আরব ভূখণ্ডে ইহুদি ও খ্রিস্টান জাতির ইতিহাস’
আরব ভূখণ্ডে ইহুদি ও খ্রিস্টান জাতির ইতিহাস’ ▫️লেখক: মাওলানা হাফেজ মুজিবুল্লাহ নদভি রহ.▫️অনুবাদ: মঈনুদ্দীন তাওহীদ▫️সম্পাদনা: যুবাঈর আহমদ▫️তাহকিক ও তাখরিজ: শুআইব মাহদী▫️শরয়ি নিরীক্ষণ: মুজাহিদুল ইসলাম মাইমুন▫️বানান: রাশেদ মুহাম্মদ ▫️প্রকাশনা: Ettihad Publication ▫️প্রকাশক: মাওলানা মুহাম্মাদ ইসহাক‘আরব ভূখণ্ডে ইহুদি ও খ্রিস্টান জাতির ইতিহাস’ নিয়েইরচিত হয়েছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও তথ্যবহুল এই বইটি।সাধারণত আমরা সীরাত গ্রন্থগুলোতে রাসূল সাল্লাল্লাহুআলাইহি ওয়াসাল্লাম এর আবির্ভাবের পূর্বের ইতিহাসে দেখেছি জাজিরাতুল আরবে ইহুদি ও খ্রিস্টান জাতিরআধিপত্য। জাজিরাতুল আরবের পুরো অঞ্চল জুড়েইছিল তাদের বসবাস। শুধু যে বসবাস ছিল তা কিন্তু নয় বরং সর্বক্ষেত্রে তাদের আধিপত্য বিরাজমান ছিল। শুধুযে তাদের আধিপত্যের কারণে তারা প্রসিদ্ধ ছিল এমন টাও কিন্তু না, বরং ততকালীন জাজিরাতুল আরবেরবাসিন্দারা তাদের সবদিক থেকে শ্রেষ্ঠ মনে করত। মনেকরত এরাই শ্রেষ্ঠ। এদের সংস্কৃতি শ্রেষ্ঠ। চরিত্রও শ্রেষ্ঠ। বক্ষ্যমাণ বইতে আলোচনা হয়েছে আরব ভূখণ্ডে ইহুদি ও খ্রিস্টান জাতির ইতিহাস। সংক্ষিপ্ত হলেও গুরুত্বপূর্ণ সব আলোচনা দিয়ে সাজানো হয়েছে। সামগ্রিকভাবেইএই দুইজাতির আলোচনা অন্য কোথাও এভাবে পাইনি।লেখক খুব সাবলীল ভাষাতে ইহুদি ও খ্রিস্টান জাতির পরিচয়, ইসলামপূর্ব যুগে আরব-ইহুদি সম্পর্কে, ইসলাম পূর্ব যুগে সমাজ ও সংস্কৃতিতে ইহুদি-আরব সম্পর্ক ওএর প্রভাব, নবুওয়াতের পর ইহুদি,মুসলিম, খ্রিস্টানের সামজিক ও রাজনৈতিক সম্পর্ক, জাজিরাতুল আরবেতাদের আগমন, অবস্থান, সমাজিক প্রভাবের সবকিছু চমৎকারভাবে অঙ্কন করেছেন। যারা নবীজির সিরাতবুঝতে চান, নবীজির দাওয়াতি মিশন ও কার্যকলাপ সম্পর্কে বাস্তব ধারণা পেতে চান তাদের জন্য জরুরি। যেমন ধরুন: নবীজির সময় গোটা আরবে, বিশেষ করেমক্কা ও মদিনায় ইহুদি খ্রিস্টানদের প্রভাব কেমন ছিল।ইসলামের আগমন তাদের জন্য কতটা অস্বস্তিকর ছিল, নবীজি কতটা বিজ্ঞচিত পন্থায় তাদের মাঝে দাওয়াতি কাজ করেছেন। কখনো কখনো কেনই বা তাদের প্রতি কিছুটা কঠোর হয়েছেন গ্রন্থটি পড়লে বোঝা আমাদের জন্য খুব সহজ হয়ে যাবে। অজানা ইতিহাস জানা হবে।সাধারণত আমরা মনে করি ইসলামপূর্ব যুগে আরবদেরসাথে অন্য স্থানের বাসিন্দাদের কোনো যোগাযোগ ছিল না। পৃথিবীর আর কোনো জাতির প্রভাব ছিল না তাদেরউপর। কিন্তু জাজিরাতুল আরবের ইতিহাস পড়লে সেইধারণা একদম ভুল প্রমানিত হবে আপনার। দেখবেন যে ধারণা আপনি রেখেছেন তার উল্টো। দেখবেন পাশ্ববর্তী দেশ ও সভ্যতার সাথে তাদের রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও ব্যবসায়িক সম্পর্কের প্রমাণ। আরবের সাথে অন্যান্য দেশ ও জাতির সম্পর্কের প্রধানতম মাধ্যম ছিল তিনটি।▫️বাণিজ্য▫️ইরান ও রোমের অধীনে থাকা কিছু এলাকা।যেমন: গাসসান ও হিরা▫️ইহুদি ও খ্রিস্টানদের অবস্থানবক্ষ্যমাণ বইয়ের শুধু তৃতীয় বিষয়টি নিয়েই আলোচনা করা হয়েছে। কীভাবে জাজিরাতুল আরবে এই দুধর্মেরযাত্রা শুরু হয়েছিল। কোন গোত্রগুলো তা কবুল করে।প্রধান কেন্দ্রগুলোর অবস্থান। জাহেলি যুগে আরবদের মধ্যে ইহুদি ও খ্রিস্টান ধর্মানুসারী গোত্রগুলোর প্রভাবএবং ইসলাম পরবর্তী সময়ে তাদের মধ্যে ঘটে যাওয়াঘটনাবলির আদ্যোপান্ত। ইসলামপূর্বে তাদের সমাজিকঅবস্থান কেমন ছিল, কুরআন তাদের সম্পর্কে কি বলে। ‘বক্ষ্যমাণ বইটিকে দুইভাগে বিভক্ত করা হয়েছে’▫️প্রথম ভাগ: ইহুদি জাতির ইতিহাস ▫️দ্বিতীয় ভাগ: খ্রিস্টান জাতির ইতিহাস জাজিরাতুলআরবে ইহুদি জাতির ইতিহাস জানতে হলেপ্রথমেই আমাদের জানতে হবে আরব ভূখণ্ডে ইহুদিদের আগমন কখন ঘটেছে এবং কী করে ঘটেছে। সংক্ষিপ্তই আমি বলছি আল্লাহ তাআ'লা যখন ফেরাউনের বিপক্ষে মুসা আলাইহিস সালামকে বিজয় করলেন তখন মুসাআলাইহিস সালাম তখন একটা বাহিনীকে পাঠিয়ে দেনহেজাজের উদ্ধত আমালেকা সম্প্রদায়কে দমন করতে। নির্দেশ দিয়েছিলেন যারা দীন কবুল করবে তারা ছাড়া সবালক সবাইকে হত্যা করতে। তারা যুদ্ধে বিজয় হয়।