সালাত যখন খুশবু ছড়ায়
সালাতে আমরা সরাসরি আল্লাহর সঙ্গে কথা বলি এবং মহান রব আমাদের কথার জবাব দেন।রাসূল (সা.) বলেছেন–‘তোমাদের কেউ যখন সালাতে দাঁড়ায়, সে আল্লাহর সামনে দণ্ডায়মান হয় এবং তাঁর সঙ্গে মগ্ন হয় একান্ত আলাপচারিতায়। সুতরাং তোমরা কীভাবে আল্লাহর সঙ্গে কথা বলবে, সে ব্যাপারে যত্নবান হও।’ সালাত হচ্ছে সর্বশক্তিমান আল্লাহর সঙ্গে কথা বলার একটি সুবর্ণ সুযোগ।নিম্নোক্ত হাদিসে এ বিষয়টি অত্যন্ত সুন্দরভাবে ফুটে উঠেছে–আল্লাহর রাসূল (সা.) বলেছেন–‘আল্লাহ তায়ালা বলেন, আমি সালাতকে আমার ও আমার বান্দার মধ্যে অর্ধেক করে ভাগ করেছি। আর বান্দা যা চাইবে, তা সে পাবে।অতঃপর বান্দা যখন বলে اَلْحَمْدُ لِلّٰهِ رَبِّ الْعٰلَمِيْنَ (সমস্ত প্রশংসা জগৎসমূহের প্রতিপালক আল্লাহরই প্রাপ্য); আল্লাহ তায়ালা এর জবাবে বলেন, আমার বান্দা আমার প্রশংসা করেছে।সে যখন বলে ,الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِۙ (তিনি দয়াময়, পরম দয়ালু); আল্লাহ তায়ালা বলেন, আমার বান্দা আমার গুণাবলি বর্ণনা করেছে, গুণগান করেছে।অতঃপর সে যখন বলে, مٰلِكِ يَوْمِ الدِّيْنِۗ (কর্মফল দিবসের মালিক); তিনি বলেন, আমার বান্দা আমার মাহাত্ম্য বর্ণনা করেছে। আর কখনো বলেছেন, আমার বান্দা (তার সব কাজ) আমার ওপর সোপর্দ করেছে।সে যখন বলে– اِيَّاكَ نَعْبُدُ وَاِيَّاكَ نَسْتَعِيْنُۗ (আমরা শুধু তোমারই ইবাদত করি এবং তোমারই কাছে সাহায্য প্রার্থনা করি); তিনি বলেন, এটা আমার ও আমার বান্দার মধ্যকার ব্যাপার। আমার বান্দা যা চাইবে, তা সে পাবে।যখন সে বলে,اِهْدِنَا الصِّرَاطَ الْمُسْتَقِيْمَ. صِرَاطَ الَّذِيْنَ اَنْعَمْتَ عَلَيْهِمْ ەۙ غَيْرِ الْمَغْضُوْبِ عَلَيْهِمْ وَلَا الضَّاۤلِّيْنَ (আমাদের সরল পথপ্রদর্শন করো, তাদের পথে যাদের তুমি অনুগ্রহ দান করেছ, যারা ক্রোধ নিপতিত নয়, পথভ্রষ্টও নয়); তখন তিনি বলেন, এটা কেবল আমার বান্দার জন্য। আমার বান্দা যা চায়, তা সে পাবে।’ (মুসলিম)একবার ভেবে দেখুন তো, আপনি একটি করে আয়াত তিলাওয়াত করছেন, আর আল্লাহ তায়ালা তার জবাব দিচ্ছেন! আনন্দে আপনার চোখ ভিজে উঠবে না?ইবনুল কাইয়্যিম (রহ.) বলেন–‘আল্লাহ তায়ালা যখন “আমার বান্দা” বলে কারও কথার জবাব দেন, তখন হৃদয়ে আনন্দের যে ঢেউ ওঠে, তা কিছুতেই প্রকাশ করা সম্ভব নয়। আল্লাহর কসম! আমাদের হৃদয় যদি কামনা-বাসনার মোহ দ্বারা অন্ধ না হয়ে থাকত, তাহলে আল্লাহ তায়ালা যখন আমাদের কথার জবাবে বলেন–“আমার বান্দা আমার প্রশংসা করেছে”, “আমার বান্দা আমার গুণকীর্তন করেছে”, “আমার বান্দা আমার মহিমা বর্ণনা করেছে”, তখন আনন্দে আমরা দিশেহারা হয়ে যেতাম।’
