ইসলামে দাস-দাসী ব্যবস্থা
ইসলামে দাস-দাসী ব্যবস্থালেখক : ডা. শামসুল আরেফীনপ্রকাশনী : মাকতাবাতুল আযহারবিষয় : ইসলামি বিধি-বিধান ও মাসআলা-মাসায়েলপৃষ্ঠা : 264, কভার : হার্ড কভার.অমুসলিম কিংবা প্রাচ্যবিদদের পক্ষ থেকে ইসলামের ওপর আঘাত করার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কিছু বিধানকে ফোকাস করা হয়। এরমধ্যে অন্যতম হলো দাসপ্রথা সম্পর্কে ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি। সুপ্রাচীনকাল থেকেই পৃথিবীতে নানাভাবে দাসপ্রথার প্রচলন চলে আসছে। প্রচলিত ছিল দাসপ্রথার বিভিন্ন উৎস। ইসলাম এসে একদিকে দাসপ্রথার একাধিক উৎস বন্ধ করেছে, অন্যদিকে মানবসভ্যতার নির্মম বাস্তবতা যুদ্ধকেন্দ্রিক মনস্তত্ত্বের বিবেচনায় এই প্রথাকে পরিপূর্ণরূপে বিলুপ্তও করেনি। তবে এই একটি উৎস থেকে প্রাপ্ত দাসদেরকে আখিরাতের মুক্তি ও সামাজিক জীবনের সম্মানের দিকে নিয়ে আসার জন্য দিয়েছে নজিরবিহীন পদ্ধতি।.কিন্তু অমুসলিমদের প্রশ্নবাণে আমাদের মধ্যে হীনম্মন্যতার শিকার কিছু মুসলিম এই ক্ষেত্রে প্রান্তিক একটি অবস্থান গ্রহণ করেন। তারা ইসলামকে গুড হিসেবে উপস্থাপন করতে গিয়ে দাসপ্রথাকেই রহিত করে দেন। যা একদিকে ইসলামের অরহিত এক বিধানকে পরিবর্তন করে দিচ্ছে, অন্যদিকে হিউম্যান সাইকোলজি ও যুদ্ধবাস্তবতায় দ্বীনে ইসলামের উপযোগিতা ও সফলতাকে অস্বীকার করছে। কারণ যুদ্ধপরবর্তী বাস্তবতায় ইসলামের সম্মানজনক দাস সিস্টেমের কোনো বিকল্প আজ পর্যন্ত কোনো সভ্যতা দিতে পারেনি। এমনকি জেনেভা কনভেনশনগুলোও পরাজিতদের ওপর যুদ্ধ পরবর্তীত সময়ে নেমে আসা বিপর্যয়ের সুষ্ঠু সমাধান দিতে পারেনি। মুহতারাম শামসুল আরেফীন শক্তি ভাই বিভিন্ন সভ্যতায় দাসপ্রথার নিষ্ঠুরতা, ইসলামে দাসপ্রথার মহানুভবতা এবং আধুনিক দাসপ্রথার স্বরূপ— এই তিনটি বিষয় বক্ষ্যমাণ বইটিতে মুনশিয়ানার সাথেই তুলে ধরেছেন। দাসপ্রথা নিয়ে অমুসলিমদের জবাবেই ক্ষান্ত থাকেননি, প্রশ্ন করেছেন তাদের সিস্টেম নিয়ে। আঘাত করেছেন পুঁজিবাদী ব্যবস্থার আধুনিক দাসপ্রথার কাঠামোতে।.আমাকে যদি এই বইয়ের অনন্য কিছু বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করতে বলা হয়, তবে আমি এর তিনটি বৈশিষ্ট্যের কথা তুলে ধরব।এক. বইটিতে পরাজিত মানসিকতায় প্রতিরক্ষামূলক অবস্থান গ্রহণের পরিবর্তে ইউরোপীয় দর্শনকে প্রশ্নবাণে আক্রমণ করা হয়েছে।দুই. শান্তি ও মানবতার দাবিদার পুঁজিবাদী বিশ্বের হর্তাকর্তাদের চাপিয়ে দেওয়া আধুনিক দাসপ্রথার নির্মম অথচ অনিন্দিত (যার নিন্দা করা হচ্ছে না) চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।তিন. মূল বিষয়বস্তুর সাথে কোনোভাবে প্রাসঙ্গিক, এমন বিষয়গুলোর অত্যন্ত তথ্যপূর্ণ আলোচনা এসেছে। উদাহরণস্বরূপ কনসেন্ট বা সম্মতির কথা বলা যায়। কনসেন্টের পশ্চিমা দর্শনের ওপর ভিত্তি করে চলছে যতসব লিবারেল যৌন অসভ্যতা। লেখক অত্যন্ত চমৎকারভাবে কনসেন্টের ধারণার অসম্পূর্ণতা ও ক্ষতিকে তুলে ধরেছেন। এমন আরও অনেক বিষয়েরই আলোচনা এসেছে যা পড়ার সময়ই পাঠক দেখতে পাবেন।.
