সালাফদের ইবাদত
চারিত্রিক নিষ্কলুষতার অনুপম দৃষ্টান্তখারেজা বিন মুসয়াব থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন- আমি হজে যাওয়ার সময় আমার বাদি ইমাম আবু হানিফা রাহমাতুল্লাহি আলাইহির কাছে রেখে যাই। আমি প্রায় চার মাস মক্কায় ছিলাম। ফেরার সময় আমি ইমাম আবু হানিফা রাহমাতুল্লাহি আলাইহির কাছে উপস্থিত হয়ে জিজ্ঞেস করলাম- হযরত, আমার এ বাদিকে খেদমত ও চারিত্রিক দিক দিয়ে কেমন পেয়েছেন? তিনি বললেন- যে কুরআন পড়ায়, লোকদের আমলের উপদেশ দেয়, হালাল-হারামের ফতোয়া দেয়- তার জন্য উচিৎ অন্য সাধারণ ব্যক্তিদের মতো না হওয়া। তাদের কর্তব্য হলো, অন্য সবার চেয়ে ভিন্ন ভূমিকা পালন করে নিজের নযর ও নফসের হেফাযত করা। আল্লাহর কসম, তুমি এ বাদি রেখে যাওয়ার পর আমি তার দিকে চোখ তুলেও তাকাইনি।খারেজা বলেন, তারপর আমি আমার বাদিকে ইমাম আবু হানিফা রাহমাতুল্লাহি আলাইহির চরিত্র ও ঘরের লোকদের সঙ্গে তার আচরণ প্রসঙ্গে জানতে চাইলাম। বাদি বলল- আমি আবু হানিফা রাহমাতুল্লাহি আলাইহির মতো পবিত্র ও নিষ্কলুষ ব্যক্তি আর কখনও দেখিনি। আমি কখনও তাকে ঘরে জানাবাতের গোসল করতে দেখিনি। তিনি প্রতিদিন রোযা রাখতেন। হাদিয়া-তোহফার ক্ষেত্রে তার দৃষ্টিভঙ্গিগওরক সা’দি আল-কুফি থেকে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন- আমি একবার ইমাম আবু হানিফা রাহমাতুল্লাহি আলাইহির কাছে কিছু হাদিয়া পাঠালাম। তিনিও আমাকে ফিরতি হাদিয়া পাঠালেন। এটা দেখে আমি তাকে বললাম- হযরত, আপনি এতো কষ্ট করবেন জানলে আমি কখনও এমন করতাম না। উত্তরে তিনি বললেন- এমন কথা কখনও বলো না। কারণ, অধিক পুণ্য ও প্রতিদান অগ্রগামী লোকদেরই অর্জিত হয়ে থাকে।একাগ্রচিত্ত ইবাদত, আমলে আলেমসুলভ গাম্ভীর্য ও ধৈর্য আমর ইবনে হাইছাম বলেন- আমি একবার মহকুমার অভিনন্দনপত্র নিয়ে ইমাম আবু হানিফা রাহমাতুল্লাহি আলাইহির কাছে হাযির হলাম। তখন আসরের সময় ছিল। তিনি মসজিদেই আসর, মাগরিব ও এশা পড়লেন। এশার পর আমাকে সাথে নিয়ে বিশ্রামাগারে গেলেন। মেহমানদারি করালেন। আমার থাকার বিছানার ব্যবস্থা করে দিলেন। আমি শুয়ে গেলাম। কিন্তু তিনি ঘুমালেন না। বিছানার এক কোণে নামাজে দাড়িয়ে গেলেন। সারারাত নামাজ পড়লেন। সকাল হলে আমাকে ঘুম থেকে উঠালেন। তিনি অযুর পানি দিলেন এবং মসজিদে চলে এলেন। ফজরের নামাজ পড়ে আপন স্থানে বসে রইলেন। হঠাৎ একটি সাপ মসজিদের ছাদ থেকে তার উপর পড়ল। তিনি সাপের মাথায় পা চেপে ধরলেন এবং শান্তভাবে বসে রইলেন। আগের মতো যিকির- আযকারে মশগুল রইলেন। সূর্য উদয় হলে তিনি দোয়া পড়লেন- الحمد لله الذي اطلعها من مطلعها، اللهم ارزقنا