কাদিয়ানিরা অমুসলিম কেন?
বই—কাদিয়ানিরা অমুসলিম কেন?.লেখক—মাওলানা মানযুর নোমানী রাহি.অনুবাদক—মাওলানা মুহাম্মাদ নুরুল্লাহ.প্রকাশক—রাহনুমা প্রকাশনীপৃষ্ঠাসংখ্যা—১৪২.ব্রিটিশ-ভারত থেকে নিয়ে এখন পর্যন্ত উপমহাদেশের মুসলিমরা যে কয়টি বড় ফিতনার সম্মুখীন হয়েছে, তার মধ্যে সবচেয়ে বড় ফিতনা কাদিয়ানি ফিতনা। নবুওত প্রশ্নে ইসলামের অবস্থান যেহেতু চিরঅনিবার্য এক মহাসত্য—ঠিক সে কারণেই আকিদার মাপকাঠিতে কাদিয়ানিরা ইসলাম থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে! তাদের পথ ও মত কুফুরির সাথে একাত্ম থাকা, পাশাপাশি নিজেদের মুসলিম দাবি করা; তাই মানুষের মধ্যে এইসব কুফুরি পথভ্রষ্ট মতবাদ ছড়িয়ে দেওয়ার কারণে অনেক সরল মুসলিম পথভ্রষ্ট হয়েছে। এর বিরুদ্ধে সর্বকালেই সোচ্চার ছিলেন উপমহাদেশের প্রায় বিশিষ্ট সব আলেমে দ্বীন। .এরই ধারাবাহিকতায় কাদিয়ানিরা কেন অমুসলিম, এর পোস্টমর্টেম করে উপমহাদেশের উরদুভাষার খ্যাতিমান সাহিত্যিক ও চিন্তাবিদ মাওলানা মানজুর নোমানি রাহি. লিখেছেন—‘কাদিয়ানি কিউ মুসলমান নেহি?’.গ্রন্থের শুরুতেই ইসলাম ও কাদিয়ানি মতবাদের সারসংক্ষেপ তুলে ধরা হয়েছে। অতঃপর কাদিয়ানি সম্প্রদায় কেন মুসলমান নয় বোঝাতে গিয়ে—তাদের খতমে নবুওতকেন্দ্রিক যত কুফরি চিন্তা, সমস্যা ও মিথ্যে নবুওত দাবির প্রেক্ষিত, সব কিছু একে একে স্পষ্ট করা হয়েছে।কাদিয়ানিদের প্রতিষ্ঠাতা মির্জা গোলাম আহমদ কাদিয়ানি নিজেকে কখনো একজন মহান সংস্কারক, কখনো ইমাম মাহদি, আবার কখনো বা নিজেকে ঈসা আ. দাবি করত! আর তার ভুইফোঁড় এসব অবস্থানকে স্থির করতে তিনি একের পর এক চক্রান্ত করে গিয়েছেন সরলমনা মুসলিমদের সাথে। এইসব সংকট ও সমস্যার খোলাসা বয়ান করতে মানজুর নোমানি রাহি. সরাসরি কুরআন ও হাদিসের টেক্সটকে সামনে এনে স্পষ্ট করেছেন—মির্জার এইসব চিন্তাধারা মানুষকে বিভ্রান্ত করার অপকৌশল। পাশাপাশি লেখক কাদিয়ানিদের মতবাদ শুরু হওয়ার ইতিহাস, ধর্মমতের সূচনা, মির্জার তৎপরতা ও তার নিজের বানানো ইসলামের ময়নাতদন্ত করে দেখিয়েছেন তাদের দাওয়াতি কার্যক্রমের অসারতা ও ধর্মীয় পথভ্রষ্টতা। .