দাঈদের জ্ঞানচর্চা
একজন দাঈর সবচেয়ে গুরুত্বের দিক হলো তার জ্ঞানচর্চা।কেননা পৃথিবীর বুকে খিলাফাতের দায়িত্ব গ্রহণের সর্বপ্রথম মাপকাঠি হচ্ছে জ্ঞানবান হওয়া।একজন দাঈ হচ্ছেন শিক্ষকের দৃষ্টান্তের মত- যিনি কিনা আত্নাকে জাগিয়ে তুলেন।নিজস্ব স্বকীয়তা অস্তিত্বকে চিনতে ও বুঝতে শিখান। মানবজীবনের চিরন্তন লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য পরিষ্কার করেন।একজন প্রকৃত দাঈ যে কয়েকটি ক্ষেত্রে বিচরণ করা অতীব প্রয়োজন। লেখক তা তুলে এনেছেন যুগের চাহিদা আলোকে.. ১. ইসলামবিষয়ক জ্ঞান ইসলামবিষয়ক জ্ঞান বলতে কুরআন, সুন্নাহ, ফিকহ, আকিদা, তাসাউফ, নিজাম ইত্যাদি বিষয়ক জ্ঞান। ইসলামের মৌলিক নীতিমালা বৈশিষ্ট্য ব্যাপকতা মেছাল ব্যাখ্যার ক্ষেত্রে সতর্কতা রাসুলের অনুসৃত জীবনপদ্ধতি বিষয়ভিত্তিক কুরআন হাদিস তুলনামূলক ফিকহের জ্ঞান হুকুম আহকাম সম্পর্কিত স্বচ্ছ ধারণা অগ্রাধিকার নীতি প্রাধান্য মানহাজ গত গোড়ামি থেকে মুক্ত মধ্যমপন্থা অবলম্বন মৌলিক নীতিমালাকে আধুনিকায়নে অতিরঞ্জিত না করা সর্বোপরি ইসলামের সামগ্রিক বিষয়ে বিশুদ্ধতম ও পরিপূর্ণ মৌলিক জ্ঞান রাখা।২. ইতিহাসবিষয়ক জ্ঞান ইতিহাসের আদর্শিক বুদ্ধিবৃত্তিক চিন্তাগত নানা প্রেক্ষাপট ও ভিন্নতা উপলব্ধি করা।ইতিহাস শিক্ষাকে দাওয়াতের আবেদনের মাধ্যমে মানুষের কাছে জীবন্ত হিসেবে তুলে ধরা যে - কেনইবা সেলজুক তাতার রোম পারস্যর মত পৃথিবী কাঁপানো সভ্যতাগুলো ইসলামের পদতলে এসে ছায়া খুঁজে নিয়েছে। কিভাবে একটি দূর্বল অবস্থা থেকেও শক্তিধর জাতিতে পরিণত হয়েছে কিভাবেই বা মোকাবেলা করেছে জাতীর অভ্যন্তরীণ ও বৈশ্বিক পরিস্থিতিকে।তবে ইতিহাসে ক্ষেত্রে সতর্কতার প্রয়োজন - হাদিস শাস্ত্রে ইমামরা যেভাবে সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম বিষয় নির্ণয়ের হাদিসের অকাট্যতা বজায় রেখেছেন। ইতিহাস কিন্তু ঐইভাবে রক্ষিত হয়নি বর্ণনাকারীকে নিয়ে তেমন বাছবিচার করা হয়নি। যার কারণেই ওরিয়েন্টালিস্টরা তাদের মত করে ইতিহাস রচনা করে আমাদের ইতিহাসকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে অনেক ক্ষেত্রে তারা সফলও হয়েছে বলা যায়।৩. ভাষা ও সাহিত্যের জ্ঞান একজন দাঈ যদি কথাবার্তায় প্রাঞ্জলতা উপমা ব্যাকরণগত শুদ্ধতা পাণ্ডিত্যপূর্ণ কথামালা সুন্দর শব্দচয়ন রেফারেন্স ইত্যাদি আনতে পারেন তাহলে নিঃসন্দেহে দাওয়াতের ফলপ্রসূতা বাড়বে এবং শ্রোতা মনে আলাদা রেখাপাত করতে সক্ষম হবে।৪. মানববিষয়ক জ্ঞান এক্ষেত্রে সাইকোলজি সোশিয়ালজি ইকোনমিক্স ফালাসফি এথিকস ইত্যাদি বিষয়ে মৌলিক বিষয় জানা দরকার।