An Najahah Shop
Category List
All products

ইসলামে দাস-দাসী ব্যবস্থা
লেখক : ডা. শামসুল আরেফীন
প্রকাশনী : মাকতাবাতুল আযহার
বিষয় : ইসলামি বিধি-বিধান ও মাসআলা-মাসায়েল
পৃষ্ঠা : 264, কভার : হার্ড কভার
.
অমুসলিম কিংবা প্রাচ্যবিদদের পক্ষ থেকে ইসলামের ওপর আঘাত করার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কিছু বিধানকে ফোকাস করা হয়। এরমধ্যে অন্যতম হলো দাসপ্রথা সম্পর্কে ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি। সুপ্রাচীনকাল থেকেই পৃথিবীতে নানাভাবে দাসপ্রথার প্রচলন চলে আসছে। প্রচলিত ছিল দাসপ্রথার বিভিন্ন উৎস। ইসলাম এসে একদিকে দাসপ্রথার একাধিক উৎস বন্ধ করেছে, অন্যদিকে মানবসভ্যতার নির্মম বাস্তবতা যুদ্ধকেন্দ্রিক মনস্তত্ত্বের বিবেচনায় এই প্রথাকে পরিপূর্ণরূপে বিলুপ্তও করেনি। তবে এই একটি উৎস থেকে প্রাপ্ত দাসদেরকে আখিরাতের মুক্তি ও সামাজিক জীবনের সম্মানের দিকে নিয়ে আসার জন্য দিয়েছে নজিরবিহীন পদ্ধতি।
.
কিন্তু অমুসলিমদের প্রশ্নবাণে আমাদের মধ্যে হীনম্মন্যতার শিকার কিছু মুসলিম এই ক্ষেত্রে প্রান্তিক একটি অবস্থান গ্রহণ করেন। তারা ইসলামকে গুড হিসেবে উপস্থাপন করতে গিয়ে দাসপ্রথাকেই রহিত করে দেন। যা একদিকে ইসলামের অরহিত এক বিধানকে পরিবর্তন করে দিচ্ছে, অন্যদিকে হিউম্যান সাইকোলজি ও যুদ্ধবাস্তবতায় দ্বীনে ইসলামের উপযোগিতা ও সফলতাকে অস্বীকার করছে। কারণ যুদ্ধপরবর্তী বাস্তবতায় ইসলামের সম্মানজনক দাস সিস্টেমের কোনো বিকল্প আজ পর্যন্ত কোনো সভ্যতা দিতে পারেনি। এমনকি জেনেভা কনভেনশনগুলোও পরাজিতদের ওপর যুদ্ধ পরবর্তীত সময়ে নেমে আসা বিপর্যয়ের সুষ্ঠু সমাধান দিতে পারেনি।
মুহতারাম শামসুল আরেফীন শক্তি ভাই বিভিন্ন সভ্যতায় দাসপ্রথার নিষ্ঠুরতা, ইসলামে দাসপ্রথার মহানুভবতা এবং আধুনিক দাসপ্রথার স্বরূপ— এই তিনটি বিষয় বক্ষ্যমাণ বইটিতে মুনশিয়ানার সাথেই তুলে ধরেছেন। দাসপ্রথা নিয়ে অমুসলিমদের জবাবেই ক্ষান্ত থাকেননি, প্রশ্ন করেছেন তাদের সিস্টেম নিয়ে। আঘাত করেছেন পুঁজিবাদী ব্যবস্থার আধুনিক দাসপ্রথার কাঠামোতে।
.
