ইতিহাসের কান্না
বই—ইতিহাসের কান্না.লেখক—উবায়দুর রহমান খান নদভী.প্রকাশক—রাহনুমা প্রকাশনীপৃষ্ঠাসংখ্যা—৭৮.তিন শতাব্দীরও দীর্ঘ মহাপ্রতাপান্বিত মোঘল সাম্রাজ্য প্রকৃতির নিয়মেই একদিন বিলুপ্ত হয়ে যায়, শেষ মোঘল সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফরের আমলে। সিপাহি বিদ্রোহের টান টান উত্তেজনার এই সময়টাতে একদিকে ব্রিটিশ বেনিয়াদের উৎপাত, অন্যদিকে স্বদেশি দোসররা মিলে মোগল সাম্রাজের শেষ পরিণতি কতটা নাটকীয়ভাবে করেছিল, তা নিয়ে আগ্রহ জমে আছে আমাদের অনেকের মনে। এইসব কৌতুহল মেটাতেই ‘ইতিহাসের কান্না’ পাঠকের কাছে। বইটির মূল লেখক খাজা হাসান নিজামি।.কাহিনির সারসংক্ষেপে যা বলা যায়, ১৮৫৭ সালের সিপাহি বিদ্রোহের পর শেষ মোগল সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফরকে নির্বাসন দেওয়া হলো রেঙ্গুন নামক এক জায়গায়। এমনকি মোঘল শাহজাদাদের অনেককে হত্যাও করা হয়। সেইসাথে রাজপরিবারের অন্য সদস্যরা লালকেল্লা ছেড়ে বেরিয়ে পড়েন অজানা পথে। তাদেরকে আশ্রয় দেওয়ার মতন তখন আর কেউ নেই। আশপাশে স্বদেশি দোসর আর পিছনে তাড়া করছে ইংরেজ সৈন্যরা। প্রতি পদক্ষেপে বিপদের হাতছানি। এরকমই এক ট্র্যাজিডিয়াস থ্রিলার সাসপেন্সের মধ্য দিয়ে শুরু ও শেষ মোঘল সাম্রাজ্যের ইতিহাসের।.প্রখ্যাত উর্দু সাহিত্যিক খাজা হাসান নিজামি জন্মেছিলেন দিল্লি শহরে, সেই মহাবিদ্রোহের কয়েক বছর পরেই। লেখকের শৈশব কাটে দিল্লির ক্ষমতাচ্যুত উৎপীড়িত তৈমুর বংশীয় শাহজাদাদের সঙ্গে, যারা লাল কেল্লার প্রাসাদ থেকে বিচ্যুত হয়ে নিজামুদ্দিন বস্তিতে জীবন কাটাচ্ছিলেন। যুগের চাকায় নিপিষ্ট, নিয়তির নির্মম পরিহাসে নিষ্পেপিত এ ভাগ্যাহতদের সান্নিধ্য তাকে ভীষণ আবেগাপ্লুত করে। তিনি তাদের অবস্থা দেখে অনেকগুলো বইও লেখেন। এসবের মধ্যে সর্বাপেক্ষা প্রসিদ্ধ গ্রন্থ হচ্ছে ‘বেগমাত কে আঁসু বা রাজমহিষীদের অশ্রুধারা’। বক্ষ্যমাণ গ্রন্থটি সে মূল বইয়েরই খণ্ডিত কিছু অংশ। বইটিতে উঠে এসেছে কুলসুম জামানি বেগম, গুলবানু, শাহজাদি, নারগিস নজর, মাহ জামালসহ অনেক ভাগ্যবিড়ম্বিত শাহজাদি ও রাজমহিষীদের গল্প। শেষে বাহাদুর শাহ জাফরের কবিতা-জীবন নিয়েও রয়েছে অন্যরকম এক ইতিহাসের বেদনা।.