خيرها وخير ما طلعت فيها অর্থ- সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ তায়ালার যিনি সূর্যকে তার উদয়স্থল দিয়ে উদিত করেছেন। হে আল্লাহ, আপনি আমাদেরকে এ সূর্য ও সূর্যের উদয়স্থলের কল্যাণ দ্বারা ভরপুর করে দিন। এরপর আবু হানিফা রাহমাতুল্লাহি আলাইহি সাপটি মারার আদেশ দিলেন। এ দীর্ঘ সময় পর্যন্ত তিনি অত্যন্ত ধীর-স্থির ও গাম্ভীর্যের সাথে আপন স্থানে যিকির-আযকারে মশগুল ছিলেন।দেখলেন সালাফদের ইবাদত।। আমরা কতটুকুই করতে পারছি?।।
An Najahah Shop
Category List
All products

চারিত্রিক নিষ্কলুষতার অনুপম দৃষ্টান্ত
খারেজা বিন মুসয়াব থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন- আমি হজে যাওয়ার সময় আমার বাদি ইমাম আবু হানিফা রাহমাতুল্লাহি আলাইহির কাছে রেখে যাই। আমি প্রায় চার মাস মক্কায় ছিলাম। ফেরার সময় আমি ইমাম আবু হানিফা রাহমাতুল্লাহি আলাইহির কাছে উপস্থিত হয়ে জিজ্ঞেস করলাম- হযরত, আমার এ বাদিকে খেদমত ও চারিত্রিক দিক দিয়ে কেমন পেয়েছেন? তিনি বললেন- যে কুরআন পড়ায়, লোকদের আমলের উপদেশ দেয়, হালাল-হারামের ফতোয়া দেয়- তার জন্য উচিৎ অন্য সাধারণ ব্যক্তিদের মতো না হওয়া। তাদের কর্তব্য হলো, অন্য সবার চেয়ে ভিন্ন ভূমিকা পালন করে নিজের নযর ও নফসের হেফাযত করা। আল্লাহর কসম, তুমি এ বাদি রেখে যাওয়ার পর আমি তার দিকে চোখ তুলেও তাকাইনি।
খারেজা বলেন, তারপর আমি আমার বাদিকে ইমাম আবু হানিফা রাহমাতুল্লাহি আলাইহির চরিত্র ও ঘরের লোকদের সঙ্গে তার আচরণ প্রসঙ্গে জানতে চাইলাম। বাদি বলল- আমি আবু হানিফা রাহমাতুল্লাহি আলাইহির মতো পবিত্র ও নিষ্কলুষ ব্যক্তি আর কখনও দেখিনি। আমি কখনও তাকে ঘরে জানাবাতের গোসল করতে দেখিনি। তিনি প্রতিদিন রোযা রাখতেন।
হাদিয়া-তোহফার ক্ষেত্রে তার দৃষ্টিভঙ্গি
গওরক সা’দি আল-কুফি থেকে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন- আমি একবার ইমাম আবু হানিফা রাহমাতুল্লাহি আলাইহির কাছে কিছু হাদিয়া পাঠালাম। তিনিও আমাকে ফিরতি হাদিয়া পাঠালেন। এটা দেখে আমি তাকে বললাম- হযরত, আপনি এতো কষ্ট করবেন জানলে আমি কখনও এমন করতাম না। উত্তরে তিনি বললেন- এমন কথা কখনও বলো না। কারণ, অধিক পুণ্য ও প্রতিদান অগ্রগামী লোকদেরই অর্জিত হয়ে থাকে।
একাগ্রচিত্ত ইবাদত, আমলে আলেমসুলভ গাম্ভীর্য ও ধৈর্য