সেখানকার বাদশাহ আরকামকে হত্যা করে গ্রেফতার করা হয় তার ছেলেকে। ছেলেটি দেখতে সুন্দর বলে তাকে হত্যা না করে শামে নিয়ে আসে। ছেলেটিকে তখন মুসা আলাইহিস সালামের কাছে নিয়ে যাবে কিনা চিন্তা করতে করতে মুসা আলাইহিস সালাম ইন্তেকাল করেন।শামের দায়িত্বশীলরা তখন মুসা আলাইহিস সালামের নির্দেশ অমান্য করার কারণে তাদেরকে দেশ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেয়। অবস্থা বেগতিক দেখে তারা রওনা হয় হেজাজের জমিনে। মদিনা ও হেজাজে তারা বসতি স্থাপন করে। এটাই ছিল হেজাজে তাদের প্রথম আগমন। এবং ভূখণ্ডে ইহুদিদের দ্বিতীয় আগমন ঘটেছিল শামউনের হিজরতের মাধ্যমে। হিজরত করে। ▫️সংক্ষিপ্ত সূচিপত্র এখানে উল্লেখ করছি।বক্ষ্যমাণ বইয়ে যে সব বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হল,ইহুদি জাতির ইতিহাস, ইহুদি মতবাদ, ইয়ামানে ইহুদির আগমন, ইহুদিরা কি আরবে হিজরত করেনি, আরবের ইহুদিরা কি পৃথিবী থেকে বিচ্ছিন্ন ছিল, ইহুদিদের কিছু কেন্দ্রীয় এলাকা এবং কিছু প্রসিদ্ধ গোত্র, ইহুদির পেশা, আরবি সাহিত্যে ইহুদিদের অংশগ্রহণ, ইহুদিদের ধর্মীয় ও চারিত্রিক অবস্থা, চরিত্র ও লেনদেন, নবুওয়াতের পরইহুদি মুসলিম সামাজিক, রাজনৈতিক সম্পর্ক ইত্যাদি।দ্বিতীয় অধ্যায়ে আছে খ্রিস্টানদের ইতিহাস, রোমানদের সাথে আরব প্রচীন সম্পর্ক, রোমান ইসায়ীদের সম্পর্ক, আসহাবে ফিল, ইসায়ী আরবের রাজনৈতিক সম্পর্ক ও ধর্মীয় প্রভাবের ফলাফল, সাংস্কৃতিক প্রভাব কাব্য এবংসাহিত্য, ইলমি প্রভাব ইত্যাদি বিষয় নিয়ে রচিত বইটি।
An Najahah Shop
Category List
All products

আরব ভূখণ্ডে ইহুদি ও খ্রিস্টান জাতির ইতিহাস’
▫️লেখক: মাওলানা হাফেজ মুজিবুল্লাহ নদভি রহ.
▫️অনুবাদ: মঈনুদ্দীন তাওহীদ
▫️সম্পাদনা: যুবাঈর আহমদ
▫️তাহকিক ও তাখরিজ: শুআইব মাহদী
▫️শরয়ি নিরীক্ষণ: মুজাহিদুল ইসলাম মাইমুন
▫️বানান: রাশেদ মুহাম্মদ
▫️প্রকাশনা: Ettihad Publication
▫️প্রকাশক: মাওলানা মুহাম্মাদ ইসহাক
‘আরব ভূখণ্ডে ইহুদি ও খ্রিস্টান জাতির ইতিহাস’ নিয়েই
রচিত হয়েছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও তথ্যবহুল এই বইটি।
সাধারণত আমরা সীরাত গ্রন্থগুলোতে রাসূল সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর আবির্ভাবের পূর্বের ইতিহাসে দেখেছি জাজিরাতুল আরবে ইহুদি ও খ্রিস্টান জাতির
আধিপত্য। জাজিরাতুল আরবের পুরো অঞ্চল জুড়েই
ছিল তাদের বসবাস। শুধু যে বসবাস ছিল তা কিন্তু নয় বরং সর্বক্ষেত্রে তাদের আধিপত্য বিরাজমান ছিল। শুধু
যে তাদের আধিপত্যের কারণে তারা প্রসিদ্ধ ছিল এমন টাও কিন্তু না, বরং ততকালীন জাজিরাতুল আরবের
বাসিন্দারা তাদের সবদিক থেকে শ্রেষ্ঠ মনে করত। মনে
করত এরাই শ্রেষ্ঠ। এদের সংস্কৃতি শ্রেষ্ঠ। চরিত্রও শ্রেষ্ঠ।
বক্ষ্যমাণ বইতে আলোচনা হয়েছে আরব ভূখণ্ডে ইহুদি
ও খ্রিস্টান জাতির ইতিহাস। সংক্ষিপ্ত হলেও গুরুত্বপূর্ণ সব আলোচনা দিয়ে সাজানো হয়েছে। সামগ্রিকভাবেই
এই দুইজাতির আলোচনা অন্য কোথাও এভাবে পাইনি।
লেখক খুব সাবলীল ভাষাতে ইহুদি ও খ্রিস্টান জাতির পরিচয়, ইসলামপূর্ব যুগে আরব-ইহুদি সম্পর্কে, ইসলাম পূর্ব যুগে সমাজ ও সংস্কৃতিতে ইহুদি-আরব সম্পর্ক ও
এর প্রভাব, নবুওয়াতের পর ইহুদি,মুসলিম, খ্রিস্টানের সামজিক ও রাজনৈতিক সম্পর্ক, জাজিরাতুল আরবে
তাদের আগমন, অবস্থান, সমাজিক প্রভাবের সবকিছু চমৎকারভাবে অঙ্কন করেছেন। যারা নবীজির সিরাত
বুঝতে চান, নবীজির দাওয়াতি মিশন ও কার্যকলাপ সম্পর্কে বাস্তব ধারণা পেতে চান তাদের জন্য জরুরি।