অনুবাদক এই বইটি সম্পর্কে বলেন—‘আবাল্য অনুসন্ধিৎসার টানেই হয়তো শত শত বছরের শাসন-ঐতিহ্য নিয়ে বেড়ে ওঠা শেষ মোঘল সম্রাট-পরিবারের উপর সিপাহি বিপ্লোবোত্তর কালে ইংরেজ শাসকদের অবর্ণনীয় অত্যাচার এবং এ পরিবারের সদস্যদের ভাগ্যবিপর্যয়ের উপর রচিত ঐতিহাসিক কিছু পুস্তক আমার সংগ্রহে আসে। একসময় বাংলাভাষী পাঠকদের জন্য এর কিছু অংশের ভাষান্তরও করা হয়। তারই একাংশ হচ্ছে 'ইতিহাসের কান্না।’.উবায়দুর রহমান নদভি একজন ইতিহাস-অনুসন্ধিৎসু মানুষ; তার আগ্রহের মূলে রয়েছে মুসলিমদের হারানো সময়ের সোনালি ইতিহাস। সে কারণে জীবনে যখন যেখানে গিয়েছেন, সবখানেই খুঁজেছেন মুসলিমদের শেকড় ও অস্তিত্বের ধ্বনি। তারই পথ ধরে তার দিল্লি ভ্রমণের সময় মোঘল সাম্রাজ্য নিয়ে বাস্তব অভিজ্ঞতা হয়। এরই হাত ধরে বিখ্যাত উর্দু গ্রন্থ ‘বেগমাত কে আঁসুর’ অনুবাদ ও সম্পাদনা করে পাঠকের হাতে তুলে দেন ‘ইতিহাসের কান্না’।.ইতিহাসপাঠে যাদের আগ্রহ রয়েছে তাদের জন্য এই বই জরুরি। মোঘল সাম্রাজ্যের শেষ দিনগুলিকে জানতে অসাধারণ এই বই সংগ্রহ রাখতে পারেন।.
An Najahah Shop
Category List
All products

বই—ইতিহাসের কান্না
.লেখক—উবায়দুর রহমান খান নদভী
.প্রকাশক—রাহনুমা প্রকাশনী
পৃষ্ঠাসংখ্যা—৭৮
.
তিন শতাব্দীরও দীর্ঘ মহাপ্রতাপান্বিত মোঘল সাম্রাজ্য প্রকৃতির নিয়মেই একদিন বিলুপ্ত হয়ে যায়, শেষ মোঘল সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফরের আমলে। সিপাহি বিদ্রোহের টান টান উত্তেজনার এই সময়টাতে একদিকে ব্রিটিশ বেনিয়াদের উৎপাত, অন্যদিকে স্বদেশি দোসররা মিলে মোগল সাম্রাজের শেষ পরিণতি কতটা নাটকীয়ভাবে করেছিল, তা নিয়ে আগ্রহ জমে আছে আমাদের অনেকের মনে। এইসব কৌতুহল মেটাতেই ‘ইতিহাসের কান্না’ পাঠকের কাছে। বইটির মূল লেখক খাজা হাসান নিজামি।
.
কাহিনির সারসংক্ষেপে যা বলা যায়, ১৮৫৭ সালের সিপাহি বিদ্রোহের পর শেষ মোগল সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফরকে নির্বাসন দেওয়া হলো রেঙ্গুন নামক এক জায়গায়। এমনকি মোঘল শাহজাদাদের অনেককে হত্যাও করা হয়। সেইসাথে রাজপরিবারের অন্য সদস্যরা লালকেল্লা ছেড়ে বেরিয়ে পড়েন অজানা পথে। তাদেরকে আশ্রয় দেওয়ার মতন তখন আর কেউ নেই। আশপাশে স্বদেশি দোসর আর পিছনে তাড়া করছে ইংরেজ সৈন্যরা। প্রতি পদক্ষেপে বিপদের হাতছানি। এরকমই এক ট্র্যাজিডিয়াস থ্রিলার সাসপেন্সের মধ্য দিয়ে শুরু ও শেষ মোঘল সাম্রাজ্যের ইতিহাসের।
.
