ইসলামী জীবনের রূপরেখা
বই—ইসলামী জীবনের রূপরেখা.লেখক—আবুল হাসান আলি নদভি রাহি.অনুবাদক—মাওলানা শামীম আহমাদ.প্রকাশক—রাহনুমা প্রকাশনীপৃষ্ঠাসংখ্যা—২৮০.মুদ্রিত মূল্য—৪০০ইসলামি জীবনের রূপরেখা হচ্ছে কুরআন, হাদিস ও রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সিরাতের আলোকে একজন মুসলিমের জীবন পরিচালনার পরিপূর্ণ এক গাইডবুক। এতে রয়েছে ঈমান ও আমল, আখলাক ও আদত এবং নবিজীবনের বিস্তারিত শিক্ষা। আত্মশুদ্ধি ও ইসলাহের ক্ষেত্রে কুরআন ও সুন্নাতের পূর্ণ পথনির্দেশনা। একজন মুসলিম হিসেবে আমাদের একান্ত বিশ্বাস—ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান। আর এই জীবনপথে চলতে গিয়ে যেসব পাথেয় দরকার—তার পূণ্যময়, সঠিক ও সহজ এবং সার্বজনীন পথনির্দেশ দিয়ে থরেবিথরে সাজানো হয়েছে এই গ্রন্থ।.গ্রন্থটির ভূমিকায় আলি নদভি রাহি. লিখেছেন—‘ইসলাম একটি জীবনবিধান। একটি পূণ্যময়ী, সঠিক, সহজ ও সার্বজনীন পথনির্দেশ এবং মহান রবের নিকট একমাত্র গ্রহণীয় দ্বীন। ইসলামের এ শিক্ষা, বোধ ও বিশ্বাস এবং দ্বীনের হুকুম-আহকাম ও বিধিবিধান নিয়ে ইসলামের প্রায় শুরু যুগ থেকেই বিভিন্ন কিতাব রচনার একটি ধারাবাহিকতা চলে আসছে। কুরআন ও হাদিসের ভাষ্যকে সমকালীন মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে এমনটি করতেই হয়েছে। কিন্তু ইসলামের চলতে থাকা বিভিন্ন বিজয় ও প্রচার-প্রসারের কারণে ইসলামি রাষ্ট্রসীমা শুধু আরব ভূখণ্ডে আর সীমাবদ্ধ থাকেনি; তার বিস্তার ঘটতে থাকে।’ এরই পথ ধরে পৃথিবীর দিকে দিকে ইসলাম ছড়িয়ে পড়ে এবং সেইসাথে বাড়ে কিছু জটিলতাও। বিভিন্ন জাতি ও ভাষাভাষীর মিশ্রণে নতুন চিন্তা ও চেতনা ঢুকে পড়ে এতে, যার কোনোটা শুদ্ধ, কোনোটা অশুদ্ধ। ফলত প্রয়োজন হয়ে পড়ে কুরআন ও হাদিসের এক সরলভাষ্যের, যা দূর করবে এইসব মিথ্যের বেসাতি। এরই পথ ধরে প্রতিটি কালের প্রাজ্ঞ আলেমরা রচনা করে গিয়েছেন বিখ্যাত সব গ্রন্থ। এসবের ফসল হচ্ছে ইমাম গাজালি রাহি.-এর ইয়াহইয়া উলুমু্দ্দিন থেকে শুরু করে ব্রিটিশ ভারতবর্ষের বেহেশতি জেওর পর্যন্ত। তো সেই চিন্তাভাবনাকে সামনে রেখেই আধুনিককালের মহান মনীষী সাইয়েদ আবুল হাসান আলি নদভি রহ. লিখেছেন ইসলামি জীবনের রূপরেখা।.বক্ষ্যমাণ গ্রন্থে আলি নদভি রাহি. সম্পূর্ণ ইসলামি জীবনবিধানকে অল্প কথায় খুব সহজে উম্মাহর কাছে তুলে ধরে এর গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা বুঝিয়েছেন। এরপর মোট ৭টি অধ্যায়ে পুরো ইসলামি শরিয়াহকে সংক্ষেপে তুলে ধরে ইসলাম ও জীবনের পথরেখা বলে দিয়েছেন।