তোমাকে বলছি হে যুবক!
নাম: তোমাকে বলছি হে যুবক!মূল লেখক:ড. মুহাম্মাদ বিন আব্দুর রহমান আরিফী।অনূবাদ:মুফতী মুহাম্মাদ মামুনুর রশীদ।প্রকাশক: হুদহুদ প্রকাশন।পৃষ্ঠা সংখ্যা: ১৯৮।খুবই চমৎকার একটি বই।বইটিতে মূদ্রণপ্রমাদ থাকলেও তা খুবই কম।বাংলাও সাবলীল।আর হুদহুদ প্রকাশনীর বৈশিষ্ট্যানুযায়ী বইটির পৃষ্টা রঙিন,উন্নত ও ছবিসম্বলিত।তবে ছবির কারণে সৌন্দর্য্য বৃদ্ধি হলেও যথেষ্ট অপচয় ঘটেছে।পুরো বইটিতে নির্দিষ্ট কিছু প্রাকৃতিক দৃশ্য ঘুরে ফিরে এসেছে।যা ভালো লাগেনি।বইটির নাম দেখে মনে হবে এটি যুবকদের উদ্দেশে করা কোন উপদেশবাণী বা দিক-নির্দেশনা।অথচ বইয়ের নামের সাথে বিষয়বস্তর কোন মিলই নেই।তবে যে বিষয়ের উপর বইটি লেখা হয়েছে সেটিও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।বিষয়ের সাথে সামঞ্জস্য রেখে বইটির নামকরণ করা হলে অনেকেই ধোঁকা থেকে বাঁচতে পারতেন।বইটির শুরুতে সীরাতুন্নবী সম্পর্কে আমাদের উদাসীনতার প্রতি ইঙ্গিত করে বাস্তব কিছু চিত্র তিনি তুলে ধরেছেন।যা সত্যিই হৃদয়বিদারক। এবং একজন মুসলমানের জন্য লজ্জাজনকও বটে।এরপর তিনি খুবই সংক্ষেপে তবে চমৎকারভাবে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জীবনী ফুটিয়ে তুলেছেন।আর পুরো বই জুড়ে রয়েছে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বিভিন্ন মু'জিযার আলোচনা।এতে তিনি দলিলসহ ৩৭টি মু'জিযার আলোচনা করেছেন।শায়খের ভূমিকা পড়লে অবশ্যই আফসোস হবে মুসলিম উম্মাহর উদাসীনতার প্রতি! মনে হবে এতে তিনি যুবকদের সম্পর্কে রাসূলের নির্দেশনা আলোচনা করেছেন।শুরুতে তিনি সংক্ষেপে রাসূলের জীবনী আলোচনা করেছেন।এরপর মূল আলোচনা হয়েছে মু'জিযা সম্পর্কে। শেষে রাসূলের প্রতি উম্মাহর হক সম্পর্কে সংক্ষেপে খুবই তাৎপর্যপূর্ণ আলোচনা করেছেন।মু'জিযা তো স্বতন্ত্র একটি বিষয়।এর আলোচনা হওয়া খুবই দরকার।তবে বুঝে আসলো না, যুবকদের কে এমন হৃদয়স্পর্শী ও দরদমাখা লফযে আহবান করে মু'জিযার আলোচনা কেন করা হল?বইয়ের নামের সাথে বিষয়বস্তুর বড়ই বে-মানান মনে হচ্ছে আমার কাছে।ভূমিকার দাবী ছিল মুসলিম যুবকদের সাথে রাসূলের পরিচয় করিয়ে দেয়া।আত্মার বাঁধন সৃষ্টি করা।উম্মাহর জন্য রাসূলের দরদ ও সীমাহীন কষ্টের কথা আলোচনা করা।এর কোনটিই এতে নেই।যদিওবা শেষে যেয়ে রাসূলের প্রতি আমাদের করণীয় সম্পর্কে আলোচনা হয়েছে। কিন্তু যদি উম্মাহর প্রতি রাসূলের অবদানের আলোচনা হত তাহলে আমাদের মত কমজোর ঈমানদারদের কিছুটা হলেও বুঝে আসত তাঁর প্রতি আমাদের কী করণীয়?