কেননা দাঈদের অন্যতম একটি মানহাজ হচ্ছে - তাঁরা মানুষের চিন্তা ও মানসিকতা বুঝেই দাওয়াতি কাজ করেন।আর ধর্মই মনোবিজ্ঞানের সবচেয়ে প্রভাবশালী বিষয়।ইসলামে সাথে যৌক্তিকতা নিরূপন এবং অযৌক্তিকতা খন্ডন। পাশ্চাত্যের বস্তাপঁচা মতবাদগুলোর ভয়াবহতা তুলে ধরা।সর্বোপরি সঠিক আকল ও বিশুদ্ধ নাকলের মাধ্যমে বিশুদ্ধ আকিদা চর্চা করা।কেননা এই দুটিই মানুষকে অভিন্ন মতে সঠিক পথে নিয়ে যায়।৫. বিজ্ঞানবিষয়ক জ্ঞান আধুনিক বিজ্ঞানের উপর রচিত সহজ সাবলীল গ্রন্থসমূহ অধ্যয়নের মাধ্যমে মৌলিক ধারণা নেওয়া (বিজ্ঞানের ছাত্র হলে ভিন্ন কথা)। সময়ের উৎকর্ষতায় বিজ্ঞানের বিষয়গুলো দিনকেদিন ওহীর জ্ঞানের সাথে মিলে যাচ্ছে।বিজ্ঞানের বিষয়গুলো ইসলামের আলোকে প্রাসঙ্গিক ও বাস্তবসম্মত হিসেবে উপস্থাপন করা যাবতীয় সন্দেহ সংশয় খন্ডন করা।ইসলামী নিষিদ্ধ বিষয়গুলোকে ইসলামের আয়নায় মেডিকেল সাইন্সের মাধ্যমে কুফলতা তুলে ধরা।সর্বোপরি ইসলামের আহ্বানকে বিজ্ঞানের সাথে সম্পৃক্ত করে উপস্থাপন। তবে অতিরঞ্জিত করা কখনো কাম্য না।৬. সমসাময়িক বিষয়ে জ্ঞান শাস্ত্রগত জ্ঞানের পাশাপাশি দাঈকে অবশ্যই তাঁর পারিশার্শ্বিক অবস্থাকে জানতে হবে। হুটহাট কোন সিদ্ধান্ত না নিয়ে তাঁদের মনস্তাত্ত্বিক চিন্তাধারা এবং পরিবেশে আলোকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।কোন বিষয় আগে কোনটা পরে এক্ষেত্রে বিচক্ষণতা পরিচয় দিতে হবে। অন্যান্য ধর্ম মতবাদ ইসলামী সংস্থা সংগঠনগুলো নিয়ে যথাযথ ধারণা রাখতে হবে।সর্বশেষ বলা যায় একজন দাঈ হচ্ছে মৌমাছির মত নানাপ্রকার ফলমূল থেকে খাদ্য আহরণ করে হজম প্রক্রিয়া নির্ধারিত পন্থায় বিভিন্ন রঙের পানীয় উৎপন্ন করে। আর এতে রয়েছে মানবকুলের জন্য প্রতিষেধক ও চিন্তাশীলদের চিন্তার খোরাক। একজন মুসলিম হিসেবে আমরা দাঈ। এখন কথা এই কাজে আমরা আজও দাঈর ভূমিকা পালন করছি তো...বইটা পড়া অবশ্যই উচিত আমার আপনার আমাদের...দাঈদের জ্ঞানচর্চার পথরেখা বাতলে দেওয়া হয়েছে এই গ্রন্থে..
An Najahah Shop
Category List
All products

একজন দাঈর সবচেয়ে গুরুত্বের দিক হলো তার জ্ঞানচর্চা।কেননা পৃথিবীর বুকে খিলাফাতের দায়িত্ব গ্রহণের সর্বপ্রথম মাপকাঠি হচ্ছে জ্ঞানবান হওয়া।
একজন দাঈ হচ্ছেন শিক্ষকের দৃষ্টান্তের মত- যিনি কিনা আত্নাকে জাগিয়ে তুলেন।নিজস্ব স্বকীয়তা অস্তিত্বকে চিনতে ও বুঝতে শিখান। মানবজীবনের চিরন্তন লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য পরিষ্কার করেন।
একজন প্রকৃত দাঈ যে কয়েকটি ক্ষেত্রে বিচরণ করা অতীব প্রয়োজন। লেখক তা তুলে এনেছেন যুগের চাহিদা আলোকে..
