বাইতুল্লাহর ভাষণ
বই : বাইতুল্লাহর ভাষণমূল : শায়েখ ড. আবদুর রহমান আস-সুদাইসঅনুবাদ : মাওলানা মাহমুদ হাসানপৃষ্ঠা : ৩৪৪মূল্য : ৪৫০/-...বইটির সম্পর্কে... ...শায়েখ আবদুর রহমান আস সুদাইস বাইতুল্লাহ-শরিফে জুমার খোতবা দেওয়ার জন্য যে-পরিমাণ কিতাব অধ্যয়ন করেন, সে-সম্পর্কে জানলে আপনি হয়রান হয়ে যাবেন। সে-সম্পর্কেও কিঞ্চিত ধারণা তুলে ধরছি নিচের এই ঘটনার মাধ্যমে-কুয়েতের প্রসিদ্ধ একজন আলেম ড. মুহাম্মদ আল আওদা বলেন, একবার যখন শায়েখ আবদুর রহমান আস সুদাইস কুয়েত সফরে এলেন, তখন আমার সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ হয়। আমি তাঁর মাঝে তাঁর ব্যক্তিত্বের নম্রতা, ভদ্রতা, বিচক্ষণতা ও কৌশল এবং প্রজ্ঞা ও আমলের ভিন্ন এক উচ্চতর নমুনা দেখতে পাই। এক-সঙ্গে ভ্রমণ করতে ছিলাম; এরই মধ্যে তিনি তাঁর كَوْكَبَةُ الْكَوْكَبَةِ গ্রন্থের একটি কপি হাদিয়া দেন আমাকে। এবং বলেন, যখন আমি হারামে-মক্কার জন্য খোতবা তৈরি করি, তখন প্রত্যেকটি খোতবাকে এক বড় দায়িত্ব মনে করেই তৈরি করি। জুমা থেকে এক-দুদিন পূর্বেই মানুষদের সঙ্গে সাক্ষাৎ বন্ধ করে দিই। যেন পূর্ণ একাগ্রতা ও গুরুত্বের সঙ্গে পরিপূর্ণ হক আদায় করতে পারি এই মহান মঞ্চের। আমি জানি, এটি সেই বিশ্ব-মঞ্চ, যার থেকে বড় এই পৃথিবীর বুকে আর কোনো মঞ্চ হতে পারে না। এটি সেই মোবারক স্থান, যেখানে রসুলুল্লাহ ﷺ দাঁড়িয়ে দুনিয়ার মুসলমানদের উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছেন।ড. মুহাম্মদ আওদা বলেন, তাঁর এই ভাষ্যে ওই সব-খতিব ও বক্তার জন্য শিক্ষা এবং উপদেশ রয়েছে, যাঁরা জুমার দিন সকাল দশটা-পর্যন্ত খোতবার বিষয় ও প্রস্তুতি গ্রহণের কোনো ভ্রুক্ষেপ করেন না; বরং সম্পূর্ণ থাকেন উদাসীন। সময় হওয়ার একেবারে পূর্ব-মুহূর্তে কোনো-রকম দ্রুতগতিতে এক-আধটু ধারণা নিয়ে দৌড়াতে থাকেন মিম্বরের পানে। আর দায়সারাভাবে সারেন এই গুরু দায়িত্ব। মনে রাখবেন, আপনিই পারেন, একটা পুরো সমাজকে জান্নাতের পথে পরিচালিত করে জান্নাতে নিয়ে যেতে! হেলায় হারাবেন না এই সুযোগ! সাবধান! কোনো ধরনের অবহেলা নয়! কারণ, সম্ভাবনা আছে, এ-জন্যও দরবারে-এলাহিতে হতে পারেন পাকড়াও!