কষ্টিপাথর
বই: কষ্টিপাথরলেখক: ডা. শামসুল আরেফীনপ্রকাশনী: মাকতাবাতুল আযহারবাংলায় লোকমুখে প্রায়ই একটা প্রবাদ শোনা যায়- 'কষ্ঠিপাথরে যাচাই করা'। মূলত এর অর্থ ধরা হয়,পরীক্ষিত সত্য অথবা চলতি কথায় নিখাঁদ। পাঠকপ্রিয় তুমুল জনপ্রিয় লেখক,গবেষক ডা.শামসুল আরেফীন শক্তি তার 'কষ্ঠিপাথর' বইয়ে সুন্নাহকে সেই কষ্ঠিপাথরের ভূমিকায় দেখিয়েছেন। এবং বিজ্ঞানকে এই পাথরে ঘষে প্রমাণ করেছেন, প্রায় ১৫০০ বছর ধরে উম্মাহ ভক্তির মোড়কে যা পালন করেছে বিজ্ঞান আজকে তা যুক্তির মোড়কে অনুমোদন দিচ্ছে।অপরদিকে আজকে আধুনিক বস্তুবাদের যুগে, একদিকে ধার্মিককে বলা হচ্ছে ধর্মান্ধ,সুন্নাহকে গোড়ামি। আমাদের মধ্যে সুন্নাহর প্রতি অবহেলা বৃদ্ধি পাচ্ছে, বিপরীত দিকে বিজ্ঞানকে প্রভুর আসনে বসিয়ে দুনিয়া ও আখিরাতের অফুরন্ত কল্যাণ থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। পাশ্চাত্যে দর্শনের প্রভাবে জং ধরা মস্তিষ্ক ভুলে যাচ্ছে, আমাদের প্রিয়নবি মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নাহ অবশ্যই বিজ্ঞানের ঊর্ধ্বে। কারণ, একবিংশ শতাব্দীর সাম্রাজ্যেবাদীদের একচ্ছত্র তথাকথিত যুক্তিসম্মত বিজ্ঞান কখনও হয়ে উঠছে একচেটিয়া ব্যবসা কখনও বা থিওরির ভুল পর্যবেক্ষণ কখনো বা আমূল পরিবর্তন। কিন্তু সুন্নাহ সার্বজনীন, সুন্নাহ সকল কল্যাণের মাধ্যম। কেননা এর উৎস তো স্বয়ং আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'য়ালা,যিনি সকল জ্ঞান-বিজ্ঞানের স্রষ্ঠা। স্বয়ং আল্লাহ ইরশাদ করেছেন:'যে রাসূলের হুকুম মানলো,সে আল্লাহরই হুকুম পালন করল...' [ সূরা নিসা,৪:৮০] ✓•প্রথমত বইয়ের সূচিপত্রেই লেখক মুন্সিয়ানার পরিচয় দিয়েছেন। মজার মজার টাইটেল দিয়ে অধ্যায়গুলো ঢেলে সাজিয়েছেন। যা প্রথম দেখাতেই শুধু একজন বিজ্ঞানের পাঠককেই নয়,সর্বস্তরের সাধারণ পাঠককে বইয়ের শেষ পর্যন্ত চৌম্বকীয় মোহনীয় আবেশে ধরে রাখার ক্ষমতা রাখে।•প্রতিটি অধ্যায় জুড়ে সহজ সাবলীল গল্পাকার ঢঙে বিস্তর বৈজ্ঞানিক ফর্মূলা আলোচনা করার পর সুন্নাহকে দর্পণ বানিয়ে বিজ্ঞানকে প্রেজেন্ট করে দেখিয়ে দিয়েছেন দিনশেষে বিজ্ঞান নিজে রাজত্ব করতে নয় বরং সুন্নাহর সত্যতার সামনে মাথা নত করে।