অমুসলিমদের সাথে যেমন ছিলেন রাসূল সা:
নবী সম্পর্কে ধারনা আছে এমন ব্যক্তি মাত্রই বুঝবেন আল্লাহর রাসুল বেড়ে উঠেছেন মুশরিক-কাফির ঘেরা অঞ্চলে। নবুয়ত প্রাপ্তির জীবনের পুরো সময়টাতেই ছিলেন ভিন্ন ধর্মাবলম্বী ও ঘোরতর শত্রুদের সাথে! তবুও তিঁনি ছিলেন সকলের কাছে দয়ালু গ্রহনীয় মান্যবর ব্যক্তিত্বের অধিকারী।যারা আল্লাহর নবীর প্রাণনাশের সিদ্ধান্তে অটল ছিল এবং চেষ্টাতে কোন ত্রুটিই রাখেনি পাশাপাশি সর্বাত্মক ভাবে চেয়েছিলো দুনিয়া থেকে ইসলাম ও মুহাম্মাদ নাম স্বমূলে মুছে দিতে তারাই আবার সময়ের পরিক্রমায় নবীজির ক্ষমা ও দয়া নামক বৃক্ষদ্বয়ের ছায়াতলে ইসলামের স্বাদ নিয়ে দিনশেষে বীরদর্পে প্রাণপণে দাপিয়ে বেড়িয়েছে সর্বত্র।ভিন্নধর্মী কিংবা ভিন্নমতাবলম্বীদের সাথে বিচার সালিশে কিংবা অধিকার বুঝিয়ে দিতে ন্যায়পরায়ণতা, লেন-দেনের স্বচ্ছতা সহ সার্বিক ভাবে অধিকার নিশ্চিতে তিঁনি বিশ্বের রাষ্ট্র নায়কদের উৎকৃষ্ট আদর্শ। ঘোরতর দেশদ্রোহী, চরম শত্রু-ভাবাপন্নতা কিংবা মাতৃদেশ থেকে যারা উচ্ছেদ করে দিয়েছিলো, রনাঙ্গণে আপন চাচার কলিজা চিবিয়ে খেয়েছিলো, সাথীদেরকে হত্যা করেছিলো, অগনিত চুক্তি ভঙ্গ করেছিলো, পাথর কিংবা বর্ষা মেরে রক্তাক্ত করেছিলো মক্কা-মদীনার পথে প্রান্তরে, কপটতা ভন্ডামি করেছিলো যুদ্ধের ময়দানে এতো পরিমান অভিযোগ থাকার পরেও তাদেরকেও তিঁনি শান্তির পতাকাতলে স্বাগত জানিয়ে নিমিষেই ভালোবাসার চাঁদরে ঢেকে নিয়েছেন, আগলে রেখেছেন বুকের কোনে যেন পূর্বে কিছুই হয় নি! তিঁনিই ছিলেন আমাদের প্রাণের নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যিঁনি হতে পারেন একমাত্র আদর্শ রাষ্ট্রনায়ক, যার ভিতরে ছিলোনা কোন ছলনা কিংবা কূটকৌশল, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে পূর্বের শত্রুতাকে বন্ধুত্বে রুপ দিয়ে জান্নাতের পথে হেটে যাওয়াই ছিলো যার মূখ্য উদ্দেশ্য, বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠায় নববী আদর্শের বিকল্প কিছুই নেই যা আমাদের চারিদিকের রাষ্ট্রের দিকে তাকালেই বুঝতে পারব যে, সাধারন কোন রাষ্ট্রনায়কের পক্ষে এতোসব কঠিন পরিস্থিতি সত্ত্বেও নরম দিলে ভালোবেসে শক্রকে মেনে নেয়া সম্ভব নয়! নবী কি শুধু মুসলিমদের জন্য? না, এ ব্যাপারে আল্লাহ তায়ালা কুরআনে বলেন তিঁনি নবীকে পাঠিয়েছেন বিশ্ববাসীর জন্য রহমত স্বরুপ! আল্লাহ তায়ালা নবীকে শুধুমাত্র মুসলিম-মুমিনদের জন্য নির্ধারিত করেন নি বরং বিশ্ববাসীর প্রতি পাঠিয়েছেন পথ নির্দেশক হিশেবে যা প্রমাণ করে আল্লাহ তায়ালার নবী উত্তম আখলাকের মাধ্যমেই বিশ্ববাসীর হৃদয় জয় করে নিয়েছেন যা ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লিখিত রয়েছে।