প্রখ্যাত উর্দু সাহিত্যিক খাজা হাসান নিজামি জন্মেছিলেন দিল্লি শহরে, সেই মহাবিদ্রোহের কয়েক বছর পরেই। লেখকের শৈশব কাটে দিল্লির ক্ষমতাচ্যুত উৎপীড়িত তৈমুর বংশীয় শাহজাদাদের সঙ্গে, যারা লাল কেল্লার প্রাসাদ থেকে বিচ্যুত হয়ে নিজামুদ্দিন বস্তিতে জীবন কাটাচ্ছিলেন। যুগের চাকায় নিপিষ্ট, নিয়তির নির্মম পরিহাসে নিষ্পেপিত এ ভাগ্যাহতদের সান্নিধ্য তাকে ভীষণ আবেগাপ্লুত করে। তিনি তাদের অবস্থা দেখে অনেকগুলো বইও লেখেন। এসবের মধ্যে সর্বাপেক্ষা প্রসিদ্ধ গ্রন্থ হচ্ছে ‘বেগমাত কে আঁসু বা রাজমহিষীদের অশ্রুধারা’। বক্ষ্যমাণ গ্রন্থটি সে মূল বইয়েরই খণ্ডিত কিছু অংশ। বইটিতে উঠে এসেছে কুলসুম জামানি বেগম, গুলবানু, শাহজাদি, নারগিস নজর, মাহ জামালসহ অনেক ভাগ্যবিড়ম্বিত শাহজাদি ও রাজমহিষীদের গল্প। শেষে বাহাদুর শাহ জাফরের কবিতা-জীবন নিয়েও রয়েছে অন্যরকম এক ইতিহাসের বেদনা।
.
অনুবাদক এই বইটি সম্পর্কে বলেন—‘আবাল্য অনুসন্ধিৎসার টানেই হয়তো শত শত বছরের শাসন-ঐতিহ্য নিয়ে বেড়ে ওঠা শেষ মোঘল সম্রাট-পরিবারের উপর সিপাহি বিপ্লোবোত্তর কালে ইংরেজ শাসকদের অবর্ণনীয় অত্যাচার এবং এ পরিবারের সদস্যদের ভাগ্যবিপর্যয়ের উপর রচিত ঐতিহাসিক কিছু পুস্তক আমার সংগ্রহে আসে। একসময় বাংলাভাষী পাঠকদের জন্য এর কিছু অংশের ভাষান্তরও করা হয়। তারই একাংশ হচ্ছে 'ইতিহাসের কান্না।’
.
উবায়দুর রহমান নদভি একজন ইতিহাস-অনুসন্ধিৎসু মানুষ; তার আগ্রহের মূলে রয়েছে মুসলিমদের হারানো সময়ের সোনালি ইতিহাস। সে কারণে জীবনে যখন যেখানে গিয়েছেন, সবখানেই খুঁজেছেন মুসলিমদের শেকড় ও অস্তিত্বের ধ্বনি। তারই পথ ধরে তার দিল্লি ভ্রমণের সময় মোঘল সাম্রাজ্য নিয়ে বাস্তব অভিজ্ঞতা হয়। এরই হাত ধরে বিখ্যাত উর্দু গ্রন্থ ‘বেগমাত কে আঁসুর’ অনুবাদ ও সম্পাদনা করে পাঠকের হাতে তুলে দেন ‘ইতিহাসের কান্না’।
.
ইতিহাসপাঠে যাদের আগ্রহ রয়েছে তাদের জন্য এই বই জরুরি। মোঘল সাম্রাজ্যের শেষ দিনগুলিকে জানতে অসাধারণ এই বই সংগ্রহ রাখতে পারেন।
.
.লেখক—উবায়দুর রহমান খান নদভী
.প্রকাশক—রাহনুমা প্রকাশনী
পৃষ্ঠাসংখ্যা—৭৮
.
তিন শতাব্দীরও দীর্ঘ মহাপ্রতাপান্বিত মোঘল সাম্রাজ্য প্রকৃতির নিয়মেই একদিন বিলুপ্ত হয়ে যায়, শেষ মোঘল সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফরের আমলে। সিপাহি বিদ্রোহের টান টান উত্তেজনার এই সময়টাতে একদিকে ব্রিটিশ বেনিয়াদের উৎপাত, অন্যদিকে স্বদেশি দোসররা মিলে মোগল সাম্রাজের শেষ পরিণতি কতটা নাটকীয়ভাবে করেছিল, তা নিয়ে আগ্রহ জমে আছে আমাদের অনেকের মনে। এইসব কৌতুহল মেটাতেই ‘ইতিহাসের কান্না’ পাঠকের কাছে। বইটির মূল লেখক খাজা হাসান নিজামি।
.
