হ্যাপী থেকে আমাতুল্লাহ
বই :হ্যাপী থেকে আমাতুল্লাহ সাক্ষাৎকার গ্রহণ: সাদিকা সুলতানা শাকিসম্পাদনা:আব্দুল্লাহ আল ফারুকঘরানার: দ্বীনে ফেরার কঠিনতম দিনগুলোপ্রচ্ছদ;হাশেম আলীনামলিপি:কাজী জুবাইর মাহমুদ ও আব্দুল্লাহ আল মামুনপ্রচ্ছদ ও নামকরণ~বইটি যেমন অসাধারণ, এককথায় বলতে গেলে বইয়ের প্রচ্ছদটি সাধারণ এর মধ্যেই অনন্য।(ব্যক্তিগত মতামত) তিনটি রং এর সম্বনয়ে বইটির প্রচ্ছদ সম্পন্ন করা হয়েছে। আর বইটির ঠিক মাঝামাঝিতে রয়েছে বড় বড় অক্ষরে "হ্যাপি থেকে আমাতুল্লাহ" বইটির নাম। তেমনি বইটির নামকরণ যেন সার্থক হয়েছে।✨ মূল বিষয় ~ একজন বেদ্বীনী মিডিয়ামুখী মেয়ের , আল্লাহর অশেষ রহমতে দ্বীনে ফেরার কঠিনতম দিন গুলো কিভাবে কেটেছে, কিভাবে সে কঠিনতম দিনগুলোকে টেক্কা দিয়েছে এবং দ্বীনকে কঠিন ভাবে আঁকড়ে ধরেছে তার ওই প্রতিফলন এই বই টি।✨ কাহিনীসংক্ষেপ ~আমাতুল্লাহ অর্থ আল্লাহর বান্দী। আমাদের অনেকেরই পরিচিত মুখ নাজনীন আক্তার হ্যাপি। বছরখানেক আগেও যিনি ছিলেন জনপ্রিয় নায়িকা। এমনকি যাকে নিয়ে রটেছিল নানা ধরনের ঘটনা। কিন্তু এই মানুষটাই হেদায়েতের আলোয় আলোকিত হয়ে নিজের জীবনকে এমন ভাবে বদলে দিয়েছেন যে যা ভাবনার ও বাহিরে।একসময়ের জনপ্রিয় অভিনেত্রী,মডেল নাজনীন আক্তার হ্যাপি তার এই নাম,যশ,খ্যাতির বিলাশবহুল জীবন কে তুচ্ছজ্ঞান করে কিভাবে তিনি প্রকৃত আলোয় জীবন রাঙালেন সেই কাহিনী নিয়েই বইটি লেখা।মূলত এটা একটি সাক্ষাৎকার মূলক বই।তার দ্বীনে ফেরার গল্প জানতেই সাক্ষাৎকার নিয়েছিলেন সাদিকা সুলতানা সাকি,সেটাই “হ্যাপি থেকে আমাতুল্লাহ” নামে বই আকারে প্রকাশ করা হয়েছে।এই বইটিতে দ্বীনের পথে ফিরতে তাকে কত কি যন্ত্রণা ও অত্যাচার সহ্য করতে হয়েছে নিজের পরিবারের থেকে এবং আরো কি কি ধরনের প্রতিকূলতা তার সামনে এসেছিল তার বর্ণনা খুব সুন্দর ভাবেই ফুটে উঠেছে এই বইটিতে।যে মুহূর্তে সে দ্বীনে ফেরার সিদ্ধান্তগুলো নিয়েছিল সেই মুহূর্তটা ছিল তার ক্যারিয়ারের রাইজিং টাইম। হাতে ছিল বারোটা সিনেমার অফার। তবুও সে সেগুলোকে কোন তুয়াক্কা না করে দ্বীনের পথে আসার জন্য মড়িয়া হয়ে উঠেছিল।এখানে আশ্চর্যের বিষয় কি জানেন?আমাতুল্লাহ কে কেউ দ্বীনের দাওয়াত দেয়নি,তিনি নিজেই নিজের রবকে খুঁজে নিয়েছেন।তার পরিবার ছিলো আর পাঁচটা সাধারণ মুসলিম পরিবারের মতই।নামাজ,রোজা বা ইসলামের অন্যান্য দিক মানার ব্যাপারে পরিবার থেকে সেভাবে জোর দেয়া হতো না।বিভিন্ন বিশেষ দিনগুলোতেই শুধু নামাজ আদায় করা হতো।পর্দার জন্যেও কোনোদিন তাকে কেউ কিছু বলেনি।