ইমাম আবু হানিফা রহ: জীবন ও কর্ম
বই: ইমাম আবু হানিফা রাহিমাহুল্লাহ সংকলক: আবুল হাসানাত কাসিমসম্পাদনা: আকরাম হোসাইন প্রচ্ছদ: সমকালীন গ্রাফিক্স টীম পৃষ্ঠা সংখ্যা: ১৬৩“আমরা ফিকহের বেলায় আবু হানিফার সন্তানতুল্য।”যেই নক্ষত্রের সম্পর্কে ইমাম শাফেঈ এ কথা বলেছিলেন, বক্ষ্যমাণ বইটি তার জীবন ও কর্মকে ঘিরেই রচিত। সমকালীন প্রকাশন থেকে প্রকাশিত ইমাম সিরিজের প্রথম বই এটি। যেখানে ইমাম আবু হানিফার জন্মলগ্ন থেকে আখিরাতের পানে গমন ও ইলম অর্জনের বর্ণাঢ্য ঘটনাবহুল জীবনের মাঝে কত যে পরীক্ষা তার সবটাই উঠে এসেছে। আলোচ্য বইটির বিষয়বস্তু নিয়ে সচেতন পাঠকের নিকট কোনো ধোঁয়াশা থাকার কথা নয়। বইটির উপস্থাপনে কোনো রহস্য রাখা হয়নি। প্রথম দর্শনেই পাঠকের আকর্ষণের পুরোটাই কেড়ে নেয় বইটি। সোনালী যুগের তিনি একজন অনন্য অসাধারণ মনীষী। যুগশ্রেষ্ঠ ইমাম। কিন্তু তার ৭০ বছরের গৌরবান্বিত জীবনে শুধুই সীমাহীন পরীক্ষা। মুসলিম ও ইমামের প্রতি অগাধ সম্মান, শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা থাকার কারণে হয়তো সে ব্যাপারে আমরা অনেকাংশেই জানি। কিন্তু জানি না, তার পদক্ষেপের কারণ। জীবনের উত্থান-পতনের মাঝে তার দৃঢ়তা ও মনোবলের উৎস অনেকাংশেই অজানা। বইটি রচিত হয়েছে ইমাম আবু হানিফা রাহিমাহুল্লাহকে এক ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে ভিন্ন আয়নায় দেখানোর প্রয়াসে। ইতিবাচক কিংবা নেচিবাচক নয়। চিন্তাভাবনা ও বুদ্ধি-বিবেক দিয়ে তার অবস্থান থেকে যুক্তিনিষ্ঠ আলোচনায় সমাজব্যবস্থার ভীড়ে সত্যাবস্থান কী জিনিস তা বুঝতে বইটি একটি প্রামাণ্য দলীল। তিনি শৈশবকাল থেকেই সীমাহীন পরীক্ষার সম্মুখিন হয়েছেন। তবে তাকে আশাহত হতে দেখা যায় না। হতাশাকে তিনি জয় করেছিলেন সবর, শোকর, আমল, আখলাক ও ইলম দিয়ে। তিনি তৎকালীন জনসাধারণ তো বটেই, ফকিহ, মুহাদ্দিস, আলিম ও ওলামাগণের কাছেও একজন অনুসরণীয় ব্যক্তিত্ব ছিলেন। তবে কী এমন হলো শাসকের কা’রাগারে তাকে মেহমান হতে হলো? এমনকি বিষ পানে তাকে দুনিয়া থেকে চিরবিদায় নিতে হলো কেন? এসব প্রশ্নের উত্তর সহজ। গ্রহণ করা একজন বিদগ্ধ আলেম প্রেমীর জন্য বেদনাদায়ক। পৃথিবীতে আজ এত বছর পরেও অভিভাবকহীনতার গ্লানি ও হাহাকার। ইমাম আবু হানিফা রাহিমাহুল্লাহর জীবনকাহিনি নিয়ে প্রচুর অবান্তর, মিথ্যা ও বানোয়াট গল্প রয়েছে। রয়েছে অনেক কল্পকাহিনী। পাঠকমহলে সাড়া ফেলার মতো অনেক রসালো গল্পের বইও বহু প্রকাশনি প্রকাশ করেছে। কিন্তু আদতে তার কোনো ভিত্তি নেই। লোকমুখে চর্চিত গল্পের রেফারেন্স নেই। তাই এসব অজ্ঞতাপ্রসূত অবান্তর কল্পকাহিনী আমাদের এড়িয়ে যাওয়াই শ্রেয়। বক্ষ্যমাণ গ্রন্থটি সেই কলুষতাকে পেছনে ফেলে সত্যের অঙ্গার উপস্থাপন করার দাবীদার। এই গ্রন্থ বাংলা ভাষাভাষী পাঠকদের জন্য অভূতপূর্ব সংযোজন এই কারণে যে, পূর্ণাংগ জীবনালেখ্য হিসেবে বইটি অন্যতম। জন্মলগ্নই ছিল আর দশটি মানুষ থেকে যেন তিনি আলাদা। তাকে রব্বুল আলামিন যেন জাতির সুযোগ্য ইমাম হিসেবে সেভাবেই ভেঙ্গে গড়েছেন। নির্ভিক ও দৃঢ়চেতা আঙ্গিকে বুকে সাহসের স্ফুলিঙ্গ। জীবন মুহূর্তে বদলে গেল। তিনি কত আলেমের দারস্থ হলেন। কিন্তু তিনিও হবেন যুগশ্রেষ্ঠ আলেম। তার পান্ডিত্যের জোয়ারে তৈরি হবে প্রায় সাত হাজার বিজ্ঞ আলেম। তিনিও ইলমের মজলিসে গড়েছেন পুড়ে পুড়ে নিজেকে খাঁটি সোনা রুপে। ৭ জন সাহাবি ও ৯৩ জন তাবিয়িসহ তার শিক্ষকের সংখ্যাও নেহাত কম নয়। প্রায় চার হাজার। এসব আলোচনায় তার জীবনকে বড্ড ক্ষুদ্র মনে হয়। কিন্তু আলোচ্য বইটি জানান দেয়, সময়ের সদ্ব্যবহারে জীবনকে তিনি করেছিলেন আদর্শ, অনুসরণীয় ও অনুকরণীয়। তিনি মানুষটা কেমন ছিলেন? এ প্রশ্নে সাদাসিধে একজন দরবেশের চেয়ে বেশি কিছু তাকে মনে হয় না। কিন্তু বিচক্ষণতা, পরম মমতা ও চরিত্রের অভিভাবকত্ব তাকে মানবীয় গুনাবলীর চেয়েও অনন্য করেছিল। যা অল্প কথায় বলে শেষ হবে না। ঐশী কৃপায় পূর্ণ জীবনে সাধারণ মানুষের কল্পনায় আর বাস্তবে তার জীবনটা একেবারেই ভিন্ন। কোনো অলৌকিকত্ব নেই। কারামতের প্রসঙ্গ নেই। সাধারণ মানুষের জীবন যেন। লাগাতার পরীক্ষা দিয়ে চলেছেন। অনুশোচনা নেই। ত্যাগ-তিতিক্ষার কড়া মশাল তিনি। হাদিস ও ফিকহশাস্ত্রের পান্ডিত্যের পরও তিনি তার সীমাবদ্ধতাকে অস্বীকার করেননি। পান্ডিত্যকে জাহির করেননি। কাউকে খাটো করেননি। শুধু সত্য ও আল্লাহর ভীতি তাকে দুনিয়াবিমুখ করে