যেমন ধরুন: নবীজির সময় গোটা আরবে, বিশেষ করে
মক্কা ও মদিনায় ইহুদি খ্রিস্টানদের প্রভাব কেমন ছিল।ইসলামের আগমন তাদের জন্য কতটা অস্বস্তিকর ছিল, নবীজি কতটা বিজ্ঞচিত পন্থায় তাদের মাঝে দাওয়াতি কাজ করেছেন। কখনো কখনো কেনই বা তাদের প্রতি কিছুটা কঠোর হয়েছেন গ্রন্থটি পড়লে বোঝা আমাদের জন্য খুব সহজ হয়ে যাবে। অজানা ইতিহাস জানা হবে।
সাধারণত আমরা মনে করি ইসলামপূর্ব যুগে আরবদের
সাথে অন্য স্থানের বাসিন্দাদের কোনো যোগাযোগ ছিল না। পৃথিবীর আর কোনো জাতির প্রভাব ছিল না তাদের
উপর। কিন্তু জাজিরাতুল আরবের ইতিহাস পড়লে সেই
ধারণা একদম ভুল প্রমানিত হবে আপনার। দেখবেন যে ধারণা আপনি রেখেছেন তার উল্টো। দেখবেন পাশ্ববর্তী দেশ ও সভ্যতার সাথে তাদের রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও ব্যবসায়িক সম্পর্কের প্রমাণ। আরবের সাথে অন্যান্য দেশ ও জাতির সম্পর্কের প্রধানতম মাধ্যম ছিল তিনটি।
▫️বাণিজ্য
▫️ইরান ও রোমের অধীনে থাকা কিছু এলাকা।
যেমন: গাসসান ও হিরা
▫️ইহুদি ও খ্রিস্টানদের অবস্থান
বক্ষ্যমাণ বইয়ের শুধু তৃতীয় বিষয়টি নিয়েই আলোচনা করা হয়েছে। কীভাবে জাজিরাতুল আরবে এই দুধর্মের
যাত্রা শুরু হয়েছিল। কোন গোত্রগুলো তা কবুল করে।
প্রধান কেন্দ্রগুলোর অবস্থান। জাহেলি যুগে আরবদের মধ্যে ইহুদি ও খ্রিস্টান ধর্মানুসারী গোত্রগুলোর প্রভাব
এবং ইসলাম পরবর্তী সময়ে তাদের মধ্যে ঘটে যাওয়া
ঘটনাবলির আদ্যোপান্ত। ইসলামপূর্বে তাদের সমাজিক
অবস্থান কেমন ছিল, কুরআন তাদের সম্পর্কে কি বলে।
‘বক্ষ্যমাণ বইটিকে দুইভাগে বিভক্ত করা হয়েছে’
▫️প্রথম ভাগ: ইহুদি জাতির ইতিহাস
▫️দ্বিতীয় ভাগ: খ্রিস্টান জাতির ইতিহাস
জাজিরাতুলআরবে ইহুদি জাতির ইতিহাস জানতে হলে
প্রথমেই আমাদের জানতে হবে আরব ভূখণ্ডে ইহুদিদের আগমন কখন ঘটেছে এবং কী করে ঘটেছে। সংক্ষিপ্তই আমি বলছি আল্লাহ তাআ'লা যখন ফেরাউনের বিপক্ষে মুসা আলাইহিস সালামকে বিজয় করলেন তখন মুসা
আলাইহিস সালাম তখন একটা বাহিনীকে পাঠিয়ে দেন
হেজাজের উদ্ধত আমালেকা সম্প্রদায়কে দমন করতে। নির্দেশ দিয়েছিলেন যারা দীন কবুল করবে তারা ছাড়া সবালক সবাইকে হত্যা করতে। তারা যুদ্ধে বিজয় হয়।
সেখানকার বাদশাহ আরকামকে হত্যা করে গ্রেফতার করা হয় তার ছেলেকে। ছেলেটি দেখতে সুন্দর বলে তাকে হত্যা না করে শামে নিয়ে আসে। ছেলেটিকে তখন মুসা আলাইহিস সালামের কাছে নিয়ে যাবে কিনা চিন্তা করতে করতে মুসা আলাইহিস সালাম ইন্তেকাল করেন।
শামের দায়িত্বশীলরা তখন মুসা আলাইহিস সালামের নির্দেশ অমান্য করার কারণে তাদেরকে দেশ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেয়। অবস্থা বেগতিক দেখে তারা রওনা হয় হেজাজের জমিনে। মদিনা ও হেজাজে তারা বসতি স্থাপন করে। এটাই ছিল হেজাজে তাদের প্রথম আগমন। এবং ভূখণ্ডে ইহুদিদের দ্বিতীয় আগমন ঘটেছিল শামউনের হিজরতের মাধ্যমে। হিজরত করে।
▫️সংক্ষিপ্ত সূচিপত্র এখানে উল্লেখ করছি।
বক্ষ্যমাণ বইয়ে যে সব বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হল,
ইহুদি জাতির ইতিহাস, ইহুদি মতবাদ, ইয়ামানে ইহুদির আগমন, ইহুদিরা কি আরবে হিজরত করেনি, আরবের ইহুদিরা কি পৃথিবী থেকে বিচ্ছিন্ন ছিল, ইহুদিদের কিছু কেন্দ্রীয় এলাকা এবং কিছু প্রসিদ্ধ গোত্র, ইহুদির পেশা, আরবি সাহিত্যে ইহুদিদের অংশগ্রহণ, ইহুদিদের ধর্মীয় ও চারিত্রিক অবস্থা, চরিত্র ও লেনদেন, নবুওয়াতের পর
ইহুদি মুসলিম সামাজিক, রাজনৈতিক সম্পর্ক ইত্যাদি।
দ্বিতীয় অধ্যায়ে আছে খ্রিস্টানদের ইতিহাস, রোমানদের সাথে আরব প্রচীন সম্পর্ক, রোমান ইসায়ীদের সম্পর্ক, আসহাবে ফিল, ইসায়ী আরবের রাজনৈতিক সম্পর্ক ও ধর্মীয় প্রভাবের ফলাফল, সাংস্কৃতিক প্রভাব কাব্য এবং
সাহিত্য, ইলমি প্রভাব ইত্যাদি বিষয় নিয়ে রচিত বইটি।
▫️লেখক: মাওলানা হাফেজ মুজিবুল্লাহ নদভি রহ.
