An Najahah Shop

An Najahah Shop

EN

সুলতান মুহাম্মদ ফাতিহ

An Najahah Shop

সুলতান মুহাম্মদ ফাতিহ
  • সুলতান মুহাম্মদ ফাতিহ_img_0

সুলতান মুহাম্মদ ফাতিহ

200 BDT

২১ বছর বয়সে ১৪৫৩ সালের ২৯ মে কনস্ট্যান্টিনোপল শহরে প্রবেশ করলেন তরুণ তুর্কি সুলতান মুহাম্মাদ। আয়া সোফিয়াতে জুমার খুতবা দিয়ে এক নতুন দিনের বার্তা দিলেন বিশ্ববাসীকে। নামের সাথে যুক্ত হলো আল ফাতিহ (বিজেতা)। পূর্বপুরুষরা যা পারেনি, অনঢ় মনোবল, তাকওয়া আর নিখুঁত পরিকল্পনার মাধ্যমে তা করে দেখালেন তিনি।

সুলতান মুহাম্মাদ ফাতিহকে এ কারণেই আমাদের পড়তে হবে, বুঝতে হবে। কীভাবে তারুণ্যের উচ্ছ্বাসকে কাজে লাগিয়ে বিজয় ছিনিয়ে আনতে হয়, তা বুঝতে মুহাম্মাদ ফাতিহকে জানতে হবে। বিজয়ের জন্য লাগে বিপুল হিম্মত, দুঃসাহসী মনোবল আর বিরাট কলিজা। সুলতান ফাতিহ যেন সেটাই দেখিয়ে দিয়েছিলেন আজ থেকে পৌনে ছয়শো বছর পূর্বে।

সুলতান ফাতিহ’র কাছে আমরা শেখব, খাদের কিনারে দাঁড়িয়ে কীভাবে ঘুরে দাঁড়াতে হয়। নতুন কর্মপরিকল্পনা সাজিয়ে কীভাবে বিজয়ের মালা পরতে হয়। কনস্ট্যান্টিনোপল শহরের সুরক্ষিত প্রাচীর কোনোভাবেই ভেদ করা যাচ্ছে না। দিন-রাত চলছে কামানের গোলাবর্ষণ। গোল্ডেন হর্নের শিকলের বাইরে অপেক্ষা করছে অটোম্যান নৌবাহিনী। দিন-রাত গোলাবর্ষণের পরও দেয়ালে ফাটল সৃষ্টি করতে ব্যর্থ উসমানীয় সেনারা। মুহাম্মাদ বুঝলেন, এই দেয়াল এত সহজে নিজেকে বিলিয়ে দেওয়ার পাত্র নয়। তবুও হতাশ না হয়ে প্রাচীরের ওপর দিন-রাত কামান দাগাতে থাকে মুহাম্মাদের বাহিনী। অনবরত কামান দাগার ফলে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয় কামানে। কামানের বারুদ বিস্ফোরিত হয়, মারা যান কামানের প্রখ্যাত নকশাকার উরবান। মুহাম্মাদের জন্য এক বিরাট আঘাত!

এদিকে বাইজান্টাইনদের সাহায্য করতে আসা পশ্চিমা জাহাজগুলোকে গোল্ডেন হর্ন থেকে হঠাতে না পেরে হতাশ হয়ে পড়লেন সুলতান। বরখাস্ত করলেন নৌপ্রধান আওগালিকে। কঠিন এই সময়ে প্রধান উজির পাশা সুলতানকে পরামর্শ দিলেন সন্ধির। সুলতান দৃঢ়তার সাথে তা প্রত্যাখ্যান করে শাহাদাতের পূর্ব পর্যন্ত লড়াইয়ের ঘোষণা দিলেন।

একুশ শতকের আজকের মুসলিম তারুণ্যকে অনমনীয় চরিত্র সুলতান ফাতিহকে জানা তাই খুবই জরুরি। আমরা সুলতান মুহাম্মাদ ফাতিহ থেকে জানব—কীভাবে প্রতিকূল অবস্থাকে অনুকূলে এনে বিজয় মুকুট পড়তে হয়।