প্রথমত :—তিনি ইসলামের মৌলিক গঠন ও অনন্য বৈশিষ্ট্য টেনে দেখিয়েছেন—কেন ইসলাম অন্য সব ধর্ম থেকে আলাদা! কেন ইসলাম শুরু থেকে এখন পর্যন্ত একই আকিদা, একই বিশ্বাস নিয়ে চলে আসছে! দ্বিতীয়ত :—নির্ভরযোগ্য দলিল ও প্রমাণের ভিত্তিতে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের আকিদা ও বিশ্বাসকে স্পষ্ট করে এর ভেতরে আরও বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। কথাপ্রসঙ্গে উঠে এসেছে তাওহিদ, দ্বীন ও শিরকের পরিচয় এবং এর প্রকারভেদ; সেইসাথে নবি প্রেরণের উদ্দেশ্য থেকে নিয়ে সামাজিক কুসংস্কার ও বিদাতের আকার-প্রকৃতিও। তৃতীয় অধ্যায়ে—মুসলিম জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ইবাদতের সারসংক্ষেপ তুলে ধরে এর মর্যাদা, অবস্থান, প্রকার ও নিয়মনীতি তুলে ধরেছেন। এ প্রসঙ্গে প্র্যাক্টিকালি উদাহারণের জন্য খোদ রাসুলের ইবাদতপদ্ধতিকে বর্ণনা করে স্পষ্ট করেছেন একজন মুসলিমের ইবাদতকেন্দ্রিক জীবনের বাস্তবিক হাল কেমন হওয়া উচিত! চতুর্থ অধ্যায়ে—এসে আলোচনা করেছেন আল্লাহর পথে জিহাদ। সংক্ষেপে বর্ণনা করেছেন ইসলামে জিহাদের মর্যাদা, প্রকারভেদ, ফজিলত ও আদব। পঞ্চম অধ্যায়ে—আত্মশুদ্ধি ও চরিত্রগঠন। এ প্রসঙ্গে স্পষ্ট করেছেন রাসুল সা.-কে দুনিয়াতে পাঠানোর উদ্দেশ্য এবং কীভাবে একজন মানুষ রাসুলের আদর্শকে গ্রহণ করে আদর্শ মানুষ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে। পরিশেষে ইসলামি সংস্কৃতি ও ইসলামি সভ্যতার সাথে পশ্চিমা সভ্যতার দ্বন্দ্বগুলো তুলে ধরে আমাদের পশ্চিমা সভ্যতার ব্যাপারে কেমন ধারনা পোষণ করা উচিত, তা স্পষ্ট করেছেন।.উপসংহারে এসে নদভি রাহি.-এর নিজের ব্যক্তি-অভিজ্ঞতা এবং যেসব জীবনাচার অর্জন ও বর্জন করেছেন, তার আলোকে উম্মাহর প্রতিটি মানুষকে সে সমন্ধে নসিহত করেছেন। মূলত একজন মানুষকে ইসলাম সমন্ধে সংক্ষেপে জানাতে যেটুকুর বিকল্প নেই—এমন সকল বিষয়ের সারনির্যাস এই গ্রন্থে উঠে এসেছে। কোনো মুমিন এই গ্রন্থের পথরেখা ধরে চললে কখনোই পথ হারিয়ে ফেলবে না। আমাদের জীবনের শেষ যে গন্তব্য, যেখানে প্রতিটি মুমিন ও মুসলিমের মৌলিক পরিচয় মিশে গেছে, এ গ্রন্থ আপনাকে ঠিক সেখানে গিয়েই তার অভিযাত্রা শেষ করবে।.মুসলিম জীবনের জন্য অপরিহার্য এই গ্রন্থটি আপনার নিত্যপাঠ হোক।.
An Najahah Shop
Category List
All products

বই—ইসলামী জীবনের রূপরেখা
.লেখক—আবুল হাসান আলি নদভি রাহি.
অনুবাদক—মাওলানা শামীম আহমাদ
.প্রকাশক—রাহনুমা প্রকাশনী
পৃষ্ঠাসংখ্যা—২৮০
.মুদ্রিত মূল্য—৪০০
ইসলামি জীবনের রূপরেখা হচ্ছে কুরআন, হাদিস ও রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সিরাতের আলোকে একজন মুসলিমের জীবন পরিচালনার পরিপূর্ণ এক গাইডবুক। এতে রয়েছে ঈমান ও আমল, আখলাক ও আদত এবং নবিজীবনের বিস্তারিত শিক্ষা। আত্মশুদ্ধি ও ইসলাহের ক্ষেত্রে কুরআন ও সুন্নাতের পূর্ণ পথনির্দেশনা। একজন মুসলিম হিসেবে আমাদের একান্ত বিশ্বাস—ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান। আর এই জীবনপথে চলতে গিয়ে যেসব পাথেয় দরকার—তার পূণ্যময়, সঠিক ও সহজ এবং সার্বজনীন পথনির্দেশ দিয়ে থরেবিথরে সাজানো হয়েছে এই গ্রন্থ।
.
