যেভাবে আস্তিক হলাম
বই পরিচিতি :যেভাবে আস্তিক হলাম মূল : ড. মুসতফা মাহমুদ অনুবাদ : শাহেদ হারুনমুদ্রিত মূল্য : ২৪০প্রকাশনী : আরিশ প্রকাশন আস্তিক থেকে নাস্তিক হওয়া, নাস্তিক থেকে আস্তিক হওয়া উভয়টিই উত্তেজনা সৃষ্টি করে। আস্তিক যদি হয় হোক সে এক সৃষ্টিকর্তায় বা কয়েক সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাসী। আস্তিক বললে সংখ্যার একটি হিসেব থাকে সবসময়। কারণ ধর্মের হিসেবটাও মাথায় রাখতে হয় তখন। কিন্তু নাস্তিকতা সবসময় জিরোতে অবস্থান করে। তবে মধ্যখানে সংশয়বাদ নামেও এক মতের জন্ম হয়েছে বা অস্তিত্ব আছে।ধর্মবিমুখ পশ্চিমা শিক্ষাব্যবস্থা বিজ্ঞানের ভুল উপস্থাপনা করে আমাদের মাঝে সংশয়ের ব্যাধি সৃষ্টি করতে চায়। আমাদের বোঝায় যে, দেখবে ধর্ম এক নেশা! আল্লাহ তথা স্রষ্টা বলে কিছুই নেই। অথচ পশ্চিমাদের এই বিজ্ঞানই বারবার স্রষ্টার অস্তিত্বের প্রমাণ দেয়। বিজ্ঞানের নিজস্ব সূত্রেই প্রমাণিত হয় আল্লাহর দেওয়া বিধানের যৌক্তিকতা। ইসলাম কখনোই বিজ্ঞান বিরোধী নয়। ইসলাম বিজ্ঞানসম্মত ধর্ম এবং পবিত্র আল কুরআনও বিজ্ঞানময়। তবে বিজ্ঞানের যে বিষয় ইসলামের সাথে সাংঘর্ষিক তা অবশ্যই বর্জনীয়। এটি হচ্ছে মানবীয় বুদ্ধির সীমাবদ্ধতা।ইসলাম মানুষকে দিতে পারে আত্মার মুক্তি, এজন্য তাকে জ্ঞান-বিজ্ঞান ও উন্নয়ন থেকে বেরিয়ে আসতে বলে না। ইসলাম শুধু এতটুকু চায় যে, বৈষয়িক উন্নতির সঙ্গে যেনো একটা আত্মিক উন্নয়নের সম্পর্ক বজায় থাকুক।যুক্তিবিদ্যার মারপ্যাচে যখন আপনি পৌছে যাবেন, বিভ্রান্তির বেড়াজালে যখন আপনি আটকে যাবেন তখন আপনাকে অন্তরের দিকে ফিরে যেতে হবে। আল্লাহ অন্তরে একটি কম্পাস সংযুক্ত করে দিয়েছেন যা কখনো ভুল দিক নির্দেশনা দিতে পারে না। এটা আমাদের অস্তিত্বের কেন্দ্রবিন্দু যা সব সময় সত্যকে খুজে বেড়ায়। যেখাবে লেখক সত্যকে খুজে পেয়েছিলেন।লেখক ড. মুসতাফা মাহমুদের ছোট বেলা থেকেই বিজ্ঞানের প্রতি প্রচন্ড আগ্রহ ছিলো। তাই বাসায় রীতিমতো একটি ল্যাবই খুলে বসেন। সেখানেই চলতো নানা গবেষণা। যদিও একটা সময় নাস্তিকতার বাতাস তার গায়ে লেগেছিলো কিন্তু হেদায়েতপ্রাপ্ত হলে তিনি নিজেই নাস্তিকতার বিরুদ্ধে দাঁড়ান। একনিষ্ঠ চিত্তে সত্যান্বেষণ ও বাস্তবের অনুসন্ধান তাকে হেদায়েতের এই রাজপথে ফিরিয়ে এনেছে। শুরু করেন বই লেখা। প্রচুর বই লেখেন। বইটি লেখকের 'রিহলাতি মিনাশ শাক্কি ইলাল ঈমান' গ্রন্থের অনুবাদ।