আধুনিক বিশ্বের চল্লিশজন নওমুসলিমের আত্মকাহিনি
বই—আধুনিক বিশ্বের চল্লিশজন নওমুসলিমের আত্মকাহিনি.লেখক—উবায়দুর রহমান খান নদভী.প্রকাশক—রাহনুমা প্রকাশনীপৃষ্ঠাসংখ্যা—১২২.মানুষ সৃষ্টিগতভাবেই সত্যসন্ধানী। জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত সত্য ও বাস্তবতাকে উপলব্ধিই একজন প্রকৃত মানুষের প্রধান সাধনা। এর মাধ্যমে সে জানতে চায় সৃষ্টির লক্ষ্য; যাতে জীবনে পূর্ণতা ও সৌভাগ্যের গন্তব্যে পৌঁছানো যায়। এবং এ সব কিছুর ভিত্তিমূলেই রয়েছে মানবজীবনের আধ্যাত্মিক এক তৃষ্ণা, যা ব্যতীত মানুষ আসলে প্রাণহীন জড়পদার্থের মতো। সেজন্য প্রতিটি বুদ্ধিমান মানুষই সারাজীবন সত্য অনুসন্ধান করে বেড়ায়। একজন মুসলিম হিসেবে ইসলাম হচ্ছে আমাদের কাছে সেই পূর্ণতা, আধ্যাত্মিকতা ও শেষ গন্তব্যের নাম। এরই পথ ধরে মুসলিমদের বাইরেও অসংখ্য মানুষ প্রতিনিয়ত সত্য খুঁজে বেড়ান। একমুঠো আত্মিক প্রশান্তির জন্য দুনিয়ার এ মাথা ও মাথা ঘোরেন; সেইসাথে আধুনিক দুনিয়ার যে বস্তুবাদী মোহ, তাতে মানুষ খুব অল্পতেই যেহেতু ক্লান্ত হয়ে পড়ছেন, সেজন্য এই সংখ্যাটা দিনদিন কেবল বাড়ছেই। .জীবন ও যাপনের এইসব ক্লান্তি ও গ্লানি থেকে মুক্তি পেতে আধুনিক বিশ্বের অসংখ্য মানুষ প্রতিনিয়ত এক মহাসত্যের দিকে ঝুঁকছে, যার নাম ইসলাম! ‘আশহাদু আল্লাহ'র উচ্চারণে মুছে নিচ্ছেন বিগত জীবনের সব হৃদয়বৃত্তিক অপ্রাপ্তি! কান্নার নবধারা জলে ভিজিয়ে ভিজিয়ে ধুয়ে নিচ্ছেন বিগত যাপনের সব পাপ, জরা ও মহামহিম স্রষ্টাকে না চেনার কষ্ট! বস্তুবাদী কর্পোরেট মোহ থেকে বেরিয়ে এসে দীপ্তকণ্ঠে জানান দিচ্ছেন, এমন এক মহিমান্বিত সত্যের কথা, যে সত্য তাকে সত্যিকার এক মানুষ করেছে! বক্ষ্যমাণ গ্রন্থে আধুনিক বিশ্বের এরকম চল্লিশজন নওমুসলিমের ইসলাম গ্রহণের আত্মকাহিনি নিয়েই আলোচনা করা হয়েছে।.অনুবাদকের ভাষায়—'কারও ইসলামগ্রহণের কাহিনি যেভাবে আমাকে নাড়া দেয়, আর কিছুই হয়তো এমন গভীরভাবে আন্দোলিত করতে পারে না। আমার হৃদয়-মন, অস্তিত্ব, উপলব্ধি সব কিছু আপ্লুত করে দেয় একজন মানুষের ইসলাম গ্রহণ। আমি দেখতে পাই যে, একটি মানবসন্তান অনন্তকালীন জাহান্নাম থেকে নিষ্কৃতি পেয়ে জান্নাতের পথে উঠে এলো। এরচেয়ে বড় পরম চরম চূড়ান্ত ও কাঙ্ক্ষিত প্রাপ্তি এ বিশ্ব চরাচরে আর কি হতে পারে!'.বক্ষ্যমাণ গ্রন্থটি মূলত অনুবাদকের এইসব বিহ্বল ভালোলাগা আশ্চর্য অনুভূতিরই ফসল। জীবনে চলার পথে যেখানেই শুনেছেন একজন নওমুসলিমের গল্প, সেখানেই কান খাড়া করেছেন। বুঝতে চেয়েছেন মানুষের সত্যে পৌঁছার গভীর এক আকুতিকে। .