ইসলামি সভ্যতায়চিকিৎসা বিজ্ঞানের ইতিহাস
ইসলামি সভ্যতায়চিকিৎসা বিজ্ঞানের ইতিহাসলেখক : ড. রাগিব সারজানিপৃষ্ঠা : ৩৫২চিকিৎসা মানুষের মৌলিক অধিকার। জগতের প্রথম যুগের মানুষেরা যখন থেকে রোগ-ব্যাধি মোকাবিলার সংগ্রামে লিপ্ত হয়, তখন থেকেই হয়তো চিকিৎসার সূত্রপাত। ইতিহাসবিদ আল-কিফতি তারিখুল হুকামা গ্রন্থে লেখেন,‘ইদরিস আ. জগতের সর্বপ্রথম চিকিৎসক।’ স্থানকালপাত্রভেদে এই বিদ্যা স্থবির হয়ে থাকেনি। জীবনের প্রয়োজনে এই শাস্ত্র আপন গতিতে এগিয়ে চলে। বিজ্ঞদের সংস্পর্শে তা ছড়িয়ে পড়ে পৃথিবীর নানা প্রান্তে। ’স্থানকালপাত্রভেদে এই বিদ্যা স্থবির হয়ে থাকেনি। জীবনের প্রয়োজনে এই শাস্ত্র আপন গতিতে এগিয়ে চলে। বিজ্ঞদের সংস্পর্শে তা ছড়িয়ে পড়ে পৃথিবীর নানা প্রান্তে। মূলত আব্বাসি খেলাফত আমলেই ইসলামি সভ্যতার চিকিৎসাবিজ্ঞানে প্রকৃত উন্নতি সাধিত হয়। রাজধানী বাগদাদ-সহ বড় বড় নগর ও বন্দরে হাসপাতাল গড়ে ওঠে রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে। এমনকি ভ্রাম্যমাণ হাসপাতালও প্রতিষ্ঠিত হয়। হাসপাতালগুলোতে দক্ষ চিকিৎসক ও যুগের বিচারে সর্বাধুনিক সরঞ্জামের ব্যবস্থা করা হয়। চিকিৎসা ও হাসপাতালের ব্যবস্থাপনায় মুসলিমগণ এমন প্রতিভার স্বাক্ষর রাখেন, যাতে মুসলিম সভ্যতা পূর্ব চিকিৎসাব্যবস্থা ম্লান হয়ে যায়।রোগ-ব্যাধির চিকিৎসাতেই মুসলিমদের জ্ঞান-গবেষণা ও উদ্ভাবন সীমাবদ্ধ থাকেনি, বরং তারা এটিকে একটি মৌলিক পরীক্ষামূলক ভিত্তি দান করেছেন। তারাই প্রথম চিকিৎসাবিজ্ঞানকে দর্শন থেকে সম্পূর্ণরূপে পৃথক করে উপনীত করেন পরীক্ষামূলক বিজ্ঞানে। কিন্তু আফসোসের বিষয় হলো আমাদের নতুন প্রজন্মকে বিশ্বাস করতে বাধ্য করা হচ্ছে যে, চিকিৎসাবিজ্ঞানে মুসলিমদের মৌলিক কোনো অবদান নেই কিংবা মুসলিমরা ছিল ভাসাভাসা জ্ঞানের অধিকারী। অথচ তারাই বিজ্ঞানের কারিগর, তাদের আলোতেই বিশ্ব আলোকিত। চতুর্দশ শতকে মুসলিমদের অপ্রত্যাশিত অধঃপতনে জ্ঞানজগতের বাগডোর হাত বদল হয়ে যায়। মুসলিমদের আবিষ্কার, থিওরি চুরি হয়ে যায়, কিতাবাদি নষ্ট করে দেওয়া হয়। তাদেরকে কেবল জীবন রক্ষার সংগ্রামে লিপ্ত করে জ্ঞানরাজ্য থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। হত্যাও করা হয় বেশুমার।ড. রাগিব সারজানি ইসলামি সভ্যতায় চিকিৎসাবিজ্ঞানের ইতিহাস নিয়ে আলোচনা করেছেন। তিনি অত্যন্ত সংক্ষিপ্তাকারে প্রাক-ইসলামি যুগের প্রসিদ্ধ কিছু চিকিৎসাব্যবস্থা আলোচনা করে চিকিৎসাবিজ্ঞানে ইসলামের আদর্শ তুলে ধরেছেন। মুসলিম চিকিৎসাবিজ্ঞানীদের অবদান উল্লেখ করেছেন। .