An Najahah Shop
Category List
All products

সালাতে আমরা সরাসরি আল্লাহর সঙ্গে কথা বলি এবং মহান রব আমাদের কথার জবাব দেন।
রাসূল (সা.) বলেছেন–‘তোমাদের কেউ যখন সালাতে দাঁড়ায়, সে আল্লাহর সামনে দণ্ডায়মান হয় এবং তাঁর সঙ্গে মগ্ন হয় একান্ত আলাপচারিতায়। সুতরাং তোমরা কীভাবে আল্লাহর সঙ্গে কথা বলবে, সে ব্যাপারে যত্নবান হও।’ সালাত হচ্ছে সর্বশক্তিমান আল্লাহর সঙ্গে কথা বলার একটি সুবর্ণ সুযোগ।
নিম্নোক্ত হাদিসে এ বিষয়টি অত্যন্ত সুন্দরভাবে ফুটে উঠেছে–
আল্লাহর রাসূল (সা.) বলেছেন–‘আল্লাহ তায়ালা বলেন, আমি সালাতকে আমার ও আমার বান্দার মধ্যে অর্ধেক করে ভাগ করেছি। আর বান্দা যা চাইবে, তা সে পাবে।
অতঃপর বান্দা যখন বলে اَلْحَمْدُ لِلّٰهِ رَبِّ الْعٰلَمِيْنَ (সমস্ত প্রশংসা জগৎসমূহের প্রতিপালক আল্লাহরই প্রাপ্য); আল্লাহ তায়ালা এর জবাবে বলেন, আমার বান্দা আমার প্রশংসা করেছে।
সে যখন বলে ,الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِۙ (তিনি দয়াময়, পরম দয়ালু); আল্লাহ তায়ালা বলেন, আমার বান্দা আমার গুণাবলি বর্ণনা করেছে, গুণগান করেছে।
অতঃপর সে যখন বলে, مٰلِكِ يَوْمِ الدِّيْنِۗ (কর্মফল দিবসের মালিক); তিনি বলেন, আমার বান্দা আমার মাহাত্ম্য বর্ণনা করেছে। আর কখনো বলেছেন, আমার বান্দা (তার সব কাজ) আমার ওপর সোপর্দ করেছে।
সে যখন বলে– اِيَّاكَ نَعْبُدُ وَاِيَّاكَ نَسْتَعِيْنُۗ (আমরা শুধু তোমারই ইবাদত করি এবং তোমারই কাছে সাহায্য প্রার্থনা করি); তিনি বলেন, এটা আমার ও আমার বান্দার মধ্যকার ব্যাপার। আমার বান্দা যা চাইবে, তা সে পাবে।
যখন সে বলে,اِهْدِنَا الصِّرَاطَ الْمُسْتَقِيْمَ. صِرَاطَ الَّذِيْنَ اَنْعَمْتَ عَلَيْهِمْ ەۙ غَيْرِ الْمَغْضُوْبِ عَلَيْهِمْ وَلَا الضَّاۤلِّيْنَ (আমাদের সরল পথপ্রদর্শন করো, তাদের পথে যাদের তুমি অনুগ্রহ দান করেছ, যারা ক্রোধ নিপতিত নয়, পথভ্রষ্টও নয়); তখন তিনি বলেন, এটা কেবল আমার বান্দার জন্য। আমার বান্দা যা চায়, তা সে পাবে।’ (মুসলিম)
একবার ভেবে দেখুন তো, আপনি একটি করে আয়াত তিলাওয়াত করছেন, আর আল্লাহ তায়ালা তার জবাব দিচ্ছেন! আনন্দে আপনার চোখ ভিজে উঠবে না?