আর যখন সেই দ্বীনের পথে আসা শুরু করলো তখনই তার পরিবার থেকে তাকে করা হলো নানা ধরনের নির্যাতন। তবুও তিনি তার দ্বীনকে এমন ভাবে আঁকড়ে ধরেছিলেন যে, কেউ তাকে তার দ্বীন থেকে সে অত্যাচার ধারা সরিয়ে নিতে পারেনি। সে মুহূর্তে তার বাড়ি যেন তার জন্য হয়ে উঠেছিল অসহনীয় নিপীড়নের জায়গা।এখানে কিছু কথা না বললেই নয়, বইটা এক কথায় বলতে গেলে, অসাধারণ একটি কার্যকরী বই। এমনও হতে পারে যে এটি আমাদের অনেক মেয়ের জন্য দ্বীনে ফেরার অনুপ্রেরণা হতে পারে। বইটির রিভিউ লিখতে গেলে বলতে হবে যে বইটির ২২ পেজ থেকে শুরু করে যেন শেষ অব্দি প্রতিটা পেজই অসাধারণ। আর রিভিউ লেখার ক্ষেত্রে প্রতিটা পেজের বর্ণনা ই যদি দিয়ে দেওয়া হয় তাহলে রিভিউ এর আর কিছুই রইল না। তবে এই বইটা পড়ার সময় আপনি কিছু কিছু জায়গায় হতভম্ব হয়ে যাবেন, কিছু কিছু জায়গায় হৃদয়ে মোচড় দিয়ে উঠবে, চোখ দিয়ে পানি পড়বে। ✨বইটি আপনি কেন পড়বেন(বিশেষ করে মেয়েদের জন্য)~যেহেতু বইটি একটি সাক্ষাৎকার মূলক বই। তাই সেই স্থান থেকে বলা যায় , সাক্ষাৎকার মূলক বই হলেও বইটি থেকে অনেক কিছু শেখার আছে আমাদের এই জামানার মেয়েদের জন্য। হয়তো এমনও হতে পারে এই বইটি আমাদের কারো না কারো হেদায়েতের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ইন শা আল্লাহ। কেননা আল্লাহ তায়ালা চাইলে ইন শা আল্লাহ একটি বইও আমাদের জীবনের মোড় সম্পূর্ণ ঘুড়িয়ে দিতে সক্ষম। বইটি যেই পড়বে সেই আশা করি মুগ্ধ হবে যদি দ্বীন বোঝার জ্ঞান তার থাকে।
An Najahah Shop
Category List
All products

বই :হ্যাপী থেকে আমাতুল্লাহ
সাক্ষাৎকার গ্রহণ: সাদিকা সুলতানা শাকি
সম্পাদনা:আব্দুল্লাহ আল ফারুক
ঘরানার: দ্বীনে ফেরার কঠিনতম দিনগুলো
প্রচ্ছদ;হাশেম আলী
নামলিপি:কাজী জুবাইর মাহমুদ ও আব্দুল্লাহ আল মামুন
প্রচ্ছদ ও নামকরণ~
বইটি যেমন অসাধারণ, এককথায় বলতে গেলে বইয়ের প্রচ্ছদটি সাধারণ এর মধ্যেই অনন্য।(ব্যক্তিগত মতামত) তিনটি রং এর সম্বনয়ে বইটির প্রচ্ছদ সম্পন্ন করা হয়েছে। আর বইটির ঠিক মাঝামাঝিতে রয়েছে বড় বড় অক্ষরে "হ্যাপি থেকে আমাতুল্লাহ" বইটির নাম। তেমনি বইটির নামকরণ যেন সার্থক হয়েছে।
✨ মূল বিষয় ~
একজন বেদ্বীনী মিডিয়ামুখী মেয়ের , আল্লাহর অশেষ রহমতে দ্বীনে ফেরার কঠিনতম দিন গুলো কিভাবে কেটেছে, কিভাবে সে কঠিনতম দিনগুলোকে টেক্কা দিয়েছে এবং দ্বীনকে কঠিন ভাবে আঁকড়ে ধরেছে তার ওই প্রতিফলন এই বই টি।
✨ কাহিনীসংক্ষেপ ~
আমাতুল্লাহ অর্থ আল্লাহর বান্দী।
