শেষের অশ্রু
'বই: শেষের অশ্রু লেখক: দাঊদ ইবনু সুলাইমান উবাইদি অনুবাদক: আব্দুল্লাহ মজুমদার প্রকাশনী: সন্দীপন মুদ্রিত মূল্য: ১৬০ টাকাশেষের অশ্রু' বাগদাদের এক আল্লাহওয়ালা যুবক ইয়াসারের গল্প। সে বড় হয়েছে আল্লাহর আনুগত্যে। আল্লাহকে ভয় করার কারণে সবাই ওর কথা জানত। তার তাকওয়ার কারণে অনেকে তাকে ঈর্ষা করত। জ্ঞানে ও ধার্মিকতায় সবাইকে সে ছাড়িয়ে গিয়েছিল। কিন্তু..! কত দ্রুত মানুষের অবস্থার পরিবর্তন হয়! মুমিনের অন্তর কত দুর্বল হয়ে পড়ে! সুবহানাল্লাহ! 'মাসজিদের কবুতর' খ্যাত এই ছেলেরও একসময় পদস্খলন ঘটে। যাকে দেখলে মনে হতো তার দেহ দুনিয়ায় বাস করলেও তার আত্মা আখিরাতে, সেই ইয়াসারও একসময় আটকে পড়ে নারীর মরীচিকাময় ছলনায়। সারশীর তার মায়াকাড়া রূপ আর জাদুকরী কণ্ঠস্বরে যেন বশ করে ফেলেছিল ইয়াসারকে। শয়তানের অব্যর্থ তিরে যে নাজুক অবস্থায় সে উপনীত হয়েছিল, তা থেকে কি ইয়াসার ফিরে আসতে পেরেছিল?এমন জীবন-গল্পের পরিসমাপ্তি ঘটে অশ্রুতে। কারও জন্য সে অশ্রু আক্ষেপের, কারও জন্য-বা সেটা অনুশোচনার। আমাদের গল্পের ইয়াসারের কেমন পরিণতি হয়েছিল? জানতে হলে পড়তে হবে অনন্যসাধারণ বই ‘শেষের অশ্রু’। পাঠ প্রতিক্রিয়া: দাঊদ ইবনু সুলাইমান উবাইদির মূল আরবি বই থেকে ‘শেষের অশ্রু’ নামে চমৎকারভাবে বঙ্গানুবাদ করেছেন আব্দুল্লাহ মজুমদার। পড়ার আগে যতটুকু ভালো হবে ভেবেছিলাম পড়তে গিয়ে তারচেয়েও বেশি ভালো লাগা অনুভব করেছি। এবং এই ভালো লাগার পারদ যত সময় গেছে ততোই উপরে উঠেছে। এতো চমৎকার একটা বই নিয়ে কেন তেমন আলোচনা দেখি না!এই গল্পটা শুধু ইয়াসারেরই নয়। বরং, সৃষ্টির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত অসংখ্য হোঁচট খাওয়া মুমিনের গল্প। ইয়াসারের মতো একজন—যে সবসময় মানুষকে সৎপথে আসার এবং অসৎপথ থেকে বিরত থাকার জন্য বলতো, সে নিজেও একসময় হারিয়ে যায় ভুল স্রোতে। লেখক খুব সুন্দর করে ইয়াসারের অন্তর্দন্দ তুলে ধরেছেন—পাপের দিকে এগুতে গিয়েও আবার পিছিয়ে যাওয়া, আবার নিজেকে মানুষের চিরশত্রুর নিকট সমর্পিত করে দেওয়া। মনে হয়নি লেখক তাড়াহুড়ো করেছেন। ছোট্ট কলেবরেই মূল চরিত্রকে দারুণভাবে বিকশিত করেছেন। লেখক খুব সুন্দর করে গল্পে গল্পে যেন আমাদের শয়তান সম্পর্কে সতর্ক করে দিয়ে গেছেন৷ ভালো কাজের মধ্যে থাকতে থাকতে আমরা যেন কখনো না ভাবি যে শয়তান আমাদের কিচ্ছু করতে পারবে না। শয়তান সবসময় চায় আমরা যেন সৎ পথ থেকে বিচ্যুত হয়ে যাই। এই গল্পে আবু মাহমূদ যেন শয়তানের প্রতিবিম্ব। নজরের