একজন মুসলিম হিসেবে ইসলামকে আমরা যতটা সহজে পাই, নওমুসলিমরা আসলে ততটা সহজে পান না। এই সত্যকে পাওয়ার জন্য তাদের জীবনে অনেক বেদনাবহুল দিন গুজরান করতে হয়; অনেক ত্যাগ ও সাধনা করে তারপর পেতে হয়। এ বইটিতে তাদের সেই ত্যাগ ও অনুভূতির গল্পগুলোই বলা হয়েছে মুখ্য করে। সেজন্য এটি একইসাথে আমাদের জন্য সুতীব্র এক ধাক্কা ও শিক্ষা। বইটির পাঠে পাঠে আবার আমরা বুঝতে পারব জন্মগতভাবে কী এক বিশাল খোদায়ি উপহার পেয়ে বড় হয়েছি আমরা, যার কদর কখনো বুঝতে শিখিনি।.সবগুলো লেখাই বিদেশি কাগজপত্র থেকে সংগৃহীত এবং লেখক সবগুলো লেখা বাংলা অনুবাদ করে বিভিন্ন সাময়িকী ও পত্রপত্রিকাতেও ছাপিয়েছিলেন। এগুলো আকর্ষিত করেছিল অসংখ্য পাঠকের দৃষ্টি। সেখান থেকেই সমস্ত লেখা সংকলন করে এ গ্রন্থের প্রয়াস। গ্রন্থটি প্রতিটি মুসলিমদের কাছে একটি খোলাচিঠির মতো, যেন আমরা সবাই বুঝতে পারি—যে সত্য ও শান্তির জীবন সহজেই আমরা পেয়েছি, ঠিক সে সত্যটাই অন্য মানুষদের পেতে কতটা সময় লেগেছে, কতটা আকুল প্রার্থনা ও বিরহের পর তাদের কাছে ধরা দিয়েছে সিরাতুল মুস্তাকিমের পথ, সহজিয়া শান্তির এই মহাসড়ক!.নওমুসলিমদের এই হৃদয়গ্রাহী গল্পে গল্পে আমাদের চোখগুলো খুলুক, আত্মাগুলো কাঁদুক, আমরা বইটির পাঠে পাঠে আরও পবিত্র হয়ে উঠি—পাঠকদের প্রতি সেই কামনা।.
An Najahah Shop
Category List
All products

বই—আধুনিক বিশ্বের চল্লিশজন নওমুসলিমের আত্মকাহিনি
.লেখক—উবায়দুর রহমান খান নদভী
.প্রকাশক—রাহনুমা প্রকাশনী
পৃষ্ঠাসংখ্যা—১২২
.
মানুষ সৃষ্টিগতভাবেই সত্যসন্ধানী। জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত সত্য ও বাস্তবতাকে উপলব্ধিই একজন প্রকৃত মানুষের প্রধান সাধনা। এর মাধ্যমে সে জানতে চায় সৃষ্টির লক্ষ্য; যাতে জীবনে পূর্ণতা ও সৌভাগ্যের গন্তব্যে পৌঁছানো যায়। এবং এ সব কিছুর ভিত্তিমূলেই রয়েছে মানবজীবনের আধ্যাত্মিক এক তৃষ্ণা, যা ব্যতীত মানুষ আসলে প্রাণহীন জড়পদার্থের মতো। সেজন্য প্রতিটি বুদ্ধিমান মানুষই সারাজীবন সত্য অনুসন্ধান করে বেড়ায়। একজন মুসলিম হিসেবে ইসলাম হচ্ছে আমাদের কাছে সেই পূর্ণতা, আধ্যাত্মিকতা ও শেষ গন্তব্যের নাম। এরই পথ ধরে মুসলিমদের বাইরেও অসংখ্য মানুষ প্রতিনিয়ত সত্য খুঁজে বেড়ান। একমুঠো আত্মিক প্রশান্তির জন্য দুনিয়ার এ মাথা ও মাথা ঘোরেন; সেইসাথে আধুনিক দুনিয়ার যে বস্তুবাদী মোহ, তাতে মানুষ খুব অল্পতেই যেহেতু ক্লান্ত হয়ে পড়ছেন, সেজন্য এই সংখ্যাটা দিনদিন কেবল বাড়ছেই।
.