উদাহরণ হিসেবে কয়েকটা বিষয় উল্লেখ করা যেতে পারে। যেমন: সালাতের শারীরিক উপকারিতা, মিসওয়াক করা,ডান কাতে ঘুমানো,দাঁড়ি রাখা,টুপি পড়া, ঢিলাঢালা জামা পড়া,খাদ্যাভাসে পরিবর্তন, বাম পায়ে ভর করে ইস্তেঞ্জা করা,বাম পায়ে বাথরুমে প্রবেশ করা,সপ্তাহে দু'দিন রোজা রাখা, বদনজর,মহাকাশ বিষয়ক সহ আরও অনেক অনেক বিষয়ে বিজ্ঞানের অবাক করা রিসার্চ হুবহু হাদিসের সাথে মিলে যায়। যেগুলো স্বীকার করাতে বাধ্য করে, পৃথিবীর প্রতিটি মানবসন্তানের শ্রেষ্ঠ আইডল,রোল মডেল হলেন মুহাম্মাদ (সা:)। অথচ আমরা দিনশেষে ফতোয়া খুঁজি কিভাবে সুন্নাহ ছাড় দেওয়া যায়। সুন্নাহকে ভাগ করতে করতে ছোট সুন্নাহ,বড় সুন্নাহ,মুস্তাহাব প্রকারভেদে বিবেচনা করি! একইসাথে আবার নবীকে ভালোবাসার দাবী করি। অধম আশেক।লেখকের ভাষায়,ভালোবাসার জন্য ফতোয়া লাগে না,ফতোয়া লাগে বোঝা এড়াতে। চেগুয়েভারা,মেসি,রোনালদো,অভিনেতা, রাজনৈতিক নেতাদের হেয়ার কাট,ড্রেস,জার্সি, ব্যক্তিত্বের প্রতি তাদের ফ্যানরা যতটা ক্রেজি-আমার নবীর প্রতি কি আমি ততটা মুগ্ধ,ফ্যাসিনেটেড নই?আহ্, হালিমা তুমি তো এতিম নবীকে কোলে নিয়ে বর্তে গেলে।কামিয়াব হয়ে গেলে বারাকাহ এলো তোমার ঘরে। আমরা তো এতিম নবীকে জীবন থেকে তাড়াতে পারলে বাঁচি,তায়েফওয়ালাদের মত অপমানও করি নবীকে,সুন্নাতকে। আমরা তো দুনিয়াতেই 'সুখ' কি জিনিস চিনলাম না,সুখের অভিনয়কেই সুখে মনে করলাম সারাটা জীবন। আমাদের ঘরে তো রাজ্যের অশান্তি-হিংসা-ঝগড়া-রোগ-বিপদ, আমাদের জীবন তো দুর্বিষহ হয়ে গেল নবীকে ছাড়া। আমাদের তো দুনিয়ায়ও বারাকাহ হলো না,আখিরাতে না জানি কি আছে।আছেন কেউ নবীর উম্মত_?এতিম নবীকে নিজের শরীর, পরিবার,ব্যবসায় দোকানে, বিয়েশাদী, সামাজিক জীবনে, রাষ্ট্রীয় জীবনে জায়গা দিবেন? কোন আশেক আছেন শরীয়তের সব ছাড়,সব ডিসকাউন্ট রেখে এতিম নবীকে সাথে নিবেন,জায়েজের ওপর না বরং সুন্নাতের ওপর চলবেন? আছেন কোন হিম্মতওয়ালা পরিবার-সমাজ-আধুনিকতা-চাকরি সব বাঁধা ডিঙ্গিয়ে এসে এতিম নবীকে কোলে নিবেন? ২৪ ঘন্টা এতিম নবীকে সাথে সাথে চোখে চোখে রাখবেন কেউ কি নেই?✓পরিশেষে বলব অসংখ্য বৈজ্ঞানিক রিসার্চের তাত্ত্বিক বিশ্লেষণের ফলাফল সুন্নাহের দলিলে আত্মসমর্পণ করিয়ে,অতঃপর বিবেককে আঘাত করে লেখকের দরদমাখা আবেদনে প্রভাবিত হয়ে নবীপ্রেমের আদর্শ গ্রহণ করে সুন্নাহের আলোকে জীবন রাঙাতে বইটা আপনার জীবনে একটুকরো পথপ্রদর্শক হিসেবে আশা করি কাজে আসবে।