কাহিনির সারসংক্ষেপে যা বলা যায়, ১৮৫৭ সালের সিপাহি বিদ্রোহের পর শেষ মোগল সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফরকে নির্বাসন দেওয়া হলো রেঙ্গুন নামক এক জায়গায়। এমনকি মোঘল শাহজাদাদের অনেককে হত্যাও করা হয়। সেইসাথে রাজপরিবারের অন্য সদস্যরা লালকেল্লা ছেড়ে বেরিয়ে পড়েন অজানা পথে। তাদেরকে আশ্রয় দেওয়ার মতন তখন আর কেউ নেই। আশপাশে স্বদেশি দোসর আর পিছনে তাড়া করছে ইংরেজ সৈন্যরা। প্রতি পদক্ষেপে বিপদের হাতছানি। এরকমই এক ট্র্যাজিডিয়াস থ্রিলার সাসপেন্সের মধ্য দিয়ে শুরু ও শেষ মোঘল সাম্রাজ্যের ইতিহাসের।
.
প্রখ্যাত উর্দু সাহিত্যিক খাজা হাসান নিজামি জন্মেছিলেন দিল্লি শহরে, সেই মহাবিদ্রোহের কয়েক বছর পরেই। লেখকের শৈশব কাটে দিল্লির ক্ষমতাচ্যুত উৎপীড়িত তৈমুর বংশীয় শাহজাদাদের সঙ্গে, যারা লাল কেল্লার প্রাসাদ থেকে বিচ্যুত হয়ে নিজামুদ্দিন বস্তিতে জীবন কাটাচ্ছিলেন। যুগের চাকায় নিপিষ্ট, নিয়তির নির্মম পরিহাসে নিষ্পেপিত এ ভাগ্যাহতদের সান্নিধ্য তাকে ভীষণ আবেগাপ্লুত করে। তিনি তাদের অবস্থা দেখে অনেকগুলো বইও লেখেন। এসবের মধ্যে সর্বাপেক্ষা প্রসিদ্ধ গ্রন্থ হচ্ছে ‘বেগমাত কে আঁসু বা রাজমহিষীদের অশ্রুধারা’। বক্ষ্যমাণ গ্রন্থটি সে মূল বইয়েরই খণ্ডিত কিছু অংশ। বইটিতে উঠে এসেছে কুলসুম জামানি বেগম, গুলবানু, শাহজাদি, নারগিস নজর, মাহ জামালসহ অনেক ভাগ্যবিড়ম্বিত শাহজাদি ও রাজমহিষীদের গল্প। শেষে বাহাদুর শাহ জাফরের কবিতা-জীবন নিয়েও রয়েছে অন্যরকম এক ইতিহাসের বেদনা।
.
অনুবাদক এই বইটি সম্পর্কে বলেন—‘আবাল্য অনুসন্ধিৎসার টানেই হয়তো শত শত বছরের শাসন-ঐতিহ্য নিয়ে বেড়ে ওঠা শেষ মোঘল সম্রাট-পরিবারের উপর সিপাহি বিপ্লোবোত্তর কালে ইংরেজ শাসকদের অবর্ণনীয় অত্যাচার এবং এ পরিবারের সদস্যদের ভাগ্যবিপর্যয়ের উপর রচিত ঐতিহাসিক কিছু পুস্তক আমার সংগ্রহে আসে। একসময় বাংলাভাষী পাঠকদের জন্য এর কিছু অংশের ভাষান্তরও করা হয়। তারই একাংশ হচ্ছে 'ইতিহাসের কান্না।’
.