জীবন ও যাপনের এইসব ক্লান্তি ও গ্লানি থেকে মুক্তি পেতে আধুনিক বিশ্বের অসংখ্য মানুষ প্রতিনিয়ত এক মহাসত্যের দিকে ঝুঁকছে, যার নাম ইসলাম! ‘আশহাদু আল্লাহ'র উচ্চারণে মুছে নিচ্ছেন বিগত জীবনের সব হৃদয়বৃত্তিক অপ্রাপ্তি! কান্নার নবধারা জলে ভিজিয়ে ভিজিয়ে ধুয়ে নিচ্ছেন বিগত যাপনের সব পাপ, জরা ও মহামহিম স্রষ্টাকে না চেনার কষ্ট! বস্তুবাদী কর্পোরেট মোহ থেকে বেরিয়ে এসে দীপ্তকণ্ঠে জানান দিচ্ছেন, এমন এক মহিমান্বিত সত্যের কথা, যে সত্য তাকে সত্যিকার এক মানুষ করেছে! বক্ষ্যমাণ গ্রন্থে আধুনিক বিশ্বের এরকম চল্লিশজন নওমুসলিমের ইসলাম গ্রহণের আত্মকাহিনি নিয়েই আলোচনা করা হয়েছে।
.
অনুবাদকের ভাষায়—'কারও ইসলামগ্রহণের কাহিনি যেভাবে আমাকে নাড়া দেয়, আর কিছুই হয়তো এমন গভীরভাবে আন্দোলিত করতে পারে না। আমার হৃদয়-মন, অস্তিত্ব, উপলব্ধি সব কিছু আপ্লুত করে দেয় একজন মানুষের ইসলাম গ্রহণ। আমি দেখতে পাই যে, একটি মানবসন্তান অনন্তকালীন জাহান্নাম থেকে নিষ্কৃতি পেয়ে জান্নাতের পথে উঠে এলো। এরচেয়ে বড় পরম চরম চূড়ান্ত ও কাঙ্ক্ষিত প্রাপ্তি এ বিশ্ব চরাচরে আর কি হতে পারে!'
.
বক্ষ্যমাণ গ্রন্থটি মূলত অনুবাদকের এইসব বিহ্বল ভালোলাগা আশ্চর্য অনুভূতিরই ফসল। জীবনে চলার পথে যেখানেই শুনেছেন একজন নওমুসলিমের গল্প, সেখানেই কান খাড়া করেছেন। বুঝতে চেয়েছেন মানুষের সত্যে পৌঁছার গভীর এক আকুতিকে।
.
একজন মুসলিম হিসেবে ইসলামকে আমরা যতটা সহজে পাই, নওমুসলিমরা আসলে ততটা সহজে পান না। এই সত্যকে পাওয়ার জন্য তাদের জীবনে অনেক বেদনাবহুল দিন গুজরান করতে হয়; অনেক ত্যাগ ও সাধনা করে তারপর পেতে হয়। এ বইটিতে তাদের সেই ত্যাগ ও অনুভূতির গল্পগুলোই বলা হয়েছে মুখ্য করে। সেজন্য এটি একইসাথে আমাদের জন্য সুতীব্র এক ধাক্কা ও শিক্ষা। বইটির পাঠে পাঠে আবার আমরা বুঝতে পারব জন্মগতভাবে কী এক বিশাল খোদায়ি উপহার পেয়ে বড় হয়েছি আমরা, যার কদর কখনো বুঝতে শিখিনি।
.