পরিশেষে বলতে চাই একজন মুসলিম দাঈ কিংবা সাধারন ব্যক্তি হিশেবে আমাদের নবীজি অন্য ধর্মাবলম্বী বা মতাবলম্বীদের সাথে কিভাবে আচার-আচরণ করেছেন তা বিস্তারিত জানা আবশ্যিক। অনেক ক্ষেত্রেই আমরা বাড়াবাড়ি কিংবা ছাড়াছাড়ি করে ফেলি যা নিঃসন্দেহে অতিরঞ্জন। এরই প্রেক্ষিতে ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের সাথে আমাদের আখলাক-চরিত্র কেমন হবে সে ব্যাপারে বিস্তৃত ধারনা থাকা আবশ্যিক। এই ক্ষেত্রে পথিক প্রকাশন থেকে প্রকাশিত ড. রাগেব সারজানির 'অমুসলিমদের সাথে যেমন ছিলেন রাসূল" নামক বইটি হতে পারে আপনার আবশ্যিক পাঠ্য বই। ভিন্নধর্মী ভাই-বোনেরাও ইসলামের দৃষ্টিকোন জানতে পড়তে পারেন এই বইটি। (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
An Najahah Shop
Category List
All products

নবী সম্পর্কে ধারনা আছে এমন ব্যক্তি মাত্রই বুঝবেন আল্লাহর রাসুল বেড়ে উঠেছেন মুশরিক-কাফির ঘেরা অঞ্চলে। নবুয়ত প্রাপ্তির জীবনের পুরো সময়টাতেই ছিলেন ভিন্ন ধর্মাবলম্বী ও ঘোরতর শত্রুদের সাথে! তবুও তিঁনি ছিলেন সকলের কাছে দয়ালু গ্রহনীয় মান্যবর ব্যক্তিত্বের অধিকারী।
যারা আল্লাহর নবীর প্রাণনাশের সিদ্ধান্তে অটল ছিল এবং চেষ্টাতে কোন ত্রুটিই রাখেনি পাশাপাশি সর্বাত্মক ভাবে চেয়েছিলো দুনিয়া থেকে ইসলাম ও মুহাম্মাদ নাম স্বমূলে মুছে দিতে তারাই আবার সময়ের পরিক্রমায় নবীজির ক্ষমা ও দয়া নামক বৃক্ষদ্বয়ের ছায়াতলে ইসলামের স্বাদ নিয়ে দিনশেষে বীরদর্পে প্রাণপণে দাপিয়ে বেড়িয়েছে সর্বত্র।
ভিন্নধর্মী কিংবা ভিন্নমতাবলম্বীদের সাথে বিচার সালিশে কিংবা অধিকার বুঝিয়ে দিতে ন্যায়পরায়ণতা, লেন-দেনের স্বচ্ছতা সহ সার্বিক ভাবে অধিকার নিশ্চিতে তিঁনি বিশ্বের রাষ্ট্র নায়কদের উৎকৃষ্ট আদর্শ।
ঘোরতর দেশদ্রোহী, চরম শত্রু-ভাবাপন্নতা কিংবা মাতৃদেশ থেকে যারা উচ্ছেদ করে দিয়েছিলো, রনাঙ্গণে আপন চাচার কলিজা চিবিয়ে খেয়েছিলো, সাথীদেরকে হত্যা করেছিলো, অগনিত চুক্তি ভঙ্গ করেছিলো, পাথর কিংবা বর্ষা মেরে রক্তাক্ত করেছিলো মক্কা-মদীনার পথে প্রান্তরে, কপটতা ভন্ডামি করেছিলো যুদ্ধের ময়দানে এতো পরিমান অভিযোগ থাকার পরেও তাদেরকেও তিঁনি শান্তির পতাকাতলে স্বাগত জানিয়ে নিমিষেই ভালোবাসার চাঁদরে ঢেকে নিয়েছেন, আগলে রেখেছেন বুকের কোনে যেন পূর্বে কিছুই হয় নি!