১. ইসলামবিষয়ক জ্ঞান
ইসলামবিষয়ক জ্ঞান বলতে কুরআন, সুন্নাহ, ফিকহ, আকিদা, তাসাউফ, নিজাম ইত্যাদি বিষয়ক জ্ঞান। ইসলামের মৌলিক নীতিমালা বৈশিষ্ট্য ব্যাপকতা মেছাল ব্যাখ্যার ক্ষেত্রে সতর্কতা রাসুলের অনুসৃত জীবনপদ্ধতি বিষয়ভিত্তিক কুরআন হাদিস তুলনামূলক ফিকহের জ্ঞান হুকুম আহকাম সম্পর্কিত স্বচ্ছ ধারণা অগ্রাধিকার নীতি প্রাধান্য মানহাজ গত গোড়ামি থেকে মুক্ত মধ্যমপন্থা অবলম্বন মৌলিক নীতিমালাকে আধুনিকায়নে অতিরঞ্জিত না করা সর্বোপরি ইসলামের সামগ্রিক বিষয়ে বিশুদ্ধতম ও পরিপূর্ণ মৌলিক জ্ঞান রাখা।
২. ইতিহাসবিষয়ক জ্ঞান
ইতিহাসের আদর্শিক বুদ্ধিবৃত্তিক চিন্তাগত নানা প্রেক্ষাপট ও ভিন্নতা উপলব্ধি করা।ইতিহাস শিক্ষাকে দাওয়াতের আবেদনের মাধ্যমে মানুষের কাছে জীবন্ত হিসেবে তুলে ধরা যে - কেনইবা সেলজুক তাতার রোম পারস্যর মত পৃথিবী কাঁপানো সভ্যতাগুলো ইসলামের পদতলে এসে ছায়া খুঁজে নিয়েছে। কিভাবে একটি দূর্বল অবস্থা থেকেও শক্তিধর জাতিতে পরিণত হয়েছে কিভাবেই বা মোকাবেলা করেছে জাতীর অভ্যন্তরীণ ও বৈশ্বিক পরিস্থিতিকে।
তবে ইতিহাসে ক্ষেত্রে সতর্কতার প্রয়োজন - হাদিস শাস্ত্রে ইমামরা যেভাবে সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম বিষয় নির্ণয়ের হাদিসের অকাট্যতা বজায় রেখেছেন। ইতিহাস কিন্তু ঐইভাবে রক্ষিত হয়নি বর্ণনাকারীকে নিয়ে তেমন বাছবিচার করা হয়নি। যার কারণেই ওরিয়েন্টালিস্টরা তাদের মত করে ইতিহাস রচনা করে আমাদের ইতিহাসকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে অনেক ক্ষেত্রে তারা সফলও হয়েছে বলা যায়।
৩. ভাষা ও সাহিত্যের জ্ঞান
একজন দাঈ যদি কথাবার্তায় প্রাঞ্জলতা উপমা ব্যাকরণগত শুদ্ধতা পাণ্ডিত্যপূর্ণ কথামালা সুন্দর শব্দচয়ন রেফারেন্স ইত্যাদি আনতে পারেন তাহলে নিঃসন্দেহে দাওয়াতের ফলপ্রসূতা বাড়বে এবং শ্রোতা মনে আলাদা রেখাপাত করতে সক্ষম হবে।
৪. মানববিষয়ক জ্ঞান
এক্ষেত্রে সাইকোলজি সোশিয়ালজি ইকোনমিক্স ফালাসফি এথিকস ইত্যাদি বিষয়ে মৌলিক বিষয় জানা দরকার।কেননা দাঈদের অন্যতম একটি মানহাজ হচ্ছে - তাঁরা মানুষের চিন্তা ও মানসিকতা বুঝেই দাওয়াতি কাজ করেন।আর ধর্মই মনোবিজ্ঞানের সবচেয়ে প্রভাবশালী বিষয়।ইসলামে সাথে যৌক্তিকতা নিরূপন এবং অযৌক্তিকতা খন্ডন। পাশ্চাত্যের বস্তাপঁচা মতবাদগুলোর ভয়াবহতা তুলে ধরা।
সর্বোপরি সঠিক আকল ও বিশুদ্ধ নাকলের মাধ্যমে বিশুদ্ধ আকিদা চর্চা করা।কেননা এই দুটিই মানুষকে অভিন্ন মতে সঠিক পথে নিয়ে যায়।
৫. বিজ্ঞানবিষয়ক জ্ঞান
আধুনিক বিজ্ঞানের উপর রচিত সহজ সাবলীল গ্রন্থসমূহ অধ্যয়নের মাধ্যমে মৌলিক ধারণা নেওয়া (বিজ্ঞানের ছাত্র হলে ভিন্ন কথা)। সময়ের উৎকর্ষতায় বিজ্ঞানের বিষয়গুলো দিনকেদিন ওহীর জ্ঞানের সাথে মিলে যাচ্ছে।বিজ্ঞানের বিষয়গুলো ইসলামের আলোকে প্রাসঙ্গিক ও বাস্তবসম্মত হিসেবে উপস্থাপন করা যাবতীয় সন্দেহ সংশয় খন্ডন করা।ইসলামী নিষিদ্ধ বিষয়গুলোকে ইসলামের আয়নায় মেডিকেল সাইন্সের মাধ্যমে কুফলতা তুলে ধরা।সর্বোপরি ইসলামের আহ্বানকে বিজ্ঞানের সাথে সম্পৃক্ত করে উপস্থাপন। তবে অতিরঞ্জিত করা কখনো কাম্য না।
৬. সমসাময়িক বিষয়ে জ্ঞান
শাস্ত্রগত জ্ঞানের পাশাপাশি দাঈকে অবশ্যই তাঁর পারিশার্শ্বিক অবস্থাকে জানতে হবে। হুটহাট কোন সিদ্ধান্ত না নিয়ে তাঁদের মনস্তাত্ত্বিক চিন্তাধারা এবং পরিবেশে আলোকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।কোন বিষয় আগে কোনটা পরে এক্ষেত্রে বিচক্ষণতা পরিচয় দিতে হবে। অন্যান্য ধর্ম মতবাদ ইসলামী সংস্থা সংগঠনগুলো নিয়ে যথাযথ ধারণা রাখতে হবে।
সর্বশেষ বলা যায় একজন দাঈ হচ্ছে মৌমাছির মত নানাপ্রকার ফলমূল থেকে খাদ্য আহরণ করে হজম প্রক্রিয়া নির্ধারিত পন্থায় বিভিন্ন রঙের পানীয় উৎপন্ন করে। আর এতে রয়েছে মানবকুলের জন্য প্রতিষেধক ও চিন্তাশীলদের চিন্তার খোরাক।
একজন মুসলিম হিসেবে আমরা দাঈ। এখন কথা এই কাজে আমরা আজও দাঈর ভূমিকা পালন করছি তো...
