হালাল বিনোদন
বই: হালাল বিনোদন।(বিনোদনের ইসলামি দৃষ্টিভঙ্গি, পরিসর ও সীমারেখা)আবু মুআবিয়াহ ইসমাইল কামদারঅনুবাদ : মাসুদ শরীফএটা হারাম। ওটা হারাম । এটা করা যাবে না। ওটা করা যাবে না। তাহলে কি ইসলামে বিনোদন বলে কিছু নেই? হ্যাঁ, আছে। বিনোদনের শত শত মাধ্যম। কিছু ভালো । কিছু খারাপ । খারাপটা থেকে যদি ভালোটা আলাদা করতে না পারি, তাহলে নিছক আনন্দও হয়ে উঠবে শোচনীয় পরিণতির কারণ । কাজেই, সাবধান হওয়া জরুরি। বন্যার পানির মতো বিনোদনের হাজারো উপকরণ আসছে। জায়গা করে নিচ্ছে হাতের মুঠোয়। পানি জীবন ধারণের জন্য অপরিহার্য। কিন্তু সেই পানি যদি বিশুদ্ধ না হয়, ফুটানো না হয়, তাহলে সেটাই হয়ে উঠতে পারে জীবনঘাতী ।এই বইতে আমরা আপনাকে একটা ফিল্টার দেবো। এই ফিল্টারে করে আপনি নিজেই ভালো আর খারাপ বিনোদনের উপকরণগুলো আলাদা করতে পারবেন। আনন্দের পরিশুদ্ধ মাধ্যমগুলো নিয়ে মেতে উঠুন হালাল বিনোদনে...বিনোদনের ব্যাপারে ইসলামের সঠিক দৃষ্টিভঙ্গি হচ্ছে, প্রকৃতিগতভাবেই মানুষের জীবনে বিনোদন প্রয়োজন। সেই প্রয়োজনীয়তা পূরণ করা সম্ভব আল্লাহ তায়ালার নির্ধারিত সীমারেখা মেনেই। কিন্তু তাই বলে বিনোদনই কোনো মুসলিমের জীবনের একমাত্র লক্ষ্য বা উদ্দেশ্য হতে পারে না। এখান থেকে আমরা বুঝতে পারছি- বিনোদনের ব্যাপারে পশ্চিমা ও ইসলামি দৃষ্টিভঙ্গির পার্থক্যটা কোথায়। প্রথমত, বিনোদন মুসলিমদের জীবনের উদ্দেশ্য নয়। বরং এটা আল্লাহ তায়ালার একটা অনুগ্রহ। দ্বিতীয়ত, বিনোদনের ব্যাপারে আল্লাহ কিছু সীমানা নির্ধারণ করে দিয়েছেন, যেটা আমাদের মেনে চলতে হবে।গড়পড়তা পশ্চিমা জনসাধারণ আর প্রাক্টিসিং মুসলিমের মধ্যে পার্থক্য সুস্পষ্ট: দুজনই বিনোদনে অংশ নিচ্ছেন, কিন্তু আল্লাহর নির্ধারিত সীমারেখার মধ্যে থাকায় একজন প্র্যাক্টিসিং মুসলিম সওয়াবের অংশীদার হচ্ছেন; অন্যদিকে, আল্লাহকে ভুলে গিয়ে বিনোদনের ব্যাপারে সীমালঙ্ঘন করে একজন পশ্চিমা ব্যক্তি আল্লাহ তায়ালার ক্রোধের পাত্র হচ্ছেন। বিনোদনের ব্যাপারে যেসব মুসলিম পশ্চিমা ভাবধারার অনুসারী, তাদের বেলায়ও একই কথা প্রযোজ্য। দৃষ্টিভঙ্গির পার্থক্যটা অনেক বিশাল। কেননা, এর সাথে মানুষের অস্তিত্বের বিষয়টি জড়িত। বিনোদনের