তিঁনিই ছিলেন আমাদের প্রাণের নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যিঁনি হতে পারেন একমাত্র আদর্শ রাষ্ট্রনায়ক, যার ভিতরে ছিলোনা কোন ছলনা কিংবা কূটকৌশল, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে পূর্বের শত্রুতাকে বন্ধুত্বে রুপ দিয়ে জান্নাতের পথে হেটে যাওয়াই ছিলো যার মূখ্য উদ্দেশ্য, বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠায় নববী আদর্শের বিকল্প কিছুই নেই যা আমাদের চারিদিকের রাষ্ট্রের দিকে তাকালেই বুঝতে পারব যে, সাধারন কোন রাষ্ট্রনায়কের পক্ষে এতোসব কঠিন পরিস্থিতি সত্ত্বেও নরম দিলে ভালোবেসে শক্রকে মেনে নেয়া সম্ভব নয়!
নবী কি শুধু মুসলিমদের জন্য? না, এ ব্যাপারে আল্লাহ তায়ালা কুরআনে বলেন তিঁনি নবীকে পাঠিয়েছেন বিশ্ববাসীর জন্য রহমত স্বরুপ! আল্লাহ তায়ালা নবীকে শুধুমাত্র মুসলিম-মুমিনদের জন্য নির্ধারিত করেন নি বরং বিশ্ববাসীর প্রতি পাঠিয়েছেন পথ নির্দেশক হিশেবে যা প্রমাণ করে আল্লাহ তায়ালার নবী উত্তম আখলাকের মাধ্যমেই বিশ্ববাসীর হৃদয় জয় করে নিয়েছেন যা ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লিখিত রয়েছে।
পরিশেষে বলতে চাই একজন মুসলিম দাঈ কিংবা সাধারন ব্যক্তি হিশেবে আমাদের নবীজি অন্য ধর্মাবলম্বী বা মতাবলম্বীদের সাথে কিভাবে আচার-আচরণ করেছেন তা বিস্তারিত জানা আবশ্যিক। অনেক ক্ষেত্রেই আমরা বাড়াবাড়ি কিংবা ছাড়াছাড়ি করে ফেলি যা নিঃসন্দেহে অতিরঞ্জন। এরই প্রেক্ষিতে ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের সাথে আমাদের আখলাক-চরিত্র কেমন হবে সে ব্যাপারে বিস্তৃত ধারনা থাকা আবশ্যিক। এই ক্ষেত্রে পথিক প্রকাশন থেকে প্রকাশিত ড. রাগেব সারজানির 'অমুসলিমদের সাথে যেমন ছিলেন রাসূল" নামক বইটি হতে পারে আপনার আবশ্যিক পাঠ্য বই। ভিন্নধর্মী ভাই-বোনেরাও ইসলামের দৃষ্টিকোন জানতে পড়তে পারেন এই বইটি।