পরিশেষে রয়েছে মির্জার অপমৃত্যু ও কাদিয়ানিদের শতবর্ষ উদযাপন নিয়ে তাদের প্রকাশ করা ক্রোড়পত্রের জরুরি কিছু কথাবার্তা এবং প্রথম আলোতে প্রকাশিত তাদের মূল বক্তব্য! যেখানে জানা যায়, তাদের কার্যক্রম বিশ্বের প্রায় ২০২টি দেশে চলমান; পাশাপাশি ইউরোপিয়ান দেশের বড় বড় মসজিদগুলোতে তাদের দৌরাত্ম্য, দখলদারি ও গোমরাহি দাওয়াতের বিক্ষিপ্ত কার্যক্রম! গ্রন্থের একেবারে শেষে কিছু ছবি-এলবাম যুক্ত করা হয়েছে তাদের কার্যক্রম ও কেন্দ্রীয় জায়গাগুলো চিহ্নিত করে দেখানোর উদ্দেশে। কাদিয়ানিদের অমুসলিম ঘোষণার দাবিতে সদা সোচ্চার বাংলাদেশসহ উপমহাদেশের মুসলিমরা। যেহেতু কাদিয়ানিদের উৎপত্তি ভারত-উপমহাদেশে, তাই তাদের অমুসলিম ঘোষণার দাবিও কঠোর আওয়াজে ভারত-উপমহাদেশ থেকেই বেশি উচ্চকিত হয়েছে। .বইটি সম্পর্কে শায়খুল ইসলাম তাকি উসমানি লিখেছেন—'কাদিয়ানি কিউ মুসলাম নেহি' মাওলানা মানজুর নোমানি রাহি.-এর এ বিষয়ের সবচেয়ে প্রমাণসমৃদ্ধ শক্তিশালী ও হৃদয়গ্রাহী রচনা। মাওলানার শক্তিশালী লেখনীর গুণমুগ্ধ আমি আগে থেকেই ছিলাম। কিন্তু তার এই রচনা থেকে অনুমিত হয়েছে, পাঠককে নিজের সঙ্গে একাত্ম করে নেওয়ার এক অসাধারণ যোগ্যতা আল্লাহ তাকে দান করেছিলেন। কাদিয়ানিদের অমুসলিম ঘোষণা সম্পর্কে ভুল বোঝাবুঝির যে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছিল, তা দূর করতে তার এই রচনা বিশেষ অবদান রেখেছে।'.নিজেদের ঈমান, আমল বাঁচানোর পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী প্রতিজন মুসলিমকে সতর্ক করার জন্য হলেও কাদিয়ানিদের ভ্রান্ত ধর্মমত সম্পর্কে জানা আমাদের জন্য অতি অবশ্য জরুরি। কাদিয়ানিদের সামগ্রিক চিন্তাধারা ও পূর্বাপর ইতিহাস জানতে মূল্যবান এই বইটি সংগ্রহ করুন।.
An Najahah Shop
Category List
All products

বই—কাদিয়ানিরা অমুসলিম কেন?
.লেখক—মাওলানা মানযুর নোমানী রাহি.
অনুবাদক—মাওলানা মুহাম্মাদ নুরুল্লাহ
.প্রকাশক—রাহনুমা প্রকাশনী
পৃষ্ঠাসংখ্যা—১৪২
.
ব্রিটিশ-ভারত থেকে নিয়ে এখন পর্যন্ত উপমহাদেশের মুসলিমরা যে কয়টি বড় ফিতনার সম্মুখীন হয়েছে, তার মধ্যে সবচেয়ে বড় ফিতনা কাদিয়ানি ফিতনা। নবুওত প্রশ্নে ইসলামের অবস্থান যেহেতু চিরঅনিবার্য এক মহাসত্য—ঠিক সে কারণেই আকিদার মাপকাঠিতে কাদিয়ানিরা ইসলাম থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে! তাদের পথ ও মত কুফুরির সাথে একাত্ম থাকা, পাশাপাশি নিজেদের মুসলিম দাবি করা; তাই মানুষের মধ্যে এইসব কুফুরি পথভ্রষ্ট মতবাদ ছড়িয়ে দেওয়ার কারণে অনেক সরল মুসলিম পথভ্রষ্ট হয়েছে। এর বিরুদ্ধে সর্বকালেই সোচ্চার ছিলেন উপমহাদেশের প্রায় বিশিষ্ট সব আলেমে দ্বীন।
.