হিফাজত আর গায়রে মাহরাম নারী থেকে সতর্ক করার পাশাপাশি এই বইটি আমাদের বন্ধু নির্বাচনে সাবধানতা অবলম্বন করতেও শেখায়। বন্ধুদের প্ররোচনায় পড়ে আমরা জান্নাতি কিংবা জাহান্নামি হয়ে যেতে পারি। আখিরাতে যেন আমাদের আফসোস না করা লাগে, "হায়! যদি তাকে বন্ধুরূপে গ্রহণ না করতাম!" একটা ভুলের কারণে যদি ইয়াসারের পাপের পরিমাণ বাড়তে থাকে, সালাত প্রাণহীন হয়ে যায়, ইমানের স্বাদ কমে যায়, তাহলে আমাদের কী অবস্থা! আমরা তো পাপের সাগরে নিমজ্জিত! আল্লা হুম্ মাগ ফিরলি!তবে আশার ব্যাপার এটা যে, এতোকিছুর পরেও আল্লাহ তায়ালা তো অপরিসীম দয়ার ভাণ্ডার। আমাদের উচিত নয় তাঁর রহমত থেকে কখনও নিরাশ হওয়া। তাওবার দরজা সবসময় খুলা আছে৷ সামান্য চোখের পানিই তো যথেষ্ট। শেষের অশ্রুটা যেন আল্লাহর জন্যই হয়। কিন্তু আমাদের ইয়াসার কার জন্য ঝড়িয়েছিল তার শেষ অশ্রুবিন্দু?
An Najahah Shop
Category List
All products

'বই: শেষের অশ্রু
লেখক: দাঊদ ইবনু সুলাইমান উবাইদি
অনুবাদক: আব্দুল্লাহ মজুমদার
প্রকাশনী: সন্দীপন
মুদ্রিত মূল্য: ১৬০ টাকা
শেষের অশ্রু' বাগদাদের এক আল্লাহওয়ালা যুবক ইয়াসারের গল্প। সে বড় হয়েছে আল্লাহর আনুগত্যে। আল্লাহকে ভয় করার কারণে সবাই ওর কথা জানত। তার তাকওয়ার কারণে অনেকে তাকে ঈর্ষা করত। জ্ঞানে ও ধার্মিকতায় সবাইকে সে ছাড়িয়ে গিয়েছিল।
কিন্তু..! কত দ্রুত মানুষের অবস্থার পরিবর্তন হয়! মুমিনের অন্তর কত দুর্বল হয়ে পড়ে! সুবহানাল্লাহ! 'মাসজিদের কবুতর' খ্যাত এই ছেলেরও একসময় পদস্খলন ঘটে। যাকে দেখলে মনে হতো তার দেহ দুনিয়ায় বাস করলেও তার আত্মা আখিরাতে, সেই ইয়াসারও একসময় আটকে পড়ে নারীর মরীচিকাময় ছলনায়। সারশীর তার মায়াকাড়া রূপ আর জাদুকরী কণ্ঠস্বরে যেন বশ করে ফেলেছিল ইয়াসারকে। শয়তানের অব্যর্থ তিরে যে নাজুক অবস্থায় সে উপনীত হয়েছিল, তা থেকে কি ইয়াসার ফিরে আসতে পেরেছিল?
এমন জীবন-গল্পের পরিসমাপ্তি ঘটে অশ্রুতে। কারও জন্য সে অশ্রু আক্ষেপের, কারও জন্য-বা সেটা অনুশোচনার। আমাদের গল্পের ইয়াসারের কেমন পরিণতি হয়েছিল? জানতে হলে পড়তে হবে অনন্যসাধারণ বই ‘শেষের অশ্রু’।
পাঠ প্রতিক্রিয়া: দাঊদ ইবনু সুলাইমান উবাইদির মূল আরবি বই থেকে ‘শেষের অশ্রু’ নামে চমৎকারভাবে বঙ্গানুবাদ করেছেন আব্দুল্লাহ মজুমদার। পড়ার আগে যতটুকু ভালো হবে ভেবেছিলাম পড়তে গিয়ে তারচেয়েও বেশি ভালো লাগা অনুভব করেছি। এবং এই ভালো লাগার পারদ যত সময় গেছে ততোই উপরে উঠেছে। এতো চমৎকার একটা বই নিয়ে কেন তেমন আলোচনা দেখি না!