সবগুলো লেখাই বিদেশি কাগজপত্র থেকে সংগৃহীত এবং লেখক সবগুলো লেখা বাংলা অনুবাদ করে বিভিন্ন সাময়িকী ও পত্রপত্রিকাতেও ছাপিয়েছিলেন। এগুলো আকর্ষিত করেছিল অসংখ্য পাঠকের দৃষ্টি। সেখান থেকেই সমস্ত লেখা সংকলন করে এ গ্রন্থের প্রয়াস। গ্রন্থটি প্রতিটি মুসলিমদের কাছে একটি খোলাচিঠির মতো, যেন আমরা সবাই বুঝতে পারি—যে সত্য ও শান্তির জীবন সহজেই আমরা পেয়েছি, ঠিক সে সত্যটাই অন্য মানুষদের পেতে কতটা সময় লেগেছে, কতটা আকুল প্রার্থনা ও বিরহের পর তাদের কাছে ধরা দিয়েছে সিরাতুল মুস্তাকিমের পথ, সহজিয়া শান্তির এই মহাসড়ক!
.
নওমুসলিমদের এই হৃদয়গ্রাহী গল্পে গল্পে আমাদের চোখগুলো খুলুক, আত্মাগুলো কাঁদুক, আমরা বইটির পাঠে পাঠে আরও পবিত্র হয়ে উঠি—পাঠকদের প্রতি সেই কামনা।
.
.লেখক—উবায়দুর রহমান খান নদভী
.প্রকাশক—রাহনুমা প্রকাশনী
পৃষ্ঠাসংখ্যা—১২২
.
মানুষ সৃষ্টিগতভাবেই সত্যসন্ধানী। জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত সত্য ও বাস্তবতাকে উপলব্ধিই একজন প্রকৃত মানুষের প্রধান সাধনা। এর মাধ্যমে সে জানতে চায় সৃষ্টির লক্ষ্য; যাতে জীবনে পূর্ণতা ও সৌভাগ্যের গন্তব্যে পৌঁছানো যায়। এবং এ সব কিছুর ভিত্তিমূলেই রয়েছে মানবজীবনের আধ্যাত্মিক এক তৃষ্ণা, যা ব্যতীত মানুষ আসলে প্রাণহীন জড়পদার্থের মতো। সেজন্য প্রতিটি বুদ্ধিমান মানুষই সারাজীবন সত্য অনুসন্ধান করে বেড়ায়। একজন মুসলিম হিসেবে ইসলাম হচ্ছে আমাদের কাছে সেই পূর্ণতা, আধ্যাত্মিকতা ও শেষ গন্তব্যের নাম। এরই পথ ধরে মুসলিমদের বাইরেও অসংখ্য মানুষ প্রতিনিয়ত সত্য খুঁজে বেড়ান। একমুঠো আত্মিক প্রশান্তির জন্য দুনিয়ার এ মাথা ও মাথা ঘোরেন; সেইসাথে আধুনিক দুনিয়ার যে বস্তুবাদী মোহ, তাতে মানুষ খুব অল্পতেই যেহেতু ক্লান্ত হয়ে পড়ছেন, সেজন্য এই সংখ্যাটা দিনদিন কেবল বাড়ছেই।
.
জীবন ও যাপনের এইসব ক্লান্তি ও গ্লানি থেকে মুক্তি পেতে আধুনিক বিশ্বের অসংখ্য মানুষ প্রতিনিয়ত এক মহাসত্যের দিকে ঝুঁকছে, যার নাম ইসলাম! ‘আশহাদু আল্লাহ'র উচ্চারণে মুছে নিচ্ছেন বিগত জীবনের সব হৃদয়বৃত্তিক অপ্রাপ্তি! কান্নার নবধারা জলে ভিজিয়ে ভিজিয়ে ধুয়ে নিচ্ছেন বিগত যাপনের সব পাপ, জরা ও মহামহিম স্রষ্টাকে না চেনার কষ্ট! বস্তুবাদী কর্পোরেট মোহ থেকে বেরিয়ে এসে দীপ্তকণ্ঠে জানান দিচ্ছেন, এমন এক মহিমান্বিত সত্যের কথা, যে সত্য তাকে সত্যিকার এক মানুষ করেছে! বক্ষ্যমাণ গ্রন্থে আধুনিক বিশ্বের এরকম চল্লিশজন নওমুসলিমের ইসলাম গ্রহণের আত্মকাহিনি নিয়েই আলোচনা করা হয়েছে।
.
