রাখাল( হার্ডকভার)
বইঃ রাখাললেখকঃ লতিফুল ইসলাম শিবলীপৃষ্ঠা সংখ্যাঃ ১২৬প্রকাশনঃ কেন্দ্রবিন্দু"রাখাল" নামটা শুনলেই যেনো মনে হতে পারে জমিতে চষে বেড়ানো কোনো এক বালকের গবাদি পশুর পাল আর প্রকৃতি নিয়েই হয়তো উপন্যাস সামনে এগিয়েছে কিন্তু লেখক অত্যন্ত নির্মাণশৈলী দেখিয়েছেন তার লেখায়,নামে রেখেছেন যাকে সে না উপন্যাসের প্রধান চরিত্র কিংবা তার নামে কেউ গল্পটা আন্দাজ করে নিবে।উপন্যাসটি ভারতীয় উপমহাদেশের অপসংস্কৃতি সতীদাহ প্রথা নিয়ে,কীভাবে এক মুসলিম যুবক এই গল্পে জড়িয়ে পরলো কিইবা এমন শক্তি ছিলো যা এক ঈমান দীপ্ত যুবককে জীবন নদীর আরও একটি নতুন বাঁকের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়,উপন্যাসটিতে কি নেই,শুরু করেন রামদেব ঘোষালের মহল থেকে আবার শেষটাও একই মহলে হয়েছে,মাঝে ঘটেছে নানান ঘটনা,হতাহত হয়েছে বিশ্বস্তজন,কেউবা পরাজয় বরণ করে নিয়েছে নিয়তির কাছে,মহল থেকে বের হয়ে মহলে ফিরে আসতে ক্ষমতার রদবদল হয়েছে,জমিদারের মালিকানা বদলে,আসল মালিক তার আসন বুঝে পেয়েছে।উপন্যাসের প্রধান চরিত্রগুলো বাসুদেব ঘোষাল,পূর্বা দেবী,মাধব চন্দ্র,অনিল ভট্ট, কুন্তি আর বিশ্বস্ত রাখাল,মাঝে ক্যামিও চরিত্রে দারুণ ছিলো বাহরাম, উপন্যাসটিতে যেমন ছিলো প্রাকৃতিক নৈসর্গিক বর্ণণা,তেমনি ছিলো প্রখর ধর্মীয় অনূভুতি, ছিলো ধর্মান্ধতা,ক্ষমতার লোভ,মালিকের প্রতি বিশ্বাস, এক বাবার রেখে যাওয়া শিক্ষা,অপসংস্কৃতি, কুসংস্কারের বিরুদ্ধে লড়াই,নিজের অস্তিত্বকে খুঁজে পাওয়ার আকুল আবেদন,ছিলো একরাশ হতাশা আর না পাওয়ার ব্যথা।পূর্বা দেবী যিনি মহলের বাহিরে কখনোও পা বাড়াননি,কি এমন হয়েছিলো যে শেষ পর্যন্ত তাকে পাহাড়ের চূড়ায় এক ঈগলের বাসায় আশ্রয় নিতে হয়েছিলো,সেখানে গিয়ে তিনি পৃথিবীর বুকেও স্বর্গসুখ অনুভব করেছিলেন,মহল ছেড়ে বন্য পশুদের সাথে তিনি নিজেকে বেশি নিরাপদ ভাবতে শুরু করলে,মানুষের মাঝেও যে পশুর বাস হয় তা তিনি উপলব্ধি করেছিলেন,ক্ষমতার দ্বন্দ্ব মানুষকে কোথায় নিয়ে যেতে পারে কিংবা এক মহান স্রষ্টার জন্য বাবার আদর্শকে বুকে ধারণ করে জীবন বাজি রেখে ওয়াদা পালনের যে অপরূপ বর্ণনা লেখক ফুটিয়ে তুলেছেন তা প্রশংসারই দাবিদার।সারা দেশে যখন দুটো দলে বিভক্ত হয়ে একে অপরকে ছোট বড় করে যুক্তির বুলি আওড়াতে থাকে তখনই মুক্তির জন্য মহল ছেড়ে পাড়ি জমাতে হয় গহীন জঙ্গলে,জঙ্গলে বেঁচে থাকার যে লড়াই সে লড়াই বাহ্যিক কোনো অস্ত্র সাহায্য করতে পারে না,টিকে থাকতে মস্তিষ্কের লড়াইয়ে,তেমনই এক রাখালের গল্প যে জীবনের প্রতিটি পদে পদে তার বাবার উপদেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করে জীবন কাটিয়ে দেয়।মাধব চন্দ্র যখন কুসংস্কারের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলে তখন আর তার ঘরে জায়গা হয়না,ইয়ং বেঙ্গল থেকে সরাসরি আশ্রয় গ্রহণ করে রামমোহন রায়ের কাছে,রামমোহন রায়ই বা কি এমন দেখেছিলেন প্রথম দেখাতেই তিনি বুঝে গিয়েছিলেন তার আন্দোলনের বিহিত হতে চলেছে,তার সাথে ছিলো ব্রিটিশ সরকার,কি ছিলো সেই আন্দোলনের বিষয় বস্তু যার রায় শেষ পর্যন্ত পূর্বা দেবীকে মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরিয়ে এনেছিলো।ধর্মের দোহাই দিয়ে বহুকাল ঘটে আসা অনাচারের ইতি ঘটে সে আন্দোলনে,ধর্মীয় গ্রন্থে যখন সমাধান মিলে না তখন মালিক কে খুশি করতে দেশাচারের নাম করে নতুন করে জন্ম দেয়ে কুসংস্কারের,কিন্তু ধর্ম মানুষকে আলাদা ভাবে ভাবতে শেখালেও প্রত্যেক ধর্মের একজনই মহামহিম সেটা বুঝতে ভুল করেনি রামমোহব রায়, মাধব চন্দ্র কিংবা পূর্বা দেবী,আর সে একেশ্বরই পূর্বাকে পাঠিয়েছিলো রাখালের কাছে যার আছে আল্লাহর প্রতি অগাধ বিশ্বাস, যেকোনো বিপদে দৃঢ় মনোবল আর আস্থাকুন্তি যেনো বিশ্বস্ততার এক অপূর্ব নিদর্শন, জীবনের বিনিময়েও সত্য গোপনে ছিলো অটল,কি ছিলো সেই সত্য যা কুন্তির জীবন পর্যন্ত ছিনিয়ে নিলো,মহলের প্রতিটা পুরুষের লোলুপ দৃষ্টি ছিলো কুন্তির উপর কিন্তু কেউ সাহস করতে পারেনি তার ক্ষতি করবে,তবুও তাকে জীবন হারাতে হয় এক সত্যের জন্য,যার জন্য সে জীবন দিতেও কুণ্ঠাবোধ করেনা,অনিল ভট্ট এক ব্রাক্ষ্ম পুরোহিত,নিজের কথার প্রতি নিজেরই বিশ্বাসই ছিলো ভঙ্গুর,তবুও তার বুলি আওড়াতে হতো,কেনো??যে রাখাল একাই সুখের রাজ্য তৈরী করে নিয়েছিলো,একাকিত্বই যার ছিলো নিত্যসঙ্গী, জঙ্গলকে যে নিজের আস্থা বানিয়ে নিয়েছিলো, সেখানেই তার নিজেকে সে খুঁজে পায়না,কি ঘটেছিলো জঙ্গলে??