আমাদের অনেকেরই পরিচিত মুখ নাজনীন আক্তার হ্যাপি। বছরখানেক আগেও যিনি ছিলেন জনপ্রিয় নায়িকা। এমনকি যাকে নিয়ে রটেছিল নানা ধরনের ঘটনা। কিন্তু এই মানুষটাই হেদায়েতের আলোয় আলোকিত হয়ে নিজের জীবনকে এমন ভাবে বদলে দিয়েছেন যে যা ভাবনার ও বাহিরে।একসময়ের জনপ্রিয় অভিনেত্রী,মডেল নাজনীন আক্তার হ্যাপি তার এই নাম,যশ,খ্যাতির বিলাশবহুল জীবন কে তুচ্ছজ্ঞান করে কিভাবে তিনি প্রকৃত আলোয় জীবন রাঙালেন সেই কাহিনী নিয়েই বইটি লেখা।মূলত এটা একটি সাক্ষাৎকার মূলক বই।তার দ্বীনে ফেরার গল্প জানতেই সাক্ষাৎকার নিয়েছিলেন সাদিকা সুলতানা সাকি,সেটাই “হ্যাপি থেকে আমাতুল্লাহ” নামে বই আকারে প্রকাশ করা হয়েছে।এই বইটিতে দ্বীনের পথে ফিরতে তাকে কত কি যন্ত্রণা ও অত্যাচার সহ্য করতে হয়েছে নিজের পরিবারের থেকে এবং আরো কি কি ধরনের প্রতিকূলতা তার সামনে এসেছিল তার বর্ণনা খুব সুন্দর ভাবেই ফুটে উঠেছে এই বইটিতে।
যে মুহূর্তে সে দ্বীনে ফেরার সিদ্ধান্তগুলো নিয়েছিল সেই মুহূর্তটা ছিল তার ক্যারিয়ারের রাইজিং টাইম। হাতে ছিল বারোটা সিনেমার অফার। তবুও সে সেগুলোকে কোন তুয়াক্কা না করে দ্বীনের পথে আসার জন্য মড়িয়া হয়ে উঠেছিল।এখানে আশ্চর্যের বিষয় কি জানেন?আমাতুল্লাহ কে কেউ দ্বীনের দাওয়াত দেয়নি,তিনি নিজেই নিজের রবকে খুঁজে নিয়েছেন।তার পরিবার ছিলো আর পাঁচটা সাধারণ মুসলিম পরিবারের মতই।নামাজ,রোজা বা ইসলামের অন্যান্য দিক মানার ব্যাপারে পরিবার থেকে সেভাবে জোর দেয়া হতো না।বিভিন্ন বিশেষ দিনগুলোতেই শুধু নামাজ আদায় করা হতো।পর্দার জন্যেও কোনোদিন তাকে কেউ কিছু বলেনি।আর যখন সেই দ্বীনের পথে আসা শুরু করলো তখনই তার পরিবার থেকে তাকে করা হলো নানা ধরনের নির্যাতন। তবুও তিনি তার দ্বীনকে এমন ভাবে আঁকড়ে ধরেছিলেন যে, কেউ তাকে তার দ্বীন থেকে সে অত্যাচার ধারা সরিয়ে নিতে পারেনি। সে মুহূর্তে তার বাড়ি যেন তার জন্য হয়ে উঠেছিল অসহনীয় নিপীড়নের জায়গা।
এখানে কিছু কথা না বললেই নয়, বইটা এক কথায় বলতে গেলে, অসাধারণ একটি কার্যকরী বই। এমনও হতে পারে যে এটি আমাদের অনেক মেয়ের জন্য দ্বীনে ফেরার অনুপ্রেরণা হতে পারে। বইটির রিভিউ লিখতে গেলে বলতে হবে যে বইটির ২২ পেজ থেকে শুরু করে যেন শেষ অব্দি প্রতিটা পেজই অসাধারণ। আর রিভিউ লেখার ক্ষেত্রে প্রতিটা পেজের বর্ণনা ই যদি দিয়ে দেওয়া হয় তাহলে রিভিউ এর আর কিছুই রইল না। তবে এই বইটা পড়ার সময় আপনি কিছু কিছু জায়গায় হতভম্ব হয়ে যাবেন, কিছু কিছু জায়গায় হৃদয়ে মোচড় দিয়ে উঠবে, চোখ দিয়ে পানি পড়বে।
✨বইটি আপনি কেন পড়বেন(বিশেষ করে মেয়েদের জন্য)~