এই গল্পটা শুধু ইয়াসারেরই নয়। বরং, সৃষ্টির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত অসংখ্য হোঁচট খাওয়া মুমিনের গল্প। ইয়াসারের মতো একজন—যে সবসময় মানুষকে সৎপথে আসার এবং অসৎপথ থেকে বিরত থাকার জন্য বলতো, সে নিজেও একসময় হারিয়ে যায় ভুল স্রোতে। লেখক খুব সুন্দর করে ইয়াসারের অন্তর্দন্দ তুলে ধরেছেন—পাপের দিকে এগুতে গিয়েও আবার পিছিয়ে যাওয়া, আবার নিজেকে মানুষের চিরশত্রুর নিকট সমর্পিত করে দেওয়া। মনে হয়নি লেখক তাড়াহুড়ো করেছেন। ছোট্ট কলেবরেই মূল চরিত্রকে দারুণভাবে বিকশিত করেছেন।
লেখক খুব সুন্দর করে গল্পে গল্পে যেন আমাদের শয়তান সম্পর্কে সতর্ক করে দিয়ে গেছেন৷ ভালো কাজের মধ্যে থাকতে থাকতে আমরা যেন কখনো না ভাবি যে শয়তান আমাদের কিচ্ছু করতে পারবে না। শয়তান সবসময় চায় আমরা যেন সৎ পথ থেকে বিচ্যুত হয়ে যাই। এই গল্পে আবু মাহমূদ যেন শয়তানের প্রতিবিম্ব। নজরের হিফাজত আর গায়রে মাহরাম নারী থেকে সতর্ক করার পাশাপাশি এই বইটি আমাদের বন্ধু নির্বাচনে সাবধানতা অবলম্বন করতেও শেখায়। বন্ধুদের প্ররোচনায় পড়ে আমরা জান্নাতি কিংবা জাহান্নামি হয়ে যেতে পারি। আখিরাতে যেন আমাদের আফসোস না করা লাগে, "হায়! যদি তাকে বন্ধুরূপে গ্রহণ না করতাম!"
একটা ভুলের কারণে যদি ইয়াসারের পাপের পরিমাণ বাড়তে থাকে, সালাত প্রাণহীন হয়ে যায়, ইমানের স্বাদ কমে যায়, তাহলে আমাদের কী অবস্থা! আমরা তো পাপের সাগরে নিমজ্জিত! আল্লা হুম্ মাগ ফিরলি!
তবে আশার ব্যাপার এটা যে, এতোকিছুর পরেও আল্লাহ তায়ালা তো অপরিসীম দয়ার ভাণ্ডার। আমাদের উচিত নয় তাঁর রহমত থেকে কখনও নিরাশ হওয়া। তাওবার দরজা সবসময় খুলা আছে৷ সামান্য চোখের পানিই তো যথেষ্ট। শেষের অশ্রুটা যেন আল্লাহর জন্যই হয়। কিন্তু আমাদের ইয়াসার কার জন্য ঝড়িয়েছিল তার শেষ অশ্রুবিন্দু?