রেখেছিল। কষ্টে মোড়ানো জীবন নিয়ে আজও মানুষের মাঝে কত সংশয়। এই গ্রন্থ ইমাম আবু হানিফা রাহিমাহুল্লাহর সিরাতের চেয়েও বেশি কিছু আমি আগেও বলেছি। আর তা হবেই বা না কেন? কারণ, বইটি সেসব সংশয় নিরসনে যোগ্য জবাব। তিনি ছিলেন একজন তাবেয়ী। উল্লেখযোগ্য রসদ বইটিতে সরবরাহ করা হয়েছে। মাসয়ালা গবেষণার জন্য যিনি চল্লিশ জন সদস্যের একটি স্বতন্ত্র ফিকহ বোর্ড গঠন করেছিলেন, তিনিই মুক্ত হস্তে ছাত্রদের অভাব মোচন করতেন। তিনি অভাবনীয় সদকা দান করতেন। তিনি পরিচর্যা করতেন গোপনে। তার বিষয়ে এও অনেকে প্রশ্নবাণে জর্জরিত করেন, তার কোনো স্বতন্ত্র গ্রন্থ নেই। এটা একেবারেই অমূলক ও অবান্তর। বিশেষভাবে জানার অভাবে এমন অহেতুক কথা অনেকেই বলে থাকেন। তিনি সর্বপ্রথম ‘কিতাবুল আসার’ গ্রন্থটিতে ফিকহ শাস্ত্রের ধারায় হাদিস সংকলন করেন। যা একই সাথে বিস্ময়কর ও প্রশংসনীয়। স্বহস্তে না করলেও ছাত্রদের দ্বারা বহু গ্রন্থের কাজ তিনি করেছেন। আজকের আলোচ্য বইটিতে ইমাম আবু হানিফা রাহিমাহুল্লাহর প্রায় ২০টি প্রসিদ্ধ গ্রন্থের নাম ও বইগুলোর সংক্ষিপ্ত আলোচনা পড়ার সৌভাগ্য হবে। তাছাড়াও বইটির শেষাংশে অপূর্ব কথামালা আমার হৃদয় ছুঁয়ে গেছে। যা না বললেই নয়। গ্রন্থের প্রচ্ছদ একদম সিম্পল। আর এ কারণেই আরও অনন্য অসাধারণ লাগে। যেন বইটি ইমাম আবু হানিফা রাহিমাহুল্লাহর সাধারণ জীবনের প্রতিচ্ছবি। যেন তাকে বর্ণনা করতে আর কিছুর প্রয়োজন নেই। এমনকি গ্রন্থের নামকরণও। শুধু ইমামের নামটাই যথেষ্ট ওজনদার। স্বাভাবিকভাবেই ইমাম সিরিজের এই বইটিই সিরিজের বাকি বইগুলোর প্রতি আকৃষ্ট হওয়ার জন্য যথেষ্ট। আবুল হাসানাত কাসিম- এর মৌলিক সংকলন হিসেবে বইটি ঝরঝরে, সাবলীল ও প্রাণবন্ত। এককথায় চমৎকার। ইমামের বয়ানে একটি কবিতার সাথে ঐক্যমত্য প্রকাশ করছি। তিনি নেই, যেন কোনো অভিভাবক নেই। কিন্তু তাকে ভালোবাসবার রসদগুলো যেন সত্যের আলোয় উদ্ভাসিত হয়। ‘’আই আমার জীবন উৎসর্গ করেছি এমন একটি বিষয় গবেষণায়, যার সাথে সম্পৃক্ততা আমার জন্য নিতান্তই গর্বের! আর তা হচ্ছে ফিকহশাস্ত্র। যার অনুপম ছোঁয়ায় আমি বাধিত। যার মর্যাদায় আমার সত্তা সমুন্নত। সর্বোপরি যার অসিলায় আমি যুগ যুগ ধরে বেঁচে থাকব- কোটি কোটি মানুষের হৃদয়ে।‘’ (কলাইদু উকুদিল উকইয়ান, পৃষ্ঠা ২০)
An Najahah Shop
Category List
All products

বই: ইমাম আবু হানিফা রাহিমাহুল্লাহ
সংকলক: আবুল হাসানাত কাসিম
সম্পাদনা: আকরাম হোসাইন
প্রচ্ছদ: সমকালীন গ্রাফিক্স টীম
পৃষ্ঠা সংখ্যা: ১৬৩
“আমরা ফিকহের বেলায় আবু হানিফার সন্তানতুল্য।”
যেই নক্ষত্রের সম্পর্কে ইমাম শাফেঈ এ কথা বলেছিলেন, বক্ষ্যমাণ বইটি তার জীবন ও কর্মকে ঘিরেই রচিত। সমকালীন প্রকাশন থেকে প্রকাশিত ইমাম সিরিজের প্রথম বই এটি। যেখানে ইমাম আবু হানিফার জন্মলগ্ন থেকে আখিরাতের পানে গমন ও ইলম অর্জনের বর্ণাঢ্য ঘটনাবহুল জীবনের মাঝে কত যে পরীক্ষা তার সবটাই উঠে এসেছে।
আলোচ্য বইটির বিষয়বস্তু নিয়ে সচেতন পাঠকের নিকট কোনো ধোঁয়াশা থাকার কথা নয়। বইটির উপস্থাপনে কোনো রহস্য রাখা হয়নি। প্রথম দর্শনেই পাঠকের আকর্ষণের পুরোটাই কেড়ে নেয় বইটি। সোনালী যুগের তিনি একজন অনন্য অসাধারণ মনীষী। যুগশ্রেষ্ঠ ইমাম। কিন্তু তার ৭০ বছরের গৌরবান্বিত জীবনে শুধুই সীমাহীন পরীক্ষা। মুসলিম ও ইমামের প্রতি অগাধ সম্মান, শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা থাকার কারণে হয়তো সে ব্যাপারে আমরা অনেকাংশেই জানি। কিন্তু জানি না, তার পদক্ষেপের কারণ।
জীবনের উত্থান-পতনের মাঝে তার দৃঢ়তা ও মনোবলের উৎস অনেকাংশেই অজানা। বইটি রচিত হয়েছে ইমাম আবু হানিফা রাহিমাহুল্লাহকে এক ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে ভিন্ন আয়নায় দেখানোর প্রয়াসে। ইতিবাচক কিংবা নেচিবাচক নয়। চিন্তাভাবনা ও বুদ্ধি-বিবেক দিয়ে তার অবস্থান থেকে যুক্তিনিষ্ঠ আলোচনায় সমাজব্যবস্থার ভীড়ে সত্যাবস্থান কী জিনিস তা বুঝতে বইটি একটি প্রামাণ্য দলীল।
তিনি শৈশবকাল থেকেই সীমাহীন পরীক্ষার সম্মুখিন হয়েছেন। তবে তাকে আশাহত হতে দেখা যায় না। হতাশাকে তিনি জয় করেছিলেন সবর, শোকর, আমল, আখলাক ও ইলম দিয়ে। তিনি তৎকালীন জনসাধারণ তো বটেই, ফকিহ, মুহাদ্দিস, আলিম ও ওলামাগণের কাছেও একজন অনুসরণীয় ব্যক্তিত্ব ছিলেন। তবে কী এমন হলো শাসকের কা’রাগারে তাকে মেহমান হতে হলো? এমনকি বিষ পানে তাকে দুনিয়া থেকে চিরবিদায় নিতে হলো কেন?
