রাজিয়া সুলতানা
বই—রাজিয়া সুলতানা.লেখক—খান আসিফঅনুবাদক—আমিন আশরাফ.প্রকাশক—রাহনুমা প্রকাশনীপৃষ্ঠাসংখ্যা—২৬৩.মুদ্রিত মূল্য—৩৬০ইতিহাসের অন্যতম বড় দুঃখ হচ্ছে, খোদ সেই ইতিহাসকেই বিকৃত করা! আধুনিক সময়ে এগুলো সাধারণত হয়ে থাকে মুভি, সিরিয়াল আর ড্রামা সিরিজে! এবং তা যদি হয় অন্য ধর্মের, তাহলে তো কথাই নেই! আর্ট আর পুঁজিবাদের দোহাই দিয়ে মনমতো বিকৃত করো, কেউ কিচ্ছুটি বলবে না!.সেরকমই প্রতিবেশী দেশের একটি ওয়েব সিরিজ—'সুলতানা রাজিয়া'! মনমতো বিকৃত করে সেখানে উপস্থাপন করা হয়েছে ভারতবর্ষের প্রথম মুসলিম নারী সম্রাটের জীবনকে। অথচ তার জীবন আসলে কীরকম ছিলো, মুসলিম হিসেবে আমাদের জেনে রাখা উচিত নয় কি! .ইতিহাস বিষয়ে আমরা বেখবর, এটা তো পুরোনো কথা! নতুন কথা হচ্ছে, ইতিহাসকে বিকৃত করা নিয়েও আমাদের কোনো মাথাব্যথা নেই! তো সেইসব অন্ধকার ও মিথ্যার মুখোশ সরাতেই বক্ষ্যমাণ রাজিয়া সুলতানা বইটি; ইতিহাস যাকে চেনে হার-না-মানা একজন নারী হিসেবে।.সম্রাজ্ঞী রাজিয়া সুলতানা জন্মগ্রহণ করেন ১২০৫ সালে। প্রচণ্ড মেধাবী, পরিশ্রমী আর বুদ্ধিমতী রাজিয়ার ছোটবেলা থেকেই রাজনীতির প্রতি প্রবল আগ্রহ ছিলো। যুদ্ধের প্রতিও ছিলো তার অমোঘ নেশা। পিতা ইলতুৎমিশ নিজ হাতে তাকে যুদ্ধের বিভিন্ন কৌশল শিখিয়েছিলেন, সাথে রাজনীতিও। রাজনীতি আর যুদ্ধবিদ্যা নিয়ে ব্যস্ত থাকায় অবস্থা এমন হয়েছিল যে, হেরেমের সাথে তার তেমন কোনো যোগাযোগই ছিলো না! হেরেমের রীতিনীতিও তেমন একটা জানতেন না তিনি! .সে যা-ই হোক, ইলতুৎমিশ তার উত্তরাধিকারী হিসেবে কন্যা রাজিয়াকে মনোনীত করে যান। কিন্তু তার মৃত্যুর পর একজন নারীর শাসন মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানান দরবারের অভিজাত ও অমাত্যরা। আর তারপর থেকেই শুরু হয় তার ট্র্যাজেডিপর্বের জীবন। একের পর এক যুদ্ধ, ভাগ্যের খেলা এবং সমাজের রঙ্গতামাশায় তার জীবন হয়ে ওঠে অভিজ্ঞাবহুল, সেই সাথে অনন্ত বেদনারও। চিরকালই পৃথিবী নারীর ক্ষমতাকে মেনে নিতে চায়নি, চাই সে যত যোগ্যই হোক!.এই নারী সম্রাট ১২৩৬ সাল থেকে ১২৪০ সাল পর্যন্ত মোট চার অথবা সাড়ে চার বছর ভারতবর্ষ শাসন করেছিলেন। সে সময়ে তার বাবা থেকে পাওয়া লব্ধ অভিজ্ঞতা দিয়ে সাজিয়ে তোলেন পুরোনো দিল্লিকে─নতুন আঙ্গিকে, নতুন ধারায়। ভিত্তিপ্রস্তর করেন ইসলামি সাম্রাজ্যের একটি শক্তিশালী কেল্লার। ভারতবর্ষের বিশালায়তন সমৃদ্ধ ইতিহাসের ভিড়ে এই সময়টুকুর কথা হয়তো তেমন আলোচনাতেই আসত না। কিন্তু সম্রাজ্ঞী রাজিয়া সুলতানা নিজ যোগ্যতাবলেই এই সময়টুকুকে গুরুত্বপূর্ণ করে তুলতে পেরেছিলেন!.