লেখক: দাঊদ ইবনু সুলাইমান উবাইদি
অনুবাদক: আব্দুল্লাহ মজুমদার
প্রকাশনী: সন্দীপন
মুদ্রিত মূল্য: ১৬০ টাকা
শেষের অশ্রু' বাগদাদের এক আল্লাহওয়ালা যুবক ইয়াসারের গল্প। সে বড় হয়েছে আল্লাহর আনুগত্যে। আল্লাহকে ভয় করার কারণে সবাই ওর কথা জানত। তার তাকওয়ার কারণে অনেকে তাকে ঈর্ষা করত। জ্ঞানে ও ধার্মিকতায় সবাইকে সে ছাড়িয়ে গিয়েছিল।
কিন্তু..! কত দ্রুত মানুষের অবস্থার পরিবর্তন হয়! মুমিনের অন্তর কত দুর্বল হয়ে পড়ে! সুবহানাল্লাহ! 'মাসজিদের কবুতর' খ্যাত এই ছেলেরও একসময় পদস্খলন ঘটে। যাকে দেখলে মনে হতো তার দেহ দুনিয়ায় বাস করলেও তার আত্মা আখিরাতে, সেই ইয়াসারও একসময় আটকে পড়ে নারীর মরীচিকাময় ছলনায়। সারশীর তার মায়াকাড়া রূপ আর জাদুকরী কণ্ঠস্বরে যেন বশ করে ফেলেছিল ইয়াসারকে। শয়তানের অব্যর্থ তিরে যে নাজুক অবস্থায় সে উপনীত হয়েছিল, তা থেকে কি ইয়াসার ফিরে আসতে পেরেছিল?
এমন জীবন-গল্পের পরিসমাপ্তি ঘটে অশ্রুতে। কারও জন্য সে অশ্রু আক্ষেপের, কারও জন্য-বা সেটা অনুশোচনার। আমাদের গল্পের ইয়াসারের কেমন পরিণতি হয়েছিল? জানতে হলে পড়তে হবে অনন্যসাধারণ বই ‘শেষের অশ্রু’।
পাঠ প্রতিক্রিয়া: দাঊদ ইবনু সুলাইমান উবাইদির মূল আরবি বই থেকে ‘শেষের অশ্রু’ নামে চমৎকারভাবে বঙ্গানুবাদ করেছেন আব্দুল্লাহ মজুমদার। পড়ার আগে যতটুকু ভালো হবে ভেবেছিলাম পড়তে গিয়ে তারচেয়েও বেশি ভালো লাগা অনুভব করেছি। এবং এই ভালো লাগার পারদ যত সময় গেছে ততোই উপরে উঠেছে। এতো চমৎকার একটা বই নিয়ে কেন তেমন আলোচনা দেখি না!
এই গল্পটা শুধু ইয়াসারেরই নয়। বরং, সৃষ্টির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত অসংখ্য হোঁচট খাওয়া মুমিনের গল্প। ইয়াসারের মতো একজন—যে সবসময় মানুষকে সৎপথে আসার এবং অসৎপথ থেকে বিরত থাকার জন্য বলতো, সে নিজেও একসময় হারিয়ে যায় ভুল স্রোতে। লেখক খুব সুন্দর করে ইয়াসারের অন্তর্দন্দ তুলে ধরেছেন—পাপের দিকে এগুতে গিয়েও আবার পিছিয়ে যাওয়া, আবার নিজেকে মানুষের চিরশত্রুর নিকট সমর্পিত করে দেওয়া। মনে হয়নি লেখক তাড়াহুড়ো করেছেন। ছোট্ট কলেবরেই মূল চরিত্রকে দারুণভাবে বিকশিত করেছেন।
লেখক খুব সুন্দর করে গল্পে গল্পে যেন আমাদের শয়তান সম্পর্কে সতর্ক করে দিয়ে গেছেন৷ ভালো কাজের মধ্যে থাকতে থাকতে আমরা যেন কখনো না ভাবি যে শয়তান আমাদের কিচ্ছু করতে পারবে না। শয়তান সবসময় চায় আমরা যেন সৎ পথ থেকে বিচ্যুত হয়ে যাই। এই গল্পে আবু মাহমূদ যেন শয়তানের প্রতিবিম্ব। নজরের হিফাজত আর গায়রে মাহরাম নারী থেকে সতর্ক করার পাশাপাশি এই বইটি আমাদের বন্ধু নির্বাচনে সাবধানতা অবলম্বন করতেও শেখায়। বন্ধুদের প্ররোচনায় পড়ে আমরা জান্নাতি কিংবা জাহান্নামি হয়ে যেতে পারি। আখিরাতে যেন আমাদের আফসোস না করা লাগে, "হায়! যদি তাকে বন্ধুরূপে গ্রহণ না করতাম!"
একটা ভুলের কারণে যদি ইয়াসারের পাপের পরিমাণ বাড়তে থাকে, সালাত প্রাণহীন হয়ে যায়, ইমানের স্বাদ কমে যায়, তাহলে আমাদের কী অবস্থা! আমরা তো পাপের সাগরে নিমজ্জিত! আল্লা হুম্ মাগ ফিরলি!