An Najahah Shop
Category List
All products

ইসলামি সভ্যতায়
চিকিৎসা বিজ্ঞানের ইতিহাস
লেখক : ড. রাগিব সারজানি
পৃষ্ঠা : ৩৫২
চিকিৎসা মানুষের মৌলিক অধিকার। জগতের প্রথম যুগের মানুষেরা যখন থেকে রোগ-ব্যাধি মোকাবিলার সংগ্রামে লিপ্ত হয়, তখন থেকেই হয়তো চিকিৎসার সূত্রপাত। ইতিহাসবিদ আল-কিফতি তারিখুল হুকামা গ্রন্থে লেখেন,‘ইদরিস আ. জগতের সর্বপ্রথম চিকিৎসক।’
স্থানকালপাত্রভেদে এই বিদ্যা স্থবির হয়ে থাকেনি। জীবনের প্রয়োজনে এই শাস্ত্র আপন গতিতে এগিয়ে চলে। বিজ্ঞদের সংস্পর্শে তা ছড়িয়ে পড়ে পৃথিবীর নানা প্রান্তে। ’স্থানকালপাত্রভেদে এই বিদ্যা স্থবির হয়ে থাকেনি। জীবনের প্রয়োজনে এই শাস্ত্র আপন গতিতে এগিয়ে চলে। বিজ্ঞদের সংস্পর্শে তা ছড়িয়ে পড়ে পৃথিবীর নানা প্রান্তে।
মূলত আব্বাসি খেলাফত আমলেই ইসলামি সভ্যতার চিকিৎসাবিজ্ঞানে প্রকৃত উন্নতি সাধিত হয়। রাজধানী বাগদাদ-সহ বড় বড় নগর ও বন্দরে হাসপাতাল গড়ে ওঠে রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে। এমনকি ভ্রাম্যমাণ হাসপাতালও প্রতিষ্ঠিত হয়। হাসপাতালগুলোতে দক্ষ চিকিৎসক ও যুগের বিচারে সর্বাধুনিক সরঞ্জামের ব্যবস্থা করা হয়। চিকিৎসা ও হাসপাতালের ব্যবস্থাপনায় মুসলিমগণ এমন প্রতিভার স্বাক্ষর রাখেন, যাতে মুসলিম সভ্যতা পূর্ব চিকিৎসাব্যবস্থা ম্লান হয়ে যায়।
রোগ-ব্যাধির চিকিৎসাতেই মুসলিমদের জ্ঞান-গবেষণা ও উদ্ভাবন সীমাবদ্ধ থাকেনি, বরং তারা এটিকে একটি মৌলিক পরীক্ষামূলক ভিত্তি দান করেছেন। তারাই প্রথম চিকিৎসাবিজ্ঞানকে দর্শন থেকে সম্পূর্ণরূপে পৃথক করে উপনীত করেন পরীক্ষামূলক বিজ্ঞানে। কিন্তু আফসোসের বিষয় হলো আমাদের নতুন প্রজন্মকে বিশ্বাস করতে বাধ্য করা হচ্ছে যে, চিকিৎসাবিজ্ঞানে মুসলিমদের মৌলিক কোনো অবদান নেই কিংবা মুসলিমরা ছিল ভাসাভাসা জ্ঞানের অধিকারী। অথচ তারাই বিজ্ঞানের কারিগর, তাদের আলোতেই বিশ্ব আলোকিত। চতুর্দশ শতকে মুসলিমদের অপ্রত্যাশিত অধঃপতনে জ্ঞানজগতের বাগডোর হাত বদল হয়ে যায়। মুসলিমদের আবিষ্কার, থিওরি চুরি হয়ে যায়, কিতাবাদি নষ্ট করে দেওয়া হয়। তাদেরকে কেবল জীবন রক্ষার সংগ্রামে লিপ্ত করে জ্ঞানরাজ্য থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। হত্যাও করা হয় বেশুমার।
ড. রাগিব সারজানি ইসলামি সভ্যতায় চিকিৎসাবিজ্ঞানের ইতিহাস নিয়ে আলোচনা করেছেন। তিনি অত্যন্ত সংক্ষিপ্তাকারে প্রাক-ইসলামি যুগের প্রসিদ্ধ কিছু চিকিৎসাব্যবস্থা আলোচনা করে চিকিৎসাবিজ্ঞানে ইসলামের আদর্শ তুলে ধরেছেন। মুসলিম চিকিৎসাবিজ্ঞানীদের অবদান উল্লেখ করেছেন।
.