আমর ইবনে হাইছাম বলেন- আমি একবার মহকুমার অভিনন্দনপত্র নিয়ে ইমাম আবু হানিফা রাহমাতুল্লাহি আলাইহির কাছে হাযির হলাম। তখন আসরের সময় ছিল। তিনি মসজিদেই আসর, মাগরিব ও এশা পড়লেন। এশার পর আমাকে সাথে নিয়ে বিশ্রামাগারে গেলেন। মেহমানদারি করালেন। আমার থাকার বিছানার ব্যবস্থা করে দিলেন। আমি শুয়ে গেলাম। কিন্তু তিনি ঘুমালেন না। বিছানার এক কোণে নামাজে দাড়িয়ে গেলেন। সারারাত নামাজ পড়লেন। সকাল হলে আমাকে ঘুম থেকে উঠালেন। তিনি অযুর পানি দিলেন এবং মসজিদে চলে এলেন। ফজরের নামাজ পড়ে আপন স্থানে বসে রইলেন। হঠাৎ একটি সাপ মসজিদের ছাদ থেকে তার উপর পড়ল। তিনি সাপের মাথায় পা চেপে ধরলেন এবং শান্তভাবে বসে রইলেন। আগের মতো যিকির- আযকারে মশগুল রইলেন। সূর্য উদয় হলে তিনি দোয়া পড়লেন-
الحمد لله الذي اطلعها من مطلعها، اللهم ارزقنا خيرها وخير ما طلعت فيها
অর্থ- সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ তায়ালার যিনি সূর্যকে তার উদয়স্থল দিয়ে উদিত করেছেন। হে আল্লাহ, আপনি আমাদেরকে এ সূর্য ও সূর্যের উদয়স্থলের কল্যাণ দ্বারা ভরপুর করে দিন।
এরপর আবু হানিফা রাহমাতুল্লাহি আলাইহি সাপটি মারার আদেশ দিলেন। এ দীর্ঘ সময় পর্যন্ত তিনি অত্যন্ত ধীর-স্থির ও গাম্ভীর্যের সাথে আপন স্থানে যিকির-আযকারে মশগুল ছিলেন।
দেখলেন সালাফদের ইবাদত।। আমরা কতটুকুই করতে পারছি?।।
খারেজা বিন মুসয়াব থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন- আমি হজে যাওয়ার সময় আমার বাদি ইমাম আবু হানিফা রাহমাতুল্লাহি আলাইহির কাছে রেখে যাই। আমি প্রায় চার মাস মক্কায় ছিলাম। ফেরার সময় আমি ইমাম আবু হানিফা রাহমাতুল্লাহি আলাইহির কাছে উপস্থিত হয়ে জিজ্ঞেস করলাম- হযরত, আমার এ বাদিকে খেদমত ও চারিত্রিক দিক দিয়ে কেমন পেয়েছেন? তিনি বললেন- যে কুরআন পড়ায়, লোকদের আমলের উপদেশ দেয়, হালাল-হারামের ফতোয়া দেয়- তার জন্য উচিৎ অন্য সাধারণ ব্যক্তিদের মতো না হওয়া। তাদের কর্তব্য হলো, অন্য সবার চেয়ে ভিন্ন ভূমিকা পালন করে নিজের নযর ও নফসের হেফাযত করা। আল্লাহর কসম, তুমি এ বাদি রেখে যাওয়ার পর আমি তার দিকে চোখ তুলেও তাকাইনি।
খারেজা বলেন, তারপর আমি আমার বাদিকে ইমাম আবু হানিফা রাহমাতুল্লাহি আলাইহির চরিত্র ও ঘরের লোকদের সঙ্গে তার আচরণ প্রসঙ্গে জানতে চাইলাম। বাদি বলল- আমি আবু হানিফা রাহমাতুল্লাহি আলাইহির মতো পবিত্র ও নিষ্কলুষ ব্যক্তি আর কখনও দেখিনি। আমি কখনও তাকে ঘরে জানাবাতের গোসল করতে দেখিনি। তিনি প্রতিদিন রোযা রাখতেন।
হাদিয়া-তোহফার ক্ষেত্রে তার দৃষ্টিভঙ্গি
গওরক সা’দি আল-কুফি থেকে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন- আমি একবার ইমাম আবু হানিফা রাহমাতুল্লাহি আলাইহির কাছে কিছু হাদিয়া পাঠালাম। তিনিও আমাকে ফিরতি হাদিয়া পাঠালেন। এটা দেখে আমি তাকে বললাম- হযরত, আপনি এতো কষ্ট করবেন জানলে আমি কখনও এমন করতাম না। উত্তরে তিনি বললেন- এমন কথা কখনও বলো না। কারণ, অধিক পুণ্য ও প্রতিদান অগ্রগামী লোকদেরই অর্জিত হয়ে থাকে।