An Najahah Shop
Category List
All products

বই: কষ্টিপাথর
লেখক: ডা. শামসুল আরেফীন
প্রকাশনী: মাকতাবাতুল আযহার
বাংলায় লোকমুখে প্রায়ই একটা প্রবাদ শোনা যায়- 'কষ্ঠিপাথরে যাচাই করা'। মূলত এর অর্থ ধরা হয়,পরীক্ষিত সত্য অথবা চলতি কথায় নিখাঁদ। পাঠকপ্রিয় তুমুল জনপ্রিয় লেখক,গবেষক ডা.শামসুল আরেফীন শক্তি তার 'কষ্ঠিপাথর' বইয়ে সুন্নাহকে সেই কষ্ঠিপাথরের ভূমিকায় দেখিয়েছেন। এবং বিজ্ঞানকে এই পাথরে ঘষে প্রমাণ করেছেন, প্রায় ১৫০০ বছর ধরে উম্মাহ ভক্তির মোড়কে যা পালন করেছে বিজ্ঞান আজকে তা যুক্তির মোড়কে অনুমোদন দিচ্ছে।
অপরদিকে আজকে আধুনিক বস্তুবাদের যুগে, একদিকে ধার্মিককে বলা হচ্ছে ধর্মান্ধ,সুন্নাহকে গোড়ামি। আমাদের মধ্যে সুন্নাহর প্রতি অবহেলা বৃদ্ধি পাচ্ছে, বিপরীত দিকে বিজ্ঞানকে প্রভুর আসনে বসিয়ে দুনিয়া ও আখিরাতের অফুরন্ত কল্যাণ থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। পাশ্চাত্যে দর্শনের প্রভাবে জং ধরা মস্তিষ্ক ভুলে যাচ্ছে, আমাদের প্রিয়নবি মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নাহ অবশ্যই বিজ্ঞানের ঊর্ধ্বে। কারণ, একবিংশ শতাব্দীর সাম্রাজ্যেবাদীদের একচ্ছত্র তথাকথিত যুক্তিসম্মত বিজ্ঞান কখনও হয়ে উঠছে একচেটিয়া ব্যবসা কখনও বা থিওরির ভুল পর্যবেক্ষণ কখনো বা আমূল পরিবর্তন। কিন্তু সুন্নাহ সার্বজনীন, সুন্নাহ সকল কল্যাণের মাধ্যম। কেননা এর উৎস তো স্বয়ং আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'য়ালা,যিনি সকল জ্ঞান-বিজ্ঞানের স্রষ্ঠা। স্বয়ং আল্লাহ ইরশাদ করেছেন:
'যে রাসূলের হুকুম মানলো,সে আল্লাহরই হুকুম পালন করল...' [ সূরা নিসা,৪:৮০]
✓
•প্রথমত বইয়ের সূচিপত্রেই লেখক মুন্সিয়ানার পরিচয় দিয়েছেন। মজার মজার টাইটেল দিয়ে অধ্যায়গুলো ঢেলে সাজিয়েছেন। যা প্রথম দেখাতেই শুধু একজন বিজ্ঞানের পাঠককেই নয়,সর্বস্তরের সাধারণ পাঠককে বইয়ের শেষ পর্যন্ত চৌম্বকীয় মোহনীয় আবেশে ধরে রাখার ক্ষমতা রাখে।
