আকাবিরে উলামায়ে দেওবন্দ জীবন ও অবদান
বই : আকাবিরে উলামায়ে দেওবন্দ জীবন ও অবদানপ্রকাশনী : রাহনুমা প্রকাশনীআমি তো ঈসা আ. নই-মাওলানা আহমদ হাসান আমরুহী যখন মাদরাসা শাহি মুরাদাবাদে পড়াতেন তখন তিনি (ইয়াকুব নানুতুবী) পরীক্ষা নেওয়ার জন্য একবার সেখানে যান। এক মহিলা নিজের অন্ধ ছেলেকে নিয়ে এসে আবেদন করল- আমার ছেলেকে ভালো করে দিন! জবাবে তিনি বলেন, নাউযুবিল্লাহ! আমি তো ঈসা আ. নই, অন্ধকে দৃষ্টিশক্তি দিতে পারি বা কুষ্ঠ রোগীকে সুস্থ করতে পারি। এ কথা বলে তিনি হাঁটা ধরলেন। কিছুদূর গেলে তার ইলহাম হয়, তুমি কে? ঈসা কে? মুসা কে? যাও, ওই ছেলের চেহারায় হাত বুলিয়ে দাও। তিনি ফিরে এসে ছেলের চেহারায় হাত বুলিয়ে দিলেন। সঙ্গে সঙ্গে ছেলের চোখ সুস্থ হয়ে গেল। .এখন তো তেমনই হবে-একবার দেওবন্দে মহামারি দেখা দিল। তিনি আগেই ভবিষ্যদ্বাণী করে দেন, এখানে মহামারি হবে। যদি সব জিনিস থেকে কিছু কিছু সদকা করা হয় তাহলে আশা করা যায়, আল্লাহ পাক মহামারি দূর করে দেবেন। দেওবন্দের কেউ কেউ রহস্য করে বলল, মনে হয় মাদরাসার খরচে টান পড়েছে!কথাটা কোনোভাবে তার কানে গেল। তিনি রাগত স্বরে বললেন, ইয়াকুব ও তার সন্তানাদি এবং সমস্ত দেওবন্দবাসী; ইয়াকুব ও তার সন্তানাদি এবং সমস্ত দেওবন্দবাসী। কথাটা তিনি কয়েকবার বললেন। হাজী মুহাম্মদ আবেদ সাহেব ছিলেন কামরায়। শুনে তিনি ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে বেরিয়ে এলেন। জিজ্ঞাসা করলেন, কী বললেন হযরত? তিনি পাল্টা জিজ্ঞাসা করলেন, কী বলছি যেন? হাজী সাহেব কথাটা শুনিয়ে দিলেন। তিনি জবাব দিলেন, এখন তেমনই হবে।তারপর এমন ভয়াবহ মহামারি শুরু হলো, প্রতিবার বিশ-পঁচিশ জনের জানাযা পড়তে হতো। পুরো দেওবন্দ প্রায় খালি হয়ে গেল। মহামারি শেষ হলে তিনি আকাশের দিকে তাকিয়ে বললেন, ভেবেছিলাম, আমার সময়ও এসে গেছে। আমার সময় কি বাকি আছে? তারপর তিনি নানুতা গেলেন। সেখানে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। আর সে অসুখে ইন্তেকাল করেন।.মৃত্যুর পরে প্রকাশ পেল কারামত-মৌলবী মুঈনুদ্দীন ছিলেন মাওলানা মুহাম্মদ ইয়াকুব নানুতবীর বড় ছেলে । পিতার মৃত্যুপরবর্তী একটি কারামত তিনি বর্ণনা করেছেন। একবার নানুতায় শীতকালীন জ্বরের প্রকোপ দেখা দিল। কেউ একজন আব্বাজানের কবরের মাটি শরীরে বেঁধে আরাম পেল। কথাটা এলাকাজুড়ে রাষ্ট্র হয়ে গেল। ফলে দলে দলে লোক আসতে লাগল এবং কবরের মাটি নিতে লাগল। আমরা যতই মাটি দিই শেষ হয়ে যায়। কয়েকবার মাটি দিলাম। অবশেষে ক্লান্ত হয়ে একদিন তার কবরের কাছে গিয়ে অভিযোগ করলাম, আপনার তো কারামত প্রকাশ পাচ্ছে, আমাদের হয়েছে মসিবত! শুনে রাখুন, এখন থেকে কেউ মাটি নিলে আমরা আর মাটি দেব না। আপনি এমনিতে পড়ে থাকবেন। লোকেরা জুতো পায়ে আপনাকে মাড়াবে।সেদিন থেকে কবরের মাটি বেঁধে কেউ আরাম পায়নি। কথাটা আবার রাষ্ট্র হয়ে গেল। ফলে লোকেরা মাটি নেওয়া বন্ধ করে দিল।.