একাগ্রচিত্ত ইবাদত, আমলে আলেমসুলভ গাম্ভীর্য ও ধৈর্য
আমর ইবনে হাইছাম বলেন- আমি একবার মহকুমার অভিনন্দনপত্র নিয়ে ইমাম আবু হানিফা রাহমাতুল্লাহি আলাইহির কাছে হাযির হলাম। তখন আসরের সময় ছিল। তিনি মসজিদেই আসর, মাগরিব ও এশা পড়লেন। এশার পর আমাকে সাথে নিয়ে বিশ্রামাগারে গেলেন। মেহমানদারি করালেন। আমার থাকার বিছানার ব্যবস্থা করে দিলেন। আমি শুয়ে গেলাম। কিন্তু তিনি ঘুমালেন না। বিছানার এক কোণে নামাজে দাড়িয়ে গেলেন। সারারাত নামাজ পড়লেন। সকাল হলে আমাকে ঘুম থেকে উঠালেন। তিনি অযুর পানি দিলেন এবং মসজিদে চলে এলেন। ফজরের নামাজ পড়ে আপন স্থানে বসে রইলেন। হঠাৎ একটি সাপ মসজিদের ছাদ থেকে তার উপর পড়ল। তিনি সাপের মাথায় পা চেপে ধরলেন এবং শান্তভাবে বসে রইলেন। আগের মতো যিকির- আযকারে মশগুল রইলেন। সূর্য উদয় হলে তিনি দোয়া পড়লেন-
الحمد لله الذي اطلعها من مطلعها، اللهم ارزقنا خيرها وخير ما طلعت فيها
অর্থ- সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ তায়ালার যিনি সূর্যকে তার উদয়স্থল দিয়ে উদিত করেছেন। হে আল্লাহ, আপনি আমাদেরকে এ সূর্য ও সূর্যের উদয়স্থলের কল্যাণ দ্বারা ভরপুর করে দিন।
এরপর আবু হানিফা রাহমাতুল্লাহি আলাইহি সাপটি মারার আদেশ দিলেন। এ দীর্ঘ সময় পর্যন্ত তিনি অত্যন্ত ধীর-স্থির ও গাম্ভীর্যের সাথে আপন স্থানে যিকির-আযকারে মশগুল ছিলেন।
দেখলেন সালাফদের ইবাদত।। আমরা কতটুকুই করতে পারছি?।।
সালাফদের ইবাদত
245 BDT330 BDTSave 85 BDT
1
চারিত্রিক নিষ্কলুষতার অনুপম দৃষ্টান্ত
খারেজা বিন মুসয়াব থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন- আমি হজে যাওয়ার সময় আমার বাদি ইমাম আবু হানিফা রাহমাতুল্লাহি আলাইহির কাছে রেখে যাই। আমি প্রায় চার মাস মক্কায় ছিলাম। ফেরার সময় আমি ইমাম আবু হানিফা রাহমাতুল্লাহি আলাইহির কাছে উপস্থিত হয়ে জিজ্ঞেস করলাম- হযরত, আমার এ বাদিকে খেদমত ও চারিত্রিক দিক দিয়ে কেমন পেয়েছেন? তিনি বললেন- যে কুরআন পড়ায়, লোকদের আমলের উপদেশ দেয়, হালাল-হারামের ফতোয়া দেয়- তার জন্য উচিৎ অন্য সাধারণ ব্যক্তিদের মতো না হওয়া। তাদের কর্তব্য হলো, অন্য সবার চেয়ে ভিন্ন ভূমিকা পালন করে নিজের নযর ও নফসের হেফাযত করা। আল্লাহর কসম, তুমি এ বাদি রেখে যাওয়ার পর আমি তার দিকে চোখ তুলেও তাকাইনি।