গ্রন্থটির ভূমিকায় আলি নদভি রাহি. লিখেছেন—‘ইসলাম একটি জীবনবিধান। একটি পূণ্যময়ী, সঠিক, সহজ ও সার্বজনীন পথনির্দেশ এবং মহান রবের নিকট একমাত্র গ্রহণীয় দ্বীন। ইসলামের এ শিক্ষা, বোধ ও বিশ্বাস এবং দ্বীনের হুকুম-আহকাম ও বিধিবিধান নিয়ে ইসলামের প্রায় শুরু যুগ থেকেই বিভিন্ন কিতাব রচনার একটি ধারাবাহিকতা চলে আসছে। কুরআন ও হাদিসের ভাষ্যকে সমকালীন মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে এমনটি করতেই হয়েছে। কিন্তু ইসলামের চলতে থাকা বিভিন্ন বিজয় ও প্রচার-প্রসারের কারণে ইসলামি রাষ্ট্রসীমা শুধু আরব ভূখণ্ডে আর সীমাবদ্ধ থাকেনি; তার বিস্তার ঘটতে থাকে।’ এরই পথ ধরে পৃথিবীর দিকে দিকে ইসলাম ছড়িয়ে পড়ে এবং সেইসাথে বাড়ে কিছু জটিলতাও। বিভিন্ন জাতি ও ভাষাভাষীর মিশ্রণে নতুন চিন্তা ও চেতনা ঢুকে পড়ে এতে, যার কোনোটা শুদ্ধ, কোনোটা অশুদ্ধ। ফলত প্রয়োজন হয়ে পড়ে কুরআন ও হাদিসের এক সরলভাষ্যের, যা দূর করবে এইসব মিথ্যের বেসাতি। এরই পথ ধরে প্রতিটি কালের প্রাজ্ঞ আলেমরা রচনা করে গিয়েছেন বিখ্যাত সব গ্রন্থ। এসবের ফসল হচ্ছে ইমাম গাজালি রাহি.-এর ইয়াহইয়া উলুমু্দ্দিন থেকে শুরু করে ব্রিটিশ ভারতবর্ষের বেহেশতি জেওর পর্যন্ত। তো সেই চিন্তাভাবনাকে সামনে রেখেই আধুনিককালের মহান মনীষী সাইয়েদ আবুল হাসান আলি নদভি রহ. লিখেছেন ইসলামি জীবনের রূপরেখা।
.
বক্ষ্যমাণ গ্রন্থে আলি নদভি রাহি. সম্পূর্ণ ইসলামি জীবনবিধানকে অল্প কথায় খুব সহজে উম্মাহর কাছে তুলে ধরে এর গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা বুঝিয়েছেন। এরপর মোট ৭টি অধ্যায়ে পুরো ইসলামি শরিয়াহকে সংক্ষেপে তুলে ধরে ইসলাম ও জীবনের পথরেখা বলে দিয়েছেন।
প্রথমত :—তিনি ইসলামের মৌলিক গঠন ও অনন্য বৈশিষ্ট্য টেনে দেখিয়েছেন—কেন ইসলাম অন্য সব ধর্ম থেকে আলাদা! কেন ইসলাম শুরু থেকে এখন পর্যন্ত একই আকিদা, একই বিশ্বাস নিয়ে চলে আসছে! দ্বিতীয়ত :—নির্ভরযোগ্য দলিল ও প্রমাণের ভিত্তিতে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের আকিদা ও বিশ্বাসকে স্পষ্ট করে এর ভেতরে আরও বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। কথাপ্রসঙ্গে উঠে এসেছে তাওহিদ, দ্বীন ও শিরকের পরিচয় এবং এর প্রকারভেদ; সেইসাথে নবি প্রেরণের উদ্দেশ্য থেকে নিয়ে সামাজিক কুসংস্কার ও বিদাতের আকার-প্রকৃতিও। তৃতীয় অধ্যায়ে—মুসলিম জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ইবাদতের সারসংক্ষেপ তুলে ধরে এর মর্যাদা, অবস্থান, প্রকার ও নিয়মনীতি তুলে ধরেছেন। এ প্রসঙ্গে প্র্যাক্টিকালি উদাহারণের জন্য খোদ রাসুলের ইবাদতপদ্ধতিকে বর্ণনা করে স্পষ্ট করেছেন একজন মুসলিমের ইবাদতকেন্দ্রিক জীবনের বাস্তবিক হাল কেমন হওয়া উচিত! চতুর্থ অধ্যায়ে—এসে আলোচনা করেছেন আল্লাহর পথে জিহাদ। সংক্ষেপে বর্ণনা করেছেন ইসলামে জিহাদের মর্যাদা, প্রকারভেদ, ফজিলত ও আদব। পঞ্চম অধ্যায়ে—আত্মশুদ্ধি ও চরিত্রগঠন। এ প্রসঙ্গে স্পষ্ট করেছেন রাসুল সা.-কে দুনিয়াতে পাঠানোর উদ্দেশ্য এবং কীভাবে একজন মানুষ রাসুলের আদর্শকে গ্রহণ করে আদর্শ মানুষ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে। পরিশেষে ইসলামি সংস্কৃতি ও ইসলামি সভ্যতার সাথে পশ্চিমা সভ্যতার দ্বন্দ্বগুলো তুলে ধরে আমাদের পশ্চিমা সভ্যতার ব্যাপারে কেমন ধারনা পোষণ করা উচিত, তা স্পষ্ট করেছেন।
.
