আলোর পিদিম
বইঃ আলোর পিদিমলেখকঃ আবদুল্লাহ আল মাসউদপৃষ্ঠা সংখ্যাঃ ২০৮বাঁধাইঃ পেপারব্যাকসাধারণ মানুষদের ইলম অর্জনের পথ ও পদ্ধতি জেনারেল শিক্ষিত ভাই-বোনরা দ্বীনের পথে আসার পরে ইলম অর্জনের প্রতি সচেষ্ট হচ্ছেন এটি খুবই সুসংবাদের কথা। কিন্তু এই পথ মাড়াতে গিয়ে অনেকেই কূলকিনারা খুঁজে পান না। কোত্থেকে শুরু করবেন, কী দিয়ে শুরু করবেন, কোথায় পড়বেন, কার কাছে পড়বেন, কীভাবে পড়বেন এমন হাজারো প্রশ্ন এসে ভিড় করে তাদের মাথায়। এগুলোর সদুত্তরও সহজে খুঁজে পান না অনেকে। ফলে তাদের ইলমচর্চার পথটা হয় অনেক বেশি কণ্টকাকীর্ণ কিংবা অগোছালো অসম্পূর্ণতায় ভরা। এই লেখাতে আমরা মোটামুটিভাবে ইলমচর্চার পথ ও পদ্ধতি সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত তবে সামগ্রিক একটি ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ। ব্যক্তিভেদে এতে কমবেশ হতে পারে বা ধরনে একটু-আধটু পরিবর্তন আসতে পারে। তবে মৌলিকভাবে পুরো বিষয় এমন বা এর কাছাকাছিই হবে আশা করি। প্রত্যেক ব্যক্তির ইলমচর্চার সময়-সুযোগ সমান নয়। তাই প্রথমেই নিজের দিকে তাকাতে হবে। বুঝতে হবে, তিনি কোন ক্যাটাগরির। তার হাতে সময় কতটুকু আছে, সুযোগ কতটুকু আছে। সময়-সুযোগের আনুপাতিক হারে নিজের পুরো ইলমচর্চার পথটিকে সাজাতে হবে।এই বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ অনেককেই দেখা যায়, নিজের সময়-সুযোগের প্রতি ভ্রুক্ষেপ না করে হুট করেই কোনো প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়ে যাচ্ছে বা কোনো এক জায়গা থেকে শুরু করে দিচ্ছে। ফলে কুলোতে না পেরে একপর্যায়ে ইলমচর্চা ছেড়ে দিচ্ছে এবং এই সুযোগে হতাশা তাকে পুরোপুরি মুড়িয়ে নিচ্ছে। শয়তান তার মানে এমন ভাবনার উদ্রেক ঢুকিয়ে দিচ্ছে তোমাকে দিয়ে ইলমচর্চা হবে না। অথচ সে যদি নিজের ক্যাপাসিটি বুঝে সেইভাবে যাত্রা শুরু করত তাহলে এমনটা হতো না।প্রথমেই খুঁজে দেখুন, অফলাইনে ভালো ও যোগ্য কোনো আলিমের কাছ থেকে ইলমচর্চা করার সুযোগ আপনার আছে কিনা। যদি থাকে তাহলে সময়মতো তাঁর কাছে যান এবং নিজের ইচ্ছা ও প্রয়োজনের কথা তাকে খুলে বলুন। আশা করি তিনি আপনার প্রবল ইচ্ছাকে মূল্যায়ন করবেন। আর যদি সেই সুযোগ না থাকে তাহলে বর্তমানে বহু অনলাইন অ্যাকাডেমি তৈরি হয়েছে ভালো মানের কোনো অ্যাকাডেমি খুঁজে সেখানে প্রয়োজনীয় কোর্সে ভর্তি হয়ে নিন। কীসে ভর্তি হবেন সেই বিষয়ে সামনে বিস্তারিত কথা আসবে। মনে রাখবেন, অনলাইনের পড়াশোনা কখনোই অফলাইনের পড়াশোনার ঊর্ধ্বে নয়। অফলাইনে পড়াই হলো