খারেজা বলেন, তারপর আমি আমার বাদিকে ইমাম আবু হানিফা রাহমাতুল্লাহি আলাইহির চরিত্র ও ঘরের লোকদের সঙ্গে তার আচরণ প্রসঙ্গে জানতে চাইলাম। বাদি বলল- আমি আবু হানিফা রাহমাতুল্লাহি আলাইহির মতো পবিত্র ও নিষ্কলুষ ব্যক্তি আর কখনও দেখিনি। আমি কখনও তাকে ঘরে জানাবাতের গোসল করতে দেখিনি। তিনি প্রতিদিন রোযা রাখতেন।
হাদিয়া-তোহফার ক্ষেত্রে তার দৃষ্টিভঙ্গি
গওরক সা’দি আল-কুফি থেকে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন- আমি একবার ইমাম আবু হানিফা রাহমাতুল্লাহি আলাইহির কাছে কিছু হাদিয়া পাঠালাম। তিনিও আমাকে ফিরতি হাদিয়া পাঠালেন। এটা দেখে আমি তাকে বললাম- হযরত, আপনি এতো কষ্ট করবেন জানলে আমি কখনও এমন করতাম না। উত্তরে তিনি বললেন- এমন কথা কখনও বলো না। কারণ, অধিক পুণ্য ও প্রতিদান অগ্রগামী লোকদেরই অর্জিত হয়ে থাকে।
একাগ্রচিত্ত ইবাদত, আমলে আলেমসুলভ গাম্ভীর্য ও ধৈর্য
আমর ইবনে হাইছাম বলেন- আমি একবার মহকুমার অভিনন্দনপত্র নিয়ে ইমাম আবু হানিফা রাহমাতুল্লাহি আলাইহির কাছে হাযির হলাম। তখন আসরের সময় ছিল। তিনি মসজিদেই আসর, মাগরিব ও এশা পড়লেন। এশার পর আমাকে সাথে নিয়ে বিশ্রামাগারে গেলেন। মেহমানদারি করালেন। আমার থাকার বিছানার ব্যবস্থা করে দিলেন। আমি শুয়ে গেলাম। কিন্তু তিনি ঘুমালেন না। বিছানার এক কোণে নামাজে দাড়িয়ে গেলেন। সারারাত নামাজ পড়লেন। সকাল হলে আমাকে ঘুম থেকে উঠালেন। তিনি অযুর পানি দিলেন এবং মসজিদে চলে এলেন। ফজরের নামাজ পড়ে আপন স্থানে বসে রইলেন। হঠাৎ একটি সাপ মসজিদের ছাদ থেকে তার উপর পড়ল। তিনি সাপের মাথায় পা চেপে ধরলেন এবং শান্তভাবে বসে রইলেন। আগের মতো যিকির- আযকারে মশগুল রইলেন। সূর্য উদয় হলে তিনি দোয়া পড়লেন-
الحمد لله الذي اطلعها من مطلعها، اللهم ارزقنا خيرها وخير ما طلعت فيها
অর্থ- সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ তায়ালার যিনি সূর্যকে তার উদয়স্থল দিয়ে উদিত করেছেন। হে আল্লাহ, আপনি আমাদেরকে এ সূর্য ও সূর্যের উদয়স্থলের কল্যাণ দ্বারা ভরপুর করে দিন।
এরপর আবু হানিফা রাহমাতুল্লাহি আলাইহি সাপটি মারার আদেশ দিলেন। এ দীর্ঘ সময় পর্যন্ত তিনি অত্যন্ত ধীর-স্থির ও গাম্ভীর্যের সাথে আপন স্থানে যিকির-আযকারে মশগুল ছিলেন।
দেখলেন সালাফদের ইবাদত।। আমরা কতটুকুই করতে পারছি?।।
খারেজা বিন মুসয়াব থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন- আমি হজে যাওয়ার সময় আমার বাদি ইমাম আবু হানিফা রাহমাতুল্লাহি আলাইহির কাছে রেখে যাই। আমি প্রায় চার মাস মক্কায় ছিলাম। ফেরার সময় আমি ইমাম আবু হানিফা রাহমাতুল্লাহি আলাইহির কাছে উপস্থিত হয়ে জিজ্ঞেস করলাম- হযরত, আমার এ বাদিকে খেদমত ও চারিত্রিক দিক দিয়ে কেমন পেয়েছেন? তিনি বললেন- যে কুরআন পড়ায়, লোকদের আমলের উপদেশ দেয়, হালাল-হারামের ফতোয়া দেয়- তার জন্য উচিৎ অন্য সাধারণ ব্যক্তিদের মতো না হওয়া। তাদের কর্তব্য হলো, অন্য সবার চেয়ে ভিন্ন ভূমিকা পালন করে নিজের নযর ও নফসের হেফাযত করা। আল্লাহর কসম, তুমি এ বাদি রেখে যাওয়ার পর আমি তার দিকে চোখ তুলেও তাকাইনি।
