যে আফসোস রয়েই যাবে
বই : যে আফসোস রয়েই যাবেলেখক : শাইখ আব্দুল হাই মুহাম্মাদ সাইফুল্লাহপ্রকাশনী : সত্যায়ন প্রকাশনপৃষ্ঠা : 192ত্রুটিপূর্ণ ও রিয়া বা লোক দেখানো ইবাদাতকারীর জন্য আফসোস: **সত্যিই সেসব ইবাদাতকারীর অবস্থা কত আশ্চর্যজনক ও করুণ! বছরের পর বছর তারা আল্লাহর ইবাদাত করে কাটিয়ে দিল, মানুষকে ইসলামের দিকে আহ্বান করল, ওয়াজ নসিয়ত করল, বই-পুস্তক ছাপাল, দান-সদকা করল, মাসজিদ-মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করল, আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করল, মোটকথা—এমন কোনও কাজ নেই যা করল না। কিন্তু যদি এসব আমলে ইখলাস বা আন্তরিকতা না থাকে, যদি এসব আমল একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে করা না হয় অর্থাৎ যদি নিয়তের বিশুদ্ধতা না থাকে, তাহলে শেষ বিচারের দিন এগুলো তাদের অপমান ও আফসোসের কারণ হবে। যেসব আমলের উদ্দেশ্য মানুষকে দেখানো সেগুলো আল্লাহ কবুল করবেন না। বিচারের ময়দানে কত ইবাদাতকারী পাহাড়সম আমল নিয়ে হাজির হবে কিন্তু সেগুলো তাদের চোখের সামনে ধুলার স্তুপে পরিণত হবে। এরপর সেগুলো ছাইয়ের মতো উড়িয়ে দেওয়া হবে। তখন তারা হবে দেউলিয়া, হবে নিঃস্ব! এর কারণ তাদের ইবাদাত ছিল ত্রুটিপূর্ণ। এটি একটি তলাবিহীন বালতির মতো। যতই আমরা ওপর থেকে পানি ঢালি না কেন, যদি বালতির তলা না থাকে তাহলে সেখানে কোনও পানি ধরে রাখা যাবে না। সব পড়ে যাবে। তেমনিভাবে যারা ইবাদাতের মাধ্যমে রিয়া করেছে, মানুষকে দেখিয়ে বেরিয়েছে গর্ব-অহংকার করেছে, আত্মতুষ্টিতে ভুগেছে—এসব ত্রুটিপূর্ণ ইবাদাত আল্লাহ কিছুতেই কবুল করবেন না। আল্লাহ বলেন, **‘তারা দেখতে পাবে, আল্লাহর পক্ষ থেকে এমন শাস্তি, যা তারা কল্পনাও করত না।’** (সূরা যুমার, ৩৯ : ৪৭) যে আফসোস রয়ে যাবে বই থেকে.
An Najahah Shop
Category List
All products

বই : যে আফসোস রয়েই যাবে
লেখক : শাইখ আব্দুল হাই মুহাম্মাদ সাইফুল্লাহ
প্রকাশনী : সত্যায়ন প্রকাশন
পৃষ্ঠা : 192
ত্রুটিপূর্ণ ও রিয়া বা লোক দেখানো ইবাদাতকারীর জন্য আফসোস: **
সত্যিই সেসব ইবাদাতকারীর অবস্থা কত আশ্চর্যজনক ও করুণ! বছরের পর বছর তারা আল্লাহর ইবাদাত করে কাটিয়ে দিল, মানুষকে ইসলামের দিকে আহ্বান করল, ওয়াজ নসিয়ত করল, বই-পুস্তক ছাপাল, দান-সদকা করল, মাসজিদ-মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করল, আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করল, মোটকথা—এমন কোনও কাজ নেই যা করল না। কিন্তু যদি এসব আমলে ইখলাস বা আন্তরিকতা না থাকে, যদি এসব আমল একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে করা না হয় অর্থাৎ যদি নিয়তের বিশুদ্ধতা না থাকে, তাহলে শেষ বিচারের দিন এগুলো তাদের অপমান ও আফসোসের কারণ হবে।
যেসব আমলের উদ্দেশ্য মানুষকে দেখানো সেগুলো আল্লাহ কবুল করবেন না। বিচারের ময়দানে কত ইবাদাতকারী পাহাড়সম আমল নিয়ে হাজির হবে কিন্তু সেগুলো তাদের চোখের সামনে ধুলার স্তুপে পরিণত হবে। এরপর সেগুলো ছাইয়ের মতো উড়িয়ে দেওয়া হবে। তখন তারা হবে দেউলিয়া, হবে নিঃস্ব! এর কারণ তাদের ইবাদাত ছিল ত্রুটিপূর্ণ। এটি একটি তলাবিহীন বালতির মতো। যতই আমরা ওপর থেকে পানি ঢালি না কেন, যদি বালতির তলা না থাকে তাহলে সেখানে কোনও পানি ধরে রাখা যাবে না। সব পড়ে যাবে। তেমনিভাবে যারা ইবাদাতের মাধ্যমে রিয়া করেছে, মানুষকে দেখিয়ে বেরিয়েছে গর্ব-অহংকার করেছে, আত্মতুষ্টিতে ভুগেছে—এসব ত্রুটিপূর্ণ ইবাদাত আল্লাহ কিছুতেই কবুল করবেন না। আল্লাহ বলেন, **‘তারা দেখতে পাবে, আল্লাহর পক্ষ থেকে এমন শাস্তি, যা তারা কল্পনাও করত না।’** (সূরা যুমার, ৩৯ : ৪৭)
যে আফসোস রয়ে যাবে বই থেকে
.
