হজ
হজ শুধু হাজিদের জন্যই নয়...মুফতি তারেকুজ্জামান.হজ। নামটি শুনলেই কেমন হৃদয়ের স্পন্দন বেড়ে যায়! এ যে প্রতিটি মুমিনেরই অন্তরের চাওয়া-পাওয়ার পরম এক প্রাপ্তি!! কে না চায় তাঁর মহান রবের সান্নিধ্যে তাঁর ঘরের দিদারে ধন্য হতে!!! বস্তুত হতভাগা ছাড়া আর কেউ এমন মহান নিয়ামতের কামনা থেকে দূরে থাকতে পারে না। নেককার হোক বা বদকার, আরব হোক বা অনারব, দূরের হোক বা কাছের, সক্ষম হোক বা অক্ষম―সবাই এটার জন্য উদ্গ্রীব থাকে। আজ হোক বা কাল―একদিন হজ করার ইচ্ছা সবাই-ই অন্তরে লালন করে। সমাজেও হজ আদায়কারীকে অত্যন্ত সম্মানের চোখে দেখা হয়। আলাদাভাবে তার উপাধীই হয়ে যায় আলহাজ বা হাজি সাহেব।হজের মধ্যে আল্লাহর বিভিন্ন কুদরত দর্শন, বিভিন্ন নবিদের স্মৃতি রোমন্থন, আল্লাহর প্রেমে হারিয়ে যাওয়া, ইবরাহিমি চেতনায় উজ্জীবিত হওয়াসহ অগণিত প্রাপ্তি রয়েছে। একটি হজ একজন মানুষকে নতুন করে ভাবতে শেখায়। জীবনের পাপ-পঙ্কিলতা সব ধুয়েমুছে পরিষ্কার করে জীবনকে আমূল পাল্টে ফেলতে সাহায্য করে। আর এজন্যই ইসলামে এর রয়েছে বিশেষ অবস্থান। ইসলামের প্রধান পাঁচটি স্তম্ভের একটি বলে এটাকে বিবেচিত করা হয়েছে।কিন্তু প্রশ্ন হলো, হজের অনেক অনেক প্রাপ্তি ও উপকারিতা থাকলেও এটা তো মুষ্টিমেয় কিছু মানুষের ওপর ফরজ হয়; আর তা-ও আবার জীবনে একবার মাত্র। তাহলে এমন একটি ইবাদতকে ইসলাম তার অন্যতম একটি মূলস্তম্ভ হিসেবে কিভাবে নির্ধারণ করল?!এ প্রশ্নটি দীর্ঘদিন ধরে আমারও ছিল। বিষয়টির রহস্য পুরোপুরি বুঝা বেশ দুষ্কর ছিল। আল্লাহ জাজায়ে খায়ের দান করুন ড. রাগিব সারজানিকে। তিনি ছোট্ট একটি পুস্তিকাতে অত্যন্ত সহজ ও সারগর্ভ আলোচনায় বিষয়টির পূর্ণাঙ্গ জবাব দিয়েছেন। আকলি ও নকলি দলিলাদি তুলে ধরে প্রমাণ করেছেন যে, হজ শুধু হাজিদের জন্যই নয়; বরং এর ব্যাপ্তি সর্বজনীন। হাজি ও নন-হাজি সবার জন্যই এতে রয়েছে চমৎকার সব শিক্ষা। হাজি ছাড়া অন্যদের জন্যও যে এতে কত শিক্ষা থাকতে পারে, তা ড. রাগিব সারজানির এ সংক্ষিপ্ত বইটি না পড়লে অজানাই থেকে যেত।ধন্যবাদ জানাতে হয় ‘মাকতাবাতুল হাসান’-কে ছোট্ট কলেবরের হলেও এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ পুস্তিকাটির অনুবাদ প্রকাশ করায়। সাধারণত ছোট বই আমরা অনেক সময় অবহেলা করে ফেলে রাখি, কিন্তু অনেক সময় এতেও যে কত মূল্যবান হীরে-জহরত লুকিয়ে থাকে, তার বাস্তব প্রমাণ এ পুস্তিকাটি। বইটি অনুবাদ করেছেন মহিউদ্দিন কাসেমী