আপনি মনে করতে পারেন যে, বইটি হয়ত লেখকের ইসলামের পথে ফিরে আসার কাহিনীগুলো বর্ণিত হয়েছে। কিন্তু না, তা নয় বরং লেখক তার একনিষ্ঠ সত্য, বাস্তবতা ও সঠিক অনুসন্ধানের সার নির্যাস বইটিতে তুলে এনেছেন। তুলে এনেছেন যুক্তির কষ্টিপাথরে আল্লাহর অস্তিত্ব। মলাটবদ্ধ করেছেন হিরে-মানিকগুলো যা আপনার ঈমানী চেতনা আরো বৃদ্ধি করে দিবে।আর বইটির সার্থকতা এখানেই।
An Najahah Shop
Category List
All products

বই পরিচিতি :
যেভাবে আস্তিক হলাম
মূল : ড. মুসতফা মাহমুদ
অনুবাদ : শাহেদ হারুন
মুদ্রিত মূল্য : ২৪০
প্রকাশনী : আরিশ প্রকাশন
আস্তিক থেকে নাস্তিক হওয়া, নাস্তিক থেকে আস্তিক হওয়া উভয়টিই উত্তেজনা সৃষ্টি করে। আস্তিক যদি হয় হোক সে এক সৃষ্টিকর্তায় বা কয়েক সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাসী। আস্তিক বললে সংখ্যার একটি হিসেব থাকে সবসময়। কারণ ধর্মের হিসেবটাও মাথায় রাখতে হয় তখন। কিন্তু নাস্তিকতা সবসময় জিরোতে অবস্থান করে। তবে মধ্যখানে সংশয়বাদ নামেও এক মতের জন্ম হয়েছে বা অস্তিত্ব আছে।
ধর্মবিমুখ পশ্চিমা শিক্ষাব্যবস্থা বিজ্ঞানের ভুল উপস্থাপনা করে আমাদের মাঝে সংশয়ের ব্যাধি সৃষ্টি করতে চায়। আমাদের বোঝায় যে, দেখবে ধর্ম এক নেশা! আল্লাহ তথা স্রষ্টা বলে কিছুই নেই। অথচ পশ্চিমাদের এই বিজ্ঞানই বারবার স্রষ্টার অস্তিত্বের প্রমাণ দেয়। বিজ্ঞানের নিজস্ব সূত্রেই প্রমাণিত হয় আল্লাহর দেওয়া বিধানের যৌক্তিকতা।
ইসলাম কখনোই বিজ্ঞান বিরোধী নয়। ইসলাম বিজ্ঞানসম্মত ধর্ম এবং পবিত্র আল কুরআনও বিজ্ঞানময়। তবে বিজ্ঞানের যে বিষয় ইসলামের সাথে সাংঘর্ষিক তা অবশ্যই বর্জনীয়। এটি হচ্ছে মানবীয় বুদ্ধির সীমাবদ্ধতা।ইসলাম মানুষকে দিতে পারে আত্মার মুক্তি, এজন্য তাকে জ্ঞান-বিজ্ঞান ও উন্নয়ন থেকে বেরিয়ে আসতে বলে না। ইসলাম শুধু এতটুকু চায় যে, বৈষয়িক উন্নতির সঙ্গে যেনো একটা আত্মিক উন্নয়নের সম্পর্ক বজায় থাকুক।
যুক্তিবিদ্যার মারপ্যাচে যখন আপনি পৌছে যাবেন, বিভ্রান্তির বেড়াজালে যখন আপনি আটকে যাবেন তখন আপনাকে অন্তরের দিকে ফিরে যেতে হবে। আল্লাহ অন্তরে একটি কম্পাস সংযুক্ত করে দিয়েছেন যা কখনো ভুল দিক নির্দেশনা দিতে পারে না। এটা আমাদের অস্তিত্বের কেন্দ্রবিন্দু যা সব সময় সত্যকে খুজে বেড়ায়। যেখাবে লেখক সত্যকে খুজে পেয়েছিলেন।