এমন সব প্রশ্নের মাঝেই এক এক করে প্লট তৈরী করেছেন লেখক লতিফুল ইসলাম শিবলী, সবটুকু উজাড় করেই লিখেছেন,শেষের দিকে লেখা কিছুটা দৃঢ় করেছেন পাঠকদের ধৈর্য্য পরীক্ষার জন্য,ধৈর্য্য নিয়ে পড়ে গেলেই মিলবে সমাধান,তৃপ্তি ঢেকুর তুলে অতৃপ্তি ছেয়ে যাবে সারা মনে।মনকাড়া কিছু উক্তি-★ শিকারি বাঘের সামনে নিজেকে তার চেয়েও বড় শিকারি হিসেবে না দেখাতে পারলে তুমি শেষ।আর কোনোভাবেই বাঘের চোখাচোখি পলকহীন তীব্র দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকা ছাড়া আর কোনো দিকে নজর দেবে না।★ মানুষ যেখানেই যাক না কেন,তার অজান্তেই সে তার পদচিহ্ন রেখে যায়,মৃত্যু পর্যন্ত মানুষ একটা গন্তব্যের দিকে ক্রমাগত হাঁটছে,এই যাত্রা তাকে তার কবর পর্যন্ত পৌঁছে দেয়।★ পাহাড় নিজের বিরাট রূপ দেখিয়ে বলে খবরদার আমাকে অতিক্রম করতে এসো না,তাই বেশির ভাগ মানুষই পাহাড় ডিঙাতে ভয় পায়,আ যে সাহসী মানুষেরা একবার পাহাড়কে ডিঙিয়ে ফেলে, তাদের কাছে পাহাড় হয়ে যায় হরিণ শাবক,যেমন হরিণ শাবক বাঘ দেখে ভয় পায়।★ এখানে আপনাকে টিকে থাকতে হলে নির্জনতা আর একাকিত্ব উপভোগ করতে শিখতে হবে,একাকিত্ব খুবই ভয়ংকর জিনিস,এটা কাউকে মেরে ফেলে আর কাউকে কাউকে মহা মানুষে পরিণত করে।★ পার্থিব ভালোবাসা তোমাকে স্বর্গের সুখ দিবে ঠিকই,কিন্তু তোমাকে হত্যা করার সুযোগ পেলে নরকের যন্ত্রণা দিয়েই সেটা করবে।★ এই জঙ্গল পাহাড় নদী আকাশ এই বিশ্ব প্রকৃতি,এটাই তোমার পাঠশালা। আমি তোমাকে চিনিয়েছি এই সবকিছুর একজন স্রষ্টা আছেন,যিনি এই সবকিছু তোমার জন্য সৃষ্টি করেছেন,শুধু তোমাকে সৃষ্টি করেছেন তাঁর জন্য,যাতে তুমি সেই মহান শিল্পীর শিল্পকর্ম দেখে তাঁর প্রশংসা করো,এই জন্য তোমাকে জ্ঞান দিয়েছেন,যে জ্ঞান এই বিশ্বজগতে মানুষ ছাড়া আর কাউকে দেননি তিনি।এমনও আরও অনেক জীবনমুখী উক্তি চরিত্রের কথোপকথনকে আরও রঙিন ও আকৃষ্ট করেছেসবশেষে লেখকের প্রকৃতি বর্ণনা পাঠকে সেই স্থানে নিয়ে দাঁড় করাবে যেখানে পাঠক নিজেকে মূল চরিত্রের সাথে সংযুক্ত মনে করবে,তেমনি একটু বর্ণনা শৈলী আমাকে বিমোহিত করেছে-"চোখের সামনে ঝকঝকে গভীর নীল আকাশ, উপত্যকার বিস্তীর্ণ সবুজ ঘাস,অরণ্য,পাহাড় আর শিমুল তুলোর মতো পেজা মেঘ,এক অসহ্য সুন্দর পৃথিবী।"
An Najahah Shop
Category List
All products

বইঃ রাখাল
লেখকঃ লতিফুল ইসলাম শিবলী
পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ ১২৬
প্রকাশনঃ কেন্দ্রবিন্দু
"রাখাল" নামটা শুনলেই যেনো মনে হতে পারে জমিতে চষে বেড়ানো কোনো এক বালকের গবাদি পশুর পাল আর প্রকৃতি নিয়েই হয়তো উপন্যাস সামনে এগিয়েছে কিন্তু লেখক অত্যন্ত নির্মাণশৈলী দেখিয়েছেন তার লেখায়,নামে রেখেছেন যাকে সে না উপন্যাসের প্রধান চরিত্র কিংবা তার নামে কেউ গল্পটা আন্দাজ করে নিবে।
উপন্যাসটি ভারতীয় উপমহাদেশের অপসংস্কৃতি সতীদাহ প্রথা নিয়ে,কীভাবে এক মুসলিম যুবক এই গল্পে জড়িয়ে পরলো কিইবা এমন শক্তি ছিলো যা এক ঈমান দীপ্ত যুবককে জীবন নদীর আরও একটি নতুন বাঁকের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়,উপন্যাসটিতে কি নেই,শুরু করেন রামদেব ঘোষালের মহল থেকে আবার শেষটাও একই মহলে হয়েছে,মাঝে ঘটেছে নানান ঘটনা,হতাহত হয়েছে বিশ্বস্তজন,কেউবা পরাজয় বরণ করে নিয়েছে নিয়তির কাছে,মহল থেকে বের হয়ে মহলে ফিরে আসতে ক্ষমতার রদবদল হয়েছে,জমিদারের মালিকানা বদলে,আসল মালিক তার আসন বুঝে পেয়েছে।
উপন্যাসের প্রধান চরিত্রগুলো বাসুদেব ঘোষাল,পূর্বা দেবী,মাধব চন্দ্র,অনিল ভট্ট, কুন্তি আর বিশ্বস্ত রাখাল,মাঝে ক্যামিও চরিত্রে দারুণ ছিলো বাহরাম, উপন্যাসটিতে যেমন ছিলো প্রাকৃতিক নৈসর্গিক বর্ণণা,তেমনি ছিলো প্রখর ধর্মীয় অনূভুতি, ছিলো ধর্মান্ধতা,ক্ষমতার লোভ,মালিকের প্রতি বিশ্বাস, এক বাবার রেখে যাওয়া শিক্ষা,অপসংস্কৃতি, কুসংস্কারের বিরুদ্ধে লড়াই,নিজের অস্তিত্বকে খুঁজে পাওয়ার আকুল আবেদন,ছিলো একরাশ হতাশা আর না পাওয়ার ব্যথা।
পূর্বা দেবী যিনি মহলের বাহিরে কখনোও পা বাড়াননি,কি এমন হয়েছিলো যে শেষ পর্যন্ত তাকে পাহাড়ের চূড়ায় এক ঈগলের বাসায় আশ্রয় নিতে হয়েছিলো,সেখানে গিয়ে তিনি পৃথিবীর বুকেও স্বর্গসুখ অনুভব করেছিলেন,মহল ছেড়ে বন্য পশুদের সাথে তিনি নিজেকে বেশি নিরাপদ ভাবতে শুরু করলে,মানুষের মাঝেও যে পশুর বাস হয় তা তিনি উপলব্ধি করেছিলেন,ক্ষমতার দ্বন্দ্ব মানুষকে কোথায় নিয়ে যেতে পারে কিংবা এক মহান স্রষ্টার জন্য বাবার আদর্শকে বুকে ধারণ করে জীবন বাজি রেখে ওয়াদা পালনের যে অপরূপ বর্ণনা লেখক ফুটিয়ে তুলেছেন তা প্রশংসারই দাবিদার।
