An Najahah Shop
EN

অসংগতি

An Najahah Shop

অসংগতি
  • অসংগতি_img_0

অসংগতি

165 BDT225 BDTSave 60 BDT
1

অসংগতি' বই থেকে..
লেখক : আব্দুল্লাহ আল মাসউদ
প্রচ্ছদ মূল্য : ২২৫ টাকা
সন্দীপন প্রকাশন
ছবি : সংগৃহীত


আমাদের সমাজে সামাজিক যত ব্যাধি আছে তার মধ্যে বড় একটা অংশ বিয়ের সাথে সংশ্লিষ্ট। আবার বিয়ে-সংশ্লিষ্ট ব্যাধিগুলোর মধ্যে মোহরানার ব্যাপারটি হলো অন্যতম।

মোহরানার ক্ষেত্রে ইসলামের নির্দেশনা হলো মোহরানা যত কম হয় তত ভালো। আয়েশা রদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, রাসূল ﷺ বলেছেন,
‘সবচেয়ে বরকতপূর্ণ বিবাহ হলো সেটা, যাতে খরচ সবচেয়ে কম হয়।’ (শুআবুল ঈমান : ৬১৪৬)

মুহাদ্দিসদের ব্যাখ্যা অনুসারে এই খরচের ভেতর বিবাহের সব আনুষঙ্গিক খরচ অন্তর্ভুক্ত। যার মধ্যে মোহরানাও রয়েছে। এর আরেকটা প্রমাণ হলো কোনো কোনো বর্ণনাতে সরাসরি মোহর কম হওয়া বরকতের কারণ হবার কথাও এসেছে।

এ ক্ষেত্রে বিশিষ্ট সাহাবী ও ইসলামের দ্বিতীয় খলীফা উমর ইবনুল খাত্তাব রদিয়াল্লাহু আনহু-র একটি উক্তি সবিশেষ প্রণিধানযোগ্য। তিনি একবার বলেছিলেন,
‘মোহরানার অঙ্ক বাড়িয়ে নির্ধারণ কোরো না। কারণ, এটি যদি দুনিয়াতে সম্মানের কোনো বস্তু হতো বা আল্লাহর কাছে তাকওয়ার নিদর্শন হতো তবে তা সর্বাগ্রে রাসূল ﷺ অবলম্বন করতেন।’ (আবু দাউদ : ২১০৬)

অনেক স্বামী আছেন যারা বাহাদুরি দেখিয়ে বিশাল বড় অঙ্কের মোহরানা ধার্য করে বাইরে বাইরে ফুটানি দেখান। কিন্তু ঘরের অবস্থা থাকে সম্পূর্ণ ভিন্ন রকম। বিয়ের প্রথম রাতেই স্ত্রীর কাছ থেকে ছলে-বলে-কৌশলে মোহর মাফ করিয়ে নেবার চেষ্টা করা হয়। কারণ, বাসর রাতে যে কোনো নারীই মানসিকভাবে দুর্বল থাকে।

এ ছাড়া মোহরানার গুরুত্ব ও তাৎপর্য সম্পর্কে জানা না থাকায় স্বামী যখন তার কাছে মোহর মাফ চায় তখন তাকে ‘না’ বলার মতো কঠিন সিদ্ধান্ত সে নিতে পারে না। সে ভাবে, এখন যদি মাফ না করে তবে স্বামীই-বা তাকে কী মনে করবে! এসব নানা রকম চিন্তা থেকে সে মোহরানা মাফ করে দেয়। এগুলো খুবই জঘন্য রকমের কৌশল।

তবে হ্যাঁ, যদি স্ত্রী স্বেচ্ছায় মোহরানার পাওনা মাফ করে দেয় বা আংশিক অঙ্ক কমিয়ে দেয় তবে এটা তার ব্যক্তিগত অধিকার। পাওনা যেহেতু তার তাই সে পুরোটা উসুল করবে, না আংশিক উসুল করে বাকিটা মাফ করে দেবে সে সিদ্ধান্ত নেবার ক্ষমতাও তার। পবিত্র কুরআনে এই বিষয়ে বলা হয়েছে,
‘আর তোমরা নারীদের তাদের মোহর দিয়ে দাও স্বেচ্ছায়, তবে তারা যদি তা থেকে কোনো অংশ মাফ করে দেয়, তখন তা তোমরা ভোগ করতে পার।’ (সূরা নিসা, ০৪:০৪)

মোহরানার ক্ষেত্রে ইসলামের এ শিক্ষাগুলো যেন আমরা ভুলে না যাই। গড্ডলিকাপ্রবাহে মিশে যাওয়ার এ যুগে মোহরানার মহড়া যেন নতুন ব্যাধি হয়ে সমাজের বুকে চেপে বসার সুযোগ না পায়।