বইটা পড়া অবশ্যই উচিত আমার আপনার আমাদের...
দাঈদের জ্ঞানচর্চার পথরেখা বাতলে দেওয়া হয়েছে এই গ্রন্থে..
একজন দাঈ হচ্ছেন শিক্ষকের দৃষ্টান্তের মত- যিনি কিনা আত্নাকে জাগিয়ে তুলেন।নিজস্ব স্বকীয়তা অস্তিত্বকে চিনতে ও বুঝতে শিখান। মানবজীবনের চিরন্তন লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য পরিষ্কার করেন।
একজন প্রকৃত দাঈ যে কয়েকটি ক্ষেত্রে বিচরণ করা অতীব প্রয়োজন। লেখক তা তুলে এনেছেন যুগের চাহিদা আলোকে..
১. ইসলামবিষয়ক জ্ঞান
ইসলামবিষয়ক জ্ঞান বলতে কুরআন, সুন্নাহ, ফিকহ, আকিদা, তাসাউফ, নিজাম ইত্যাদি বিষয়ক জ্ঞান। ইসলামের মৌলিক নীতিমালা বৈশিষ্ট্য ব্যাপকতা মেছাল ব্যাখ্যার ক্ষেত্রে সতর্কতা রাসুলের অনুসৃত জীবনপদ্ধতি বিষয়ভিত্তিক কুরআন হাদিস তুলনামূলক ফিকহের জ্ঞান হুকুম আহকাম সম্পর্কিত স্বচ্ছ ধারণা অগ্রাধিকার নীতি প্রাধান্য মানহাজ গত গোড়ামি থেকে মুক্ত মধ্যমপন্থা অবলম্বন মৌলিক নীতিমালাকে আধুনিকায়নে অতিরঞ্জিত না করা সর্বোপরি ইসলামের সামগ্রিক বিষয়ে বিশুদ্ধতম ও পরিপূর্ণ মৌলিক জ্ঞান রাখা।
২. ইতিহাসবিষয়ক জ্ঞান
ইতিহাসের আদর্শিক বুদ্ধিবৃত্তিক চিন্তাগত নানা প্রেক্ষাপট ও ভিন্নতা উপলব্ধি করা।ইতিহাস শিক্ষাকে দাওয়াতের আবেদনের মাধ্যমে মানুষের কাছে জীবন্ত হিসেবে তুলে ধরা যে - কেনইবা সেলজুক তাতার রোম পারস্যর মত পৃথিবী কাঁপানো সভ্যতাগুলো ইসলামের পদতলে এসে ছায়া খুঁজে নিয়েছে। কিভাবে একটি দূর্বল অবস্থা থেকেও শক্তিধর জাতিতে পরিণত হয়েছে কিভাবেই বা মোকাবেলা করেছে জাতীর অভ্যন্তরীণ ও বৈশ্বিক পরিস্থিতিকে।
তবে ইতিহাসে ক্ষেত্রে সতর্কতার প্রয়োজন - হাদিস শাস্ত্রে ইমামরা যেভাবে সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম বিষয় নির্ণয়ের হাদিসের অকাট্যতা বজায় রেখেছেন। ইতিহাস কিন্তু ঐইভাবে রক্ষিত হয়নি বর্ণনাকারীকে নিয়ে তেমন বাছবিচার করা হয়নি। যার কারণেই ওরিয়েন্টালিস্টরা তাদের মত করে ইতিহাস রচনা করে আমাদের ইতিহাসকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে অনেক ক্ষেত্রে তারা সফলও হয়েছে বলা যায়।
৩. ভাষা ও সাহিত্যের জ্ঞান
একজন দাঈ যদি কথাবার্তায় প্রাঞ্জলতা উপমা ব্যাকরণগত শুদ্ধতা পাণ্ডিত্যপূর্ণ কথামালা সুন্দর শব্দচয়ন রেফারেন্স ইত্যাদি আনতে পারেন তাহলে নিঃসন্দেহে দাওয়াতের ফলপ্রসূতা বাড়বে এবং শ্রোতা মনে আলাদা রেখাপাত করতে সক্ষম হবে।
৪. মানববিষয়ক জ্ঞান