An Najahah Shop
Category List
All products

বই : আকাবিরে উলামায়ে দেওবন্দ জীবন ও অবদান
প্রকাশনী : রাহনুমা প্রকাশনী
আমি তো ঈসা আ. নই
-
মাওলানা আহমদ হাসান আমরুহী যখন মাদরাসা শাহি মুরাদাবাদে পড়াতেন তখন তিনি (ইয়াকুব নানুতুবী) পরীক্ষা নেওয়ার জন্য একবার সেখানে যান। এক মহিলা নিজের অন্ধ ছেলেকে নিয়ে এসে আবেদন করল- আমার ছেলেকে ভালো করে দিন! জবাবে তিনি বলেন, নাউযুবিল্লাহ! আমি তো ঈসা আ. নই, অন্ধকে দৃষ্টিশক্তি দিতে পারি বা কুষ্ঠ রোগীকে সুস্থ করতে পারি। এ কথা বলে তিনি হাঁটা ধরলেন। কিছুদূর গেলে তার ইলহাম হয়, তুমি কে? ঈসা কে? মুসা কে? যাও, ওই ছেলের চেহারায় হাত বুলিয়ে দাও। তিনি ফিরে এসে ছেলের চেহারায় হাত বুলিয়ে দিলেন। সঙ্গে সঙ্গে ছেলের চোখ সুস্থ হয়ে গেল।
.
এখন তো তেমনই হবে
-
একবার দেওবন্দে মহামারি দেখা দিল। তিনি আগেই ভবিষ্যদ্বাণী করে দেন, এখানে মহামারি হবে। যদি সব জিনিস থেকে কিছু কিছু সদকা করা হয় তাহলে আশা করা যায়, আল্লাহ পাক মহামারি দূর করে দেবেন। দেওবন্দের কেউ কেউ রহস্য করে বলল, মনে হয় মাদরাসার খরচে টান পড়েছে!
কথাটা কোনোভাবে তার কানে গেল। তিনি রাগত স্বরে বললেন, ইয়াকুব ও তার সন্তানাদি এবং সমস্ত দেওবন্দবাসী; ইয়াকুব ও তার সন্তানাদি এবং সমস্ত দেওবন্দবাসী। কথাটা তিনি কয়েকবার বললেন। হাজী মুহাম্মদ আবেদ সাহেব ছিলেন কামরায়। শুনে তিনি ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে বেরিয়ে এলেন। জিজ্ঞাসা করলেন, কী বললেন হযরত? তিনি পাল্টা জিজ্ঞাসা করলেন, কী বলছি যেন? হাজী সাহেব কথাটা শুনিয়ে দিলেন। তিনি জবাব দিলেন, এখন তেমনই হবে।
তারপর এমন ভয়াবহ মহামারি শুরু হলো, প্রতিবার বিশ-পঁচিশ জনের জানাযা পড়তে হতো। পুরো দেওবন্দ প্রায় খালি হয়ে গেল। মহামারি শেষ হলে তিনি আকাশের দিকে তাকিয়ে বললেন, ভেবেছিলাম, আমার সময়ও এসে গেছে। আমার সময় কি বাকি আছে? তারপর তিনি নানুতা গেলেন। সেখানে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। আর সে অসুখে ইন্তেকাল করেন।
.