এরই ধারাবাহিকতায় কাদিয়ানিরা কেন অমুসলিম, এর পোস্টমর্টেম করে উপমহাদেশের উরদুভাষার খ্যাতিমান সাহিত্যিক ও চিন্তাবিদ মাওলানা মানজুর নোমানি রাহি. লিখেছেন—‘কাদিয়ানি কিউ মুসলমান নেহি?’
.
গ্রন্থের শুরুতেই ইসলাম ও কাদিয়ানি মতবাদের সারসংক্ষেপ তুলে ধরা হয়েছে। অতঃপর কাদিয়ানি সম্প্রদায় কেন মুসলমান নয় বোঝাতে গিয়ে—তাদের খতমে নবুওতকেন্দ্রিক যত কুফরি চিন্তা, সমস্যা ও মিথ্যে নবুওত দাবির প্রেক্ষিত, সব কিছু একে একে স্পষ্ট করা হয়েছে।
কাদিয়ানিদের প্রতিষ্ঠাতা মির্জা গোলাম আহমদ কাদিয়ানি নিজেকে কখনো একজন মহান সংস্কারক, কখনো ইমাম মাহদি, আবার কখনো বা নিজেকে ঈসা আ. দাবি করত! আর তার ভুইফোঁড় এসব অবস্থানকে স্থির করতে তিনি একের পর এক চক্রান্ত করে গিয়েছেন সরলমনা মুসলিমদের সাথে। এইসব সংকট ও সমস্যার খোলাসা বয়ান করতে মানজুর নোমানি রাহি. সরাসরি কুরআন ও হাদিসের টেক্সটকে সামনে এনে স্পষ্ট করেছেন—মির্জার এইসব চিন্তাধারা মানুষকে বিভ্রান্ত করার অপকৌশল। পাশাপাশি লেখক কাদিয়ানিদের মতবাদ শুরু হওয়ার ইতিহাস, ধর্মমতের সূচনা, মির্জার তৎপরতা ও তার নিজের বানানো ইসলামের ময়নাতদন্ত করে দেখিয়েছেন তাদের দাওয়াতি কার্যক্রমের অসারতা ও ধর্মীয় পথভ্রষ্টতা।
.
পরিশেষে রয়েছে মির্জার অপমৃত্যু ও কাদিয়ানিদের শতবর্ষ উদযাপন নিয়ে তাদের প্রকাশ করা ক্রোড়পত্রের জরুরি কিছু কথাবার্তা এবং প্রথম আলোতে প্রকাশিত তাদের মূল বক্তব্য! যেখানে জানা যায়, তাদের কার্যক্রম বিশ্বের প্রায় ২০২টি দেশে চলমান; পাশাপাশি ইউরোপিয়ান দেশের বড় বড় মসজিদগুলোতে তাদের দৌরাত্ম্য, দখলদারি ও গোমরাহি দাওয়াতের বিক্ষিপ্ত কার্যক্রম! গ্রন্থের একেবারে শেষে কিছু ছবি-এলবাম যুক্ত করা হয়েছে তাদের কার্যক্রম ও কেন্দ্রীয় জায়গাগুলো চিহ্নিত করে দেখানোর উদ্দেশে।
কাদিয়ানিদের অমুসলিম ঘোষণার দাবিতে সদা সোচ্চার বাংলাদেশসহ উপমহাদেশের মুসলিমরা। যেহেতু কাদিয়ানিদের উৎপত্তি ভারত-উপমহাদেশে, তাই তাদের অমুসলিম ঘোষণার দাবিও কঠোর আওয়াজে ভারত-উপমহাদেশ থেকেই বেশি উচ্চকিত হয়েছে।
.
বইটি সম্পর্কে শায়খুল ইসলাম তাকি উসমানি লিখেছেন—'কাদিয়ানি কিউ মুসলাম নেহি' মাওলানা মানজুর নোমানি রাহি.-এর এ বিষয়ের সবচেয়ে প্রমাণসমৃদ্ধ শক্তিশালী ও হৃদয়গ্রাহী রচনা। মাওলানার শক্তিশালী লেখনীর গুণমুগ্ধ আমি আগে থেকেই ছিলাম। কিন্তু তার এই রচনা থেকে অনুমিত হয়েছে, পাঠককে নিজের সঙ্গে একাত্ম করে নেওয়ার এক অসাধারণ যোগ্যতা আল্লাহ তাকে দান করেছিলেন। কাদিয়ানিদের অমুসলিম ঘোষণা সম্পর্কে ভুল বোঝাবুঝির যে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছিল, তা দূর করতে তার এই রচনা বিশেষ অবদান রেখেছে।'
.