বৈধতা প্রমাণে আমি এখন কিছু সাধারণ প্রমাণ উল্লেখ করছি। অজ্ঞতাবশত যারা বিনোদনের প্রায় সব মাধ্যমকেই হারাম বলে ঘোষণা করেছেন, এই প্রমাণগুলো তাদেরকে ভাবনার খোরাক দেবে বিনোদনের ব্যাপারে। বিনোদনের সকল মাধ্যমকে হারাম ঘোষণার মাধ্যমে তারা ইসলামকে যেমন নিজেদের জন্য কঠিন বানিয়ে ফেলেছেন, তেমনি কঠিন বানিয়ে ফেলেছেন। অন্যান্যদের জন্যও।বিজ্ঞ আলিমগণ এ ব্যাপারে একমত যে, সাধারণ মূলনীতি হচ্ছে হারাম প্রমাণিত হওয়া না পর্যন্ত সবকিছুই অনুমোদিত। এজন্য বিনোদনকে হারাম প্রমাণের দায়িত্ব আসলে তাদের ওপরই বর্তায় যারা একে হারাম বলেন।
An Najahah Shop
Category List
All products

বই: হালাল বিনোদন।
(বিনোদনের ইসলামি দৃষ্টিভঙ্গি, পরিসর ও সীমারেখা)
আবু মুআবিয়াহ ইসমাইল কামদার
অনুবাদ : মাসুদ শরীফ
এটা হারাম। ওটা হারাম । এটা করা যাবে না। ওটা করা যাবে না। তাহলে কি ইসলামে বিনোদন বলে কিছু নেই? হ্যাঁ, আছে। বিনোদনের শত শত মাধ্যম। কিছু ভালো । কিছু খারাপ । খারাপটা থেকে যদি ভালোটা আলাদা করতে না পারি, তাহলে নিছক আনন্দও হয়ে উঠবে শোচনীয় পরিণতির কারণ । কাজেই, সাবধান হওয়া জরুরি। বন্যার পানির মতো বিনোদনের হাজারো উপকরণ আসছে। জায়গা করে নিচ্ছে হাতের মুঠোয়। পানি জীবন ধারণের জন্য অপরিহার্য। কিন্তু সেই পানি যদি বিশুদ্ধ না হয়, ফুটানো না হয়, তাহলে সেটাই হয়ে উঠতে পারে জীবনঘাতী ।
এই বইতে আমরা আপনাকে একটা ফিল্টার দেবো। এই ফিল্টারে করে আপনি নিজেই ভালো আর খারাপ বিনোদনের উপকরণগুলো আলাদা করতে পারবেন। আনন্দের পরিশুদ্ধ মাধ্যমগুলো নিয়ে মেতে উঠুন হালাল বিনোদনে...
বিনোদনের ব্যাপারে ইসলামের সঠিক দৃষ্টিভঙ্গি হচ্ছে, প্রকৃতিগতভাবেই মানুষের জীবনে বিনোদন প্রয়োজন। সেই প্রয়োজনীয়তা পূরণ করা সম্ভব আল্লাহ তায়ালার নির্ধারিত সীমারেখা মেনেই। কিন্তু তাই বলে বিনোদনই কোনো মুসলিমের জীবনের একমাত্র লক্ষ্য বা উদ্দেশ্য হতে পারে না। এখান থেকে আমরা বুঝতে পারছি- বিনোদনের ব্যাপারে পশ্চিমা ও ইসলামি দৃষ্টিভঙ্গির পার্থক্যটা কোথায়। প্রথমত, বিনোদন মুসলিমদের জীবনের উদ্দেশ্য নয়। বরং এটা আল্লাহ তায়ালার একটা অনুগ্রহ। দ্বিতীয়ত, বিনোদনের ব্যাপারে আল্লাহ কিছু সীমানা নির্ধারণ করে দিয়েছেন, যেটা আমাদের মেনে চলতে হবে।