লেখক ড. মুসতাফা মাহমুদের ছোট বেলা থেকেই বিজ্ঞানের প্রতি প্রচন্ড আগ্রহ ছিলো। তাই বাসায় রীতিমতো একটি ল্যাবই খুলে বসেন। সেখানেই চলতো নানা গবেষণা। যদিও একটা সময় নাস্তিকতার বাতাস তার গায়ে লেগেছিলো কিন্তু হেদায়েতপ্রাপ্ত হলে তিনি নিজেই নাস্তিকতার বিরুদ্ধে দাঁড়ান। একনিষ্ঠ চিত্তে সত্যান্বেষণ ও বাস্তবের অনুসন্ধান তাকে হেদায়েতের এই রাজপথে ফিরিয়ে এনেছে। শুরু করেন বই লেখা। প্রচুর বই লেখেন। বইটি লেখকের 'রিহলাতি মিনাশ শাক্কি ইলাল ঈমান' গ্রন্থের অনুবাদ।
আপনি মনে করতে পারেন যে, বইটি হয়ত লেখকের ইসলামের পথে ফিরে আসার কাহিনীগুলো বর্ণিত হয়েছে। কিন্তু না, তা নয় বরং লেখক তার একনিষ্ঠ সত্য, বাস্তবতা ও সঠিক অনুসন্ধানের সার নির্যাস বইটিতে তুলে এনেছেন। তুলে এনেছেন যুক্তির কষ্টিপাথরে আল্লাহর অস্তিত্ব। মলাটবদ্ধ করেছেন হিরে-মানিকগুলো যা আপনার ঈমানী চেতনা আরো বৃদ্ধি করে দিবে।
আর বইটির সার্থকতা এখানেই।
যেভাবে আস্তিক হলাম
মূল : ড. মুসতফা মাহমুদ
অনুবাদ : শাহেদ হারুন
মুদ্রিত মূল্য : ২৪০
প্রকাশনী : আরিশ প্রকাশন
আস্তিক থেকে নাস্তিক হওয়া, নাস্তিক থেকে আস্তিক হওয়া উভয়টিই উত্তেজনা সৃষ্টি করে। আস্তিক যদি হয় হোক সে এক সৃষ্টিকর্তায় বা কয়েক সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাসী। আস্তিক বললে সংখ্যার একটি হিসেব থাকে সবসময়। কারণ ধর্মের হিসেবটাও মাথায় রাখতে হয় তখন। কিন্তু নাস্তিকতা সবসময় জিরোতে অবস্থান করে। তবে মধ্যখানে সংশয়বাদ নামেও এক মতের জন্ম হয়েছে বা অস্তিত্ব আছে।
ধর্মবিমুখ পশ্চিমা শিক্ষাব্যবস্থা বিজ্ঞানের ভুল উপস্থাপনা করে আমাদের মাঝে সংশয়ের ব্যাধি সৃষ্টি করতে চায়। আমাদের বোঝায় যে, দেখবে ধর্ম এক নেশা! আল্লাহ তথা স্রষ্টা বলে কিছুই নেই। অথচ পশ্চিমাদের এই বিজ্ঞানই বারবার স্রষ্টার অস্তিত্বের প্রমাণ দেয়। বিজ্ঞানের নিজস্ব সূত্রেই প্রমাণিত হয় আল্লাহর দেওয়া বিধানের যৌক্তিকতা।
ইসলাম কখনোই বিজ্ঞান বিরোধী নয়। ইসলাম বিজ্ঞানসম্মত ধর্ম এবং পবিত্র আল কুরআনও বিজ্ঞানময়। তবে বিজ্ঞানের যে বিষয় ইসলামের সাথে সাংঘর্ষিক তা অবশ্যই বর্জনীয়। এটি হচ্ছে মানবীয় বুদ্ধির সীমাবদ্ধতা।ইসলাম মানুষকে দিতে পারে আত্মার মুক্তি, এজন্য তাকে জ্ঞান-বিজ্ঞান ও উন্নয়ন থেকে বেরিয়ে আসতে বলে না। ইসলাম শুধু এতটুকু চায় যে, বৈষয়িক উন্নতির সঙ্গে যেনো একটা আত্মিক উন্নয়নের সম্পর্ক বজায় থাকুক।