উপসংহারে এসে নদভি রাহি.-এর নিজের ব্যক্তি-অভিজ্ঞতা এবং যেসব জীবনাচার অর্জন ও বর্জন করেছেন, তার আলোকে উম্মাহর প্রতিটি মানুষকে সে সমন্ধে নসিহত করেছেন। মূলত একজন মানুষকে ইসলাম সমন্ধে সংক্ষেপে জানাতে যেটুকুর বিকল্প নেই—এমন সকল বিষয়ের সারনির্যাস এই গ্রন্থে উঠে এসেছে। কোনো মুমিন এই গ্রন্থের পথরেখা ধরে চললে কখনোই পথ হারিয়ে ফেলবে না। আমাদের জীবনের শেষ যে গন্তব্য, যেখানে প্রতিটি মুমিন ও মুসলিমের মৌলিক পরিচয় মিশে গেছে, এ গ্রন্থ আপনাকে ঠিক সেখানে গিয়েই তার অভিযাত্রা শেষ করবে।
.
মুসলিম জীবনের জন্য অপরিহার্য এই গ্রন্থটি আপনার নিত্যপাঠ হোক।
.
.লেখক—আবুল হাসান আলি নদভি রাহি.
অনুবাদক—মাওলানা শামীম আহমাদ
.প্রকাশক—রাহনুমা প্রকাশনী
পৃষ্ঠাসংখ্যা—২৮০
.মুদ্রিত মূল্য—৪০০
ইসলামি জীবনের রূপরেখা হচ্ছে কুরআন, হাদিস ও রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সিরাতের আলোকে একজন মুসলিমের জীবন পরিচালনার পরিপূর্ণ এক গাইডবুক। এতে রয়েছে ঈমান ও আমল, আখলাক ও আদত এবং নবিজীবনের বিস্তারিত শিক্ষা। আত্মশুদ্ধি ও ইসলাহের ক্ষেত্রে কুরআন ও সুন্নাতের পূর্ণ পথনির্দেশনা। একজন মুসলিম হিসেবে আমাদের একান্ত বিশ্বাস—ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান। আর এই জীবনপথে চলতে গিয়ে যেসব পাথেয় দরকার—তার পূণ্যময়, সঠিক ও সহজ এবং সার্বজনীন পথনির্দেশ দিয়ে থরেবিথরে সাজানো হয়েছে এই গ্রন্থ।
.
গ্রন্থটির ভূমিকায় আলি নদভি রাহি. লিখেছেন—‘ইসলাম একটি জীবনবিধান। একটি পূণ্যময়ী, সঠিক, সহজ ও সার্বজনীন পথনির্দেশ এবং মহান রবের নিকট একমাত্র গ্রহণীয় দ্বীন। ইসলামের এ শিক্ষা, বোধ ও বিশ্বাস এবং দ্বীনের হুকুম-আহকাম ও বিধিবিধান নিয়ে ইসলামের প্রায় শুরু যুগ থেকেই বিভিন্ন কিতাব রচনার একটি ধারাবাহিকতা চলে আসছে। কুরআন ও হাদিসের ভাষ্যকে সমকালীন মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে এমনটি করতেই হয়েছে। কিন্তু ইসলামের চলতে থাকা বিভিন্ন বিজয় ও প্রচার-প্রসারের কারণে ইসলামি রাষ্ট্রসীমা শুধু আরব ভূখণ্ডে আর সীমাবদ্ধ থাকেনি; তার বিস্তার ঘটতে থাকে।’ এরই পথ ধরে পৃথিবীর দিকে দিকে ইসলাম ছড়িয়ে পড়ে এবং সেইসাথে বাড়ে কিছু জটিলতাও। বিভিন্ন জাতি ও ভাষাভাষীর মিশ্রণে নতুন চিন্তা ও চেতনা ঢুকে পড়ে এতে, যার কোনোটা শুদ্ধ, কোনোটা অশুদ্ধ। ফলত প্রয়োজন হয়ে পড়ে কুরআন ও হাদিসের এক সরলভাষ্যের, যা দূর করবে এইসব মিথ্যের বেসাতি। এরই পথ ধরে প্রতিটি কালের প্রাজ্ঞ আলেমরা রচনা করে গিয়েছেন বিখ্যাত সব গ্রন্থ। এসবের ফসল হচ্ছে ইমাম গাজালি রাহি.-এর ইয়াহইয়া উলুমু্দ্দিন থেকে শুরু করে ব্রিটিশ ভারতবর্ষের বেহেশতি জেওর পর্যন্ত। তো সেই চিন্তাভাবনাকে সামনে রেখেই আধুনিককালের মহান মনীষী সাইয়েদ আবুল হাসান আলি নদভি রহ. লিখেছেন ইসলামি জীবনের রূপরেখা।
.