ভারতবর্ষের প্রথম নারী সুলতান হিসেবে নিজেকে তিনি ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ অংশে খুব ভালোভাবেই প্রতিষ্ঠা করছেন। কারণ, একজন নারী হিসেবে তিনি যে সময় সিংহাসনে বসেছিলেন, সে সময় তা কল্পনাও করা যেত না। ইসলাম ও ভারতবর্ষের ইতিহাসে যে কয়জন নারী খুব বেশি আলোচিত হন, রাজিয়া সুলতানা তাঁদের মধ্যে অন্যতম; যিনি শুধুমাত্র নিজ যোগ্যতাবলে ভারতবর্ষের পরাক্রমশালী সব রাজা, মহারাজা, বাদশা আর সম্রাটদের পাশে নিজের অবস্থান গড়ে নিতে পেরেছিলেন। আর তাই ভারতবর্ষের শাসকদের তালিকায় আজও তাঁর নামটি নক্ষত্রের মতোই জ্বলজ্বল করছে।.খান আসিফের লেখা এই বই রাজিয়া সুলতানার জীবন ও সময়কে নানা দিক থেকে আলো ফেলে আপনাকে দেখাবে। পাশাপাশি আমিন আশরাফের অনূদিত গদ্যের প্রাঞ্জলতা এই দীর্ঘ বইয়ের পাঠও আপনার জন্য সুখকর করে তুলবে। আশা করছি, এর দ্বিতীয় খণ্ডও শীঘ্রই পাঠকের কাছে পৌঁছে যাবে।.ভারত উপমহাদেশের প্রথম মুসলিম নারী সম্রাট রাজিয়া সুলতানার গৌরবময় শাসনের ইতিহাস জানতে মুল্যবান এই বইটি সংগ্রহ করুন।.
An Najahah Shop
Category List
All products

বই—রাজিয়া সুলতানা
.লেখক—খান আসিফ
অনুবাদক—আমিন আশরাফ
.প্রকাশক—রাহনুমা প্রকাশনী
পৃষ্ঠাসংখ্যা—২৬৩
.মুদ্রিত মূল্য—৩৬০
ইতিহাসের অন্যতম বড় দুঃখ হচ্ছে, খোদ সেই ইতিহাসকেই বিকৃত করা! আধুনিক সময়ে এগুলো সাধারণত হয়ে থাকে মুভি, সিরিয়াল আর ড্রামা সিরিজে! এবং তা যদি হয় অন্য ধর্মের, তাহলে তো কথাই নেই! আর্ট আর পুঁজিবাদের দোহাই দিয়ে মনমতো বিকৃত করো, কেউ কিচ্ছুটি বলবে না!
.
সেরকমই প্রতিবেশী দেশের একটি ওয়েব সিরিজ—'সুলতানা রাজিয়া'! মনমতো বিকৃত করে সেখানে উপস্থাপন করা হয়েছে ভারতবর্ষের প্রথম মুসলিম নারী সম্রাটের জীবনকে। অথচ তার জীবন আসলে কীরকম ছিলো, মুসলিম হিসেবে আমাদের জেনে রাখা উচিত নয় কি!
.
ইতিহাস বিষয়ে আমরা বেখবর, এটা তো পুরোনো কথা! নতুন কথা হচ্ছে, ইতিহাসকে বিকৃত করা নিয়েও আমাদের কোনো মাথাব্যথা নেই! তো সেইসব অন্ধকার ও মিথ্যার মুখোশ সরাতেই বক্ষ্যমাণ রাজিয়া সুলতানা বইটি; ইতিহাস যাকে চেনে হার-না-মানা একজন নারী হিসেবে।
.