এক্ষেত্রে সাইকোলজি সোশিয়ালজি ইকোনমিক্স ফালাসফি এথিকস ইত্যাদি বিষয়ে মৌলিক বিষয় জানা দরকার।কেননা দাঈদের অন্যতম একটি মানহাজ হচ্ছে - তাঁরা মানুষের চিন্তা ও মানসিকতা বুঝেই দাওয়াতি কাজ করেন।আর ধর্মই মনোবিজ্ঞানের সবচেয়ে প্রভাবশালী বিষয়।ইসলামে সাথে যৌক্তিকতা নিরূপন এবং অযৌক্তিকতা খন্ডন। পাশ্চাত্যের বস্তাপঁচা মতবাদগুলোর ভয়াবহতা তুলে ধরা।
সর্বোপরি সঠিক আকল ও বিশুদ্ধ নাকলের মাধ্যমে বিশুদ্ধ আকিদা চর্চা করা।কেননা এই দুটিই মানুষকে অভিন্ন মতে সঠিক পথে নিয়ে যায়।
৫. বিজ্ঞানবিষয়ক জ্ঞান
আধুনিক বিজ্ঞানের উপর রচিত সহজ সাবলীল গ্রন্থসমূহ অধ্যয়নের মাধ্যমে মৌলিক ধারণা নেওয়া (বিজ্ঞানের ছাত্র হলে ভিন্ন কথা)। সময়ের উৎকর্ষতায় বিজ্ঞানের বিষয়গুলো দিনকেদিন ওহীর জ্ঞানের সাথে মিলে যাচ্ছে।বিজ্ঞানের বিষয়গুলো ইসলামের আলোকে প্রাসঙ্গিক ও বাস্তবসম্মত হিসেবে উপস্থাপন করা যাবতীয় সন্দেহ সংশয় খন্ডন করা।ইসলামী নিষিদ্ধ বিষয়গুলোকে ইসলামের আয়নায় মেডিকেল সাইন্সের মাধ্যমে কুফলতা তুলে ধরা।সর্বোপরি ইসলামের আহ্বানকে বিজ্ঞানের সাথে সম্পৃক্ত করে উপস্থাপন। তবে অতিরঞ্জিত করা কখনো কাম্য না।
৬. সমসাময়িক বিষয়ে জ্ঞান
শাস্ত্রগত জ্ঞানের পাশাপাশি দাঈকে অবশ্যই তাঁর পারিশার্শ্বিক অবস্থাকে জানতে হবে। হুটহাট কোন সিদ্ধান্ত না নিয়ে তাঁদের মনস্তাত্ত্বিক চিন্তাধারা এবং পরিবেশে আলোকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।কোন বিষয় আগে কোনটা পরে এক্ষেত্রে বিচক্ষণতা পরিচয় দিতে হবে। অন্যান্য ধর্ম মতবাদ ইসলামী সংস্থা সংগঠনগুলো নিয়ে যথাযথ ধারণা রাখতে হবে।
সর্বশেষ বলা যায় একজন দাঈ হচ্ছে মৌমাছির মত নানাপ্রকার ফলমূল থেকে খাদ্য আহরণ করে হজম প্রক্রিয়া নির্ধারিত পন্থায় বিভিন্ন রঙের পানীয় উৎপন্ন করে। আর এতে রয়েছে মানবকুলের জন্য প্রতিষেধক ও চিন্তাশীলদের চিন্তার খোরাক।
একজন মুসলিম হিসেবে আমরা দাঈ। এখন কথা এই কাজে আমরা আজও দাঈর ভূমিকা পালন করছি তো...
বইটা পড়া অবশ্যই উচিত আমার আপনার আমাদের...
দাঈদের জ্ঞানচর্চার পথরেখা বাতলে দেওয়া হয়েছে এই গ্রন্থে..
দাঈদের জ্ঞানচর্চা
300 BDT
1
একজন দাঈর সবচেয়ে গুরুত্বের দিক হলো তার জ্ঞানচর্চা।কেননা পৃথিবীর বুকে খিলাফাতের দায়িত্ব গ্রহণের সর্বপ্রথম মাপকাঠি হচ্ছে জ্ঞানবান হওয়া।
একজন দাঈ হচ্ছেন শিক্ষকের দৃষ্টান্তের মত- যিনি কিনা আত্নাকে জাগিয়ে তুলেন।নিজস্ব স্বকীয়তা অস্তিত্বকে চিনতে ও বুঝতে শিখান। মানবজীবনের চিরন্তন লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য পরিষ্কার করেন।
একজন প্রকৃত দাঈ যে কয়েকটি ক্ষেত্রে বিচরণ করা অতীব প্রয়োজন। লেখক তা তুলে এনেছেন যুগের চাহিদা আলোকে..