এসব প্রশ্নের উত্তর সহজ। গ্রহণ করা একজন বিদগ্ধ আলেম প্রেমীর জন্য বেদনাদায়ক। পৃথিবীতে আজ এত বছর পরেও অভিভাবকহীনতার গ্লানি ও হাহাকার।
ইমাম আবু হানিফা রাহিমাহুল্লাহর জীবনকাহিনি নিয়ে প্রচুর অবান্তর, মিথ্যা ও বানোয়াট গল্প রয়েছে। রয়েছে অনেক কল্পকাহিনী। পাঠকমহলে সাড়া ফেলার মতো অনেক রসালো গল্পের বইও বহু প্রকাশনি প্রকাশ করেছে। কিন্তু আদতে তার কোনো ভিত্তি নেই। লোকমুখে চর্চিত গল্পের রেফারেন্স নেই। তাই এসব অজ্ঞতাপ্রসূত অবান্তর কল্পকাহিনী আমাদের এড়িয়ে যাওয়াই শ্রেয়। বক্ষ্যমাণ গ্রন্থটি সেই কলুষতাকে পেছনে ফেলে সত্যের অঙ্গার উপস্থাপন করার দাবীদার। এই গ্রন্থ বাংলা ভাষাভাষী পাঠকদের জন্য অভূতপূর্ব সংযোজন এই কারণে যে, পূর্ণাংগ জীবনালেখ্য হিসেবে বইটি অন্যতম।
জন্মলগ্নই ছিল আর দশটি মানুষ থেকে যেন তিনি আলাদা। তাকে রব্বুল আলামিন যেন জাতির সুযোগ্য ইমাম হিসেবে সেভাবেই ভেঙ্গে গড়েছেন। নির্ভিক ও দৃঢ়চেতা আঙ্গিকে বুকে সাহসের স্ফুলিঙ্গ। জীবন মুহূর্তে বদলে গেল। তিনি কত আলেমের দারস্থ হলেন। কিন্তু তিনিও হবেন যুগশ্রেষ্ঠ আলেম। তার পান্ডিত্যের জোয়ারে তৈরি হবে প্রায় সাত হাজার বিজ্ঞ আলেম। তিনিও ইলমের মজলিসে গড়েছেন পুড়ে পুড়ে নিজেকে খাঁটি সোনা রুপে। ৭ জন সাহাবি ও ৯৩ জন তাবিয়িসহ তার শিক্ষকের সংখ্যাও নেহাত কম নয়। প্রায় চার হাজার।
এসব আলোচনায় তার জীবনকে বড্ড ক্ষুদ্র মনে হয়। কিন্তু আলোচ্য বইটি জানান দেয়, সময়ের সদ্ব্যবহারে জীবনকে তিনি করেছিলেন আদর্শ, অনুসরণীয় ও অনুকরণীয়। তিনি মানুষটা কেমন ছিলেন? এ প্রশ্নে সাদাসিধে একজন দরবেশের চেয়ে বেশি কিছু তাকে মনে হয় না। কিন্তু বিচক্ষণতা, পরম মমতা ও চরিত্রের অভিভাবকত্ব তাকে মানবীয় গুনাবলীর চেয়েও অনন্য করেছিল। যা অল্প কথায় বলে শেষ হবে না।
ঐশী কৃপায় পূর্ণ জীবনে সাধারণ মানুষের কল্পনায় আর বাস্তবে তার জীবনটা একেবারেই ভিন্ন। কোনো অলৌকিকত্ব নেই। কারামতের প্রসঙ্গ নেই। সাধারণ মানুষের জীবন যেন। লাগাতার পরীক্ষা দিয়ে চলেছেন। অনুশোচনা নেই। ত্যাগ-তিতিক্ষার কড়া মশাল তিনি।
হাদিস ও ফিকহশাস্ত্রের পান্ডিত্যের পরও তিনি তার সীমাবদ্ধতাকে অস্বীকার করেননি। পান্ডিত্যকে জাহির করেননি। কাউকে খাটো করেননি। শুধু সত্য ও আল্লাহর ভীতি তাকে দুনিয়াবিমুখ করে রেখেছিল। কষ্টে মোড়ানো জীবন নিয়ে আজও মানুষের মাঝে কত সংশয়। এই গ্রন্থ ইমাম আবু হানিফা রাহিমাহুল্লাহর সিরাতের চেয়েও বেশি কিছু আমি আগেও বলেছি। আর তা হবেই বা না কেন? কারণ, বইটি সেসব সংশয় নিরসনে যোগ্য জবাব।
তিনি ছিলেন একজন তাবেয়ী। উল্লেখযোগ্য রসদ বইটিতে সরবরাহ করা হয়েছে। মাসয়ালা গবেষণার জন্য যিনি চল্লিশ জন সদস্যের একটি স্বতন্ত্র ফিকহ বোর্ড গঠন করেছিলেন, তিনিই মুক্ত হস্তে ছাত্রদের অভাব মোচন করতেন। তিনি অভাবনীয় সদকা দান করতেন। তিনি পরিচর্যা করতেন গোপনে। তার বিষয়ে এও অনেকে প্রশ্নবাণে জর্জরিত করেন, তার কোনো স্বতন্ত্র গ্রন্থ নেই। এটা একেবারেই অমূলক ও অবান্তর। বিশেষভাবে জানার অভাবে এমন অহেতুক কথা অনেকেই বলে থাকেন। তিনি সর্বপ্রথম ‘কিতাবুল আসার’ গ্রন্থটিতে ফিকহ শাস্ত্রের ধারায় হাদিস সংকলন করেন। যা একই সাথে বিস্ময়কর ও প্রশংসনীয়। স্বহস্তে না করলেও ছাত্রদের দ্বারা বহু গ্রন্থের কাজ তিনি করেছেন। আজকের আলোচ্য বইটিতে ইমাম আবু হানিফা রাহিমাহুল্লাহর প্রায় ২০টি প্রসিদ্ধ গ্রন্থের নাম ও বইগুলোর সংক্ষিপ্ত আলোচনা পড়ার সৌভাগ্য হবে। তাছাড়াও বইটির শেষাংশে অপূর্ব কথামালা আমার হৃদয় ছুঁয়ে গেছে।
যা না বললেই নয়। গ্রন্থের প্রচ্ছদ একদম সিম্পল। আর এ কারণেই আরও অনন্য অসাধারণ লাগে। যেন বইটি ইমাম আবু হানিফা রাহিমাহুল্লাহর সাধারণ জীবনের প্রতিচ্ছবি। যেন তাকে বর্ণনা করতে আর কিছুর প্রয়োজন নেই। এমনকি গ্রন্থের নামকরণও। শুধু ইমামের নামটাই যথেষ্ট ওজনদার। স্বাভাবিকভাবেই ইমাম সিরিজের এই বইটিই সিরিজের বাকি বইগুলোর প্রতি আকৃষ্ট হওয়ার জন্য যথেষ্ট। আবুল হাসানাত কাসিম- এর মৌলিক সংকলন হিসেবে বইটি ঝরঝরে, সাবলীল ও প্রাণবন্ত। এককথায় চমৎকার।
ইমামের বয়ানে একটি কবিতার সাথে ঐক্যমত্য প্রকাশ করছি। তিনি নেই, যেন কোনো অভিভাবক নেই। কিন্তু তাকে ভালোবাসবার রসদগুলো যেন সত্যের আলোয় উদ্ভাসিত হয়।
‘’আই আমার জীবন উৎসর্গ করেছি এমন একটি বিষয় গবেষণায়, যার সাথে সম্পৃক্ততা আমার জন্য নিতান্তই গর্বের! আর তা হচ্ছে ফিকহশাস্ত্র। যার অনুপম ছোঁয়ায় আমি বাধিত। যার মর্যাদায় আমার সত্তা সমুন্নত। সর্বোপরি যার অসিলায় আমি যুগ যুগ ধরে বেঁচে থাকব- কোটি কোটি মানুষের হৃদয়ে।‘’