ভাই। মাশাআল্লাহ! অনুবাদ বেশ সাবলীল ও সুন্দর হয়েছে। সম্পাদনা করতে গিয়ে বেশ কিছু পরিমার্জন-পরিবর্ধনসহ হাদিসের উদ্ধৃতি, ক্ষেত্রবিশেষে হাদিসের তাহকিক এবং অনুবাদটিকে আরবি মূল বইয়ের সাথে মিলিয়ে কমবেশি বাদ অংশগুলোও যথাযথভাবে ঠিক করে দেওয়ার চেষ্টা করেছি। সার্বিক বিবেচনায় ড. রাগিব সারজানির চমৎকার এ বইটি পাঠকদের বিমুগ্ধ করবে বলে আমাদের বিশ্বাস।পাঠকদের সমীপে আবেদন থাকবে, বইটি আগাগোড়া পুরোটুকু পড়বেন। নিজেও পড়বেন, অন্যকেও পড়তে উৎসাহিত করবেন। আশা করি, হজের বিষয়ে আপনার দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টে যাবে। নতুন করে হজের জন্য দিল-মন বেকারার হবে। আল্লাহর জন্য দিওয়ানা হওয়ার এ বিশেষ ইবাদত পালনের সুযোগপ্রাপ্তি তো আমাদের সবারই কলবের তামান্না। আর কলবের তামান্না বৃদ্ধি পেলে এবং আল্লাহ রহম করলে অবশ্যই তিনি আমাদের বাইতুল্লাহর মুসাফির হিসাবে কবুল করবেন ইনশাআল্লাহ।
An Najahah Shop
Category List
All products

হজ শুধু হাজিদের জন্যই নয়...
মুফতি তারেকুজ্জামান
.
হজ। নামটি শুনলেই কেমন হৃদয়ের স্পন্দন বেড়ে যায়! এ যে প্রতিটি মুমিনেরই অন্তরের চাওয়া-পাওয়ার পরম এক প্রাপ্তি!! কে না চায় তাঁর মহান রবের সান্নিধ্যে তাঁর ঘরের দিদারে ধন্য হতে!!! বস্তুত হতভাগা ছাড়া আর কেউ এমন মহান নিয়ামতের কামনা থেকে দূরে থাকতে পারে না। নেককার হোক বা বদকার, আরব হোক বা অনারব, দূরের হোক বা কাছের, সক্ষম হোক বা অক্ষম―সবাই এটার জন্য উদ্গ্রীব থাকে। আজ হোক বা কাল―একদিন হজ করার ইচ্ছা সবাই-ই অন্তরে লালন করে। সমাজেও হজ আদায়কারীকে অত্যন্ত সম্মানের চোখে দেখা হয়। আলাদাভাবে তার উপাধীই হয়ে যায় আলহাজ বা হাজি সাহেব।
হজের মধ্যে আল্লাহর বিভিন্ন কুদরত দর্শন, বিভিন্ন নবিদের স্মৃতি রোমন্থন, আল্লাহর প্রেমে হারিয়ে যাওয়া, ইবরাহিমি চেতনায় উজ্জীবিত হওয়াসহ অগণিত প্রাপ্তি রয়েছে। একটি হজ একজন মানুষকে নতুন করে ভাবতে শেখায়। জীবনের পাপ-পঙ্কিলতা সব ধুয়েমুছে পরিষ্কার করে জীবনকে আমূল পাল্টে ফেলতে সাহায্য করে। আর এজন্যই ইসলামে এর রয়েছে বিশেষ অবস্থান। ইসলামের প্রধান পাঁচটি স্তম্ভের একটি বলে এটাকে বিবেচিত করা হয়েছে।
কিন্তু প্রশ্ন হলো, হজের অনেক অনেক প্রাপ্তি ও উপকারিতা থাকলেও এটা তো মুষ্টিমেয় কিছু মানুষের ওপর ফরজ হয়; আর তা-ও আবার জীবনে একবার মাত্র। তাহলে এমন একটি ইবাদতকে ইসলাম তার অন্যতম একটি মূলস্তম্ভ হিসেবে কিভাবে নির্ধারণ করল?!