সম্রাজ্ঞী রাজিয়া সুলতানা জন্মগ্রহণ করেন ১২০৫ সালে। প্রচণ্ড মেধাবী, পরিশ্রমী আর বুদ্ধিমতী রাজিয়ার ছোটবেলা থেকেই রাজনীতির প্রতি প্রবল আগ্রহ ছিলো। যুদ্ধের প্রতিও ছিলো তার অমোঘ নেশা। পিতা ইলতুৎমিশ নিজ হাতে তাকে যুদ্ধের বিভিন্ন কৌশল শিখিয়েছিলেন, সাথে রাজনীতিও। রাজনীতি আর যুদ্ধবিদ্যা নিয়ে ব্যস্ত থাকায় অবস্থা এমন হয়েছিল যে, হেরেমের সাথে তার তেমন কোনো যোগাযোগই ছিলো না! হেরেমের রীতিনীতিও তেমন একটা জানতেন না তিনি!
.
সে যা-ই হোক, ইলতুৎমিশ তার উত্তরাধিকারী হিসেবে কন্যা রাজিয়াকে মনোনীত করে যান। কিন্তু তার মৃত্যুর পর একজন নারীর শাসন মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানান দরবারের অভিজাত ও অমাত্যরা। আর তারপর থেকেই শুরু হয় তার ট্র্যাজেডিপর্বের জীবন। একের পর এক যুদ্ধ, ভাগ্যের খেলা এবং সমাজের রঙ্গতামাশায় তার জীবন হয়ে ওঠে অভিজ্ঞাবহুল, সেই সাথে অনন্ত বেদনারও। চিরকালই পৃথিবী নারীর ক্ষমতাকে মেনে নিতে চায়নি, চাই সে যত যোগ্যই হোক!
.
এই নারী সম্রাট ১২৩৬ সাল থেকে ১২৪০ সাল পর্যন্ত মোট চার অথবা সাড়ে চার বছর ভারতবর্ষ শাসন করেছিলেন। সে সময়ে তার বাবা থেকে পাওয়া লব্ধ অভিজ্ঞতা দিয়ে সাজিয়ে তোলেন পুরোনো দিল্লিকে─নতুন আঙ্গিকে, নতুন ধারায়। ভিত্তিপ্রস্তর করেন ইসলামি সাম্রাজ্যের একটি শক্তিশালী কেল্লার। ভারতবর্ষের বিশালায়তন সমৃদ্ধ ইতিহাসের ভিড়ে এই সময়টুকুর কথা হয়তো তেমন আলোচনাতেই আসত না। কিন্তু সম্রাজ্ঞী রাজিয়া সুলতানা নিজ যোগ্যতাবলেই এই সময়টুকুকে গুরুত্বপূর্ণ করে তুলতে পেরেছিলেন!
.
ভারতবর্ষের প্রথম নারী সুলতান হিসেবে নিজেকে তিনি ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ অংশে খুব ভালোভাবেই প্রতিষ্ঠা করছেন। কারণ, একজন নারী হিসেবে তিনি যে সময় সিংহাসনে বসেছিলেন, সে সময় তা কল্পনাও করা যেত না। ইসলাম ও ভারতবর্ষের ইতিহাসে যে কয়জন নারী খুব বেশি আলোচিত হন, রাজিয়া সুলতানা তাঁদের মধ্যে অন্যতম; যিনি শুধুমাত্র নিজ যোগ্যতাবলে ভারতবর্ষের পরাক্রমশালী সব রাজা, মহারাজা, বাদশা আর সম্রাটদের পাশে নিজের অবস্থান গড়ে নিতে পেরেছিলেন। আর তাই ভারতবর্ষের শাসকদের তালিকায় আজও তাঁর নামটি নক্ষত্রের মতোই জ্বলজ্বল করছে।
.