(কলাইদু উকুদিল উকইয়ান, পৃষ্ঠা ২০)
সংকলক: আবুল হাসানাত কাসিম
সম্পাদনা: আকরাম হোসাইন
প্রচ্ছদ: সমকালীন গ্রাফিক্স টীম
পৃষ্ঠা সংখ্যা: ১৬৩
“আমরা ফিকহের বেলায় আবু হানিফার সন্তানতুল্য।”
যেই নক্ষত্রের সম্পর্কে ইমাম শাফেঈ এ কথা বলেছিলেন, বক্ষ্যমাণ বইটি তার জীবন ও কর্মকে ঘিরেই রচিত। সমকালীন প্রকাশন থেকে প্রকাশিত ইমাম সিরিজের প্রথম বই এটি। যেখানে ইমাম আবু হানিফার জন্মলগ্ন থেকে আখিরাতের পানে গমন ও ইলম অর্জনের বর্ণাঢ্য ঘটনাবহুল জীবনের মাঝে কত যে পরীক্ষা তার সবটাই উঠে এসেছে।
আলোচ্য বইটির বিষয়বস্তু নিয়ে সচেতন পাঠকের নিকট কোনো ধোঁয়াশা থাকার কথা নয়। বইটির উপস্থাপনে কোনো রহস্য রাখা হয়নি। প্রথম দর্শনেই পাঠকের আকর্ষণের পুরোটাই কেড়ে নেয় বইটি। সোনালী যুগের তিনি একজন অনন্য অসাধারণ মনীষী। যুগশ্রেষ্ঠ ইমাম। কিন্তু তার ৭০ বছরের গৌরবান্বিত জীবনে শুধুই সীমাহীন পরীক্ষা। মুসলিম ও ইমামের প্রতি অগাধ সম্মান, শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা থাকার কারণে হয়তো সে ব্যাপারে আমরা অনেকাংশেই জানি। কিন্তু জানি না, তার পদক্ষেপের কারণ।
জীবনের উত্থান-পতনের মাঝে তার দৃঢ়তা ও মনোবলের উৎস অনেকাংশেই অজানা। বইটি রচিত হয়েছে ইমাম আবু হানিফা রাহিমাহুল্লাহকে এক ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে ভিন্ন আয়নায় দেখানোর প্রয়াসে। ইতিবাচক কিংবা নেচিবাচক নয়। চিন্তাভাবনা ও বুদ্ধি-বিবেক দিয়ে তার অবস্থান থেকে যুক্তিনিষ্ঠ আলোচনায় সমাজব্যবস্থার ভীড়ে সত্যাবস্থান কী জিনিস তা বুঝতে বইটি একটি প্রামাণ্য দলীল।
তিনি শৈশবকাল থেকেই সীমাহীন পরীক্ষার সম্মুখিন হয়েছেন। তবে তাকে আশাহত হতে দেখা যায় না। হতাশাকে তিনি জয় করেছিলেন সবর, শোকর, আমল, আখলাক ও ইলম দিয়ে। তিনি তৎকালীন জনসাধারণ তো বটেই, ফকিহ, মুহাদ্দিস, আলিম ও ওলামাগণের কাছেও একজন অনুসরণীয় ব্যক্তিত্ব ছিলেন। তবে কী এমন হলো শাসকের কা’রাগারে তাকে মেহমান হতে হলো? এমনকি বিষ পানে তাকে দুনিয়া থেকে চিরবিদায় নিতে হলো কেন?
এসব প্রশ্নের উত্তর সহজ। গ্রহণ করা একজন বিদগ্ধ আলেম প্রেমীর জন্য বেদনাদায়ক। পৃথিবীতে আজ এত বছর পরেও অভিভাবকহীনতার গ্লানি ও হাহাকার।
ইমাম আবু হানিফা রাহিমাহুল্লাহর জীবনকাহিনি নিয়ে প্রচুর অবান্তর, মিথ্যা ও বানোয়াট গল্প রয়েছে। রয়েছে অনেক কল্পকাহিনী। পাঠকমহলে সাড়া ফেলার মতো অনেক রসালো গল্পের বইও বহু প্রকাশনি প্রকাশ করেছে। কিন্তু আদতে তার কোনো ভিত্তি নেই। লোকমুখে চর্চিত গল্পের রেফারেন্স নেই। তাই এসব অজ্ঞতাপ্রসূত অবান্তর কল্পকাহিনী আমাদের এড়িয়ে যাওয়াই শ্রেয়। বক্ষ্যমাণ গ্রন্থটি সেই কলুষতাকে পেছনে ফেলে সত্যের অঙ্গার উপস্থাপন করার দাবীদার। এই গ্রন্থ বাংলা ভাষাভাষী পাঠকদের জন্য অভূতপূর্ব সংযোজন এই কারণে যে, পূর্ণাংগ জীবনালেখ্য হিসেবে বইটি অন্যতম।
জন্মলগ্নই ছিল আর দশটি মানুষ থেকে যেন তিনি আলাদা। তাকে রব্বুল আলামিন যেন জাতির সুযোগ্য ইমাম হিসেবে সেভাবেই ভেঙ্গে গড়েছেন। নির্ভিক ও দৃঢ়চেতা আঙ্গিকে বুকে সাহসের স্ফুলিঙ্গ। জীবন মুহূর্তে বদলে গেল। তিনি কত আলেমের দারস্থ হলেন। কিন্তু তিনিও হবেন যুগশ্রেষ্ঠ আলেম। তার পান্ডিত্যের জোয়ারে তৈরি হবে প্রায় সাত হাজার বিজ্ঞ আলেম। তিনিও ইলমের মজলিসে গড়েছেন পুড়ে পুড়ে নিজেকে খাঁটি সোনা রুপে। ৭ জন সাহাবি ও ৯৩ জন তাবিয়িসহ তার শিক্ষকের সংখ্যাও নেহাত কম নয়। প্রায় চার হাজার।
এসব আলোচনায় তার জীবনকে বড্ড ক্ষুদ্র মনে হয়। কিন্তু আলোচ্য বইটি জানান দেয়, সময়ের সদ্ব্যবহারে জীবনকে তিনি করেছিলেন আদর্শ, অনুসরণীয় ও অনুকরণীয়। তিনি মানুষটা কেমন ছিলেন? এ প্রশ্নে সাদাসিধে একজন দরবেশের চেয়ে বেশি কিছু তাকে মনে হয় না। কিন্তু বিচক্ষণতা, পরম মমতা ও চরিত্রের অভিভাবকত্ব তাকে মানবীয় গুনাবলীর চেয়েও অনন্য করেছিল। যা অল্প কথায় বলে শেষ হবে না।
ঐশী কৃপায় পূর্ণ জীবনে সাধারণ মানুষের কল্পনায় আর বাস্তবে তার জীবনটা একেবারেই ভিন্ন। কোনো অলৌকিকত্ব নেই। কারামতের প্রসঙ্গ নেই। সাধারণ মানুষের জীবন যেন। লাগাতার পরীক্ষা দিয়ে চলেছেন। অনুশোচনা নেই। ত্যাগ-তিতিক্ষার কড়া মশাল তিনি।