▫️অনুবাদ: মঈনুদ্দীন তাওহীদ
▫️সম্পাদনা: যুবাঈর আহমদ
▫️তাহকিক ও তাখরিজ: শুআইব মাহদী
▫️শরয়ি নিরীক্ষণ: মুজাহিদুল ইসলাম মাইমুন
▫️বানান: রাশেদ মুহাম্মদ
▫️প্রকাশনা: Ettihad Publication
▫️প্রকাশক: মাওলানা মুহাম্মাদ ইসহাক
‘আরব ভূখণ্ডে ইহুদি ও খ্রিস্টান জাতির ইতিহাস’ নিয়েই
রচিত হয়েছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও তথ্যবহুল এই বইটি।
সাধারণত আমরা সীরাত গ্রন্থগুলোতে রাসূল সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর আবির্ভাবের পূর্বের ইতিহাসে দেখেছি জাজিরাতুল আরবে ইহুদি ও খ্রিস্টান জাতির
আধিপত্য। জাজিরাতুল আরবের পুরো অঞ্চল জুড়েই
ছিল তাদের বসবাস। শুধু যে বসবাস ছিল তা কিন্তু নয় বরং সর্বক্ষেত্রে তাদের আধিপত্য বিরাজমান ছিল। শুধু
যে তাদের আধিপত্যের কারণে তারা প্রসিদ্ধ ছিল এমন টাও কিন্তু না, বরং ততকালীন জাজিরাতুল আরবের
বাসিন্দারা তাদের সবদিক থেকে শ্রেষ্ঠ মনে করত। মনে
করত এরাই শ্রেষ্ঠ। এদের সংস্কৃতি শ্রেষ্ঠ। চরিত্রও শ্রেষ্ঠ।
বক্ষ্যমাণ বইতে আলোচনা হয়েছে আরব ভূখণ্ডে ইহুদি
ও খ্রিস্টান জাতির ইতিহাস। সংক্ষিপ্ত হলেও গুরুত্বপূর্ণ সব আলোচনা দিয়ে সাজানো হয়েছে। সামগ্রিকভাবেই
এই দুইজাতির আলোচনা অন্য কোথাও এভাবে পাইনি।
লেখক খুব সাবলীল ভাষাতে ইহুদি ও খ্রিস্টান জাতির পরিচয়, ইসলামপূর্ব যুগে আরব-ইহুদি সম্পর্কে, ইসলাম পূর্ব যুগে সমাজ ও সংস্কৃতিতে ইহুদি-আরব সম্পর্ক ও
এর প্রভাব, নবুওয়াতের পর ইহুদি,মুসলিম, খ্রিস্টানের সামজিক ও রাজনৈতিক সম্পর্ক, জাজিরাতুল আরবে
তাদের আগমন, অবস্থান, সমাজিক প্রভাবের সবকিছু চমৎকারভাবে অঙ্কন করেছেন। যারা নবীজির সিরাত
বুঝতে চান, নবীজির দাওয়াতি মিশন ও কার্যকলাপ সম্পর্কে বাস্তব ধারণা পেতে চান তাদের জন্য জরুরি।
যেমন ধরুন: নবীজির সময় গোটা আরবে, বিশেষ করে
মক্কা ও মদিনায় ইহুদি খ্রিস্টানদের প্রভাব কেমন ছিল।ইসলামের আগমন তাদের জন্য কতটা অস্বস্তিকর ছিল, নবীজি কতটা বিজ্ঞচিত পন্থায় তাদের মাঝে দাওয়াতি কাজ করেছেন। কখনো কখনো কেনই বা তাদের প্রতি কিছুটা কঠোর হয়েছেন গ্রন্থটি পড়লে বোঝা আমাদের জন্য খুব সহজ হয়ে যাবে। অজানা ইতিহাস জানা হবে।
সাধারণত আমরা মনে করি ইসলামপূর্ব যুগে আরবদের
সাথে অন্য স্থানের বাসিন্দাদের কোনো যোগাযোগ ছিল না। পৃথিবীর আর কোনো জাতির প্রভাব ছিল না তাদের
উপর। কিন্তু জাজিরাতুল আরবের ইতিহাস পড়লে সেই
ধারণা একদম ভুল প্রমানিত হবে আপনার। দেখবেন যে ধারণা আপনি রেখেছেন তার উল্টো। দেখবেন পাশ্ববর্তী দেশ ও সভ্যতার সাথে তাদের রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও ব্যবসায়িক সম্পর্কের প্রমাণ। আরবের সাথে অন্যান্য দেশ ও জাতির সম্পর্কের প্রধানতম মাধ্যম ছিল তিনটি।
▫️বাণিজ্য
▫️ইরান ও রোমের অধীনে থাকা কিছু এলাকা।
যেমন: গাসসান ও হিরা
▫️ইহুদি ও খ্রিস্টানদের অবস্থান