এ প্রশ্নটি দীর্ঘদিন ধরে আমারও ছিল। বিষয়টির রহস্য পুরোপুরি বুঝা বেশ দুষ্কর ছিল। আল্লাহ জাজায়ে খায়ের দান করুন ড. রাগিব সারজানিকে। তিনি ছোট্ট একটি পুস্তিকাতে অত্যন্ত সহজ ও সারগর্ভ আলোচনায় বিষয়টির পূর্ণাঙ্গ জবাব দিয়েছেন। আকলি ও নকলি দলিলাদি তুলে ধরে প্রমাণ করেছেন যে, হজ শুধু হাজিদের জন্যই নয়; বরং এর ব্যাপ্তি সর্বজনীন। হাজি ও নন-হাজি সবার জন্যই এতে রয়েছে চমৎকার সব শিক্ষা। হাজি ছাড়া অন্যদের জন্যও যে এতে কত শিক্ষা থাকতে পারে, তা ড. রাগিব সারজানির এ সংক্ষিপ্ত বইটি না পড়লে অজানাই থেকে যেত।
ধন্যবাদ জানাতে হয় ‘মাকতাবাতুল হাসান’-কে ছোট্ট কলেবরের হলেও এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ পুস্তিকাটির অনুবাদ প্রকাশ করায়। সাধারণত ছোট বই আমরা অনেক সময় অবহেলা করে ফেলে রাখি, কিন্তু অনেক সময় এতেও যে কত মূল্যবান হীরে-জহরত লুকিয়ে থাকে, তার বাস্তব প্রমাণ এ পুস্তিকাটি। বইটি অনুবাদ করেছেন মহিউদ্দিন কাসেমী ভাই। মাশাআল্লাহ! অনুবাদ বেশ সাবলীল ও সুন্দর হয়েছে। সম্পাদনা করতে গিয়ে বেশ কিছু পরিমার্জন-পরিবর্ধনসহ হাদিসের উদ্ধৃতি, ক্ষেত্রবিশেষে হাদিসের তাহকিক এবং অনুবাদটিকে আরবি মূল বইয়ের সাথে মিলিয়ে কমবেশি বাদ অংশগুলোও যথাযথভাবে ঠিক করে দেওয়ার চেষ্টা করেছি। সার্বিক বিবেচনায় ড. রাগিব সারজানির চমৎকার এ বইটি পাঠকদের বিমুগ্ধ করবে বলে আমাদের বিশ্বাস।
পাঠকদের সমীপে আবেদন থাকবে, বইটি আগাগোড়া পুরোটুকু পড়বেন। নিজেও পড়বেন, অন্যকেও পড়তে উৎসাহিত করবেন। আশা করি, হজের বিষয়ে আপনার দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টে যাবে। নতুন করে হজের জন্য দিল-মন বেকারার হবে। আল্লাহর জন্য দিওয়ানা হওয়ার এ বিশেষ ইবাদত পালনের সুযোগপ্রাপ্তি তো আমাদের সবারই কলবের তামান্না। আর কলবের তামান্না বৃদ্ধি পেলে এবং আল্লাহ রহম করলে অবশ্যই তিনি আমাদের বাইতুল্লাহর মুসাফির হিসাবে কবুল করবেন ইনশাআল্লাহ।
মুফতি তারেকুজ্জামান
.