ইলমচর্চার প্রধান ও প্রথম মাধ্যম। তাই সুযোগ থাকলে একেই আঁকড়ে ধরা উচিত। এতে করে সরাসরি পড়ার বরকত পাওয়া যায় এবং উস্তাদের সোহবত পাওয়া সম্ভব হয়, যার প্রভাব-প্রতিপত্তি অনস্বীকার্য। যদি এটি পারা না যায় তখন সেকেন্ড অপশন হিসেবে অনলাইনের ভালো কোনো প্রতিষ্ঠানকে বেছে নিন। ইলমচর্চার ক্ষেত্রে ধারাবাহিকতা বজায় রাখা অতীব গুরুত্বপূর্ণ। যদি আপনি কুরআন পড়তে না পারেন তাহলে সর্বপ্রথম শুদ্ধভাবে কুরআন পড়া শেখার পেছনে সময় দিন। তারপর অন্যদিকে মনোযোগ দিন। অনেক ভাই-বোন আছেন, যারা শুদ্ধভাবে কুরআন পড়তে পারে না কিন্তু অন্যান্য বইপত্র নিয়ে ব্যস্ত থাকে। বিভিন্ন কোর্সে নিজেকে জড়িয়ে ফেলে। ফলে দিন যত গড়ায়, অন্যান্যা জিনিস তার শেখা হলেও কুরআনের তিলাওয়াত থেকে যায় আগের মতোই। এটি খুবই গর্হিত কাজ এবং কুরআনের প্রতি এক প্রকারের অবহেলা প্রদর্শন। এই ধরনের ত্রুটি কারও মধ্যে থাকলে তার উচিত দ্রুতই তা সংশোধন করে নেওয়া।
An Najahah Shop
Category List
All products

বইঃ আলোর পিদিম
লেখকঃ আবদুল্লাহ আল মাসউদ
পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ ২০৮
বাঁধাইঃ পেপারব্যাক
সাধারণ মানুষদের ইলম অর্জনের পথ ও পদ্ধতি
জেনারেল শিক্ষিত ভাই-বোনরা দ্বীনের পথে আসার পরে ইলম অর্জনের প্রতি সচেষ্ট হচ্ছেন এটি খুবই সুসংবাদের কথা। কিন্তু এই পথ মাড়াতে গিয়ে অনেকেই কূলকিনারা খুঁজে পান না। কোত্থেকে শুরু করবেন, কী দিয়ে শুরু করবেন, কোথায় পড়বেন, কার কাছে পড়বেন, কীভাবে পড়বেন এমন হাজারো প্রশ্ন এসে ভিড় করে তাদের মাথায়। এগুলোর সদুত্তরও সহজে খুঁজে পান না অনেকে। ফলে তাদের ইলমচর্চার পথটা হয় অনেক বেশি কণ্টকাকীর্ণ কিংবা অগোছালো অসম্পূর্ণতায় ভরা।
এই লেখাতে আমরা মোটামুটিভাবে ইলমচর্চার পথ ও পদ্ধতি সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত তবে সামগ্রিক একটি ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ। ব্যক্তিভেদে এতে কমবেশ হতে পারে বা ধরনে একটু-আধটু পরিবর্তন আসতে পারে। তবে মৌলিকভাবে পুরো বিষয় এমন বা এর কাছাকাছিই হবে আশা করি।
প্রত্যেক ব্যক্তির ইলমচর্চার সময়-সুযোগ সমান নয়। তাই প্রথমেই নিজের দিকে তাকাতে হবে। বুঝতে হবে, তিনি কোন ক্যাটাগরির। তার হাতে সময় কতটুকু আছে, সুযোগ কতটুকু আছে। সময়-সুযোগের আনুপাতিক হারে নিজের পুরো ইলমচর্চার পথটিকে সাজাতে হবে।