খান আসিফের লেখা এই বই রাজিয়া সুলতানার জীবন ও সময়কে নানা দিক থেকে আলো ফেলে আপনাকে দেখাবে। পাশাপাশি আমিন আশরাফের অনূদিত গদ্যের প্রাঞ্জলতা এই দীর্ঘ বইয়ের পাঠও আপনার জন্য সুখকর করে তুলবে। আশা করছি, এর দ্বিতীয় খণ্ডও শীঘ্রই পাঠকের কাছে পৌঁছে যাবে।
.
ভারত উপমহাদেশের প্রথম মুসলিম নারী সম্রাট রাজিয়া সুলতানার গৌরবময় শাসনের ইতিহাস জানতে মুল্যবান এই বইটি সংগ্রহ করুন।
.
.লেখক—খান আসিফ
অনুবাদক—আমিন আশরাফ
.প্রকাশক—রাহনুমা প্রকাশনী
পৃষ্ঠাসংখ্যা—২৬৩
.মুদ্রিত মূল্য—৩৬০
ইতিহাসের অন্যতম বড় দুঃখ হচ্ছে, খোদ সেই ইতিহাসকেই বিকৃত করা! আধুনিক সময়ে এগুলো সাধারণত হয়ে থাকে মুভি, সিরিয়াল আর ড্রামা সিরিজে! এবং তা যদি হয় অন্য ধর্মের, তাহলে তো কথাই নেই! আর্ট আর পুঁজিবাদের দোহাই দিয়ে মনমতো বিকৃত করো, কেউ কিচ্ছুটি বলবে না!
.
সেরকমই প্রতিবেশী দেশের একটি ওয়েব সিরিজ—'সুলতানা রাজিয়া'! মনমতো বিকৃত করে সেখানে উপস্থাপন করা হয়েছে ভারতবর্ষের প্রথম মুসলিম নারী সম্রাটের জীবনকে। অথচ তার জীবন আসলে কীরকম ছিলো, মুসলিম হিসেবে আমাদের জেনে রাখা উচিত নয় কি!
.
ইতিহাস বিষয়ে আমরা বেখবর, এটা তো পুরোনো কথা! নতুন কথা হচ্ছে, ইতিহাসকে বিকৃত করা নিয়েও আমাদের কোনো মাথাব্যথা নেই! তো সেইসব অন্ধকার ও মিথ্যার মুখোশ সরাতেই বক্ষ্যমাণ রাজিয়া সুলতানা বইটি; ইতিহাস যাকে চেনে হার-না-মানা একজন নারী হিসেবে।
.
সম্রাজ্ঞী রাজিয়া সুলতানা জন্মগ্রহণ করেন ১২০৫ সালে। প্রচণ্ড মেধাবী, পরিশ্রমী আর বুদ্ধিমতী রাজিয়ার ছোটবেলা থেকেই রাজনীতির প্রতি প্রবল আগ্রহ ছিলো। যুদ্ধের প্রতিও ছিলো তার অমোঘ নেশা। পিতা ইলতুৎমিশ নিজ হাতে তাকে যুদ্ধের বিভিন্ন কৌশল শিখিয়েছিলেন, সাথে রাজনীতিও। রাজনীতি আর যুদ্ধবিদ্যা নিয়ে ব্যস্ত থাকায় অবস্থা এমন হয়েছিল যে, হেরেমের সাথে তার তেমন কোনো যোগাযোগই ছিলো না! হেরেমের রীতিনীতিও তেমন একটা জানতেন না তিনি!
.
সে যা-ই হোক, ইলতুৎমিশ তার উত্তরাধিকারী হিসেবে কন্যা রাজিয়াকে মনোনীত করে যান। কিন্তু তার মৃত্যুর পর একজন নারীর শাসন মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানান দরবারের অভিজাত ও অমাত্যরা। আর তারপর থেকেই শুরু হয় তার ট্র্যাজেডিপর্বের জীবন। একের পর এক যুদ্ধ, ভাগ্যের খেলা এবং সমাজের রঙ্গতামাশায় তার জীবন হয়ে ওঠে অভিজ্ঞাবহুল, সেই সাথে অনন্ত বেদনারও। চিরকালই পৃথিবী নারীর ক্ষমতাকে মেনে নিতে চায়নি, চাই সে যত যোগ্যই হোক!