১. ইসলামবিষয়ক জ্ঞান
ইসলামবিষয়ক জ্ঞান বলতে কুরআন, সুন্নাহ, ফিকহ, আকিদা, তাসাউফ, নিজাম ইত্যাদি বিষয়ক জ্ঞান। ইসলামের মৌলিক নীতিমালা বৈশিষ্ট্য ব্যাপকতা মেছাল ব্যাখ্যার ক্ষেত্রে সতর্কতা রাসুলের অনুসৃত জীবনপদ্ধতি বিষয়ভিত্তিক কুরআন হাদিস তুলনামূলক ফিকহের জ্ঞান হুকুম আহকাম সম্পর্কিত স্বচ্ছ ধারণা অগ্রাধিকার নীতি প্রাধান্য মানহাজ গত গোড়ামি থেকে মুক্ত মধ্যমপন্থা অবলম্বন মৌলিক নীতিমালাকে আধুনিকায়নে অতিরঞ্জিত না করা সর্বোপরি ইসলামের সামগ্রিক বিষয়ে বিশুদ্ধতম ও পরিপূর্ণ মৌলিক জ্ঞান রাখা।
২. ইতিহাসবিষয়ক জ্ঞান
ইতিহাসের আদর্শিক বুদ্ধিবৃত্তিক চিন্তাগত নানা প্রেক্ষাপট ও ভিন্নতা উপলব্ধি করা।ইতিহাস শিক্ষাকে দাওয়াতের আবেদনের মাধ্যমে মানুষের কাছে জীবন্ত হিসেবে তুলে ধরা যে - কেনইবা সেলজুক তাতার রোম পারস্যর মত পৃথিবী কাঁপানো সভ্যতাগুলো ইসলামের পদতলে এসে ছায়া খুঁজে নিয়েছে। কিভাবে একটি দূর্বল অবস্থা থেকেও শক্তিধর জাতিতে পরিণত হয়েছে কিভাবেই বা মোকাবেলা করেছে জাতীর অভ্যন্তরীণ ও বৈশ্বিক পরিস্থিতিকে।
তবে ইতিহাসে ক্ষেত্রে সতর্কতার প্রয়োজন - হাদিস শাস্ত্রে ইমামরা যেভাবে সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম বিষয় নির্ণয়ের হাদিসের অকাট্যতা বজায় রেখেছেন। ইতিহাস কিন্তু ঐইভাবে রক্ষিত হয়নি বর্ণনাকারীকে নিয়ে তেমন বাছবিচার করা হয়নি। যার কারণেই ওরিয়েন্টালিস্টরা তাদের মত করে ইতিহাস রচনা করে আমাদের ইতিহাসকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে অনেক ক্ষেত্রে তারা সফলও হয়েছে বলা যায়।
৩. ভাষা ও সাহিত্যের জ্ঞান
একজন দাঈ যদি কথাবার্তায় প্রাঞ্জলতা উপমা ব্যাকরণগত শুদ্ধতা পাণ্ডিত্যপূর্ণ কথামালা সুন্দর শব্দচয়ন রেফারেন্স ইত্যাদি আনতে পারেন তাহলে নিঃসন্দেহে দাওয়াতের ফলপ্রসূতা বাড়বে এবং শ্রোতা মনে আলাদা রেখাপাত করতে সক্ষম হবে।
৪. মানববিষয়ক জ্ঞান
এক্ষেত্রে সাইকোলজি সোশিয়ালজি ইকোনমিক্স ফালাসফি এথিকস ইত্যাদি বিষয়ে মৌলিক বিষয় জানা দরকার।কেননা দাঈদের অন্যতম একটি মানহাজ হচ্ছে - তাঁরা মানুষের চিন্তা ও মানসিকতা বুঝেই দাওয়াতি কাজ করেন।আর ধর্মই মনোবিজ্ঞানের সবচেয়ে প্রভাবশালী বিষয়।ইসলামে সাথে যৌক্তিকতা নিরূপন এবং অযৌক্তিকতা খন্ডন। পাশ্চাত্যের বস্তাপঁচা মতবাদগুলোর ভয়াবহতা তুলে ধরা।
সর্বোপরি সঠিক আকল ও বিশুদ্ধ নাকলের মাধ্যমে বিশুদ্ধ আকিদা চর্চা করা।কেননা এই দুটিই মানুষকে অভিন্ন মতে সঠিক পথে নিয়ে যায়।
৫. বিজ্ঞানবিষয়ক জ্ঞান
আধুনিক বিজ্ঞানের উপর রচিত সহজ সাবলীল গ্রন্থসমূহ অধ্যয়নের মাধ্যমে মৌলিক ধারণা নেওয়া (বিজ্ঞানের ছাত্র হলে ভিন্ন কথা)। সময়ের উৎকর্ষতায় বিজ্ঞানের বিষয়গুলো দিনকেদিন ওহীর জ্ঞানের সাথে মিলে যাচ্ছে।বিজ্ঞানের বিষয়গুলো ইসলামের আলোকে প্রাসঙ্গিক ও বাস্তবসম্মত হিসেবে উপস্থাপন করা যাবতীয় সন্দেহ সংশয় খন্ডন করা।ইসলামী নিষিদ্ধ বিষয়গুলোকে ইসলামের আয়নায় মেডিকেল সাইন্সের মাধ্যমে কুফলতা তুলে ধরা।সর্বোপরি ইসলামের আহ্বানকে বিজ্ঞানের সাথে সম্পৃক্ত করে উপস্থাপন। তবে অতিরঞ্জিত করা কখনো কাম্য না।