এই বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ অনেককেই দেখা যায়, নিজের সময়-সুযোগের প্রতি ভ্রুক্ষেপ না করে হুট করেই কোনো প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়ে যাচ্ছে বা কোনো এক জায়গা থেকে শুরু করে দিচ্ছে। ফলে কুলোতে না পেরে একপর্যায়ে ইলমচর্চা ছেড়ে দিচ্ছে এবং এই সুযোগে হতাশা তাকে পুরোপুরি মুড়িয়ে নিচ্ছে। শয়তান তার মানে এমন ভাবনার উদ্রেক ঢুকিয়ে দিচ্ছে তোমাকে দিয়ে ইলমচর্চা হবে না। অথচ সে যদি নিজের ক্যাপাসিটি বুঝে সেইভাবে যাত্রা শুরু করত তাহলে এমনটা হতো না।
প্রথমেই খুঁজে দেখুন, অফলাইনে ভালো ও যোগ্য কোনো আলিমের কাছ থেকে ইলমচর্চা করার সুযোগ আপনার আছে কিনা। যদি থাকে তাহলে সময়মতো তাঁর কাছে যান এবং নিজের ইচ্ছা ও প্রয়োজনের কথা তাকে খুলে বলুন। আশা করি তিনি আপনার প্রবল ইচ্ছাকে মূল্যায়ন করবেন। আর যদি সেই সুযোগ না থাকে তাহলে বর্তমানে বহু অনলাইন অ্যাকাডেমি তৈরি হয়েছে ভালো মানের কোনো অ্যাকাডেমি খুঁজে সেখানে প্রয়োজনীয় কোর্সে ভর্তি হয়ে নিন। কীসে ভর্তি হবেন সেই বিষয়ে সামনে বিস্তারিত কথা আসবে।
মনে রাখবেন, অনলাইনের পড়াশোনা কখনোই অফলাইনের পড়াশোনার ঊর্ধ্বে নয়। অফলাইনে পড়াই হলো ইলমচর্চার প্রধান ও প্রথম মাধ্যম। তাই সুযোগ থাকলে একেই আঁকড়ে ধরা উচিত। এতে করে সরাসরি পড়ার বরকত পাওয়া যায় এবং উস্তাদের সোহবত পাওয়া সম্ভব হয়, যার প্রভাব-প্রতিপত্তি অনস্বীকার্য। যদি এটি পারা না যায় তখন সেকেন্ড অপশন হিসেবে অনলাইনের ভালো কোনো প্রতিষ্ঠানকে বেছে নিন।
ইলমচর্চার ক্ষেত্রে ধারাবাহিকতা বজায় রাখা অতীব গুরুত্বপূর্ণ। যদি আপনি কুরআন পড়তে না পারেন তাহলে সর্বপ্রথম শুদ্ধভাবে কুরআন পড়া শেখার পেছনে সময় দিন। তারপর অন্যদিকে মনোযোগ দিন। অনেক ভাই-বোন আছেন, যারা শুদ্ধভাবে কুরআন পড়তে পারে না কিন্তু অন্যান্য বইপত্র নিয়ে ব্যস্ত থাকে। বিভিন্ন কোর্সে নিজেকে জড়িয়ে ফেলে। ফলে দিন যত গড়ায়, অন্যান্যা জিনিস তার শেখা হলেও কুরআনের তিলাওয়াত থেকে যায় আগের মতোই। এটি খুবই গর্হিত কাজ এবং কুরআনের প্রতি এক প্রকারের অবহেলা প্রদর্শন। এই ধরনের ত্রুটি কারও মধ্যে থাকলে তার উচিত দ্রুতই তা সংশোধন করে নেওয়া।
লেখকঃ আবদুল্লাহ আল মাসউদ
পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ ২০৮
বাঁধাইঃ পেপারব্যাক
সাধারণ মানুষদের ইলম অর্জনের পথ ও পদ্ধতি
জেনারেল শিক্ষিত ভাই-বোনরা দ্বীনের পথে আসার পরে ইলম অর্জনের প্রতি সচেষ্ট হচ্ছেন এটি খুবই সুসংবাদের কথা। কিন্তু এই পথ মাড়াতে গিয়ে অনেকেই কূলকিনারা খুঁজে পান না। কোত্থেকে শুরু করবেন, কী দিয়ে শুরু করবেন, কোথায় পড়বেন, কার কাছে পড়বেন, কীভাবে পড়বেন এমন হাজারো প্রশ্ন এসে ভিড় করে তাদের মাথায়। এগুলোর সদুত্তরও সহজে খুঁজে পান না অনেকে। ফলে তাদের ইলমচর্চার পথটা হয় অনেক বেশি কণ্টকাকীর্ণ কিংবা অগোছালো অসম্পূর্ণতায় ভরা।