.
এই নারী সম্রাট ১২৩৬ সাল থেকে ১২৪০ সাল পর্যন্ত মোট চার অথবা সাড়ে চার বছর ভারতবর্ষ শাসন করেছিলেন। সে সময়ে তার বাবা থেকে পাওয়া লব্ধ অভিজ্ঞতা দিয়ে সাজিয়ে তোলেন পুরোনো দিল্লিকে─নতুন আঙ্গিকে, নতুন ধারায়। ভিত্তিপ্রস্তর করেন ইসলামি সাম্রাজ্যের একটি শক্তিশালী কেল্লার। ভারতবর্ষের বিশালায়তন সমৃদ্ধ ইতিহাসের ভিড়ে এই সময়টুকুর কথা হয়তো তেমন আলোচনাতেই আসত না। কিন্তু সম্রাজ্ঞী রাজিয়া সুলতানা নিজ যোগ্যতাবলেই এই সময়টুকুকে গুরুত্বপূর্ণ করে তুলতে পেরেছিলেন!
.
ভারতবর্ষের প্রথম নারী সুলতান হিসেবে নিজেকে তিনি ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ অংশে খুব ভালোভাবেই প্রতিষ্ঠা করছেন। কারণ, একজন নারী হিসেবে তিনি যে সময় সিংহাসনে বসেছিলেন, সে সময় তা কল্পনাও করা যেত না। ইসলাম ও ভারতবর্ষের ইতিহাসে যে কয়জন নারী খুব বেশি আলোচিত হন, রাজিয়া সুলতানা তাঁদের মধ্যে অন্যতম; যিনি শুধুমাত্র নিজ যোগ্যতাবলে ভারতবর্ষের পরাক্রমশালী সব রাজা, মহারাজা, বাদশা আর সম্রাটদের পাশে নিজের অবস্থান গড়ে নিতে পেরেছিলেন। আর তাই ভারতবর্ষের শাসকদের তালিকায় আজও তাঁর নামটি নক্ষত্রের মতোই জ্বলজ্বল করছে।
.
খান আসিফের লেখা এই বই রাজিয়া সুলতানার জীবন ও সময়কে নানা দিক থেকে আলো ফেলে আপনাকে দেখাবে। পাশাপাশি আমিন আশরাফের অনূদিত গদ্যের প্রাঞ্জলতা এই দীর্ঘ বইয়ের পাঠও আপনার জন্য সুখকর করে তুলবে। আশা করছি, এর দ্বিতীয় খণ্ডও শীঘ্রই পাঠকের কাছে পৌঁছে যাবে।
.
ভারত উপমহাদেশের প্রথম মুসলিম নারী সম্রাট রাজিয়া সুলতানার গৌরবময় শাসনের ইতিহাস জানতে মুল্যবান এই বইটি সংগ্রহ করুন।
.
রাজিয়া সুলতানা
180 BDT360 BDTSave 180 BDT
1
বই—রাজিয়া সুলতানা
.লেখক—খান আসিফ
অনুবাদক—আমিন আশরাফ
.প্রকাশক—রাহনুমা প্রকাশনী
পৃষ্ঠাসংখ্যা—২৬৩
.মুদ্রিত মূল্য—৩৬০
ইতিহাসের অন্যতম বড় দুঃখ হচ্ছে, খোদ সেই ইতিহাসকেই বিকৃত করা! আধুনিক সময়ে এগুলো সাধারণত হয়ে থাকে মুভি, সিরিয়াল আর ড্রামা সিরিজে! এবং তা যদি হয় অন্য ধর্মের, তাহলে তো কথাই নেই! আর্ট আর পুঁজিবাদের দোহাই দিয়ে মনমতো বিকৃত করো, কেউ কিচ্ছুটি বলবে না!