হাদিস ও ফিকহশাস্ত্রের পান্ডিত্যের পরও তিনি তার সীমাবদ্ধতাকে অস্বীকার করেননি। পান্ডিত্যকে জাহির করেননি। কাউকে খাটো করেননি। শুধু সত্য ও আল্লাহর ভীতি তাকে দুনিয়াবিমুখ করে রেখেছিল। কষ্টে মোড়ানো জীবন নিয়ে আজও মানুষের মাঝে কত সংশয়। এই গ্রন্থ ইমাম আবু হানিফা রাহিমাহুল্লাহর সিরাতের চেয়েও বেশি কিছু আমি আগেও বলেছি। আর তা হবেই বা না কেন? কারণ, বইটি সেসব সংশয় নিরসনে যোগ্য জবাব।
তিনি ছিলেন একজন তাবেয়ী। উল্লেখযোগ্য রসদ বইটিতে সরবরাহ করা হয়েছে। মাসয়ালা গবেষণার জন্য যিনি চল্লিশ জন সদস্যের একটি স্বতন্ত্র ফিকহ বোর্ড গঠন করেছিলেন, তিনিই মুক্ত হস্তে ছাত্রদের অভাব মোচন করতেন। তিনি অভাবনীয় সদকা দান করতেন। তিনি পরিচর্যা করতেন গোপনে। তার বিষয়ে এও অনেকে প্রশ্নবাণে জর্জরিত করেন, তার কোনো স্বতন্ত্র গ্রন্থ নেই। এটা একেবারেই অমূলক ও অবান্তর। বিশেষভাবে জানার অভাবে এমন অহেতুক কথা অনেকেই বলে থাকেন। তিনি সর্বপ্রথম ‘কিতাবুল আসার’ গ্রন্থটিতে ফিকহ শাস্ত্রের ধারায় হাদিস সংকলন করেন। যা একই সাথে বিস্ময়কর ও প্রশংসনীয়। স্বহস্তে না করলেও ছাত্রদের দ্বারা বহু গ্রন্থের কাজ তিনি করেছেন। আজকের আলোচ্য বইটিতে ইমাম আবু হানিফা রাহিমাহুল্লাহর প্রায় ২০টি প্রসিদ্ধ গ্রন্থের নাম ও বইগুলোর সংক্ষিপ্ত আলোচনা পড়ার সৌভাগ্য হবে। তাছাড়াও বইটির শেষাংশে অপূর্ব কথামালা আমার হৃদয় ছুঁয়ে গেছে।
যা না বললেই নয়। গ্রন্থের প্রচ্ছদ একদম সিম্পল। আর এ কারণেই আরও অনন্য অসাধারণ লাগে। যেন বইটি ইমাম আবু হানিফা রাহিমাহুল্লাহর সাধারণ জীবনের প্রতিচ্ছবি। যেন তাকে বর্ণনা করতে আর কিছুর প্রয়োজন নেই। এমনকি গ্রন্থের নামকরণও। শুধু ইমামের নামটাই যথেষ্ট ওজনদার। স্বাভাবিকভাবেই ইমাম সিরিজের এই বইটিই সিরিজের বাকি বইগুলোর প্রতি আকৃষ্ট হওয়ার জন্য যথেষ্ট। আবুল হাসানাত কাসিম- এর মৌলিক সংকলন হিসেবে বইটি ঝরঝরে, সাবলীল ও প্রাণবন্ত। এককথায় চমৎকার।
ইমামের বয়ানে একটি কবিতার সাথে ঐক্যমত্য প্রকাশ করছি। তিনি নেই, যেন কোনো অভিভাবক নেই। কিন্তু তাকে ভালোবাসবার রসদগুলো যেন সত্যের আলোয় উদ্ভাসিত হয়।
‘’আই আমার জীবন উৎসর্গ করেছি এমন একটি বিষয় গবেষণায়, যার সাথে সম্পৃক্ততা আমার জন্য নিতান্তই গর্বের! আর তা হচ্ছে ফিকহশাস্ত্র। যার অনুপম ছোঁয়ায় আমি বাধিত। যার মর্যাদায় আমার সত্তা সমুন্নত। সর্বোপরি যার অসিলায় আমি যুগ যুগ ধরে বেঁচে থাকব- কোটি কোটি মানুষের হৃদয়ে।‘’
(কলাইদু উকুদিল উকইয়ান, পৃষ্ঠা ২০)
ইমাম আবু হানিফা রহ: জীবন ও কর্ম
175 BDT255 BDTSave 80 BDT
1
বই: ইমাম আবু হানিফা রাহিমাহুল্লাহ
সংকলক: আবুল হাসানাত কাসিম
সম্পাদনা: আকরাম হোসাইন
প্রচ্ছদ: সমকালীন গ্রাফিক্স টীম
পৃষ্ঠা সংখ্যা: ১৬৩
“আমরা ফিকহের বেলায় আবু হানিফার সন্তানতুল্য।”
যেই নক্ষত্রের সম্পর্কে ইমাম শাফেঈ এ কথা বলেছিলেন, বক্ষ্যমাণ বইটি তার জীবন ও কর্মকে ঘিরেই রচিত। সমকালীন প্রকাশন থেকে প্রকাশিত ইমাম সিরিজের প্রথম বই এটি। যেখানে ইমাম আবু হানিফার জন্মলগ্ন থেকে আখিরাতের পানে গমন ও ইলম অর্জনের বর্ণাঢ্য ঘটনাবহুল জীবনের মাঝে কত যে পরীক্ষা তার সবটাই উঠে এসেছে।
আলোচ্য বইটির বিষয়বস্তু নিয়ে সচেতন পাঠকের নিকট কোনো ধোঁয়াশা থাকার কথা নয়। বইটির উপস্থাপনে কোনো রহস্য রাখা হয়নি। প্রথম দর্শনেই পাঠকের আকর্ষণের পুরোটাই কেড়ে নেয় বইটি। সোনালী যুগের তিনি একজন অনন্য অসাধারণ মনীষী। যুগশ্রেষ্ঠ ইমাম। কিন্তু তার ৭০ বছরের গৌরবান্বিত জীবনে শুধুই সীমাহীন পরীক্ষা। মুসলিম ও ইমামের প্রতি অগাধ সম্মান, শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা থাকার কারণে হয়তো সে ব্যাপারে আমরা অনেকাংশেই জানি। কিন্তু জানি না, তার পদক্ষেপের কারণ।
জীবনের উত্থান-পতনের মাঝে তার দৃঢ়তা ও মনোবলের উৎস অনেকাংশেই অজানা। বইটি রচিত হয়েছে ইমাম আবু হানিফা রাহিমাহুল্লাহকে এক ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে ভিন্ন আয়নায় দেখানোর প্রয়াসে। ইতিবাচক কিংবা নেচিবাচক নয়। চিন্তাভাবনা ও বুদ্ধি-বিবেক দিয়ে তার অবস্থান থেকে যুক্তিনিষ্ঠ আলোচনায় সমাজব্যবস্থার ভীড়ে সত্যাবস্থান কী জিনিস তা বুঝতে বইটি একটি প্রামাণ্য দলীল।
তিনি শৈশবকাল থেকেই সীমাহীন পরীক্ষার সম্মুখিন হয়েছেন। তবে তাকে আশাহত হতে দেখা যায় না। হতাশাকে তিনি জয় করেছিলেন সবর, শোকর, আমল, আখলাক ও ইলম দিয়ে। তিনি তৎকালীন জনসাধারণ তো বটেই, ফকিহ, মুহাদ্দিস, আলিম ও ওলামাগণের কাছেও একজন অনুসরণীয় ব্যক্তিত্ব ছিলেন। তবে কী এমন হলো শাসকের কা’রাগারে তাকে মেহমান হতে হলো? এমনকি বিষ পানে তাকে দুনিয়া থেকে চিরবিদায় নিতে হলো কেন?