এই লেখাতে আমরা মোটামুটিভাবে ইলমচর্চার পথ ও পদ্ধতি সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত তবে সামগ্রিক একটি ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ। ব্যক্তিভেদে এতে কমবেশ হতে পারে বা ধরনে একটু-আধটু পরিবর্তন আসতে পারে। তবে মৌলিকভাবে পুরো বিষয় এমন বা এর কাছাকাছিই হবে আশা করি।
প্রত্যেক ব্যক্তির ইলমচর্চার সময়-সুযোগ সমান নয়। তাই প্রথমেই নিজের দিকে তাকাতে হবে। বুঝতে হবে, তিনি কোন ক্যাটাগরির। তার হাতে সময় কতটুকু আছে, সুযোগ কতটুকু আছে। সময়-সুযোগের আনুপাতিক হারে নিজের পুরো ইলমচর্চার পথটিকে সাজাতে হবে।
এই বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ অনেককেই দেখা যায়, নিজের সময়-সুযোগের প্রতি ভ্রুক্ষেপ না করে হুট করেই কোনো প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়ে যাচ্ছে বা কোনো এক জায়গা থেকে শুরু করে দিচ্ছে। ফলে কুলোতে না পেরে একপর্যায়ে ইলমচর্চা ছেড়ে দিচ্ছে এবং এই সুযোগে হতাশা তাকে পুরোপুরি মুড়িয়ে নিচ্ছে। শয়তান তার মানে এমন ভাবনার উদ্রেক ঢুকিয়ে দিচ্ছে তোমাকে দিয়ে ইলমচর্চা হবে না। অথচ সে যদি নিজের ক্যাপাসিটি বুঝে সেইভাবে যাত্রা শুরু করত তাহলে এমনটা হতো না।
প্রথমেই খুঁজে দেখুন, অফলাইনে ভালো ও যোগ্য কোনো আলিমের কাছ থেকে ইলমচর্চা করার সুযোগ আপনার আছে কিনা। যদি থাকে তাহলে সময়মতো তাঁর কাছে যান এবং নিজের ইচ্ছা ও প্রয়োজনের কথা তাকে খুলে বলুন। আশা করি তিনি আপনার প্রবল ইচ্ছাকে মূল্যায়ন করবেন। আর যদি সেই সুযোগ না থাকে তাহলে বর্তমানে বহু অনলাইন অ্যাকাডেমি তৈরি হয়েছে ভালো মানের কোনো অ্যাকাডেমি খুঁজে সেখানে প্রয়োজনীয় কোর্সে ভর্তি হয়ে নিন। কীসে ভর্তি হবেন সেই বিষয়ে সামনে বিস্তারিত কথা আসবে।
মনে রাখবেন, অনলাইনের পড়াশোনা কখনোই অফলাইনের পড়াশোনার ঊর্ধ্বে নয়। অফলাইনে পড়াই হলো ইলমচর্চার প্রধান ও প্রথম মাধ্যম। তাই সুযোগ থাকলে একেই আঁকড়ে ধরা উচিত। এতে করে সরাসরি পড়ার বরকত পাওয়া যায় এবং উস্তাদের সোহবত পাওয়া সম্ভব হয়, যার প্রভাব-প্রতিপত্তি অনস্বীকার্য। যদি এটি পারা না যায় তখন সেকেন্ড অপশন হিসেবে অনলাইনের ভালো কোনো প্রতিষ্ঠানকে বেছে নিন।