বক্ষ্যমাণ গ্রন্থে আলি নদভি রাহি. সম্পূর্ণ ইসলামি জীবনবিধানকে অল্প কথায় খুব সহজে উম্মাহর কাছে তুলে ধরে এর গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা বুঝিয়েছেন। এরপর মোট ৭টি অধ্যায়ে পুরো ইসলামি শরিয়াহকে সংক্ষেপে তুলে ধরে ইসলাম ও জীবনের পথরেখা বলে দিয়েছেন।
প্রথমত :—তিনি ইসলামের মৌলিক গঠন ও অনন্য বৈশিষ্ট্য টেনে দেখিয়েছেন—কেন ইসলাম অন্য সব ধর্ম থেকে আলাদা! কেন ইসলাম শুরু থেকে এখন পর্যন্ত একই আকিদা, একই বিশ্বাস নিয়ে চলে আসছে! দ্বিতীয়ত :—নির্ভরযোগ্য দলিল ও প্রমাণের ভিত্তিতে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের আকিদা ও বিশ্বাসকে স্পষ্ট করে এর ভেতরে আরও বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। কথাপ্রসঙ্গে উঠে এসেছে তাওহিদ, দ্বীন ও শিরকের পরিচয় এবং এর প্রকারভেদ; সেইসাথে নবি প্রেরণের উদ্দেশ্য থেকে নিয়ে সামাজিক কুসংস্কার ও বিদাতের আকার-প্রকৃতিও। তৃতীয় অধ্যায়ে—মুসলিম জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ইবাদতের সারসংক্ষেপ তুলে ধরে এর মর্যাদা, অবস্থান, প্রকার ও নিয়মনীতি তুলে ধরেছেন। এ প্রসঙ্গে প্র্যাক্টিকালি উদাহারণের জন্য খোদ রাসুলের ইবাদতপদ্ধতিকে বর্ণনা করে স্পষ্ট করেছেন একজন মুসলিমের ইবাদতকেন্দ্রিক জীবনের বাস্তবিক হাল কেমন হওয়া উচিত! চতুর্থ অধ্যায়ে—এসে আলোচনা করেছেন আল্লাহর পথে জিহাদ। সংক্ষেপে বর্ণনা করেছেন ইসলামে জিহাদের মর্যাদা, প্রকারভেদ, ফজিলত ও আদব। পঞ্চম অধ্যায়ে—আত্মশুদ্ধি ও চরিত্রগঠন। এ প্রসঙ্গে স্পষ্ট করেছেন রাসুল সা.-কে দুনিয়াতে পাঠানোর উদ্দেশ্য এবং কীভাবে একজন মানুষ রাসুলের আদর্শকে গ্রহণ করে আদর্শ মানুষ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে। পরিশেষে ইসলামি সংস্কৃতি ও ইসলামি সভ্যতার সাথে পশ্চিমা সভ্যতার দ্বন্দ্বগুলো তুলে ধরে আমাদের পশ্চিমা সভ্যতার ব্যাপারে কেমন ধারনা পোষণ করা উচিত, তা স্পষ্ট করেছেন।
.
উপসংহারে এসে নদভি রাহি.-এর নিজের ব্যক্তি-অভিজ্ঞতা এবং যেসব জীবনাচার অর্জন ও বর্জন করেছেন, তার আলোকে উম্মাহর প্রতিটি মানুষকে সে সমন্ধে নসিহত করেছেন। মূলত একজন মানুষকে ইসলাম সমন্ধে সংক্ষেপে জানাতে যেটুকুর বিকল্প নেই—এমন সকল বিষয়ের সারনির্যাস এই গ্রন্থে উঠে এসেছে। কোনো মুমিন এই গ্রন্থের পথরেখা ধরে চললে কখনোই পথ হারিয়ে ফেলবে না। আমাদের জীবনের শেষ যে গন্তব্য, যেখানে প্রতিটি মুমিন ও মুসলিমের মৌলিক পরিচয় মিশে গেছে, এ গ্রন্থ আপনাকে ঠিক সেখানে গিয়েই তার অভিযাত্রা শেষ করবে।
.
মুসলিম জীবনের জন্য অপরিহার্য এই গ্রন্থটি আপনার নিত্যপাঠ হোক।
.
ইসলামী জীবনের রূপরেখা
200 BDT400 BDTSave 200 BDT
1
বই—ইসলামী জীবনের রূপরেখা
.লেখক—আবুল হাসান আলি নদভি রাহি.
অনুবাদক—মাওলানা শামীম আহমাদ
.প্রকাশক—রাহনুমা প্রকাশনী
পৃষ্ঠাসংখ্যা—২৮০
.মুদ্রিত মূল্য—৪০০
ইসলামি জীবনের রূপরেখা হচ্ছে কুরআন, হাদিস ও রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সিরাতের আলোকে একজন মুসলিমের জীবন পরিচালনার পরিপূর্ণ এক গাইডবুক। এতে রয়েছে ঈমান ও আমল, আখলাক ও আদত এবং নবিজীবনের বিস্তারিত শিক্ষা। আত্মশুদ্ধি ও ইসলাহের ক্ষেত্রে কুরআন ও সুন্নাতের পূর্ণ পথনির্দেশনা। একজন মুসলিম হিসেবে আমাদের একান্ত বিশ্বাস—ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান। আর এই জীবনপথে চলতে গিয়ে যেসব পাথেয় দরকার—তার পূণ্যময়, সঠিক ও সহজ এবং সার্বজনীন পথনির্দেশ দিয়ে থরেবিথরে সাজানো হয়েছে এই গ্রন্থ।
.