হজ। নামটি শুনলেই কেমন হৃদয়ের স্পন্দন বেড়ে যায়! এ যে প্রতিটি মুমিনেরই অন্তরের চাওয়া-পাওয়ার পরম এক প্রাপ্তি!! কে না চায় তাঁর মহান রবের সান্নিধ্যে তাঁর ঘরের দিদারে ধন্য হতে!!! বস্তুত হতভাগা ছাড়া আর কেউ এমন মহান নিয়ামতের কামনা থেকে দূরে থাকতে পারে না। নেককার হোক বা বদকার, আরব হোক বা অনারব, দূরের হোক বা কাছের, সক্ষম হোক বা অক্ষম―সবাই এটার জন্য উদ্গ্রীব থাকে। আজ হোক বা কাল―একদিন হজ করার ইচ্ছা সবাই-ই অন্তরে লালন করে। সমাজেও হজ আদায়কারীকে অত্যন্ত সম্মানের চোখে দেখা হয়। আলাদাভাবে তার উপাধীই হয়ে যায় আলহাজ বা হাজি সাহেব।
হজের মধ্যে আল্লাহর বিভিন্ন কুদরত দর্শন, বিভিন্ন নবিদের স্মৃতি রোমন্থন, আল্লাহর প্রেমে হারিয়ে যাওয়া, ইবরাহিমি চেতনায় উজ্জীবিত হওয়াসহ অগণিত প্রাপ্তি রয়েছে। একটি হজ একজন মানুষকে নতুন করে ভাবতে শেখায়। জীবনের পাপ-পঙ্কিলতা সব ধুয়েমুছে পরিষ্কার করে জীবনকে আমূল পাল্টে ফেলতে সাহায্য করে। আর এজন্যই ইসলামে এর রয়েছে বিশেষ অবস্থান। ইসলামের প্রধান পাঁচটি স্তম্ভের একটি বলে এটাকে বিবেচিত করা হয়েছে।
কিন্তু প্রশ্ন হলো, হজের অনেক অনেক প্রাপ্তি ও উপকারিতা থাকলেও এটা তো মুষ্টিমেয় কিছু মানুষের ওপর ফরজ হয়; আর তা-ও আবার জীবনে একবার মাত্র। তাহলে এমন একটি ইবাদতকে ইসলাম তার অন্যতম একটি মূলস্তম্ভ হিসেবে কিভাবে নির্ধারণ করল?!
এ প্রশ্নটি দীর্ঘদিন ধরে আমারও ছিল। বিষয়টির রহস্য পুরোপুরি বুঝা বেশ দুষ্কর ছিল। আল্লাহ জাজায়ে খায়ের দান করুন ড. রাগিব সারজানিকে। তিনি ছোট্ট একটি পুস্তিকাতে অত্যন্ত সহজ ও সারগর্ভ আলোচনায় বিষয়টির পূর্ণাঙ্গ জবাব দিয়েছেন। আকলি ও নকলি দলিলাদি তুলে ধরে প্রমাণ করেছেন যে, হজ শুধু হাজিদের জন্যই নয়; বরং এর ব্যাপ্তি সর্বজনীন। হাজি ও নন-হাজি সবার জন্যই এতে রয়েছে চমৎকার সব শিক্ষা। হাজি ছাড়া অন্যদের জন্যও যে এতে কত শিক্ষা থাকতে পারে, তা ড. রাগিব সারজানির এ সংক্ষিপ্ত বইটি না পড়লে অজানাই থেকে যেত।
ধন্যবাদ জানাতে হয় ‘মাকতাবাতুল হাসান’-কে ছোট্ট কলেবরের হলেও এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ পুস্তিকাটির অনুবাদ প্রকাশ করায়। সাধারণত ছোট বই আমরা অনেক সময় অবহেলা করে ফেলে রাখি, কিন্তু অনেক সময় এতেও যে কত মূল্যবান হীরে-জহরত লুকিয়ে থাকে, তার বাস্তব প্রমাণ এ পুস্তিকাটি। বইটি অনুবাদ করেছেন মহিউদ্দিন কাসেমী ভাই। মাশাআল্লাহ! অনুবাদ বেশ সাবলীল ও সুন্দর হয়েছে। সম্পাদনা করতে গিয়ে বেশ কিছু পরিমার্জন-পরিবর্ধনসহ হাদিসের উদ্ধৃতি, ক্ষেত্রবিশেষে হাদিসের তাহকিক এবং অনুবাদটিকে আরবি মূল বইয়ের সাথে মিলিয়ে কমবেশি বাদ অংশগুলোও যথাযথভাবে ঠিক করে দেওয়ার চেষ্টা করেছি। সার্বিক বিবেচনায় ড. রাগিব সারজানির চমৎকার এ বইটি পাঠকদের বিমুগ্ধ করবে বলে আমাদের বিশ্বাস।
পাঠকদের সমীপে আবেদন থাকবে, বইটি আগাগোড়া পুরোটুকু পড়বেন। নিজেও পড়বেন, অন্যকেও পড়তে উৎসাহিত করবেন। আশা করি, হজের বিষয়ে আপনার দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টে যাবে। নতুন করে হজের জন্য দিল-মন বেকারার হবে। আল্লাহর জন্য দিওয়ানা হওয়ার এ বিশেষ ইবাদত পালনের সুযোগপ্রাপ্তি তো আমাদের সবারই কলবের তামান্না। আর কলবের তামান্না বৃদ্ধি পেলে এবং আল্লাহ রহম করলে অবশ্যই তিনি আমাদের বাইতুল্লাহর মুসাফির হিসাবে কবুল করবেন ইনশাআল্লাহ।
হজ
60 BDT120 BDTSave 60 BDT
1
হজ শুধু হাজিদের জন্যই নয়...