গড়পড়তা পশ্চিমা জনসাধারণ আর প্রাক্টিসিং মুসলিমের মধ্যে পার্থক্য সুস্পষ্ট: দুজনই বিনোদনে অংশ নিচ্ছেন, কিন্তু আল্লাহর নির্ধারিত সীমারেখার মধ্যে থাকায় একজন প্র্যাক্টিসিং মুসলিম সওয়াবের অংশীদার হচ্ছেন; অন্যদিকে, আল্লাহকে ভুলে গিয়ে বিনোদনের ব্যাপারে সীমালঙ্ঘন করে একজন পশ্চিমা ব্যক্তি আল্লাহ তায়ালার ক্রোধের পাত্র হচ্ছেন। বিনোদনের ব্যাপারে যেসব মুসলিম পশ্চিমা ভাবধারার অনুসারী, তাদের বেলায়ও একই কথা প্রযোজ্য। দৃষ্টিভঙ্গির পার্থক্যটা অনেক বিশাল। কেননা, এর সাথে মানুষের অস্তিত্বের বিষয়টি জড়িত। বিনোদনের বৈধতা প্রমাণে আমি এখন কিছু সাধারণ প্রমাণ উল্লেখ করছি। অজ্ঞতাবশত যারা বিনোদনের প্রায় সব মাধ্যমকেই হারাম বলে ঘোষণা করেছেন, এই প্রমাণগুলো তাদেরকে ভাবনার খোরাক দেবে বিনোদনের ব্যাপারে। বিনোদনের সকল মাধ্যমকে হারাম ঘোষণার মাধ্যমে তারা ইসলামকে যেমন নিজেদের জন্য কঠিন বানিয়ে ফেলেছেন, তেমনি কঠিন বানিয়ে ফেলেছেন। অন্যান্যদের জন্যও।
বিজ্ঞ আলিমগণ এ ব্যাপারে একমত যে, সাধারণ মূলনীতি হচ্ছে হারাম প্রমাণিত হওয়া না পর্যন্ত সবকিছুই অনুমোদিত। এজন্য বিনোদনকে হারাম প্রমাণের দায়িত্ব আসলে তাদের ওপরই বর্তায় যারা একে হারাম বলেন।
(বিনোদনের ইসলামি দৃষ্টিভঙ্গি, পরিসর ও সীমারেখা)
আবু মুআবিয়াহ ইসমাইল কামদার
অনুবাদ : মাসুদ শরীফ
এটা হারাম। ওটা হারাম । এটা করা যাবে না। ওটা করা যাবে না। তাহলে কি ইসলামে বিনোদন বলে কিছু নেই? হ্যাঁ, আছে। বিনোদনের শত শত মাধ্যম। কিছু ভালো । কিছু খারাপ । খারাপটা থেকে যদি ভালোটা আলাদা করতে না পারি, তাহলে নিছক আনন্দও হয়ে উঠবে শোচনীয় পরিণতির কারণ । কাজেই, সাবধান হওয়া জরুরি। বন্যার পানির মতো বিনোদনের হাজারো উপকরণ আসছে। জায়গা করে নিচ্ছে হাতের মুঠোয়। পানি জীবন ধারণের জন্য অপরিহার্য। কিন্তু সেই পানি যদি বিশুদ্ধ না হয়, ফুটানো না হয়, তাহলে সেটাই হয়ে উঠতে পারে জীবনঘাতী ।
এই বইতে আমরা আপনাকে একটা ফিল্টার দেবো। এই ফিল্টারে করে আপনি নিজেই ভালো আর খারাপ বিনোদনের উপকরণগুলো আলাদা করতে পারবেন। আনন্দের পরিশুদ্ধ মাধ্যমগুলো নিয়ে মেতে উঠুন হালাল বিনোদনে...