(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
যারা আল্লাহর নবীর প্রাণনাশের সিদ্ধান্তে অটল ছিল এবং চেষ্টাতে কোন ত্রুটিই রাখেনি পাশাপাশি সর্বাত্মক ভাবে চেয়েছিলো দুনিয়া থেকে ইসলাম ও মুহাম্মাদ নাম স্বমূলে মুছে দিতে তারাই আবার সময়ের পরিক্রমায় নবীজির ক্ষমা ও দয়া নামক বৃক্ষদ্বয়ের ছায়াতলে ইসলামের স্বাদ নিয়ে দিনশেষে বীরদর্পে প্রাণপণে দাপিয়ে বেড়িয়েছে সর্বত্র।
ভিন্নধর্মী কিংবা ভিন্নমতাবলম্বীদের সাথে বিচার সালিশে কিংবা অধিকার বুঝিয়ে দিতে ন্যায়পরায়ণতা, লেন-দেনের স্বচ্ছতা সহ সার্বিক ভাবে অধিকার নিশ্চিতে তিঁনি বিশ্বের রাষ্ট্র নায়কদের উৎকৃষ্ট আদর্শ।
ঘোরতর দেশদ্রোহী, চরম শত্রু-ভাবাপন্নতা কিংবা মাতৃদেশ থেকে যারা উচ্ছেদ করে দিয়েছিলো, রনাঙ্গণে আপন চাচার কলিজা চিবিয়ে খেয়েছিলো, সাথীদেরকে হত্যা করেছিলো, অগনিত চুক্তি ভঙ্গ করেছিলো, পাথর কিংবা বর্ষা মেরে রক্তাক্ত করেছিলো মক্কা-মদীনার পথে প্রান্তরে, কপটতা ভন্ডামি করেছিলো যুদ্ধের ময়দানে এতো পরিমান অভিযোগ থাকার পরেও তাদেরকেও তিঁনি শান্তির পতাকাতলে স্বাগত জানিয়ে নিমিষেই ভালোবাসার চাঁদরে ঢেকে নিয়েছেন, আগলে রেখেছেন বুকের কোনে যেন পূর্বে কিছুই হয় নি!
তিঁনিই ছিলেন আমাদের প্রাণের নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যিঁনি হতে পারেন একমাত্র আদর্শ রাষ্ট্রনায়ক, যার ভিতরে ছিলোনা কোন ছলনা কিংবা কূটকৌশল, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে পূর্বের শত্রুতাকে বন্ধুত্বে রুপ দিয়ে জান্নাতের পথে হেটে যাওয়াই ছিলো যার মূখ্য উদ্দেশ্য, বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠায় নববী আদর্শের বিকল্প কিছুই নেই যা আমাদের চারিদিকের রাষ্ট্রের দিকে তাকালেই বুঝতে পারব যে, সাধারন কোন রাষ্ট্রনায়কের পক্ষে এতোসব কঠিন পরিস্থিতি সত্ত্বেও নরম দিলে ভালোবেসে শক্রকে মেনে নেয়া সম্ভব নয়!