লেখক : শাইখ আব্দুল হাই মুহাম্মাদ সাইফুল্লাহ
প্রকাশনী : সত্যায়ন প্রকাশন
পৃষ্ঠা : 192
ত্রুটিপূর্ণ ও রিয়া বা লোক দেখানো ইবাদাতকারীর জন্য আফসোস: **
সত্যিই সেসব ইবাদাতকারীর অবস্থা কত আশ্চর্যজনক ও করুণ! বছরের পর বছর তারা আল্লাহর ইবাদাত করে কাটিয়ে দিল, মানুষকে ইসলামের দিকে আহ্বান করল, ওয়াজ নসিয়ত করল, বই-পুস্তক ছাপাল, দান-সদকা করল, মাসজিদ-মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করল, আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করল, মোটকথা—এমন কোনও কাজ নেই যা করল না। কিন্তু যদি এসব আমলে ইখলাস বা আন্তরিকতা না থাকে, যদি এসব আমল একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে করা না হয় অর্থাৎ যদি নিয়তের বিশুদ্ধতা না থাকে, তাহলে শেষ বিচারের দিন এগুলো তাদের অপমান ও আফসোসের কারণ হবে।
যেসব আমলের উদ্দেশ্য মানুষকে দেখানো সেগুলো আল্লাহ কবুল করবেন না। বিচারের ময়দানে কত ইবাদাতকারী পাহাড়সম আমল নিয়ে হাজির হবে কিন্তু সেগুলো তাদের চোখের সামনে ধুলার স্তুপে পরিণত হবে। এরপর সেগুলো ছাইয়ের মতো উড়িয়ে দেওয়া হবে। তখন তারা হবে দেউলিয়া, হবে নিঃস্ব! এর কারণ তাদের ইবাদাত ছিল ত্রুটিপূর্ণ। এটি একটি তলাবিহীন বালতির মতো। যতই আমরা ওপর থেকে পানি ঢালি না কেন, যদি বালতির তলা না থাকে তাহলে সেখানে কোনও পানি ধরে রাখা যাবে না। সব পড়ে যাবে। তেমনিভাবে যারা ইবাদাতের মাধ্যমে রিয়া করেছে, মানুষকে দেখিয়ে বেরিয়েছে গর্ব-অহংকার করেছে, আত্মতুষ্টিতে ভুগেছে—এসব ত্রুটিপূর্ণ ইবাদাত আল্লাহ কিছুতেই কবুল করবেন না। আল্লাহ বলেন, **‘তারা দেখতে পাবে, আল্লাহর পক্ষ থেকে এমন শাস্তি, যা তারা কল্পনাও করত না।’** (সূরা যুমার, ৩৯ : ৪৭)
যে আফসোস রয়ে যাবে বই থেকে
.
