বর্তমান মুসলিম উম্মাহ
বই: ইতিহাসের আয়নায় ভবিষ্যতের দর্পণে বর্তমান মুসলিম উম্মাহ লেখক: ড. ইসরার আহমাদঅনূদিত ও পরিমার্জিত: ইফতেখার সিফাতবর্তমান সময়ের ব্যাপারে একটি বাস্তবতা হলো, এটি ফিতনার জামানা। এ কথা নিশ্চিতভাবে বলা যায়, আমরা ফিতনার জামানায় বসবাস করছি। আমাদের আকাবিরদের মধ্য থেকেও হজরত মানাজির আহসান গিলানি এবং আবুল হাসান আলি নদবি রহিমাহুমাল্লাহ আধুনিক পশ্চিমা বস্তুবাদী ও পুঁজিবাদী সভ্যতাকে দাজ্জালি ফিতনা হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাদিসে নববির ভান্ডারে যেসব ফিতনার কথা বলে গেছেন, তার অধিকাংশই আজ আমাদের সামনে বর্তমান। সুদি অর্থনীতি আর কারবারে গোটা সমাজব্যবস্থা এমনভাবে ছেয়ে আছে, কেউ ইচ্ছা করলেও এর স্পর্শ থেকে বেঁচে থাকতে পারছে না।অশ্লীলতার নিত্যনতুন পন্থা আর প্রকৃতি আবিষ্কৃত হচ্ছে। হারাম রিলেশন, পরকীয়া, জিনা, ফ্রি মিক্সিং, বেপর্দা, অশালীন পোশাক, নারীদেহ ও সৌন্দর্যপ্রদর্শনী, সমকামিতা, গানবাদ্য, নেশা, মদ্যপানসহ অশ্লীলতার এমন কোনো ধরন নেই, যা আধুনিক সভ্যতায় বৈধ, সাধারণ বিষয় আর অধিকারে রূপ নেয়নি। সমাজের পুরো কালচারই নির্ভর করছে যৌন উন্মাদনার ওপর। ইসলাম কর্তৃক নির্ধারিত হালাল-হারাম, বৈধ-অবৈধের সীমা আজ চূর্ণবিচূর্ণ। প্রবৃত্তি, রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ও বিশ্বমোড়লদের নির্ধারিত সীমারেখা আজ আল্লাহর নির্ধারিত সীমারেখার ওপর আধিপত্য করছে।পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র, অর্থনীতি সবকিছু আজ দ্বীনশূন্য। ইহুদিবাদী বিশ্বব্যবস্থার তৈরি নানা মতবাদ দ্বীনের জায়গা দখল করে নিয়েছে। মানুষ অর্থনীতিতে পুঁজিবাদ, রাষ্ট্রনীতিতে সেকুলারিজম, ব্যক্তিগত জীবনাচারে লিবারেলিজম—এভাবে জীবনের সকল ক্ষেত্রে ইসলামকে বাদ দিয়ে পশ্চিমাদের তৈরি বিভিন্ন মতবাদকে গ্রহণ করে নিয়েছে। পুরো বিশ্বসভ্যতার ওপর আজ দাজ্জালের দোসর ইহুদিবাদীদের রাজত্ব আর আধিপত্য কায়েম হয়েছে। মুসলিম উম্মাহর বিগত ১৪ বছরের ইতিহাসে এরকম পরিস্থিতি কখনোই আসেনি।ফলে আধুনিক এই বিশ্বকাঠামো পুরো বিশ্ববাসীর জন্যই নতুন এক অভিজ্ঞতা। উক্ত অভিজ্ঞতা আমাদেরকে এই বার্তাই দিচ্ছে যে, আমরা ফিতনাময় ইহুদিবাদী এক বিশ্বব্যবস্থায় বসবাস করছি। ইহুদিরা হলো দাজ্জালের প্রধান অনুচর। তারাই দাজ্জালের আগমনের পথকে প্রস্তুত করবে এবং তারাই এই বিশ্বমঞ্চকে দাজ্জালের জন্য সাজিয়ে তুলবে।