সুন্নাহ ও প্রাচ্যবাদ
বইটা কেমন এটা জানার জন্য এ মন্তব্যটাই যথেষ্ট:বিশ্বনন্দিত ইসলামিক স্কলার সাইয়েদ আবুল হাসান আলি নদভি রহ. লিখেছেন—‘১৯৩৯ সালে বিশিষ্ট মিসরীয় লেখক ড. আহমাদ আমিনের গ্রন্থ ফজরুল ইসলাম (১ খণ্ড) ও দুহাল ইসলাম (৩ খণ্ড) অধ্যয়নের সুযোগ হয়। এটা নবীযুগ এবং উমাইয়া ও আব্বাসী শাসনামলের চিন্তা, দর্শন, সাহিত্য, রাজনীতি, নৈতিকতা ও জ্ঞানচর্চার ইতিহাস। লেখক ঘটনাবলির সূত্রে ফলাফল বের করেছেন। ছোট ছোট ঘটনা থেকে মৌলিক দর্শন দাঁড় করিয়েছেন। প্রত্যেক যুগ ও সমকালীন জীবনব্যবস্থার নানা শাখার প্রতি সামষ্টিক দৃষ্টিপাত করেছেন। গ্রন্থদুটি লেখকের শক্তিমান পর্যবেক্ষণ ও বিচারক্ষমতার সুন্দর নমুনা, যদিও সেগুলো বর্তমান কালের আধুনিক ও পাশ্চাত্য চিন্তাধারার প্রভাব থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত নয়। লেখকের এই গ্রন্থগুলো অধ্যয়ন করলে আমাদের হাদিস ভাণ্ডারের প্রতি আস্থা এক রকম নড়বড়ে হয়ে যায়। তাছাড়া হাদিস শাস্ত্রের অনেক কেন্দ্রীয় ব্যক্তির প্রতি যে আস্থা ও শ্রদ্ধা একজন মুসলমানের হৃদয়ে থাকা দরকার তা আর থাকে না। কিন্তু আমার মনে সরলতা বলুন কিংবা সমালোচক দৃষ্টির দুর্বলতাই বলুন, লেখকের এই ত্রুটি-বিচ্যূতির পূর্ণ অনুভূতি আমার তখন হয়নি। এ বিষয়ে আমি সঠিক অনুভূতি ও অবগতি লাভ করেছি এবং প্রকৃত বাস্তবতা জেনে ও বুঝে মর্মাহত হয়েছি ড. মুস্তফা সিবায়ির বিখ্যাত গ্রন্থ ‘আস-সুন্নাহ ওয়ামাকানাতুহা ফিত তাশরিয়িল ইসলামি (সুন্নাহ ও প্রাচ্যবাদ)’ অধ্যয়নের পর। হাদিস শাস্ত্রের প্রত্যেক ছাত্রকে এ গ্রন্থ অধ্যয়নের অনুরোধ করছি।‘ [খুতুবাতে আলি মিয়া, খণ্ড: ৬, পৃষ্ঠা:৩৯, প্রকাশক: দারুল ইশাআত করাচী, মুদ্রণ ২০০৩].
An Najahah Shop
Category List
All products

বইটা কেমন এটা জানার জন্য এ মন্তব্যটাই যথেষ্ট:
বিশ্বনন্দিত ইসলামিক স্কলার সাইয়েদ আবুল হাসান আলি নদভি রহ. লিখেছেন—
‘১৯৩৯ সালে বিশিষ্ট মিসরীয় লেখক ড. আহমাদ আমিনের গ্রন্থ ফজরুল ইসলাম (১ খণ্ড) ও দুহাল ইসলাম (৩ খণ্ড) অধ্যয়নের সুযোগ হয়। এটা নবীযুগ এবং উমাইয়া ও আব্বাসী শাসনামলের চিন্তা, দর্শন, সাহিত্য, রাজনীতি, নৈতিকতা ও জ্ঞানচর্চার ইতিহাস। লেখক ঘটনাবলির সূত্রে ফলাফল বের করেছেন। ছোট ছোট ঘটনা থেকে মৌলিক দর্শন দাঁড় করিয়েছেন। প্রত্যেক যুগ ও সমকালীন জীবনব্যবস্থার নানা শাখার প্রতি সামষ্টিক দৃষ্টিপাত করেছেন। গ্রন্থদুটি লেখকের শক্তিমান পর্যবেক্ষণ ও বিচারক্ষমতার সুন্দর নমুনা, যদিও সেগুলো বর্তমান কালের আধুনিক ও পাশ্চাত্য চিন্তাধারার প্রভাব থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত নয়। লেখকের এই গ্রন্থগুলো অধ্যয়ন করলে আমাদের হাদিস ভাণ্ডারের প্রতি আস্থা এক রকম নড়বড়ে হয়ে যায়। তাছাড়া হাদিস শাস্ত্রের অনেক কেন্দ্রীয় ব্যক্তির প্রতি যে আস্থা ও শ্রদ্ধা একজন মুসলমানের হৃদয়ে থাকা দরকার তা আর থাকে না। কিন্তু আমার মনে সরলতা বলুন কিংবা সমালোচক দৃষ্টির দুর্বলতাই বলুন, লেখকের এই ত্রুটি-বিচ্যূতির পূর্ণ অনুভূতি আমার তখন হয়নি। এ বিষয়ে আমি সঠিক অনুভূতি ও অবগতি লাভ করেছি এবং প্রকৃত বাস্তবতা জেনে ও বুঝে মর্মাহত হয়েছি ড. মুস্তফা সিবায়ির বিখ্যাত গ্রন্থ ‘আস-সুন্নাহ ওয়ামাকানাতুহা ফিত তাশরিয়িল ইসলামি (সুন্নাহ ও প্রাচ্যবাদ)’ অধ্যয়নের পর। হাদিস শাস্ত্রের প্রত্যেক ছাত্রকে এ গ্রন্থ অধ্যয়নের অনুরোধ করছি।‘
[খুতুবাতে আলি মিয়া, খণ্ড: ৬, পৃষ্ঠা:৩৯, প্রকাশক: দারুল ইশাআত করাচী, মুদ্রণ ২০০৩]
.
সুন্নাহ ও প্রাচ্যবাদ
850 BDT1,700 BDTSave 850 BDT
1
বইটা কেমন এটা জানার জন্য এ মন্তব্যটাই যথেষ্ট:
বিশ্বনন্দিত ইসলামিক স্কলার সাইয়েদ আবুল হাসান আলি নদভি রহ. লিখেছেন—
‘১৯৩৯ সালে বিশিষ্ট মিসরীয় লেখক ড. আহমাদ আমিনের গ্রন্থ ফজরুল ইসলাম (১ খণ্ড) ও দুহাল ইসলাম (৩ খণ্ড) অধ্যয়নের সুযোগ হয়। এটা নবীযুগ এবং উমাইয়া ও আব্বাসী শাসনামলের চিন্তা, দর্শন, সাহিত্য, রাজনীতি, নৈতিকতা ও জ্ঞানচর্চার ইতিহাস। লেখক ঘটনাবলির সূত্রে ফলাফল বের করেছেন। ছোট ছোট ঘটনা থেকে মৌলিক দর্শন দাঁড় করিয়েছেন। প্রত্যেক যুগ ও সমকালীন জীবনব্যবস্থার নানা শাখার প্রতি সামষ্টিক দৃষ্টিপাত করেছেন। গ্রন্থদুটি লেখকের শক্তিমান পর্যবেক্ষণ ও বিচারক্ষমতার সুন্দর নমুনা, যদিও সেগুলো বর্তমান কালের আধুনিক ও পাশ্চাত্য চিন্তাধারার প্রভাব থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত নয়। লেখকের এই গ্রন্থগুলো অধ্যয়ন করলে আমাদের হাদিস ভাণ্ডারের প্রতি আস্থা এক রকম নড়বড়ে হয়ে যায়। তাছাড়া হাদিস শাস্ত্রের অনেক কেন্দ্রীয় ব্যক্তির প্রতি যে আস্থা ও শ্রদ্ধা একজন মুসলমানের হৃদয়ে থাকা দরকার তা আর থাকে না। কিন্তু আমার মনে সরলতা বলুন কিংবা সমালোচক দৃষ্টির দুর্বলতাই বলুন, লেখকের এই ত্রুটি-বিচ্যূতির পূর্ণ অনুভূতি আমার তখন হয়নি। এ বিষয়ে আমি সঠিক অনুভূতি ও অবগতি লাভ করেছি এবং প্রকৃত বাস্তবতা জেনে ও বুঝে মর্মাহত হয়েছি ড. মুস্তফা সিবায়ির বিখ্যাত গ্রন্থ ‘আস-সুন্নাহ ওয়ামাকানাতুহা ফিত তাশরিয়িল ইসলামি (সুন্নাহ ও প্রাচ্যবাদ)’ অধ্যয়নের পর। হাদিস শাস্ত্রের প্রত্যেক ছাত্রকে এ গ্রন্থ অধ্যয়নের অনুরোধ করছি।‘
[খুতুবাতে আলি মিয়া, খণ্ড: ৬, পৃষ্ঠা:৩৯, প্রকাশক: দারুল ইশাআত করাচী, মুদ্রণ ২০০৩]
.