খারেজা বলেন, তারপর আমি আমার বাদিকে ইমাম আবু হানিফা রাহমাতুল্লাহি আলাইহির চরিত্র ও ঘরের লোকদের সঙ্গে তার আচরণ প্রসঙ্গে জানতে চাইলাম। বাদি বলল- আমি আবু হানিফা রাহমাতুল্লাহি আলাইহির মতো পবিত্র ও নিষ্কলুষ ব্যক্তি আর কখনও দেখিনি। আমি কখনও তাকে ঘরে জানাবাতের গোসল করতে দেখিনি। তিনি প্রতিদিন রোযা রাখতেন।
হাদিয়া-তোহফার ক্ষেত্রে তার দৃষ্টিভঙ্গি
গওরক সা’দি আল-কুফি থেকে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন- আমি একবার ইমাম আবু হানিফা রাহমাতুল্লাহি আলাইহির কাছে কিছু হাদিয়া পাঠালাম। তিনিও আমাকে ফিরতি হাদিয়া পাঠালেন। এটা দেখে আমি তাকে বললাম- হযরত, আপনি এতো কষ্ট করবেন জানলে আমি কখনও এমন করতাম না। উত্তরে তিনি বললেন- এমন কথা কখনও বলো না। কারণ, অধিক পুণ্য ও প্রতিদান অগ্রগামী লোকদেরই অর্জিত হয়ে থাকে।
একাগ্রচিত্ত ইবাদত, আমলে আলেমসুলভ গাম্ভীর্য ও ধৈর্য
আমর ইবনে হাইছাম বলেন- আমি একবার মহকুমার অভিনন্দনপত্র নিয়ে ইমাম আবু হানিফা রাহমাতুল্লাহি আলাইহির কাছে হাযির হলাম। তখন আসরের সময় ছিল। তিনি মসজিদেই আসর, মাগরিব ও এশা পড়লেন। এশার পর আমাকে সাথে নিয়ে বিশ্রামাগারে গেলেন। মেহমানদারি করালেন। আমার থাকার বিছানার ব্যবস্থা করে দিলেন। আমি শুয়ে গেলাম। কিন্তু তিনি ঘুমালেন না। বিছানার এক কোণে নামাজে দাড়িয়ে গেলেন। সারারাত নামাজ পড়লেন। সকাল হলে আমাকে ঘুম থেকে উঠালেন। তিনি অযুর পানি দিলেন এবং মসজিদে চলে এলেন। ফজরের নামাজ পড়ে আপন স্থানে বসে রইলেন। হঠাৎ একটি সাপ মসজিদের ছাদ থেকে তার উপর পড়ল। তিনি সাপের মাথায় পা চেপে ধরলেন এবং শান্তভাবে বসে রইলেন। আগের মতো যিকির- আযকারে মশগুল রইলেন। সূর্য উদয় হলে তিনি দোয়া পড়লেন-
الحمد لله الذي اطلعها من مطلعها، اللهم ارزقنا خيرها وخير ما طلعت فيها
অর্থ- সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ তায়ালার যিনি সূর্যকে তার উদয়স্থল দিয়ে উদিত করেছেন। হে আল্লাহ, আপনি আমাদেরকে এ সূর্য ও সূর্যের উদয়স্থলের কল্যাণ দ্বারা ভরপুর করে দিন।
এরপর আবু হানিফা রাহমাতুল্লাহি আলাইহি সাপটি মারার আদেশ দিলেন। এ দীর্ঘ সময় পর্যন্ত তিনি অত্যন্ত ধীর-স্থির ও গাম্ভীর্যের সাথে আপন স্থানে যিকির-আযকারে মশগুল ছিলেন।
দেখলেন সালাফদের ইবাদত।। আমরা কতটুকুই করতে পারছি?।।