বক্ষ্যমাণ বইয়ের শুধু তৃতীয় বিষয়টি নিয়েই আলোচনা করা হয়েছে। কীভাবে জাজিরাতুল আরবে এই দুধর্মের
যাত্রা শুরু হয়েছিল। কোন গোত্রগুলো তা কবুল করে।
প্রধান কেন্দ্রগুলোর অবস্থান। জাহেলি যুগে আরবদের মধ্যে ইহুদি ও খ্রিস্টান ধর্মানুসারী গোত্রগুলোর প্রভাব
এবং ইসলাম পরবর্তী সময়ে তাদের মধ্যে ঘটে যাওয়া
ঘটনাবলির আদ্যোপান্ত। ইসলামপূর্বে তাদের সমাজিক
অবস্থান কেমন ছিল, কুরআন তাদের সম্পর্কে কি বলে।
‘বক্ষ্যমাণ বইটিকে দুইভাগে বিভক্ত করা হয়েছে’
▫️প্রথম ভাগ: ইহুদি জাতির ইতিহাস
▫️দ্বিতীয় ভাগ: খ্রিস্টান জাতির ইতিহাস
জাজিরাতুলআরবে ইহুদি জাতির ইতিহাস জানতে হলে
প্রথমেই আমাদের জানতে হবে আরব ভূখণ্ডে ইহুদিদের আগমন কখন ঘটেছে এবং কী করে ঘটেছে। সংক্ষিপ্তই আমি বলছি আল্লাহ তাআ'লা যখন ফেরাউনের বিপক্ষে মুসা আলাইহিস সালামকে বিজয় করলেন তখন মুসা
আলাইহিস সালাম তখন একটা বাহিনীকে পাঠিয়ে দেন
হেজাজের উদ্ধত আমালেকা সম্প্রদায়কে দমন করতে। নির্দেশ দিয়েছিলেন যারা দীন কবুল করবে তারা ছাড়া সবালক সবাইকে হত্যা করতে। তারা যুদ্ধে বিজয় হয়।
সেখানকার বাদশাহ আরকামকে হত্যা করে গ্রেফতার করা হয় তার ছেলেকে। ছেলেটি দেখতে সুন্দর বলে তাকে হত্যা না করে শামে নিয়ে আসে। ছেলেটিকে তখন মুসা আলাইহিস সালামের কাছে নিয়ে যাবে কিনা চিন্তা করতে করতে মুসা আলাইহিস সালাম ইন্তেকাল করেন।
শামের দায়িত্বশীলরা তখন মুসা আলাইহিস সালামের নির্দেশ অমান্য করার কারণে তাদেরকে দেশ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেয়। অবস্থা বেগতিক দেখে তারা রওনা হয় হেজাজের জমিনে। মদিনা ও হেজাজে তারা বসতি স্থাপন করে। এটাই ছিল হেজাজে তাদের প্রথম আগমন। এবং ভূখণ্ডে ইহুদিদের দ্বিতীয় আগমন ঘটেছিল শামউনের হিজরতের মাধ্যমে। হিজরত করে।
▫️সংক্ষিপ্ত সূচিপত্র এখানে উল্লেখ করছি।
বক্ষ্যমাণ বইয়ে যে সব বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হল,
ইহুদি জাতির ইতিহাস, ইহুদি মতবাদ, ইয়ামানে ইহুদির আগমন, ইহুদিরা কি আরবে হিজরত করেনি, আরবের ইহুদিরা কি পৃথিবী থেকে বিচ্ছিন্ন ছিল, ইহুদিদের কিছু কেন্দ্রীয় এলাকা এবং কিছু প্রসিদ্ধ গোত্র, ইহুদির পেশা, আরবি সাহিত্যে ইহুদিদের অংশগ্রহণ, ইহুদিদের ধর্মীয় ও চারিত্রিক অবস্থা, চরিত্র ও লেনদেন, নবুওয়াতের পর
ইহুদি মুসলিম সামাজিক, রাজনৈতিক সম্পর্ক ইত্যাদি।
দ্বিতীয় অধ্যায়ে আছে খ্রিস্টানদের ইতিহাস, রোমানদের সাথে আরব প্রচীন সম্পর্ক, রোমান ইসায়ীদের সম্পর্ক, আসহাবে ফিল, ইসায়ী আরবের রাজনৈতিক সম্পর্ক ও ধর্মীয় প্রভাবের ফলাফল, সাংস্কৃতিক প্রভাব কাব্য এবং
সাহিত্য, ইলমি প্রভাব ইত্যাদি বিষয় নিয়ে রচিত বইটি।
আরব ভূখণ্ডে ইহুদি ও খ্রিস্টান জাতির ইতিহাস’
120 BDT240 BDTSave 120 BDT
1
আরব ভূখণ্ডে ইহুদি ও খ্রিস্টান জাতির ইতিহাস’
▫️লেখক: মাওলানা হাফেজ মুজিবুল্লাহ নদভি রহ.