উবায়দুর রহমান নদভি একজন ইতিহাস-অনুসন্ধিৎসু মানুষ; তার আগ্রহের মূলে রয়েছে মুসলিমদের হারানো সময়ের সোনালি ইতিহাস। সে কারণে জীবনে যখন যেখানে গিয়েছেন, সবখানেই খুঁজেছেন মুসলিমদের শেকড় ও অস্তিত্বের ধ্বনি। তারই পথ ধরে তার দিল্লি ভ্রমণের সময় মোঘল সাম্রাজ্য নিয়ে বাস্তব অভিজ্ঞতা হয়। এরই হাত ধরে বিখ্যাত উর্দু গ্রন্থ ‘বেগমাত কে আঁসুর’ অনুবাদ ও সম্পাদনা করে পাঠকের হাতে তুলে দেন ‘ইতিহাসের কান্না’।
.
ইতিহাসপাঠে যাদের আগ্রহ রয়েছে তাদের জন্য এই বই জরুরি। মোঘল সাম্রাজ্যের শেষ দিনগুলিকে জানতে অসাধারণ এই বই সংগ্রহ রাখতে পারেন।
.
ইতিহাসের কান্না
80 BDT160 BDTSave 80 BDT
1
বই—ইতিহাসের কান্না
.লেখক—উবায়দুর রহমান খান নদভী
.প্রকাশক—রাহনুমা প্রকাশনী
পৃষ্ঠাসংখ্যা—৭৮
.
তিন শতাব্দীরও দীর্ঘ মহাপ্রতাপান্বিত মোঘল সাম্রাজ্য প্রকৃতির নিয়মেই একদিন বিলুপ্ত হয়ে যায়, শেষ মোঘল সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফরের আমলে। সিপাহি বিদ্রোহের টান টান উত্তেজনার এই সময়টাতে একদিকে ব্রিটিশ বেনিয়াদের উৎপাত, অন্যদিকে স্বদেশি দোসররা মিলে মোগল সাম্রাজের শেষ পরিণতি কতটা নাটকীয়ভাবে করেছিল, তা নিয়ে আগ্রহ জমে আছে আমাদের অনেকের মনে। এইসব কৌতুহল মেটাতেই ‘ইতিহাসের কান্না’ পাঠকের কাছে। বইটির মূল লেখক খাজা হাসান নিজামি।
.
কাহিনির সারসংক্ষেপে যা বলা যায়, ১৮৫৭ সালের সিপাহি বিদ্রোহের পর শেষ মোগল সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফরকে নির্বাসন দেওয়া হলো রেঙ্গুন নামক এক জায়গায়। এমনকি মোঘল শাহজাদাদের অনেককে হত্যাও করা হয়। সেইসাথে রাজপরিবারের অন্য সদস্যরা লালকেল্লা ছেড়ে বেরিয়ে পড়েন অজানা পথে। তাদেরকে আশ্রয় দেওয়ার মতন তখন আর কেউ নেই। আশপাশে স্বদেশি দোসর আর পিছনে তাড়া করছে ইংরেজ সৈন্যরা। প্রতি পদক্ষেপে বিপদের হাতছানি। এরকমই এক ট্র্যাজিডিয়াস থ্রিলার সাসপেন্সের মধ্য দিয়ে শুরু ও শেষ মোঘল সাম্রাজ্যের ইতিহাসের।
.
প্রখ্যাত উর্দু সাহিত্যিক খাজা হাসান নিজামি জন্মেছিলেন দিল্লি শহরে, সেই মহাবিদ্রোহের কয়েক বছর পরেই। লেখকের শৈশব কাটে দিল্লির ক্ষমতাচ্যুত উৎপীড়িত তৈমুর বংশীয় শাহজাদাদের সঙ্গে, যারা লাল কেল্লার প্রাসাদ থেকে বিচ্যুত হয়ে নিজামুদ্দিন বস্তিতে জীবন কাটাচ্ছিলেন। যুগের চাকায় নিপিষ্ট, নিয়তির নির্মম পরিহাসে নিষ্পেপিত এ ভাগ্যাহতদের সান্নিধ্য তাকে ভীষণ আবেগাপ্লুত করে। তিনি তাদের অবস্থা দেখে অনেকগুলো বইও লেখেন। এসবের মধ্যে সর্বাপেক্ষা প্রসিদ্ধ গ্রন্থ হচ্ছে ‘বেগমাত কে আঁসু বা রাজমহিষীদের অশ্রুধারা’। বক্ষ্যমাণ গ্রন্থটি সে মূল বইয়েরই খণ্ডিত কিছু অংশ। বইটিতে উঠে এসেছে কুলসুম জামানি বেগম, গুলবানু, শাহজাদি, নারগিস নজর, মাহ জামালসহ অনেক ভাগ্যবিড়ম্বিত শাহজাদি ও রাজমহিষীদের গল্প। শেষে বাহাদুর শাহ জাফরের কবিতা-জীবন নিয়েও রয়েছে অন্যরকম এক ইতিহাসের বেদনা।
.
