সালাফদের ফরিয়াদ
বই : সালাফদের ফরিয়াদলেখক : শাইখ ওমর সুলেইমানঅনুবাদ : নাবিলা আফরোজ জান্নাতইব্রাহিম বিন আদহাম রাহিমাহুল্লাহ একবার জাহাজে করে কোথাও যাচ্ছিলেন। তিনি ছিলেন একজন বিচক্ষণ আলেম এবং অসাধারণ মানুষ। আশপাশের সবাই তাঁর ধার্মিকতার কথা জানত।তিনি সমুদ্রে, হঠাৎ বিশাল ঝড়। ঢেউয়ের তোড়ে জাহাজ যেন ভেঙে যায় যায় অবস্থা। সবাই মনে করছে, সবকিছু এখনই শেষ। মৃত্যু ঘনিয়ে আসছে। ঝড়ের তীব্রতা বাড়ছে, ডানে-বামে দুলছে জাহাজ।ইব্রাহিম বিন আদহাম ঘুম থেকে জেগে জাহাজের ডেকে গিয়ে দাঁড়ালেন।অন্য যাত্রীরা তাঁর পাশে ভীড় করল, ‘আপনি আল্লাহকে কী বলতে পারেন আমাদেরকে এই অবস্থা থেকে উদ্ধার করতে?’ তিনি আসমানের দিকে দু হাত তুললেন। বললেন, ‘হে চিরঞ্জীব, সবচেয়ে বেশি ক্ষমতাবান, আমাদেরকে আপনার ক্ষমতা দেখিয়েছেন। এইভাবে আমাদেরকে ক্ষমা করে নিরাপদ করুন।’এই দুআ করার সাথে সাথে ঝড় থামা শুরু করল। বাতাসও শান্ত। ঢেউ থেমে গেল, নিরাপদ আশ্রয় পেল সবাই।ইব্রাহিম বিন আদহাম আবার শুয়ে ঘুমিয়ে গেলেন। এইরকম ছিল আল্লাহর সাথে তাঁর যোগাযোগ।আসুন আমরা দুআটির দিকে লক্ষ করি।তিনি বলেননি, ‘আল্লাহ আপনি আমাদের শাস্তি দিয়েছেন’; বরং আল্লাহর ক্ষমতা এবং তায়ালার প্রশংসার কথা বর্ণনা করে দুআ শুরু করেছেন। এখানে নিরাপদ বা ক্ষমা অর্থে যে আরবি শব্দ ব্যবহার করেছেন তা হচ্ছে ‘আফওয়ান’। এর দ্বারা ভিন্নরকম এক ক্ষমা বোঝানো হয়; ক্ষমা, নিরাপত্তা, দয়া একইসাথে।দিন শেষে আমরা তো তাঁরই কাছে ফিরে যাব। এই সবের মালিক তো তিনিই।আমি দুআ করি আপনার জীবন নিরাপদ হোক, সুন্দর হোক। যদি কখনো উত্থালপাতাল লাগে, তখন আল্লাহকে বলবেন ‘হে আল্লাহ, আপনার ক্ষমতা আমি দেখেছি। এখন আমাকে আপনার দয়া দেখার সুযোগ করে দিন, আমাকে আপনার নিরাপদ আশ্রয় দান করুন।’সালাফদের ফরিয়াদ বই থেকে
An Najahah Shop
All products

বই : সালাফদের ফরিয়াদ
লেখক : শাইখ ওমর সুলেইমান
অনুবাদ : নাবিলা আফরোজ জান্নাত
ইব্রাহিম বিন আদহাম রাহিমাহুল্লাহ একবার জাহাজে করে কোথাও যাচ্ছিলেন। তিনি ছিলেন একজন বিচক্ষণ আলেম এবং অসাধারণ মানুষ। আশপাশের সবাই তাঁর ধার্মিকতার কথা জানত।
তিনি সমুদ্রে, হঠাৎ বিশাল ঝড়। ঢেউয়ের তোড়ে জাহাজ যেন ভেঙে যায় যায় অবস্থা। সবাই মনে করছে, সবকিছু এখনই শেষ। মৃত্যু ঘনিয়ে আসছে।
ঝড়ের তীব্রতা বাড়ছে, ডানে-বামে দুলছে জাহাজ।
ইব্রাহিম বিন আদহাম ঘুম থেকে জেগে জাহাজের ডেকে গিয়ে দাঁড়ালেন।
অন্য যাত্রীরা তাঁর পাশে ভীড় করল, ‘আপনি আল্লাহকে কী বলতে পারেন আমাদেরকে এই অবস্থা থেকে উদ্ধার করতে?’ তিনি আসমানের দিকে দু হাত তুললেন। বললেন, ‘হে চিরঞ্জীব, সবচেয়ে বেশি ক্ষমতাবান, আমাদেরকে আপনার ক্ষমতা দেখিয়েছেন। এইভাবে আমাদেরকে ক্ষমা করে নিরাপদ করুন।’