▫️অনুবাদ: মঈনুদ্দীন তাওহীদ
▫️সম্পাদনা: যুবাঈর আহমদ
▫️তাহকিক ও তাখরিজ: শুআইব মাহদী
▫️শরয়ি নিরীক্ষণ: মুজাহিদুল ইসলাম মাইমুন
▫️বানান: রাশেদ মুহাম্মদ
▫️প্রকাশনা: Ettihad Publication
▫️প্রকাশক: মাওলানা মুহাম্মাদ ইসহাক
‘আরব ভূখণ্ডে ইহুদি ও খ্রিস্টান জাতির ইতিহাস’ নিয়েই
রচিত হয়েছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও তথ্যবহুল এই বইটি।
সাধারণত আমরা সীরাত গ্রন্থগুলোতে রাসূল সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর আবির্ভাবের পূর্বের ইতিহাসে দেখেছি জাজিরাতুল আরবে ইহুদি ও খ্রিস্টান জাতির
আধিপত্য। জাজিরাতুল আরবের পুরো অঞ্চল জুড়েই
ছিল তাদের বসবাস। শুধু যে বসবাস ছিল তা কিন্তু নয় বরং সর্বক্ষেত্রে তাদের আধিপত্য বিরাজমান ছিল। শুধু
যে তাদের আধিপত্যের কারণে তারা প্রসিদ্ধ ছিল এমন টাও কিন্তু না, বরং ততকালীন জাজিরাতুল আরবের
বাসিন্দারা তাদের সবদিক থেকে শ্রেষ্ঠ মনে করত। মনে
করত এরাই শ্রেষ্ঠ। এদের সংস্কৃতি শ্রেষ্ঠ। চরিত্রও শ্রেষ্ঠ।
বক্ষ্যমাণ বইতে আলোচনা হয়েছে আরব ভূখণ্ডে ইহুদি
ও খ্রিস্টান জাতির ইতিহাস। সংক্ষিপ্ত হলেও গুরুত্বপূর্ণ সব আলোচনা দিয়ে সাজানো হয়েছে। সামগ্রিকভাবেই
এই দুইজাতির আলোচনা অন্য কোথাও এভাবে পাইনি।
লেখক খুব সাবলীল ভাষাতে ইহুদি ও খ্রিস্টান জাতির পরিচয়, ইসলামপূর্ব যুগে আরব-ইহুদি সম্পর্কে, ইসলাম পূর্ব যুগে সমাজ ও সংস্কৃতিতে ইহুদি-আরব সম্পর্ক ও
এর প্রভাব, নবুওয়াতের পর ইহুদি,মুসলিম, খ্রিস্টানের সামজিক ও রাজনৈতিক সম্পর্ক, জাজিরাতুল আরবে
তাদের আগমন, অবস্থান, সমাজিক প্রভাবের সবকিছু চমৎকারভাবে অঙ্কন করেছেন। যারা নবীজির সিরাত
বুঝতে চান, নবীজির দাওয়াতি মিশন ও কার্যকলাপ সম্পর্কে বাস্তব ধারণা পেতে চান তাদের জন্য জরুরি।
যেমন ধরুন: নবীজির সময় গোটা আরবে, বিশেষ করে
মক্কা ও মদিনায় ইহুদি খ্রিস্টানদের প্রভাব কেমন ছিল।ইসলামের আগমন তাদের জন্য কতটা অস্বস্তিকর ছিল, নবীজি কতটা বিজ্ঞচিত পন্থায় তাদের মাঝে দাওয়াতি কাজ করেছেন। কখনো কখনো কেনই বা তাদের প্রতি কিছুটা কঠোর হয়েছেন গ্রন্থটি পড়লে বোঝা আমাদের জন্য খুব সহজ হয়ে যাবে। অজানা ইতিহাস জানা হবে।
সাধারণত আমরা মনে করি ইসলামপূর্ব যুগে আরবদের
সাথে অন্য স্থানের বাসিন্দাদের কোনো যোগাযোগ ছিল না। পৃথিবীর আর কোনো জাতির প্রভাব ছিল না তাদের
উপর। কিন্তু জাজিরাতুল আরবের ইতিহাস পড়লে সেই
ধারণা একদম ভুল প্রমানিত হবে আপনার। দেখবেন যে ধারণা আপনি রেখেছেন তার উল্টো। দেখবেন পাশ্ববর্তী দেশ ও সভ্যতার সাথে তাদের রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও ব্যবসায়িক সম্পর্কের প্রমাণ। আরবের সাথে অন্যান্য দেশ ও জাতির সম্পর্কের প্রধানতম মাধ্যম ছিল তিনটি।
▫️বাণিজ্য
▫️ইরান ও রোমের অধীনে থাকা কিছু এলাকা।
যেমন: গাসসান ও হিরা
▫️ইহুদি ও খ্রিস্টানদের অবস্থান
বক্ষ্যমাণ বইয়ের শুধু তৃতীয় বিষয়টি নিয়েই আলোচনা করা হয়েছে। কীভাবে জাজিরাতুল আরবে এই দুধর্মের
যাত্রা শুরু হয়েছিল। কোন গোত্রগুলো তা কবুল করে।
প্রধান কেন্দ্রগুলোর অবস্থান। জাহেলি যুগে আরবদের মধ্যে ইহুদি ও খ্রিস্টান ধর্মানুসারী গোত্রগুলোর প্রভাব
এবং ইসলাম পরবর্তী সময়ে তাদের মধ্যে ঘটে যাওয়া
ঘটনাবলির আদ্যোপান্ত। ইসলামপূর্বে তাদের সমাজিক
অবস্থান কেমন ছিল, কুরআন তাদের সম্পর্কে কি বলে।
‘বক্ষ্যমাণ বইটিকে দুইভাগে বিভক্ত করা হয়েছে’
▫️প্রথম ভাগ: ইহুদি জাতির ইতিহাস
▫️দ্বিতীয় ভাগ: খ্রিস্টান জাতির ইতিহাস
জাজিরাতুলআরবে ইহুদি জাতির ইতিহাস জানতে হলে
প্রথমেই আমাদের জানতে হবে আরব ভূখণ্ডে ইহুদিদের আগমন কখন ঘটেছে এবং কী করে ঘটেছে। সংক্ষিপ্তই আমি বলছি আল্লাহ তাআ'লা যখন ফেরাউনের বিপক্ষে মুসা আলাইহিস সালামকে বিজয় করলেন তখন মুসা