অনুবাদকের ভাষায়—'কারও ইসলামগ্রহণের কাহিনি যেভাবে আমাকে নাড়া দেয়, আর কিছুই হয়তো এমন গভীরভাবে আন্দোলিত করতে পারে না। আমার হৃদয়-মন, অস্তিত্ব, উপলব্ধি সব কিছু আপ্লুত করে দেয় একজন মানুষের ইসলাম গ্রহণ। আমি দেখতে পাই যে, একটি মানবসন্তান অনন্তকালীন জাহান্নাম থেকে নিষ্কৃতি পেয়ে জান্নাতের পথে উঠে এলো। এরচেয়ে বড় পরম চরম চূড়ান্ত ও কাঙ্ক্ষিত প্রাপ্তি এ বিশ্ব চরাচরে আর কি হতে পারে!'
.
বক্ষ্যমাণ গ্রন্থটি মূলত অনুবাদকের এইসব বিহ্বল ভালোলাগা আশ্চর্য অনুভূতিরই ফসল। জীবনে চলার পথে যেখানেই শুনেছেন একজন নওমুসলিমের গল্প, সেখানেই কান খাড়া করেছেন। বুঝতে চেয়েছেন মানুষের সত্যে পৌঁছার গভীর এক আকুতিকে।
.
একজন মুসলিম হিসেবে ইসলামকে আমরা যতটা সহজে পাই, নওমুসলিমরা আসলে ততটা সহজে পান না। এই সত্যকে পাওয়ার জন্য তাদের জীবনে অনেক বেদনাবহুল দিন গুজরান করতে হয়; অনেক ত্যাগ ও সাধনা করে তারপর পেতে হয়। এ বইটিতে তাদের সেই ত্যাগ ও অনুভূতির গল্পগুলোই বলা হয়েছে মুখ্য করে। সেজন্য এটি একইসাথে আমাদের জন্য সুতীব্র এক ধাক্কা ও শিক্ষা। বইটির পাঠে পাঠে আবার আমরা বুঝতে পারব জন্মগতভাবে কী এক বিশাল খোদায়ি উপহার পেয়ে বড় হয়েছি আমরা, যার কদর কখনো বুঝতে শিখিনি।
.
সবগুলো লেখাই বিদেশি কাগজপত্র থেকে সংগৃহীত এবং লেখক সবগুলো লেখা বাংলা অনুবাদ করে বিভিন্ন সাময়িকী ও পত্রপত্রিকাতেও ছাপিয়েছিলেন। এগুলো আকর্ষিত করেছিল অসংখ্য পাঠকের দৃষ্টি। সেখান থেকেই সমস্ত লেখা সংকলন করে এ গ্রন্থের প্রয়াস। গ্রন্থটি প্রতিটি মুসলিমদের কাছে একটি খোলাচিঠির মতো, যেন আমরা সবাই বুঝতে পারি—যে সত্য ও শান্তির জীবন সহজেই আমরা পেয়েছি, ঠিক সে সত্যটাই অন্য মানুষদের পেতে কতটা সময় লেগেছে, কতটা আকুল প্রার্থনা ও বিরহের পর তাদের কাছে ধরা দিয়েছে সিরাতুল মুস্তাকিমের পথ, সহজিয়া শান্তির এই মহাসড়ক!
.
নওমুসলিমদের এই হৃদয়গ্রাহী গল্পে গল্পে আমাদের চোখগুলো খুলুক, আত্মাগুলো কাঁদুক, আমরা বইটির পাঠে পাঠে আরও পবিত্র হয়ে উঠি—পাঠকদের প্রতি সেই কামনা।
.
আধুনিক বিশ্বের চল্লিশজন নওমুসলিমের আত্মকাহিনি
100 BDT200 BDTSave 100 BDT
বই—আধুনিক বিশ্বের চল্লিশজন নওমুসলিমের আত্মকাহিনি
.লেখক—উবায়দুর রহমান খান নদভী
.প্রকাশক—রাহনুমা প্রকাশনী
পৃষ্ঠাসংখ্যা—১২২
.
