প্রদীপ্ত কুটির
মাহির আর লাফিজা। ভার্সিটিতে পড়াবস্থায় দুজনের বিয়ে হয় (বিয়ের আগে কেউ কারো পূর্ব-পরিচিত ছিলো না)।এই সমাজ ভার্সিটি পড়ুয়া ছেলেমেয়েদের প্রেমের বৈধতা দিলেও একই বয়সে বিয়ের কথা উঠলে নানাজন নানান অজুহাত নিয়ে হাজির হয়। শুধুমাত্র দ্বীনের খাতিরে এই বয়সে বিয়ে করতে গেলে যে মানসিক দৃঢ়তার প্রয়োজন তা সবার থাকে না। সৌভাগ্যের বিষয় মাহির-লাফিজা দুজনের মা-বাবার এই মানসিক শক্তি ছিলো। বইয়ের গল্প শুরু হয় সমাজের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে মাহির-লাফিজার বিয়ের মাধ্যমে। বিয়ের গল্পের মাধ্যমে বইটি শুরু হলেও বইটি বিয়ে, দাম্পত্য জীবনের সুন্নাত নিয়ে নয়; বইটি মূলত আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুন্নাত অনুসরণ করা নিয়ে। আরো যথার্থভাবে বললে, সুন্নাত মনে করিয়ে দেওয়া নিয়ে। ছোটবেলায় আমাদের মা-বাবা হাতে ধরিয়ে আমাদেরকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুন্নাতগুলো শেখাতেন। পানি খাবার সময় স্মরণ করিয়ে দিতেনঃ ডান হাতে পানি খাও, বসে পানি খাও। নতুন কাপড় পরার আগে মনে করিয়ে দিতেনঃ আগে নতুন কাপড় পরার দু’আ পড়ো, ডান দিক থেকে পরা শুরু করো। কোনো হারাম কাজ করতে গেলে তাঁরা বুঝিয়ে বলতেনঃ এটা করো না, এটা হারাম। ছোটবেলায় স্মরণ করিয়ে দেবার এই গুরুদায়িত্ব আমাদের মা-বাবারাই পালন করতেন। কিন্তু মা-বাবার সান্নিধ্য ছেড়ে উচ্চশিক্ষা কিংবা জীবিকার্জনের তাগিদে যখন আমরা বেড়িয়ে পড়ি তখন হয়তো দীর্ঘ সময় কেউ আমাদেরকে এভাবে স্মরণ করিয়ে দেয়না।এই বইয়ে গল্পচ্ছলে স্মরণ করিয়ে দেবার কাজটি করা হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে কিছু সুন্নাত অনুসরণ না করার দরুন ছোটবেলার মা-বাবার শেখানো শিক্ষায় মরিচা ধরে। বিয়ের পর মাহির-লাফিজা তাদের জীবনের মরিচাগুলো পরিস্কার করা শুরু করে। সেখানে পুনঃস্থাপন করে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুন্নাতকে। মহান আল্লাহ পবিত্র কুর’আনে বলেনঃ “এবং উপদেশ দিতে থাকো, কারণ উপদেশ মু’মিনদের উপকারে আসে।”[সূরা আয-যারিয়াত ৫১:৫৫] মাহির যখন অভ্যাসবশত এমন একটা কাজ করতে যায় যেটা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের শেখানোর বিপরীত (হারাম), তখন লাফিজা আদুরে গলায় মাহিরকে স্মরণ করিয়ে দেয়। একইভাবে লাফিজাও যখন ভুলবশত কোনো কাজ করে ফেলে, যেটা করতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিষেধ করেছেন, তখন মাহির স্ত্রীকে সংশোধন করিয়ে দেয়। সুন্নাতে উদ্ভাসিত মাহির-লাফিজার ঘরের নাম আমরা দিয়েছি- প্রদীপ্ত কুটির।
An Najahah Shop
Category List
All products

মাহির আর লাফিজা। ভার্সিটিতে পড়াবস্থায় দুজনের বিয়ে হয় (বিয়ের আগে কেউ কারো পূর্ব-পরিচিত ছিলো না)।
এই সমাজ ভার্সিটি পড়ুয়া ছেলেমেয়েদের প্রেমের বৈধতা দিলেও একই বয়সে বিয়ের কথা উঠলে নানাজন নানান অজুহাত নিয়ে হাজির হয়। শুধুমাত্র দ্বীনের খাতিরে এই বয়সে বিয়ে করতে গেলে যে মানসিক দৃঢ়তার প্রয়োজন তা সবার থাকে না। সৌভাগ্যের বিষয় মাহির-লাফিজা দুজনের মা-বাবার এই মানসিক শক্তি ছিলো। বইয়ের গল্প শুরু হয় সমাজের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে মাহির-লাফিজার বিয়ের মাধ্যমে।
