্ভব না। ছেলেকে বাঁচাতে চাইলে বিদেশে নিয়ে যান, সেখানে এ-রোগের চিকিৎসা থাকলেও থাকতে পারে।
নিরুপায় বাবা জমিজমা বেঁচে আরো কিছু ধার-কর্জ করে ছেলেকে নিয়ে পা রাখলো বিদেশের মাটিতে। ডাক্তারদের স্পেশাল টিম লাগাতার কয়েকদিন মেহনতের পরে জানালো— আল্লাহকে ডাকতে থাকুন, আমাদের স্পেশাল টিম-ও এ-রোগ প্রতিকারে ব্যর্থ।
.
এ- পর্যায়ে এসে টনক নড়লো অসহায় বাবার। আরে... আমার তো আল্লাহ আছেন, যিনি ডাক্তারদের-ও ডাক্তার। এতদিন কেন ধর্না দেই নি তাঁর দুয়ারে! কত-না বোকা আমি!!
.
মসজিদের এককোণে কাকুতিমিনতি করে কাতর স্বরে ডাকতে থাকলো রব্বকে, কন্ঠ চিরে বের হয়ে আসলো নিজের প্রতি ভৎসনা।
সময়ে-সময়ে উপস্থিত হতে লাগলো রব্বে কা'বার দরবারে, চোখের পানিতে গাল ভাসিয়ে বলতে লাগলো মনের অব্যক্ত কথাগুলো; নিজের প্রয়োজনগুলো।
সিজদাহগুলো এখন দীর্ঘ হতেও দীর্ঘ হচ্ছে, ফরিয়াদগুলো হচ্ছে আবেগ আর চোখের জল মিশ্রিত।
কেউ হয়তো বলেছিলো— তার সিজদাহগুলো দীর্ঘ হতেও দীর্ঘ হচ্ছে,
কারণ— রব্বকে বলার মতো তার দিলে দীর্ঘক্ষত জমা আছে।
.
আসমানের দুয়ারগুলো খুলে গেলো, আবেদন পৌঁছলো আরশে; কবুল হলো ফরিয়াদ।
বান্দা আনমনে বললো— আমার রব্ব! কত-না মহান তুমি, আর আমি কত-না বোকা।
.
উপরোক্ত ঘটনাটা তো শুধুমাত্র আমার সাজানো বা বানানো, অথচ এটাই এখনকার বাস্তবতা।
হযরত সাহাবায়ে কেরাম ( রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহুম আজমাইন) রা জুতার একটি ফিতা ছিড়ে গেলেও চাইতেন আল্লাহর নিকট, আর তিনারা পেতেন-ও তা।
আর আমরা! যত বড়ই প্রয়োজন হোক, আগে চাই মাখলুকের ( সৃষ্টি) কাছে, সবশেষে না পেলে গিয়ে চাই খালেকের ( স্রষ্টা) কাছে।
কত-না নিকৃষ্ট আমাদের চিন্তা-চেতনা!
.
আমাদের প্রয়েজনে আমরা চাই না, অথচ পাওয়ার আশাকরি বিশাল বড়।
রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন— যে ব্যক্তি আল্লাহর কাছে চায় না, আল্লাহ তার উপর রাগান্বিত হন। ( তিরমিজি:৩২৯৫)
.
যারা আল্লাহর কাছে দু'আ করতে অলসতা করে, তাদের সম্পর্কে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন— সবচেয়ে দুর্ভাগা সে, যে দু'আ করতে অলসতা করে।
.
নিম্নোক্ত বইটি সাজানো হয়েছে দু'আ কবুলের অসাধারণ কিছু ঘটনা দিয়ে, আশাকরি পাঠক সমাজের উক্ত বইটি পড়ে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস আরে পাকাপোক্ত হবে— ইনশাআল্লাহ।
.
মূল: শায়খ আবদুল মালিক মুজাহিদ
ভাষান্তর: মুহিব্বুল্লাহ খন্দকার
প্রকাশনায়: রাহে জান্নাত কুতুবখানা
মুদ্রিত মূল্য: ৬০০ টাকা মাত্র।
ধরন: ইসলামি গল্প
কভার: হার্ডকভার
.
চলুন, শুরুতে একটি ছোটগল্প বলা যাক…
.