এসব প্রশ্নের উত্তর সহজ। গ্রহণ করা একজন বিদগ্ধ আলেম প্রেমীর জন্য বেদনাদায়ক। পৃথিবীতে আজ এত বছর পরেও অভিভাবকহীনতার গ্লানি ও হাহাকার।
ইমাম আবু হানিফা রাহিমাহুল্লাহর জীবনকাহিনি নিয়ে প্রচুর অবান্তর, মিথ্যা ও বানোয়াট গল্প রয়েছে। রয়েছে অনেক কল্পকাহিনী। পাঠকমহলে সাড়া ফেলার মতো অনেক রসালো গল্পের বইও বহু প্রকাশনি প্রকাশ করেছে। কিন্তু আদতে তার কোনো ভিত্তি নেই। লোকমুখে চর্চিত গল্পের রেফারেন্স নেই। তাই এসব অজ্ঞতাপ্রসূত অবান্তর কল্পকাহিনী আমাদের এড়িয়ে যাওয়াই শ্রেয়। বক্ষ্যমাণ গ্রন্থটি সেই কলুষতাকে পেছনে ফেলে সত্যের অঙ্গার উপস্থাপন করার দাবীদার। এই গ্রন্থ বাংলা ভাষাভাষী পাঠকদের জন্য অভূতপূর্ব সংযোজন এই কারণে যে, পূর্ণাংগ জীবনালেখ্য হিসেবে বইটি অন্যতম।
জন্মলগ্নই ছিল আর দশটি মানুষ থেকে যেন তিনি আলাদা। তাকে রব্বুল আলামিন যেন জাতির সুযোগ্য ইমাম হিসেবে সেভাবেই ভেঙ্গে গড়েছেন। নির্ভিক ও দৃঢ়চেতা আঙ্গিকে বুকে সাহসের স্ফুলিঙ্গ। জীবন মুহূর্তে বদলে গেল। তিনি কত আলেমের দারস্থ হলেন। কিন্তু তিনিও হবেন যুগশ্রেষ্ঠ আলেম। তার পান্ডিত্যের জোয়ারে তৈরি হবে প্রায় সাত হাজার বিজ্ঞ আলেম। তিনিও ইলমের মজলিসে গড়েছেন পুড়ে পুড়ে নিজেকে খাঁটি সোনা রুপে। ৭ জন সাহাবি ও ৯৩ জন তাবিয়িসহ তার শিক্ষকের সংখ্যাও নেহাত কম নয়। প্রায় চার হাজার।
এসব আলোচনায় তার জীবনকে বড্ড ক্ষুদ্র মনে হয়। কিন্তু আলোচ্য বইটি জানান দেয়, সময়ের সদ্ব্যবহারে জীবনকে তিনি করেছিলেন আদর্শ, অনুসরণীয় ও অনুকরণীয়। তিনি মানুষটা কেমন ছিলেন? এ প্রশ্নে সাদাসিধে একজন দরবেশের চেয়ে বেশি কিছু তাকে মনে হয় না। কিন্তু বিচক্ষণতা, পরম মমতা ও চরিত্রের অভিভাবকত্ব তাকে মানবীয় গুনাবলীর চেয়েও অনন্য করেছিল। যা অল্প কথায় বলে শেষ হবে না।
ঐশী কৃপায় পূর্ণ জীবনে সাধারণ মানুষের কল্পনায় আর বাস্তবে তার জীবনটা একেবারেই ভিন্ন। কোনো অলৌকিকত্ব নেই। কারামতের প্রসঙ্গ নেই। সাধারণ মানুষের জীবন যেন। লাগাতার পরীক্ষা দিয়ে চলেছেন। অনুশোচনা নেই। ত্যাগ-তিতিক্ষার কড়া মশাল তিনি।
হাদিস ও ফিকহশাস্ত্রের পান্ডিত্যের পরও তিনি তার সীমাবদ্ধতাকে অস্বীকার করেননি। পান্ডিত্যকে জাহির করেননি। কাউকে খাটো করেননি। শুধু সত্য ও আল্লাহর ভীতি তাকে দুনিয়াবিমুখ করে রেখেছিল। কষ্টে মোড়ানো জীবন নিয়ে আজও মানুষের মাঝে কত সংশয়। এই গ্রন্থ ইমাম আবু হানিফা রাহিমাহুল্লাহর সিরাতের চেয়েও বেশি কিছু আমি আগেও বলেছি। আর তা হবেই বা না কেন? কারণ, বইটি সেসব সংশয় নিরসনে যোগ্য জবাব।
তিনি ছিলেন একজন তাবেয়ী। উল্লেখযোগ্য রসদ বইটিতে সরবরাহ করা হয়েছে। মাসয়ালা গবেষণার জন্য যিনি চল্লিশ জন সদস্যের একটি স্বতন্ত্র ফিকহ বোর্ড গঠন করেছিলেন, তিনিই মুক্ত হস্তে ছাত্রদের অভাব মোচন করতেন। তিনি অভাবনীয় সদকা দান করতেন। তিনি পরিচর্যা করতেন গোপনে। তার বিষয়ে এও অনেকে প্রশ্নবাণে জর্জরিত করেন, তার কোনো স্বতন্ত্র গ্রন্থ নেই। এটা একেবারেই অমূলক ও অবান্তর। বিশেষভাবে জানার অভাবে এমন অহেতুক কথা অনেকেই বলে থাকেন। তিনি সর্বপ্রথম ‘কিতাবুল আসার’ গ্রন্থটিতে ফিকহ শাস্ত্রের ধারায় হাদিস সংকলন করেন। যা একই সাথে বিস্ময়কর ও প্রশংসনীয়। স্বহস্তে না করলেও ছাত্রদের দ্বারা বহু গ্রন্থের কাজ তিনি করেছেন। আজকের আলোচ্য বইটিতে ইমাম আবু হানিফা রাহিমাহুল্লাহর প্রায় ২০টি প্রসিদ্ধ গ্রন্থের নাম ও বইগুলোর সংক্ষিপ্ত আলোচনা পড়ার সৌভাগ্য হবে। তাছাড়াও বইটির শেষাংশে অপূর্ব কথামালা আমার হৃদয় ছুঁয়ে গেছে।