•প্রতিটি অধ্যায় জুড়ে সহজ সাবলীল গল্পাকার ঢঙে বিস্তর বৈজ্ঞানিক ফর্মূলা আলোচনা করার পর সুন্নাহকে দর্পণ বানিয়ে বিজ্ঞানকে প্রেজেন্ট করে দেখিয়ে দিয়েছেন দিনশেষে বিজ্ঞান নিজে রাজত্ব করতে নয় বরং সুন্নাহর সত্যতার সামনে মাথা নত করে।
উদাহরণ হিসেবে কয়েকটা বিষয় উল্লেখ করা যেতে পারে। যেমন: সালাতের শারীরিক উপকারিতা, মিসওয়াক করা,ডান কাতে ঘুমানো,দাঁড়ি রাখা,টুপি পড়া, ঢিলাঢালা জামা পড়া,খাদ্যাভাসে পরিবর্তন, বাম পায়ে ভর করে ইস্তেঞ্জা করা,বাম পায়ে বাথরুমে প্রবেশ করা,সপ্তাহে দু'দিন রোজা রাখা, বদনজর,মহাকাশ বিষয়ক সহ আরও অনেক অনেক বিষয়ে বিজ্ঞানের অবাক করা রিসার্চ হুবহু হাদিসের সাথে মিলে যায়। যেগুলো স্বীকার করাতে বাধ্য করে, পৃথিবীর প্রতিটি মানবসন্তানের শ্রেষ্ঠ আইডল,রোল মডেল হলেন মুহাম্মাদ (সা:)। অথচ আমরা দিনশেষে ফতোয়া খুঁজি কিভাবে সুন্নাহ ছাড় দেওয়া যায়। সুন্নাহকে ভাগ করতে করতে ছোট সুন্নাহ,বড় সুন্নাহ,মুস্তাহাব প্রকারভেদে বিবেচনা করি! একইসাথে আবার নবীকে ভালোবাসার দাবী করি। অধম আশেক।
লেখকের ভাষায়,
ভালোবাসার জন্য ফতোয়া লাগে না,ফতোয়া লাগে বোঝা এড়াতে। চেগুয়েভারা,মেসি,রোনালদো,অভিনেতা, রাজনৈতিক নেতাদের হেয়ার কাট,ড্রেস,জার্সি, ব্যক্তিত্বের প্রতি তাদের ফ্যানরা যতটা ক্রেজি-আমার নবীর প্রতি কি আমি ততটা মুগ্ধ,ফ্যাসিনেটেড নই?
আহ্, হালিমা তুমি তো এতিম নবীকে কোলে নিয়ে বর্তে গেলে।কামিয়াব হয়ে গেলে বারাকাহ এলো তোমার ঘরে। আমরা তো এতিম নবীকে জীবন থেকে তাড়াতে পারলে বাঁচি,তায়েফওয়ালাদের মত অপমানও করি নবীকে,সুন্নাতকে। আমরা তো দুনিয়াতেই 'সুখ' কি জিনিস চিনলাম না,সুখের অভিনয়কেই সুখে মনে করলাম সারাটা জীবন। আমাদের ঘরে তো রাজ্যের অশান্তি-হিংসা-ঝগড়া-রোগ-বিপদ, আমাদের জীবন তো দুর্বিষহ হয়ে গেল নবীকে ছাড়া। আমাদের তো দুনিয়ায়ও বারাকাহ হলো না,আখিরাতে না জানি কি আছে।
আছেন কেউ নবীর উম্মত_?
এতিম নবীকে নিজের শরীর, পরিবার,ব্যবসায় দোকানে, বিয়েশাদী, সামাজিক জীবনে, রাষ্ট্রীয় জীবনে জায়গা দিবেন?
কোন আশেক আছেন শরীয়তের সব ছাড়,সব ডিসকাউন্ট রেখে এতিম নবীকে সাথে নিবেন,জায়েজের ওপর না বরং সুন্নাতের ওপর চলবেন?
আছেন কোন হিম্মতওয়ালা পরিবার-সমাজ-আধুনিকতা-চাকরি সব বাঁধা ডিঙ্গিয়ে এসে এতিম নবীকে কোলে নিবেন?
২৪ ঘন্টা এতিম নবীকে সাথে সাথে চোখে চোখে রাখবেন কেউ কি নেই?