বিনোদনের ব্যাপারে ইসলামের সঠিক দৃষ্টিভঙ্গি হচ্ছে, প্রকৃতিগতভাবেই মানুষের জীবনে বিনোদন প্রয়োজন। সেই প্রয়োজনীয়তা পূরণ করা সম্ভব আল্লাহ তায়ালার নির্ধারিত সীমারেখা মেনেই। কিন্তু তাই বলে বিনোদনই কোনো মুসলিমের জীবনের একমাত্র লক্ষ্য বা উদ্দেশ্য হতে পারে না। এখান থেকে আমরা বুঝতে পারছি- বিনোদনের ব্যাপারে পশ্চিমা ও ইসলামি দৃষ্টিভঙ্গির পার্থক্যটা কোথায়। প্রথমত, বিনোদন মুসলিমদের জীবনের উদ্দেশ্য নয়। বরং এটা আল্লাহ তায়ালার একটা অনুগ্রহ। দ্বিতীয়ত, বিনোদনের ব্যাপারে আল্লাহ কিছু সীমানা নির্ধারণ করে দিয়েছেন, যেটা আমাদের মেনে চলতে হবে।
গড়পড়তা পশ্চিমা জনসাধারণ আর প্রাক্টিসিং মুসলিমের মধ্যে পার্থক্য সুস্পষ্ট: দুজনই বিনোদনে অংশ নিচ্ছেন, কিন্তু আল্লাহর নির্ধারিত সীমারেখার মধ্যে থাকায় একজন প্র্যাক্টিসিং মুসলিম সওয়াবের অংশীদার হচ্ছেন; অন্যদিকে, আল্লাহকে ভুলে গিয়ে বিনোদনের ব্যাপারে সীমালঙ্ঘন করে একজন পশ্চিমা ব্যক্তি আল্লাহ তায়ালার ক্রোধের পাত্র হচ্ছেন। বিনোদনের ব্যাপারে যেসব মুসলিম পশ্চিমা ভাবধারার অনুসারী, তাদের বেলায়ও একই কথা প্রযোজ্য। দৃষ্টিভঙ্গির পার্থক্যটা অনেক বিশাল। কেননা, এর সাথে মানুষের অস্তিত্বের বিষয়টি জড়িত। বিনোদনের বৈধতা প্রমাণে আমি এখন কিছু সাধারণ প্রমাণ উল্লেখ করছি। অজ্ঞতাবশত যারা বিনোদনের প্রায় সব মাধ্যমকেই হারাম বলে ঘোষণা করেছেন, এই প্রমাণগুলো তাদেরকে ভাবনার খোরাক দেবে বিনোদনের ব্যাপারে। বিনোদনের সকল মাধ্যমকে হারাম ঘোষণার মাধ্যমে তারা ইসলামকে যেমন নিজেদের জন্য কঠিন বানিয়ে ফেলেছেন, তেমনি কঠিন বানিয়ে ফেলেছেন। অন্যান্যদের জন্যও।
বিজ্ঞ আলিমগণ এ ব্যাপারে একমত যে, সাধারণ মূলনীতি হচ্ছে হারাম প্রমাণিত হওয়া না পর্যন্ত সবকিছুই অনুমোদিত। এজন্য বিনোদনকে হারাম প্রমাণের দায়িত্ব আসলে তাদের ওপরই বর্তায় যারা একে হারাম বলেন।
হালাল বিনোদন
120 BDT
1
বই: হালাল বিনোদন।
(বিনোদনের ইসলামি দৃষ্টিভঙ্গি, পরিসর ও সীমারেখা)
আবু মুআবিয়াহ ইসমাইল কামদার
অনুবাদ : মাসুদ শরীফ
এটা হারাম। ওটা হারাম । এটা করা যাবে না। ওটা করা যাবে না। তাহলে কি ইসলামে বিনোদন বলে কিছু নেই? হ্যাঁ, আছে। বিনোদনের শত শত মাধ্যম। কিছু ভালো । কিছু খারাপ । খারাপটা থেকে যদি ভালোটা আলাদা করতে না পারি, তাহলে নিছক আনন্দও হয়ে উঠবে শোচনীয় পরিণতির কারণ । কাজেই, সাবধান হওয়া জরুরি। বন্যার পানির মতো বিনোদনের হাজারো উপকরণ আসছে। জায়গা করে নিচ্ছে হাতের মুঠোয়। পানি জীবন ধারণের জন্য অপরিহার্য। কিন্তু সেই পানি যদি বিশুদ্ধ না হয়, ফুটানো না হয়, তাহলে সেটাই হয়ে উঠতে পারে জীবনঘাতী ।
এই বইতে আমরা আপনাকে একটা ফিল্টার দেবো। এই ফিল্টারে করে আপনি নিজেই ভালো আর খারাপ বিনোদনের উপকরণগুলো আলাদা করতে পারবেন। আনন্দের পরিশুদ্ধ মাধ্যমগুলো নিয়ে মেতে উঠুন হালাল বিনোদনে...