নিজেদের ঈমান, আমল বাঁচানোর পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী প্রতিজন মুসলিমকে সতর্ক করার জন্য হলেও কাদিয়ানিদের ভ্রান্ত ধর্মমত সম্পর্কে জানা আমাদের জন্য অতি অবশ্য জরুরি। কাদিয়ানিদের সামগ্রিক চিন্তাধারা ও পূর্বাপর ইতিহাস জানতে মূল্যবান এই বইটি সংগ্রহ করুন।
.
.লেখক—মাওলানা মানযুর নোমানী রাহি.
অনুবাদক—মাওলানা মুহাম্মাদ নুরুল্লাহ
.প্রকাশক—রাহনুমা প্রকাশনী
পৃষ্ঠাসংখ্যা—১৪২
.
ব্রিটিশ-ভারত থেকে নিয়ে এখন পর্যন্ত উপমহাদেশের মুসলিমরা যে কয়টি বড় ফিতনার সম্মুখীন হয়েছে, তার মধ্যে সবচেয়ে বড় ফিতনা কাদিয়ানি ফিতনা। নবুওত প্রশ্নে ইসলামের অবস্থান যেহেতু চিরঅনিবার্য এক মহাসত্য—ঠিক সে কারণেই আকিদার মাপকাঠিতে কাদিয়ানিরা ইসলাম থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে! তাদের পথ ও মত কুফুরির সাথে একাত্ম থাকা, পাশাপাশি নিজেদের মুসলিম দাবি করা; তাই মানুষের মধ্যে এইসব কুফুরি পথভ্রষ্ট মতবাদ ছড়িয়ে দেওয়ার কারণে অনেক সরল মুসলিম পথভ্রষ্ট হয়েছে। এর বিরুদ্ধে সর্বকালেই সোচ্চার ছিলেন উপমহাদেশের প্রায় বিশিষ্ট সব আলেমে দ্বীন।
.
এরই ধারাবাহিকতায় কাদিয়ানিরা কেন অমুসলিম, এর পোস্টমর্টেম করে উপমহাদেশের উরদুভাষার খ্যাতিমান সাহিত্যিক ও চিন্তাবিদ মাওলানা মানজুর নোমানি রাহি. লিখেছেন—‘কাদিয়ানি কিউ মুসলমান নেহি?’
.
গ্রন্থের শুরুতেই ইসলাম ও কাদিয়ানি মতবাদের সারসংক্ষেপ তুলে ধরা হয়েছে। অতঃপর কাদিয়ানি সম্প্রদায় কেন মুসলমান নয় বোঝাতে গিয়ে—তাদের খতমে নবুওতকেন্দ্রিক যত কুফরি চিন্তা, সমস্যা ও মিথ্যে নবুওত দাবির প্রেক্ষিত, সব কিছু একে একে স্পষ্ট করা হয়েছে।
কাদিয়ানিদের প্রতিষ্ঠাতা মির্জা গোলাম আহমদ কাদিয়ানি নিজেকে কখনো একজন মহান সংস্কারক, কখনো ইমাম মাহদি, আবার কখনো বা নিজেকে ঈসা আ. দাবি করত! আর তার ভুইফোঁড় এসব অবস্থানকে স্থির করতে তিনি একের পর এক চক্রান্ত করে গিয়েছেন সরলমনা মুসলিমদের সাথে। এইসব সংকট ও সমস্যার খোলাসা বয়ান করতে মানজুর নোমানি রাহি. সরাসরি কুরআন ও হাদিসের টেক্সটকে সামনে এনে স্পষ্ট করেছেন—মির্জার এইসব চিন্তাধারা মানুষকে বিভ্রান্ত করার অপকৌশল। পাশাপাশি লেখক কাদিয়ানিদের মতবাদ শুরু হওয়ার ইতিহাস, ধর্মমতের সূচনা, মির্জার তৎপরতা ও তার নিজের বানানো ইসলামের ময়নাতদন্ত করে দেখিয়েছেন তাদের দাওয়াতি কার্যক্রমের অসারতা ও ধর্মীয় পথভ্রষ্টতা।
.