কেন করণীয়? জানিনা, এমনটি কি আসলেই লেখক করেছেন না অনুবাদক না অন্য কেউ!মু'জিযার আলোচনার জন্য বইটি মানানসই এবং প্রামাণ্য হত যদি নামটিও মু'জিযা সংশ্লিষ্ট হত।তবে মুহতারাম লেখকের আরো কিছু গ্রন্থ পড়েছি এবং অভিভূত হয়েছি। সর্বপ্রথম استمتع بحياتك এর অনুবাদ "সুখময় জীবনের সন্ধানে" পড়েই তাঁর প্রতি ভালোবাসা সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়াও তাঁর আরো দুয়েকটি গ্রন্থ পড়া হয়েছে। ইচ্ছে আছে তাঁর সবগুলি গ্রন্থ সংগ্রহের। তবে সবগুলি অনুবাদে গ্রন্থের মূল নাম থাকলেও এটিতে (তোমাকে বলছি....) মূল নাম পাইনি।আল্লাহ তা'আলা লেখক,অনুবাদক,প্রকাশক ও পাঠকসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে কবুল করুন।আমীন!
An Najahah Shop
Category List
All products

নাম: তোমাকে বলছি হে যুবক!
মূল লেখক:ড. মুহাম্মাদ বিন আব্দুর রহমান আরিফী।
অনূবাদ:মুফতী মুহাম্মাদ মামুনুর রশীদ।
প্রকাশক: হুদহুদ প্রকাশন।
পৃষ্ঠা সংখ্যা: ১৯৮।
খুবই চমৎকার একটি বই।বইটিতে মূদ্রণপ্রমাদ থাকলেও তা খুবই কম।বাংলাও সাবলীল।আর হুদহুদ প্রকাশনীর বৈশিষ্ট্যানুযায়ী বইটির পৃষ্টা রঙিন,উন্নত ও ছবিসম্বলিত।তবে ছবির কারণে সৌন্দর্য্য বৃদ্ধি হলেও যথেষ্ট অপচয় ঘটেছে।পুরো বইটিতে নির্দিষ্ট কিছু প্রাকৃতিক দৃশ্য ঘুরে ফিরে এসেছে।যা ভালো লাগেনি।
বইটির নাম দেখে মনে হবে এটি যুবকদের উদ্দেশে করা কোন উপদেশবাণী বা দিক-নির্দেশনা।অথচ বইয়ের নামের সাথে বিষয়বস্তর কোন মিলই নেই।তবে যে বিষয়ের উপর বইটি লেখা হয়েছে সেটিও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।বিষয়ের সাথে সামঞ্জস্য রেখে বইটির নামকরণ করা হলে অনেকেই ধোঁকা থেকে বাঁচতে পারতেন।বইটির শুরুতে সীরাতুন্নবী সম্পর্কে আমাদের উদাসীনতার প্রতি ইঙ্গিত করে বাস্তব কিছু চিত্র তিনি তুলে ধরেছেন।যা সত্যিই হৃদয়বিদারক। এবং একজন মুসলমানের জন্য লজ্জাজনকও বটে।এরপর তিনি খুবই সংক্ষেপে তবে চমৎকারভাবে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জীবনী ফুটিয়ে তুলেছেন।আর পুরো বই জুড়ে রয়েছে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বিভিন্ন মু'জিযার আলোচনা।এতে তিনি দলিলসহ ৩৭টি মু'জিযার আলোচনা করেছেন।শায়খের ভূমিকা পড়লে অবশ্যই আফসোস হবে মুসলিম উম্মাহর উদাসীনতার প্রতি! মনে হবে এতে তিনি যুবকদের সম্পর্কে রাসূলের নির্দেশনা আলোচনা করেছেন।শুরুতে তিনি সংক্ষেপে রাসূলের জীবনী আলোচনা করেছেন।