মৃত্যুর পরে প্রকাশ পেল কারামত
-
মৌলবী মুঈনুদ্দীন ছিলেন মাওলানা মুহাম্মদ ইয়াকুব নানুতবীর বড় ছেলে । পিতার মৃত্যুপরবর্তী একটি কারামত তিনি বর্ণনা করেছেন। একবার নানুতায় শীতকালীন জ্বরের প্রকোপ দেখা দিল। কেউ একজন আব্বাজানের কবরের মাটি শরীরে বেঁধে আরাম পেল। কথাটা এলাকাজুড়ে রাষ্ট্র হয়ে গেল। ফলে দলে দলে লোক আসতে লাগল এবং কবরের মাটি নিতে লাগল। আমরা যতই মাটি দিই শেষ হয়ে যায়। কয়েকবার মাটি দিলাম। অবশেষে ক্লান্ত হয়ে একদিন তার কবরের কাছে গিয়ে অভিযোগ করলাম, আপনার তো কারামত প্রকাশ পাচ্ছে, আমাদের হয়েছে মসিবত! শুনে রাখুন, এখন থেকে কেউ মাটি নিলে আমরা আর মাটি দেব না। আপনি এমনিতে পড়ে থাকবেন। লোকেরা জুতো পায়ে আপনাকে মাড়াবে।
সেদিন থেকে কবরের মাটি বেঁধে কেউ আরাম পায়নি। কথাটা আবার রাষ্ট্র হয়ে গেল। ফলে লোকেরা মাটি নেওয়া বন্ধ করে দিল।
.
প্রকাশনী : রাহনুমা প্রকাশনী
আমি তো ঈসা আ. নই
-
মাওলানা আহমদ হাসান আমরুহী যখন মাদরাসা শাহি মুরাদাবাদে পড়াতেন তখন তিনি (ইয়াকুব নানুতুবী) পরীক্ষা নেওয়ার জন্য একবার সেখানে যান। এক মহিলা নিজের অন্ধ ছেলেকে নিয়ে এসে আবেদন করল- আমার ছেলেকে ভালো করে দিন! জবাবে তিনি বলেন, নাউযুবিল্লাহ! আমি তো ঈসা আ. নই, অন্ধকে দৃষ্টিশক্তি দিতে পারি বা কুষ্ঠ রোগীকে সুস্থ করতে পারি। এ কথা বলে তিনি হাঁটা ধরলেন। কিছুদূর গেলে তার ইলহাম হয়, তুমি কে? ঈসা কে? মুসা কে? যাও, ওই ছেলের চেহারায় হাত বুলিয়ে দাও। তিনি ফিরে এসে ছেলের চেহারায় হাত বুলিয়ে দিলেন। সঙ্গে সঙ্গে ছেলের চোখ সুস্থ হয়ে গেল।
.
এখন তো তেমনই হবে
-
একবার দেওবন্দে মহামারি দেখা দিল। তিনি আগেই ভবিষ্যদ্বাণী করে দেন, এখানে মহামারি হবে। যদি সব জিনিস থেকে কিছু কিছু সদকা করা হয় তাহলে আশা করা যায়, আল্লাহ পাক মহামারি দূর করে দেবেন। দেওবন্দের কেউ কেউ রহস্য করে বলল, মনে হয় মাদরাসার খরচে টান পড়েছে!