যেহেতু বইটি একটি সাক্ষাৎকার মূলক বই। তাই সেই স্থান থেকে বলা যায় , সাক্ষাৎকার মূলক বই হলেও বইটি থেকে অনেক কিছু শেখার আছে আমাদের এই জামানার মেয়েদের জন্য। হয়তো এমনও হতে পারে এই বইটি আমাদের কারো না কারো হেদায়েতের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ইন শা আল্লাহ। কেননা আল্লাহ তায়ালা চাইলে ইন শা আল্লাহ একটি বইও আমাদের জীবনের মোড় সম্পূর্ণ ঘুড়িয়ে দিতে সক্ষম। বইটি যেই পড়বে সেই আশা করি মুগ্ধ হবে যদি দ্বীন বোঝার জ্ঞান তার থাকে।
সাক্ষাৎকার গ্রহণ: সাদিকা সুলতানা শাকি
সম্পাদনা:আব্দুল্লাহ আল ফারুক
ঘরানার: দ্বীনে ফেরার কঠিনতম দিনগুলো
প্রচ্ছদ;হাশেম আলী
নামলিপি:কাজী জুবাইর মাহমুদ ও আব্দুল্লাহ আল মামুন
প্রচ্ছদ ও নামকরণ~
বইটি যেমন অসাধারণ, এককথায় বলতে গেলে বইয়ের প্রচ্ছদটি সাধারণ এর মধ্যেই অনন্য।(ব্যক্তিগত মতামত) তিনটি রং এর সম্বনয়ে বইটির প্রচ্ছদ সম্পন্ন করা হয়েছে। আর বইটির ঠিক মাঝামাঝিতে রয়েছে বড় বড় অক্ষরে "হ্যাপি থেকে আমাতুল্লাহ" বইটির নাম। তেমনি বইটির নামকরণ যেন সার্থক হয়েছে।
✨ মূল বিষয় ~
একজন বেদ্বীনী মিডিয়ামুখী মেয়ের , আল্লাহর অশেষ রহমতে দ্বীনে ফেরার কঠিনতম দিন গুলো কিভাবে কেটেছে, কিভাবে সে কঠিনতম দিনগুলোকে টেক্কা দিয়েছে এবং দ্বীনকে কঠিন ভাবে আঁকড়ে ধরেছে তার ওই প্রতিফলন এই বই টি।
✨ কাহিনীসংক্ষেপ ~
আমাতুল্লাহ অর্থ আল্লাহর বান্দী।
আমাদের অনেকেরই পরিচিত মুখ নাজনীন আক্তার হ্যাপি। বছরখানেক আগেও যিনি ছিলেন জনপ্রিয় নায়িকা। এমনকি যাকে নিয়ে রটেছিল নানা ধরনের ঘটনা। কিন্তু এই মানুষটাই হেদায়েতের আলোয় আলোকিত হয়ে নিজের জীবনকে এমন ভাবে বদলে দিয়েছেন যে যা ভাবনার ও বাহিরে।একসময়ের জনপ্রিয় অভিনেত্রী,মডেল নাজনীন আক্তার হ্যাপি তার এই নাম,যশ,খ্যাতির বিলাশবহুল জীবন কে তুচ্ছজ্ঞান করে কিভাবে তিনি প্রকৃত আলোয় জীবন রাঙালেন সেই কাহিনী নিয়েই বইটি লেখা।মূলত এটা একটি সাক্ষাৎকার মূলক বই।তার দ্বীনে ফেরার গল্প জানতেই সাক্ষাৎকার নিয়েছিলেন সাদিকা সুলতানা সাকি,সেটাই “হ্যাপি থেকে আমাতুল্লাহ” নামে বই আকারে প্রকাশ করা হয়েছে।এই বইটিতে দ্বীনের পথে ফিরতে তাকে কত কি যন্ত্রণা ও অত্যাচার সহ্য করতে হয়েছে নিজের পরিবারের থেকে এবং আরো কি কি ধরনের প্রতিকূলতা তার সামনে এসেছিল তার বর্ণনা খুব সুন্দর ভাবেই ফুটে উঠেছে এই বইটিতে।