বিয়ের গল্পের মাধ্যমে বইটি শুরু হলেও বইটি বিয়ে, দাম্পত্য জীবনের সুন্নাত নিয়ে নয়; বইটি মূলত আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুন্নাত অনুসরণ করা নিয়ে। আরো যথার্থভাবে বললে, সুন্নাত মনে করিয়ে দেওয়া নিয়ে।
ছোটবেলায় আমাদের মা-বাবা হাতে ধরিয়ে আমাদেরকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুন্নাতগুলো শেখাতেন। পানি খাবার সময় স্মরণ করিয়ে দিতেনঃ ডান হাতে পানি খাও, বসে পানি খাও। নতুন কাপড় পরার আগে মনে করিয়ে দিতেনঃ আগে নতুন কাপড় পরার দু’আ পড়ো, ডান দিক থেকে পরা শুরু করো। কোনো হারাম কাজ করতে গেলে তাঁরা বুঝিয়ে বলতেনঃ এটা করো না, এটা হারাম।
ছোটবেলায় স্মরণ করিয়ে দেবার এই গুরুদায়িত্ব আমাদের মা-বাবারাই পালন করতেন। কিন্তু মা-বাবার সান্নিধ্য ছেড়ে উচ্চশিক্ষা কিংবা জীবিকার্জনের তাগিদে যখন আমরা বেড়িয়ে পড়ি তখন হয়তো দীর্ঘ সময় কেউ আমাদেরকে এভাবে স্মরণ করিয়ে দেয়না।
এই বইয়ে গল্পচ্ছলে স্মরণ করিয়ে দেবার কাজটি করা হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে কিছু সুন্নাত অনুসরণ না করার দরুন ছোটবেলার মা-বাবার শেখানো শিক্ষায় মরিচা ধরে। বিয়ের পর মাহির-লাফিজা তাদের জীবনের মরিচাগুলো পরিস্কার করা শুরু করে। সেখানে পুনঃস্থাপন করে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুন্নাতকে।
মহান আল্লাহ পবিত্র কুর’আনে বলেনঃ “এবং উপদেশ দিতে থাকো, কারণ উপদেশ মু’মিনদের উপকারে আসে।”
[সূরা আয-যারিয়াত ৫১:৫৫]
মাহির যখন অভ্যাসবশত এমন একটা কাজ করতে যায় যেটা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের শেখানোর বিপরীত (হারাম), তখন লাফিজা আদুরে গলায় মাহিরকে স্মরণ করিয়ে দেয়। একইভাবে লাফিজাও যখন ভুলবশত কোনো কাজ করে ফেলে, যেটা করতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিষেধ করেছেন, তখন মাহির স্ত্রীকে সংশোধন করিয়ে দেয়।
সুন্নাতে উদ্ভাসিত মাহির-লাফিজার ঘরের নাম আমরা দিয়েছি- প্রদীপ্ত কুটির।
এই সমাজ ভার্সিটি পড়ুয়া ছেলেমেয়েদের প্রেমের বৈধতা দিলেও একই বয়সে বিয়ের কথা উঠলে নানাজন নানান অজুহাত নিয়ে হাজির হয়। শুধুমাত্র দ্বীনের খাতিরে এই বয়সে বিয়ে করতে গেলে যে মানসিক দৃঢ়তার প্রয়োজন তা সবার থাকে না। সৌভাগ্যের বিষয় মাহির-লাফিজা দুজনের মা-বাবার এই মানসিক শক্তি ছিলো। বইয়ের গল্প শুরু হয় সমাজের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে মাহির-লাফিজার বিয়ের মাধ্যমে।
বিয়ের গল্পের মাধ্যমে বইটি শুরু হলেও বইটি বিয়ে, দাম্পত্য জীবনের সুন্নাত নিয়ে নয়; বইটি মূলত আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুন্নাত অনুসরণ করা নিয়ে। আরো যথার্থভাবে বললে, সুন্নাত মনে করিয়ে দেওয়া নিয়ে।
ছোটবেলায় আমাদের মা-বাবা হাতে ধরিয়ে আমাদেরকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুন্নাতগুলো শেখাতেন। পানি খাবার সময় স্মরণ করিয়ে দিতেনঃ ডান হাতে পানি খাও, বসে পানি খাও। নতুন কাপড় পরার আগে মনে করিয়ে দিতেনঃ আগে নতুন কাপড় পরার দু’আ পড়ো, ডান দিক থেকে পরা শুরু করো। কোনো হারাম কাজ করতে গেলে তাঁরা বুঝিয়ে বলতেনঃ এটা করো না, এটা হারাম।