এই ইহুদিজাতির সাথে মুসলিমজাতির ঐতিহাসিক সম্পর্ক আছে। তারাই ছিল পূর্ববর্তী মুসলিমজাতি। কিন্তু সবশেষে ঈসা আলাইহিস সালামের শরিয়তের সাথে শত্রুতা এবং মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নবুয়তকে অস্বীকৃতির মাধ্যমে তারাই হয়ে গেল বর্তমান মুসলিম উম্মাহর সবচেয়ে বড় শত্রু। মহান আল্লাহ তাআলা বলেন,'যারা ঈমান এনেছে তাদের প্রতি মানুষের মধ্যে ইহুদি ও মুশরিকদেরকে তুমি অবশ্যই সবচেয়ে বেশি শত্রুতাপরায়ণ দেখতে পাবে।'(সুরা মায়েদা, আয়াত ৮২)ইহুদিরা বনি ইসরাইলের বংশধর। বনি ইসরাইলের সাথে বিভ্রান্তিগত দিক থেকেও মুসলিম উম্মাহর এক গভীর সম্পর্ক আছে। যা বিভিন্ন হাদিস থেকে আমরা জানতে পারি। হাদিসের মূল মর্ম হলো, বনি ইসরাইলের ভেতর যেসব বিভ্রান্তি দেখা গিয়েছিল, বর্তমান মুসলিম উম্মাহও সেগুলোতে লিপ্ত হবে। বনি ইসরাইল যেমন নানা দলে বিভক্ত হয়েছিল, বর্তমান মুসলিম উম্মাহ ও বিভিন্ন দলে বিভক্ত হবে।মূলত ড. ইসরার আহমাদ রহিমাহুল্লাহ হাদিসের উক্ত মর্মবাণীকেই এই বইয়ের মূল ভিত্তি হিসেবে সামনে রেখেছেন। তিনি হাদিসের উক্ত মর্মবাণীর আলোকে ইহুদিজাতি এবং বর্তমান মুসলিম উম্মাহর রাজনৈতিক ইতিহাসের কিছু মিলের দিক আলোচনা করেছেন। তুলে ধরেছেন বর্তমান খ্রিষ্টানজাতির সংক্ষিপ্ত ইতিবৃত্ত। সেইসাথে হাদিসে নববির ভান্ডার থেকে ফিতানের হাদিসসমূহের আলোকে মুসলিম উম্মাহর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ আলোকপাত করেছেন। পুরো বিশ্বব্যাপী আবারও খিলাফাতে ইসলামিয়াহ প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন ও আশা ব্যক্ত করেছেন।
An Najahah Shop
Category List
All products

বই: ইতিহাসের আয়নায় ভবিষ্যতের দর্পণে বর্তমান মুসলিম উম্মাহ
লেখক: ড. ইসরার আহমাদ
অনূদিত ও পরিমার্জিত: ইফতেখার সিফাত
বর্তমান সময়ের ব্যাপারে একটি বাস্তবতা হলো, এটি ফিতনার জামানা। এ কথা নিশ্চিতভাবে বলা যায়, আমরা ফিতনার জামানায় বসবাস করছি। আমাদের আকাবিরদের মধ্য থেকেও হজরত মানাজির আহসান গিলানি এবং আবুল হাসান আলি নদবি রহিমাহুমাল্লাহ আধুনিক পশ্চিমা বস্তুবাদী ও পুঁজিবাদী সভ্যতাকে দাজ্জালি ফিতনা হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।
রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাদিসে নববির ভান্ডারে যেসব ফিতনার কথা বলে গেছেন, তার অধিকাংশই আজ আমাদের সামনে বর্তমান। সুদি অর্থনীতি আর কারবারে গোটা সমাজব্যবস্থা এমনভাবে ছেয়ে আছে, কেউ ইচ্ছা করলেও এর স্পর্শ থেকে বেঁচে থাকতে পারছে না।