অনুবাদক এই বইটি সম্পর্কে বলেন—‘আবাল্য অনুসন্ধিৎসার টানেই হয়তো শত শত বছরের শাসন-ঐতিহ্য নিয়ে বেড়ে ওঠা শেষ মোঘল সম্রাট-পরিবারের উপর সিপাহি বিপ্লোবোত্তর কালে ইংরেজ শাসকদের অবর্ণনীয় অত্যাচার এবং এ পরিবারের সদস্যদের ভাগ্যবিপর্যয়ের উপর রচিত ঐতিহাসিক কিছু পুস্তক আমার সংগ্রহে আসে। একসময় বাংলাভাষী পাঠকদের জন্য এর কিছু অংশের ভাষান্তরও করা হয়। তারই একাংশ হচ্ছে 'ইতিহাসের কান্না।’
.
উবায়দুর রহমান নদভি একজন ইতিহাস-অনুসন্ধিৎসু মানুষ; তার আগ্রহের মূলে রয়েছে মুসলিমদের হারানো সময়ের সোনালি ইতিহাস। সে কারণে জীবনে যখন যেখানে গিয়েছেন, সবখানেই খুঁজেছেন মুসলিমদের শেকড় ও অস্তিত্বের ধ্বনি। তারই পথ ধরে তার দিল্লি ভ্রমণের সময় মোঘল সাম্রাজ্য নিয়ে বাস্তব অভিজ্ঞতা হয়। এরই হাত ধরে বিখ্যাত উর্দু গ্রন্থ ‘বেগমাত কে আঁসুর’ অনুবাদ ও সম্পাদনা করে পাঠকের হাতে তুলে দেন ‘ইতিহাসের কান্না’।
.
ইতিহাসপাঠে যাদের আগ্রহ রয়েছে তাদের জন্য এই বই জরুরি। মোঘল সাম্রাজ্যের শেষ দিনগুলিকে জানতে অসাধারণ এই বই সংগ্রহ রাখতে পারেন।
.
.লেখক—উবায়দুর রহমান খান নদভী
.প্রকাশক—রাহনুমা প্রকাশনী
পৃষ্ঠাসংখ্যা—৭৮
.
তিন শতাব্দীরও দীর্ঘ মহাপ্রতাপান্বিত মোঘল সাম্রাজ্য প্রকৃতির নিয়মেই একদিন বিলুপ্ত হয়ে যায়, শেষ মোঘল সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফরের আমলে। সিপাহি বিদ্রোহের টান টান উত্তেজনার এই সময়টাতে একদিকে ব্রিটিশ বেনিয়াদের উৎপাত, অন্যদিকে স্বদেশি দোসররা মিলে মোগল সাম্রাজের শেষ পরিণতি কতটা নাটকীয়ভাবে করেছিল, তা নিয়ে আগ্রহ জমে আছে আমাদের অনেকের মনে। এইসব কৌতুহল মেটাতেই ‘ইতিহাসের কান্না’ পাঠকের কাছে। বইটির মূল লেখক খাজা হাসান নিজামি।
.
কাহিনির সারসংক্ষেপে যা বলা যায়, ১৮৫৭ সালের সিপাহি বিদ্রোহের পর শেষ মোগল সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফরকে নির্বাসন দেওয়া হলো রেঙ্গুন নামক এক জায়গায়। এমনকি মোঘল শাহজাদাদের অনেককে হত্যাও করা হয়। সেইসাথে রাজপরিবারের অন্য সদস্যরা লালকেল্লা ছেড়ে বেরিয়ে পড়েন অজানা পথে। তাদেরকে আশ্রয় দেওয়ার মতন তখন আর কেউ নেই। আশপাশে স্বদেশি দোসর আর পিছনে তাড়া করছে ইংরেজ সৈন্যরা। প্রতি পদক্ষেপে বিপদের হাতছানি। এরকমই এক ট্র্যাজিডিয়াস থ্রিলার সাসপেন্সের মধ্য দিয়ে শুরু ও শেষ মোঘল সাম্রাজ্যের ইতিহাসের।
.