যে মুহূর্তে সে দ্বীনে ফেরার সিদ্ধান্তগুলো নিয়েছিল সেই মুহূর্তটা ছিল তার ক্যারিয়ারের রাইজিং টাইম। হাতে ছিল বারোটা সিনেমার অফার। তবুও সে সেগুলোকে কোন তুয়াক্কা না করে দ্বীনের পথে আসার জন্য মড়িয়া হয়ে উঠেছিল।এখানে আশ্চর্যের বিষয় কি জানেন?আমাতুল্লাহ কে কেউ দ্বীনের দাওয়াত দেয়নি,তিনি নিজেই নিজের রবকে খুঁজে নিয়েছেন।তার পরিবার ছিলো আর পাঁচটা সাধারণ মুসলিম পরিবারের মতই।নামাজ,রোজা বা ইসলামের অন্যান্য দিক মানার ব্যাপারে পরিবার থেকে সেভাবে জোর দেয়া হতো না।বিভিন্ন বিশেষ দিনগুলোতেই শুধু নামাজ আদায় করা হতো।পর্দার জন্যেও কোনোদিন তাকে কেউ কিছু বলেনি।আর যখন সেই দ্বীনের পথে আসা শুরু করলো তখনই তার পরিবার থেকে তাকে করা হলো নানা ধরনের নির্যাতন। তবুও তিনি তার দ্বীনকে এমন ভাবে আঁকড়ে ধরেছিলেন যে, কেউ তাকে তার দ্বীন থেকে সে অত্যাচার ধারা সরিয়ে নিতে পারেনি। সে মুহূর্তে তার বাড়ি যেন তার জন্য হয়ে উঠেছিল অসহনীয় নিপীড়নের জায়গা।
এখানে কিছু কথা না বললেই নয়, বইটা এক কথায় বলতে গেলে, অসাধারণ একটি কার্যকরী বই। এমনও হতে পারে যে এটি আমাদের অনেক মেয়ের জন্য দ্বীনে ফেরার অনুপ্রেরণা হতে পারে। বইটির রিভিউ লিখতে গেলে বলতে হবে যে বইটির ২২ পেজ থেকে শুরু করে যেন শেষ অব্দি প্রতিটা পেজই অসাধারণ। আর রিভিউ লেখার ক্ষেত্রে প্রতিটা পেজের বর্ণনা ই যদি দিয়ে দেওয়া হয় তাহলে রিভিউ এর আর কিছুই রইল না। তবে এই বইটা পড়ার সময় আপনি কিছু কিছু জায়গায় হতভম্ব হয়ে যাবেন, কিছু কিছু জায়গায় হৃদয়ে মোচড় দিয়ে উঠবে, চোখ দিয়ে পানি পড়বে।
✨বইটি আপনি কেন পড়বেন(বিশেষ করে মেয়েদের জন্য)~
যেহেতু বইটি একটি সাক্ষাৎকার মূলক বই। তাই সেই স্থান থেকে বলা যায় , সাক্ষাৎকার মূলক বই হলেও বইটি থেকে অনেক কিছু শেখার আছে আমাদের এই জামানার মেয়েদের জন্য। হয়তো এমনও হতে পারে এই বইটি আমাদের কারো না কারো হেদায়েতের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ইন শা আল্লাহ। কেননা আল্লাহ তায়ালা চাইলে ইন শা আল্লাহ একটি বইও আমাদের জীবনের মোড় সম্পূর্ণ ঘুড়িয়ে দিতে সক্ষম। বইটি যেই পড়বে সেই আশা করি মুগ্ধ হবে যদি দ্বীন বোঝার জ্ঞান তার থাকে।
হ্যাপী থেকে আমাতুল্লাহ
80 BDT160 BDTSave 80 BDT
1
বই :হ্যাপী থেকে আমাতুল্লাহ
সাক্ষাৎকার গ্রহণ: সাদিকা সুলতানা শাকি
সম্পাদনা:আব্দুল্লাহ আল ফারুক
ঘরানার: দ্বীনে ফেরার কঠিনতম দিনগুলো
প্রচ্ছদ;হাশেম আলী
নামলিপি:কাজী জুবাইর মাহমুদ ও আব্দুল্লাহ আল মামুন
প্রচ্ছদ ও নামকরণ~
বইটি যেমন অসাধারণ, এককথায় বলতে গেলে বইয়ের প্রচ্ছদটি সাধারণ এর মধ্যেই অনন্য।(ব্যক্তিগত মতামত) তিনটি রং এর সম্বনয়ে বইটির প্রচ্ছদ সম্পন্ন করা হয়েছে। আর বইটির ঠিক মাঝামাঝিতে রয়েছে বড় বড় অক্ষরে "হ্যাপি থেকে আমাতুল্লাহ" বইটির নাম। তেমনি বইটির নামকরণ যেন সার্থক হয়েছে।