আলাইহিস সালাম তখন একটা বাহিনীকে পাঠিয়ে দেন
হেজাজের উদ্ধত আমালেকা সম্প্রদায়কে দমন করতে। নির্দেশ দিয়েছিলেন যারা দীন কবুল করবে তারা ছাড়া সবালক সবাইকে হত্যা করতে। তারা যুদ্ধে বিজয় হয়।
সেখানকার বাদশাহ আরকামকে হত্যা করে গ্রেফতার করা হয় তার ছেলেকে। ছেলেটি দেখতে সুন্দর বলে তাকে হত্যা না করে শামে নিয়ে আসে। ছেলেটিকে তখন মুসা আলাইহিস সালামের কাছে নিয়ে যাবে কিনা চিন্তা করতে করতে মুসা আলাইহিস সালাম ইন্তেকাল করেন।
শামের দায়িত্বশীলরা তখন মুসা আলাইহিস সালামের নির্দেশ অমান্য করার কারণে তাদেরকে দেশ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেয়। অবস্থা বেগতিক দেখে তারা রওনা হয় হেজাজের জমিনে। মদিনা ও হেজাজে তারা বসতি স্থাপন করে। এটাই ছিল হেজাজে তাদের প্রথম আগমন। এবং ভূখণ্ডে ইহুদিদের দ্বিতীয় আগমন ঘটেছিল শামউনের হিজরতের মাধ্যমে। হিজরত করে।
▫️সংক্ষিপ্ত সূচিপত্র এখানে উল্লেখ করছি।
বক্ষ্যমাণ বইয়ে যে সব বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হল,
ইহুদি জাতির ইতিহাস, ইহুদি মতবাদ, ইয়ামানে ইহুদির আগমন, ইহুদিরা কি আরবে হিজরত করেনি, আরবের ইহুদিরা কি পৃথিবী থেকে বিচ্ছিন্ন ছিল, ইহুদিদের কিছু কেন্দ্রীয় এলাকা এবং কিছু প্রসিদ্ধ গোত্র, ইহুদির পেশা, আরবি সাহিত্যে ইহুদিদের অংশগ্রহণ, ইহুদিদের ধর্মীয় ও চারিত্রিক অবস্থা, চরিত্র ও লেনদেন, নবুওয়াতের পর
ইহুদি মুসলিম সামাজিক, রাজনৈতিক সম্পর্ক ইত্যাদি।
দ্বিতীয় অধ্যায়ে আছে খ্রিস্টানদের ইতিহাস, রোমানদের সাথে আরব প্রচীন সম্পর্ক, রোমান ইসায়ীদের সম্পর্ক, আসহাবে ফিল, ইসায়ী আরবের রাজনৈতিক সম্পর্ক ও ধর্মীয় প্রভাবের ফলাফল, সাংস্কৃতিক প্রভাব কাব্য এবং
সাহিত্য, ইলমি প্রভাব ইত্যাদি বিষয় নিয়ে রচিত বইটি।
▫️লেখক: মাওলানা হাফেজ মুজিবুল্লাহ নদভি রহ.
▫️অনুবাদ: মঈনুদ্দীন তাওহীদ
▫️সম্পাদনা: যুবাঈর আহমদ
▫️তাহকিক ও তাখরিজ: শুআইব মাহদী
▫️শরয়ি নিরীক্ষণ: মুজাহিদুল ইসলাম মাইমুন
▫️বানান: রাশেদ মুহাম্মদ
▫️প্রকাশনা: Ettihad Publication
▫️প্রকাশক: মাওলানা মুহাম্মাদ ইসহাক
‘আরব ভূখণ্ডে ইহুদি ও খ্রিস্টান জাতির ইতিহাস’ নিয়েই
রচিত হয়েছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও তথ্যবহুল এই বইটি।
সাধারণত আমরা সীরাত গ্রন্থগুলোতে রাসূল সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর আবির্ভাবের পূর্বের ইতিহাসে দেখেছি জাজিরাতুল আরবে ইহুদি ও খ্রিস্টান জাতির
আধিপত্য। জাজিরাতুল আরবের পুরো অঞ্চল জুড়েই
ছিল তাদের বসবাস। শুধু যে বসবাস ছিল তা কিন্তু নয় বরং সর্বক্ষেত্রে তাদের আধিপত্য বিরাজমান ছিল। শুধু
যে তাদের আধিপত্যের কারণে তারা প্রসিদ্ধ ছিল এমন টাও কিন্তু না, বরং ততকালীন জাজিরাতুল আরবের
বাসিন্দারা তাদের সবদিক থেকে শ্রেষ্ঠ মনে করত। মনে
করত এরাই শ্রেষ্ঠ। এদের সংস্কৃতি শ্রেষ্ঠ। চরিত্রও শ্রেষ্ঠ।
বক্ষ্যমাণ বইতে আলোচনা হয়েছে আরব ভূখণ্ডে ইহুদি
ও খ্রিস্টান জাতির ইতিহাস। সংক্ষিপ্ত হলেও গুরুত্বপূর্ণ সব আলোচনা দিয়ে সাজানো হয়েছে। সামগ্রিকভাবেই
এই দুইজাতির আলোচনা অন্য কোথাও এভাবে পাইনি।
লেখক খুব সাবলীল ভাষাতে ইহুদি ও খ্রিস্টান জাতির পরিচয়, ইসলামপূর্ব যুগে আরব-ইহুদি সম্পর্কে, ইসলাম পূর্ব যুগে সমাজ ও সংস্কৃতিতে ইহুদি-আরব সম্পর্ক ও
এর প্রভাব, নবুওয়াতের পর ইহুদি,মুসলিম, খ্রিস্টানের সামজিক ও রাজনৈতিক সম্পর্ক, জাজিরাতুল আরবে
তাদের আগমন, অবস্থান, সমাজিক প্রভাবের সবকিছু চমৎকারভাবে অঙ্কন করেছেন। যারা নবীজির সিরাত
বুঝতে চান, নবীজির দাওয়াতি মিশন ও কার্যকলাপ সম্পর্কে বাস্তব ধারণা পেতে চান তাদের জন্য জরুরি।
যেমন ধরুন: নবীজির সময় গোটা আরবে, বিশেষ করে