প্রখ্যাত উর্দু সাহিত্যিক খাজা হাসান নিজামি জন্মেছিলেন দিল্লি শহরে, সেই মহাবিদ্রোহের কয়েক বছর পরেই। লেখকের শৈশব কাটে দিল্লির ক্ষমতাচ্যুত উৎপীড়িত তৈমুর বংশীয় শাহজাদাদের সঙ্গে, যারা লাল কেল্লার প্রাসাদ থেকে বিচ্যুত হয়ে নিজামুদ্দিন বস্তিতে জীবন কাটাচ্ছিলেন। যুগের চাকায় নিপিষ্ট, নিয়তির নির্মম পরিহাসে নিষ্পেপিত এ ভাগ্যাহতদের সান্নিধ্য তাকে ভীষণ আবেগাপ্লুত করে। তিনি তাদের অবস্থা দেখে অনেকগুলো বইও লেখেন। এসবের মধ্যে সর্বাপেক্ষা প্রসিদ্ধ গ্রন্থ হচ্ছে ‘বেগমাত কে আঁসু বা রাজমহিষীদের অশ্রুধারা’। বক্ষ্যমাণ গ্রন্থটি সে মূল বইয়েরই খণ্ডিত কিছু অংশ। বইটিতে উঠে এসেছে কুলসুম জামানি বেগম, গুলবানু, শাহজাদি, নারগিস নজর, মাহ জামালসহ অনেক ভাগ্যবিড়ম্বিত শাহজাদি ও রাজমহিষীদের গল্প। শেষে বাহাদুর শাহ জাফরের কবিতা-জীবন নিয়েও রয়েছে অন্যরকম এক ইতিহাসের বেদনা।
.
অনুবাদক এই বইটি সম্পর্কে বলেন—‘আবাল্য অনুসন্ধিৎসার টানেই হয়তো শত শত বছরের শাসন-ঐতিহ্য নিয়ে বেড়ে ওঠা শেষ মোঘল সম্রাট-পরিবারের উপর সিপাহি বিপ্লোবোত্তর কালে ইংরেজ শাসকদের অবর্ণনীয় অত্যাচার এবং এ পরিবারের সদস্যদের ভাগ্যবিপর্যয়ের উপর রচিত ঐতিহাসিক কিছু পুস্তক আমার সংগ্রহে আসে। একসময় বাংলাভাষী পাঠকদের জন্য এর কিছু অংশের ভাষান্তরও করা হয়। তারই একাংশ হচ্ছে 'ইতিহাসের কান্না।’
.
উবায়দুর রহমান নদভি একজন ইতিহাস-অনুসন্ধিৎসু মানুষ; তার আগ্রহের মূলে রয়েছে মুসলিমদের হারানো সময়ের সোনালি ইতিহাস। সে কারণে জীবনে যখন যেখানে গিয়েছেন, সবখানেই খুঁজেছেন মুসলিমদের শেকড় ও অস্তিত্বের ধ্বনি। তারই পথ ধরে তার দিল্লি ভ্রমণের সময় মোঘল সাম্রাজ্য নিয়ে বাস্তব অভিজ্ঞতা হয়। এরই হাত ধরে বিখ্যাত উর্দু গ্রন্থ ‘বেগমাত কে আঁসুর’ অনুবাদ ও সম্পাদনা করে পাঠকের হাতে তুলে দেন ‘ইতিহাসের কান্না’।
.
ইতিহাসপাঠে যাদের আগ্রহ রয়েছে তাদের জন্য এই বই জরুরি। মোঘল সাম্রাজ্যের শেষ দিনগুলিকে জানতে অসাধারণ এই বই সংগ্রহ রাখতে পারেন।
.