✨ মূল বিষয় ~
একজন বেদ্বীনী মিডিয়ামুখী মেয়ের , আল্লাহর অশেষ রহমতে দ্বীনে ফেরার কঠিনতম দিন গুলো কিভাবে কেটেছে, কিভাবে সে কঠিনতম দিনগুলোকে টেক্কা দিয়েছে এবং দ্বীনকে কঠিন ভাবে আঁকড়ে ধরেছে তার ওই প্রতিফলন এই বই টি।
✨ কাহিনীসংক্ষেপ ~
আমাতুল্লাহ অর্থ আল্লাহর বান্দী।
আমাদের অনেকেরই পরিচিত মুখ নাজনীন আক্তার হ্যাপি। বছরখানেক আগেও যিনি ছিলেন জনপ্রিয় নায়িকা। এমনকি যাকে নিয়ে রটেছিল নানা ধরনের ঘটনা। কিন্তু এই মানুষটাই হেদায়েতের আলোয় আলোকিত হয়ে নিজের জীবনকে এমন ভাবে বদলে দিয়েছেন যে যা ভাবনার ও বাহিরে।একসময়ের জনপ্রিয় অভিনেত্রী,মডেল নাজনীন আক্তার হ্যাপি তার এই নাম,যশ,খ্যাতির বিলাশবহুল জীবন কে তুচ্ছজ্ঞান করে কিভাবে তিনি প্রকৃত আলোয় জীবন রাঙালেন সেই কাহিনী নিয়েই বইটি লেখা।মূলত এটা একটি সাক্ষাৎকার মূলক বই।তার দ্বীনে ফেরার গল্প জানতেই সাক্ষাৎকার নিয়েছিলেন সাদিকা সুলতানা সাকি,সেটাই “হ্যাপি থেকে আমাতুল্লাহ” নামে বই আকারে প্রকাশ করা হয়েছে।এই বইটিতে দ্বীনের পথে ফিরতে তাকে কত কি যন্ত্রণা ও অত্যাচার সহ্য করতে হয়েছে নিজের পরিবারের থেকে এবং আরো কি কি ধরনের প্রতিকূলতা তার সামনে এসেছিল তার বর্ণনা খুব সুন্দর ভাবেই ফুটে উঠেছে এই বইটিতে।
যে মুহূর্তে সে দ্বীনে ফেরার সিদ্ধান্তগুলো নিয়েছিল সেই মুহূর্তটা ছিল তার ক্যারিয়ারের রাইজিং টাইম। হাতে ছিল বারোটা সিনেমার অফার। তবুও সে সেগুলোকে কোন তুয়াক্কা না করে দ্বীনের পথে আসার জন্য মড়িয়া হয়ে উঠেছিল।এখানে আশ্চর্যের বিষয় কি জানেন?আমাতুল্লাহ কে কেউ দ্বীনের দাওয়াত দেয়নি,তিনি নিজেই নিজের রবকে খুঁজে নিয়েছেন।তার পরিবার ছিলো আর পাঁচটা সাধারণ মুসলিম পরিবারের মতই।নামাজ,রোজা বা ইসলামের অন্যান্য দিক মানার ব্যাপারে পরিবার থেকে সেভাবে জোর দেয়া হতো না।বিভিন্ন বিশেষ দিনগুলোতেই শুধু নামাজ আদায় করা হতো।পর্দার জন্যেও কোনোদিন তাকে কেউ কিছু বলেনি।আর যখন সেই দ্বীনের পথে আসা শুরু করলো তখনই তার পরিবার থেকে তাকে করা হলো নানা ধরনের নির্যাতন। তবুও তিনি তার দ্বীনকে এমন ভাবে আঁকড়ে ধরেছিলেন যে, কেউ তাকে তার দ্বীন থেকে সে অত্যাচার ধারা সরিয়ে নিতে পারেনি। সে মুহূর্তে তার বাড়ি যেন তার জন্য হয়ে উঠেছিল অসহনীয় নিপীড়নের জায়গা।