সারা দেশে যখন দুটো দলে বিভক্ত হয়ে একে অপরকে ছোট বড় করে যুক্তির বুলি আওড়াতে থাকে তখনই মুক্তির জন্য মহল ছেড়ে পাড়ি জমাতে হয় গহীন জঙ্গলে,জঙ্গলে বেঁচে থাকার যে লড়াই সে লড়াই বাহ্যিক কোনো অস্ত্র সাহায্য করতে পারে না,টিকে থাকতে মস্তিষ্কের লড়াইয়ে,তেমনই এক রাখালের গল্প যে জীবনের প্রতিটি পদে পদে তার বাবার উপদেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করে জীবন কাটিয়ে দেয়।
মাধব চন্দ্র যখন কুসংস্কারের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলে তখন আর তার ঘরে জায়গা হয়না,ইয়ং বেঙ্গল থেকে সরাসরি আশ্রয় গ্রহণ করে রামমোহন রায়ের কাছে,রামমোহন রায়ই বা কি এমন দেখেছিলেন প্রথম দেখাতেই তিনি বুঝে গিয়েছিলেন তার আন্দোলনের বিহিত হতে চলেছে,তার সাথে ছিলো ব্রিটিশ সরকার,কি ছিলো সেই আন্দোলনের বিষয় বস্তু যার রায় শেষ পর্যন্ত পূর্বা দেবীকে মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরিয়ে এনেছিলো।
ধর্মের দোহাই দিয়ে বহুকাল ঘটে আসা অনাচারের ইতি ঘটে সে আন্দোলনে,ধর্মীয় গ্রন্থে যখন সমাধান মিলে না তখন মালিক কে খুশি করতে দেশাচারের নাম করে নতুন করে জন্ম দেয়ে কুসংস্কারের,কিন্তু ধর্ম মানুষকে আলাদা ভাবে ভাবতে শেখালেও প্রত্যেক ধর্মের একজনই মহামহিম সেটা বুঝতে ভুল করেনি রামমোহব রায়, মাধব চন্দ্র কিংবা পূর্বা দেবী,আর সে একেশ্বরই পূর্বাকে পাঠিয়েছিলো রাখালের কাছে যার আছে আল্লাহর প্রতি অগাধ বিশ্বাস, যেকোনো বিপদে দৃঢ় মনোবল আর আস্থা
কুন্তি যেনো বিশ্বস্ততার এক অপূর্ব নিদর্শন, জীবনের বিনিময়েও সত্য গোপনে ছিলো অটল,কি ছিলো সেই সত্য যা কুন্তির জীবন পর্যন্ত ছিনিয়ে নিলো,মহলের প্রতিটা পুরুষের লোলুপ দৃষ্টি ছিলো কুন্তির উপর কিন্তু কেউ সাহস করতে পারেনি তার ক্ষতি করবে,তবুও তাকে জীবন হারাতে হয় এক সত্যের জন্য,যার জন্য সে জীবন দিতেও কুণ্ঠাবোধ করেনা,অনিল ভট্ট এক ব্রাক্ষ্ম পুরোহিত,নিজের কথার প্রতি নিজেরই বিশ্বাসই ছিলো ভঙ্গুর,তবুও তার বুলি আওড়াতে হতো,কেনো??
যে রাখাল একাই সুখের রাজ্য তৈরী করে নিয়েছিলো,একাকিত্বই যার ছিলো নিত্যসঙ্গী, জঙ্গলকে যে নিজের আস্থা বানিয়ে নিয়েছিলো, সেখানেই তার নিজেকে সে খুঁজে পায়না,কি ঘটেছিলো জঙ্গলে??
এমন সব প্রশ্নের মাঝেই এক এক করে প্লট তৈরী করেছেন লেখক লতিফুল ইসলাম শিবলী, সবটুকু উজাড় করেই লিখেছেন,শেষের দিকে লেখা কিছুটা দৃঢ় করেছেন পাঠকদের ধৈর্য্য পরীক্ষার জন্য,ধৈর্য্য নিয়ে পড়ে গেলেই মিলবে সমাধান,তৃপ্তি ঢেকুর তুলে অতৃপ্তি ছেয়ে যাবে সারা মনে।
মনকাড়া কিছু উক্তি-
★ শিকারি বাঘের সামনে নিজেকে তার চেয়েও বড় শিকারি হিসেবে না দেখাতে পারলে তুমি শেষ।আর কোনোভাবেই বাঘের চোখাচোখি পলকহীন তীব্র দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকা ছাড়া আর কোনো দিকে নজর দেবে না।
★ মানুষ যেখানেই যাক না কেন,তার অজান্তেই সে তার পদচিহ্ন রেখে যায়,মৃত্যু পর্যন্ত মানুষ একটা গন্তব্যের দিকে ক্রমাগত হাঁটছে,এই যাত্রা তাকে তার কবর পর্যন্ত পৌঁছে দেয়।
★ পাহাড় নিজের বিরাট রূপ দেখিয়ে বলে খবরদার আমাকে অতিক্রম করতে এসো না,তাই বেশির ভাগ মানুষই পাহাড় ডিঙাতে ভয় পায়,আ যে সাহসী মানুষেরা একবার পাহাড়কে ডিঙিয়ে ফেলে, তাদের কাছে পাহাড় হয়ে যায় হরিণ শাবক,যেমন হরিণ শাবক বাঘ দেখে ভয় পায়।
★ এখানে আপনাকে টিকে থাকতে হলে নির্জনতা আর একাকিত্ব উপভোগ করতে শিখতে হবে,একাকিত্ব খুবই ভয়ংকর জিনিস,এটা কাউকে মেরে ফেলে আর কাউকে কাউকে মহা মানুষে পরিণত করে।
★ পার্থিব ভালোবাসা তোমাকে স্বর্গের সুখ দিবে ঠিকই,কিন্তু তোমাকে হত্যা করার সুযোগ পেলে নরকের যন্ত্রণা দিয়েই সেটা করবে।
★ এই জঙ্গল পাহাড় নদী আকাশ এই বিশ্ব প্রকৃতি,
এটাই তোমার পাঠশালা। আমি তোমাকে চিনিয়েছি এই সবকিছুর একজন স্রষ্টা আছেন,যিনি এই সবকিছু তোমার জন্য সৃষ্টি করেছেন,শুধু তোমাকে সৃষ্টি করেছেন তাঁর জন্য,যাতে তুমি সেই মহান শিল্পীর শিল্পকর্ম দেখে তাঁর প্রশংসা করো,এই জন্য তোমাকে জ্ঞান দিয়েছেন,যে জ্ঞান এই বিশ্বজগতে মানুষ ছাড়া আর কাউকে দেননি তিনি।
এমনও আরও অনেক জীবনমুখী উক্তি চরিত্রের কথোপকথনকে আরও রঙিন ও আকৃষ্ট করেছে
সবশেষে লেখকের প্রকৃতি বর্ণনা পাঠকে সেই স্থানে নিয়ে দাঁড় করাবে যেখানে পাঠক নিজেকে মূল চরিত্রের সাথে সংযুক্ত মনে করবে,তেমনি একটু বর্ণনা শৈলী আমাকে বিমোহিত করেছে-