কথাটা কোনোভাবে তার কানে গেল। তিনি রাগত স্বরে বললেন, ইয়াকুব ও তার সন্তানাদি এবং সমস্ত দেওবন্দবাসী; ইয়াকুব ও তার সন্তানাদি এবং সমস্ত দেওবন্দবাসী। কথাটা তিনি কয়েকবার বললেন। হাজী মুহাম্মদ আবেদ সাহেব ছিলেন কামরায়। শুনে তিনি ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে বেরিয়ে এলেন। জিজ্ঞাসা করলেন, কী বললেন হযরত? তিনি পাল্টা জিজ্ঞাসা করলেন, কী বলছি যেন? হাজী সাহেব কথাটা শুনিয়ে দিলেন। তিনি জবাব দিলেন, এখন তেমনই হবে।
তারপর এমন ভয়াবহ মহামারি শুরু হলো, প্রতিবার বিশ-পঁচিশ জনের জানাযা পড়তে হতো। পুরো দেওবন্দ প্রায় খালি হয়ে গেল। মহামারি শেষ হলে তিনি আকাশের দিকে তাকিয়ে বললেন, ভেবেছিলাম, আমার সময়ও এসে গেছে। আমার সময় কি বাকি আছে? তারপর তিনি নানুতা গেলেন। সেখানে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। আর সে অসুখে ইন্তেকাল করেন।
.
মৃত্যুর পরে প্রকাশ পেল কারামত
-
মৌলবী মুঈনুদ্দীন ছিলেন মাওলানা মুহাম্মদ ইয়াকুব নানুতবীর বড় ছেলে । পিতার মৃত্যুপরবর্তী একটি কারামত তিনি বর্ণনা করেছেন। একবার নানুতায় শীতকালীন জ্বরের প্রকোপ দেখা দিল। কেউ একজন আব্বাজানের কবরের মাটি শরীরে বেঁধে আরাম পেল। কথাটা এলাকাজুড়ে রাষ্ট্র হয়ে গেল। ফলে দলে দলে লোক আসতে লাগল এবং কবরের মাটি নিতে লাগল। আমরা যতই মাটি দিই শেষ হয়ে যায়। কয়েকবার মাটি দিলাম। অবশেষে ক্লান্ত হয়ে একদিন তার কবরের কাছে গিয়ে অভিযোগ করলাম, আপনার তো কারামত প্রকাশ পাচ্ছে, আমাদের হয়েছে মসিবত! শুনে রাখুন, এখন থেকে কেউ মাটি নিলে আমরা আর মাটি দেব না। আপনি এমনিতে পড়ে থাকবেন। লোকেরা জুতো পায়ে আপনাকে মাড়াবে।
সেদিন থেকে কবরের মাটি বেঁধে কেউ আরাম পায়নি। কথাটা আবার রাষ্ট্র হয়ে গেল। ফলে লোকেরা মাটি নেওয়া বন্ধ করে দিল।
.
আকাবিরে উলামায়ে দেওবন্দ জীবন ও অবদান
300 BDT600 BDTSave 300 BDT
1
বই : আকাবিরে উলামায়ে দেওবন্দ জীবন ও অবদান
প্রকাশনী : রাহনুমা প্রকাশনী
আমি তো ঈসা আ. নই
-
মাওলানা আহমদ হাসান আমরুহী যখন মাদরাসা শাহি মুরাদাবাদে পড়াতেন তখন তিনি (ইয়াকুব নানুতুবী) পরীক্ষা নেওয়ার জন্য একবার সেখানে যান। এক মহিলা নিজের অন্ধ ছেলেকে নিয়ে এসে আবেদন করল- আমার ছেলেকে ভালো করে দিন! জবাবে তিনি বলেন, নাউযুবিল্লাহ! আমি তো ঈসা আ. নই, অন্ধকে দৃষ্টিশক্তি দিতে পারি বা কুষ্ঠ রোগীকে সুস্থ করতে পারি। এ কথা বলে তিনি হাঁটা ধরলেন। কিছুদূর গেলে তার ইলহাম হয়, তুমি কে? ঈসা কে? মুসা কে? যাও, ওই ছেলের চেহারায় হাত বুলিয়ে দাও। তিনি ফিরে এসে ছেলের চেহারায় হাত বুলিয়ে দিলেন। সঙ্গে সঙ্গে ছেলের চোখ সুস্থ হয়ে গেল।
.