অশ্লীলতার নিত্যনতুন পন্থা আর প্রকৃতি আবিষ্কৃত হচ্ছে। হারাম রিলেশন, পরকীয়া, জিনা, ফ্রি মিক্সিং, বেপর্দা, অশালীন পোশাক, নারীদেহ ও সৌন্দর্যপ্রদর্শনী, সমকামিতা, গানবাদ্য, নেশা, মদ্যপানসহ অশ্লীলতার এমন কোনো ধরন নেই, যা আধুনিক সভ্যতায় বৈধ, সাধারণ বিষয় আর অধিকারে রূপ নেয়নি। সমাজের পুরো কালচারই নির্ভর করছে যৌন উন্মাদনার ওপর। ইসলাম কর্তৃক নির্ধারিত হালাল-হারাম, বৈধ-অবৈধের সীমা আজ চূর্ণবিচূর্ণ। প্রবৃত্তি, রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ও বিশ্বমোড়লদের নির্ধারিত সীমারেখা আজ আল্লাহর নির্ধারিত সীমারেখার ওপর আধিপত্য করছে।
পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র, অর্থনীতি সবকিছু আজ দ্বীনশূন্য। ইহুদিবাদী বিশ্বব্যবস্থার তৈরি নানা মতবাদ দ্বীনের জায়গা দখল করে নিয়েছে। মানুষ অর্থনীতিতে পুঁজিবাদ, রাষ্ট্রনীতিতে সেকুলারিজম, ব্যক্তিগত জীবনাচারে লিবারেলিজম—এভাবে জীবনের সকল ক্ষেত্রে ইসলামকে বাদ দিয়ে পশ্চিমাদের তৈরি বিভিন্ন মতবাদকে গ্রহণ করে নিয়েছে। পুরো বিশ্বসভ্যতার ওপর আজ দাজ্জালের দোসর ইহুদিবাদীদের রাজত্ব আর আধিপত্য কায়েম হয়েছে। মুসলিম উম্মাহর বিগত ১৪ বছরের ইতিহাসে এরকম পরিস্থিতি কখনোই আসেনি।
ফলে আধুনিক এই বিশ্বকাঠামো পুরো বিশ্ববাসীর জন্যই নতুন এক অভিজ্ঞতা। উক্ত অভিজ্ঞতা আমাদেরকে এই বার্তাই দিচ্ছে যে, আমরা ফিতনাময় ইহুদিবাদী এক বিশ্বব্যবস্থায় বসবাস করছি। ইহুদিরা হলো দাজ্জালের প্রধান অনুচর। তারাই দাজ্জালের আগমনের পথকে প্রস্তুত করবে এবং তারাই এই বিশ্বমঞ্চকে দাজ্জালের জন্য সাজিয়ে তুলবে।
এই ইহুদিজাতির সাথে মুসলিমজাতির ঐতিহাসিক সম্পর্ক আছে। তারাই ছিল পূর্ববর্তী মুসলিমজাতি। কিন্তু সবশেষে ঈসা আলাইহিস সালামের শরিয়তের সাথে শত্রুতা এবং মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নবুয়তকে অস্বীকৃতির মাধ্যমে তারাই হয়ে গেল বর্তমান মুসলিম উম্মাহর সবচেয়ে বড় শত্রু। মহান আল্লাহ তাআলা বলেন,
'যারা ঈমান এনেছে তাদের প্রতি মানুষের মধ্যে ইহুদি ও মুশরিকদেরকে তুমি অবশ্যই সবচেয়ে বেশি শত্রুতাপরায়ণ দেখতে পাবে।'
(সুরা মায়েদা, আয়াত ৮২)
ইহুদিরা বনি ইসরাইলের বংশধর। বনি ইসরাইলের সাথে বিভ্রান্তিগত দিক থেকেও মুসলিম উম্মাহর এক গভীর সম্পর্ক আছে। যা বিভিন্ন হাদিস থেকে আমরা জানতে পারি। হাদিসের মূল মর্ম হলো, বনি ইসরাইলের ভেতর যেসব বিভ্রান্তি দেখা গিয়েছিল, বর্তমান মুসলিম উম্মাহও সেগুলোতে লিপ্ত হবে। বনি ইসরাইল যেমন নানা দলে বিভক্ত হয়েছিল, বর্তমান মুসলিম উম্মাহ ও বিভিন্ন দলে বিভক্ত হবে।