পরিশেষে রয়েছে মির্জার অপমৃত্যু ও কাদিয়ানিদের শতবর্ষ উদযাপন নিয়ে তাদের প্রকাশ করা ক্রোড়পত্রের জরুরি কিছু কথাবার্তা এবং প্রথম আলোতে প্রকাশিত তাদের মূল বক্তব্য! যেখানে জানা যায়, তাদের কার্যক্রম বিশ্বের প্রায় ২০২টি দেশে চলমান; পাশাপাশি ইউরোপিয়ান দেশের বড় বড় মসজিদগুলোতে তাদের দৌরাত্ম্য, দখলদারি ও গোমরাহি দাওয়াতের বিক্ষিপ্ত কার্যক্রম! গ্রন্থের একেবারে শেষে কিছু ছবি-এলবাম যুক্ত করা হয়েছে তাদের কার্যক্রম ও কেন্দ্রীয় জায়গাগুলো চিহ্নিত করে দেখানোর উদ্দেশে।
কাদিয়ানিদের অমুসলিম ঘোষণার দাবিতে সদা সোচ্চার বাংলাদেশসহ উপমহাদেশের মুসলিমরা। যেহেতু কাদিয়ানিদের উৎপত্তি ভারত-উপমহাদেশে, তাই তাদের অমুসলিম ঘোষণার দাবিও কঠোর আওয়াজে ভারত-উপমহাদেশ থেকেই বেশি উচ্চকিত হয়েছে।
.
বইটি সম্পর্কে শায়খুল ইসলাম তাকি উসমানি লিখেছেন—'কাদিয়ানি কিউ মুসলাম নেহি' মাওলানা মানজুর নোমানি রাহি.-এর এ বিষয়ের সবচেয়ে প্রমাণসমৃদ্ধ শক্তিশালী ও হৃদয়গ্রাহী রচনা। মাওলানার শক্তিশালী লেখনীর গুণমুগ্ধ আমি আগে থেকেই ছিলাম। কিন্তু তার এই রচনা থেকে অনুমিত হয়েছে, পাঠককে নিজের সঙ্গে একাত্ম করে নেওয়ার এক অসাধারণ যোগ্যতা আল্লাহ তাকে দান করেছিলেন। কাদিয়ানিদের অমুসলিম ঘোষণা সম্পর্কে ভুল বোঝাবুঝির যে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছিল, তা দূর করতে তার এই রচনা বিশেষ অবদান রেখেছে।'
.
নিজেদের ঈমান, আমল বাঁচানোর পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী প্রতিজন মুসলিমকে সতর্ক করার জন্য হলেও কাদিয়ানিদের ভ্রান্ত ধর্মমত সম্পর্কে জানা আমাদের জন্য অতি অবশ্য জরুরি। কাদিয়ানিদের সামগ্রিক চিন্তাধারা ও পূর্বাপর ইতিহাস জানতে মূল্যবান এই বইটি সংগ্রহ করুন।
.
কাদিয়ানিরা অমুসলিম কেন?
120 BDT240 BDTSave 120 BDT
1
বই—কাদিয়ানিরা অমুসলিম কেন?
.লেখক—মাওলানা মানযুর নোমানী রাহি.
অনুবাদক—মাওলানা মুহাম্মাদ নুরুল্লাহ
.প্রকাশক—রাহনুমা প্রকাশনী
পৃষ্ঠাসংখ্যা—১৪২
.