আমাকে যদি এই বইয়ের অনন্য কিছু বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করতে বলা হয়, তবে আমি এর তিনটি বৈশিষ্ট্যের কথা তুলে ধরব।
এক. বইটিতে পরাজিত মানসিকতায় প্রতিরক্ষামূলক অবস্থান গ্রহণের পরিবর্তে ইউরোপীয় দর্শনকে প্রশ্নবাণে আক্রমণ করা হয়েছে।
দুই. শান্তি ও মানবতার দাবিদার পুঁজিবাদী বিশ্বের হর্তাকর্তাদের চাপিয়ে দেওয়া আধুনিক দাসপ্রথার নির্মম অথচ অনিন্দিত (যার নিন্দা করা হচ্ছে না) চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।
তিন. মূল বিষয়বস্তুর সাথে কোনোভাবে প্রাসঙ্গিক, এমন বিষয়গুলোর অত্যন্ত তথ্যপূর্ণ আলোচনা এসেছে। উদাহরণস্বরূপ কনসেন্ট বা সম্মতির কথা বলা যায়। কনসেন্টের পশ্চিমা দর্শনের ওপর ভিত্তি করে চলছে যতসব লিবারেল যৌন অসভ্যতা। লেখক অত্যন্ত চমৎকারভাবে কনসেন্টের ধারণার অসম্পূর্ণতা ও ক্ষতিকে তুলে ধরেছেন। এমন আরও অনেক বিষয়েরই আলোচনা এসেছে যা পড়ার সময়ই পাঠক দেখতে পাবেন।
.
লেখক : ডা. শামসুল আরেফীন
প্রকাশনী : মাকতাবাতুল আযহার
বিষয় : ইসলামি বিধি-বিধান ও মাসআলা-মাসায়েল
পৃষ্ঠা : 264, কভার : হার্ড কভার
.
অমুসলিম কিংবা প্রাচ্যবিদদের পক্ষ থেকে ইসলামের ওপর আঘাত করার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কিছু বিধানকে ফোকাস করা হয়। এরমধ্যে অন্যতম হলো দাসপ্রথা সম্পর্কে ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি। সুপ্রাচীনকাল থেকেই পৃথিবীতে নানাভাবে দাসপ্রথার প্রচলন চলে আসছে। প্রচলিত ছিল দাসপ্রথার বিভিন্ন উৎস। ইসলাম এসে একদিকে দাসপ্রথার একাধিক উৎস বন্ধ করেছে, অন্যদিকে মানবসভ্যতার নির্মম বাস্তবতা যুদ্ধকেন্দ্রিক মনস্তত্ত্বের বিবেচনায় এই প্রথাকে পরিপূর্ণরূপে বিলুপ্তও করেনি। তবে এই একটি উৎস থেকে প্রাপ্ত দাসদেরকে আখিরাতের মুক্তি ও সামাজিক জীবনের সম্মানের দিকে নিয়ে আসার জন্য দিয়েছে নজিরবিহীন পদ্ধতি।
.
কিন্তু অমুসলিমদের প্রশ্নবাণে আমাদের মধ্যে হীনম্মন্যতার শিকার কিছু মুসলিম এই ক্ষেত্রে প্রান্তিক একটি অবস্থান গ্রহণ করেন। তারা ইসলামকে গুড হিসেবে উপস্থাপন করতে গিয়ে দাসপ্রথাকেই রহিত করে দেন। যা একদিকে ইসলামের অরহিত এক বিধানকে পরিবর্তন করে দিচ্ছে, অন্যদিকে হিউম্যান সাইকোলজি ও যুদ্ধবাস্তবতায় দ্বীনে ইসলামের উপযোগিতা ও সফলতাকে অস্বীকার করছে। কারণ যুদ্ধপরবর্তী বাস্তবতায় ইসলামের সম্মানজনক দাস সিস্টেমের কোনো বিকল্প আজ পর্যন্ত কোনো সভ্যতা দিতে পারেনি। এমনকি জেনেভা কনভেনশনগুলোও পরাজিতদের ওপর যুদ্ধ পরবর্তীত সময়ে নেমে আসা বিপর্যয়ের সুষ্ঠু সমাধান দিতে পারেনি।
মুহতারাম শামসুল আরেফীন শক্তি ভাই বিভিন্ন সভ্যতায় দাসপ্রথার নিষ্ঠুরতা, ইসলামে দাসপ্রথার মহানুভবতা এবং আধুনিক দাসপ্রথার স্বরূপ— এই তিনটি বিষয় বক্ষ্যমাণ বইটিতে মুনশিয়ানার সাথেই তুলে ধরেছেন। দাসপ্রথা নিয়ে অমুসলিমদের জবাবেই ক্ষান্ত থাকেননি, প্রশ্ন করেছেন তাদের সিস্টেম নিয়ে। আঘাত করেছেন পুঁজিবাদী ব্যবস্থার আধুনিক দাসপ্রথার কাঠামোতে।
.