গ্রন্থটির ভূমিকায় আলি নদভি রাহি. লিখেছেন—‘ইসলাম একটি জীবনবিধান। একটি পূণ্যময়ী, সঠিক, সহজ ও সার্বজনীন পথনির্দেশ এবং মহান রবের নিকট একমাত্র গ্রহণীয় দ্বীন। ইসলামের এ শিক্ষা, বোধ ও বিশ্বাস এবং দ্বীনের হুকুম-আহকাম ও বিধিবিধান নিয়ে ইসলামের প্রায় শুরু যুগ থেকেই বিভিন্ন কিতাব রচনার একটি ধারাবাহিকতা চলে আসছে। কুরআন ও হাদিসের ভাষ্যকে সমকালীন মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে এমনটি করতেই হয়েছে। কিন্তু ইসলামের চলতে থাকা বিভিন্ন বিজয় ও প্রচার-প্রসারের কারণে ইসলামি রাষ্ট্রসীমা শুধু আরব ভূখণ্ডে আর সীমাবদ্ধ থাকেনি; তার বিস্তার ঘটতে থাকে।’ এরই পথ ধরে পৃথিবীর দিকে দিকে ইসলাম ছড়িয়ে পড়ে এবং সেইসাথে বাড়ে কিছু জটিলতাও। বিভিন্ন জাতি ও ভাষাভাষীর মিশ্রণে নতুন চিন্তা ও চেতনা ঢুকে পড়ে এতে, যার কোনোটা শুদ্ধ, কোনোটা অশুদ্ধ। ফলত প্রয়োজন হয়ে পড়ে কুরআন ও হাদিসের এক সরলভাষ্যের, যা দূর করবে এইসব মিথ্যের বেসাতি। এরই পথ ধরে প্রতিটি কালের প্রাজ্ঞ আলেমরা রচনা করে গিয়েছেন বিখ্যাত সব গ্রন্থ। এসবের ফসল হচ্ছে ইমাম গাজালি রাহি.-এর ইয়াহইয়া উলুমু্দ্দিন থেকে শুরু করে ব্রিটিশ ভারতবর্ষের বেহেশতি জেওর পর্যন্ত। তো সেই চিন্তাভাবনাকে সামনে রেখেই আধুনিককালের মহান মনীষী সাইয়েদ আবুল হাসান আলি নদভি রহ. লিখেছেন ইসলামি জীবনের রূপরেখা।
.
বক্ষ্যমাণ গ্রন্থে আলি নদভি রাহি. সম্পূর্ণ ইসলামি জীবনবিধানকে অল্প কথায় খুব সহজে উম্মাহর কাছে তুলে ধরে এর গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা বুঝিয়েছেন। এরপর মোট ৭টি অধ্যায়ে পুরো ইসলামি শরিয়াহকে সংক্ষেপে তুলে ধরে ইসলাম ও জীবনের পথরেখা বলে দিয়েছেন।
প্রথমত :—তিনি ইসলামের মৌলিক গঠন ও অনন্য বৈশিষ্ট্য টেনে দেখিয়েছেন—কেন ইসলাম অন্য সব ধর্ম থেকে আলাদা! কেন ইসলাম শুরু থেকে এখন পর্যন্ত একই আকিদা, একই বিশ্বাস নিয়ে চলে আসছে! দ্বিতীয়ত :—নির্ভরযোগ্য দলিল ও প্রমাণের ভিত্তিতে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের আকিদা ও বিশ্বাসকে স্পষ্ট করে এর ভেতরে আরও বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। কথাপ্রসঙ্গে উঠে এসেছে তাওহিদ, দ্বীন ও শিরকের পরিচয় এবং এর প্রকারভেদ; সেইসাথে নবি প্রেরণের উদ্দেশ্য থেকে নিয়ে সামাজিক কুসংস্কার ও বিদাতের আকার-প্রকৃতিও। তৃতীয় অধ্যায়ে—মুসলিম জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ইবাদতের সারসংক্ষেপ তুলে ধরে এর মর্যাদা, অবস্থান, প্রকার ও নিয়মনীতি তুলে ধরেছেন। এ প্রসঙ্গে প্র্যাক্টিকালি উদাহারণের জন্য খোদ রাসুলের ইবাদতপদ্ধতিকে বর্ণনা করে স্পষ্ট করেছেন একজন মুসলিমের ইবাদতকেন্দ্রিক জীবনের বাস্তবিক হাল কেমন হওয়া উচিত! চতুর্থ অধ্যায়ে—এসে আলোচনা করেছেন আল্লাহর পথে জিহাদ। সংক্ষেপে বর্ণনা করেছেন ইসলামে জিহাদের মর্যাদা, প্রকারভেদ, ফজিলত ও আদব। পঞ্চম অধ্যায়ে—আত্মশুদ্ধি ও চরিত্রগঠন। এ প্রসঙ্গে স্পষ্ট করেছেন রাসুল সা.-কে দুনিয়াতে পাঠানোর উদ্দেশ্য এবং কীভাবে একজন মানুষ রাসুলের আদর্শকে গ্রহণ করে আদর্শ মানুষ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে। পরিশেষে ইসলামি সংস্কৃতি ও ইসলামি সভ্যতার সাথে পশ্চিমা সভ্যতার দ্বন্দ্বগুলো তুলে ধরে আমাদের পশ্চিমা সভ্যতার ব্যাপারে কেমন ধারনা পোষণ করা উচিত, তা স্পষ্ট করেছেন।
.