এরপর মূল আলোচনা হয়েছে মু'জিযা সম্পর্কে। শেষে রাসূলের প্রতি উম্মাহর হক সম্পর্কে সংক্ষেপে খুবই তাৎপর্যপূর্ণ আলোচনা করেছেন।মু'জিযা তো স্বতন্ত্র একটি বিষয়।এর আলোচনা হওয়া খুবই দরকার।তবে বুঝে আসলো না, যুবকদের কে এমন হৃদয়স্পর্শী ও দরদমাখা লফযে আহবান করে মু'জিযার আলোচনা কেন করা হল?বইয়ের নামের সাথে বিষয়বস্তুর বড়ই বে-মানান মনে হচ্ছে আমার কাছে।ভূমিকার দাবী ছিল মুসলিম যুবকদের সাথে রাসূলের পরিচয় করিয়ে দেয়া।আত্মার বাঁধন সৃষ্টি করা।উম্মাহর জন্য রাসূলের দরদ ও সীমাহীন কষ্টের কথা আলোচনা করা।এর কোনটিই এতে নেই।যদিওবা শেষে যেয়ে রাসূলের প্রতি আমাদের করণীয় সম্পর্কে আলোচনা হয়েছে। কিন্তু যদি উম্মাহর প্রতি রাসূলের অবদানের আলোচনা হত তাহলে আমাদের মত কমজোর ঈমানদারদের কিছুটা হলেও বুঝে আসত তাঁর প্রতি আমাদের কী করণীয়?কেন করণীয়? জানিনা, এমনটি কি আসলেই লেখক করেছেন না অনুবাদক না অন্য কেউ!মু'জিযার আলোচনার জন্য বইটি মানানসই এবং প্রামাণ্য হত যদি নামটিও মু'জিযা সংশ্লিষ্ট হত।তবে মুহতারাম লেখকের আরো কিছু গ্রন্থ পড়েছি এবং অভিভূত হয়েছি। সর্বপ্রথম استمتع بحياتك এর অনুবাদ "সুখময় জীবনের সন্ধানে" পড়েই তাঁর প্রতি ভালোবাসা সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়াও তাঁর আরো দুয়েকটি গ্রন্থ পড়া হয়েছে। ইচ্ছে আছে তাঁর সবগুলি গ্রন্থ সংগ্রহের। তবে সবগুলি অনুবাদে গ্রন্থের মূল নাম থাকলেও এটিতে (তোমাকে বলছি....) মূল নাম পাইনি।
আল্লাহ তা'আলা লেখক,অনুবাদক,প্রকাশক ও পাঠকসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে কবুল করুন।আমীন!
তোমাকে বলছি হে যুবক!
240 BDT400 BDTSave 160 BDT
1
নাম: তোমাকে বলছি হে যুবক!
মূল লেখক:ড. মুহাম্মাদ বিন আব্দুর রহমান আরিফী।
অনূবাদ:মুফতী মুহাম্মাদ মামুনুর রশীদ।
প্রকাশক: হুদহুদ প্রকাশন।
পৃষ্ঠা সংখ্যা: ১৯৮।
খুবই চমৎকার একটি বই।বইটিতে মূদ্রণপ্রমাদ থাকলেও তা খুবই কম।বাংলাও সাবলীল।আর হুদহুদ প্রকাশনীর বৈশিষ্ট্যানুযায়ী বইটির পৃষ্টা রঙিন,উন্নত ও ছবিসম্বলিত।তবে ছবির কারণে সৌন্দর্য্য বৃদ্ধি হলেও যথেষ্ট অপচয় ঘটেছে।পুরো বইটিতে নির্দিষ্ট কিছু প্রাকৃতিক দৃশ্য ঘুরে ফিরে এসেছে।যা ভালো লাগেনি।