"চোখের সামনে ঝকঝকে গভীর নীল আকাশ, উপত্যকার বিস্তীর্ণ সবুজ ঘাস,অরণ্য,পাহাড় আর শিমুল তুলোর মতো পেজা মেঘ,এক অসহ্য সুন্দর পৃথিবী।"
লেখকঃ লতিফুল ইসলাম শিবলী
পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ ১২৬
প্রকাশনঃ কেন্দ্রবিন্দু
"রাখাল" নামটা শুনলেই যেনো মনে হতে পারে জমিতে চষে বেড়ানো কোনো এক বালকের গবাদি পশুর পাল আর প্রকৃতি নিয়েই হয়তো উপন্যাস সামনে এগিয়েছে কিন্তু লেখক অত্যন্ত নির্মাণশৈলী দেখিয়েছেন তার লেখায়,নামে রেখেছেন যাকে সে না উপন্যাসের প্রধান চরিত্র কিংবা তার নামে কেউ গল্পটা আন্দাজ করে নিবে।
উপন্যাসটি ভারতীয় উপমহাদেশের অপসংস্কৃতি সতীদাহ প্রথা নিয়ে,কীভাবে এক মুসলিম যুবক এই গল্পে জড়িয়ে পরলো কিইবা এমন শক্তি ছিলো যা এক ঈমান দীপ্ত যুবককে জীবন নদীর আরও একটি নতুন বাঁকের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়,উপন্যাসটিতে কি নেই,শুরু করেন রামদেব ঘোষালের মহল থেকে আবার শেষটাও একই মহলে হয়েছে,মাঝে ঘটেছে নানান ঘটনা,হতাহত হয়েছে বিশ্বস্তজন,কেউবা পরাজয় বরণ করে নিয়েছে নিয়তির কাছে,মহল থেকে বের হয়ে মহলে ফিরে আসতে ক্ষমতার রদবদল হয়েছে,জমিদারের মালিকানা বদলে,আসল মালিক তার আসন বুঝে পেয়েছে।
উপন্যাসের প্রধান চরিত্রগুলো বাসুদেব ঘোষাল,পূর্বা দেবী,মাধব চন্দ্র,অনিল ভট্ট, কুন্তি আর বিশ্বস্ত রাখাল,মাঝে ক্যামিও চরিত্রে দারুণ ছিলো বাহরাম, উপন্যাসটিতে যেমন ছিলো প্রাকৃতিক নৈসর্গিক বর্ণণা,তেমনি ছিলো প্রখর ধর্মীয় অনূভুতি, ছিলো ধর্মান্ধতা,ক্ষমতার লোভ,মালিকের প্রতি বিশ্বাস, এক বাবার রেখে যাওয়া শিক্ষা,অপসংস্কৃতি, কুসংস্কারের বিরুদ্ধে লড়াই,নিজের অস্তিত্বকে খুঁজে পাওয়ার আকুল আবেদন,ছিলো একরাশ হতাশা আর না পাওয়ার ব্যথা।
পূর্বা দেবী যিনি মহলের বাহিরে কখনোও পা বাড়াননি,কি এমন হয়েছিলো যে শেষ পর্যন্ত তাকে পাহাড়ের চূড়ায় এক ঈগলের বাসায় আশ্রয় নিতে হয়েছিলো,সেখানে গিয়ে তিনি পৃথিবীর বুকেও স্বর্গসুখ অনুভব করেছিলেন,মহল ছেড়ে বন্য পশুদের সাথে তিনি নিজেকে বেশি নিরাপদ ভাবতে শুরু করলে,মানুষের মাঝেও যে পশুর বাস হয় তা তিনি উপলব্ধি করেছিলেন,ক্ষমতার দ্বন্দ্ব মানুষকে কোথায় নিয়ে যেতে পারে কিংবা এক মহান স্রষ্টার জন্য বাবার আদর্শকে বুকে ধারণ করে জীবন বাজি রেখে ওয়াদা পালনের যে অপরূপ বর্ণনা লেখক ফুটিয়ে তুলেছেন তা প্রশংসারই দাবিদার।
সারা দেশে যখন দুটো দলে বিভক্ত হয়ে একে অপরকে ছোট বড় করে যুক্তির বুলি আওড়াতে থাকে তখনই মুক্তির জন্য মহল ছেড়ে পাড়ি জমাতে হয় গহীন জঙ্গলে,জঙ্গলে বেঁচে থাকার যে লড়াই সে লড়াই বাহ্যিক কোনো অস্ত্র সাহায্য করতে পারে না,টিকে থাকতে মস্তিষ্কের লড়াইয়ে,তেমনই এক রাখালের গল্প যে জীবনের প্রতিটি পদে পদে তার বাবার উপদেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করে জীবন কাটিয়ে দেয়।
মাধব চন্দ্র যখন কুসংস্কারের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলে তখন আর তার ঘরে জায়গা হয়না,ইয়ং বেঙ্গল থেকে সরাসরি আশ্রয় গ্রহণ করে রামমোহন রায়ের কাছে,রামমোহন রায়ই বা কি এমন দেখেছিলেন প্রথম দেখাতেই তিনি বুঝে গিয়েছিলেন তার আন্দোলনের বিহিত হতে চলেছে,তার সাথে ছিলো ব্রিটিশ সরকার,কি ছিলো সেই আন্দোলনের বিষয় বস্তু যার রায় শেষ পর্যন্ত পূর্বা দেবীকে মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরিয়ে এনেছিলো।
ধর্মের দোহাই দিয়ে বহুকাল ঘটে আসা অনাচারের ইতি ঘটে সে আন্দোলনে,ধর্মীয় গ্রন্থে যখন সমাধান মিলে না তখন মালিক কে খুশি করতে দেশাচারের নাম করে নতুন করে জন্ম দেয়ে কুসংস্কারের,কিন্তু ধর্ম মানুষকে আলাদা ভাবে ভাবতে শেখালেও প্রত্যেক ধর্মের একজনই মহামহিম সেটা বুঝতে ভুল করেনি রামমোহব রায়, মাধব চন্দ্র কিংবা পূর্বা দেবী,আর সে একেশ্বরই পূর্বাকে পাঠিয়েছিলো রাখালের কাছে যার আছে আল্লাহর প্রতি অগাধ বিশ্বাস, যেকোনো বিপদে দৃঢ় মনোবল আর আস্থা
কুন্তি যেনো বিশ্বস্ততার এক অপূর্ব নিদর্শন, জীবনের বিনিময়েও সত্য গোপনে ছিলো অটল,কি ছিলো সেই সত্য যা কুন্তির জীবন পর্যন্ত ছিনিয়ে নিলো,মহলের প্রতিটা পুরুষের লোলুপ দৃষ্টি ছিলো কুন্তির উপর কিন্তু কেউ সাহস করতে পারেনি তার ক্ষতি করবে,তবুও তাকে জীবন হারাতে হয় এক সত্যের জন্য,যার জন্য সে জীবন দিতেও কুণ্ঠাবোধ করেনা,অনিল ভট্ট এক ব্রাক্ষ্ম পুরোহিত,নিজের কথার প্রতি নিজেরই বিশ্বাসই ছিলো ভঙ্গুর,তবুও তার বুলি আওড়াতে হতো,কেনো??