ব্রিটিশ-ভারত থেকে নিয়ে এখন পর্যন্ত উপমহাদেশের মুসলিমরা যে কয়টি বড় ফিতনার সম্মুখীন হয়েছে, তার মধ্যে সবচেয়ে বড় ফিতনা কাদিয়ানি ফিতনা। নবুওত প্রশ্নে ইসলামের অবস্থান যেহেতু চিরঅনিবার্য এক মহাসত্য—ঠিক সে কারণেই আকিদার মাপকাঠিতে কাদিয়ানিরা ইসলাম থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে! তাদের পথ ও মত কুফুরির সাথে একাত্ম থাকা, পাশাপাশি নিজেদের মুসলিম দাবি করা; তাই মানুষের মধ্যে এইসব কুফুরি পথভ্রষ্ট মতবাদ ছড়িয়ে দেওয়ার কারণে অনেক সরল মুসলিম পথভ্রষ্ট হয়েছে। এর বিরুদ্ধে সর্বকালেই সোচ্চার ছিলেন উপমহাদেশের প্রায় বিশিষ্ট সব আলেমে দ্বীন।
.
এরই ধারাবাহিকতায় কাদিয়ানিরা কেন অমুসলিম, এর পোস্টমর্টেম করে উপমহাদেশের উরদুভাষার খ্যাতিমান সাহিত্যিক ও চিন্তাবিদ মাওলানা মানজুর নোমানি রাহি. লিখেছেন—‘কাদিয়ানি কিউ মুসলমান নেহি?’
.
গ্রন্থের শুরুতেই ইসলাম ও কাদিয়ানি মতবাদের সারসংক্ষেপ তুলে ধরা হয়েছে। অতঃপর কাদিয়ানি সম্প্রদায় কেন মুসলমান নয় বোঝাতে গিয়ে—তাদের খতমে নবুওতকেন্দ্রিক যত কুফরি চিন্তা, সমস্যা ও মিথ্যে নবুওত দাবির প্রেক্ষিত, সব কিছু একে একে স্পষ্ট করা হয়েছে।
কাদিয়ানিদের প্রতিষ্ঠাতা মির্জা গোলাম আহমদ কাদিয়ানি নিজেকে কখনো একজন মহান সংস্কারক, কখনো ইমাম মাহদি, আবার কখনো বা নিজেকে ঈসা আ. দাবি করত! আর তার ভুইফোঁড় এসব অবস্থানকে স্থির করতে তিনি একের পর এক চক্রান্ত করে গিয়েছেন সরলমনা মুসলিমদের সাথে। এইসব সংকট ও সমস্যার খোলাসা বয়ান করতে মানজুর নোমানি রাহি. সরাসরি কুরআন ও হাদিসের টেক্সটকে সামনে এনে স্পষ্ট করেছেন—মির্জার এইসব চিন্তাধারা মানুষকে বিভ্রান্ত করার অপকৌশল। পাশাপাশি লেখক কাদিয়ানিদের মতবাদ শুরু হওয়ার ইতিহাস, ধর্মমতের সূচনা, মির্জার তৎপরতা ও তার নিজের বানানো ইসলামের ময়নাতদন্ত করে দেখিয়েছেন তাদের দাওয়াতি কার্যক্রমের অসারতা ও ধর্মীয় পথভ্রষ্টতা।
.
পরিশেষে রয়েছে মির্জার অপমৃত্যু ও কাদিয়ানিদের শতবর্ষ উদযাপন নিয়ে তাদের প্রকাশ করা ক্রোড়পত্রের জরুরি কিছু কথাবার্তা এবং প্রথম আলোতে প্রকাশিত তাদের মূল বক্তব্য! যেখানে জানা যায়, তাদের কার্যক্রম বিশ্বের প্রায় ২০২টি দেশে চলমান; পাশাপাশি ইউরোপিয়ান দেশের বড় বড় মসজিদগুলোতে তাদের দৌরাত্ম্য, দখলদারি ও গোমরাহি দাওয়াতের বিক্ষিপ্ত কার্যক্রম! গ্রন্থের একেবারে শেষে কিছু ছবি-এলবাম যুক্ত করা হয়েছে তাদের কার্যক্রম ও কেন্দ্রীয় জায়গাগুলো চিহ্নিত করে দেখানোর উদ্দেশে।
কাদিয়ানিদের অমুসলিম ঘোষণার দাবিতে সদা সোচ্চার বাংলাদেশসহ উপমহাদেশের মুসলিমরা। যেহেতু কাদিয়ানিদের উৎপত্তি ভারত-উপমহাদেশে, তাই তাদের অমুসলিম ঘোষণার দাবিও কঠোর আওয়াজে ভারত-উপমহাদেশ থেকেই বেশি উচ্চকিত হয়েছে।
.