মানুষ সৃষ্টিগতভাবেই সত্যসন্ধানী। জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত সত্য ও বাস্তবতাকে উপলব্ধিই একজন প্রকৃত মানুষের প্রধান সাধনা। এর মাধ্যমে সে জানতে চায় সৃষ্টির লক্ষ্য; যাতে জীবনে পূর্ণতা ও সৌভাগ্যের গন্তব্যে পৌঁছানো যায়। এবং এ সব কিছুর ভিত্তিমূলেই রয়েছে মানবজীবনের আধ্যাত্মিক এক তৃষ্ণা, যা ব্যতীত মানুষ আসলে প্রাণহীন জড়পদার্থের মতো। সেজন্য প্রতিটি বুদ্ধিমান মানুষই সারাজীবন সত্য অনুসন্ধান করে বেড়ায়। একজন মুসলিম হিসেবে ইসলাম হচ্ছে আমাদের কাছে সেই পূর্ণতা, আধ্যাত্মিকতা ও শেষ গন্তব্যের নাম। এরই পথ ধরে মুসলিমদের বাইরেও অসংখ্য মানুষ প্রতিনিয়ত সত্য খুঁজে বেড়ান। একমুঠো আত্মিক প্রশান্তির জন্য দুনিয়ার এ মাথা ও মাথা ঘোরেন; সেইসাথে আধুনিক দুনিয়ার যে বস্তুবাদী মোহ, তাতে মানুষ খুব অল্পতেই যেহেতু ক্লান্ত হয়ে পড়ছেন, সেজন্য এই সংখ্যাটা দিনদিন কেবল বাড়ছেই।
.
জীবন ও যাপনের এইসব ক্লান্তি ও গ্লানি থেকে মুক্তি পেতে আধুনিক বিশ্বের অসংখ্য মানুষ প্রতিনিয়ত এক মহাসত্যের দিকে ঝুঁকছে, যার নাম ইসলাম! ‘আশহাদু আল্লাহ'র উচ্চারণে মুছে নিচ্ছেন বিগত জীবনের সব হৃদয়বৃত্তিক অপ্রাপ্তি! কান্নার নবধারা জলে ভিজিয়ে ভিজিয়ে ধুয়ে নিচ্ছেন বিগত যাপনের সব পাপ, জরা ও মহামহিম স্রষ্টাকে না চেনার কষ্ট! বস্তুবাদী কর্পোরেট মোহ থেকে বেরিয়ে এসে দীপ্তকণ্ঠে জানান দিচ্ছেন, এমন এক মহিমান্বিত সত্যের কথা, যে সত্য তাকে সত্যিকার এক মানুষ করেছে! বক্ষ্যমাণ গ্রন্থে আধুনিক বিশ্বের এরকম চল্লিশজন নওমুসলিমের ইসলাম গ্রহণের আত্মকাহিনি নিয়েই আলোচনা করা হয়েছে।
.
অনুবাদকের ভাষায়—'কারও ইসলামগ্রহণের কাহিনি যেভাবে আমাকে নাড়া দেয়, আর কিছুই হয়তো এমন গভীরভাবে আন্দোলিত করতে পারে না। আমার হৃদয়-মন, অস্তিত্ব, উপলব্ধি সব কিছু আপ্লুত করে দেয় একজন মানুষের ইসলাম গ্রহণ। আমি দেখতে পাই যে, একটি মানবসন্তান অনন্তকালীন জাহান্নাম থেকে নিষ্কৃতি পেয়ে জান্নাতের পথে উঠে এলো। এরচেয়ে বড় পরম চরম চূড়ান্ত ও কাঙ্ক্ষিত প্রাপ্তি এ বিশ্ব চরাচরে আর কি হতে পারে!'
.
বক্ষ্যমাণ গ্রন্থটি মূলত অনুবাদকের এইসব বিহ্বল ভালোলাগা আশ্চর্য অনুভূতিরই ফসল। জীবনে চলার পথে যেখানেই শুনেছেন একজন নওমুসলিমের গল্প, সেখানেই কান খাড়া করেছেন। বুঝতে চেয়েছেন মানুষের সত্যে পৌঁছার গভীর এক আকুতিকে।
.
একজন মুসলিম হিসেবে ইসলামকে আমরা যতটা সহজে পাই, নওমুসলিমরা আসলে ততটা সহজে পান না। এই সত্যকে পাওয়ার জন্য তাদের জীবনে অনেক বেদনাবহুল দিন গুজরান করতে হয়; অনেক ত্যাগ ও সাধনা করে তারপর পেতে হয়। এ বইটিতে তাদের সেই ত্যাগ ও অনুভূতির গল্পগুলোই বলা হয়েছে মুখ্য করে। সেজন্য এটি একইসাথে আমাদের জন্য সুতীব্র এক ধাক্কা ও শিক্ষা। বইটির পাঠে পাঠে আবার আমরা বুঝতে পারব জন্মগতভাবে কী এক বিশাল খোদায়ি উপহার পেয়ে বড় হয়েছি আমরা, যার কদর কখনো বুঝতে শিখিনি।
.