এখানে কিছু কথা না বললেই নয়, বইটা এক কথায় বলতে গেলে, অসাধারণ একটি কার্যকরী বই। এমনও হতে পারে যে এটি আমাদের অনেক মেয়ের জন্য দ্বীনে ফেরার অনুপ্রেরণা হতে পারে। বইটির রিভিউ লিখতে গেলে বলতে হবে যে বইটির ২২ পেজ থেকে শুরু করে যেন শেষ অব্দি প্রতিটা পেজই অসাধারণ। আর রিভিউ লেখার ক্ষেত্রে প্রতিটা পেজের বর্ণনা ই যদি দিয়ে দেওয়া হয় তাহলে রিভিউ এর আর কিছুই রইল না। তবে এই বইটা পড়ার সময় আপনি কিছু কিছু জায়গায় হতভম্ব হয়ে যাবেন, কিছু কিছু জায়গায় হৃদয়ে মোচড় দিয়ে উঠবে, চোখ দিয়ে পানি পড়বে।
✨বইটি আপনি কেন পড়বেন(বিশেষ করে মেয়েদের জন্য)~
যেহেতু বইটি একটি সাক্ষাৎকার মূলক বই। তাই সেই স্থান থেকে বলা যায় , সাক্ষাৎকার মূলক বই হলেও বইটি থেকে অনেক কিছু শেখার আছে আমাদের এই জামানার মেয়েদের জন্য। হয়তো এমনও হতে পারে এই বইটি আমাদের কারো না কারো হেদায়েতের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ইন শা আল্লাহ। কেননা আল্লাহ তায়ালা চাইলে ইন শা আল্লাহ একটি বইও আমাদের জীবনের মোড় সম্পূর্ণ ঘুড়িয়ে দিতে সক্ষম। বইটি যেই পড়বে সেই আশা করি মুগ্ধ হবে যদি দ্বীন বোঝার জ্ঞান তার থাকে।
সাক্ষাৎকার গ্রহণ: সাদিকা সুলতানা শাকি
সম্পাদনা:আব্দুল্লাহ আল ফারুক
ঘরানার: দ্বীনে ফেরার কঠিনতম দিনগুলো
প্রচ্ছদ;হাশেম আলী
নামলিপি:কাজী জুবাইর মাহমুদ ও আব্দুল্লাহ আল মামুন
প্রচ্ছদ ও নামকরণ~
বইটি যেমন অসাধারণ, এককথায় বলতে গেলে বইয়ের প্রচ্ছদটি সাধারণ এর মধ্যেই অনন্য।(ব্যক্তিগত মতামত) তিনটি রং এর সম্বনয়ে বইটির প্রচ্ছদ সম্পন্ন করা হয়েছে। আর বইটির ঠিক মাঝামাঝিতে রয়েছে বড় বড় অক্ষরে "হ্যাপি থেকে আমাতুল্লাহ" বইটির নাম। তেমনি বইটির নামকরণ যেন সার্থক হয়েছে।
✨ মূল বিষয় ~
একজন বেদ্বীনী মিডিয়ামুখী মেয়ের , আল্লাহর অশেষ রহমতে দ্বীনে ফেরার কঠিনতম দিন গুলো কিভাবে কেটেছে, কিভাবে সে কঠিনতম দিনগুলোকে টেক্কা দিয়েছে এবং দ্বীনকে কঠিন ভাবে আঁকড়ে ধরেছে তার ওই প্রতিফলন এই বই টি।
✨ কাহিনীসংক্ষেপ ~
আমাতুল্লাহ অর্থ আল্লাহর বান্দী।
আমাদের অনেকেরই পরিচিত মুখ নাজনীন আক্তার হ্যাপি। বছরখানেক আগেও যিনি ছিলেন জনপ্রিয় নায়িকা। এমনকি যাকে নিয়ে রটেছিল নানা ধরনের ঘটনা। কিন্তু এই মানুষটাই হেদায়েতের আলোয় আলোকিত হয়ে নিজের জীবনকে এমন ভাবে বদলে দিয়েছেন যে যা ভাবনার ও বাহিরে।একসময়ের জনপ্রিয় অভিনেত্রী,মডেল নাজনীন আক্তার হ্যাপি তার এই নাম,যশ,খ্যাতির বিলাশবহুল জীবন কে তুচ্ছজ্ঞান করে কিভাবে তিনি প্রকৃত আলোয় জীবন রাঙালেন সেই কাহিনী নিয়েই বইটি লেখা।মূলত এটা একটি সাক্ষাৎকার মূলক বই।তার দ্বীনে ফেরার গল্প জানতেই সাক্ষাৎকার নিয়েছিলেন সাদিকা সুলতানা সাকি,সেটাই “হ্যাপি থেকে আমাতুল্লাহ” নামে বই আকারে প্রকাশ করা হয়েছে।এই বইটিতে দ্বীনের পথে ফিরতে তাকে কত কি যন্ত্রণা ও অত্যাচার সহ্য করতে হয়েছে নিজের পরিবারের থেকে এবং আরো কি কি ধরনের প্রতিকূলতা তার সামনে এসেছিল তার বর্ণনা খুব সুন্দর ভাবেই ফুটে উঠেছে এই বইটিতে।