ইবনুল কাইয়্যিম (রহ.) বলেন–
‘আল্লাহ তায়ালা যখন “আমার বান্দা” বলে কারও কথার জবাব দেন, তখন হৃদয়ে আনন্দের যে ঢেউ ওঠে, তা কিছুতেই প্রকাশ করা সম্ভব নয়। আল্লাহর কসম! আমাদের হৃদয় যদি কামনা-বাসনার মোহ দ্বারা অন্ধ না হয়ে থাকত, তাহলে আল্লাহ তায়ালা যখন আমাদের কথার জবাবে বলেন–“আমার বান্দা আমার প্রশংসা করেছে”, “আমার বান্দা আমার গুণকীর্তন করেছে”, “আমার বান্দা আমার মহিমা বর্ণনা করেছে”, তখন আনন্দে আমরা দিশেহারা হয়ে যেতাম।’
রাসূল (সা.) বলেছেন–‘তোমাদের কেউ যখন সালাতে দাঁড়ায়, সে আল্লাহর সামনে দণ্ডায়মান হয় এবং তাঁর সঙ্গে মগ্ন হয় একান্ত আলাপচারিতায়। সুতরাং তোমরা কীভাবে আল্লাহর সঙ্গে কথা বলবে, সে ব্যাপারে যত্নবান হও।’ সালাত হচ্ছে সর্বশক্তিমান আল্লাহর সঙ্গে কথা বলার একটি সুবর্ণ সুযোগ।
নিম্নোক্ত হাদিসে এ বিষয়টি অত্যন্ত সুন্দরভাবে ফুটে উঠেছে–
আল্লাহর রাসূল (সা.) বলেছেন–‘আল্লাহ তায়ালা বলেন, আমি সালাতকে আমার ও আমার বান্দার মধ্যে অর্ধেক করে ভাগ করেছি। আর বান্দা যা চাইবে, তা সে পাবে।
অতঃপর বান্দা যখন বলে اَلْحَمْدُ لِلّٰهِ رَبِّ الْعٰلَمِيْنَ (সমস্ত প্রশংসা জগৎসমূহের প্রতিপালক আল্লাহরই প্রাপ্য); আল্লাহ তায়ালা এর জবাবে বলেন, আমার বান্দা আমার প্রশংসা করেছে।
সে যখন বলে ,الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِۙ (তিনি দয়াময়, পরম দয়ালু); আল্লাহ তায়ালা বলেন, আমার বান্দা আমার গুণাবলি বর্ণনা করেছে, গুণগান করেছে।
অতঃপর সে যখন বলে, مٰلِكِ يَوْمِ الدِّيْنِۗ (কর্মফল দিবসের মালিক); তিনি বলেন, আমার বান্দা আমার মাহাত্ম্য বর্ণনা করেছে। আর কখনো বলেছেন, আমার বান্দা (তার সব কাজ) আমার ওপর সোপর্দ করেছে।
সে যখন বলে– اِيَّاكَ نَعْبُدُ وَاِيَّاكَ نَسْتَعِيْنُۗ (আমরা শুধু তোমারই ইবাদত করি এবং তোমারই কাছে সাহায্য প্রার্থনা করি); তিনি বলেন, এটা আমার ও আমার বান্দার মধ্যকার ব্যাপার। আমার বান্দা যা চাইবে, তা সে পাবে।
যখন সে বলে,اِهْدِنَا الصِّرَاطَ الْمُسْتَقِيْمَ. صِرَاطَ الَّذِيْنَ اَنْعَمْتَ عَلَيْهِمْ ەۙ غَيْرِ الْمَغْضُوْبِ عَلَيْهِمْ وَلَا الضَّاۤلِّيْنَ (আমাদের সরল পথপ্রদর্শন করো, তাদের পথে যাদের তুমি অনুগ্রহ দান করেছ, যারা ক্রোধ নিপতিত নয়, পথভ্রষ্টও নয়); তখন তিনি বলেন, এটা কেবল আমার বান্দার জন্য। আমার বান্দা যা চায়, তা সে পাবে।’ (মুসলিম)
একবার ভেবে দেখুন তো, আপনি একটি করে আয়াত তিলাওয়াত করছেন, আর আল্লাহ তায়ালা তার জবাব দিচ্ছেন! আনন্দে আপনার চোখ ভিজে উঠবে না?