সবগুলো লেখাই বিদেশি কাগজপত্র থেকে সংগৃহীত এবং লেখক সবগুলো লেখা বাংলা অনুবাদ করে বিভিন্ন সাময়িকী ও পত্রপত্রিকাতেও ছাপিয়েছিলেন। এগুলো আকর্ষিত করেছিল অসংখ্য পাঠকের দৃষ্টি। সেখান থেকেই সমস্ত লেখা সংকলন করে এ গ্রন্থের প্রয়াস। গ্রন্থটি প্রতিটি মুসলিমদের কাছে একটি খোলাচিঠির মতো, যেন আমরা সবাই বুঝতে পারি—যে সত্য ও শান্তির জীবন সহজেই আমরা পেয়েছি, ঠিক সে সত্যটাই অন্য মানুষদের পেতে কতটা সময় লেগেছে, কতটা আকুল প্রার্থনা ও বিরহের পর তাদের কাছে ধরা দিয়েছে সিরাতুল মুস্তাকিমের পথ, সহজিয়া শান্তির এই মহাসড়ক!
.
নওমুসলিমদের এই হৃদয়গ্রাহী গল্পে গল্পে আমাদের চোখগুলো খুলুক, আত্মাগুলো কাঁদুক, আমরা বইটির পাঠে পাঠে আরও পবিত্র হয়ে উঠি—পাঠকদের প্রতি সেই কামনা।
.
.লেখক—উবায়দুর রহমান খান নদভী
.প্রকাশক—রাহনুমা প্রকাশনী
পৃষ্ঠাসংখ্যা—১২২
.
মানুষ সৃষ্টিগতভাবেই সত্যসন্ধানী। জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত সত্য ও বাস্তবতাকে উপলব্ধিই একজন প্রকৃত মানুষের প্রধান সাধনা। এর মাধ্যমে সে জানতে চায় সৃষ্টির লক্ষ্য; যাতে জীবনে পূর্ণতা ও সৌভাগ্যের গন্তব্যে পৌঁছানো যায়। এবং এ সব কিছুর ভিত্তিমূলেই রয়েছে মানবজীবনের আধ্যাত্মিক এক তৃষ্ণা, যা ব্যতীত মানুষ আসলে প্রাণহীন জড়পদার্থের মতো। সেজন্য প্রতিটি বুদ্ধিমান মানুষই সারাজীবন সত্য অনুসন্ধান করে বেড়ায়। একজন মুসলিম হিসেবে ইসলাম হচ্ছে আমাদের কাছে সেই পূর্ণতা, আধ্যাত্মিকতা ও শেষ গন্তব্যের নাম। এরই পথ ধরে মুসলিমদের বাইরেও অসংখ্য মানুষ প্রতিনিয়ত সত্য খুঁজে বেড়ান। একমুঠো আত্মিক প্রশান্তির জন্য দুনিয়ার এ মাথা ও মাথা ঘোরেন; সেইসাথে আধুনিক দুনিয়ার যে বস্তুবাদী মোহ, তাতে মানুষ খুব অল্পতেই যেহেতু ক্লান্ত হয়ে পড়ছেন, সেজন্য এই সংখ্যাটা দিনদিন কেবল বাড়ছেই।
.