যা না বললেই নয়। গ্রন্থের প্রচ্ছদ একদম সিম্পল। আর এ কারণেই আরও অনন্য অসাধারণ লাগে। যেন বইটি ইমাম আবু হানিফা রাহিমাহুল্লাহর সাধারণ জীবনের প্রতিচ্ছবি। যেন তাকে বর্ণনা করতে আর কিছুর প্রয়োজন নেই। এমনকি গ্রন্থের নামকরণও। শুধু ইমামের নামটাই যথেষ্ট ওজনদার। স্বাভাবিকভাবেই ইমাম সিরিজের এই বইটিই সিরিজের বাকি বইগুলোর প্রতি আকৃষ্ট হওয়ার জন্য যথেষ্ট। আবুল হাসানাত কাসিম- এর মৌলিক সংকলন হিসেবে বইটি ঝরঝরে, সাবলীল ও প্রাণবন্ত। এককথায় চমৎকার।
ইমামের বয়ানে একটি কবিতার সাথে ঐক্যমত্য প্রকাশ করছি। তিনি নেই, যেন কোনো অভিভাবক নেই। কিন্তু তাকে ভালোবাসবার রসদগুলো যেন সত্যের আলোয় উদ্ভাসিত হয়।
‘’আই আমার জীবন উৎসর্গ করেছি এমন একটি বিষয় গবেষণায়, যার সাথে সম্পৃক্ততা আমার জন্য নিতান্তই গর্বের! আর তা হচ্ছে ফিকহশাস্ত্র। যার অনুপম ছোঁয়ায় আমি বাধিত। যার মর্যাদায় আমার সত্তা সমুন্নত। সর্বোপরি যার অসিলায় আমি যুগ যুগ ধরে বেঁচে থাকব- কোটি কোটি মানুষের হৃদয়ে।‘’
(কলাইদু উকুদিল উকইয়ান, পৃষ্ঠা ২০)
সংকলক: আবুল হাসানাত কাসিম
সম্পাদনা: আকরাম হোসাইন
প্রচ্ছদ: সমকালীন গ্রাফিক্স টীম
পৃষ্ঠা সংখ্যা: ১৬৩
“আমরা ফিকহের বেলায় আবু হানিফার সন্তানতুল্য।”
যেই নক্ষত্রের সম্পর্কে ইমাম শাফেঈ এ কথা বলেছিলেন, বক্ষ্যমাণ বইটি তার জীবন ও কর্মকে ঘিরেই রচিত। সমকালীন প্রকাশন থেকে প্রকাশিত ইমাম সিরিজের প্রথম বই এটি। যেখানে ইমাম আবু হানিফার জন্মলগ্ন থেকে আখিরাতের পানে গমন ও ইলম অর্জনের বর্ণাঢ্য ঘটনাবহুল জীবনের মাঝে কত যে পরীক্ষা তার সবটাই উঠে এসেছে।
আলোচ্য বইটির বিষয়বস্তু নিয়ে সচেতন পাঠকের নিকট কোনো ধোঁয়াশা থাকার কথা নয়। বইটির উপস্থাপনে কোনো রহস্য রাখা হয়নি। প্রথম দর্শনেই পাঠকের আকর্ষণের পুরোটাই কেড়ে নেয় বইটি। সোনালী যুগের তিনি একজন অনন্য অসাধারণ মনীষী। যুগশ্রেষ্ঠ ইমাম। কিন্তু তার ৭০ বছরের গৌরবান্বিত জীবনে শুধুই সীমাহীন পরীক্ষা। মুসলিম ও ইমামের প্রতি অগাধ সম্মান, শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা থাকার কারণে হয়তো সে ব্যাপারে আমরা অনেকাংশেই জানি। কিন্তু জানি না, তার পদক্ষেপের কারণ।
জীবনের উত্থান-পতনের মাঝে তার দৃঢ়তা ও মনোবলের উৎস অনেকাংশেই অজানা। বইটি রচিত হয়েছে ইমাম আবু হানিফা রাহিমাহুল্লাহকে এক ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে ভিন্ন আয়নায় দেখানোর প্রয়াসে। ইতিবাচক কিংবা নেচিবাচক নয়। চিন্তাভাবনা ও বুদ্ধি-বিবেক দিয়ে তার অবস্থান থেকে যুক্তিনিষ্ঠ আলোচনায় সমাজব্যবস্থার ভীড়ে সত্যাবস্থান কী জিনিস তা বুঝতে বইটি একটি প্রামাণ্য দলীল।
তিনি শৈশবকাল থেকেই সীমাহীন পরীক্ষার সম্মুখিন হয়েছেন। তবে তাকে আশাহত হতে দেখা যায় না। হতাশাকে তিনি জয় করেছিলেন সবর, শোকর, আমল, আখলাক ও ইলম দিয়ে। তিনি তৎকালীন জনসাধারণ তো বটেই, ফকিহ, মুহাদ্দিস, আলিম ও ওলামাগণের কাছেও একজন অনুসরণীয় ব্যক্তিত্ব ছিলেন। তবে কী এমন হলো শাসকের কা’রাগারে তাকে মেহমান হতে হলো? এমনকি বিষ পানে তাকে দুনিয়া থেকে চিরবিদায় নিতে হলো কেন?