ইবনুল কাইয়্যিম (রহ.) বলেন–
‘আল্লাহ তায়ালা যখন “আমার বান্দা” বলে কারও কথার জবাব দেন, তখন হৃদয়ে আনন্দের যে ঢেউ ওঠে, তা কিছুতেই প্রকাশ করা সম্ভব নয়। আল্লাহর কসম! আমাদের হৃদয় যদি কামনা-বাসনার মোহ দ্বারা অন্ধ না হয়ে থাকত, তাহলে আল্লাহ তায়ালা যখন আমাদের কথার জবাবে বলেন–“আমার বান্দা আমার প্রশংসা করেছে”, “আমার বান্দা আমার গুণকীর্তন করেছে”, “আমার বান্দা আমার মহিমা বর্ণনা করেছে”, তখন আনন্দে আমরা দিশেহারা হয়ে যেতাম।’
সালাত যখন খুশবু ছড়ায়
250 BDT
1
সালাতে আমরা সরাসরি আল্লাহর সঙ্গে কথা বলি এবং মহান রব আমাদের কথার জবাব দেন।
রাসূল (সা.) বলেছেন–‘তোমাদের কেউ যখন সালাতে দাঁড়ায়, সে আল্লাহর সামনে দণ্ডায়মান হয় এবং তাঁর সঙ্গে মগ্ন হয় একান্ত আলাপচারিতায়। সুতরাং তোমরা কীভাবে আল্লাহর সঙ্গে কথা বলবে, সে ব্যাপারে যত্নবান হও।’ সালাত হচ্ছে সর্বশক্তিমান আল্লাহর সঙ্গে কথা বলার একটি সুবর্ণ সুযোগ।
নিম্নোক্ত হাদিসে এ বিষয়টি অত্যন্ত সুন্দরভাবে ফুটে উঠেছে–
আল্লাহর রাসূল (সা.) বলেছেন–‘আল্লাহ তায়ালা বলেন, আমি সালাতকে আমার ও আমার বান্দার মধ্যে অর্ধেক করে ভাগ করেছি। আর বান্দা যা চাইবে, তা সে পাবে।
অতঃপর বান্দা যখন বলে اَلْحَمْدُ لِلّٰهِ رَبِّ الْعٰلَمِيْنَ (সমস্ত প্রশংসা জগৎসমূহের প্রতিপালক আল্লাহরই প্রাপ্য); আল্লাহ তায়ালা এর জবাবে বলেন, আমার বান্দা আমার প্রশংসা করেছে।
সে যখন বলে ,الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِۙ (তিনি দয়াময়, পরম দয়ালু); আল্লাহ তায়ালা বলেন, আমার বান্দা আমার গুণাবলি বর্ণনা করেছে, গুণগান করেছে।
অতঃপর সে যখন বলে, مٰلِكِ يَوْمِ الدِّيْنِۗ (কর্মফল দিবসের মালিক); তিনি বলেন, আমার বান্দা আমার মাহাত্ম্য বর্ণনা করেছে। আর কখনো বলেছেন, আমার বান্দা (তার সব কাজ) আমার ওপর সোপর্দ করেছে।
সে যখন বলে– اِيَّاكَ نَعْبُدُ وَاِيَّاكَ نَسْتَعِيْنُۗ (আমরা শুধু তোমারই ইবাদত করি এবং তোমারই কাছে সাহায্য প্রার্থনা করি); তিনি বলেন, এটা আমার ও আমার বান্দার মধ্যকার ব্যাপার। আমার বান্দা যা চাইবে, তা সে পাবে।
যখন সে বলে,اِهْدِنَا الصِّرَاطَ الْمُسْتَقِيْمَ. صِرَاطَ الَّذِيْنَ اَنْعَمْتَ عَلَيْهِمْ ەۙ غَيْرِ الْمَغْضُوْبِ عَلَيْهِمْ وَلَا الضَّاۤلِّيْنَ (আমাদের সরল পথপ্রদর্শন করো, তাদের পথে যাদের তুমি অনুগ্রহ দান করেছ, যারা ক্রোধ নিপতিত নয়, পথভ্রষ্টও নয়); তখন তিনি বলেন, এটা কেবল আমার বান্দার জন্য। আমার বান্দা যা চায়, তা সে পাবে।’ (মুসলিম)
একবার ভেবে দেখুন তো, আপনি একটি করে আয়াত তিলাওয়াত করছেন, আর আল্লাহ তায়ালা তার জবাব দিচ্ছেন! আনন্দে আপনার চোখ ভিজে উঠবে না?