আমাকে যদি এই বইয়ের অনন্য কিছু বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করতে বলা হয়, তবে আমি এর তিনটি বৈশিষ্ট্যের কথা তুলে ধরব।
এক. বইটিতে পরাজিত মানসিকতায় প্রতিরক্ষামূলক অবস্থান গ্রহণের পরিবর্তে ইউরোপীয় দর্শনকে প্রশ্নবাণে আক্রমণ করা হয়েছে।
দুই. শান্তি ও মানবতার দাবিদার পুঁজিবাদী বিশ্বের হর্তাকর্তাদের চাপিয়ে দেওয়া আধুনিক দাসপ্রথার নির্মম অথচ অনিন্দিত (যার নিন্দা করা হচ্ছে না) চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।
তিন. মূল বিষয়বস্তুর সাথে কোনোভাবে প্রাসঙ্গিক, এমন বিষয়গুলোর অত্যন্ত তথ্যপূর্ণ আলোচনা এসেছে। উদাহরণস্বরূপ কনসেন্ট বা সম্মতির কথা বলা যায়। কনসেন্টের পশ্চিমা দর্শনের ওপর ভিত্তি করে চলছে যতসব লিবারেল যৌন অসভ্যতা। লেখক অত্যন্ত চমৎকারভাবে কনসেন্টের ধারণার অসম্পূর্ণতা ও ক্ষতিকে তুলে ধরেছেন। এমন আরও অনেক বিষয়েরই আলোচনা এসেছে যা পড়ার সময়ই পাঠক দেখতে পাবেন।
.
ইসলামে দাস-দাসী ব্যবস্থা
240 BDT480 BDTSave 240 BDT
1
ইসলামে দাস-দাসী ব্যবস্থা
লেখক : ডা. শামসুল আরেফীন
প্রকাশনী : মাকতাবাতুল আযহার
বিষয় : ইসলামি বিধি-বিধান ও মাসআলা-মাসায়েল
পৃষ্ঠা : 264, কভার : হার্ড কভার
.
অমুসলিম কিংবা প্রাচ্যবিদদের পক্ষ থেকে ইসলামের ওপর আঘাত করার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কিছু বিধানকে ফোকাস করা হয়। এরমধ্যে অন্যতম হলো দাসপ্রথা সম্পর্কে ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি। সুপ্রাচীনকাল থেকেই পৃথিবীতে নানাভাবে দাসপ্রথার প্রচলন চলে আসছে। প্রচলিত ছিল দাসপ্রথার বিভিন্ন উৎস। ইসলাম এসে একদিকে দাসপ্রথার একাধিক উৎস বন্ধ করেছে, অন্যদিকে মানবসভ্যতার নির্মম বাস্তবতা যুদ্ধকেন্দ্রিক মনস্তত্ত্বের বিবেচনায় এই প্রথাকে পরিপূর্ণরূপে বিলুপ্তও করেনি। তবে এই একটি উৎস থেকে প্রাপ্ত দাসদেরকে আখিরাতের মুক্তি ও সামাজিক জীবনের সম্মানের দিকে নিয়ে আসার জন্য দিয়েছে নজিরবিহীন পদ্ধতি।
.