এই দুআ করার সাথে সাথে ঝড় থামা শুরু করল। বাতাসও শান্ত। ঢেউ থেমে গেল, নিরাপদ আশ্রয় পেল সবাই।
ইব্রাহিম বিন আদহাম আবার শুয়ে ঘুমিয়ে গেলেন। এইরকম ছিল আল্লাহর সাথে তাঁর যোগাযোগ।
আসুন আমরা দুআটির দিকে লক্ষ করি।
তিনি বলেননি, ‘আল্লাহ আপনি আমাদের শাস্তি দিয়েছেন’; বরং আল্লাহর ক্ষমতা এবং তায়ালার প্রশংসার কথা বর্ণনা করে দুআ শুরু করেছেন।
এখানে নিরাপদ বা ক্ষমা অর্থে যে আরবি শব্দ ব্যবহার করেছেন তা হচ্ছে ‘আফওয়ান’। এর দ্বারা ভিন্নরকম এক ক্ষমা বোঝানো হয়; ক্ষমা, নিরাপত্তা, দয়া একইসাথে।
দিন শেষে আমরা তো তাঁরই কাছে ফিরে যাব। এই সবের মালিক তো তিনিই।
আমি দুআ করি আপনার জীবন নিরাপদ হোক, সুন্দর হোক। যদি কখনো উত্থালপাতাল লাগে, তখন আল্লাহকে বলবেন
‘হে আল্লাহ, আপনার ক্ষমতা আমি দেখেছি। এখন আমাকে আপনার দয়া দেখার সুযোগ করে দিন, আমাকে আপনার নিরাপদ আশ্রয় দান করুন।’
সালাফদের ফরিয়াদ বই থেকে
সালাফদের ফরিয়াদ
বই : সালাফদের ফরিয়াদ
লেখক : শাইখ ওমর সুলেইমান
অনুবাদ : নাবিলা আফরোজ জান্নাত
ইব্রাহিম বিন আদহাম রাহিমাহুল্লাহ একবার জাহাজে করে কোথাও যাচ্ছিলেন। তিনি ছিলেন একজন বিচক্ষণ আলেম এবং অসাধারণ মানুষ। আশপাশের সবাই তাঁর ধার্মিকতার কথা জানত।
তিনি সমুদ্রে, হঠাৎ বিশাল ঝড়। ঢেউয়ের তোড়ে জাহাজ যেন ভেঙে যায় যায় অবস্থা। সবাই মনে করছে, সবকিছু এখনই শেষ। মৃত্যু ঘনিয়ে আসছে।
ঝড়ের তীব্রতা বাড়ছে, ডানে-বামে দুলছে জাহাজ।
ইব্রাহিম বিন আদহাম ঘুম থেকে জেগে জাহাজের ডেকে গিয়ে দাঁড়ালেন।
অন্য যাত্রীরা তাঁর পাশে ভীড় করল, ‘আপনি আল্লাহকে কী বলতে পারেন আমাদেরকে এই অবস্থা থেকে উদ্ধার করতে?’ তিনি আসমানের দিকে দু হাত তুললেন। বললেন, ‘হে চিরঞ্জীব, সবচেয়ে বেশি ক্ষমতাবান, আমাদেরকে আপনার ক্ষমতা দেখিয়েছেন। এইভাবে আমাদেরকে ক্ষমা করে নিরাপদ করুন।’
এই দুআ করার সাথে সাথে ঝড় থামা শুরু করল। বাতাসও শান্ত। ঢেউ থেমে গেল, নিরাপদ আশ্রয় পেল সবাই।
ইব্রাহিম বিন আদহাম আবার শুয়ে ঘুমিয়ে গেলেন। এইরকম ছিল আল্লাহর সাথে তাঁর যোগাযোগ।
আসুন আমরা দুআটির দিকে লক্ষ করি।
তিনি বলেননি, ‘আল্লাহ আপনি আমাদের শাস্তি দিয়েছেন’; বরং আল্লাহর ক্ষমতা এবং তায়ালার প্রশংসার কথা বর্ণনা করে দুআ শুরু করেছেন।
এখানে নিরাপদ বা ক্ষমা অর্থে যে আরবি শব্দ ব্যবহার করেছেন তা হচ্ছে ‘আফওয়ান’। এর দ্বারা ভিন্নরকম এক ক্ষমা বোঝানো হয়; ক্ষমা, নিরাপত্তা, দয়া একইসাথে।
দিন শেষে আমরা তো তাঁরই কাছে ফিরে যাব। এই সবের মালিক তো তিনিই।
আমি দুআ করি আপনার জীবন নিরাপদ হোক, সুন্দর হোক। যদি কখনো উত্থালপাতাল লাগে, তখন আল্লাহকে বলবেন
‘হে আল্লাহ, আপনার ক্ষমতা আমি দেখেছি। এখন আমাকে আপনার দয়া দেখার সুযোগ করে দিন, আমাকে আপনার নিরাপদ আশ্রয় দান করুন।’
সালাফদের ফরিয়াদ বই থেকে