চিকিৎসা বিজ্ঞানের ইতিহাস
লেখক : ড. রাগিব সারজানি
পৃষ্ঠা : ৩৫২
চিকিৎসা মানুষের মৌলিক অধিকার। জগতের প্রথম যুগের মানুষেরা যখন থেকে রোগ-ব্যাধি মোকাবিলার সংগ্রামে লিপ্ত হয়, তখন থেকেই হয়তো চিকিৎসার সূত্রপাত। ইতিহাসবিদ আল-কিফতি তারিখুল হুকামা গ্রন্থে লেখেন,‘ইদরিস আ. জগতের সর্বপ্রথম চিকিৎসক।’
স্থানকালপাত্রভেদে এই বিদ্যা স্থবির হয়ে থাকেনি। জীবনের প্রয়োজনে এই শাস্ত্র আপন গতিতে এগিয়ে চলে। বিজ্ঞদের সংস্পর্শে তা ছড়িয়ে পড়ে পৃথিবীর নানা প্রান্তে। ’স্থানকালপাত্রভেদে এই বিদ্যা স্থবির হয়ে থাকেনি। জীবনের প্রয়োজনে এই শাস্ত্র আপন গতিতে এগিয়ে চলে। বিজ্ঞদের সংস্পর্শে তা ছড়িয়ে পড়ে পৃথিবীর নানা প্রান্তে।
মূলত আব্বাসি খেলাফত আমলেই ইসলামি সভ্যতার চিকিৎসাবিজ্ঞানে প্রকৃত উন্নতি সাধিত হয়। রাজধানী বাগদাদ-সহ বড় বড় নগর ও বন্দরে হাসপাতাল গড়ে ওঠে রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে। এমনকি ভ্রাম্যমাণ হাসপাতালও প্রতিষ্ঠিত হয়। হাসপাতালগুলোতে দক্ষ চিকিৎসক ও যুগের বিচারে সর্বাধুনিক সরঞ্জামের ব্যবস্থা করা হয়। চিকিৎসা ও হাসপাতালের ব্যবস্থাপনায় মুসলিমগণ এমন প্রতিভার স্বাক্ষর রাখেন, যাতে মুসলিম সভ্যতা পূর্ব চিকিৎসাব্যবস্থা ম্লান হয়ে যায়।
রোগ-ব্যাধির চিকিৎসাতেই মুসলিমদের জ্ঞান-গবেষণা ও উদ্ভাবন সীমাবদ্ধ থাকেনি, বরং তারা এটিকে একটি মৌলিক পরীক্ষামূলক ভিত্তি দান করেছেন। তারাই প্রথম চিকিৎসাবিজ্ঞানকে দর্শন থেকে সম্পূর্ণরূপে পৃথক করে উপনীত করেন পরীক্ষামূলক বিজ্ঞানে। কিন্তু আফসোসের বিষয় হলো আমাদের নতুন প্রজন্মকে বিশ্বাস করতে বাধ্য করা হচ্ছে যে, চিকিৎসাবিজ্ঞানে মুসলিমদের মৌলিক কোনো অবদান নেই কিংবা মুসলিমরা ছিল ভাসাভাসা জ্ঞানের অধিকারী। অথচ তারাই বিজ্ঞানের কারিগর, তাদের আলোতেই বিশ্ব আলোকিত। চতুর্দশ শতকে মুসলিমদের অপ্রত্যাশিত অধঃপতনে জ্ঞানজগতের বাগডোর হাত বদল হয়ে যায়। মুসলিমদের আবিষ্কার, থিওরি চুরি হয়ে যায়, কিতাবাদি নষ্ট করে দেওয়া হয়। তাদেরকে কেবল জীবন রক্ষার সংগ্রামে লিপ্ত করে জ্ঞানরাজ্য থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। হত্যাও করা হয় বেশুমার।
ড. রাগিব সারজানি ইসলামি সভ্যতায় চিকিৎসাবিজ্ঞানের ইতিহাস নিয়ে আলোচনা করেছেন। তিনি অত্যন্ত সংক্ষিপ্তাকারে প্রাক-ইসলামি যুগের প্রসিদ্ধ কিছু চিকিৎসাব্যবস্থা আলোচনা করে চিকিৎসাবিজ্ঞানে ইসলামের আদর্শ তুলে ধরেছেন। মুসলিম চিকিৎসাবিজ্ঞানীদের অবদান উল্লেখ করেছেন।
.