৬. সমসাময়িক বিষয়ে জ্ঞান
শাস্ত্রগত জ্ঞানের পাশাপাশি দাঈকে অবশ্যই তাঁর পারিশার্শ্বিক অবস্থাকে জানতে হবে। হুটহাট কোন সিদ্ধান্ত না নিয়ে তাঁদের মনস্তাত্ত্বিক চিন্তাধারা এবং পরিবেশে আলোকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।কোন বিষয় আগে কোনটা পরে এক্ষেত্রে বিচক্ষণতা পরিচয় দিতে হবে। অন্যান্য ধর্ম মতবাদ ইসলামী সংস্থা সংগঠনগুলো নিয়ে যথাযথ ধারণা রাখতে হবে।
সর্বশেষ বলা যায় একজন দাঈ হচ্ছে মৌমাছির মত নানাপ্রকার ফলমূল থেকে খাদ্য আহরণ করে হজম প্রক্রিয়া নির্ধারিত পন্থায় বিভিন্ন রঙের পানীয় উৎপন্ন করে। আর এতে রয়েছে মানবকুলের জন্য প্রতিষেধক ও চিন্তাশীলদের চিন্তার খোরাক।
একজন মুসলিম হিসেবে আমরা দাঈ। এখন কথা এই কাজে আমরা আজও দাঈর ভূমিকা পালন করছি তো...
বইটা পড়া অবশ্যই উচিত আমার আপনার আমাদের...
দাঈদের জ্ঞানচর্চার পথরেখা বাতলে দেওয়া হয়েছে এই গ্রন্থে..
একজন দাঈ হচ্ছেন শিক্ষকের দৃষ্টান্তের মত- যিনি কিনা আত্নাকে জাগিয়ে তুলেন।নিজস্ব স্বকীয়তা অস্তিত্বকে চিনতে ও বুঝতে শিখান। মানবজীবনের চিরন্তন লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য পরিষ্কার করেন।
একজন প্রকৃত দাঈ যে কয়েকটি ক্ষেত্রে বিচরণ করা অতীব প্রয়োজন। লেখক তা তুলে এনেছেন যুগের চাহিদা আলোকে..
১. ইসলামবিষয়ক জ্ঞান
ইসলামবিষয়ক জ্ঞান বলতে কুরআন, সুন্নাহ, ফিকহ, আকিদা, তাসাউফ, নিজাম ইত্যাদি বিষয়ক জ্ঞান। ইসলামের মৌলিক নীতিমালা বৈশিষ্ট্য ব্যাপকতা মেছাল ব্যাখ্যার ক্ষেত্রে সতর্কতা রাসুলের অনুসৃত জীবনপদ্ধতি বিষয়ভিত্তিক কুরআন হাদিস তুলনামূলক ফিকহের জ্ঞান হুকুম আহকাম সম্পর্কিত স্বচ্ছ ধারণা অগ্রাধিকার নীতি প্রাধান্য মানহাজ গত গোড়ামি থেকে মুক্ত মধ্যমপন্থা অবলম্বন মৌলিক নীতিমালাকে আধুনিকায়নে অতিরঞ্জিত না করা সর্বোপরি ইসলামের সামগ্রিক বিষয়ে বিশুদ্ধতম ও পরিপূর্ণ মৌলিক জ্ঞান রাখা।
২. ইতিহাসবিষয়ক জ্ঞান
ইতিহাসের আদর্শিক বুদ্ধিবৃত্তিক চিন্তাগত নানা প্রেক্ষাপট ও ভিন্নতা উপলব্ধি করা।ইতিহাস শিক্ষাকে দাওয়াতের আবেদনের মাধ্যমে মানুষের কাছে জীবন্ত হিসেবে তুলে ধরা যে - কেনইবা সেলজুক তাতার রোম পারস্যর মত পৃথিবী কাঁপানো সভ্যতাগুলো ইসলামের পদতলে এসে ছায়া খুঁজে নিয়েছে। কিভাবে একটি দূর্বল অবস্থা থেকেও শক্তিধর জাতিতে পরিণত হয়েছে কিভাবেই বা মোকাবেলা করেছে জাতীর অভ্যন্তরীণ ও বৈশ্বিক পরিস্থিতিকে।