যে রাখাল একাই সুখের রাজ্য তৈরী করে নিয়েছিলো,একাকিত্বই যার ছিলো নিত্যসঙ্গী, জঙ্গলকে যে নিজের আস্থা বানিয়ে নিয়েছিলো, সেখানেই তার নিজেকে সে খুঁজে পায়না,কি ঘটেছিলো জঙ্গলে??
এমন সব প্রশ্নের মাঝেই এক এক করে প্লট তৈরী করেছেন লেখক লতিফুল ইসলাম শিবলী, সবটুকু উজাড় করেই লিখেছেন,শেষের দিকে লেখা কিছুটা দৃঢ় করেছেন পাঠকদের ধৈর্য্য পরীক্ষার জন্য,ধৈর্য্য নিয়ে পড়ে গেলেই মিলবে সমাধান,তৃপ্তি ঢেকুর তুলে অতৃপ্তি ছেয়ে যাবে সারা মনে।
মনকাড়া কিছু উক্তি-
★ শিকারি বাঘের সামনে নিজেকে তার চেয়েও বড় শিকারি হিসেবে না দেখাতে পারলে তুমি শেষ।আর কোনোভাবেই বাঘের চোখাচোখি পলকহীন তীব্র দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকা ছাড়া আর কোনো দিকে নজর দেবে না।
★ মানুষ যেখানেই যাক না কেন,তার অজান্তেই সে তার পদচিহ্ন রেখে যায়,মৃত্যু পর্যন্ত মানুষ একটা গন্তব্যের দিকে ক্রমাগত হাঁটছে,এই যাত্রা তাকে তার কবর পর্যন্ত পৌঁছে দেয়।
★ পাহাড় নিজের বিরাট রূপ দেখিয়ে বলে খবরদার আমাকে অতিক্রম করতে এসো না,তাই বেশির ভাগ মানুষই পাহাড় ডিঙাতে ভয় পায়,আ যে সাহসী মানুষেরা একবার পাহাড়কে ডিঙিয়ে ফেলে, তাদের কাছে পাহাড় হয়ে যায় হরিণ শাবক,যেমন হরিণ শাবক বাঘ দেখে ভয় পায়।
★ এখানে আপনাকে টিকে থাকতে হলে নির্জনতা আর একাকিত্ব উপভোগ করতে শিখতে হবে,একাকিত্ব খুবই ভয়ংকর জিনিস,এটা কাউকে মেরে ফেলে আর কাউকে কাউকে মহা মানুষে পরিণত করে।
★ পার্থিব ভালোবাসা তোমাকে স্বর্গের সুখ দিবে ঠিকই,কিন্তু তোমাকে হত্যা করার সুযোগ পেলে নরকের যন্ত্রণা দিয়েই সেটা করবে।
★ এই জঙ্গল পাহাড় নদী আকাশ এই বিশ্ব প্রকৃতি,
এটাই তোমার পাঠশালা। আমি তোমাকে চিনিয়েছি এই সবকিছুর একজন স্রষ্টা আছেন,যিনি এই সবকিছু তোমার জন্য সৃষ্টি করেছেন,শুধু তোমাকে সৃষ্টি করেছেন তাঁর জন্য,যাতে তুমি সেই মহান শিল্পীর শিল্পকর্ম দেখে তাঁর প্রশংসা করো,এই জন্য তোমাকে জ্ঞান দিয়েছেন,যে জ্ঞান এই বিশ্বজগতে মানুষ ছাড়া আর কাউকে দেননি তিনি।
এমনও আরও অনেক জীবনমুখী উক্তি চরিত্রের কথোপকথনকে আরও রঙিন ও আকৃষ্ট করেছে
সবশেষে লেখকের প্রকৃতি বর্ণনা পাঠকে সেই স্থানে নিয়ে দাঁড় করাবে যেখানে পাঠক নিজেকে মূল চরিত্রের সাথে সংযুক্ত মনে করবে,তেমনি একটু বর্ণনা শৈলী আমাকে বিমোহিত করেছে-
"চোখের সামনে ঝকঝকে গভীর নীল আকাশ, উপত্যকার বিস্তীর্ণ সবুজ ঘাস,অরণ্য,পাহাড় আর শিমুল তুলোর মতো পেজা মেঘ,এক অসহ্য সুন্দর পৃথিবী।"
রাখাল( হার্ডকভার)
300 BDT400 BDTSave 100 BDT
1
বইঃ রাখাল
লেখকঃ লতিফুল ইসলাম শিবলী
পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ ১২৬
প্রকাশনঃ কেন্দ্রবিন্দু
"রাখাল" নামটা শুনলেই যেনো মনে হতে পারে জমিতে চষে বেড়ানো কোনো এক বালকের গবাদি পশুর পাল আর প্রকৃতি নিয়েই হয়তো উপন্যাস সামনে এগিয়েছে কিন্তু লেখক অত্যন্ত নির্মাণশৈলী দেখিয়েছেন তার লেখায়,নামে রেখেছেন যাকে সে না উপন্যাসের প্রধান চরিত্র কিংবা তার নামে কেউ গল্পটা আন্দাজ করে নিবে।
উপন্যাসটি ভারতীয় উপমহাদেশের অপসংস্কৃতি সতীদাহ প্রথা নিয়ে,কীভাবে এক মুসলিম যুবক এই গল্পে জড়িয়ে পরলো কিইবা এমন শক্তি ছিলো যা এক ঈমান দীপ্ত যুবককে জীবন নদীর আরও একটি নতুন বাঁকের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়,উপন্যাসটিতে কি নেই,শুরু করেন রামদেব ঘোষালের মহল থেকে আবার শেষটাও একই মহলে হয়েছে,মাঝে ঘটেছে নানান ঘটনা,হতাহত হয়েছে বিশ্বস্তজন,কেউবা পরাজয় বরণ করে নিয়েছে নিয়তির কাছে,মহল থেকে বের হয়ে মহলে ফিরে আসতে ক্ষমতার রদবদল হয়েছে,জমিদারের মালিকানা বদলে,আসল মালিক তার আসন বুঝে পেয়েছে।