সম্মানিত-পাঠকগণ, অবশ্যই বলা যায় এটি ‘হুদহুদ প্রকাশন’-এর জন্য অনেক বড় সম্মান ও মর্যাদার বিষয় যে, আমরা তাঁর বর্ণিত হারামে-মক্কার খোতবাসমূহ প্রকাশ করতে যাচ্ছি। স্বয়ং আমি নিজেও তাঁর অনেক-ভাষণ ও আলোচনা শুনেছি। আশা করি তাঁর ইমান-জাগানিয়া খোতবা উম্মতের পার্থিব ও পরকালের মুক্তির বড় মাধ্যম হতে পারে। তাঁর মিশন বড় শক্তিশালী। তাঁর বিভিন্ন মাজহাব ও দিনে-ইসলামের মূলনীতি এবং রূপরেখার ওপর গভীর জ্ঞান রয়েছে। তাঁর আরবি ভাষার সহস্রাধিক কবিতা ঠোঁটস্থ। কণ্ঠ তো আল্লাহু আকবার! এত মধুময় যে, অনারবরাও সহজেই তাঁর আরবি বুঝে নিতে পারেন। এটি আল্লাহ -র বড় নেয়ামত যে, ঘণ্টাকে ঘণ্টা তেলাওয়াত ও দোয়া করা সত্তে¡ও তাঁর আওয়াজে কোনো ধরনের পরিবর্তন-পরিবর্ধন বা দুর্বলতার লেশমাত্রও ব্যাঘাত ঘটে না। সুবহানাল্লাহি-ওয়া-বি-হামদিহি-ওয়া-তাবারাকা-ওয়া তা-আলা-ওয়া শুকরান লাক।ইনশাআল্লাহ এ-গ্রন্থটি উম্মতে-মুসলিমার বড় উপকারে আসবে। দোয়া করি : হে আল্লাহ, এই গ্রন্থটি আমাদের জন্য নাজাতের অসিলা বানিয়ে দিন। আমিন। ইয়া রাব্বাল আলামিন।
An Najahah Shop
Category List
All products

বই : বাইতুল্লাহর ভাষণ
মূল : শায়েখ ড. আবদুর রহমান আস-সুদাইস
অনুবাদ : মাওলানা মাহমুদ হাসান
পৃষ্ঠা : ৩৪৪
মূল্য : ৪৫০/-
...
বইটির সম্পর্কে...
...
শায়েখ আবদুর রহমান আস সুদাইস বাইতুল্লাহ-শরিফে জুমার খোতবা দেওয়ার জন্য যে-পরিমাণ কিতাব অধ্যয়ন করেন, সে-সম্পর্কে জানলে আপনি হয়রান হয়ে যাবেন। সে-সম্পর্কেও কিঞ্চিত ধারণা তুলে ধরছি নিচের এই ঘটনার মাধ্যমে-
কুয়েতের প্রসিদ্ধ একজন আলেম ড. মুহাম্মদ আল আওদা বলেন, একবার যখন শায়েখ আবদুর রহমান আস সুদাইস কুয়েত সফরে এলেন, তখন আমার সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ হয়। আমি তাঁর মাঝে তাঁর ব্যক্তিত্বের নম্রতা, ভদ্রতা, বিচক্ষণতা ও কৌশল এবং প্রজ্ঞা ও আমলের ভিন্ন এক উচ্চতর নমুনা দেখতে পাই। এক-সঙ্গে ভ্রমণ করতে ছিলাম; এরই মধ্যে তিনি তাঁর كَوْكَبَةُ الْكَوْكَبَةِ গ্রন্থের একটি কপি হাদিয়া দেন আমাকে। এবং বলেন, যখন আমি হারামে-মক্কার জন্য খোতবা তৈরি করি, তখন প্রত্যেকটি খোতবাকে এক বড় দায়িত্ব মনে করেই তৈরি করি। জুমা থেকে এক-দুদিন পূর্বেই মানুষদের সঙ্গে সাক্ষাৎ বন্ধ করে দিই। যেন পূর্ণ একাগ্রতা ও গুরুত্বের সঙ্গে পরিপূর্ণ হক আদায় করতে পারি এই মহান মঞ্চের। আমি জানি, এটি সেই বিশ্ব-মঞ্চ, যার থেকে বড় এই পৃথিবীর বুকে আর কোনো মঞ্চ হতে পারে না। এটি সেই মোবারক স্থান, যেখানে রসুলুল্লাহ ﷺ দাঁড়িয়ে দুনিয়ার মুসলমানদের উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছেন।