নবী কি শুধু মুসলিমদের জন্য? না, এ ব্যাপারে আল্লাহ তায়ালা কুরআনে বলেন তিঁনি নবীকে পাঠিয়েছেন বিশ্ববাসীর জন্য রহমত স্বরুপ! আল্লাহ তায়ালা নবীকে শুধুমাত্র মুসলিম-মুমিনদের জন্য নির্ধারিত করেন নি বরং বিশ্ববাসীর প্রতি পাঠিয়েছেন পথ নির্দেশক হিশেবে যা প্রমাণ করে আল্লাহ তায়ালার নবী উত্তম আখলাকের মাধ্যমেই বিশ্ববাসীর হৃদয় জয় করে নিয়েছেন যা ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লিখিত রয়েছে।
পরিশেষে বলতে চাই একজন মুসলিম দাঈ কিংবা সাধারন ব্যক্তি হিশেবে আমাদের নবীজি অন্য ধর্মাবলম্বী বা মতাবলম্বীদের সাথে কিভাবে আচার-আচরণ করেছেন তা বিস্তারিত জানা আবশ্যিক। অনেক ক্ষেত্রেই আমরা বাড়াবাড়ি কিংবা ছাড়াছাড়ি করে ফেলি যা নিঃসন্দেহে অতিরঞ্জন। এরই প্রেক্ষিতে ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের সাথে আমাদের আখলাক-চরিত্র কেমন হবে সে ব্যাপারে বিস্তৃত ধারনা থাকা আবশ্যিক। এই ক্ষেত্রে পথিক প্রকাশন থেকে প্রকাশিত ড. রাগেব সারজানির 'অমুসলিমদের সাথে যেমন ছিলেন রাসূল" নামক বইটি হতে পারে আপনার আবশ্যিক পাঠ্য বই। ভিন্নধর্মী ভাই-বোনেরাও ইসলামের দৃষ্টিকোন জানতে পড়তে পারেন এই বইটি।
(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
অমুসলিমদের সাথে যেমন ছিলেন রাসূল সা:
230 BDT460 BDTSave 230 BDT
1
নবী সম্পর্কে ধারনা আছে এমন ব্যক্তি মাত্রই বুঝবেন আল্লাহর রাসুল বেড়ে উঠেছেন মুশরিক-কাফির ঘেরা অঞ্চলে। নবুয়ত প্রাপ্তির জীবনের পুরো সময়টাতেই ছিলেন ভিন্ন ধর্মাবলম্বী ও ঘোরতর শত্রুদের সাথে! তবুও তিঁনি ছিলেন সকলের কাছে দয়ালু গ্রহনীয় মান্যবর ব্যক্তিত্বের অধিকারী।
যারা আল্লাহর নবীর প্রাণনাশের সিদ্ধান্তে অটল ছিল এবং চেষ্টাতে কোন ত্রুটিই রাখেনি পাশাপাশি সর্বাত্মক ভাবে চেয়েছিলো দুনিয়া থেকে ইসলাম ও মুহাম্মাদ নাম স্বমূলে মুছে দিতে তারাই আবার সময়ের পরিক্রমায় নবীজির ক্ষমা ও দয়া নামক বৃক্ষদ্বয়ের ছায়াতলে ইসলামের স্বাদ নিয়ে দিনশেষে বীরদর্পে প্রাণপণে দাপিয়ে বেড়িয়েছে সর্বত্র।
ভিন্নধর্মী কিংবা ভিন্নমতাবলম্বীদের সাথে বিচার সালিশে কিংবা অধিকার বুঝিয়ে দিতে ন্যায়পরায়ণতা, লেন-দেনের স্বচ্ছতা সহ সার্বিক ভাবে অধিকার নিশ্চিতে তিঁনি বিশ্বের রাষ্ট্র নায়কদের উৎকৃষ্ট আদর্শ।
ঘোরতর দেশদ্রোহী, চরম শত্রু-ভাবাপন্নতা কিংবা মাতৃদেশ থেকে যারা উচ্ছেদ করে দিয়েছিলো, রনাঙ্গণে আপন চাচার কলিজা চিবিয়ে খেয়েছিলো, সাথীদেরকে হত্যা করেছিলো, অগনিত চুক্তি ভঙ্গ করেছিলো, পাথর কিংবা বর্ষা মেরে রক্তাক্ত করেছিলো মক্কা-মদীনার পথে প্রান্তরে, কপটতা ভন্ডামি করেছিলো যুদ্ধের ময়দানে এতো পরিমান অভিযোগ থাকার পরেও তাদেরকেও তিঁনি শান্তির পতাকাতলে স্বাগত জানিয়ে নিমিষেই ভালোবাসার চাঁদরে ঢেকে নিয়েছেন, আগলে রেখেছেন বুকের কোনে যেন পূর্বে কিছুই হয় নি!