উপন্যাসের প্রধান চরিত্রগুলো বাসুদেব ঘোষাল,পূর্বা দেবী,মাধব চন্দ্র,অনিল ভট্ট, কুন্তি আর বিশ্বস্ত রাখাল,মাঝে ক্যামিও চরিত্রে দারুণ ছিলো বাহরাম, উপন্যাসটিতে যেমন ছিলো প্রাকৃতিক নৈসর্গিক বর্ণণা,তেমনি ছিলো প্রখর ধর্মীয় অনূভুতি, ছিলো ধর্মান্ধতা,ক্ষমতার লোভ,মালিকের প্রতি বিশ্বাস, এক বাবার রেখে যাওয়া শিক্ষা,অপসংস্কৃতি, কুসংস্কারের বিরুদ্ধে লড়াই,নিজের অস্তিত্বকে খুঁজে পাওয়ার আকুল আবেদন,ছিলো একরাশ হতাশা আর না পাওয়ার ব্যথা।
পূর্বা দেবী যিনি মহলের বাহিরে কখনোও পা বাড়াননি,কি এমন হয়েছিলো যে শেষ পর্যন্ত তাকে পাহাড়ের চূড়ায় এক ঈগলের বাসায় আশ্রয় নিতে হয়েছিলো,সেখানে গিয়ে তিনি পৃথিবীর বুকেও স্বর্গসুখ অনুভব করেছিলেন,মহল ছেড়ে বন্য পশুদের সাথে তিনি নিজেকে বেশি নিরাপদ ভাবতে শুরু করলে,মানুষের মাঝেও যে পশুর বাস হয় তা তিনি উপলব্ধি করেছিলেন,ক্ষমতার দ্বন্দ্ব মানুষকে কোথায় নিয়ে যেতে পারে কিংবা এক মহান স্রষ্টার জন্য বাবার আদর্শকে বুকে ধারণ করে জীবন বাজি রেখে ওয়াদা পালনের যে অপরূপ বর্ণনা লেখক ফুটিয়ে তুলেছেন তা প্রশংসারই দাবিদার।
সারা দেশে যখন দুটো দলে বিভক্ত হয়ে একে অপরকে ছোট বড় করে যুক্তির বুলি আওড়াতে থাকে তখনই মুক্তির জন্য মহল ছেড়ে পাড়ি জমাতে হয় গহীন জঙ্গলে,জঙ্গলে বেঁচে থাকার যে লড়াই সে লড়াই বাহ্যিক কোনো অস্ত্র সাহায্য করতে পারে না,টিকে থাকতে মস্তিষ্কের লড়াইয়ে,তেমনই এক রাখালের গল্প যে জীবনের প্রতিটি পদে পদে তার বাবার উপদেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করে জীবন কাটিয়ে দেয়।
মাধব চন্দ্র যখন কুসংস্কারের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলে তখন আর তার ঘরে জায়গা হয়না,ইয়ং বেঙ্গল থেকে সরাসরি আশ্রয় গ্রহণ করে রামমোহন রায়ের কাছে,রামমোহন রায়ই বা কি এমন দেখেছিলেন প্রথম দেখাতেই তিনি বুঝে গিয়েছিলেন তার আন্দোলনের বিহিত হতে চলেছে,তার সাথে ছিলো ব্রিটিশ সরকার,কি ছিলো সেই আন্দোলনের বিষয় বস্তু যার রায় শেষ পর্যন্ত পূর্বা দেবীকে মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরিয়ে এনেছিলো।
ধর্মের দোহাই দিয়ে বহুকাল ঘটে আসা অনাচারের ইতি ঘটে সে আন্দোলনে,ধর্মীয় গ্রন্থে যখন সমাধান মিলে না তখন মালিক কে খুশি করতে দেশাচারের নাম করে নতুন করে জন্ম দেয়ে কুসংস্কারের,কিন্তু ধর্ম মানুষকে আলাদা ভাবে ভাবতে শেখালেও প্রত্যেক ধর্মের একজনই মহামহিম সেটা বুঝতে ভুল করেনি রামমোহব রায়, মাধব চন্দ্র কিংবা পূর্বা দেবী,আর সে একেশ্বরই পূর্বাকে পাঠিয়েছিলো রাখালের কাছে যার আছে আল্লাহর প্রতি অগাধ বিশ্বাস, যেকোনো বিপদে দৃঢ় মনোবল আর আস্থা
কুন্তি যেনো বিশ্বস্ততার এক অপূর্ব নিদর্শন, জীবনের বিনিময়েও সত্য গোপনে ছিলো অটল,কি ছিলো সেই সত্য যা কুন্তির জীবন পর্যন্ত ছিনিয়ে নিলো,মহলের প্রতিটা পুরুষের লোলুপ দৃষ্টি ছিলো কুন্তির উপর কিন্তু কেউ সাহস করতে পারেনি তার ক্ষতি করবে,তবুও তাকে জীবন হারাতে হয় এক সত্যের জন্য,যার জন্য সে জীবন দিতেও কুণ্ঠাবোধ করেনা,অনিল ভট্ট এক ব্রাক্ষ্ম পুরোহিত,নিজের কথার প্রতি নিজেরই বিশ্বাসই ছিলো ভঙ্গুর,তবুও তার বুলি আওড়াতে হতো,কেনো??
যে রাখাল একাই সুখের রাজ্য তৈরী করে নিয়েছিলো,একাকিত্বই যার ছিলো নিত্যসঙ্গী, জঙ্গলকে যে নিজের আস্থা বানিয়ে নিয়েছিলো, সেখানেই তার নিজেকে সে খুঁজে পায়না,কি ঘটেছিলো জঙ্গলে??