ড. মুহাম্মদ আওদা বলেন, তাঁর এই ভাষ্যে ওই সব-খতিব ও বক্তার জন্য শিক্ষা এবং উপদেশ রয়েছে, যাঁরা জুমার দিন সকাল দশটা-পর্যন্ত খোতবার বিষয় ও প্রস্তুতি গ্রহণের কোনো ভ্রুক্ষেপ করেন না; বরং সম্পূর্ণ থাকেন উদাসীন। সময় হওয়ার একেবারে পূর্ব-মুহূর্তে কোনো-রকম দ্রুতগতিতে এক-আধটু ধারণা নিয়ে দৌড়াতে থাকেন মিম্বরের পানে। আর দায়সারাভাবে সারেন এই গুরু দায়িত্ব। মনে রাখবেন, আপনিই পারেন, একটা পুরো সমাজকে জান্নাতের পথে পরিচালিত করে জান্নাতে নিয়ে যেতে! হেলায় হারাবেন না এই সুযোগ! সাবধান! কোনো ধরনের অবহেলা নয়! কারণ, সম্ভাবনা আছে, এ-জন্যও দরবারে-এলাহিতে হতে পারেন পাকড়াও!
সম্মানিত-পাঠকগণ, অবশ্যই বলা যায় এটি ‘হুদহুদ প্রকাশন’-এর জন্য অনেক বড় সম্মান ও মর্যাদার বিষয় যে, আমরা তাঁর বর্ণিত হারামে-মক্কার খোতবাসমূহ প্রকাশ করতে যাচ্ছি। স্বয়ং আমি নিজেও তাঁর অনেক-ভাষণ ও আলোচনা শুনেছি। আশা করি তাঁর ইমান-জাগানিয়া খোতবা উম্মতের পার্থিব ও পরকালের মুক্তির বড় মাধ্যম হতে পারে। তাঁর মিশন বড় শক্তিশালী। তাঁর বিভিন্ন মাজহাব ও দিনে-ইসলামের মূলনীতি এবং রূপরেখার ওপর গভীর জ্ঞান রয়েছে। তাঁর আরবি ভাষার সহস্রাধিক কবিতা ঠোঁটস্থ। কণ্ঠ তো আল্লাহু আকবার! এত মধুময় যে, অনারবরাও সহজেই তাঁর আরবি বুঝে নিতে পারেন। এটি আল্লাহ -র বড় নেয়ামত যে, ঘণ্টাকে ঘণ্টা তেলাওয়াত ও দোয়া করা সত্তে¡ও তাঁর আওয়াজে কোনো ধরনের পরিবর্তন-পরিবর্ধন বা দুর্বলতার লেশমাত্রও ব্যাঘাত ঘটে না। সুবহানাল্লাহি-ওয়া-বি-হামদিহি-ওয়া-তাবারাকা-ওয়া তা-আলা-ওয়া শুকরান লাক।
ইনশাআল্লাহ এ-গ্রন্থটি উম্মতে-মুসলিমার বড় উপকারে আসবে। দোয়া করি : হে আল্লাহ, এই গ্রন্থটি আমাদের জন্য নাজাতের অসিলা বানিয়ে দিন। আমিন। ইয়া রাব্বাল আলামিন।
মূল : শায়েখ ড. আবদুর রহমান আস-সুদাইস
অনুবাদ : মাওলানা মাহমুদ হাসান
পৃষ্ঠা : ৩৪৪
মূল্য : ৪৫০/-
...
বইটির সম্পর্কে...
...