উপসংহারে এসে নদভি রাহি.-এর নিজের ব্যক্তি-অভিজ্ঞতা এবং যেসব জীবনাচার অর্জন ও বর্জন করেছেন, তার আলোকে উম্মাহর প্রতিটি মানুষকে সে সমন্ধে নসিহত করেছেন। মূলত একজন মানুষকে ইসলাম সমন্ধে সংক্ষেপে জানাতে যেটুকুর বিকল্প নেই—এমন সকল বিষয়ের সারনির্যাস এই গ্রন্থে উঠে এসেছে। কোনো মুমিন এই গ্রন্থের পথরেখা ধরে চললে কখনোই পথ হারিয়ে ফেলবে না। আমাদের জীবনের শেষ যে গন্তব্য, যেখানে প্রতিটি মুমিন ও মুসলিমের মৌলিক পরিচয় মিশে গেছে, এ গ্রন্থ আপনাকে ঠিক সেখানে গিয়েই তার অভিযাত্রা শেষ করবে।
.
মুসলিম জীবনের জন্য অপরিহার্য এই গ্রন্থটি আপনার নিত্যপাঠ হোক।
.
.লেখক—আবুল হাসান আলি নদভি রাহি.
অনুবাদক—মাওলানা শামীম আহমাদ
.প্রকাশক—রাহনুমা প্রকাশনী
পৃষ্ঠাসংখ্যা—২৮০
.মুদ্রিত মূল্য—৪০০
ইসলামি জীবনের রূপরেখা হচ্ছে কুরআন, হাদিস ও রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সিরাতের আলোকে একজন মুসলিমের জীবন পরিচালনার পরিপূর্ণ এক গাইডবুক। এতে রয়েছে ঈমান ও আমল, আখলাক ও আদত এবং নবিজীবনের বিস্তারিত শিক্ষা। আত্মশুদ্ধি ও ইসলাহের ক্ষেত্রে কুরআন ও সুন্নাতের পূর্ণ পথনির্দেশনা। একজন মুসলিম হিসেবে আমাদের একান্ত বিশ্বাস—ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান। আর এই জীবনপথে চলতে গিয়ে যেসব পাথেয় দরকার—তার পূণ্যময়, সঠিক ও সহজ এবং সার্বজনীন পথনির্দেশ দিয়ে থরেবিথরে সাজানো হয়েছে এই গ্রন্থ।
.
গ্রন্থটির ভূমিকায় আলি নদভি রাহি. লিখেছেন—‘ইসলাম একটি জীবনবিধান। একটি পূণ্যময়ী, সঠিক, সহজ ও সার্বজনীন পথনির্দেশ এবং মহান রবের নিকট একমাত্র গ্রহণীয় দ্বীন। ইসলামের এ শিক্ষা, বোধ ও বিশ্বাস এবং দ্বীনের হুকুম-আহকাম ও বিধিবিধান নিয়ে ইসলামের প্রায় শুরু যুগ থেকেই বিভিন্ন কিতাব রচনার একটি ধারাবাহিকতা চলে আসছে। কুরআন ও হাদিসের ভাষ্যকে সমকালীন মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে এমনটি করতেই হয়েছে। কিন্তু ইসলামের চলতে থাকা বিভিন্ন বিজয় ও প্রচার-প্রসারের কারণে ইসলামি রাষ্ট্রসীমা শুধু আরব ভূখণ্ডে আর সীমাবদ্ধ থাকেনি; তার বিস্তার ঘটতে থাকে।’ এরই পথ ধরে পৃথিবীর দিকে দিকে ইসলাম ছড়িয়ে পড়ে এবং সেইসাথে বাড়ে কিছু জটিলতাও। বিভিন্ন জাতি ও ভাষাভাষীর মিশ্রণে নতুন চিন্তা ও চেতনা ঢুকে পড়ে এতে, যার কোনোটা শুদ্ধ, কোনোটা অশুদ্ধ। ফলত প্রয়োজন হয়ে পড়ে কুরআন ও হাদিসের এক সরলভাষ্যের, যা দূর করবে এইসব মিথ্যের বেসাতি। এরই পথ ধরে প্রতিটি কালের প্রাজ্ঞ আলেমরা রচনা করে গিয়েছেন বিখ্যাত সব গ্রন্থ। এসবের ফসল হচ্ছে ইমাম গাজালি রাহি.-এর ইয়াহইয়া উলুমু্দ্দিন থেকে শুরু করে ব্রিটিশ ভারতবর্ষের বেহেশতি জেওর পর্যন্ত। তো সেই চিন্তাভাবনাকে সামনে রেখেই আধুনিককালের মহান মনীষী সাইয়েদ আবুল হাসান আলি নদভি রহ. লিখেছেন ইসলামি জীবনের রূপরেখা।
.