ছোটবেলায় স্মরণ করিয়ে দেবার এই গুরুদায়িত্ব আমাদের মা-বাবারাই পালন করতেন। কিন্তু মা-বাবার সান্নিধ্য ছেড়ে উচ্চশিক্ষা কিংবা জীবিকার্জনের তাগিদে যখন আমরা বেড়িয়ে পড়ি তখন হয়তো দীর্ঘ সময় কেউ আমাদেরকে এভাবে স্মরণ করিয়ে দেয়না।
এই বইয়ে গল্পচ্ছলে স্মরণ করিয়ে দেবার কাজটি করা হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে কিছু সুন্নাত অনুসরণ না করার দরুন ছোটবেলার মা-বাবার শেখানো শিক্ষায় মরিচা ধরে। বিয়ের পর মাহির-লাফিজা তাদের জীবনের মরিচাগুলো পরিস্কার করা শুরু করে। সেখানে পুনঃস্থাপন করে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুন্নাতকে।
মহান আল্লাহ পবিত্র কুর’আনে বলেনঃ “এবং উপদেশ দিতে থাকো, কারণ উপদেশ মু’মিনদের উপকারে আসে।”
[সূরা আয-যারিয়াত ৫১:৫৫]
মাহির যখন অভ্যাসবশত এমন একটা কাজ করতে যায় যেটা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের শেখানোর বিপরীত (হারাম), তখন লাফিজা আদুরে গলায় মাহিরকে স্মরণ করিয়ে দেয়। একইভাবে লাফিজাও যখন ভুলবশত কোনো কাজ করে ফেলে, যেটা করতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিষেধ করেছেন, তখন মাহির স্ত্রীকে সংশোধন করিয়ে দেয়।
সুন্নাতে উদ্ভাসিত মাহির-লাফিজার ঘরের নাম আমরা দিয়েছি- প্রদীপ্ত কুটির।
প্রদীপ্ত কুটির
140 BDT192 BDTSave 52 BDT
1
মাহির আর লাফিজা। ভার্সিটিতে পড়াবস্থায় দুজনের বিয়ে হয় (বিয়ের আগে কেউ কারো পূর্ব-পরিচিত ছিলো না)।
এই সমাজ ভার্সিটি পড়ুয়া ছেলেমেয়েদের প্রেমের বৈধতা দিলেও একই বয়সে বিয়ের কথা উঠলে নানাজন নানান অজুহাত নিয়ে হাজির হয়। শুধুমাত্র দ্বীনের খাতিরে এই বয়সে বিয়ে করতে গেলে যে মানসিক দৃঢ়তার প্রয়োজন তা সবার থাকে না। সৌভাগ্যের বিষয় মাহির-লাফিজা দুজনের মা-বাবার এই মানসিক শক্তি ছিলো। বইয়ের গল্প শুরু হয় সমাজের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে মাহির-লাফিজার বিয়ের মাধ্যমে।
বিয়ের গল্পের মাধ্যমে বইটি শুরু হলেও বইটি বিয়ে, দাম্পত্য জীবনের সুন্নাত নিয়ে নয়; বইটি মূলত আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুন্নাত অনুসরণ করা নিয়ে। আরো যথার্থভাবে বললে, সুন্নাত মনে করিয়ে দেওয়া নিয়ে।
ছোটবেলায় আমাদের মা-বাবা হাতে ধরিয়ে আমাদেরকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুন্নাতগুলো শেখাতেন। পানি খাবার সময় স্মরণ করিয়ে দিতেনঃ ডান হাতে পানি খাও, বসে পানি খাও। নতুন কাপড় পরার আগে মনে করিয়ে দিতেনঃ আগে নতুন কাপড় পরার দু’আ পড়ো, ডান দিক থেকে পরা শুরু করো। কোনো হারাম কাজ করতে গেলে তাঁরা বুঝিয়ে বলতেনঃ এটা করো না, এটা হারাম।
ছোটবেলায় স্মরণ করিয়ে দেবার এই গুরুদায়িত্ব আমাদের মা-বাবারাই পালন করতেন। কিন্তু মা-বাবার সান্নিধ্য ছেড়ে উচ্চশিক্ষা কিংবা জীবিকার্জনের তাগিদে যখন আমরা বেড়িয়ে পড়ি তখন হয়তো দীর্ঘ সময় কেউ আমাদেরকে এভাবে স্মরণ করিয়ে দেয়না।
এই বইয়ে গল্পচ্ছলে স্মরণ করিয়ে দেবার কাজটি করা হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে কিছু সুন্নাত অনুসরণ না করার দরুন ছোটবেলার মা-বাবার শেখানো শিক্ষায় মরিচা ধরে। বিয়ের পর মাহির-লাফিজা তাদের জীবনের মরিচাগুলো পরিস্কার করা শুরু করে। সেখানে পুনঃস্থাপন করে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুন্নাতকে।