বইটি সম্পর্কে শায়খুল ইসলাম তাকি উসমানি লিখেছেন—'কাদিয়ানি কিউ মুসলাম নেহি' মাওলানা মানজুর নোমানি রাহি.-এর এ বিষয়ের সবচেয়ে প্রমাণসমৃদ্ধ শক্তিশালী ও হৃদয়গ্রাহী রচনা। মাওলানার শক্তিশালী লেখনীর গুণমুগ্ধ আমি আগে থেকেই ছিলাম। কিন্তু তার এই রচনা থেকে অনুমিত হয়েছে, পাঠককে নিজের সঙ্গে একাত্ম করে নেওয়ার এক অসাধারণ যোগ্যতা আল্লাহ তাকে দান করেছিলেন। কাদিয়ানিদের অমুসলিম ঘোষণা সম্পর্কে ভুল বোঝাবুঝির যে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছিল, তা দূর করতে তার এই রচনা বিশেষ অবদান রেখেছে।'
.
নিজেদের ঈমান, আমল বাঁচানোর পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী প্রতিজন মুসলিমকে সতর্ক করার জন্য হলেও কাদিয়ানিদের ভ্রান্ত ধর্মমত সম্পর্কে জানা আমাদের জন্য অতি অবশ্য জরুরি। কাদিয়ানিদের সামগ্রিক চিন্তাধারা ও পূর্বাপর ইতিহাস জানতে মূল্যবান এই বইটি সংগ্রহ করুন।
.
.লেখক—মাওলানা মানযুর নোমানী রাহি.
অনুবাদক—মাওলানা মুহাম্মাদ নুরুল্লাহ
.প্রকাশক—রাহনুমা প্রকাশনী
পৃষ্ঠাসংখ্যা—১৪২
.
ব্রিটিশ-ভারত থেকে নিয়ে এখন পর্যন্ত উপমহাদেশের মুসলিমরা যে কয়টি বড় ফিতনার সম্মুখীন হয়েছে, তার মধ্যে সবচেয়ে বড় ফিতনা কাদিয়ানি ফিতনা। নবুওত প্রশ্নে ইসলামের অবস্থান যেহেতু চিরঅনিবার্য এক মহাসত্য—ঠিক সে কারণেই আকিদার মাপকাঠিতে কাদিয়ানিরা ইসলাম থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে! তাদের পথ ও মত কুফুরির সাথে একাত্ম থাকা, পাশাপাশি নিজেদের মুসলিম দাবি করা; তাই মানুষের মধ্যে এইসব কুফুরি পথভ্রষ্ট মতবাদ ছড়িয়ে দেওয়ার কারণে অনেক সরল মুসলিম পথভ্রষ্ট হয়েছে। এর বিরুদ্ধে সর্বকালেই সোচ্চার ছিলেন উপমহাদেশের প্রায় বিশিষ্ট সব আলেমে দ্বীন।
.
এরই ধারাবাহিকতায় কাদিয়ানিরা কেন অমুসলিম, এর পোস্টমর্টেম করে উপমহাদেশের উরদুভাষার খ্যাতিমান সাহিত্যিক ও চিন্তাবিদ মাওলানা মানজুর নোমানি রাহি. লিখেছেন—‘কাদিয়ানি কিউ মুসলমান নেহি?’
.