বক্ষ্যমাণ গ্রন্থে আলি নদভি রাহি. সম্পূর্ণ ইসলামি জীবনবিধানকে অল্প কথায় খুব সহজে উম্মাহর কাছে তুলে ধরে এর গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা বুঝিয়েছেন। এরপর মোট ৭টি অধ্যায়ে পুরো ইসলামি শরিয়াহকে সংক্ষেপে তুলে ধরে ইসলাম ও জীবনের পথরেখা বলে দিয়েছেন।
প্রথমত :—তিনি ইসলামের মৌলিক গঠন ও অনন্য বৈশিষ্ট্য টেনে দেখিয়েছেন—কেন ইসলাম অন্য সব ধর্ম থেকে আলাদা! কেন ইসলাম শুরু থেকে এখন পর্যন্ত একই আকিদা, একই বিশ্বাস নিয়ে চলে আসছে! দ্বিতীয়ত :—নির্ভরযোগ্য দলিল ও প্রমাণের ভিত্তিতে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের আকিদা ও বিশ্বাসকে স্পষ্ট করে এর ভেতরে আরও বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। কথাপ্রসঙ্গে উঠে এসেছে তাওহিদ, দ্বীন ও শিরকের পরিচয় এবং এর প্রকারভেদ; সেইসাথে নবি প্রেরণের উদ্দেশ্য থেকে নিয়ে সামাজিক কুসংস্কার ও বিদাতের আকার-প্রকৃতিও। তৃতীয় অধ্যায়ে—মুসলিম জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ইবাদতের সারসংক্ষেপ তুলে ধরে এর মর্যাদা, অবস্থান, প্রকার ও নিয়মনীতি তুলে ধরেছেন। এ প্রসঙ্গে প্র্যাক্টিকালি উদাহারণের জন্য খোদ রাসুলের ইবাদতপদ্ধতিকে বর্ণনা করে স্পষ্ট করেছেন একজন মুসলিমের ইবাদতকেন্দ্রিক জীবনের বাস্তবিক হাল কেমন হওয়া উচিত! চতুর্থ অধ্যায়ে—এসে আলোচনা করেছেন আল্লাহর পথে জিহাদ। সংক্ষেপে বর্ণনা করেছেন ইসলামে জিহাদের মর্যাদা, প্রকারভেদ, ফজিলত ও আদব। পঞ্চম অধ্যায়ে—আত্মশুদ্ধি ও চরিত্রগঠন। এ প্রসঙ্গে স্পষ্ট করেছেন রাসুল সা.-কে দুনিয়াতে পাঠানোর উদ্দেশ্য এবং কীভাবে একজন মানুষ রাসুলের আদর্শকে গ্রহণ করে আদর্শ মানুষ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে। পরিশেষে ইসলামি সংস্কৃতি ও ইসলামি সভ্যতার সাথে পশ্চিমা সভ্যতার দ্বন্দ্বগুলো তুলে ধরে আমাদের পশ্চিমা সভ্যতার ব্যাপারে কেমন ধারনা পোষণ করা উচিত, তা স্পষ্ট করেছেন।
.
উপসংহারে এসে নদভি রাহি.-এর নিজের ব্যক্তি-অভিজ্ঞতা এবং যেসব জীবনাচার অর্জন ও বর্জন করেছেন, তার আলোকে উম্মাহর প্রতিটি মানুষকে সে সমন্ধে নসিহত করেছেন। মূলত একজন মানুষকে ইসলাম সমন্ধে সংক্ষেপে জানাতে যেটুকুর বিকল্প নেই—এমন সকল বিষয়ের সারনির্যাস এই গ্রন্থে উঠে এসেছে। কোনো মুমিন এই গ্রন্থের পথরেখা ধরে চললে কখনোই পথ হারিয়ে ফেলবে না। আমাদের জীবনের শেষ যে গন্তব্য, যেখানে প্রতিটি মুমিন ও মুসলিমের মৌলিক পরিচয় মিশে গেছে, এ গ্রন্থ আপনাকে ঠিক সেখানে গিয়েই তার অভিযাত্রা শেষ করবে।
.
মুসলিম জীবনের জন্য অপরিহার্য এই গ্রন্থটি আপনার নিত্যপাঠ হোক।
.