ইলমচর্চার ক্ষেত্রে ধারাবাহিকতা বজায় রাখা অতীব গুরুত্বপূর্ণ। যদি আপনি কুরআন পড়তে না পারেন তাহলে সর্বপ্রথম শুদ্ধভাবে কুরআন পড়া শেখার পেছনে সময় দিন। তারপর অন্যদিকে মনোযোগ দিন। অনেক ভাই-বোন আছেন, যারা শুদ্ধভাবে কুরআন পড়তে পারে না কিন্তু অন্যান্য বইপত্র নিয়ে ব্যস্ত থাকে। বিভিন্ন কোর্সে নিজেকে জড়িয়ে ফেলে। ফলে দিন যত গড়ায়, অন্যান্যা জিনিস তার শেখা হলেও কুরআনের তিলাওয়াত থেকে যায় আগের মতোই। এটি খুবই গর্হিত কাজ এবং কুরআনের প্রতি এক প্রকারের অবহেলা প্রদর্শন। এই ধরনের ত্রুটি কারও মধ্যে থাকলে তার উচিত দ্রুতই তা সংশোধন করে নেওয়া।
আলোর পিদিম
215 BDT286 BDTSave 71 BDT
1
বইঃ আলোর পিদিম
লেখকঃ আবদুল্লাহ আল মাসউদ
পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ ২০৮
বাঁধাইঃ পেপারব্যাক
সাধারণ মানুষদের ইলম অর্জনের পথ ও পদ্ধতি
জেনারেল শিক্ষিত ভাই-বোনরা দ্বীনের পথে আসার পরে ইলম অর্জনের প্রতি সচেষ্ট হচ্ছেন এটি খুবই সুসংবাদের কথা। কিন্তু এই পথ মাড়াতে গিয়ে অনেকেই কূলকিনারা খুঁজে পান না। কোত্থেকে শুরু করবেন, কী দিয়ে শুরু করবেন, কোথায় পড়বেন, কার কাছে পড়বেন, কীভাবে পড়বেন এমন হাজারো প্রশ্ন এসে ভিড় করে তাদের মাথায়। এগুলোর সদুত্তরও সহজে খুঁজে পান না অনেকে। ফলে তাদের ইলমচর্চার পথটা হয় অনেক বেশি কণ্টকাকীর্ণ কিংবা অগোছালো অসম্পূর্ণতায় ভরা।
এই লেখাতে আমরা মোটামুটিভাবে ইলমচর্চার পথ ও পদ্ধতি সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত তবে সামগ্রিক একটি ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ। ব্যক্তিভেদে এতে কমবেশ হতে পারে বা ধরনে একটু-আধটু পরিবর্তন আসতে পারে। তবে মৌলিকভাবে পুরো বিষয় এমন বা এর কাছাকাছিই হবে আশা করি।
প্রত্যেক ব্যক্তির ইলমচর্চার সময়-সুযোগ সমান নয়। তাই প্রথমেই নিজের দিকে তাকাতে হবে। বুঝতে হবে, তিনি কোন ক্যাটাগরির। তার হাতে সময় কতটুকু আছে, সুযোগ কতটুকু আছে। সময়-সুযোগের আনুপাতিক হারে নিজের পুরো ইলমচর্চার পথটিকে সাজাতে হবে।
এই বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ অনেককেই দেখা যায়, নিজের সময়-সুযোগের প্রতি ভ্রুক্ষেপ না করে হুট করেই কোনো প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়ে যাচ্ছে বা কোনো এক জায়গা থেকে শুরু করে দিচ্ছে। ফলে কুলোতে না পেরে একপর্যায়ে ইলমচর্চা ছেড়ে দিচ্ছে এবং এই সুযোগে হতাশা তাকে পুরোপুরি মুড়িয়ে নিচ্ছে। শয়তান তার মানে এমন ভাবনার উদ্রেক ঢুকিয়ে দিচ্ছে তোমাকে দিয়ে ইলমচর্চা হবে না। অথচ সে যদি নিজের ক্যাপাসিটি বুঝে সেইভাবে যাত্রা শুরু করত তাহলে এমনটা হতো না।