গ্রন্থের শুরুতেই ইসলাম ও কাদিয়ানি মতবাদের সারসংক্ষেপ তুলে ধরা হয়েছে। অতঃপর কাদিয়ানি সম্প্রদায় কেন মুসলমান নয় বোঝাতে গিয়ে—তাদের খতমে নবুওতকেন্দ্রিক যত কুফরি চিন্তা, সমস্যা ও মিথ্যে নবুওত দাবির প্রেক্ষিত, সব কিছু একে একে স্পষ্ট করা হয়েছে।
কাদিয়ানিদের প্রতিষ্ঠাতা মির্জা গোলাম আহমদ কাদিয়ানি নিজেকে কখনো একজন মহান সংস্কারক, কখনো ইমাম মাহদি, আবার কখনো বা নিজেকে ঈসা আ. দাবি করত! আর তার ভুইফোঁড় এসব অবস্থানকে স্থির করতে তিনি একের পর এক চক্রান্ত করে গিয়েছেন সরলমনা মুসলিমদের সাথে। এইসব সংকট ও সমস্যার খোলাসা বয়ান করতে মানজুর নোমানি রাহি. সরাসরি কুরআন ও হাদিসের টেক্সটকে সামনে এনে স্পষ্ট করেছেন—মির্জার এইসব চিন্তাধারা মানুষকে বিভ্রান্ত করার অপকৌশল। পাশাপাশি লেখক কাদিয়ানিদের মতবাদ শুরু হওয়ার ইতিহাস, ধর্মমতের সূচনা, মির্জার তৎপরতা ও তার নিজের বানানো ইসলামের ময়নাতদন্ত করে দেখিয়েছেন তাদের দাওয়াতি কার্যক্রমের অসারতা ও ধর্মীয় পথভ্রষ্টতা।
.
পরিশেষে রয়েছে মির্জার অপমৃত্যু ও কাদিয়ানিদের শতবর্ষ উদযাপন নিয়ে তাদের প্রকাশ করা ক্রোড়পত্রের জরুরি কিছু কথাবার্তা এবং প্রথম আলোতে প্রকাশিত তাদের মূল বক্তব্য! যেখানে জানা যায়, তাদের কার্যক্রম বিশ্বের প্রায় ২০২টি দেশে চলমান; পাশাপাশি ইউরোপিয়ান দেশের বড় বড় মসজিদগুলোতে তাদের দৌরাত্ম্য, দখলদারি ও গোমরাহি দাওয়াতের বিক্ষিপ্ত কার্যক্রম! গ্রন্থের একেবারে শেষে কিছু ছবি-এলবাম যুক্ত করা হয়েছে তাদের কার্যক্রম ও কেন্দ্রীয় জায়গাগুলো চিহ্নিত করে দেখানোর উদ্দেশে।
কাদিয়ানিদের অমুসলিম ঘোষণার দাবিতে সদা সোচ্চার বাংলাদেশসহ উপমহাদেশের মুসলিমরা। যেহেতু কাদিয়ানিদের উৎপত্তি ভারত-উপমহাদেশে, তাই তাদের অমুসলিম ঘোষণার দাবিও কঠোর আওয়াজে ভারত-উপমহাদেশ থেকেই বেশি উচ্চকিত হয়েছে।
.
বইটি সম্পর্কে শায়খুল ইসলাম তাকি উসমানি লিখেছেন—'কাদিয়ানি কিউ মুসলাম নেহি' মাওলানা মানজুর নোমানি রাহি.-এর এ বিষয়ের সবচেয়ে প্রমাণসমৃদ্ধ শক্তিশালী ও হৃদয়গ্রাহী রচনা। মাওলানার শক্তিশালী লেখনীর গুণমুগ্ধ আমি আগে থেকেই ছিলাম। কিন্তু তার এই রচনা থেকে অনুমিত হয়েছে, পাঠককে নিজের সঙ্গে একাত্ম করে নেওয়ার এক অসাধারণ যোগ্যতা আল্লাহ তাকে দান করেছিলেন। কাদিয়ানিদের অমুসলিম ঘোষণা সম্পর্কে ভুল বোঝাবুঝির যে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছিল, তা দূর করতে তার এই রচনা বিশেষ অবদান রেখেছে।'
.
নিজেদের ঈমান, আমল বাঁচানোর পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী প্রতিজন মুসলিমকে সতর্ক করার জন্য হলেও কাদিয়ানিদের ভ্রান্ত ধর্মমত সম্পর্কে জানা আমাদের জন্য অতি অবশ্য জরুরি। কাদিয়ানিদের সামগ্রিক চিন্তাধারা ও পূর্বাপর ইতিহাস জানতে মূল্যবান এই বইটি সংগ্রহ করুন।
.