কিন্তু অমুসলিমদের প্রশ্নবাণে আমাদের মধ্যে হীনম্মন্যতার শিকার কিছু মুসলিম এই ক্ষেত্রে প্রান্তিক একটি অবস্থান গ্রহণ করেন। তারা ইসলামকে গুড হিসেবে উপস্থাপন করতে গিয়ে দাসপ্রথাকেই রহিত করে দেন। যা একদিকে ইসলামের অরহিত এক বিধানকে পরিবর্তন করে দিচ্ছে, অন্যদিকে হিউম্যান সাইকোলজি ও যুদ্ধবাস্তবতায় দ্বীনে ইসলামের উপযোগিতা ও সফলতাকে অস্বীকার করছে। কারণ যুদ্ধপরবর্তী বাস্তবতায় ইসলামের সম্মানজনক দাস সিস্টেমের কোনো বিকল্প আজ পর্যন্ত কোনো সভ্যতা দিতে পারেনি। এমনকি জেনেভা কনভেনশনগুলোও পরাজিতদের ওপর যুদ্ধ পরবর্তীত সময়ে নেমে আসা বিপর্যয়ের সুষ্ঠু সমাধান দিতে পারেনি।
মুহতারাম শামসুল আরেফীন শক্তি ভাই বিভিন্ন সভ্যতায় দাসপ্রথার নিষ্ঠুরতা, ইসলামে দাসপ্রথার মহানুভবতা এবং আধুনিক দাসপ্রথার স্বরূপ— এই তিনটি বিষয় বক্ষ্যমাণ বইটিতে মুনশিয়ানার সাথেই তুলে ধরেছেন। দাসপ্রথা নিয়ে অমুসলিমদের জবাবেই ক্ষান্ত থাকেননি, প্রশ্ন করেছেন তাদের সিস্টেম নিয়ে। আঘাত করেছেন পুঁজিবাদী ব্যবস্থার আধুনিক দাসপ্রথার কাঠামোতে।
.
আমাকে যদি এই বইয়ের অনন্য কিছু বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করতে বলা হয়, তবে আমি এর তিনটি বৈশিষ্ট্যের কথা তুলে ধরব।
এক. বইটিতে পরাজিত মানসিকতায় প্রতিরক্ষামূলক অবস্থান গ্রহণের পরিবর্তে ইউরোপীয় দর্শনকে প্রশ্নবাণে আক্রমণ করা হয়েছে।
দুই. শান্তি ও মানবতার দাবিদার পুঁজিবাদী বিশ্বের হর্তাকর্তাদের চাপিয়ে দেওয়া আধুনিক দাসপ্রথার নির্মম অথচ অনিন্দিত (যার নিন্দা করা হচ্ছে না) চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।
তিন. মূল বিষয়বস্তুর সাথে কোনোভাবে প্রাসঙ্গিক, এমন বিষয়গুলোর অত্যন্ত তথ্যপূর্ণ আলোচনা এসেছে। উদাহরণস্বরূপ কনসেন্ট বা সম্মতির কথা বলা যায়। কনসেন্টের পশ্চিমা দর্শনের ওপর ভিত্তি করে চলছে যতসব লিবারেল যৌন অসভ্যতা। লেখক অত্যন্ত চমৎকারভাবে কনসেন্টের ধারণার অসম্পূর্ণতা ও ক্ষতিকে তুলে ধরেছেন। এমন আরও অনেক বিষয়েরই আলোচনা এসেছে যা পড়ার সময়ই পাঠক দেখতে পাবেন।
.
লেখক : ডা. শামসুল আরেফীন
প্রকাশনী : মাকতাবাতুল আযহার
বিষয় : ইসলামি বিধি-বিধান ও মাসআলা-মাসায়েল
পৃষ্ঠা : 264, কভার : হার্ড কভার
.