বিনোদনের ব্যাপারে ইসলামের সঠিক দৃষ্টিভঙ্গি হচ্ছে, প্রকৃতিগতভাবেই মানুষের জীবনে বিনোদন প্রয়োজন। সেই প্রয়োজনীয়তা পূরণ করা সম্ভব আল্লাহ তায়ালার নির্ধারিত সীমারেখা মেনেই। কিন্তু তাই বলে বিনোদনই কোনো মুসলিমের জীবনের একমাত্র লক্ষ্য বা উদ্দেশ্য হতে পারে না। এখান থেকে আমরা বুঝতে পারছি- বিনোদনের ব্যাপারে পশ্চিমা ও ইসলামি দৃষ্টিভঙ্গির পার্থক্যটা কোথায়। প্রথমত, বিনোদন মুসলিমদের জীবনের উদ্দেশ্য নয়। বরং এটা আল্লাহ তায়ালার একটা অনুগ্রহ। দ্বিতীয়ত, বিনোদনের ব্যাপারে আল্লাহ কিছু সীমানা নির্ধারণ করে দিয়েছেন, যেটা আমাদের মেনে চলতে হবে।
গড়পড়তা পশ্চিমা জনসাধারণ আর প্রাক্টিসিং মুসলিমের মধ্যে পার্থক্য সুস্পষ্ট: দুজনই বিনোদনে অংশ নিচ্ছেন, কিন্তু আল্লাহর নির্ধারিত সীমারেখার মধ্যে থাকায় একজন প্র্যাক্টিসিং মুসলিম সওয়াবের অংশীদার হচ্ছেন; অন্যদিকে, আল্লাহকে ভুলে গিয়ে বিনোদনের ব্যাপারে সীমালঙ্ঘন করে একজন পশ্চিমা ব্যক্তি আল্লাহ তায়ালার ক্রোধের পাত্র হচ্ছেন। বিনোদনের ব্যাপারে যেসব মুসলিম পশ্চিমা ভাবধারার অনুসারী, তাদের বেলায়ও একই কথা প্রযোজ্য। দৃষ্টিভঙ্গির পার্থক্যটা অনেক বিশাল। কেননা, এর সাথে মানুষের অস্তিত্বের বিষয়টি জড়িত। বিনোদনের বৈধতা প্রমাণে আমি এখন কিছু সাধারণ প্রমাণ উল্লেখ করছি। অজ্ঞতাবশত যারা বিনোদনের প্রায় সব মাধ্যমকেই হারাম বলে ঘোষণা করেছেন, এই প্রমাণগুলো তাদেরকে ভাবনার খোরাক দেবে বিনোদনের ব্যাপারে। বিনোদনের সকল মাধ্যমকে হারাম ঘোষণার মাধ্যমে তারা ইসলামকে যেমন নিজেদের জন্য কঠিন বানিয়ে ফেলেছেন, তেমনি কঠিন বানিয়ে ফেলেছেন। অন্যান্যদের জন্যও।
বিজ্ঞ আলিমগণ এ ব্যাপারে একমত যে, সাধারণ মূলনীতি হচ্ছে হারাম প্রমাণিত হওয়া না পর্যন্ত সবকিছুই অনুমোদিত। এজন্য বিনোদনকে হারাম প্রমাণের দায়িত্ব আসলে তাদের ওপরই বর্তায় যারা একে হারাম বলেন।
(বিনোদনের ইসলামি দৃষ্টিভঙ্গি, পরিসর ও সীমারেখা)
আবু মুআবিয়াহ ইসমাইল কামদার
অনুবাদ : মাসুদ শরীফ
এটা হারাম। ওটা হারাম । এটা করা যাবে না। ওটা করা যাবে না। তাহলে কি ইসলামে বিনোদন বলে কিছু নেই? হ্যাঁ, আছে। বিনোদনের শত শত মাধ্যম। কিছু ভালো । কিছু খারাপ । খারাপটা থেকে যদি ভালোটা আলাদা করতে না পারি, তাহলে নিছক আনন্দও হয়ে উঠবে শোচনীয় পরিণতির কারণ । কাজেই, সাবধান হওয়া জরুরি। বন্যার পানির মতো বিনোদনের হাজারো উপকরণ আসছে। জায়গা করে নিচ্ছে হাতের মুঠোয়। পানি জীবন ধারণের জন্য অপরিহার্য। কিন্তু সেই পানি যদি বিশুদ্ধ না হয়, ফুটানো না হয়, তাহলে সেটাই হয়ে উঠতে পারে জীবনঘাতী ।
এই বইতে আমরা আপনাকে একটা ফিল্টার দেবো। এই ফিল্টারে করে আপনি নিজেই ভালো আর খারাপ বিনোদনের উপকরণগুলো আলাদা করতে পারবেন। আনন্দের পরিশুদ্ধ মাধ্যমগুলো নিয়ে মেতে উঠুন হালাল বিনোদনে...