ইবনুল কাইয়্যিম (রহ.) বলেন–
‘আল্লাহ তায়ালা যখন “আমার বান্দা” বলে কারও কথার জবাব দেন, তখন হৃদয়ে আনন্দের যে ঢেউ ওঠে, তা কিছুতেই প্রকাশ করা সম্ভব নয়। আল্লাহর কসম! আমাদের হৃদয় যদি কামনা-বাসনার মোহ দ্বারা অন্ধ না হয়ে থাকত, তাহলে আল্লাহ তায়ালা যখন আমাদের কথার জবাবে বলেন–“আমার বান্দা আমার প্রশংসা করেছে”, “আমার বান্দা আমার গুণকীর্তন করেছে”, “আমার বান্দা আমার মহিমা বর্ণনা করেছে”, তখন আনন্দে আমরা দিশেহারা হয়ে যেতাম।’
রাসূল (সা.) বলেছেন–‘তোমাদের কেউ যখন সালাতে দাঁড়ায়, সে আল্লাহর সামনে দণ্ডায়মান হয় এবং তাঁর সঙ্গে মগ্ন হয় একান্ত আলাপচারিতায়। সুতরাং তোমরা কীভাবে আল্লাহর সঙ্গে কথা বলবে, সে ব্যাপারে যত্নবান হও।’ সালাত হচ্ছে সর্বশক্তিমান আল্লাহর সঙ্গে কথা বলার একটি সুবর্ণ সুযোগ।
নিম্নোক্ত হাদিসে এ বিষয়টি অত্যন্ত সুন্দরভাবে ফুটে উঠেছে–
আল্লাহর রাসূল (সা.) বলেছেন–‘আল্লাহ তায়ালা বলেন, আমি সালাতকে আমার ও আমার বান্দার মধ্যে অর্ধেক করে ভাগ করেছি। আর বান্দা যা চাইবে, তা সে পাবে।
অতঃপর বান্দা যখন বলে اَلْحَمْدُ لِلّٰهِ رَبِّ الْعٰلَمِيْنَ (সমস্ত প্রশংসা জগৎসমূহের প্রতিপালক আল্লাহরই প্রাপ্য); আল্লাহ তায়ালা এর জবাবে বলেন, আমার বান্দা আমার প্রশংসা করেছে।
সে যখন বলে ,الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِۙ (তিনি দয়াময়, পরম দয়ালু); আল্লাহ তায়ালা বলেন, আমার বান্দা আমার গুণাবলি বর্ণনা করেছে, গুণগান করেছে।
অতঃপর সে যখন বলে, مٰلِكِ يَوْمِ الدِّيْنِۗ (কর্মফল দিবসের মালিক); তিনি বলেন, আমার বান্দা আমার মাহাত্ম্য বর্ণনা করেছে। আর কখনো বলেছেন, আমার বান্দা (তার সব কাজ) আমার ওপর সোপর্দ করেছে।
সে যখন বলে– اِيَّاكَ نَعْبُدُ وَاِيَّاكَ نَسْتَعِيْنُۗ (আমরা শুধু তোমারই ইবাদত করি এবং তোমারই কাছে সাহায্য প্রার্থনা করি); তিনি বলেন, এটা আমার ও আমার বান্দার মধ্যকার ব্যাপার। আমার বান্দা যা চাইবে, তা সে পাবে।
যখন সে বলে,اِهْدِنَا الصِّرَاطَ الْمُسْتَقِيْمَ. صِرَاطَ الَّذِيْنَ اَنْعَمْتَ عَلَيْهِمْ ەۙ غَيْرِ الْمَغْضُوْبِ عَلَيْهِمْ وَلَا الضَّاۤلِّيْنَ (আমাদের সরল পথপ্রদর্শন করো, তাদের পথে যাদের তুমি অনুগ্রহ দান করেছ, যারা ক্রোধ নিপতিত নয়, পথভ্রষ্টও নয়); তখন তিনি বলেন, এটা কেবল আমার বান্দার জন্য। আমার বান্দা যা চায়, তা সে পাবে।’ (মুসলিম)
একবার ভেবে দেখুন তো, আপনি একটি করে আয়াত তিলাওয়াত করছেন, আর আল্লাহ তায়ালা তার জবাব দিচ্ছেন! আনন্দে আপনার চোখ ভিজে উঠবে না?
ইবনুল কাইয়্যিম (রহ.) বলেন–
‘আল্লাহ তায়ালা যখন “আমার বান্দা” বলে কারও কথার জবাব দেন, তখন হৃদয়ে আনন্দের যে ঢেউ ওঠে, তা কিছুতেই প্রকাশ করা সম্ভব নয়। আল্লাহর কসম! আমাদের হৃদয় যদি কামনা-বাসনার মোহ দ্বারা অন্ধ না হয়ে থাকত, তাহলে আল্লাহ তায়ালা যখন আমাদের কথার জবাবে বলেন–“আমার বান্দা আমার প্রশংসা করেছে”, “আমার বান্দা আমার গুণকীর্তন করেছে”, “আমার বান্দা আমার মহিমা বর্ণনা করেছে”, তখন আনন্দে আমরা দিশেহারা হয়ে যেতাম।’