যুক্তিবিদ্যার মারপ্যাচে যখন আপনি পৌছে যাবেন, বিভ্রান্তির বেড়াজালে যখন আপনি আটকে যাবেন তখন আপনাকে অন্তরের দিকে ফিরে যেতে হবে। আল্লাহ অন্তরে একটি কম্পাস সংযুক্ত করে দিয়েছেন যা কখনো ভুল দিক নির্দেশনা দিতে পারে না। এটা আমাদের অস্তিত্বের কেন্দ্রবিন্দু যা সব সময় সত্যকে খুজে বেড়ায়। যেখাবে লেখক সত্যকে খুজে পেয়েছিলেন।
লেখক ড. মুসতাফা মাহমুদের ছোট বেলা থেকেই বিজ্ঞানের প্রতি প্রচন্ড আগ্রহ ছিলো। তাই বাসায় রীতিমতো একটি ল্যাবই খুলে বসেন। সেখানেই চলতো নানা গবেষণা। যদিও একটা সময় নাস্তিকতার বাতাস তার গায়ে লেগেছিলো কিন্তু হেদায়েতপ্রাপ্ত হলে তিনি নিজেই নাস্তিকতার বিরুদ্ধে দাঁড়ান। একনিষ্ঠ চিত্তে সত্যান্বেষণ ও বাস্তবের অনুসন্ধান তাকে হেদায়েতের এই রাজপথে ফিরিয়ে এনেছে। শুরু করেন বই লেখা। প্রচুর বই লেখেন। বইটি লেখকের 'রিহলাতি মিনাশ শাক্কি ইলাল ঈমান' গ্রন্থের অনুবাদ।
আপনি মনে করতে পারেন যে, বইটি হয়ত লেখকের ইসলামের পথে ফিরে আসার কাহিনীগুলো বর্ণিত হয়েছে। কিন্তু না, তা নয় বরং লেখক তার একনিষ্ঠ সত্য, বাস্তবতা ও সঠিক অনুসন্ধানের সার নির্যাস বইটিতে তুলে এনেছেন। তুলে এনেছেন যুক্তির কষ্টিপাথরে আল্লাহর অস্তিত্ব। মলাটবদ্ধ করেছেন হিরে-মানিকগুলো যা আপনার ঈমানী চেতনা আরো বৃদ্ধি করে দিবে।
আর বইটির সার্থকতা এখানেই।
যেভাবে আস্তিক হলাম
140 BDT240 BDTSave 100 BDT
1
বই পরিচিতি :
যেভাবে আস্তিক হলাম
মূল : ড. মুসতফা মাহমুদ
অনুবাদ : শাহেদ হারুন
মুদ্রিত মূল্য : ২৪০
প্রকাশনী : আরিশ প্রকাশন
আস্তিক থেকে নাস্তিক হওয়া, নাস্তিক থেকে আস্তিক হওয়া উভয়টিই উত্তেজনা সৃষ্টি করে। আস্তিক যদি হয় হোক সে এক সৃষ্টিকর্তায় বা কয়েক সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাসী। আস্তিক বললে সংখ্যার একটি হিসেব থাকে সবসময়। কারণ ধর্মের হিসেবটাও মাথায় রাখতে হয় তখন। কিন্তু নাস্তিকতা সবসময় জিরোতে অবস্থান করে। তবে মধ্যখানে সংশয়বাদ নামেও এক মতের জন্ম হয়েছে বা অস্তিত্ব আছে।
ধর্মবিমুখ পশ্চিমা শিক্ষাব্যবস্থা বিজ্ঞানের ভুল উপস্থাপনা করে আমাদের মাঝে সংশয়ের ব্যাধি সৃষ্টি করতে চায়। আমাদের বোঝায় যে, দেখবে ধর্ম এক নেশা! আল্লাহ তথা স্রষ্টা বলে কিছুই নেই। অথচ পশ্চিমাদের এই বিজ্ঞানই বারবার স্রষ্টার অস্তিত্বের প্রমাণ দেয়। বিজ্ঞানের নিজস্ব সূত্রেই প্রমাণিত হয় আল্লাহর দেওয়া বিধানের যৌক্তিকতা।