শায়েখ আবদুর রহমান আস সুদাইস বাইতুল্লাহ-শরিফে জুমার খোতবা দেওয়ার জন্য যে-পরিমাণ কিতাব অধ্যয়ন করেন, সে-সম্পর্কে জানলে আপনি হয়রান হয়ে যাবেন। সে-সম্পর্কেও কিঞ্চিত ধারণা তুলে ধরছি নিচের এই ঘটনার মাধ্যমে-
কুয়েতের প্রসিদ্ধ একজন আলেম ড. মুহাম্মদ আল আওদা বলেন, একবার যখন শায়েখ আবদুর রহমান আস সুদাইস কুয়েত সফরে এলেন, তখন আমার সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ হয়। আমি তাঁর মাঝে তাঁর ব্যক্তিত্বের নম্রতা, ভদ্রতা, বিচক্ষণতা ও কৌশল এবং প্রজ্ঞা ও আমলের ভিন্ন এক উচ্চতর নমুনা দেখতে পাই। এক-সঙ্গে ভ্রমণ করতে ছিলাম; এরই মধ্যে তিনি তাঁর كَوْكَبَةُ الْكَوْكَبَةِ গ্রন্থের একটি কপি হাদিয়া দেন আমাকে। এবং বলেন, যখন আমি হারামে-মক্কার জন্য খোতবা তৈরি করি, তখন প্রত্যেকটি খোতবাকে এক বড় দায়িত্ব মনে করেই তৈরি করি। জুমা থেকে এক-দুদিন পূর্বেই মানুষদের সঙ্গে সাক্ষাৎ বন্ধ করে দিই। যেন পূর্ণ একাগ্রতা ও গুরুত্বের সঙ্গে পরিপূর্ণ হক আদায় করতে পারি এই মহান মঞ্চের। আমি জানি, এটি সেই বিশ্ব-মঞ্চ, যার থেকে বড় এই পৃথিবীর বুকে আর কোনো মঞ্চ হতে পারে না। এটি সেই মোবারক স্থান, যেখানে রসুলুল্লাহ ﷺ দাঁড়িয়ে দুনিয়ার মুসলমানদের উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছেন।
ড. মুহাম্মদ আওদা বলেন, তাঁর এই ভাষ্যে ওই সব-খতিব ও বক্তার জন্য শিক্ষা এবং উপদেশ রয়েছে, যাঁরা জুমার দিন সকাল দশটা-পর্যন্ত খোতবার বিষয় ও প্রস্তুতি গ্রহণের কোনো ভ্রুক্ষেপ করেন না; বরং সম্পূর্ণ থাকেন উদাসীন। সময় হওয়ার একেবারে পূর্ব-মুহূর্তে কোনো-রকম দ্রুতগতিতে এক-আধটু ধারণা নিয়ে দৌড়াতে থাকেন মিম্বরের পানে। আর দায়সারাভাবে সারেন এই গুরু দায়িত্ব। মনে রাখবেন, আপনিই পারেন, একটা পুরো সমাজকে জান্নাতের পথে পরিচালিত করে জান্নাতে নিয়ে যেতে! হেলায় হারাবেন না এই সুযোগ! সাবধান! কোনো ধরনের অবহেলা নয়! কারণ, সম্ভাবনা আছে, এ-জন্যও দরবারে-এলাহিতে হতে পারেন পাকড়াও!
সম্মানিত-পাঠকগণ, অবশ্যই বলা যায় এটি ‘হুদহুদ প্রকাশন’-এর জন্য অনেক বড় সম্মান ও মর্যাদার বিষয় যে, আমরা তাঁর বর্ণিত হারামে-মক্কার খোতবাসমূহ প্রকাশ করতে যাচ্ছি। স্বয়ং আমি নিজেও তাঁর অনেক-ভাষণ ও আলোচনা শুনেছি। আশা করি তাঁর ইমান-জাগানিয়া খোতবা উম্মতের পার্থিব ও পরকালের মুক্তির বড় মাধ্যম হতে পারে। তাঁর মিশন বড় শক্তিশালী। তাঁর বিভিন্ন মাজহাব ও দিনে-ইসলামের মূলনীতি এবং রূপরেখার ওপর গভীর জ্ঞান রয়েছে। তাঁর আরবি ভাষার সহস্রাধিক কবিতা ঠোঁটস্থ। কণ্ঠ তো আল্লাহু আকবার! এত মধুময় যে, অনারবরাও সহজেই তাঁর আরবি বুঝে নিতে পারেন। এটি আল্লাহ -র বড় নেয়ামত যে, ঘণ্টাকে ঘণ্টা তেলাওয়াত ও দোয়া করা সত্তে¡ও তাঁর আওয়াজে কোনো ধরনের পরিবর্তন-পরিবর্ধন বা দুর্বলতার লেশমাত্রও ব্যাঘাত ঘটে না। সুবহানাল্লাহি-ওয়া-বি-হামদিহি-ওয়া-তাবারাকা-ওয়া তা-আলা-ওয়া শুকরান লাক।
ইনশাআল্লাহ এ-গ্রন্থটি উম্মতে-মুসলিমার বড় উপকারে আসবে। দোয়া করি : হে আল্লাহ, এই গ্রন্থটি আমাদের জন্য নাজাতের অসিলা বানিয়ে দিন। আমিন। ইয়া রাব্বাল আলামিন।
বাইতুল্লাহর ভাষণ
230 BDT450 BDTSave 220 BDT
1
বই : বাইতুল্লাহর ভাষণ
মূল : শায়েখ ড. আবদুর রহমান আস-সুদাইস
অনুবাদ : মাওলানা মাহমুদ হাসান
পৃষ্ঠা : ৩৪৪
মূল্য : ৪৫০/-
...