তবে আশার ব্যাপার এটা যে, এতোকিছুর পরেও আল্লাহ তায়ালা তো অপরিসীম দয়ার ভাণ্ডার। আমাদের উচিত নয় তাঁর রহমত থেকে কখনও নিরাশ হওয়া। তাওবার দরজা সবসময় খুলা আছে৷ সামান্য চোখের পানিই তো যথেষ্ট। শেষের অশ্রুটা যেন আল্লাহর জন্যই হয়। কিন্তু আমাদের ইয়াসার কার জন্য ঝড়িয়েছিল তার শেষ অশ্রুবিন্দু?
শেষের অশ্রু
120 BDT160 BDTSave 40 BDT
sold_units 1
1
'বই: শেষের অশ্রু
লেখক: দাঊদ ইবনু সুলাইমান উবাইদি
অনুবাদক: আব্দুল্লাহ মজুমদার
প্রকাশনী: সন্দীপন
মুদ্রিত মূল্য: ১৬০ টাকা
শেষের অশ্রু' বাগদাদের এক আল্লাহওয়ালা যুবক ইয়াসারের গল্প। সে বড় হয়েছে আল্লাহর আনুগত্যে। আল্লাহকে ভয় করার কারণে সবাই ওর কথা জানত। তার তাকওয়ার কারণে অনেকে তাকে ঈর্ষা করত। জ্ঞানে ও ধার্মিকতায় সবাইকে সে ছাড়িয়ে গিয়েছিল।
কিন্তু..! কত দ্রুত মানুষের অবস্থার পরিবর্তন হয়! মুমিনের অন্তর কত দুর্বল হয়ে পড়ে! সুবহানাল্লাহ! 'মাসজিদের কবুতর' খ্যাত এই ছেলেরও একসময় পদস্খলন ঘটে। যাকে দেখলে মনে হতো তার দেহ দুনিয়ায় বাস করলেও তার আত্মা আখিরাতে, সেই ইয়াসারও একসময় আটকে পড়ে নারীর মরীচিকাময় ছলনায়। সারশীর তার মায়াকাড়া রূপ আর জাদুকরী কণ্ঠস্বরে যেন বশ করে ফেলেছিল ইয়াসারকে। শয়তানের অব্যর্থ তিরে যে নাজুক অবস্থায় সে উপনীত হয়েছিল, তা থেকে কি ইয়াসার ফিরে আসতে পেরেছিল?
এমন জীবন-গল্পের পরিসমাপ্তি ঘটে অশ্রুতে। কারও জন্য সে অশ্রু আক্ষেপের, কারও জন্য-বা সেটা অনুশোচনার। আমাদের গল্পের ইয়াসারের কেমন পরিণতি হয়েছিল? জানতে হলে পড়তে হবে অনন্যসাধারণ বই ‘শেষের অশ্রু’।
পাঠ প্রতিক্রিয়া: দাঊদ ইবনু সুলাইমান উবাইদির মূল আরবি বই থেকে ‘শেষের অশ্রু’ নামে চমৎকারভাবে বঙ্গানুবাদ করেছেন আব্দুল্লাহ মজুমদার। পড়ার আগে যতটুকু ভালো হবে ভেবেছিলাম পড়তে গিয়ে তারচেয়েও বেশি ভালো লাগা অনুভব করেছি। এবং এই ভালো লাগার পারদ যত সময় গেছে ততোই উপরে উঠেছে। এতো চমৎকার একটা বই নিয়ে কেন তেমন আলোচনা দেখি না!