ইসলামি সভ্যতায়চিকিৎসা বিজ্ঞানের ইতিহাস
290 BDT580 BDTSave 290 BDT
1
ইসলামি সভ্যতায়
চিকিৎসা বিজ্ঞানের ইতিহাস
লেখক : ড. রাগিব সারজানি
পৃষ্ঠা : ৩৫২
চিকিৎসা মানুষের মৌলিক অধিকার। জগতের প্রথম যুগের মানুষেরা যখন থেকে রোগ-ব্যাধি মোকাবিলার সংগ্রামে লিপ্ত হয়, তখন থেকেই হয়তো চিকিৎসার সূত্রপাত। ইতিহাসবিদ আল-কিফতি তারিখুল হুকামা গ্রন্থে লেখেন,‘ইদরিস আ. জগতের সর্বপ্রথম চিকিৎসক।’
স্থানকালপাত্রভেদে এই বিদ্যা স্থবির হয়ে থাকেনি। জীবনের প্রয়োজনে এই শাস্ত্র আপন গতিতে এগিয়ে চলে। বিজ্ঞদের সংস্পর্শে তা ছড়িয়ে পড়ে পৃথিবীর নানা প্রান্তে। ’স্থানকালপাত্রভেদে এই বিদ্যা স্থবির হয়ে থাকেনি। জীবনের প্রয়োজনে এই শাস্ত্র আপন গতিতে এগিয়ে চলে। বিজ্ঞদের সংস্পর্শে তা ছড়িয়ে পড়ে পৃথিবীর নানা প্রান্তে।
মূলত আব্বাসি খেলাফত আমলেই ইসলামি সভ্যতার চিকিৎসাবিজ্ঞানে প্রকৃত উন্নতি সাধিত হয়। রাজধানী বাগদাদ-সহ বড় বড় নগর ও বন্দরে হাসপাতাল গড়ে ওঠে রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে। এমনকি ভ্রাম্যমাণ হাসপাতালও প্রতিষ্ঠিত হয়। হাসপাতালগুলোতে দক্ষ চিকিৎসক ও যুগের বিচারে সর্বাধুনিক সরঞ্জামের ব্যবস্থা করা হয়। চিকিৎসা ও হাসপাতালের ব্যবস্থাপনায় মুসলিমগণ এমন প্রতিভার স্বাক্ষর রাখেন, যাতে মুসলিম সভ্যতা পূর্ব চিকিৎসাব্যবস্থা ম্লান হয়ে যায়।
রোগ-ব্যাধির চিকিৎসাতেই মুসলিমদের জ্ঞান-গবেষণা ও উদ্ভাবন সীমাবদ্ধ থাকেনি, বরং তারা এটিকে একটি মৌলিক পরীক্ষামূলক ভিত্তি দান করেছেন। তারাই প্রথম চিকিৎসাবিজ্ঞানকে দর্শন থেকে সম্পূর্ণরূপে পৃথক করে উপনীত করেন পরীক্ষামূলক বিজ্ঞানে। কিন্তু আফসোসের বিষয় হলো আমাদের নতুন প্রজন্মকে বিশ্বাস করতে বাধ্য করা হচ্ছে যে, চিকিৎসাবিজ্ঞানে মুসলিমদের মৌলিক কোনো অবদান নেই কিংবা মুসলিমরা ছিল ভাসাভাসা জ্ঞানের অধিকারী। অথচ তারাই বিজ্ঞানের কারিগর, তাদের আলোতেই বিশ্ব আলোকিত। চতুর্দশ শতকে মুসলিমদের অপ্রত্যাশিত অধঃপতনে জ্ঞানজগতের বাগডোর হাত বদল হয়ে যায়। মুসলিমদের আবিষ্কার, থিওরি চুরি হয়ে যায়, কিতাবাদি নষ্ট করে দেওয়া হয়। তাদেরকে কেবল জীবন রক্ষার সংগ্রামে লিপ্ত করে জ্ঞানরাজ্য থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। হত্যাও করা হয় বেশুমার।
ড. রাগিব সারজানি ইসলামি সভ্যতায় চিকিৎসাবিজ্ঞানের ইতিহাস নিয়ে আলোচনা করেছেন। তিনি অত্যন্ত সংক্ষিপ্তাকারে প্রাক-ইসলামি যুগের প্রসিদ্ধ কিছু চিকিৎসাব্যবস্থা আলোচনা করে চিকিৎসাবিজ্ঞানে ইসলামের আদর্শ তুলে ধরেছেন। মুসলিম চিকিৎসাবিজ্ঞানীদের অবদান উল্লেখ করেছেন।
.