বইটির সম্পর্কে...
...
শায়েখ আবদুর রহমান আস সুদাইস বাইতুল্লাহ-শরিফে জুমার খোতবা দেওয়ার জন্য যে-পরিমাণ কিতাব অধ্যয়ন করেন, সে-সম্পর্কে জানলে আপনি হয়রান হয়ে যাবেন। সে-সম্পর্কেও কিঞ্চিত ধারণা তুলে ধরছি নিচের এই ঘটনার মাধ্যমে-
কুয়েতের প্রসিদ্ধ একজন আলেম ড. মুহাম্মদ আল আওদা বলেন, একবার যখন শায়েখ আবদুর রহমান আস সুদাইস কুয়েত সফরে এলেন, তখন আমার সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ হয়। আমি তাঁর মাঝে তাঁর ব্যক্তিত্বের নম্রতা, ভদ্রতা, বিচক্ষণতা ও কৌশল এবং প্রজ্ঞা ও আমলের ভিন্ন এক উচ্চতর নমুনা দেখতে পাই। এক-সঙ্গে ভ্রমণ করতে ছিলাম; এরই মধ্যে তিনি তাঁর كَوْكَبَةُ الْكَوْكَبَةِ গ্রন্থের একটি কপি হাদিয়া দেন আমাকে। এবং বলেন, যখন আমি হারামে-মক্কার জন্য খোতবা তৈরি করি, তখন প্রত্যেকটি খোতবাকে এক বড় দায়িত্ব মনে করেই তৈরি করি। জুমা থেকে এক-দুদিন পূর্বেই মানুষদের সঙ্গে সাক্ষাৎ বন্ধ করে দিই। যেন পূর্ণ একাগ্রতা ও গুরুত্বের সঙ্গে পরিপূর্ণ হক আদায় করতে পারি এই মহান মঞ্চের। আমি জানি, এটি সেই বিশ্ব-মঞ্চ, যার থেকে বড় এই পৃথিবীর বুকে আর কোনো মঞ্চ হতে পারে না। এটি সেই মোবারক স্থান, যেখানে রসুলুল্লাহ ﷺ দাঁড়িয়ে দুনিয়ার মুসলমানদের উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছেন।
ড. মুহাম্মদ আওদা বলেন, তাঁর এই ভাষ্যে ওই সব-খতিব ও বক্তার জন্য শিক্ষা এবং উপদেশ রয়েছে, যাঁরা জুমার দিন সকাল দশটা-পর্যন্ত খোতবার বিষয় ও প্রস্তুতি গ্রহণের কোনো ভ্রুক্ষেপ করেন না; বরং সম্পূর্ণ থাকেন উদাসীন। সময় হওয়ার একেবারে পূর্ব-মুহূর্তে কোনো-রকম দ্রুতগতিতে এক-আধটু ধারণা নিয়ে দৌড়াতে থাকেন মিম্বরের পানে। আর দায়সারাভাবে সারেন এই গুরু দায়িত্ব। মনে রাখবেন, আপনিই পারেন, একটা পুরো সমাজকে জান্নাতের পথে পরিচালিত করে জান্নাতে নিয়ে যেতে! হেলায় হারাবেন না এই সুযোগ! সাবধান! কোনো ধরনের অবহেলা নয়! কারণ, সম্ভাবনা আছে, এ-জন্যও দরবারে-এলাহিতে হতে পারেন পাকড়াও!