এসব প্রশ্নের উত্তর সহজ। গ্রহণ করা একজন বিদগ্ধ আলেম প্রেমীর জন্য বেদনাদায়ক। পৃথিবীতে আজ এত বছর পরেও অভিভাবকহীনতার গ্লানি ও হাহাকার।
ইমাম আবু হানিফা রাহিমাহুল্লাহর জীবনকাহিনি নিয়ে প্রচুর অবান্তর, মিথ্যা ও বানোয়াট গল্প রয়েছে। রয়েছে অনেক কল্পকাহিনী। পাঠকমহলে সাড়া ফেলার মতো অনেক রসালো গল্পের বইও বহু প্রকাশনি প্রকাশ করেছে। কিন্তু আদতে তার কোনো ভিত্তি নেই। লোকমুখে চর্চিত গল্পের রেফারেন্স নেই। তাই এসব অজ্ঞতাপ্রসূত অবান্তর কল্পকাহিনী আমাদের এড়িয়ে যাওয়াই শ্রেয়। বক্ষ্যমাণ গ্রন্থটি সেই কলুষতাকে পেছনে ফেলে সত্যের অঙ্গার উপস্থাপন করার দাবীদার। এই গ্রন্থ বাংলা ভাষাভাষী পাঠকদের জন্য অভূতপূর্ব সংযোজন এই কারণে যে, পূর্ণাংগ জীবনালেখ্য হিসেবে বইটি অন্যতম।
জন্মলগ্নই ছিল আর দশটি মানুষ থেকে যেন তিনি আলাদা। তাকে রব্বুল আলামিন যেন জাতির সুযোগ্য ইমাম হিসেবে সেভাবেই ভেঙ্গে গড়েছেন। নির্ভিক ও দৃঢ়চেতা আঙ্গিকে বুকে সাহসের স্ফুলিঙ্গ। জীবন মুহূর্তে বদলে গেল। তিনি কত আলেমের দারস্থ হলেন। কিন্তু তিনিও হবেন যুগশ্রেষ্ঠ আলেম। তার পান্ডিত্যের জোয়ারে তৈরি হবে প্রায় সাত হাজার বিজ্ঞ আলেম। তিনিও ইলমের মজলিসে গড়েছেন পুড়ে পুড়ে নিজেকে খাঁটি সোনা রুপে। ৭ জন সাহাবি ও ৯৩ জন তাবিয়িসহ তার শিক্ষকের সংখ্যাও নেহাত কম নয়। প্রায় চার হাজার।
এসব আলোচনায় তার জীবনকে বড্ড ক্ষুদ্র মনে হয়। কিন্তু আলোচ্য বইটি জানান দেয়, সময়ের সদ্ব্যবহারে জীবনকে তিনি করেছিলেন আদর্শ, অনুসরণীয় ও অনুকরণীয়। তিনি মানুষটা কেমন ছিলেন? এ প্রশ্নে সাদাসিধে একজন দরবেশের চেয়ে বেশি কিছু তাকে মনে হয় না। কিন্তু বিচক্ষণতা, পরম মমতা ও চরিত্রের অভিভাবকত্ব তাকে মানবীয় গুনাবলীর চেয়েও অনন্য করেছিল। যা অল্প কথায় বলে শেষ হবে না।
ঐশী কৃপায় পূর্ণ জীবনে সাধারণ মানুষের কল্পনায় আর বাস্তবে তার জীবনটা একেবারেই ভিন্ন। কোনো অলৌকিকত্ব নেই। কারামতের প্রসঙ্গ নেই। সাধারণ মানুষের জীবন যেন। লাগাতার পরীক্ষা দিয়ে চলেছেন। অনুশোচনা নেই। ত্যাগ-তিতিক্ষার কড়া মশাল তিনি।
হাদিস ও ফিকহশাস্ত্রের পান্ডিত্যের পরও তিনি তার সীমাবদ্ধতাকে অস্বীকার করেননি। পান্ডিত্যকে জাহির করেননি। কাউকে খাটো করেননি। শুধু সত্য ও আল্লাহর ভীতি তাকে দুনিয়াবিমুখ করে রেখেছিল। কষ্টে মোড়ানো জীবন নিয়ে আজও মানুষের মাঝে কত সংশয়। এই গ্রন্থ ইমাম আবু হানিফা রাহিমাহুল্লাহর সিরাতের চেয়েও বেশি কিছু আমি আগেও বলেছি। আর তা হবেই বা না কেন? কারণ, বইটি সেসব সংশয় নিরসনে যোগ্য জবাব।
তিনি ছিলেন একজন তাবেয়ী। উল্লেখযোগ্য রসদ বইটিতে সরবরাহ করা হয়েছে। মাসয়ালা গবেষণার জন্য যিনি চল্লিশ জন সদস্যের একটি স্বতন্ত্র ফিকহ বোর্ড গঠন করেছিলেন, তিনিই মুক্ত হস্তে ছাত্রদের অভাব মোচন করতেন। তিনি অভাবনীয় সদকা দান করতেন। তিনি পরিচর্যা করতেন গোপনে। তার বিষয়ে এও অনেকে প্রশ্নবাণে জর্জরিত করেন, তার কোনো স্বতন্ত্র গ্রন্থ নেই। এটা একেবারেই অমূলক ও অবান্তর। বিশেষভাবে জানার অভাবে এমন অহেতুক কথা অনেকেই বলে থাকেন। তিনি সর্বপ্রথম ‘কিতাবুল আসার’ গ্রন্থটিতে ফিকহ শাস্ত্রের ধারায় হাদিস সংকলন করেন। যা একই সাথে বিস্ময়কর ও প্রশংসনীয়। স্বহস্তে না করলেও ছাত্রদের দ্বারা বহু গ্রন্থের কাজ তিনি করেছেন। আজকের আলোচ্য বইটিতে ইমাম আবু হানিফা রাহিমাহুল্লাহর প্রায় ২০টি প্রসিদ্ধ গ্রন্থের নাম ও বইগুলোর সংক্ষিপ্ত আলোচনা পড়ার সৌভাগ্য হবে। তাছাড়াও বইটির শেষাংশে অপূর্ব কথামালা আমার হৃদয় ছুঁয়ে গেছে।
যা না বললেই নয়। গ্রন্থের প্রচ্ছদ একদম সিম্পল। আর এ কারণেই আরও অনন্য অসাধারণ লাগে। যেন বইটি ইমাম আবু হানিফা রাহিমাহুল্লাহর সাধারণ জীবনের প্রতিচ্ছবি। যেন তাকে বর্ণনা করতে আর কিছুর প্রয়োজন নেই। এমনকি গ্রন্থের নামকরণও। শুধু ইমামের নামটাই যথেষ্ট ওজনদার। স্বাভাবিকভাবেই ইমাম সিরিজের এই বইটিই সিরিজের বাকি বইগুলোর প্রতি আকৃষ্ট হওয়ার জন্য যথেষ্ট। আবুল হাসানাত কাসিম- এর মৌলিক সংকলন হিসেবে বইটি ঝরঝরে, সাবলীল ও প্রাণবন্ত। এককথায় চমৎকার।
ইমামের বয়ানে একটি কবিতার সাথে ঐক্যমত্য প্রকাশ করছি। তিনি নেই, যেন কোনো অভিভাবক নেই। কিন্তু তাকে ভালোবাসবার রসদগুলো যেন সত্যের আলোয় উদ্ভাসিত হয়।
‘’আই আমার জীবন উৎসর্গ করেছি এমন একটি বিষয় গবেষণায়, যার সাথে সম্পৃক্ততা আমার জন্য নিতান্তই গর্বের! আর তা হচ্ছে ফিকহশাস্ত্র। যার অনুপম ছোঁয়ায় আমি বাধিত। যার মর্যাদায় আমার সত্তা সমুন্নত। সর্বোপরি যার অসিলায় আমি যুগ যুগ ধরে বেঁচে থাকব- কোটি কোটি মানুষের হৃদয়ে।‘’
(কলাইদু উকুদিল উকইয়ান, পৃষ্ঠা ২০)