জীবন ও যাপনের এইসব ক্লান্তি ও গ্লানি থেকে মুক্তি পেতে আধুনিক বিশ্বের অসংখ্য মানুষ প্রতিনিয়ত এক মহাসত্যের দিকে ঝুঁকছে, যার নাম ইসলাম! ‘আশহাদু আল্লাহ'র উচ্চারণে মুছে নিচ্ছেন বিগত জীবনের সব হৃদয়বৃত্তিক অপ্রাপ্তি! কান্নার নবধারা জলে ভিজিয়ে ভিজিয়ে ধুয়ে নিচ্ছেন বিগত যাপনের সব পাপ, জরা ও মহামহিম স্রষ্টাকে না চেনার কষ্ট! বস্তুবাদী কর্পোরেট মোহ থেকে বেরিয়ে এসে দীপ্তকণ্ঠে জানান দিচ্ছেন, এমন এক মহিমান্বিত সত্যের কথা, যে সত্য তাকে সত্যিকার এক মানুষ করেছে! বক্ষ্যমাণ গ্রন্থে আধুনিক বিশ্বের এরকম চল্লিশজন নওমুসলিমের ইসলাম গ্রহণের আত্মকাহিনি নিয়েই আলোচনা করা হয়েছে।
.
অনুবাদকের ভাষায়—'কারও ইসলামগ্রহণের কাহিনি যেভাবে আমাকে নাড়া দেয়, আর কিছুই হয়তো এমন গভীরভাবে আন্দোলিত করতে পারে না। আমার হৃদয়-মন, অস্তিত্ব, উপলব্ধি সব কিছু আপ্লুত করে দেয় একজন মানুষের ইসলাম গ্রহণ। আমি দেখতে পাই যে, একটি মানবসন্তান অনন্তকালীন জাহান্নাম থেকে নিষ্কৃতি পেয়ে জান্নাতের পথে উঠে এলো। এরচেয়ে বড় পরম চরম চূড়ান্ত ও কাঙ্ক্ষিত প্রাপ্তি এ বিশ্ব চরাচরে আর কি হতে পারে!'
.
বক্ষ্যমাণ গ্রন্থটি মূলত অনুবাদকের এইসব বিহ্বল ভালোলাগা আশ্চর্য অনুভূতিরই ফসল। জীবনে চলার পথে যেখানেই শুনেছেন একজন নওমুসলিমের গল্প, সেখানেই কান খাড়া করেছেন। বুঝতে চেয়েছেন মানুষের সত্যে পৌঁছার গভীর এক আকুতিকে।
.
একজন মুসলিম হিসেবে ইসলামকে আমরা যতটা সহজে পাই, নওমুসলিমরা আসলে ততটা সহজে পান না। এই সত্যকে পাওয়ার জন্য তাদের জীবনে অনেক বেদনাবহুল দিন গুজরান করতে হয়; অনেক ত্যাগ ও সাধনা করে তারপর পেতে হয়। এ বইটিতে তাদের সেই ত্যাগ ও অনুভূতির গল্পগুলোই বলা হয়েছে মুখ্য করে। সেজন্য এটি একইসাথে আমাদের জন্য সুতীব্র এক ধাক্কা ও শিক্ষা। বইটির পাঠে পাঠে আবার আমরা বুঝতে পারব জন্মগতভাবে কী এক বিশাল খোদায়ি উপহার পেয়ে বড় হয়েছি আমরা, যার কদর কখনো বুঝতে শিখিনি।
.
সবগুলো লেখাই বিদেশি কাগজপত্র থেকে সংগৃহীত এবং লেখক সবগুলো লেখা বাংলা অনুবাদ করে বিভিন্ন সাময়িকী ও পত্রপত্রিকাতেও ছাপিয়েছিলেন। এগুলো আকর্ষিত করেছিল অসংখ্য পাঠকের দৃষ্টি। সেখান থেকেই সমস্ত লেখা সংকলন করে এ গ্রন্থের প্রয়াস। গ্রন্থটি প্রতিটি মুসলিমদের কাছে একটি খোলাচিঠির মতো, যেন আমরা সবাই বুঝতে পারি—যে সত্য ও শান্তির জীবন সহজেই আমরা পেয়েছি, ঠিক সে সত্যটাই অন্য মানুষদের পেতে কতটা সময় লেগেছে, কতটা আকুল প্রার্থনা ও বিরহের পর তাদের কাছে ধরা দিয়েছে সিরাতুল মুস্তাকিমের পথ, সহজিয়া শান্তির এই মহাসড়ক!
.
নওমুসলিমদের এই হৃদয়গ্রাহী গল্পে গল্পে আমাদের চোখগুলো খুলুক, আত্মাগুলো কাঁদুক, আমরা বইটির পাঠে পাঠে আরও পবিত্র হয়ে উঠি—পাঠকদের প্রতি সেই কামনা।
.