মুফতি তারেকুজ্জামান
.
হজ। নামটি শুনলেই কেমন হৃদয়ের স্পন্দন বেড়ে যায়! এ যে প্রতিটি মুমিনেরই অন্তরের চাওয়া-পাওয়ার পরম এক প্রাপ্তি!! কে না চায় তাঁর মহান রবের সান্নিধ্যে তাঁর ঘরের দিদারে ধন্য হতে!!! বস্তুত হতভাগা ছাড়া আর কেউ এমন মহান নিয়ামতের কামনা থেকে দূরে থাকতে পারে না। নেককার হোক বা বদকার, আরব হোক বা অনারব, দূরের হোক বা কাছের, সক্ষম হোক বা অক্ষম―সবাই এটার জন্য উদ্গ্রীব থাকে। আজ হোক বা কাল―একদিন হজ করার ইচ্ছা সবাই-ই অন্তরে লালন করে। সমাজেও হজ আদায়কারীকে অত্যন্ত সম্মানের চোখে দেখা হয়। আলাদাভাবে তার উপাধীই হয়ে যায় আলহাজ বা হাজি সাহেব।
হজের মধ্যে আল্লাহর বিভিন্ন কুদরত দর্শন, বিভিন্ন নবিদের স্মৃতি রোমন্থন, আল্লাহর প্রেমে হারিয়ে যাওয়া, ইবরাহিমি চেতনায় উজ্জীবিত হওয়াসহ অগণিত প্রাপ্তি রয়েছে। একটি হজ একজন মানুষকে নতুন করে ভাবতে শেখায়। জীবনের পাপ-পঙ্কিলতা সব ধুয়েমুছে পরিষ্কার করে জীবনকে আমূল পাল্টে ফেলতে সাহায্য করে। আর এজন্যই ইসলামে এর রয়েছে বিশেষ অবস্থান। ইসলামের প্রধান পাঁচটি স্তম্ভের একটি বলে এটাকে বিবেচিত করা হয়েছে।
কিন্তু প্রশ্ন হলো, হজের অনেক অনেক প্রাপ্তি ও উপকারিতা থাকলেও এটা তো মুষ্টিমেয় কিছু মানুষের ওপর ফরজ হয়; আর তা-ও আবার জীবনে একবার মাত্র। তাহলে এমন একটি ইবাদতকে ইসলাম তার অন্যতম একটি মূলস্তম্ভ হিসেবে কিভাবে নির্ধারণ করল?!