✓
পরিশেষে বলব অসংখ্য বৈজ্ঞানিক রিসার্চের তাত্ত্বিক বিশ্লেষণের ফলাফল সুন্নাহের দলিলে আত্মসমর্পণ করিয়ে,অতঃপর বিবেককে আঘাত করে লেখকের দরদমাখা আবেদনে প্রভাবিত হয়ে নবীপ্রেমের আদর্শ গ্রহণ করে সুন্নাহের আলোকে জীবন রাঙাতে বইটা আপনার জীবনে একটুকরো পথপ্রদর্শক হিসেবে আশা করি কাজে আসবে।
কষ্টিপাথর
190 BDT240 BDTSave 50 BDT
1
বই: কষ্টিপাথর
লেখক: ডা. শামসুল আরেফীন
প্রকাশনী: মাকতাবাতুল আযহার
বাংলায় লোকমুখে প্রায়ই একটা প্রবাদ শোনা যায়- 'কষ্ঠিপাথরে যাচাই করা'। মূলত এর অর্থ ধরা হয়,পরীক্ষিত সত্য অথবা চলতি কথায় নিখাঁদ। পাঠকপ্রিয় তুমুল জনপ্রিয় লেখক,গবেষক ডা.শামসুল আরেফীন শক্তি তার 'কষ্ঠিপাথর' বইয়ে সুন্নাহকে সেই কষ্ঠিপাথরের ভূমিকায় দেখিয়েছেন। এবং বিজ্ঞানকে এই পাথরে ঘষে প্রমাণ করেছেন, প্রায় ১৫০০ বছর ধরে উম্মাহ ভক্তির মোড়কে যা পালন করেছে বিজ্ঞান আজকে তা যুক্তির মোড়কে অনুমোদন দিচ্ছে।
অপরদিকে আজকে আধুনিক বস্তুবাদের যুগে, একদিকে ধার্মিককে বলা হচ্ছে ধর্মান্ধ,সুন্নাহকে গোড়ামি। আমাদের মধ্যে সুন্নাহর প্রতি অবহেলা বৃদ্ধি পাচ্ছে, বিপরীত দিকে বিজ্ঞানকে প্রভুর আসনে বসিয়ে দুনিয়া ও আখিরাতের অফুরন্ত কল্যাণ থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। পাশ্চাত্যে দর্শনের প্রভাবে জং ধরা মস্তিষ্ক ভুলে যাচ্ছে, আমাদের প্রিয়নবি মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নাহ অবশ্যই বিজ্ঞানের ঊর্ধ্বে। কারণ, একবিংশ শতাব্দীর সাম্রাজ্যেবাদীদের একচ্ছত্র তথাকথিত যুক্তিসম্মত বিজ্ঞান কখনও হয়ে উঠছে একচেটিয়া ব্যবসা কখনও বা থিওরির ভুল পর্যবেক্ষণ কখনো বা আমূল পরিবর্তন। কিন্তু সুন্নাহ সার্বজনীন, সুন্নাহ সকল কল্যাণের মাধ্যম। কেননা এর উৎস তো স্বয়ং আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'য়ালা,যিনি সকল জ্ঞান-বিজ্ঞানের স্রষ্ঠা। স্বয়ং আল্লাহ ইরশাদ করেছেন:
'যে রাসূলের হুকুম মানলো,সে আল্লাহরই হুকুম পালন করল...' [ সূরা নিসা,৪:৮০]
✓
•প্রথমত বইয়ের সূচিপত্রেই লেখক মুন্সিয়ানার পরিচয় দিয়েছেন। মজার মজার টাইটেল দিয়ে অধ্যায়গুলো ঢেলে সাজিয়েছেন। যা প্রথম দেখাতেই শুধু একজন বিজ্ঞানের পাঠককেই নয়,সর্বস্তরের সাধারণ পাঠককে বইয়ের শেষ পর্যন্ত চৌম্বকীয় মোহনীয় আবেশে ধরে রাখার ক্ষমতা রাখে।
•প্রতিটি অধ্যায় জুড়ে সহজ সাবলীল গল্পাকার ঢঙে বিস্তর বৈজ্ঞানিক ফর্মূলা আলোচনা করার পর সুন্নাহকে দর্পণ বানিয়ে বিজ্ঞানকে প্রেজেন্ট করে দেখিয়ে দিয়েছেন দিনশেষে বিজ্ঞান নিজে রাজত্ব করতে নয় বরং সুন্নাহর সত্যতার সামনে মাথা নত করে।