এখন তো তেমনই হবে
-
একবার দেওবন্দে মহামারি দেখা দিল। তিনি আগেই ভবিষ্যদ্বাণী করে দেন, এখানে মহামারি হবে। যদি সব জিনিস থেকে কিছু কিছু সদকা করা হয় তাহলে আশা করা যায়, আল্লাহ পাক মহামারি দূর করে দেবেন। দেওবন্দের কেউ কেউ রহস্য করে বলল, মনে হয় মাদরাসার খরচে টান পড়েছে!
কথাটা কোনোভাবে তার কানে গেল। তিনি রাগত স্বরে বললেন, ইয়াকুব ও তার সন্তানাদি এবং সমস্ত দেওবন্দবাসী; ইয়াকুব ও তার সন্তানাদি এবং সমস্ত দেওবন্দবাসী। কথাটা তিনি কয়েকবার বললেন। হাজী মুহাম্মদ আবেদ সাহেব ছিলেন কামরায়। শুনে তিনি ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে বেরিয়ে এলেন। জিজ্ঞাসা করলেন, কী বললেন হযরত? তিনি পাল্টা জিজ্ঞাসা করলেন, কী বলছি যেন? হাজী সাহেব কথাটা শুনিয়ে দিলেন। তিনি জবাব দিলেন, এখন তেমনই হবে।
তারপর এমন ভয়াবহ মহামারি শুরু হলো, প্রতিবার বিশ-পঁচিশ জনের জানাযা পড়তে হতো। পুরো দেওবন্দ প্রায় খালি হয়ে গেল। মহামারি শেষ হলে তিনি আকাশের দিকে তাকিয়ে বললেন, ভেবেছিলাম, আমার সময়ও এসে গেছে। আমার সময় কি বাকি আছে? তারপর তিনি নানুতা গেলেন। সেখানে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। আর সে অসুখে ইন্তেকাল করেন।
.
মৃত্যুর পরে প্রকাশ পেল কারামত
-
মৌলবী মুঈনুদ্দীন ছিলেন মাওলানা মুহাম্মদ ইয়াকুব নানুতবীর বড় ছেলে । পিতার মৃত্যুপরবর্তী একটি কারামত তিনি বর্ণনা করেছেন। একবার নানুতায় শীতকালীন জ্বরের প্রকোপ দেখা দিল। কেউ একজন আব্বাজানের কবরের মাটি শরীরে বেঁধে আরাম পেল। কথাটা এলাকাজুড়ে রাষ্ট্র হয়ে গেল। ফলে দলে দলে লোক আসতে লাগল এবং কবরের মাটি নিতে লাগল। আমরা যতই মাটি দিই শেষ হয়ে যায়। কয়েকবার মাটি দিলাম। অবশেষে ক্লান্ত হয়ে একদিন তার কবরের কাছে গিয়ে অভিযোগ করলাম, আপনার তো কারামত প্রকাশ পাচ্ছে, আমাদের হয়েছে মসিবত! শুনে রাখুন, এখন থেকে কেউ মাটি নিলে আমরা আর মাটি দেব না। আপনি এমনিতে পড়ে থাকবেন। লোকেরা জুতো পায়ে আপনাকে মাড়াবে।
সেদিন থেকে কবরের মাটি বেঁধে কেউ আরাম পায়নি। কথাটা আবার রাষ্ট্র হয়ে গেল। ফলে লোকেরা মাটি নেওয়া বন্ধ করে দিল।
.
প্রকাশনী : রাহনুমা প্রকাশনী
আমি তো ঈসা আ. নই
-
মাওলানা আহমদ হাসান আমরুহী যখন মাদরাসা শাহি মুরাদাবাদে পড়াতেন তখন তিনি (ইয়াকুব নানুতুবী) পরীক্ষা নেওয়ার জন্য একবার সেখানে যান। এক মহিলা নিজের অন্ধ ছেলেকে নিয়ে এসে আবেদন করল- আমার ছেলেকে ভালো করে দিন! জবাবে তিনি বলেন, নাউযুবিল্লাহ! আমি তো ঈসা আ. নই, অন্ধকে দৃষ্টিশক্তি দিতে পারি বা কুষ্ঠ রোগীকে সুস্থ করতে পারি। এ কথা বলে তিনি হাঁটা ধরলেন। কিছুদূর গেলে তার ইলহাম হয়, তুমি কে? ঈসা কে? মুসা কে? যাও, ওই ছেলের চেহারায় হাত বুলিয়ে দাও। তিনি ফিরে এসে ছেলের চেহারায় হাত বুলিয়ে দিলেন। সঙ্গে সঙ্গে ছেলের চোখ সুস্থ হয়ে গেল।
.