প্রথমেই খুঁজে দেখুন, অফলাইনে ভালো ও যোগ্য কোনো আলিমের কাছ থেকে ইলমচর্চা করার সুযোগ আপনার আছে কিনা। যদি থাকে তাহলে সময়মতো তাঁর কাছে যান এবং নিজের ইচ্ছা ও প্রয়োজনের কথা তাকে খুলে বলুন। আশা করি তিনি আপনার প্রবল ইচ্ছাকে মূল্যায়ন করবেন। আর যদি সেই সুযোগ না থাকে তাহলে বর্তমানে বহু অনলাইন অ্যাকাডেমি তৈরি হয়েছে ভালো মানের কোনো অ্যাকাডেমি খুঁজে সেখানে প্রয়োজনীয় কোর্সে ভর্তি হয়ে নিন। কীসে ভর্তি হবেন সেই বিষয়ে সামনে বিস্তারিত কথা আসবে।
মনে রাখবেন, অনলাইনের পড়াশোনা কখনোই অফলাইনের পড়াশোনার ঊর্ধ্বে নয়। অফলাইনে পড়াই হলো ইলমচর্চার প্রধান ও প্রথম মাধ্যম। তাই সুযোগ থাকলে একেই আঁকড়ে ধরা উচিত। এতে করে সরাসরি পড়ার বরকত পাওয়া যায় এবং উস্তাদের সোহবত পাওয়া সম্ভব হয়, যার প্রভাব-প্রতিপত্তি অনস্বীকার্য। যদি এটি পারা না যায় তখন সেকেন্ড অপশন হিসেবে অনলাইনের ভালো কোনো প্রতিষ্ঠানকে বেছে নিন।
ইলমচর্চার ক্ষেত্রে ধারাবাহিকতা বজায় রাখা অতীব গুরুত্বপূর্ণ। যদি আপনি কুরআন পড়তে না পারেন তাহলে সর্বপ্রথম শুদ্ধভাবে কুরআন পড়া শেখার পেছনে সময় দিন। তারপর অন্যদিকে মনোযোগ দিন। অনেক ভাই-বোন আছেন, যারা শুদ্ধভাবে কুরআন পড়তে পারে না কিন্তু অন্যান্য বইপত্র নিয়ে ব্যস্ত থাকে। বিভিন্ন কোর্সে নিজেকে জড়িয়ে ফেলে। ফলে দিন যত গড়ায়, অন্যান্যা জিনিস তার শেখা হলেও কুরআনের তিলাওয়াত থেকে যায় আগের মতোই। এটি খুবই গর্হিত কাজ এবং কুরআনের প্রতি এক প্রকারের অবহেলা প্রদর্শন। এই ধরনের ত্রুটি কারও মধ্যে থাকলে তার উচিত দ্রুতই তা সংশোধন করে নেওয়া।
লেখকঃ আবদুল্লাহ আল মাসউদ
পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ ২০৮
বাঁধাইঃ পেপারব্যাক
সাধারণ মানুষদের ইলম অর্জনের পথ ও পদ্ধতি
জেনারেল শিক্ষিত ভাই-বোনরা দ্বীনের পথে আসার পরে ইলম অর্জনের প্রতি সচেষ্ট হচ্ছেন এটি খুবই সুসংবাদের কথা। কিন্তু এই পথ মাড়াতে গিয়ে অনেকেই কূলকিনারা খুঁজে পান না। কোত্থেকে শুরু করবেন, কী দিয়ে শুরু করবেন, কোথায় পড়বেন, কার কাছে পড়বেন, কীভাবে পড়বেন এমন হাজারো প্রশ্ন এসে ভিড় করে তাদের মাথায়। এগুলোর সদুত্তরও সহজে খুঁজে পান না অনেকে। ফলে তাদের ইলমচর্চার পথটা হয় অনেক বেশি কণ্টকাকীর্ণ কিংবা অগোছালো অসম্পূর্ণতায় ভরা।
এই লেখাতে আমরা মোটামুটিভাবে ইলমচর্চার পথ ও পদ্ধতি সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত তবে সামগ্রিক একটি ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ। ব্যক্তিভেদে এতে কমবেশ হতে পারে বা ধরনে একটু-আধটু পরিবর্তন আসতে পারে। তবে মৌলিকভাবে পুরো বিষয় এমন বা এর কাছাকাছিই হবে আশা করি।