.
সেরকমই প্রতিবেশী দেশের একটি ওয়েব সিরিজ—'সুলতানা রাজিয়া'! মনমতো বিকৃত করে সেখানে উপস্থাপন করা হয়েছে ভারতবর্ষের প্রথম মুসলিম নারী সম্রাটের জীবনকে। অথচ তার জীবন আসলে কীরকম ছিলো, মুসলিম হিসেবে আমাদের জেনে রাখা উচিত নয় কি!
.
ইতিহাস বিষয়ে আমরা বেখবর, এটা তো পুরোনো কথা! নতুন কথা হচ্ছে, ইতিহাসকে বিকৃত করা নিয়েও আমাদের কোনো মাথাব্যথা নেই! তো সেইসব অন্ধকার ও মিথ্যার মুখোশ সরাতেই বক্ষ্যমাণ রাজিয়া সুলতানা বইটি; ইতিহাস যাকে চেনে হার-না-মানা একজন নারী হিসেবে।
.
সম্রাজ্ঞী রাজিয়া সুলতানা জন্মগ্রহণ করেন ১২০৫ সালে। প্রচণ্ড মেধাবী, পরিশ্রমী আর বুদ্ধিমতী রাজিয়ার ছোটবেলা থেকেই রাজনীতির প্রতি প্রবল আগ্রহ ছিলো। যুদ্ধের প্রতিও ছিলো তার অমোঘ নেশা। পিতা ইলতুৎমিশ নিজ হাতে তাকে যুদ্ধের বিভিন্ন কৌশল শিখিয়েছিলেন, সাথে রাজনীতিও। রাজনীতি আর যুদ্ধবিদ্যা নিয়ে ব্যস্ত থাকায় অবস্থা এমন হয়েছিল যে, হেরেমের সাথে তার তেমন কোনো যোগাযোগই ছিলো না! হেরেমের রীতিনীতিও তেমন একটা জানতেন না তিনি!
.
সে যা-ই হোক, ইলতুৎমিশ তার উত্তরাধিকারী হিসেবে কন্যা রাজিয়াকে মনোনীত করে যান। কিন্তু তার মৃত্যুর পর একজন নারীর শাসন মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানান দরবারের অভিজাত ও অমাত্যরা। আর তারপর থেকেই শুরু হয় তার ট্র্যাজেডিপর্বের জীবন। একের পর এক যুদ্ধ, ভাগ্যের খেলা এবং সমাজের রঙ্গতামাশায় তার জীবন হয়ে ওঠে অভিজ্ঞাবহুল, সেই সাথে অনন্ত বেদনারও। চিরকালই পৃথিবী নারীর ক্ষমতাকে মেনে নিতে চায়নি, চাই সে যত যোগ্যই হোক!
.
এই নারী সম্রাট ১২৩৬ সাল থেকে ১২৪০ সাল পর্যন্ত মোট চার অথবা সাড়ে চার বছর ভারতবর্ষ শাসন করেছিলেন। সে সময়ে তার বাবা থেকে পাওয়া লব্ধ অভিজ্ঞতা দিয়ে সাজিয়ে তোলেন পুরোনো দিল্লিকে─নতুন আঙ্গিকে, নতুন ধারায়। ভিত্তিপ্রস্তর করেন ইসলামি সাম্রাজ্যের একটি শক্তিশালী কেল্লার। ভারতবর্ষের বিশালায়তন সমৃদ্ধ ইতিহাসের ভিড়ে এই সময়টুকুর কথা হয়তো তেমন আলোচনাতেই আসত না। কিন্তু সম্রাজ্ঞী রাজিয়া সুলতানা নিজ যোগ্যতাবলেই এই সময়টুকুকে গুরুত্বপূর্ণ করে তুলতে পেরেছিলেন!
.