সম্মানিত-পাঠকগণ, অবশ্যই বলা যায় এটি ‘হুদহুদ প্রকাশন’-এর জন্য অনেক বড় সম্মান ও মর্যাদার বিষয় যে, আমরা তাঁর বর্ণিত হারামে-মক্কার খোতবাসমূহ প্রকাশ করতে যাচ্ছি। স্বয়ং আমি নিজেও তাঁর অনেক-ভাষণ ও আলোচনা শুনেছি। আশা করি তাঁর ইমান-জাগানিয়া খোতবা উম্মতের পার্থিব ও পরকালের মুক্তির বড় মাধ্যম হতে পারে। তাঁর মিশন বড় শক্তিশালী। তাঁর বিভিন্ন মাজহাব ও দিনে-ইসলামের মূলনীতি এবং রূপরেখার ওপর গভীর জ্ঞান রয়েছে। তাঁর আরবি ভাষার সহস্রাধিক কবিতা ঠোঁটস্থ। কণ্ঠ তো আল্লাহু আকবার! এত মধুময় যে, অনারবরাও সহজেই তাঁর আরবি বুঝে নিতে পারেন। এটি আল্লাহ -র বড় নেয়ামত যে, ঘণ্টাকে ঘণ্টা তেলাওয়াত ও দোয়া করা সত্তে¡ও তাঁর আওয়াজে কোনো ধরনের পরিবর্তন-পরিবর্ধন বা দুর্বলতার লেশমাত্রও ব্যাঘাত ঘটে না। সুবহানাল্লাহি-ওয়া-বি-হামদিহি-ওয়া-তাবারাকা-ওয়া তা-আলা-ওয়া শুকরান লাক।
ইনশাআল্লাহ এ-গ্রন্থটি উম্মতে-মুসলিমার বড় উপকারে আসবে। দোয়া করি : হে আল্লাহ, এই গ্রন্থটি আমাদের জন্য নাজাতের অসিলা বানিয়ে দিন। আমিন। ইয়া রাব্বাল আলামিন।
মূল : শায়েখ ড. আবদুর রহমান আস-সুদাইস
অনুবাদ : মাওলানা মাহমুদ হাসান
পৃষ্ঠা : ৩৪৪
মূল্য : ৪৫০/-
...
বইটির সম্পর্কে...
...
শায়েখ আবদুর রহমান আস সুদাইস বাইতুল্লাহ-শরিফে জুমার খোতবা দেওয়ার জন্য যে-পরিমাণ কিতাব অধ্যয়ন করেন, সে-সম্পর্কে জানলে আপনি হয়রান হয়ে যাবেন। সে-সম্পর্কেও কিঞ্চিত ধারণা তুলে ধরছি নিচের এই ঘটনার মাধ্যমে-
কুয়েতের প্রসিদ্ধ একজন আলেম ড. মুহাম্মদ আল আওদা বলেন, একবার যখন শায়েখ আবদুর রহমান আস সুদাইস কুয়েত সফরে এলেন, তখন আমার সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ হয়। আমি তাঁর মাঝে তাঁর ব্যক্তিত্বের নম্রতা, ভদ্রতা, বিচক্ষণতা ও কৌশল এবং প্রজ্ঞা ও আমলের ভিন্ন এক উচ্চতর নমুনা দেখতে পাই। এক-সঙ্গে ভ্রমণ করতে ছিলাম; এরই মধ্যে তিনি তাঁর كَوْكَبَةُ الْكَوْكَبَةِ গ্রন্থের একটি কপি হাদিয়া দেন আমাকে। এবং বলেন, যখন আমি হারামে-মক্কার জন্য খোতবা তৈরি করি, তখন প্রত্যেকটি খোতবাকে এক বড় দায়িত্ব মনে করেই তৈরি করি। জুমা থেকে এক-দুদিন পূর্বেই মানুষদের