তিঁনিই ছিলেন আমাদের প্রাণের নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যিঁনি হতে পারেন একমাত্র আদর্শ রাষ্ট্রনায়ক, যার ভিতরে ছিলোনা কোন ছলনা কিংবা কূটকৌশল, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে পূর্বের শত্রুতাকে বন্ধুত্বে রুপ দিয়ে জান্নাতের পথে হেটে যাওয়াই ছিলো যার মূখ্য উদ্দেশ্য, বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠায় নববী আদর্শের বিকল্প কিছুই নেই যা আমাদের চারিদিকের রাষ্ট্রের দিকে তাকালেই বুঝতে পারব যে, সাধারন কোন রাষ্ট্রনায়কের পক্ষে এতোসব কঠিন পরিস্থিতি সত্ত্বেও নরম দিলে ভালোবেসে শক্রকে মেনে নেয়া সম্ভব নয়!
নবী কি শুধু মুসলিমদের জন্য? না, এ ব্যাপারে আল্লাহ তায়ালা কুরআনে বলেন তিঁনি নবীকে পাঠিয়েছেন বিশ্ববাসীর জন্য রহমত স্বরুপ! আল্লাহ তায়ালা নবীকে শুধুমাত্র মুসলিম-মুমিনদের জন্য নির্ধারিত করেন নি বরং বিশ্ববাসীর প্রতি পাঠিয়েছেন পথ নির্দেশক হিশেবে যা প্রমাণ করে আল্লাহ তায়ালার নবী উত্তম আখলাকের মাধ্যমেই বিশ্ববাসীর হৃদয় জয় করে নিয়েছেন যা ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লিখিত রয়েছে।
পরিশেষে বলতে চাই একজন মুসলিম দাঈ কিংবা সাধারন ব্যক্তি হিশেবে আমাদের নবীজি অন্য ধর্মাবলম্বী বা মতাবলম্বীদের সাথে কিভাবে আচার-আচরণ করেছেন তা বিস্তারিত জানা আবশ্যিক। অনেক ক্ষেত্রেই আমরা বাড়াবাড়ি কিংবা ছাড়াছাড়ি করে ফেলি যা নিঃসন্দেহে অতিরঞ্জন। এরই প্রেক্ষিতে ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের সাথে আমাদের আখলাক-চরিত্র কেমন হবে সে ব্যাপারে বিস্তৃত ধারনা থাকা আবশ্যিক। এই ক্ষেত্রে পথিক প্রকাশন থেকে প্রকাশিত ড. রাগেব সারজানির 'অমুসলিমদের সাথে যেমন ছিলেন রাসূল" নামক বইটি হতে পারে আপনার আবশ্যিক পাঠ্য বই। ভিন্নধর্মী ভাই-বোনেরাও ইসলামের দৃষ্টিকোন জানতে পড়তে পারেন এই বইটি।
(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
যারা আল্লাহর নবীর প্রাণনাশের সিদ্ধান্তে অটল ছিল এবং চেষ্টাতে কোন ত্রুটিই রাখেনি পাশাপাশি সর্বাত্মক ভাবে চেয়েছিলো দুনিয়া থেকে ইসলাম ও মুহাম্মাদ নাম স্বমূলে মুছে দিতে তারাই আবার সময়ের পরিক্রমায় নবীজির ক্ষমা ও দয়া নামক বৃক্ষদ্বয়ের ছায়াতলে ইসলামের স্বাদ নিয়ে দিনশেষে বীরদর্পে প্রাণপণে দাপিয়ে বেড়িয়েছে সর্বত্র।
ভিন্নধর্মী কিংবা ভিন্নমতাবলম্বীদের সাথে বিচার সালিশে কিংবা অধিকার বুঝিয়ে দিতে ন্যায়পরায়ণতা, লেন-দেনের স্বচ্ছতা সহ সার্বিক ভাবে অধিকার নিশ্চিতে তিঁনি বিশ্বের রাষ্ট্র নায়কদের উৎকৃষ্ট আদর্শ।
ঘোরতর দেশদ্রোহী, চরম শত্রু-ভাবাপন্নতা কিংবা মাতৃদেশ থেকে যারা উচ্ছেদ করে দিয়েছিলো, রনাঙ্গণে আপন চাচার কলিজা চিবিয়ে খেয়েছিলো, সাথীদেরকে হত্যা করেছিলো, অগনিত চুক্তি ভঙ্গ করেছিলো, পাথর কিংবা বর্ষা মেরে রক্তাক্ত করেছিলো মক্কা-মদীনার পথে প্রান্তরে, কপটতা ভন্ডামি করেছিলো যুদ্ধের ময়দানে এতো পরিমান অভিযোগ থাকার পরেও তাদেরকেও তিঁনি শান্তির পতাকাতলে স্বাগত জানিয়ে নিমিষেই ভালোবাসার চাঁদরে ঢেকে নিয়েছেন, আগলে রেখেছেন বুকের কোনে যেন পূর্বে কিছুই হয় নি!