ইসলাম কখনোই বিজ্ঞান বিরোধী নয়। ইসলাম বিজ্ঞানসম্মত ধর্ম এবং পবিত্র আল কুরআনও বিজ্ঞানময়। তবে বিজ্ঞানের যে বিষয় ইসলামের সাথে সাংঘর্ষিক তা অবশ্যই বর্জনীয়। এটি হচ্ছে মানবীয় বুদ্ধির সীমাবদ্ধতা।ইসলাম মানুষকে দিতে পারে আত্মার মুক্তি, এজন্য তাকে জ্ঞান-বিজ্ঞান ও উন্নয়ন থেকে বেরিয়ে আসতে বলে না। ইসলাম শুধু এতটুকু চায় যে, বৈষয়িক উন্নতির সঙ্গে যেনো একটা আত্মিক উন্নয়নের সম্পর্ক বজায় থাকুক।
যুক্তিবিদ্যার মারপ্যাচে যখন আপনি পৌছে যাবেন, বিভ্রান্তির বেড়াজালে যখন আপনি আটকে যাবেন তখন আপনাকে অন্তরের দিকে ফিরে যেতে হবে। আল্লাহ অন্তরে একটি কম্পাস সংযুক্ত করে দিয়েছেন যা কখনো ভুল দিক নির্দেশনা দিতে পারে না। এটা আমাদের অস্তিত্বের কেন্দ্রবিন্দু যা সব সময় সত্যকে খুজে বেড়ায়। যেখাবে লেখক সত্যকে খুজে পেয়েছিলেন।
লেখক ড. মুসতাফা মাহমুদের ছোট বেলা থেকেই বিজ্ঞানের প্রতি প্রচন্ড আগ্রহ ছিলো। তাই বাসায় রীতিমতো একটি ল্যাবই খুলে বসেন। সেখানেই চলতো নানা গবেষণা। যদিও একটা সময় নাস্তিকতার বাতাস তার গায়ে লেগেছিলো কিন্তু হেদায়েতপ্রাপ্ত হলে তিনি নিজেই নাস্তিকতার বিরুদ্ধে দাঁড়ান। একনিষ্ঠ চিত্তে সত্যান্বেষণ ও বাস্তবের অনুসন্ধান তাকে হেদায়েতের এই রাজপথে ফিরিয়ে এনেছে। শুরু করেন বই লেখা। প্রচুর বই লেখেন। বইটি লেখকের 'রিহলাতি মিনাশ শাক্কি ইলাল ঈমান' গ্রন্থের অনুবাদ।
আপনি মনে করতে পারেন যে, বইটি হয়ত লেখকের ইসলামের পথে ফিরে আসার কাহিনীগুলো বর্ণিত হয়েছে। কিন্তু না, তা নয় বরং লেখক তার একনিষ্ঠ সত্য, বাস্তবতা ও সঠিক অনুসন্ধানের সার নির্যাস বইটিতে তুলে এনেছেন। তুলে এনেছেন যুক্তির কষ্টিপাথরে আল্লাহর অস্তিত্ব। মলাটবদ্ধ করেছেন হিরে-মানিকগুলো যা আপনার ঈমানী চেতনা আরো বৃদ্ধি করে দিবে।
আর বইটির সার্থকতা এখানেই।
যেভাবে আস্তিক হলাম
মূল : ড. মুসতফা মাহমুদ
অনুবাদ : শাহেদ হারুন
মুদ্রিত মূল্য : ২৪০
প্রকাশনী : আরিশ প্রকাশন
আস্তিক থেকে নাস্তিক হওয়া, নাস্তিক থেকে আস্তিক হওয়া উভয়টিই উত্তেজনা সৃষ্টি করে। আস্তিক যদি হয় হোক সে এক সৃষ্টিকর্তায় বা কয়েক সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাসী। আস্তিক বললে সংখ্যার একটি হিসেব থাকে সবসময়। কারণ ধর্মের হিসেবটাও মাথায় রাখতে হয় তখন। কিন্তু নাস্তিকতা সবসময় জিরোতে অবস্থান করে। তবে মধ্যখানে সংশয়বাদ নামেও এক মতের জন্ম হয়েছে বা অস্তিত্ব আছে।