ভারতবর্ষের প্রথম নারী সুলতান হিসেবে নিজেকে তিনি ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ অংশে খুব ভালোভাবেই প্রতিষ্ঠা করছেন। কারণ, একজন নারী হিসেবে তিনি যে সময় সিংহাসনে বসেছিলেন, সে সময় তা কল্পনাও করা যেত না। ইসলাম ও ভারতবর্ষের ইতিহাসে যে কয়জন নারী খুব বেশি আলোচিত হন, রাজিয়া সুলতানা তাঁদের মধ্যে অন্যতম; যিনি শুধুমাত্র নিজ যোগ্যতাবলে ভারতবর্ষের পরাক্রমশালী সব রাজা, মহারাজা, বাদশা আর সম্রাটদের পাশে নিজের অবস্থান গড়ে নিতে পেরেছিলেন। আর তাই ভারতবর্ষের শাসকদের তালিকায় আজও তাঁর নামটি নক্ষত্রের মতোই জ্বলজ্বল করছে।
.
খান আসিফের লেখা এই বই রাজিয়া সুলতানার জীবন ও সময়কে নানা দিক থেকে আলো ফেলে আপনাকে দেখাবে। পাশাপাশি আমিন আশরাফের অনূদিত গদ্যের প্রাঞ্জলতা এই দীর্ঘ বইয়ের পাঠও আপনার জন্য সুখকর করে তুলবে। আশা করছি, এর দ্বিতীয় খণ্ডও শীঘ্রই পাঠকের কাছে পৌঁছে যাবে।
.
ভারত উপমহাদেশের প্রথম মুসলিম নারী সম্রাট রাজিয়া সুলতানার গৌরবময় শাসনের ইতিহাস জানতে মুল্যবান এই বইটি সংগ্রহ করুন।
.
.লেখক—খান আসিফ
অনুবাদক—আমিন আশরাফ
.প্রকাশক—রাহনুমা প্রকাশনী
পৃষ্ঠাসংখ্যা—২৬৩
.মুদ্রিত মূল্য—৩৬০
ইতিহাসের অন্যতম বড় দুঃখ হচ্ছে, খোদ সেই ইতিহাসকেই বিকৃত করা! আধুনিক সময়ে এগুলো সাধারণত হয়ে থাকে মুভি, সিরিয়াল আর ড্রামা সিরিজে! এবং তা যদি হয় অন্য ধর্মের, তাহলে তো কথাই নেই! আর্ট আর পুঁজিবাদের দোহাই দিয়ে মনমতো বিকৃত করো, কেউ কিচ্ছুটি বলবে না!
.
সেরকমই প্রতিবেশী দেশের একটি ওয়েব সিরিজ—'সুলতানা রাজিয়া'! মনমতো বিকৃত করে সেখানে উপস্থাপন করা হয়েছে ভারতবর্ষের প্রথম মুসলিম নারী সম্রাটের জীবনকে। অথচ তার জীবন আসলে কীরকম ছিলো, মুসলিম হিসেবে আমাদের জেনে রাখা উচিত নয় কি!
.
ইতিহাস বিষয়ে আমরা বেখবর, এটা তো পুরোনো কথা! নতুন কথা হচ্ছে, ইতিহাসকে বিকৃত করা নিয়েও আমাদের কোনো মাথাব্যথা নেই! তো সেইসব অন্ধকার ও মিথ্যার মুখোশ সরাতেই বক্ষ্যমাণ রাজিয়া সুলতানা বইটি; ইতিহাস যাকে চেনে হার-না-মানা একজন নারী হিসেবে।
.
সম্রাজ্ঞী রাজিয়া সুলতানা জন্মগ্রহণ করেন ১২০৫ সালে। প্রচণ্ড মেধাবী, পরিশ্রমী আর বুদ্ধিমতী রাজিয়ার ছোটবেলা থেকেই রাজনীতির প্রতি প্রবল আগ্রহ ছিলো। যুদ্ধের প্রতিও ছিলো তার অমোঘ নেশা। পিতা ইলতুৎমিশ নিজ হাতে তাকে যুদ্ধের বিভিন্ন কৌশল শিখিয়েছিলেন, সাথে রাজনীতিও। রাজনীতি আর যুদ্ধবিদ্যা নিয়ে ব্যস্ত থাকায় অবস্থা এমন হয়েছিল যে, হেরেমের সাথে তার তেমন কোনো যোগাযোগই ছিলো না! হেরেমের রীতিনীতিও তেমন একটা জানতেন না তিনি!