এ প্রশ্নটি দীর্ঘদিন ধরে আমারও ছিল। বিষয়টির রহস্য পুরোপুরি বুঝা বেশ দুষ্কর ছিল। আল্লাহ জাজায়ে খায়ের দান করুন ড. রাগিব সারজানিকে। তিনি ছোট্ট একটি পুস্তিকাতে অত্যন্ত সহজ ও সারগর্ভ আলোচনায় বিষয়টির পূর্ণাঙ্গ জবাব দিয়েছেন। আকলি ও নকলি দলিলাদি তুলে ধরে প্রমাণ করেছেন যে, হজ শুধু হাজিদের জন্যই নয়; বরং এর ব্যাপ্তি সর্বজনীন। হাজি ও নন-হাজি সবার জন্যই এতে রয়েছে চমৎকার সব শিক্ষা। হাজি ছাড়া অন্যদের জন্যও যে এতে কত শিক্ষা থাকতে পারে, তা ড. রাগিব সারজানির এ সংক্ষিপ্ত বইটি না পড়লে অজানাই থেকে যেত।
ধন্যবাদ জানাতে হয় ‘মাকতাবাতুল হাসান’-কে ছোট্ট কলেবরের হলেও এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ পুস্তিকাটির অনুবাদ প্রকাশ করায়। সাধারণত ছোট বই আমরা অনেক সময় অবহেলা করে ফেলে রাখি, কিন্তু অনেক সময় এতেও যে কত মূল্যবান হীরে-জহরত লুকিয়ে থাকে, তার বাস্তব প্রমাণ এ পুস্তিকাটি। বইটি অনুবাদ করেছেন মহিউদ্দিন কাসেমী ভাই। মাশাআল্লাহ! অনুবাদ বেশ সাবলীল ও সুন্দর হয়েছে। সম্পাদনা করতে গিয়ে বেশ কিছু পরিমার্জন-পরিবর্ধনসহ হাদিসের উদ্ধৃতি, ক্ষেত্রবিশেষে হাদিসের তাহকিক এবং অনুবাদটিকে আরবি মূল বইয়ের সাথে মিলিয়ে কমবেশি বাদ অংশগুলোও যথাযথভাবে ঠিক করে দেওয়ার চেষ্টা করেছি। সার্বিক বিবেচনায় ড. রাগিব সারজানির চমৎকার এ বইটি পাঠকদের বিমুগ্ধ করবে বলে আমাদের বিশ্বাস।
পাঠকদের সমীপে আবেদন থাকবে, বইটি আগাগোড়া পুরোটুকু পড়বেন। নিজেও পড়বেন, অন্যকেও পড়তে উৎসাহিত করবেন। আশা করি, হজের বিষয়ে আপনার দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টে যাবে। নতুন করে হজের জন্য দিল-মন বেকারার হবে। আল্লাহর জন্য দিওয়ানা হওয়ার এ বিশেষ ইবাদত পালনের সুযোগপ্রাপ্তি তো আমাদের সবারই কলবের তামান্না। আর কলবের তামান্না বৃদ্ধি পেলে এবং আল্লাহ রহম করলে অবশ্যই তিনি আমাদের বাইতুল্লাহর মুসাফির হিসাবে কবুল করবেন ইনশাআল্লাহ।
মুফতি তারেকুজ্জামান
.
হজ। নামটি শুনলেই কেমন হৃদয়ের স্পন্দন বেড়ে যায়! এ যে প্রতিটি মুমিনেরই অন্তরের চাওয়া-পাওয়ার পরম এক প্রাপ্তি!! কে না চায় তাঁর মহান রবের সান্নিধ্যে তাঁর ঘরের দিদারে ধন্য হতে!!! বস্তুত হতভাগা ছাড়া আর কেউ এমন মহান নিয়ামতের কামনা থেকে দূরে থাকতে পারে না। নেককার হোক বা বদকার, আরব হোক বা অনারব, দূরের হোক বা কাছের, সক্ষম হোক বা অক্ষম―সবাই এটার জন্য উদ্গ্রীব থাকে। আজ হোক বা কাল―একদিন হজ করার ইচ্ছা সবাই-ই অন্তরে লালন করে। সমাজেও হজ আদায়কারীকে অত্যন্ত সম্মানের চোখে দেখা হয়। আলাদাভাবে তার উপাধীই হয়ে যায় আলহাজ বা হাজি সাহেব।
হজের মধ্যে আল্লাহর বিভিন্ন কুদরত দর্শন, বিভিন্ন নবিদের স্মৃতি রোমন্থন, আল্লাহর প্রেমে হারিয়ে যাওয়া, ইবরাহিমি চেতনায় উজ্জীবিত হওয়াসহ অগণিত প্রাপ্তি রয়েছে। একটি হজ একজন মানুষকে নতুন করে ভাবতে শেখায়। জীবনের পাপ-পঙ্কিলতা সব ধুয়েমুছে পরিষ্কার করে জীবনকে আমূল পাল্টে ফেলতে সাহায্য করে। আর এজন্যই ইসলামে এর রয়েছে বিশেষ অবস্থান। ইসলামের প্রধান পাঁচটি স্তম্ভের একটি বলে এটাকে বিবেচিত করা হয়েছে।
কিন্তু প্রশ্ন হলো, হজের অনেক অনেক প্রাপ্তি ও উপকারিতা থাকলেও এটা তো মুষ্টিমেয় কিছু মানুষের ওপর ফরজ হয়; আর তা-ও আবার জীবনে একবার মাত্র। তাহলে এমন একটি ইবাদতকে ইসলাম তার অন্যতম একটি মূলস্তম্ভ হিসেবে কিভাবে নির্ধারণ করল?!