বইটির নাম দেখে মনে হবে এটি যুবকদের উদ্দেশে করা কোন উপদেশবাণী বা দিক-নির্দেশনা।অথচ বইয়ের নামের সাথে বিষয়বস্তর কোন মিলই নেই।তবে যে বিষয়ের উপর বইটি লেখা হয়েছে সেটিও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।বিষয়ের সাথে সামঞ্জস্য রেখে বইটির নামকরণ করা হলে অনেকেই ধোঁকা থেকে বাঁচতে পারতেন।বইটির শুরুতে সীরাতুন্নবী সম্পর্কে আমাদের উদাসীনতার প্রতি ইঙ্গিত করে বাস্তব কিছু চিত্র তিনি তুলে ধরেছেন।যা সত্যিই হৃদয়বিদারক। এবং একজন মুসলমানের জন্য লজ্জাজনকও বটে।এরপর তিনি খুবই সংক্ষেপে তবে চমৎকারভাবে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জীবনী ফুটিয়ে তুলেছেন।আর পুরো বই জুড়ে রয়েছে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বিভিন্ন মু'জিযার আলোচনা।এতে তিনি দলিলসহ ৩৭টি মু'জিযার আলোচনা করেছেন।শায়খের ভূমিকা পড়লে অবশ্যই আফসোস হবে মুসলিম উম্মাহর উদাসীনতার প্রতি! মনে হবে এতে তিনি যুবকদের সম্পর্কে রাসূলের নির্দেশনা আলোচনা করেছেন।শুরুতে তিনি সংক্ষেপে রাসূলের জীবনী আলোচনা করেছেন।এরপর মূল আলোচনা হয়েছে মু'জিযা সম্পর্কে। শেষে রাসূলের প্রতি উম্মাহর হক সম্পর্কে সংক্ষেপে খুবই তাৎপর্যপূর্ণ আলোচনা করেছেন।মু'জিযা তো স্বতন্ত্র একটি বিষয়।এর আলোচনা হওয়া খুবই দরকার।তবে বুঝে আসলো না, যুবকদের কে এমন হৃদয়স্পর্শী ও দরদমাখা লফযে আহবান করে মু'জিযার আলোচনা কেন করা হল?বইয়ের নামের সাথে বিষয়বস্তুর বড়ই বে-মানান মনে হচ্ছে আমার কাছে।ভূমিকার দাবী ছিল মুসলিম যুবকদের সাথে রাসূলের পরিচয় করিয়ে দেয়া।আত্মার বাঁধন সৃষ্টি করা।উম্মাহর জন্য রাসূলের দরদ ও সীমাহীন কষ্টের কথা আলোচনা করা।এর কোনটিই এতে নেই।যদিওবা শেষে যেয়ে রাসূলের প্রতি আমাদের করণীয় সম্পর্কে আলোচনা হয়েছে। কিন্তু যদি উম্মাহর প্রতি রাসূলের অবদানের আলোচনা হত তাহলে আমাদের মত কমজোর ঈমানদারদের কিছুটা হলেও বুঝে আসত তাঁর প্রতি আমাদের কী করণীয়?কেন করণীয়? জানিনা, এমনটি কি আসলেই লেখক করেছেন না অনুবাদক না অন্য কেউ!মু'জিযার আলোচনার জন্য বইটি মানানসই এবং প্রামাণ্য হত যদি নামটিও মু'জিযা সংশ্লিষ্ট হত।তবে মুহতারাম লেখকের আরো কিছু গ্রন্থ পড়েছি এবং অভিভূত হয়েছি। সর্বপ্রথম استمتع بحياتك এর অনুবাদ "সুখময় জীবনের সন্ধানে" পড়েই তাঁর প্রতি ভালোবাসা সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়াও তাঁর আরো দুয়েকটি গ্রন্থ পড়া হয়েছে। ইচ্ছে আছে তাঁর সবগুলি গ্রন্থ সংগ্রহের। তবে সবগুলি অনুবাদে গ্রন্থের মূল নাম থাকলেও এটিতে (তোমাকে বলছি....) মূল নাম পাইনি।
আল্লাহ তা'আলা লেখক,অনুবাদক,প্রকাশক ও পাঠকসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে কবুল করুন।আমীন!