একলোকের একমাত্র ছেলে অসুস্থ। প্রথমে অসুস্থতা স্বাভাবিক থাকলেও আস্তে আস্তে অস্বাভাবিক হয়ে দেখা দিলো এই অসুস্থতা।
দেশের নামীদামী হাসপাতালের চিকিৎসকরা-ও রোগ সমাধানে অপারগতা প্রকাশ করলো। স্পষ্ট জানিয়ে দিলো— দেশে এ-রোগের চিকিৎসা মোটেও সম্ভব না। ছেলেকে বাঁচাতে চাইলে বিদেশে নিয়ে যান, সেখানে এ-রোগের চিকিৎসা থাকলেও থাকতে পারে।
নিরুপায় বাবা জমিজমা বেঁচে আরো কিছু ধার-কর্জ করে ছেলেকে নিয়ে পা রাখলো বিদেশের মাটিতে। ডাক্তারদের স্পেশাল টিম লাগাতার কয়েকদিন মেহনতের পরে জানালো— আল্লাহকে ডাকতে থাকুন, আমাদের স্পেশাল টিম-ও এ-রোগ প্রতিকারে ব্যর্থ।
.
এ- পর্যায়ে এসে টনক নড়লো অসহায় বাবার। আরে... আমার তো আল্লাহ আছেন, যিনি ডাক্তারদের-ও ডাক্তার। এতদিন কেন ধর্না দেই নি তাঁর দুয়ারে! কত-না বোকা আমি!!
.
মসজিদের এককোণে কাকুতিমিনতি করে কাতর স্বরে ডাকতে থাকলো রব্বকে, কন্ঠ চিরে বের হয়ে আসলো নিজের প্রতি ভৎসনা।
সময়ে-সময়ে উপস্থিত হতে লাগলো রব্বে কা'বার দরবারে, চোখের পানিতে গাল ভাসিয়ে বলতে লাগলো মনের অব্যক্ত কথাগুলো; নিজের প্রয়োজনগুলো।
সিজদাহগুলো এখন দীর্ঘ হতেও দীর্ঘ হচ্ছে, ফরিয়াদগুলো হচ্ছে আবেগ আর চোখের জল মিশ্রিত।
কেউ হয়তো বলেছিলো— তার সিজদাহগুলো দীর্ঘ হতেও দীর্ঘ হচ্ছে,
কারণ— রব্বকে বলার মতো তার দিলে দীর্ঘক্ষত জমা আছে।
.
আসমানের দুয়ারগুলো খুলে গেলো, আবেদন পৌঁছলো আরশে; কবুল হলো ফরিয়াদ।
বান্দা আনমনে বললো— আমার রব্ব! কত-না মহান তুমি, আর আমি কত-না বোকা।
.
উপরোক্ত ঘটনাটা তো শুধুমাত্র আমার সাজানো বা বানানো, অথচ এটাই এখনকার বাস্তবতা।
হযরত সাহাবায়ে কেরাম ( রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহুম আজমাইন) রা জুতার একটি ফিতা ছিড়ে গেলেও চাইতেন আল্লাহর নিকট, আর তিনারা পেতেন-ও তা।
আর আমরা! যত বড়ই প্রয়োজন হোক, আগে চাই মাখলুকের ( সৃষ্টি) কাছে, সবশেষে না পেলে গিয়ে চাই খালেকের ( স্রষ্টা) কাছে।
কত-না নিকৃষ্ট আমাদের চিন্তা-চেতনা!
.
আমাদের প্রয়েজনে আমরা চাই না, অথচ পাওয়ার আশাকরি বিশাল বড়।
রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন— যে ব্যক্তি আল্লাহর কাছে চায় না, আল্লাহ তার উপর রাগান্বিত হন। ( তিরমিজি:৩২৯৫)
.
যারা আল্লাহর কাছে দু'আ করতে অলসতা করে, তাদের সম্পর্কে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন— সবচেয়ে দুর্ভাগা সে, যে দু'আ করতে অলসতা করে।
.
নিম্নোক্ত বইটি সাজানো হয়েছে দু'আ কবুলের অসাধারণ কিছু ঘটনা দিয়ে, আশাকরি পাঠক সমাজের উক্ত বইটি পড়ে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস আরে পাকাপোক্ত হবে— ইনশাআল্লাহ।
.