বিনোদনের ব্যাপারে ইসলামের সঠিক দৃষ্টিভঙ্গি হচ্ছে, প্রকৃতিগতভাবেই মানুষের জীবনে বিনোদন প্রয়োজন। সেই প্রয়োজনীয়তা পূরণ করা সম্ভব আল্লাহ তায়ালার নির্ধারিত সীমারেখা মেনেই। কিন্তু তাই বলে বিনোদনই কোনো মুসলিমের জীবনের একমাত্র লক্ষ্য বা উদ্দেশ্য হতে পারে না। এখান থেকে আমরা বুঝতে পারছি- বিনোদনের ব্যাপারে পশ্চিমা ও ইসলামি দৃষ্টিভঙ্গির পার্থক্যটা কোথায়। প্রথমত, বিনোদন মুসলিমদের জীবনের উদ্দেশ্য নয়। বরং এটা আল্লাহ তায়ালার একটা অনুগ্রহ। দ্বিতীয়ত, বিনোদনের ব্যাপারে আল্লাহ কিছু সীমানা নির্ধারণ করে দিয়েছেন, যেটা আমাদের মেনে চলতে হবে।
গড়পড়তা পশ্চিমা জনসাধারণ আর প্রাক্টিসিং মুসলিমের মধ্যে পার্থক্য সুস্পষ্ট: দুজনই বিনোদনে অংশ নিচ্ছেন, কিন্তু আল্লাহর নির্ধারিত সীমারেখার মধ্যে থাকায় একজন প্র্যাক্টিসিং মুসলিম সওয়াবের অংশীদার হচ্ছেন; অন্যদিকে, আল্লাহকে ভুলে গিয়ে বিনোদনের ব্যাপারে সীমালঙ্ঘন করে একজন পশ্চিমা ব্যক্তি আল্লাহ তায়ালার ক্রোধের পাত্র হচ্ছেন। বিনোদনের ব্যাপারে যেসব মুসলিম পশ্চিমা ভাবধারার অনুসারী, তাদের বেলায়ও একই কথা প্রযোজ্য। দৃষ্টিভঙ্গির পার্থক্যটা অনেক বিশাল। কেননা, এর সাথে মানুষের অস্তিত্বের বিষয়টি জড়িত। বিনোদনের বৈধতা প্রমাণে আমি এখন কিছু সাধারণ প্রমাণ উল্লেখ করছি। অজ্ঞতাবশত যারা বিনোদনের প্রায় সব মাধ্যমকেই হারাম বলে ঘোষণা করেছেন, এই প্রমাণগুলো তাদেরকে ভাবনার খোরাক দেবে বিনোদনের ব্যাপারে। বিনোদনের সকল মাধ্যমকে হারাম ঘোষণার মাধ্যমে তারা ইসলামকে যেমন নিজেদের জন্য কঠিন বানিয়ে ফেলেছেন, তেমনি কঠিন বানিয়ে ফেলেছেন। অন্যান্যদের জন্যও।
বিজ্ঞ আলিমগণ এ ব্যাপারে একমত যে, সাধারণ মূলনীতি হচ্ছে হারাম প্রমাণিত হওয়া না পর্যন্ত সবকিছুই অনুমোদিত। এজন্য বিনোদনকে হারাম প্রমাণের দায়িত্ব আসলে তাদের ওপরই বর্তায় যারা একে হারাম বলেন।