.
সে যা-ই হোক, ইলতুৎমিশ তার উত্তরাধিকারী হিসেবে কন্যা রাজিয়াকে মনোনীত করে যান। কিন্তু তার মৃত্যুর পর একজন নারীর শাসন মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানান দরবারের অভিজাত ও অমাত্যরা। আর তারপর থেকেই শুরু হয় তার ট্র্যাজেডিপর্বের জীবন। একের পর এক যুদ্ধ, ভাগ্যের খেলা এবং সমাজের রঙ্গতামাশায় তার জীবন হয়ে ওঠে অভিজ্ঞাবহুল, সেই সাথে অনন্ত বেদনারও। চিরকালই পৃথিবী নারীর ক্ষমতাকে মেনে নিতে চায়নি, চাই সে যত যোগ্যই হোক!
.
এই নারী সম্রাট ১২৩৬ সাল থেকে ১২৪০ সাল পর্যন্ত মোট চার অথবা সাড়ে চার বছর ভারতবর্ষ শাসন করেছিলেন। সে সময়ে তার বাবা থেকে পাওয়া লব্ধ অভিজ্ঞতা দিয়ে সাজিয়ে তোলেন পুরোনো দিল্লিকে─নতুন আঙ্গিকে, নতুন ধারায়। ভিত্তিপ্রস্তর করেন ইসলামি সাম্রাজ্যের একটি শক্তিশালী কেল্লার। ভারতবর্ষের বিশালায়তন সমৃদ্ধ ইতিহাসের ভিড়ে এই সময়টুকুর কথা হয়তো তেমন আলোচনাতেই আসত না। কিন্তু সম্রাজ্ঞী রাজিয়া সুলতানা নিজ যোগ্যতাবলেই এই সময়টুকুকে গুরুত্বপূর্ণ করে তুলতে পেরেছিলেন!
.
ভারতবর্ষের প্রথম নারী সুলতান হিসেবে নিজেকে তিনি ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ অংশে খুব ভালোভাবেই প্রতিষ্ঠা করছেন। কারণ, একজন নারী হিসেবে তিনি যে সময় সিংহাসনে বসেছিলেন, সে সময় তা কল্পনাও করা যেত না। ইসলাম ও ভারতবর্ষের ইতিহাসে যে কয়জন নারী খুব বেশি আলোচিত হন, রাজিয়া সুলতানা তাঁদের মধ্যে অন্যতম; যিনি শুধুমাত্র নিজ যোগ্যতাবলে ভারতবর্ষের পরাক্রমশালী সব রাজা, মহারাজা, বাদশা আর সম্রাটদের পাশে নিজের অবস্থান গড়ে নিতে পেরেছিলেন। আর তাই ভারতবর্ষের শাসকদের তালিকায় আজও তাঁর নামটি নক্ষত্রের মতোই জ্বলজ্বল করছে।
.
খান আসিফের লেখা এই বই রাজিয়া সুলতানার জীবন ও সময়কে নানা দিক থেকে আলো ফেলে আপনাকে দেখাবে। পাশাপাশি আমিন আশরাফের অনূদিত গদ্যের প্রাঞ্জলতা এই দীর্ঘ বইয়ের পাঠও আপনার জন্য সুখকর করে তুলবে। আশা করছি, এর দ্বিতীয় খণ্ডও শীঘ্রই পাঠকের কাছে পৌঁছে যাবে।
.
ভারত উপমহাদেশের প্রথম মুসলিম নারী সম্রাট রাজিয়া সুলতানার গৌরবময় শাসনের ইতিহাস জানতে মুল্যবান এই বইটি সংগ্রহ করুন।
.