তিঁনিই ছিলেন আমাদের প্রাণের নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যিঁনি হতে পারেন একমাত্র আদর্শ রাষ্ট্রনায়ক, যার ভিতরে ছিলোনা কোন ছলনা কিংবা কূটকৌশল, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে পূর্বের শত্রুতাকে বন্ধুত্বে রুপ দিয়ে জান্নাতের পথে হেটে যাওয়াই ছিলো যার মূখ্য উদ্দেশ্য, বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠায় নববী আদর্শের বিকল্প কিছুই নেই যা আমাদের চারিদিকের রাষ্ট্রের দিকে তাকালেই বুঝতে পারব যে, সাধারন কোন রাষ্ট্রনায়কের পক্ষে এতোসব কঠিন পরিস্থিতি সত্ত্বেও নরম দিলে ভালোবেসে শক্রকে মেনে নেয়া সম্ভব নয়!
নবী কি শুধু মুসলিমদের জন্য? না, এ ব্যাপারে আল্লাহ তায়ালা কুরআনে বলেন তিঁনি নবীকে পাঠিয়েছেন বিশ্ববাসীর জন্য রহমত স্বরুপ! আল্লাহ তায়ালা নবীকে শুধুমাত্র মুসলিম-মুমিনদের জন্য নির্ধারিত করেন নি বরং বিশ্ববাসীর প্রতি পাঠিয়েছেন পথ নির্দেশক হিশেবে যা প্রমাণ করে আল্লাহ তায়ালার নবী উত্তম আখলাকের মাধ্যমেই বিশ্ববাসীর হৃদয় জয় করে নিয়েছেন যা ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লিখিত রয়েছে।
পরিশেষে বলতে চাই একজন মুসলিম দাঈ কিংবা সাধারন ব্যক্তি হিশেবে আমাদের নবীজি অন্য ধর্মাবলম্বী বা মতাবলম্বীদের সাথে কিভাবে আচার-আচরণ করেছেন তা বিস্তারিত জানা আবশ্যিক। অনেক ক্ষেত্রেই আমরা বাড়াবাড়ি কিংবা ছাড়াছাড়ি করে ফেলি যা নিঃসন্দেহে অতিরঞ্জন। এরই প্রেক্ষিতে ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের সাথে আমাদের আখলাক-চরিত্র কেমন হবে সে ব্যাপারে বিস্তৃত ধারনা থাকা আবশ্যিক। এই ক্ষেত্রে পথিক প্রকাশন থেকে প্রকাশিত ড. রাগেব সারজানির 'অমুসলিমদের সাথে যেমন ছিলেন রাসূল" নামক বইটি হতে পারে আপনার আবশ্যিক পাঠ্য বই। ভিন্নধর্মী ভাই-বোনেরাও ইসলামের দৃষ্টিকোন জানতে পড়তে পারেন এই বইটি।
(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)