যে মুহূর্তে সে দ্বীনে ফেরার সিদ্ধান্তগুলো নিয়েছিল সেই মুহূর্তটা ছিল তার ক্যারিয়ারের রাইজিং টাইম। হাতে ছিল বারোটা সিনেমার অফার। তবুও সে সেগুলোকে কোন তুয়াক্কা না করে দ্বীনের পথে আসার জন্য মড়িয়া হয়ে উঠেছিল।এখানে আশ্চর্যের বিষয় কি জানেন?আমাতুল্লাহ কে কেউ দ্বীনের দাওয়াত দেয়নি,তিনি নিজেই নিজের রবকে খুঁজে নিয়েছেন।তার পরিবার ছিলো আর পাঁচটা সাধারণ মুসলিম পরিবারের মতই।নামাজ,রোজা বা ইসলামের অন্যান্য দিক মানার ব্যাপারে পরিবার থেকে সেভাবে জোর দেয়া হতো না।বিভিন্ন বিশেষ দিনগুলোতেই শুধু নামাজ আদায় করা হতো।পর্দার জন্যেও কোনোদিন তাকে কেউ কিছু বলেনি।আর যখন সেই দ্বীনের পথে আসা শুরু করলো তখনই তার পরিবার থেকে তাকে করা হলো নানা ধরনের নির্যাতন। তবুও তিনি তার দ্বীনকে এমন ভাবে আঁকড়ে ধরেছিলেন যে, কেউ তাকে তার দ্বীন থেকে সে অত্যাচার ধারা সরিয়ে নিতে পারেনি। সে মুহূর্তে তার বাড়ি যেন তার জন্য হয়ে উঠেছিল অসহনীয় নিপীড়নের জায়গা।
এখানে কিছু কথা না বললেই নয়, বইটা এক কথায় বলতে গেলে, অসাধারণ একটি কার্যকরী বই। এমনও হতে পারে যে এটি আমাদের অনেক মেয়ের জন্য দ্বীনে ফেরার অনুপ্রেরণা হতে পারে। বইটির রিভিউ লিখতে গেলে বলতে হবে যে বইটির ২২ পেজ থেকে শুরু করে যেন শেষ অব্দি প্রতিটা পেজই অসাধারণ। আর রিভিউ লেখার ক্ষেত্রে প্রতিটা পেজের বর্ণনা ই যদি দিয়ে দেওয়া হয় তাহলে রিভিউ এর আর কিছুই রইল না। তবে এই বইটা পড়ার সময় আপনি কিছু কিছু জায়গায় হতভম্ব হয়ে যাবেন, কিছু কিছু জায়গায় হৃদয়ে মোচড় দিয়ে উঠবে, চোখ দিয়ে পানি পড়বে।
✨বইটি আপনি কেন পড়বেন(বিশেষ করে মেয়েদের জন্য)~
যেহেতু বইটি একটি সাক্ষাৎকার মূলক বই। তাই সেই স্থান থেকে বলা যায় , সাক্ষাৎকার মূলক বই হলেও বইটি থেকে অনেক কিছু শেখার আছে আমাদের এই জামানার মেয়েদের জন্য। হয়তো এমনও হতে পারে এই বইটি আমাদের কারো না কারো হেদায়েতের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ইন শা আল্লাহ। কেননা আল্লাহ তায়ালা চাইলে ইন শা আল্লাহ একটি বইও আমাদের জীবনের মোড় সম্পূর্ণ ঘুড়িয়ে দিতে সক্ষম। বইটি যেই পড়বে সেই আশা করি মুগ্ধ হবে যদি দ্বীন বোঝার জ্ঞান তার থাকে।