এই গল্পটা শুধু ইয়াসারেরই নয়। বরং, সৃষ্টির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত অসংখ্য হোঁচট খাওয়া মুমিনের গল্প। ইয়াসারের মতো একজন—যে সবসময় মানুষকে সৎপথে আসার এবং অসৎপথ থেকে বিরত থাকার জন্য বলতো, সে নিজেও একসময় হারিয়ে যায় ভুল স্রোতে। লেখক খুব সুন্দর করে ইয়াসারের অন্তর্দন্দ তুলে ধরেছেন—পাপের দিকে এগুতে গিয়েও আবার পিছিয়ে যাওয়া, আবার নিজেকে মানুষের চিরশত্রুর নিকট সমর্পিত করে দেওয়া। মনে হয়নি লেখক তাড়াহুড়ো করেছেন। ছোট্ট কলেবরেই মূল চরিত্রকে দারুণভাবে বিকশিত করেছেন।
লেখক খুব সুন্দর করে গল্পে গল্পে যেন আমাদের শয়তান সম্পর্কে সতর্ক করে দিয়ে গেছেন৷ ভালো কাজের মধ্যে থাকতে থাকতে আমরা যেন কখনো না ভাবি যে শয়তান আমাদের কিচ্ছু করতে পারবে না। শয়তান সবসময় চায় আমরা যেন সৎ পথ থেকে বিচ্যুত হয়ে যাই। এই গল্পে আবু মাহমূদ যেন শয়তানের প্রতিবিম্ব। নজরের হিফাজত আর গায়রে মাহরাম নারী থেকে সতর্ক করার পাশাপাশি এই বইটি আমাদের বন্ধু নির্বাচনে সাবধানতা অবলম্বন করতেও শেখায়। বন্ধুদের প্ররোচনায় পড়ে আমরা জান্নাতি কিংবা জাহান্নামি হয়ে যেতে পারি। আখিরাতে যেন আমাদের আফসোস না করা লাগে, "হায়! যদি তাকে বন্ধুরূপে গ্রহণ না করতাম!"
একটা ভুলের কারণে যদি ইয়াসারের পাপের পরিমাণ বাড়তে থাকে, সালাত প্রাণহীন হয়ে যায়, ইমানের স্বাদ কমে যায়, তাহলে আমাদের কী অবস্থা! আমরা তো পাপের সাগরে নিমজ্জিত! আল্লা হুম্ মাগ ফিরলি!
তবে আশার ব্যাপার এটা যে, এতোকিছুর পরেও আল্লাহ তায়ালা তো অপরিসীম দয়ার ভাণ্ডার। আমাদের উচিত নয় তাঁর রহমত থেকে কখনও নিরাশ হওয়া। তাওবার দরজা সবসময় খুলা আছে৷ সামান্য চোখের পানিই তো যথেষ্ট। শেষের অশ্রুটা যেন আল্লাহর জন্যই হয়। কিন্তু আমাদের ইয়াসার কার জন্য ঝড়িয়েছিল তার শেষ অশ্রুবিন্দু?
লেখক: দাঊদ ইবনু সুলাইমান উবাইদি
অনুবাদক: আব্দুল্লাহ মজুমদার
প্রকাশনী: সন্দীপন
মুদ্রিত মূল্য: ১৬০ টাকা
শেষের অশ্রু' বাগদাদের এক আল্লাহওয়ালা যুবক ইয়াসারের গল্প। সে বড় হয়েছে আল্লাহর আনুগত্যে। আল্লাহকে ভয় করার কারণে সবাই ওর কথা জানত। তার তাকওয়ার কারণে অনেকে তাকে ঈর্ষা করত। জ্ঞানে ও ধার্মিকতায় সবাইকে সে ছাড়িয়ে গিয়েছিল।
কিন্তু..! কত দ্রুত মানুষের অবস্থার পরিবর্তন হয়! মুমিনের অন্তর কত দুর্বল হয়ে পড়ে! সুবহানাল্লাহ! 'মাসজিদের কবুতর' খ্যাত এই ছেলেরও একসময় পদস্খলন ঘটে। যাকে দেখলে মনে হতো তার দেহ দুনিয়ায় বাস করলেও তার আত্মা আখিরাতে, সেই ইয়াসারও একসময় আটকে পড়ে নারীর মরীচিকাময় ছলনায়। সারশীর তার মায়াকাড়া রূপ আর জাদুকরী কণ্ঠস্বরে যেন বশ করে ফেলেছিল ইয়াসারকে। শয়তানের অব্যর্থ তিরে যে নাজুক অবস্থায় সে উপনীত হয়েছিল, তা থেকে কি ইয়াসার ফিরে আসতে পেরেছিল?