মহান আল্লাহ পবিত্র কুর’আনে বলেনঃ “এবং উপদেশ দিতে থাকো, কারণ উপদেশ মু’মিনদের উপকারে আসে।”
[সূরা আয-যারিয়াত ৫১:৫৫]
মাহির যখন অভ্যাসবশত এমন একটা কাজ করতে যায় যেটা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের শেখানোর বিপরীত (হারাম), তখন লাফিজা আদুরে গলায় মাহিরকে স্মরণ করিয়ে দেয়। একইভাবে লাফিজাও যখন ভুলবশত কোনো কাজ করে ফেলে, যেটা করতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিষেধ করেছেন, তখন মাহির স্ত্রীকে সংশোধন করিয়ে দেয়।
সুন্নাতে উদ্ভাসিত মাহির-লাফিজার ঘরের নাম আমরা দিয়েছি- প্রদীপ্ত কুটির।
এই সমাজ ভার্সিটি পড়ুয়া ছেলেমেয়েদের প্রেমের বৈধতা দিলেও একই বয়সে বিয়ের কথা উঠলে নানাজন নানান অজুহাত নিয়ে হাজির হয়। শুধুমাত্র দ্বীনের খাতিরে এই বয়সে বিয়ে করতে গেলে যে মানসিক দৃঢ়তার প্রয়োজন তা সবার থাকে না। সৌভাগ্যের বিষয় মাহির-লাফিজা দুজনের মা-বাবার এই মানসিক শক্তি ছিলো। বইয়ের গল্প শুরু হয় সমাজের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে মাহির-লাফিজার বিয়ের মাধ্যমে।
বিয়ের গল্পের মাধ্যমে বইটি শুরু হলেও বইটি বিয়ে, দাম্পত্য জীবনের সুন্নাত নিয়ে নয়; বইটি মূলত আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুন্নাত অনুসরণ করা নিয়ে। আরো যথার্থভাবে বললে, সুন্নাত মনে করিয়ে দেওয়া নিয়ে।
ছোটবেলায় আমাদের মা-বাবা হাতে ধরিয়ে আমাদেরকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুন্নাতগুলো শেখাতেন। পানি খাবার সময় স্মরণ করিয়ে দিতেনঃ ডান হাতে পানি খাও, বসে পানি খাও। নতুন কাপড় পরার আগে মনে করিয়ে দিতেনঃ আগে নতুন কাপড় পরার দু’আ পড়ো, ডান দিক থেকে পরা শুরু করো। কোনো হারাম কাজ করতে গেলে তাঁরা বুঝিয়ে বলতেনঃ এটা করো না, এটা হারাম।
ছোটবেলায় স্মরণ করিয়ে দেবার এই গুরুদায়িত্ব আমাদের মা-বাবারাই পালন করতেন। কিন্তু মা-বাবার সান্নিধ্য ছেড়ে উচ্চশিক্ষা কিংবা জীবিকার্জনের তাগিদে যখন আমরা বেড়িয়ে পড়ি তখন হয়তো দীর্ঘ সময় কেউ আমাদেরকে এভাবে স্মরণ করিয়ে দেয়না।
এই বইয়ে গল্পচ্ছলে স্মরণ করিয়ে দেবার কাজটি করা হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে কিছু সুন্নাত অনুসরণ না করার দরুন ছোটবেলার মা-বাবার শেখানো শিক্ষায় মরিচা ধরে। বিয়ের পর মাহির-লাফিজা তাদের জীবনের মরিচাগুলো পরিস্কার করা শুরু করে। সেখানে পুনঃস্থাপন করে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুন্নাতকে।
মহান আল্লাহ পবিত্র কুর’আনে বলেনঃ “এবং উপদেশ দিতে থাকো, কারণ উপদেশ মু’মিনদের উপকারে আসে।”
[সূরা আয-যারিয়াত ৫১:৫৫]
মাহির যখন অভ্যাসবশত এমন একটা কাজ করতে যায় যেটা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের শেখানোর বিপরীত (হারাম), তখন লাফিজা আদুরে গলায় মাহিরকে স্মরণ করিয়ে দেয়। একইভাবে লাফিজাও যখন ভুলবশত কোনো কাজ করে ফেলে, যেটা করতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিষেধ করেছেন, তখন মাহির স্ত্রীকে সংশোধন করিয়ে দেয়।
সুন্নাতে উদ্ভাসিত মাহির-লাফিজার ঘরের নাম আমরা দিয়েছি- প্রদীপ্ত কুটির।