An Najahah Shop

An Najahah Shop

EN

ফিলিস্তিনের পাশে থাকুন

An Najahah Shop

ফিলিস্তিনের পাশে থাকুন
  • ফিলিস্তিনের পাশে থাকুন_img_0

ফিলিস্তিনের পাশে থাকুন

350 BDT700 BDTSave 350 BDT

বই : ফিলিস্তিনের পাশে থাকুন
লেখক : ড. রাগেব সারজানী
গায়ের দাম : ৭০০ টাকা মাত্র
বিক্রয়মূল্য : ৩৫০ টাকা মাত্র

মৃত্যুঞ্জয়ী মুসলিম উম্মাহ

অন্যান্য জাতির সাথে মুসলিম উম্মাহর স্বতন্ত্র এক বৈশিষ্ট্য রয়েছে। মুসলিম উম্মাহ মৃত্যুঞ্জয়ী মুসলিম জাতি চিরঞ্জীব। একটি পশ্চাদ্বর্তী জাতির ঝিমুনো ইতিহাস এবং চিরজাগ্রত একটি জাতির সাড়ম্বর ইতিহাস পাঠ করলে পৃথিবীতে আমরা পালাক্রমিক কর্মকুশল দেখতে পাই।

প্রতিটি জাতি এক সময় শাসন করে, অতঃপর দীর্ঘদিন অন্যের শাসনে অনুগত থাকে। কখনো একদিন নেতৃত্ব দেয়, অতঃপর সুদীর্ঘকাল অন্যের কাছে আত্মসমর্পণ করে। সে একদিন বেঁচে থাকে, অতঃপর মরে যায়। মুছে যায় তার আলোর ঝলক। বিস্তৃত হয় তার ইতিহাস।

এর ব্যতিক্রম হলো মুসলিম জাতি। মুসলিম কখনো অন্যের শাসনে অনুগত হলেও, অন্যের নেতৃত্বে সমর্পিত হলেও এদের মৃত্যু নেই। এরা মরে না। এরা মৃত্যুঞ্জয়ী। বেঁচে থাকে সবসময়। মুসলিম জাতির এটি স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য।

ইতিহাস বলে, রোমান সাম্রাজ্যের কিছু পুরাকীর্তি ভবন ছাড়া আজ আর কিছুই অবশিষ্ট নেই।

পারস্য ঐতিহ্যের যে অপমৃত্যু ঘটেছে, সামান্য মিরাসও তারা রেখে যেতে পারেনি।
তাতার ও তাতারী বাহিনীর লেশমাত্রও নেই পৃথিবীতে।
সাম্রাজ্যবাদী ইংল্যান্ডকে হতে হয়েছে চরম অপদস্ত। সাম্রাজ্যবাদী এবং সাম্যবাদী রুশও ভেঙ্গে পড়েছে ভয়ানকভাবে।
.
অপরাপর জাতিও হয়তো দীর্ঘ ইতিহাস গড়বে, দীর্ঘ ক্ষমতা রাখবে, এরপর ভেঙ্গে যাবে। ভেস্তে যাবে। তাদের ভাগ্যতারা আজ জ্বলজ্বল করলেও কাল নিভে যাবে নিকষ আঁধারে।

কিন্তু মুসলিম উম্মাহ বেঁচে থাকবে। তাদের বেঁচে থাকতেই হবে। আল্লাহর শেষ বাণী তারাই পৌছে দেবে সৃষ্টির কানে কানে। যদি মুসলিম মরে যায় তবে সৃষ্টির কাছে আল্লাহর হুজ্জত কে কায়েম করবে?

যদি মুসলিম হেরে যায়, পৃথিবীবাসীর সাক্ষ্য আর কে দেবে?
যদি ইসলামের আলো নিভে যায়, মানুষকে কে শেখাবে জীবনবোধ? কে শেখাবে উন্নত চরিত্র?
যদি মুসলিম ব্যক্তিত্ব হারিয়ে যায়, মানুষেরে আল্লাহর পরিচয় কে জানাবে?

মুসলিম বেঁচে থাকার অর্থ পৃথিবী কল্যাণের সাথে বেঁচে থাকা। মুসলিম হেরে যাওয়ার অর্থ পৃথিবী বিধ্বস্ত হয়ে যাওয়া। সুতরাং আল্লাহর কাছে মুসলিম উম্মাহর মর্যাদা কতটুকু, তা জানতে হবে। পৃথিবীতে মুসলিম জাতির গুরুত্ব ও প্রয়োজন কতটুকু, তা বুঝতে হবে। যে সর্বনাশা আয়োজন আজ পৃথিবীকে ঘিরে রেখেছে, এর আয়তন মনে রাখতে হবে। আমাদের দুর্বলতায় যে দুর্দশা আজ আপতিত, তার পরিমাণ মনে রাখতে হবে। এগুলো আমাদের আত্মচর্চা। এই কঠিন সময়ের আত্মচর্চা আমাদের ভেতর স্পৃহা জাগ্রত করবে।
.