অমুসলিম কিংবা প্রাচ্যবিদদের পক্ষ থেকে ইসলামের ওপর আঘাত করার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কিছু বিধানকে ফোকাস করা হয়। এরমধ্যে অন্যতম হলো দাসপ্রথা সম্পর্কে ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি। সুপ্রাচীনকাল থেকেই পৃথিবীতে নানাভাবে দাসপ্রথার প্রচলন চলে আসছে। প্রচলিত ছিল দাসপ্রথার বিভিন্ন উৎস। ইসলাম এসে একদিকে দাসপ্রথার একাধিক উৎস বন্ধ করেছে, অন্যদিকে মানবসভ্যতার নির্মম বাস্তবতা যুদ্ধকেন্দ্রিক মনস্তত্ত্বের বিবেচনায় এই প্রথাকে পরিপূর্ণরূপে বিলুপ্তও করেনি। তবে এই একটি উৎস থেকে প্রাপ্ত দাসদেরকে আখিরাতের মুক্তি ও সামাজিক জীবনের সম্মানের দিকে নিয়ে আসার জন্য দিয়েছে নজিরবিহীন পদ্ধতি।
.
কিন্তু অমুসলিমদের প্রশ্নবাণে আমাদের মধ্যে হীনম্মন্যতার শিকার কিছু মুসলিম এই ক্ষেত্রে প্রান্তিক একটি অবস্থান গ্রহণ করেন। তারা ইসলামকে গুড হিসেবে উপস্থাপন করতে গিয়ে দাসপ্রথাকেই রহিত করে দেন। যা একদিকে ইসলামের অরহিত এক বিধানকে পরিবর্তন করে দিচ্ছে, অন্যদিকে হিউম্যান সাইকোলজি ও যুদ্ধবাস্তবতায় দ্বীনে ইসলামের উপযোগিতা ও সফলতাকে অস্বীকার করছে। কারণ যুদ্ধপরবর্তী বাস্তবতায় ইসলামের সম্মানজনক দাস সিস্টেমের কোনো বিকল্প আজ পর্যন্ত কোনো সভ্যতা দিতে পারেনি। এমনকি জেনেভা কনভেনশনগুলোও পরাজিতদের ওপর যুদ্ধ পরবর্তীত সময়ে নেমে আসা বিপর্যয়ের সুষ্ঠু সমাধান দিতে পারেনি।
মুহতারাম শামসুল আরেফীন শক্তি ভাই বিভিন্ন সভ্যতায় দাসপ্রথার নিষ্ঠুরতা, ইসলামে দাসপ্রথার মহানুভবতা এবং আধুনিক দাসপ্রথার স্বরূপ— এই তিনটি বিষয় বক্ষ্যমাণ বইটিতে মুনশিয়ানার সাথেই তুলে ধরেছেন। দাসপ্রথা নিয়ে অমুসলিমদের জবাবেই ক্ষান্ত থাকেননি, প্রশ্ন করেছেন তাদের সিস্টেম নিয়ে। আঘাত করেছেন পুঁজিবাদী ব্যবস্থার আধুনিক দাসপ্রথার কাঠামোতে।
.
আমাকে যদি এই বইয়ের অনন্য কিছু বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করতে বলা হয়, তবে আমি এর তিনটি বৈশিষ্ট্যের কথা তুলে ধরব।
এক. বইটিতে পরাজিত মানসিকতায় প্রতিরক্ষামূলক অবস্থান গ্রহণের পরিবর্তে ইউরোপীয় দর্শনকে প্রশ্নবাণে আক্রমণ করা হয়েছে।
দুই. শান্তি ও মানবতার দাবিদার পুঁজিবাদী বিশ্বের হর্তাকর্তাদের চাপিয়ে দেওয়া আধুনিক দাসপ্রথার নির্মম অথচ অনিন্দিত (যার নিন্দা করা হচ্ছে না) চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।
তিন. মূল বিষয়বস্তুর সাথে কোনোভাবে প্রাসঙ্গিক, এমন বিষয়গুলোর অত্যন্ত তথ্যপূর্ণ আলোচনা এসেছে। উদাহরণস্বরূপ কনসেন্ট বা সম্মতির কথা বলা যায়। কনসেন্টের পশ্চিমা দর্শনের ওপর ভিত্তি করে চলছে যতসব লিবারেল যৌন অসভ্যতা। লেখক অত্যন্ত চমৎকারভাবে কনসেন্টের ধারণার অসম্পূর্ণতা ও ক্ষতিকে তুলে ধরেছেন। এমন আরও অনেক বিষয়েরই আলোচনা এসেছে যা পড়ার সময়ই পাঠক দেখতে পাবেন।
.