এমন সব প্রশ্নের মাঝেই এক এক করে প্লট তৈরী করেছেন লেখক লতিফুল ইসলাম শিবলী, সবটুকু উজাড় করেই লিখেছেন,শেষের দিকে লেখা কিছুটা দৃঢ় করেছেন পাঠকদের ধৈর্য্য পরীক্ষার জন্য,ধৈর্য্য নিয়ে পড়ে গেলেই মিলবে সমাধান,তৃপ্তি ঢেকুর তুলে অতৃপ্তি ছেয়ে যাবে সারা মনে।
মনকাড়া কিছু উক্তি-
★ শিকারি বাঘের সামনে নিজেকে তার চেয়েও বড় শিকারি হিসেবে না দেখাতে পারলে তুমি শেষ।আর কোনোভাবেই বাঘের চোখাচোখি পলকহীন তীব্র দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকা ছাড়া আর কোনো দিকে নজর দেবে না।
★ মানুষ যেখানেই যাক না কেন,তার অজান্তেই সে তার পদচিহ্ন রেখে যায়,মৃত্যু পর্যন্ত মানুষ একটা গন্তব্যের দিকে ক্রমাগত হাঁটছে,এই যাত্রা তাকে তার কবর পর্যন্ত পৌঁছে দেয়।
★ পাহাড় নিজের বিরাট রূপ দেখিয়ে বলে খবরদার আমাকে অতিক্রম করতে এসো না,তাই বেশির ভাগ মানুষই পাহাড় ডিঙাতে ভয় পায়,আ যে সাহসী মানুষেরা একবার পাহাড়কে ডিঙিয়ে ফেলে, তাদের কাছে পাহাড় হয়ে যায় হরিণ শাবক,যেমন হরিণ শাবক বাঘ দেখে ভয় পায়।
★ এখানে আপনাকে টিকে থাকতে হলে নির্জনতা আর একাকিত্ব উপভোগ করতে শিখতে হবে,একাকিত্ব খুবই ভয়ংকর জিনিস,এটা কাউকে মেরে ফেলে আর কাউকে কাউকে মহা মানুষে পরিণত করে।
★ পার্থিব ভালোবাসা তোমাকে স্বর্গের সুখ দিবে ঠিকই,কিন্তু তোমাকে হত্যা করার সুযোগ পেলে নরকের যন্ত্রণা দিয়েই সেটা করবে।
★ এই জঙ্গল পাহাড় নদী আকাশ এই বিশ্ব প্রকৃতি,
এটাই তোমার পাঠশালা। আমি তোমাকে চিনিয়েছি এই সবকিছুর একজন স্রষ্টা আছেন,যিনি এই সবকিছু তোমার জন্য সৃষ্টি করেছেন,শুধু তোমাকে সৃষ্টি করেছেন তাঁর জন্য,যাতে তুমি সেই মহান শিল্পীর শিল্পকর্ম দেখে তাঁর প্রশংসা করো,এই জন্য তোমাকে জ্ঞান দিয়েছেন,যে জ্ঞান এই বিশ্বজগতে মানুষ ছাড়া আর কাউকে দেননি তিনি।
এমনও আরও অনেক জীবনমুখী উক্তি চরিত্রের কথোপকথনকে আরও রঙিন ও আকৃষ্ট করেছে
সবশেষে লেখকের প্রকৃতি বর্ণনা পাঠকে সেই স্থানে নিয়ে দাঁড় করাবে যেখানে পাঠক নিজেকে মূল চরিত্রের সাথে সংযুক্ত মনে করবে,তেমনি একটু বর্ণনা শৈলী আমাকে বিমোহিত করেছে-
"চোখের সামনে ঝকঝকে গভীর নীল আকাশ, উপত্যকার বিস্তীর্ণ সবুজ ঘাস,অরণ্য,পাহাড় আর শিমুল তুলোর মতো পেজা মেঘ,এক অসহ্য সুন্দর পৃথিবী।"
লেখকঃ লতিফুল ইসলাম শিবলী
পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ ১২৬
প্রকাশনঃ কেন্দ্রবিন্দু
"রাখাল" নামটা শুনলেই যেনো মনে হতে পারে জমিতে চষে বেড়ানো কোনো এক বালকের গবাদি পশুর পাল আর প্রকৃতি নিয়েই হয়তো উপন্যাস সামনে এগিয়েছে কিন্তু লেখক অত্যন্ত নির্মাণশৈলী দেখিয়েছেন তার লেখায়,নামে রেখেছেন যাকে সে না উপন্যাসের প্রধান চরিত্র কিংবা তার নামে কেউ গল্পটা আন্দাজ করে নিবে।
উপন্যাসটি ভারতীয় উপমহাদেশের অপসংস্কৃতি সতীদাহ প্রথা নিয়ে,কীভাবে এক মুসলিম যুবক এই গল্পে জড়িয়ে পরলো কিইবা এমন শক্তি ছিলো যা এক ঈমান দীপ্ত যুবককে জীবন নদীর আরও একটি নতুন বাঁকের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়,উপন্যাসটিতে কি নেই,শুরু করেন রামদেব ঘোষালের মহল থেকে আবার শেষটাও একই মহলে হয়েছে,মাঝে ঘটেছে নানান ঘটনা,হতাহত হয়েছে বিশ্বস্তজন,কেউবা পরাজয় বরণ করে নিয়েছে নিয়তির কাছে,মহল থেকে বের হয়ে মহলে ফিরে আসতে ক্ষমতার রদবদল হয়েছে,জমিদারের মালিকানা বদলে,আসল মালিক তার আসন বুঝে পেয়েছে।
উপন্যাসের প্রধান চরিত্রগুলো বাসুদেব ঘোষাল,পূর্বা দেবী,মাধব চন্দ্র,অনিল ভট্ট, কুন্তি আর বিশ্বস্ত রাখাল,মাঝে ক্যামিও চরিত্রে দারুণ ছিলো বাহরাম, উপন্যাসটিতে যেমন ছিলো প্রাকৃতিক নৈসর্গিক বর্ণণা,তেমনি ছিলো প্রখর ধর্মীয় অনূভুতি, ছিলো ধর্মান্ধতা,ক্ষমতার লোভ,মালিকের প্রতি বিশ্বাস, এক বাবার রেখে যাওয়া শিক্ষা,অপসংস্কৃতি, কুসংস্কারের বিরুদ্ধে লড়াই,নিজের অস্তিত্বকে খুঁজে পাওয়ার আকুল আবেদন,ছিলো একরাশ হতাশা আর না পাওয়ার ব্যথা।
পূর্বা দেবী যিনি মহলের বাহিরে কখনোও পা বাড়াননি,কি এমন হয়েছিলো যে শেষ পর্যন্ত তাকে পাহাড়ের চূড়ায় এক ঈগলের বাসায় আশ্রয় নিতে হয়েছিলো,সেখানে গিয়ে তিনি পৃথিবীর বুকেও স্বর্গসুখ অনুভব করেছিলেন,মহল ছেড়ে বন্য পশুদের সাথে তিনি নিজেকে বেশি নিরাপদ ভাবতে শুরু করলে,মানুষের মাঝেও যে পশুর বাস হয় তা তিনি উপলব্ধি করেছিলেন,ক্ষমতার দ্বন্দ্ব মানুষকে কোথায় নিয়ে যেতে পারে কিংবা এক মহান স্রষ্টার জন্য বাবার আদর্শকে বুকে ধারণ করে জীবন বাজি রেখে ওয়াদা পালনের যে অপরূপ বর্ণনা লেখক ফুটিয়ে তুলেছেন তা প্রশংসারই দাবিদার।