সঙ্গে সাক্ষাৎ বন্ধ করে দিই। যেন পূর্ণ একাগ্রতা ও গুরুত্বের সঙ্গে পরিপূর্ণ হক আদায় করতে পারি এই মহান মঞ্চের। আমি জানি, এটি সেই বিশ্ব-মঞ্চ, যার থেকে বড় এই পৃথিবীর বুকে আর কোনো মঞ্চ হতে পারে না। এটি সেই মোবারক স্থান, যেখানে রসুলুল্লাহ ﷺ দাঁড়িয়ে দুনিয়ার মুসলমানদের উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছেন।
ড. মুহাম্মদ আওদা বলেন, তাঁর এই ভাষ্যে ওই সব-খতিব ও বক্তার জন্য শিক্ষা এবং উপদেশ রয়েছে, যাঁরা জুমার দিন সকাল দশটা-পর্যন্ত খোতবার বিষয় ও প্রস্তুতি গ্রহণের কোনো ভ্রুক্ষেপ করেন না; বরং সম্পূর্ণ থাকেন উদাসীন। সময় হওয়ার একেবারে পূর্ব-মুহূর্তে কোনো-রকম দ্রুতগতিতে এক-আধটু ধারণা নিয়ে দৌড়াতে থাকেন মিম্বরের পানে। আর দায়সারাভাবে সারেন এই গুরু দায়িত্ব। মনে রাখবেন, আপনিই পারেন, একটা পুরো সমাজকে জান্নাতের পথে পরিচালিত করে জান্নাতে নিয়ে যেতে! হেলায় হারাবেন না এই সুযোগ! সাবধান! কোনো ধরনের অবহেলা নয়! কারণ, সম্ভাবনা আছে, এ-জন্যও দরবারে-এলাহিতে হতে পারেন পাকড়াও!
সম্মানিত-পাঠকগণ, অবশ্যই বলা যায় এটি ‘হুদহুদ প্রকাশন’-এর জন্য অনেক বড় সম্মান ও মর্যাদার বিষয় যে, আমরা তাঁর বর্ণিত হারামে-মক্কার খোতবাসমূহ প্রকাশ করতে যাচ্ছি। স্বয়ং আমি নিজেও তাঁর অনেক-ভাষণ ও আলোচনা শুনেছি। আশা করি তাঁর ইমান-জাগানিয়া খোতবা উম্মতের পার্থিব ও পরকালের মুক্তির বড় মাধ্যম হতে পারে। তাঁর মিশন বড় শক্তিশালী। তাঁর বিভিন্ন মাজহাব ও দিনে-ইসলামের মূলনীতি এবং রূপরেখার ওপর গভীর জ্ঞান রয়েছে। তাঁর আরবি ভাষার সহস্রাধিক কবিতা ঠোঁটস্থ। কণ্ঠ তো আল্লাহু আকবার! এত মধুময় যে, অনারবরাও সহজেই তাঁর আরবি বুঝে নিতে পারেন। এটি আল্লাহ -র বড় নেয়ামত যে, ঘণ্টাকে ঘণ্টা তেলাওয়াত ও দোয়া করা সত্তে¡ও তাঁর আওয়াজে কোনো ধরনের পরিবর্তন-পরিবর্ধন বা দুর্বলতার লেশমাত্রও ব্যাঘাত ঘটে না। সুবহানাল্লাহি-ওয়া-বি-হামদিহি-ওয়া-তাবারাকা-ওয়া তা-আলা-ওয়া শুকরান লাক।
ইনশাআল্লাহ এ-গ্রন্থটি উম্মতে-মুসলিমার বড় উপকারে আসবে। দোয়া করি : হে আল্লাহ, এই গ্রন্থটি আমাদের জন্য নাজাতের অসিলা বানিয়ে দিন। আমিন। ইয়া রাব্বাল আলামিন।