প্রত্যেক ব্যক্তির ইলমচর্চার সময়-সুযোগ সমান নয়। তাই প্রথমেই নিজের দিকে তাকাতে হবে। বুঝতে হবে, তিনি কোন ক্যাটাগরির। তার হাতে সময় কতটুকু আছে, সুযোগ কতটুকু আছে। সময়-সুযোগের আনুপাতিক হারে নিজের পুরো ইলমচর্চার পথটিকে সাজাতে হবে।
এই বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ অনেককেই দেখা যায়, নিজের সময়-সুযোগের প্রতি ভ্রুক্ষেপ না করে হুট করেই কোনো প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়ে যাচ্ছে বা কোনো এক জায়গা থেকে শুরু করে দিচ্ছে। ফলে কুলোতে না পেরে একপর্যায়ে ইলমচর্চা ছেড়ে দিচ্ছে এবং এই সুযোগে হতাশা তাকে পুরোপুরি মুড়িয়ে নিচ্ছে। শয়তান তার মানে এমন ভাবনার উদ্রেক ঢুকিয়ে দিচ্ছে তোমাকে দিয়ে ইলমচর্চা হবে না। অথচ সে যদি নিজের ক্যাপাসিটি বুঝে সেইভাবে যাত্রা শুরু করত তাহলে এমনটা হতো না।
প্রথমেই খুঁজে দেখুন, অফলাইনে ভালো ও যোগ্য কোনো আলিমের কাছ থেকে ইলমচর্চা করার সুযোগ আপনার আছে কিনা। যদি থাকে তাহলে সময়মতো তাঁর কাছে যান এবং নিজের ইচ্ছা ও প্রয়োজনের কথা তাকে খুলে বলুন। আশা করি তিনি আপনার প্রবল ইচ্ছাকে মূল্যায়ন করবেন। আর যদি সেই সুযোগ না থাকে তাহলে বর্তমানে বহু অনলাইন অ্যাকাডেমি তৈরি হয়েছে ভালো মানের কোনো অ্যাকাডেমি খুঁজে সেখানে প্রয়োজনীয় কোর্সে ভর্তি হয়ে নিন। কীসে ভর্তি হবেন সেই বিষয়ে সামনে বিস্তারিত কথা আসবে।
মনে রাখবেন, অনলাইনের পড়াশোনা কখনোই অফলাইনের পড়াশোনার ঊর্ধ্বে নয়। অফলাইনে পড়াই হলো ইলমচর্চার প্রধান ও প্রথম মাধ্যম। তাই সুযোগ থাকলে একেই আঁকড়ে ধরা উচিত। এতে করে সরাসরি পড়ার বরকত পাওয়া যায় এবং উস্তাদের সোহবত পাওয়া সম্ভব হয়, যার প্রভাব-প্রতিপত্তি অনস্বীকার্য। যদি এটি পারা না যায় তখন সেকেন্ড অপশন হিসেবে অনলাইনের ভালো কোনো প্রতিষ্ঠানকে বেছে নিন।
ইলমচর্চার ক্ষেত্রে ধারাবাহিকতা বজায় রাখা অতীব গুরুত্বপূর্ণ। যদি আপনি কুরআন পড়তে না পারেন তাহলে সর্বপ্রথম শুদ্ধভাবে কুরআন পড়া শেখার পেছনে সময় দিন। তারপর অন্যদিকে মনোযোগ দিন। অনেক ভাই-বোন আছেন, যারা শুদ্ধভাবে কুরআন পড়তে পারে না কিন্তু অন্যান্য বইপত্র নিয়ে ব্যস্ত থাকে। বিভিন্ন কোর্সে নিজেকে জড়িয়ে ফেলে। ফলে দিন যত গড়ায়, অন্যান্যা জিনিস তার শেখা হলেও কুরআনের তিলাওয়াত থেকে যায় আগের মতোই। এটি খুবই গর্হিত কাজ এবং কুরআনের প্রতি এক প্রকারের অবহেলা প্রদর্শন। এই ধরনের ত্রুটি কারও মধ্যে থাকলে তার উচিত দ্রুতই তা সংশোধন করে নেওয়া।