সারা দেশে যখন দুটো দলে বিভক্ত হয়ে একে অপরকে ছোট বড় করে যুক্তির বুলি আওড়াতে থাকে তখনই মুক্তির জন্য মহল ছেড়ে পাড়ি জমাতে হয় গহীন জঙ্গলে,জঙ্গলে বেঁচে থাকার যে লড়াই সে লড়াই বাহ্যিক কোনো অস্ত্র সাহায্য করতে পারে না,টিকে থাকতে মস্তিষ্কের লড়াইয়ে,তেমনই এক রাখালের গল্প যে জীবনের প্রতিটি পদে পদে তার বাবার উপদেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করে জীবন কাটিয়ে দেয়।
মাধব চন্দ্র যখন কুসংস্কারের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলে তখন আর তার ঘরে জায়গা হয়না,ইয়ং বেঙ্গল থেকে সরাসরি আশ্রয় গ্রহণ করে রামমোহন রায়ের কাছে,রামমোহন রায়ই বা কি এমন দেখেছিলেন প্রথম দেখাতেই তিনি বুঝে গিয়েছিলেন তার আন্দোলনের বিহিত হতে চলেছে,তার সাথে ছিলো ব্রিটিশ সরকার,কি ছিলো সেই আন্দোলনের বিষয় বস্তু যার রায় শেষ পর্যন্ত পূর্বা দেবীকে মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরিয়ে এনেছিলো।
ধর্মের দোহাই দিয়ে বহুকাল ঘটে আসা অনাচারের ইতি ঘটে সে আন্দোলনে,ধর্মীয় গ্রন্থে যখন সমাধান মিলে না তখন মালিক কে খুশি করতে দেশাচারের নাম করে নতুন করে জন্ম দেয়ে কুসংস্কারের,কিন্তু ধর্ম মানুষকে আলাদা ভাবে ভাবতে শেখালেও প্রত্যেক ধর্মের একজনই মহামহিম সেটা বুঝতে ভুল করেনি রামমোহব রায়, মাধব চন্দ্র কিংবা পূর্বা দেবী,আর সে একেশ্বরই পূর্বাকে পাঠিয়েছিলো রাখালের কাছে যার আছে আল্লাহর প্রতি অগাধ বিশ্বাস, যেকোনো বিপদে দৃঢ় মনোবল আর আস্থা
কুন্তি যেনো বিশ্বস্ততার এক অপূর্ব নিদর্শন, জীবনের বিনিময়েও সত্য গোপনে ছিলো অটল,কি ছিলো সেই সত্য যা কুন্তির জীবন পর্যন্ত ছিনিয়ে নিলো,মহলের প্রতিটা পুরুষের লোলুপ দৃষ্টি ছিলো কুন্তির উপর কিন্তু কেউ সাহস করতে পারেনি তার ক্ষতি করবে,তবুও তাকে জীবন হারাতে হয় এক সত্যের জন্য,যার জন্য সে জীবন দিতেও কুণ্ঠাবোধ করেনা,অনিল ভট্ট এক ব্রাক্ষ্ম পুরোহিত,নিজের কথার প্রতি নিজেরই বিশ্বাসই ছিলো ভঙ্গুর,তবুও তার বুলি আওড়াতে হতো,কেনো??
যে রাখাল একাই সুখের রাজ্য তৈরী করে নিয়েছিলো,একাকিত্বই যার ছিলো নিত্যসঙ্গী, জঙ্গলকে যে নিজের আস্থা বানিয়ে নিয়েছিলো, সেখানেই তার নিজেকে সে খুঁজে পায়না,কি ঘটেছিলো জঙ্গলে??
এমন সব প্রশ্নের মাঝেই এক এক করে প্লট তৈরী করেছেন লেখক লতিফুল ইসলাম শিবলী, সবটুকু উজাড় করেই লিখেছেন,শেষের দিকে লেখা কিছুটা দৃঢ় করেছেন পাঠকদের ধৈর্য্য পরীক্ষার জন্য,ধৈর্য্য নিয়ে পড়ে গেলেই মিলবে সমাধান,তৃপ্তি ঢেকুর তুলে অতৃপ্তি ছেয়ে যাবে সারা মনে।
মনকাড়া কিছু উক্তি-
★ শিকারি বাঘের সামনে নিজেকে তার চেয়েও বড় শিকারি হিসেবে না দেখাতে পারলে তুমি শেষ।আর কোনোভাবেই বাঘের চোখাচোখি পলকহীন তীব্র দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকা ছাড়া আর কোনো দিকে নজর দেবে না।
★ মানুষ যেখানেই যাক না কেন,তার অজান্তেই সে তার পদচিহ্ন রেখে যায়,মৃত্যু পর্যন্ত মানুষ একটা গন্তব্যের দিকে ক্রমাগত হাঁটছে,এই যাত্রা তাকে তার কবর পর্যন্ত পৌঁছে দেয়।
★ পাহাড় নিজের বিরাট রূপ দেখিয়ে বলে খবরদার আমাকে অতিক্রম করতে এসো না,তাই বেশির ভাগ মানুষই পাহাড় ডিঙাতে ভয় পায়,আ যে সাহসী মানুষেরা একবার পাহাড়কে ডিঙিয়ে ফেলে, তাদের কাছে পাহাড় হয়ে যায় হরিণ শাবক,যেমন হরিণ শাবক বাঘ দেখে ভয় পায়।
★ এখানে আপনাকে টিকে থাকতে হলে নির্জনতা আর একাকিত্ব উপভোগ করতে শিখতে হবে,একাকিত্ব খুবই ভয়ংকর জিনিস,এটা কাউকে মেরে ফেলে আর কাউকে কাউকে মহা মানুষে পরিণত করে।
★ পার্থিব ভালোবাসা তোমাকে স্বর্গের সুখ দিবে ঠিকই,কিন্তু তোমাকে হত্যা করার সুযোগ পেলে নরকের যন্ত্রণা দিয়েই সেটা করবে।
★ এই জঙ্গল পাহাড় নদী আকাশ এই বিশ্ব প্রকৃতি,
এটাই তোমার পাঠশালা। আমি তোমাকে চিনিয়েছি এই সবকিছুর একজন স্রষ্টা আছেন,যিনি এই সবকিছু তোমার জন্য সৃষ্টি করেছেন,শুধু তোমাকে সৃষ্টি করেছেন তাঁর জন্য,যাতে তুমি সেই মহান শিল্পীর শিল্পকর্ম দেখে তাঁর প্রশংসা করো,এই জন্য তোমাকে জ্ঞান দিয়েছেন,যে জ্ঞান এই বিশ্বজগতে মানুষ ছাড়া আর কাউকে দেননি তিনি।
এমনও আরও অনেক জীবনমুখী উক্তি চরিত্রের কথোপকথনকে আরও রঙিন ও আকৃষ্ট করেছে
সবশেষে লেখকের প্রকৃতি বর্ণনা পাঠকে সেই স্থানে নিয়ে দাঁড় করাবে যেখানে পাঠক নিজেকে মূল চরিত্রের সাথে সংযুক্ত মনে করবে,তেমনি একটু বর্ণনা শৈলী আমাকে বিমোহিত করেছে-
"চোখের সামনে ঝকঝকে গভীর নীল আকাশ, উপত্যকার বিস্তীর্ণ সবুজ ঘাস,অরণ্য,পাহাড় আর শিমুল তুলোর মতো পেজা মেঘ,এক অসহ্য সুন্দর পৃথিবী।"