এখন তো তেমনই হবে
-
একবার দেওবন্দে মহামারি দেখা দিল। তিনি আগেই ভবিষ্যদ্বাণী করে দেন, এখানে মহামারি হবে। যদি সব জিনিস থেকে কিছু কিছু সদকা করা হয় তাহলে আশা করা যায়, আল্লাহ পাক মহামারি দূর করে দেবেন। দেওবন্দের কেউ কেউ রহস্য করে বলল, মনে হয় মাদরাসার খরচে টান পড়েছে!
কথাটা কোনোভাবে তার কানে গেল। তিনি রাগত স্বরে বললেন, ইয়াকুব ও তার সন্তানাদি এবং সমস্ত দেওবন্দবাসী; ইয়াকুব ও তার সন্তানাদি এবং সমস্ত দেওবন্দবাসী। কথাটা তিনি কয়েকবার বললেন। হাজী মুহাম্মদ আবেদ সাহেব ছিলেন কামরায়। শুনে তিনি ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে বেরিয়ে এলেন। জিজ্ঞাসা করলেন, কী বললেন হযরত? তিনি পাল্টা জিজ্ঞাসা করলেন, কী বলছি যেন? হাজী সাহেব কথাটা শুনিয়ে দিলেন। তিনি জবাব দিলেন, এখন তেমনই হবে।
তারপর এমন ভয়াবহ মহামারি শুরু হলো, প্রতিবার বিশ-পঁচিশ জনের জানাযা পড়তে হতো। পুরো দেওবন্দ প্রায় খালি হয়ে গেল। মহামারি শেষ হলে তিনি আকাশের দিকে তাকিয়ে বললেন, ভেবেছিলাম, আমার সময়ও এসে গেছে। আমার সময় কি বাকি আছে? তারপর তিনি নানুতা গেলেন। সেখানে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। আর সে অসুখে ইন্তেকাল করেন।
.
মৃত্যুর পরে প্রকাশ পেল কারামত
-
মৌলবী মুঈনুদ্দীন ছিলেন মাওলানা মুহাম্মদ ইয়াকুব নানুতবীর বড় ছেলে । পিতার মৃত্যুপরবর্তী একটি কারামত তিনি বর্ণনা করেছেন। একবার নানুতায় শীতকালীন জ্বরের প্রকোপ দেখা দিল। কেউ একজন আব্বাজানের কবরের মাটি শরীরে বেঁধে আরাম পেল। কথাটা এলাকাজুড়ে রাষ্ট্র হয়ে গেল। ফলে দলে দলে লোক আসতে লাগল এবং কবরের মাটি নিতে লাগল। আমরা যতই মাটি দিই শেষ হয়ে যায়। কয়েকবার মাটি দিলাম। অবশেষে ক্লান্ত হয়ে একদিন তার কবরের কাছে গিয়ে অভিযোগ করলাম, আপনার তো কারামত প্রকাশ পাচ্ছে, আমাদের হয়েছে মসিবত! শুনে রাখুন, এখন থেকে কেউ মাটি নিলে আমরা আর মাটি দেব না। আপনি এমনিতে পড়ে থাকবেন। লোকেরা জুতো পায়ে আপনাকে মাড়াবে।
সেদিন থেকে কবরের মাটি বেঁধে কেউ আরাম পায়নি। কথাটা আবার রাষ্ট্র হয়ে গেল। ফলে লোকেরা মাটি নেওয়া বন্ধ করে দিল।
.