এমন জীবন-গল্পের পরিসমাপ্তি ঘটে অশ্রুতে। কারও জন্য সে অশ্রু আক্ষেপের, কারও জন্য-বা সেটা অনুশোচনার। আমাদের গল্পের ইয়াসারের কেমন পরিণতি হয়েছিল? জানতে হলে পড়তে হবে অনন্যসাধারণ বই ‘শেষের অশ্রু’।
পাঠ প্রতিক্রিয়া: দাঊদ ইবনু সুলাইমান উবাইদির মূল আরবি বই থেকে ‘শেষের অশ্রু’ নামে চমৎকারভাবে বঙ্গানুবাদ করেছেন আব্দুল্লাহ মজুমদার। পড়ার আগে যতটুকু ভালো হবে ভেবেছিলাম পড়তে গিয়ে তারচেয়েও বেশি ভালো লাগা অনুভব করেছি। এবং এই ভালো লাগার পারদ যত সময় গেছে ততোই উপরে উঠেছে। এতো চমৎকার একটা বই নিয়ে কেন তেমন আলোচনা দেখি না!
এই গল্পটা শুধু ইয়াসারেরই নয়। বরং, সৃষ্টির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত অসংখ্য হোঁচট খাওয়া মুমিনের গল্প। ইয়াসারের মতো একজন—যে সবসময় মানুষকে সৎপথে আসার এবং অসৎপথ থেকে বিরত থাকার জন্য বলতো, সে নিজেও একসময় হারিয়ে যায় ভুল স্রোতে। লেখক খুব সুন্দর করে ইয়াসারের অন্তর্দন্দ তুলে ধরেছেন—পাপের দিকে এগুতে গিয়েও আবার পিছিয়ে যাওয়া, আবার নিজেকে মানুষের চিরশত্রুর নিকট সমর্পিত করে দেওয়া। মনে হয়নি লেখক তাড়াহুড়ো করেছেন। ছোট্ট কলেবরেই মূল চরিত্রকে দারুণভাবে বিকশিত করেছেন।
লেখক খুব সুন্দর করে গল্পে গল্পে যেন আমাদের শয়তান সম্পর্কে সতর্ক করে দিয়ে গেছেন৷ ভালো কাজের মধ্যে থাকতে থাকতে আমরা যেন কখনো না ভাবি যে শয়তান আমাদের কিচ্ছু করতে পারবে না। শয়তান সবসময় চায় আমরা যেন সৎ পথ থেকে বিচ্যুত হয়ে যাই। এই গল্পে আবু মাহমূদ যেন শয়তানের প্রতিবিম্ব। নজরের হিফাজত আর গায়রে মাহরাম নারী থেকে সতর্ক করার পাশাপাশি এই বইটি আমাদের বন্ধু নির্বাচনে সাবধানতা অবলম্বন করতেও শেখায়। বন্ধুদের প্ররোচনায় পড়ে আমরা জান্নাতি কিংবা জাহান্নামি হয়ে যেতে পারি। আখিরাতে যেন আমাদের আফসোস না করা লাগে, "হায়! যদি তাকে বন্ধুরূপে গ্রহণ না করতাম!"
একটা ভুলের কারণে যদি ইয়াসারের পাপের পরিমাণ বাড়তে থাকে, সালাত প্রাণহীন হয়ে যায়, ইমানের স্বাদ কমে যায়, তাহলে আমাদের কী অবস্থা! আমরা তো পাপের সাগরে নিমজ্জিত! আল্লা হুম্ মাগ ফিরলি!
তবে আশার ব্যাপার এটা যে, এতোকিছুর পরেও আল্লাহ তায়ালা তো অপরিসীম দয়ার ভাণ্ডার। আমাদের উচিত নয় তাঁর রহমত থেকে কখনও নিরাশ হওয়া। তাওবার দরজা সবসময় খুলা আছে৷ সামান্য চোখের পানিই তো যথেষ্ট। শেষের অশ্রুটা যেন আল্লাহর জন্যই হয়। কিন্তু আমাদের ইয়াসার কার জন্য ঝড়িয়েছিল তার শেষ অশ্রুবিন্দু?