উদাহরণ হিসেবে কয়েকটা বিষয় উল্লেখ করা যেতে পারে। যেমন: সালাতের শারীরিক উপকারিতা, মিসওয়াক করা,ডান কাতে ঘুমানো,দাঁড়ি রাখা,টুপি পড়া, ঢিলাঢালা জামা পড়া,খাদ্যাভাসে পরিবর্তন, বাম পায়ে ভর করে ইস্তেঞ্জা করা,বাম পায়ে বাথরুমে প্রবেশ করা,সপ্তাহে দু'দিন রোজা রাখা, বদনজর,মহাকাশ বিষয়ক সহ আরও অনেক অনেক বিষয়ে বিজ্ঞানের অবাক করা রিসার্চ হুবহু হাদিসের সাথে মিলে যায়। যেগুলো স্বীকার করাতে বাধ্য করে, পৃথিবীর প্রতিটি মানবসন্তানের শ্রেষ্ঠ আইডল,রোল মডেল হলেন মুহাম্মাদ (সা:)। অথচ আমরা দিনশেষে ফতোয়া খুঁজি কিভাবে সুন্নাহ ছাড় দেওয়া যায়। সুন্নাহকে ভাগ করতে করতে ছোট সুন্নাহ,বড় সুন্নাহ,মুস্তাহাব প্রকারভেদে বিবেচনা করি! একইসাথে আবার নবীকে ভালোবাসার দাবী করি। অধম আশেক।
লেখকের ভাষায়,
ভালোবাসার জন্য ফতোয়া লাগে না,ফতোয়া লাগে বোঝা এড়াতে। চেগুয়েভারা,মেসি,রোনালদো,অভিনেতা, রাজনৈতিক নেতাদের হেয়ার কাট,ড্রেস,জার্সি, ব্যক্তিত্বের প্রতি তাদের ফ্যানরা যতটা ক্রেজি-আমার নবীর প্রতি কি আমি ততটা মুগ্ধ,ফ্যাসিনেটেড নই?
আহ্, হালিমা তুমি তো এতিম নবীকে কোলে নিয়ে বর্তে গেলে।কামিয়াব হয়ে গেলে বারাকাহ এলো তোমার ঘরে। আমরা তো এতিম নবীকে জীবন থেকে তাড়াতে পারলে বাঁচি,তায়েফওয়ালাদের মত অপমানও করি নবীকে,সুন্নাতকে। আমরা তো দুনিয়াতেই 'সুখ' কি জিনিস চিনলাম না,সুখের অভিনয়কেই সুখে মনে করলাম সারাটা জীবন। আমাদের ঘরে তো রাজ্যের অশান্তি-হিংসা-ঝগড়া-রোগ-বিপদ, আমাদের জীবন তো দুর্বিষহ হয়ে গেল নবীকে ছাড়া। আমাদের তো দুনিয়ায়ও বারাকাহ হলো না,আখিরাতে না জানি কি আছে।
আছেন কেউ নবীর উম্মত_?
এতিম নবীকে নিজের শরীর, পরিবার,ব্যবসায় দোকানে, বিয়েশাদী, সামাজিক জীবনে, রাষ্ট্রীয় জীবনে জায়গা দিবেন?
কোন আশেক আছেন শরীয়তের সব ছাড়,সব ডিসকাউন্ট রেখে এতিম নবীকে সাথে নিবেন,জায়েজের ওপর না বরং সুন্নাতের ওপর চলবেন?
আছেন কোন হিম্মতওয়ালা পরিবার-সমাজ-আধুনিকতা-চাকরি সব বাঁধা ডিঙ্গিয়ে এসে এতিম নবীকে কোলে নিবেন?
২৪ ঘন্টা এতিম নবীকে সাথে সাথে চোখে চোখে রাখবেন কেউ কি নেই?
✓
পরিশেষে বলব অসংখ্য বৈজ্ঞানিক রিসার্চের তাত্ত্বিক বিশ্লেষণের ফলাফল সুন্নাহের দলিলে আত্মসমর্পণ করিয়ে,অতঃপর বিবেককে আঘাত করে লেখকের দরদমাখা আবেদনে প্রভাবিত হয়ে নবীপ্রেমের আদর্শ গ্রহণ করে সুন্নাহের আলোকে জীবন রাঙাতে বইটা আপনার জীবনে একটুকরো পথপ্রদর্শক হিসেবে আশা করি কাজে আসবে।