তবে ইতিহাসে ক্ষেত্রে সতর্কতার প্রয়োজন - হাদিস শাস্ত্রে ইমামরা যেভাবে সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম বিষয় নির্ণয়ের হাদিসের অকাট্যতা বজায় রেখেছেন। ইতিহাস কিন্তু ঐইভাবে রক্ষিত হয়নি বর্ণনাকারীকে নিয়ে তেমন বাছবিচার করা হয়নি। যার কারণেই ওরিয়েন্টালিস্টরা তাদের মত করে ইতিহাস রচনা করে আমাদের ইতিহাসকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে অনেক ক্ষেত্রে তারা সফলও হয়েছে বলা যায়।
৩. ভাষা ও সাহিত্যের জ্ঞান
একজন দাঈ যদি কথাবার্তায় প্রাঞ্জলতা উপমা ব্যাকরণগত শুদ্ধতা পাণ্ডিত্যপূর্ণ কথামালা সুন্দর শব্দচয়ন রেফারেন্স ইত্যাদি আনতে পারেন তাহলে নিঃসন্দেহে দাওয়াতের ফলপ্রসূতা বাড়বে এবং শ্রোতা মনে আলাদা রেখাপাত করতে সক্ষম হবে।
৪. মানববিষয়ক জ্ঞান
এক্ষেত্রে সাইকোলজি সোশিয়ালজি ইকোনমিক্স ফালাসফি এথিকস ইত্যাদি বিষয়ে মৌলিক বিষয় জানা দরকার।কেননা দাঈদের অন্যতম একটি মানহাজ হচ্ছে - তাঁরা মানুষের চিন্তা ও মানসিকতা বুঝেই দাওয়াতি কাজ করেন।আর ধর্মই মনোবিজ্ঞানের সবচেয়ে প্রভাবশালী বিষয়।ইসলামে সাথে যৌক্তিকতা নিরূপন এবং অযৌক্তিকতা খন্ডন। পাশ্চাত্যের বস্তাপঁচা মতবাদগুলোর ভয়াবহতা তুলে ধরা।
সর্বোপরি সঠিক আকল ও বিশুদ্ধ নাকলের মাধ্যমে বিশুদ্ধ আকিদা চর্চা করা।কেননা এই দুটিই মানুষকে অভিন্ন মতে সঠিক পথে নিয়ে যায়।
৫. বিজ্ঞানবিষয়ক জ্ঞান
আধুনিক বিজ্ঞানের উপর রচিত সহজ সাবলীল গ্রন্থসমূহ অধ্যয়নের মাধ্যমে মৌলিক ধারণা নেওয়া (বিজ্ঞানের ছাত্র হলে ভিন্ন কথা)। সময়ের উৎকর্ষতায় বিজ্ঞানের বিষয়গুলো দিনকেদিন ওহীর জ্ঞানের সাথে মিলে যাচ্ছে।বিজ্ঞানের বিষয়গুলো ইসলামের আলোকে প্রাসঙ্গিক ও বাস্তবসম্মত হিসেবে উপস্থাপন করা যাবতীয় সন্দেহ সংশয় খন্ডন করা।ইসলামী নিষিদ্ধ বিষয়গুলোকে ইসলামের আয়নায় মেডিকেল সাইন্সের মাধ্যমে কুফলতা তুলে ধরা।সর্বোপরি ইসলামের আহ্বানকে বিজ্ঞানের সাথে সম্পৃক্ত করে উপস্থাপন। তবে অতিরঞ্জিত করা কখনো কাম্য না।
৬. সমসাময়িক বিষয়ে জ্ঞান
শাস্ত্রগত জ্ঞানের পাশাপাশি দাঈকে অবশ্যই তাঁর পারিশার্শ্বিক অবস্থাকে জানতে হবে। হুটহাট কোন সিদ্ধান্ত না নিয়ে তাঁদের মনস্তাত্ত্বিক চিন্তাধারা এবং পরিবেশে আলোকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।কোন বিষয় আগে কোনটা পরে এক্ষেত্রে বিচক্ষণতা পরিচয় দিতে হবে। অন্যান্য ধর্ম মতবাদ ইসলামী সংস্থা সংগঠনগুলো নিয়ে যথাযথ ধারণা রাখতে হবে।
সর্বশেষ বলা যায় একজন দাঈ হচ্ছে মৌমাছির মত নানাপ্রকার ফলমূল থেকে খাদ্য আহরণ করে হজম প্রক্রিয়া নির্ধারিত পন্থায় বিভিন্ন রঙের পানীয় উৎপন্ন করে। আর এতে রয়েছে মানবকুলের জন্য প্রতিষেধক ও চিন্তাশীলদের চিন্তার খোরাক।
একজন মুসলিম হিসেবে আমরা দাঈ। এখন কথা এই কাজে আমরা আজও দাঈর ভূমিকা পালন করছি তো...
বইটা পড়া অবশ্যই উচিত আমার আপনার আমাদের...
দাঈদের জ্ঞানচর্চার পথরেখা বাতলে দেওয়া হয়েছে এই গ্রন্থে..