ধর্মবিমুখ পশ্চিমা শিক্ষাব্যবস্থা বিজ্ঞানের ভুল উপস্থাপনা করে আমাদের মাঝে সংশয়ের ব্যাধি সৃষ্টি করতে চায়। আমাদের বোঝায় যে, দেখবে ধর্ম এক নেশা! আল্লাহ তথা স্রষ্টা বলে কিছুই নেই। অথচ পশ্চিমাদের এই বিজ্ঞানই বারবার স্রষ্টার অস্তিত্বের প্রমাণ দেয়। বিজ্ঞানের নিজস্ব সূত্রেই প্রমাণিত হয় আল্লাহর দেওয়া বিধানের যৌক্তিকতা।
ইসলাম কখনোই বিজ্ঞান বিরোধী নয়। ইসলাম বিজ্ঞানসম্মত ধর্ম এবং পবিত্র আল কুরআনও বিজ্ঞানময়। তবে বিজ্ঞানের যে বিষয় ইসলামের সাথে সাংঘর্ষিক তা অবশ্যই বর্জনীয়। এটি হচ্ছে মানবীয় বুদ্ধির সীমাবদ্ধতা।ইসলাম মানুষকে দিতে পারে আত্মার মুক্তি, এজন্য তাকে জ্ঞান-বিজ্ঞান ও উন্নয়ন থেকে বেরিয়ে আসতে বলে না। ইসলাম শুধু এতটুকু চায় যে, বৈষয়িক উন্নতির সঙ্গে যেনো একটা আত্মিক উন্নয়নের সম্পর্ক বজায় থাকুক।
যুক্তিবিদ্যার মারপ্যাচে যখন আপনি পৌছে যাবেন, বিভ্রান্তির বেড়াজালে যখন আপনি আটকে যাবেন তখন আপনাকে অন্তরের দিকে ফিরে যেতে হবে। আল্লাহ অন্তরে একটি কম্পাস সংযুক্ত করে দিয়েছেন যা কখনো ভুল দিক নির্দেশনা দিতে পারে না। এটা আমাদের অস্তিত্বের কেন্দ্রবিন্দু যা সব সময় সত্যকে খুজে বেড়ায়। যেখাবে লেখক সত্যকে খুজে পেয়েছিলেন।
লেখক ড. মুসতাফা মাহমুদের ছোট বেলা থেকেই বিজ্ঞানের প্রতি প্রচন্ড আগ্রহ ছিলো। তাই বাসায় রীতিমতো একটি ল্যাবই খুলে বসেন। সেখানেই চলতো নানা গবেষণা। যদিও একটা সময় নাস্তিকতার বাতাস তার গায়ে লেগেছিলো কিন্তু হেদায়েতপ্রাপ্ত হলে তিনি নিজেই নাস্তিকতার বিরুদ্ধে দাঁড়ান। একনিষ্ঠ চিত্তে সত্যান্বেষণ ও বাস্তবের অনুসন্ধান তাকে হেদায়েতের এই রাজপথে ফিরিয়ে এনেছে। শুরু করেন বই লেখা। প্রচুর বই লেখেন। বইটি লেখকের 'রিহলাতি মিনাশ শাক্কি ইলাল ঈমান' গ্রন্থের অনুবাদ।
আপনি মনে করতে পারেন যে, বইটি হয়ত লেখকের ইসলামের পথে ফিরে আসার কাহিনীগুলো বর্ণিত হয়েছে। কিন্তু না, তা নয় বরং লেখক তার একনিষ্ঠ সত্য, বাস্তবতা ও সঠিক অনুসন্ধানের সার নির্যাস বইটিতে তুলে এনেছেন। তুলে এনেছেন যুক্তির কষ্টিপাথরে আল্লাহর অস্তিত্ব। মলাটবদ্ধ করেছেন হিরে-মানিকগুলো যা আপনার ঈমানী চেতনা আরো বৃদ্ধি করে দিবে।
আর বইটির সার্থকতা এখানেই।