চিকিৎসা বিজ্ঞানের ইতিহাস
লেখক : ড. রাগিব সারজানি
পৃষ্ঠা : ৩৫২
চিকিৎসা মানুষের মৌলিক অধিকার। জগতের প্রথম যুগের মানুষেরা যখন থেকে রোগ-ব্যাধি মোকাবিলার সংগ্রামে লিপ্ত হয়, তখন থেকেই হয়তো চিকিৎসার সূত্রপাত। ইতিহাসবিদ আল-কিফতি তারিখুল হুকামা গ্রন্থে লেখেন,‘ইদরিস আ. জগতের সর্বপ্রথম চিকিৎসক।’
স্থানকালপাত্রভেদে এই বিদ্যা স্থবির হয়ে থাকেনি। জীবনের প্রয়োজনে এই শাস্ত্র আপন গতিতে এগিয়ে চলে। বিজ্ঞদের সংস্পর্শে তা ছড়িয়ে পড়ে পৃথিবীর নানা প্রান্তে। ’স্থানকালপাত্রভেদে এই বিদ্যা স্থবির হয়ে থাকেনি। জীবনের প্রয়োজনে এই শাস্ত্র আপন গতিতে এগিয়ে চলে। বিজ্ঞদের সংস্পর্শে তা ছড়িয়ে পড়ে পৃথিবীর নানা প্রান্তে।
মূলত আব্বাসি খেলাফত আমলেই ইসলামি সভ্যতার চিকিৎসাবিজ্ঞানে প্রকৃত উন্নতি সাধিত হয়। রাজধানী বাগদাদ-সহ বড় বড় নগর ও বন্দরে হাসপাতাল গড়ে ওঠে রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে। এমনকি ভ্রাম্যমাণ হাসপাতালও প্রতিষ্ঠিত হয়। হাসপাতালগুলোতে দক্ষ চিকিৎসক ও যুগের বিচারে সর্বাধুনিক সরঞ্জামের ব্যবস্থা করা হয়। চিকিৎসা ও হাসপাতালের ব্যবস্থাপনায় মুসলিমগণ এমন প্রতিভার স্বাক্ষর রাখেন, যাতে মুসলিম সভ্যতা পূর্ব চিকিৎসাব্যবস্থা ম্লান হয়ে যায়।
রোগ-ব্যাধির চিকিৎসাতেই মুসলিমদের জ্ঞান-গবেষণা ও উদ্ভাবন সীমাবদ্ধ থাকেনি, বরং তারা এটিকে একটি মৌলিক পরীক্ষামূলক ভিত্তি দান করেছেন। তারাই প্রথম চিকিৎসাবিজ্ঞানকে দর্শন থেকে সম্পূর্ণরূপে পৃথক করে উপনীত করেন পরীক্ষামূলক বিজ্ঞানে। কিন্তু আফসোসের বিষয় হলো আমাদের নতুন প্রজন্মকে বিশ্বাস করতে বাধ্য করা হচ্ছে যে, চিকিৎসাবিজ্ঞানে মুসলিমদের মৌলিক কোনো অবদান নেই কিংবা মুসলিমরা ছিল ভাসাভাসা জ্ঞানের অধিকারী। অথচ তারাই বিজ্ঞানের কারিগর, তাদের আলোতেই বিশ্ব আলোকিত। চতুর্দশ শতকে মুসলিমদের অপ্রত্যাশিত অধঃপতনে জ্ঞানজগতের বাগডোর হাত বদল হয়ে যায়। মুসলিমদের আবিষ্কার, থিওরি চুরি হয়ে যায়, কিতাবাদি নষ্ট করে দেওয়া হয়। তাদেরকে কেবল জীবন রক্ষার সংগ্রামে লিপ্ত করে জ্ঞানরাজ্য থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। হত্যাও করা হয় বেশুমার।
ড. রাগিব সারজানি ইসলামি সভ্যতায় চিকিৎসাবিজ্ঞানের ইতিহাস নিয়ে আলোচনা করেছেন। তিনি অত্যন্ত সংক্ষিপ্তাকারে প্রাক-ইসলামি যুগের প্রসিদ্ধ কিছু চিকিৎসাব্যবস্থা আলোচনা করে চিকিৎসাবিজ্ঞানে ইসলামের আদর্শ তুলে ধরেছেন। মুসলিম চিকিৎসাবিজ্ঞানীদের অবদান উল্লেখ করেছেন।
.