মক্কা ও মদিনায় ইহুদি খ্রিস্টানদের প্রভাব কেমন ছিল।ইসলামের আগমন তাদের জন্য কতটা অস্বস্তিকর ছিল, নবীজি কতটা বিজ্ঞচিত পন্থায় তাদের মাঝে দাওয়াতি কাজ করেছেন। কখনো কখনো কেনই বা তাদের প্রতি কিছুটা কঠোর হয়েছেন গ্রন্থটি পড়লে বোঝা আমাদের জন্য খুব সহজ হয়ে যাবে। অজানা ইতিহাস জানা হবে।
সাধারণত আমরা মনে করি ইসলামপূর্ব যুগে আরবদের
সাথে অন্য স্থানের বাসিন্দাদের কোনো যোগাযোগ ছিল না। পৃথিবীর আর কোনো জাতির প্রভাব ছিল না তাদের
উপর। কিন্তু জাজিরাতুল আরবের ইতিহাস পড়লে সেই
ধারণা একদম ভুল প্রমানিত হবে আপনার। দেখবেন যে ধারণা আপনি রেখেছেন তার উল্টো। দেখবেন পাশ্ববর্তী দেশ ও সভ্যতার সাথে তাদের রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও ব্যবসায়িক সম্পর্কের প্রমাণ। আরবের সাথে অন্যান্য দেশ ও জাতির সম্পর্কের প্রধানতম মাধ্যম ছিল তিনটি।
▫️বাণিজ্য
▫️ইরান ও রোমের অধীনে থাকা কিছু এলাকা।
যেমন: গাসসান ও হিরা
▫️ইহুদি ও খ্রিস্টানদের অবস্থান
বক্ষ্যমাণ বইয়ের শুধু তৃতীয় বিষয়টি নিয়েই আলোচনা করা হয়েছে। কীভাবে জাজিরাতুল আরবে এই দুধর্মের
যাত্রা শুরু হয়েছিল। কোন গোত্রগুলো তা কবুল করে।
প্রধান কেন্দ্রগুলোর অবস্থান। জাহেলি যুগে আরবদের মধ্যে ইহুদি ও খ্রিস্টান ধর্মানুসারী গোত্রগুলোর প্রভাব
এবং ইসলাম পরবর্তী সময়ে তাদের মধ্যে ঘটে যাওয়া
ঘটনাবলির আদ্যোপান্ত। ইসলামপূর্বে তাদের সমাজিক
অবস্থান কেমন ছিল, কুরআন তাদের সম্পর্কে কি বলে।
‘বক্ষ্যমাণ বইটিকে দুইভাগে বিভক্ত করা হয়েছে’
▫️প্রথম ভাগ: ইহুদি জাতির ইতিহাস
▫️দ্বিতীয় ভাগ: খ্রিস্টান জাতির ইতিহাস
জাজিরাতুলআরবে ইহুদি জাতির ইতিহাস জানতে হলে
প্রথমেই আমাদের জানতে হবে আরব ভূখণ্ডে ইহুদিদের আগমন কখন ঘটেছে এবং কী করে ঘটেছে। সংক্ষিপ্তই আমি বলছি আল্লাহ তাআ'লা যখন ফেরাউনের বিপক্ষে মুসা আলাইহিস সালামকে বিজয় করলেন তখন মুসা
আলাইহিস সালাম তখন একটা বাহিনীকে পাঠিয়ে দেন
হেজাজের উদ্ধত আমালেকা সম্প্রদায়কে দমন করতে। নির্দেশ দিয়েছিলেন যারা দীন কবুল করবে তারা ছাড়া সবালক সবাইকে হত্যা করতে। তারা যুদ্ধে বিজয় হয়।
সেখানকার বাদশাহ আরকামকে হত্যা করে গ্রেফতার করা হয় তার ছেলেকে। ছেলেটি দেখতে সুন্দর বলে তাকে হত্যা না করে শামে নিয়ে আসে। ছেলেটিকে তখন মুসা আলাইহিস সালামের কাছে নিয়ে যাবে কিনা চিন্তা করতে করতে মুসা আলাইহিস সালাম ইন্তেকাল করেন।
শামের দায়িত্বশীলরা তখন মুসা আলাইহিস সালামের নির্দেশ অমান্য করার কারণে তাদেরকে দেশ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেয়। অবস্থা বেগতিক দেখে তারা রওনা হয় হেজাজের জমিনে। মদিনা ও হেজাজে তারা বসতি স্থাপন করে। এটাই ছিল হেজাজে তাদের প্রথম আগমন। এবং ভূখণ্ডে ইহুদিদের দ্বিতীয় আগমন ঘটেছিল শামউনের হিজরতের মাধ্যমে। হিজরত করে।
▫️সংক্ষিপ্ত সূচিপত্র এখানে উল্লেখ করছি।
বক্ষ্যমাণ বইয়ে যে সব বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হল,
ইহুদি জাতির ইতিহাস, ইহুদি মতবাদ, ইয়ামানে ইহুদির আগমন, ইহুদিরা কি আরবে হিজরত করেনি, আরবের ইহুদিরা কি পৃথিবী থেকে বিচ্ছিন্ন ছিল, ইহুদিদের কিছু কেন্দ্রীয় এলাকা এবং কিছু প্রসিদ্ধ গোত্র, ইহুদির পেশা, আরবি সাহিত্যে ইহুদিদের অংশগ্রহণ, ইহুদিদের ধর্মীয় ও চারিত্রিক অবস্থা, চরিত্র ও লেনদেন, নবুওয়াতের পর
ইহুদি মুসলিম সামাজিক, রাজনৈতিক সম্পর্ক ইত্যাদি।
দ্বিতীয় অধ্যায়ে আছে খ্রিস্টানদের ইতিহাস, রোমানদের সাথে আরব প্রচীন সম্পর্ক, রোমান ইসায়ীদের সম্পর্ক, আসহাবে ফিল, ইসায়ী আরবের রাজনৈতিক সম্পর্ক ও ধর্মীয় প্রভাবের ফলাফল, সাংস্কৃতিক প্রভাব কাব্য এবং
সাহিত্য, ইলমি প্রভাব ইত্যাদি বিষয় নিয়ে রচিত বইটি।