এ প্রশ্নটি দীর্ঘদিন ধরে আমারও ছিল। বিষয়টির রহস্য পুরোপুরি বুঝা বেশ দুষ্কর ছিল। আল্লাহ জাজায়ে খায়ের দান করুন ড. রাগিব সারজানিকে। তিনি ছোট্ট একটি পুস্তিকাতে অত্যন্ত সহজ ও সারগর্ভ আলোচনায় বিষয়টির পূর্ণাঙ্গ জবাব দিয়েছেন। আকলি ও নকলি দলিলাদি তুলে ধরে প্রমাণ করেছেন যে, হজ শুধু হাজিদের জন্যই নয়; বরং এর ব্যাপ্তি সর্বজনীন। হাজি ও নন-হাজি সবার জন্যই এতে রয়েছে চমৎকার সব শিক্ষা। হাজি ছাড়া অন্যদের জন্যও যে এতে কত শিক্ষা থাকতে পারে, তা ড. রাগিব সারজানির এ সংক্ষিপ্ত বইটি না পড়লে অজানাই থেকে যেত।
ধন্যবাদ জানাতে হয় ‘মাকতাবাতুল হাসান’-কে ছোট্ট কলেবরের হলেও এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ পুস্তিকাটির অনুবাদ প্রকাশ করায়। সাধারণত ছোট বই আমরা অনেক সময় অবহেলা করে ফেলে রাখি, কিন্তু অনেক সময় এতেও যে কত মূল্যবান হীরে-জহরত লুকিয়ে থাকে, তার বাস্তব প্রমাণ এ পুস্তিকাটি। বইটি অনুবাদ করেছেন মহিউদ্দিন কাসেমী ভাই। মাশাআল্লাহ! অনুবাদ বেশ সাবলীল ও সুন্দর হয়েছে। সম্পাদনা করতে গিয়ে বেশ কিছু পরিমার্জন-পরিবর্ধনসহ হাদিসের উদ্ধৃতি, ক্ষেত্রবিশেষে হাদিসের তাহকিক এবং অনুবাদটিকে আরবি মূল বইয়ের সাথে মিলিয়ে কমবেশি বাদ অংশগুলোও যথাযথভাবে ঠিক করে দেওয়ার চেষ্টা করেছি। সার্বিক বিবেচনায় ড. রাগিব সারজানির চমৎকার এ বইটি পাঠকদের বিমুগ্ধ করবে বলে আমাদের বিশ্বাস।
পাঠকদের সমীপে আবেদন থাকবে, বইটি আগাগোড়া পুরোটুকু পড়বেন। নিজেও পড়বেন, অন্যকেও পড়তে উৎসাহিত করবেন। আশা করি, হজের বিষয়ে আপনার দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টে যাবে। নতুন করে হজের জন্য দিল-মন বেকারার হবে। আল্লাহর জন্য দিওয়ানা হওয়ার এ বিশেষ ইবাদত পালনের সুযোগপ্রাপ্তি তো আমাদের সবারই কলবের তামান্না। আর কলবের তামান্না বৃদ্ধি পেলে এবং আল্লাহ রহম করলে অবশ্যই তিনি আমাদের বাইতুল্লাহর মুসাফির হিসাবে কবুল করবেন ইনশাআল্লাহ।