যে আফসোস রয়েই যাবে
210 BDT288 BDTSave 78 BDT
1
বই : যে আফসোস রয়েই যাবে
লেখক : শাইখ আব্দুল হাই মুহাম্মাদ সাইফুল্লাহ
প্রকাশনী : সত্যায়ন প্রকাশন
পৃষ্ঠা : 192
ত্রুটিপূর্ণ ও রিয়া বা লোক দেখানো ইবাদাতকারীর জন্য আফসোস: **
সত্যিই সেসব ইবাদাতকারীর অবস্থা কত আশ্চর্যজনক ও করুণ! বছরের পর বছর তারা আল্লাহর ইবাদাত করে কাটিয়ে দিল, মানুষকে ইসলামের দিকে আহ্বান করল, ওয়াজ নসিয়ত করল, বই-পুস্তক ছাপাল, দান-সদকা করল, মাসজিদ-মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করল, আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করল, মোটকথা—এমন কোনও কাজ নেই যা করল না। কিন্তু যদি এসব আমলে ইখলাস বা আন্তরিকতা না থাকে, যদি এসব আমল একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে করা না হয় অর্থাৎ যদি নিয়তের বিশুদ্ধতা না থাকে, তাহলে শেষ বিচারের দিন এগুলো তাদের অপমান ও আফসোসের কারণ হবে।
যেসব আমলের উদ্দেশ্য মানুষকে দেখানো সেগুলো আল্লাহ কবুল করবেন না। বিচারের ময়দানে কত ইবাদাতকারী পাহাড়সম আমল নিয়ে হাজির হবে কিন্তু সেগুলো তাদের চোখের সামনে ধুলার স্তুপে পরিণত হবে। এরপর সেগুলো ছাইয়ের মতো উড়িয়ে দেওয়া হবে। তখন তারা হবে দেউলিয়া, হবে নিঃস্ব! এর কারণ তাদের ইবাদাত ছিল ত্রুটিপূর্ণ। এটি একটি তলাবিহীন বালতির মতো। যতই আমরা ওপর থেকে পানি ঢালি না কেন, যদি বালতির তলা না থাকে তাহলে সেখানে কোনও পানি ধরে রাখা যাবে না। সব পড়ে যাবে। তেমনিভাবে যারা ইবাদাতের মাধ্যমে রিয়া করেছে, মানুষকে দেখিয়ে বেরিয়েছে গর্ব-অহংকার করেছে, আত্মতুষ্টিতে ভুগেছে—এসব ত্রুটিপূর্ণ ইবাদাত আল্লাহ কিছুতেই কবুল করবেন না। আল্লাহ বলেন, **‘তারা দেখতে পাবে, আল্লাহর পক্ষ থেকে এমন শাস্তি, যা তারা কল্পনাও করত না।’** (সূরা যুমার, ৩৯ : ৪৭)
যে আফসোস রয়ে যাবে বই থেকে
.
লেখক : শাইখ আব্দুল হাই মুহাম্মাদ সাইফুল্লাহ
প্রকাশনী : সত্যায়ন প্রকাশন
পৃষ্ঠা : 192
ত্রুটিপূর্ণ ও রিয়া বা লোক দেখানো ইবাদাতকারীর জন্য আফসোস: **
সত্যিই সেসব ইবাদাতকারীর অবস্থা কত আশ্চর্যজনক ও করুণ! বছরের পর বছর তারা আল্লাহর ইবাদাত করে কাটিয়ে দিল, মানুষকে ইসলামের দিকে আহ্বান করল, ওয়াজ নসিয়ত করল, বই-পুস্তক ছাপাল, দান-সদকা করল, মাসজিদ-মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করল, আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করল, মোটকথা—এমন কোনও কাজ নেই যা করল না। কিন্তু যদি এসব আমলে ইখলাস বা আন্তরিকতা না থাকে, যদি এসব আমল একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে করা না হয় অর্থাৎ যদি নিয়তের বিশুদ্ধতা না থাকে, তাহলে শেষ বিচারের দিন এগুলো তাদের অপমান ও আফসোসের কারণ হবে।
যেসব আমলের উদ্দেশ্য মানুষকে দেখানো সেগুলো আল্লাহ কবুল করবেন না। বিচারের ময়দানে কত ইবাদাতকারী পাহাড়সম আমল নিয়ে হাজির হবে কিন্তু সেগুলো তাদের চোখের সামনে ধুলার স্তুপে পরিণত হবে। এরপর সেগুলো ছাইয়ের মতো উড়িয়ে দেওয়া হবে। তখন তারা হবে দেউলিয়া, হবে নিঃস্ব! এর কারণ তাদের ইবাদাত ছিল ত্রুটিপূর্ণ। এটি একটি তলাবিহীন বালতির মতো। যতই আমরা ওপর থেকে পানি ঢালি না কেন, যদি বালতির তলা না থাকে তাহলে সেখানে কোনও পানি ধরে রাখা যাবে না। সব পড়ে যাবে। তেমনিভাবে যারা ইবাদাতের মাধ্যমে রিয়া করেছে, মানুষকে দেখিয়ে বেরিয়েছে গর্ব-অহংকার করেছে, আত্মতুষ্টিতে ভুগেছে—এসব ত্রুটিপূর্ণ ইবাদাত আল্লাহ কিছুতেই কবুল করবেন না। আল্লাহ বলেন, **‘তারা দেখতে পাবে, আল্লাহর পক্ষ থেকে এমন শাস্তি, যা তারা কল্পনাও করত না।’** (সূরা যুমার, ৩৯ : ৪৭)
যে আফসোস রয়ে যাবে বই থেকে
.