মূলত ড. ইসরার আহমাদ রহিমাহুল্লাহ হাদিসের উক্ত মর্মবাণীকেই এই বইয়ের মূল ভিত্তি হিসেবে সামনে রেখেছেন। তিনি হাদিসের উক্ত মর্মবাণীর আলোকে ইহুদিজাতি এবং বর্তমান মুসলিম উম্মাহর রাজনৈতিক ইতিহাসের কিছু মিলের দিক আলোচনা করেছেন। তুলে ধরেছেন বর্তমান খ্রিষ্টানজাতির সংক্ষিপ্ত ইতিবৃত্ত। সেইসাথে হাদিসে নববির ভান্ডার থেকে ফিতানের হাদিসসমূহের আলোকে মুসলিম উম্মাহর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ আলোকপাত করেছেন। পুরো বিশ্বব্যাপী আবারও খিলাফাতে ইসলামিয়াহ প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন ও আশা ব্যক্ত করেছেন।
বর্তমান মুসলিম উম্মাহ
120 BDT200 BDTSave 80 BDT
1
বই: ইতিহাসের আয়নায় ভবিষ্যতের দর্পণে বর্তমান মুসলিম উম্মাহ
লেখক: ড. ইসরার আহমাদ
অনূদিত ও পরিমার্জিত: ইফতেখার সিফাত
বর্তমান সময়ের ব্যাপারে একটি বাস্তবতা হলো, এটি ফিতনার জামানা। এ কথা নিশ্চিতভাবে বলা যায়, আমরা ফিতনার জামানায় বসবাস করছি। আমাদের আকাবিরদের মধ্য থেকেও হজরত মানাজির আহসান গিলানি এবং আবুল হাসান আলি নদবি রহিমাহুমাল্লাহ আধুনিক পশ্চিমা বস্তুবাদী ও পুঁজিবাদী সভ্যতাকে দাজ্জালি ফিতনা হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।
রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাদিসে নববির ভান্ডারে যেসব ফিতনার কথা বলে গেছেন, তার অধিকাংশই আজ আমাদের সামনে বর্তমান। সুদি অর্থনীতি আর কারবারে গোটা সমাজব্যবস্থা এমনভাবে ছেয়ে আছে, কেউ ইচ্ছা করলেও এর স্পর্শ থেকে বেঁচে থাকতে পারছে না।
অশ্লীলতার নিত্যনতুন পন্থা আর প্রকৃতি আবিষ্কৃত হচ্ছে। হারাম রিলেশন, পরকীয়া, জিনা, ফ্রি মিক্সিং, বেপর্দা, অশালীন পোশাক, নারীদেহ ও সৌন্দর্যপ্রদর্শনী, সমকামিতা, গানবাদ্য, নেশা, মদ্যপানসহ অশ্লীলতার এমন কোনো ধরন নেই, যা আধুনিক সভ্যতায় বৈধ, সাধারণ বিষয় আর অধিকারে রূপ নেয়নি। সমাজের পুরো কালচারই নির্ভর করছে যৌন উন্মাদনার ওপর। ইসলাম কর্তৃক নির্ধারিত হালাল-হারাম, বৈধ-অবৈধের সীমা আজ চূর্ণবিচূর্ণ। প্রবৃত্তি, রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ও বিশ্বমোড়লদের নির্ধারিত সীমারেখা আজ আল্লাহর নির্ধারিত সীমারেখার ওপর আধিপত্য করছে।
পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র, অর্থনীতি সবকিছু আজ দ্বীনশূন্য। ইহুদিবাদী বিশ্বব্যবস্থার তৈরি নানা মতবাদ দ্বীনের জায়গা দখল করে নিয়েছে। মানুষ অর্থনীতিতে পুঁজিবাদ, রাষ্ট্রনীতিতে সেকুলারিজম, ব্যক্তিগত জীবনাচারে লিবারেলিজম—এভাবে জীবনের সকল ক্ষেত্রে ইসলামকে বাদ দিয়ে পশ্চিমাদের তৈরি বিভিন্ন মতবাদকে গ্রহণ করে নিয়েছে। পুরো বিশ্বসভ্যতার ওপর আজ দাজ্জালের দোসর ইহুদিবাদীদের রাজত্ব আর আধিপত্য কায়েম হয়েছে। মুসলিম উম্মাহর বিগত ১৪ বছরের ইতিহাসে এরকম পরিস্থিতি কখনোই আসেনি।
ফলে আধুনিক এই বিশ্বকাঠামো পুরো বিশ্ববাসীর জন্যই নতুন এক অভিজ্ঞতা। উক্ত অভিজ্ঞতা আমাদেরকে এই বার্তাই দিচ্ছে যে, আমরা ফিতনাময় ইহুদিবাদী এক বিশ্বব্যবস্থায় বসবাস করছি। ইহুদিরা হলো দাজ্জালের প্রধান অনুচর। তারাই দাজ্জালের আগমনের পথকে প্রস্তুত করবে এবং তারাই এই বিশ্বমঞ্চকে দাজ্জালের জন্য সাজিয়ে তুলবে।
এই ইহুদিজাতির সাথে মুসলিমজাতির ঐতিহাসিক সম্পর্ক আছে। তারাই ছিল পূর্ববর্তী মুসলিমজাতি। কিন্তু সবশেষে ঈসা আলাইহিস সালামের শরিয়তের সাথে শত্রুতা এবং মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নবুয়তকে অস্বীকৃতির মাধ্যমে তারাই হয়ে গেল বর্তমান মুসলিম উম্মাহর সবচেয়ে বড় শত্রু। মহান আল্লাহ তাআলা বলেন,
'যারা ঈমান এনেছে তাদের প্রতি মানুষের মধ্যে ইহুদি ও মুশরিকদেরকে তুমি অবশ্যই সবচেয়ে বেশি শত্রুতাপরায়ণ দেখতে পাবে।'
(সুরা মায়েদা, আয়াত ৮২)
ইহুদিরা বনি ইসরাইলের বংশধর। বনি ইসরাইলের সাথে বিভ্রান্তিগত দিক থেকেও মুসলিম উম্মাহর এক গভীর সম্পর্ক আছে। যা বিভিন্ন হাদিস থেকে আমরা জানতে পারি। হাদিসের মূল মর্ম হলো, বনি ইসরাইলের ভেতর যেসব বিভ্রান্তি দেখা গিয়েছিল, বর্তমান মুসলিম উম্মাহও সেগুলোতে লিপ্ত হবে। বনি ইসরাইল যেমন নানা দলে বিভক্ত হয়েছিল, বর্তমান মুসলিম উম্মাহ ও বিভিন্ন দলে বিভক্ত হবে।
মূলত ড. ইসরার আহমাদ রহিমাহুল্লাহ হাদিসের উক্ত মর্মবাণীকেই এই বইয়ের মূল ভিত্তি হিসেবে সামনে রেখেছেন। তিনি হাদিসের উক্ত মর্মবাণীর আলোকে ইহুদিজাতি এবং বর্তমান মুসলিম উম্মাহর রাজনৈতিক ইতিহাসের কিছু মিলের দিক আলোচনা করেছেন। তুলে ধরেছেন বর্তমান খ্রিষ্টানজাতির সংক্ষিপ্ত ইতিবৃত্ত। সেইসাথে হাদিসে নববির ভান্ডার থেকে ফিতানের হাদিসসমূহের আলোকে মুসলিম উম্মাহর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ আলোকপাত করেছেন। পুরো বিশ্বব্যাপী আবারও খিলাফাতে ইসলামিয়াহ প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন ও আশা ব্যক্ত করেছেন।